Ajker Patrika

হেলিকপ্টারে বউ-সন্তান আনলেন রকেট

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি  
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পালশা গ্রামে হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পালশা গ্রামে হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে। ছবি: সংগৃহীত

ছেলে মালয়েশিয়া থাকেন ১৭ বছর। বিয়েও করেছেন সেখানে কম্বোডিয়ান এক নারীকে। তাই বাবা–মায়ের ইচ্ছে ছিল—ছেলে প্রবাস থেকে বউ নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে আসবে নিজ গ্রামে, তখন সাত গ্রামের মানুষ তাঁর ছেলে ও বউকে দেখবে।

এবার বাবা–মায়ের সেই ইচ্ছা পূরণ করলেন ছেলে রাকিবুল ইসলাম রকেট। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পালশা গ্রামে হেলিকপ্টারযোগে বউ, বাচ্চা, শাশুড়ি, শ্যালকসহ নিয়ে নিজ গ্রামে আসেন রকেট। এ সময় প্রবাসী বউ ও হেলিকপ্টার দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় বাঁধে সেখানে। রকেট পালশা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ প্রামাণিকের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আজ ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে উপজেলার পালশা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন তাঁরা। তখন এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজনেরা তাঁদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। এদিকে ১৭ বছর পর রকেট প্রবাসী বউ নিয়ে দেশে ফিরলে তাঁকে একনজর দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করে।

রকেটের বড় ভাই রাসেল রানা জানান, রকেট মালেশিয়াপ্রবাসী। ১৭ বছর ধরে সেখানে তিনি জব করেন। ৫ বছর সেখানে কম্বোডিয়ান এক তরুণীকে বিয়ে করেন। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর বাবা–মায়ের ইচ্ছা ছিল—আমার ছেলে যেন হেলিকপ্টারে করে প্রবাস থেকে বউ নিয়ে নিজ গ্রামে আসে। তাঁদের ইচ্ছা পূরণ করতে এত আয়োজন।

প্রতিবেশী মেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘১৭ বছর আগে রকেট মালয়েশিয়া যায় শ্রমিক হিসেবে। পরে শুনেছি সেখানে শ্রমিক হিসেবে একটি ব্যবসা পরিচালনা করছে। সে কম্বোডিয়ান এক তরুণীকে বিয়ে করেছে। তাদের সন্তানও আছে। প্রায় ১৭ বছর রকেট হেলিকপ্টারে করে প্রবাসী বউ নিয়ে দেশে আসল। এতে গ্রামবাসীদের মধ্যে আনন্দ–উল্লাস দেখা গেছে।’

রকটের মা রাফিয়া বেগম বলনে, ‘আমার ছেলে রকেট ১৭ বছর প্রবাসজীবন পার করেছে। তাই আমাদের ইচ্ছা ছিল, সে বউ–সন্তান নিয়ে হেলিকপ্টারে নিজবাড়িত আসুক। আমাদের ইচ্ছা আমার ছেলে পূরণ করেছে। রকেট হেলিকপ্টারে আসবে—এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক হাজারও জনতা আমার বাড়ি ও বিদ্যালয় মাঠে ভিড় করে।’

রকেট বলেন, ‘আমার বাবা–মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে ভালো লাগছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর নিজগ্রামে আসতে পেরেছি। আমার বাবা–মায়ের অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল, আমরা যেন হেলিকপ্টারযোগে নিজগ্রামে আসি। এখানে নিজগ্রামে পরিবার, আত্নীয়স্বজন ও গ্রামবাসীদের ভালোবাসা পেয়ে আমি খুবই খুশি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত