Ajker Patrika

খাদ্যে নিরাপত্তা বাড়াতে ৫ দেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানির চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১: ৪৫
খাদ্যে নিরাপত্তা বাড়াতে ৫ দেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানির চুক্তি

দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্বের পাঁচটি দেশ থেকে ১১ লাখের বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করছে সরকার। ইতিমধ্যে আমদানির জন্য চুক্তিও করেছে সরকার। আজ রোববার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা বাড়ানোতে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। 

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ‘দেশে বর্তমানে ১৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। দেশব্যাপী খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ও খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) চালু করায় এরই মধ্যে বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি চার থেকে পাঁচ টাকা কমেছে। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও আগামী নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই প্রকল্পে যে পরিমাণ খাদ্যশস্য বিতরণ করা হচ্ছে সে পরিমাণ আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হচ্ছে। রাশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ভারত থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করা হচ্ছে। প্রয়োজনে অন্যান্য দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ 

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়া থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন, মিয়ানমার থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন, ভিয়েতনাম থেকে দুই লাখ, ভারত ও থাইল্যান্ড থেকে এক লাখ মেট্রিক টন করে সর্বমোট ১১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য কিনছে সরকার। 

মন্ত্রী পরিষদ সচিব জানান, ইতিমধ্যে খাদ্যশস্য আমদানির জন্য পাঁচটি দেশের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শুধু এসব দেশের ওপর নির্ভর না করে বিকল্প হিসেবে আরও কয়েকটি উৎসকে খাদ্যশস্য আমদানির বিষয়ে প্রস্তুত রাখতে। যাতে শেষ মুহূর্তে কোনো জটিলতা না হয়।  

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করলে কোনো রকমের অসুবিধা হবে না। মিয়ানমার থেকে আসছে আতপ চাল। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ভারত থেকেও চাল কেনার চুক্তি হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় খাদ্যশস্যের বিষয়ে ব্রিফিং করবে। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে তারা আজকে আমাদের জানিয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের মতো খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে।’ 

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ওএমএস এবং খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কারণে সম্প্রতি চালের দাম ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে। ফলে একটা বড় সংকট মার্কেট থেকে সরে গেছে। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি আগামী তিন মাস এবং সামনে মার্চ এপ্রিল পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হবে। সে পরিমাণ খাদ্যশস্য আমদানির চুক্তিও করা হয়েছে। আগামী নভেম্বর থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট হতে পারে। সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশ এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে।’ 

মন্ত্রী পরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘খাদ্যশস্য আমদানির কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। খাদ্যশস্য পাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। আমদানির পাশাপাশি আমন ধানও চলে আসবে। দেশে আমনে বড় একটা অংশ আসবে। সব মিলিয়ে খাদ্য সিনারিওটা আল্লাহর রহমতে কমফোর্টেবল হবে। তারপরও আরও দুই-একটা জায়গা থেকে খাদ্য ব্যবস্থা করে রাখতে বলা হয়েছে। কোনো রকমের ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। যে পরিমাণ খাদ্য আমাদের গোডাউন থেকে যাবে, সে পরিমাণ খাদ্য এবং সেফটির জন্য আরও এক্সেস কেনার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। এখন যে চুক্তি বা এমইউ হয়ে গেছে তার জন্য আর সর্টেজ হবে না (খাদ্য সংকট হবে না) আল্লাহর রহমতে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত