হাসিনার বিচারের শুনানি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ অ্যাটর্নি জেনারেল ও চিফ প্রসিকিউটরের সূচনা বক্তব্যের পর শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ।
মামলায় প্রথম সাক্ষ্য দেন ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়া খোকন চন্দ্র বর্মণ। গুলিতে তাঁর মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে গেছে।
গতকাল এই মামলায় আটক থাকা আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে সকাল সাড়ে ৯টার পর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তিনি এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন। তাঁকে বেলা ১১টার দিকে তোলা হয় কাঠগড়ায়। একটু পরই তিন বিচারপতি এজলাসে আসেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের বক্তব্যের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা বক্তব্য দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। একপর্যায়ে আন্দোলনের কয়েকজন শহীদ এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তৈরি করা প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শেষ হয় বেলা আড়াইটায়।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে বলেন, জুলাই-আগস্টে ৩৬ দিনের আন্দোলনে ৩০ হাজার মানুষকে পঙ্গু করা করা হয়েছে, প্রায় ২ হাজারের মতো মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা হয়নি। পৃথিবীর ইতিহাসে শেখ হাসিনার মতো এ রকম স্বৈরাচারের জন্ম হয়নি। যদি স্বৈরাচারদের কোনো সমিতি করা হতো, তাহলে সে (শেখ হাসিনা) সভাপতি হতে পারে।
অ্যাটর্নি জেনারেল আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে ইতিহাসের যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটেছে, তার বিচার চাইতে এসে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অবশ্যই আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। সেটি চাই আইনি পরিকাঠামোর মধ্যে। আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করলে আপনারা ন্যায়বিচার করবেন। গত ১৭ বছরে গুম, খুন, রাজনৈতিক নির্যাতনের সংস্কৃতি চালু হয়েছিল। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, আগামীর প্রজন্মের বসবাসের জন্য এমন একটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা দরকার, যাতে খুনের রাজনীতি বন্ধ হবে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, গত ২৪ বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে যে রাজনীতি করা হয়েছে, সেখানে একটা ধারণা দেওয়া হয়েছে যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে খুন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গুম করা, দিনের ভোট রাতে করা, চাঁদাবাজি করা, লুটেরাদের প্রতিষ্ঠা করা, বিদেশে দেশের টাকা পাচার করে বেগমপাড়ায় বাড়ি বানানো।
যা বললেন সাক্ষী
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে আহত ২৩ বছর বয়স্ক খোকন চন্দ্র বর্মণ প্রথম সাক্ষ্য দেন ট্রাইব্যুনালে। তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষকে মারার জন্য শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান দায়ী। আমি তাঁদের বিচার চাই। বিচার হলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।’
খোকন চন্দ্র তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১৮ ও ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভে যোগ দিই। ১৯ জুলাই ভুঁইঘর থেকে চাষাঢ়া যাওয়ার সময় বিজিবি-পুলিশ গুলি করে। আমার সামনে একজনের বুকে গুলি লেগে পেছন দিক দিয়ে বের হয়ে যায়। সে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশকে চলে যেতে বলে। ওই সময় পুলিশ থানার দিকে চলে যায়। আন্দোলনকারীরা দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় খবর আসে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। কিছুক্ষণ পর সেনাবাহিনী চলে গেলে পুলিশ বের হয়ে পাখি মারার মতো গুলি করে। যে যেভাবে পারে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমিসহ কয়েকজন ফ্লাইওভারের পিলারের পেছনে পালাই। সে সময় পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। আমার চোখ, নাক ও মুখে গুলি লাগে। এতে আমার মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যায়।’ কথা বলার এ পর্যায়ে সাক্ষী খোকন চন্দ্র বর্মন মাস্ক খুলে তাঁর বিকৃত হয়ে যাওয়া মুখ দেখান।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন খোকন চন্দ্র বর্মণকে জেরা করেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ অ্যাটর্নি জেনারেল ও চিফ প্রসিকিউটরের সূচনা বক্তব্যের পর শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ।
মামলায় প্রথম সাক্ষ্য দেন ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়া খোকন চন্দ্র বর্মণ। গুলিতে তাঁর মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে গেছে।
গতকাল এই মামলায় আটক থাকা আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে সকাল সাড়ে ৯টার পর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তিনি এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন। তাঁকে বেলা ১১টার দিকে তোলা হয় কাঠগড়ায়। একটু পরই তিন বিচারপতি এজলাসে আসেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের বক্তব্যের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা বক্তব্য দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। একপর্যায়ে আন্দোলনের কয়েকজন শহীদ এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তৈরি করা প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শেষ হয় বেলা আড়াইটায়।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে বলেন, জুলাই-আগস্টে ৩৬ দিনের আন্দোলনে ৩০ হাজার মানুষকে পঙ্গু করা করা হয়েছে, প্রায় ২ হাজারের মতো মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা হয়নি। পৃথিবীর ইতিহাসে শেখ হাসিনার মতো এ রকম স্বৈরাচারের জন্ম হয়নি। যদি স্বৈরাচারদের কোনো সমিতি করা হতো, তাহলে সে (শেখ হাসিনা) সভাপতি হতে পারে।
অ্যাটর্নি জেনারেল আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে ইতিহাসের যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটেছে, তার বিচার চাইতে এসে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অবশ্যই আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। সেটি চাই আইনি পরিকাঠামোর মধ্যে। আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করলে আপনারা ন্যায়বিচার করবেন। গত ১৭ বছরে গুম, খুন, রাজনৈতিক নির্যাতনের সংস্কৃতি চালু হয়েছিল। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, আগামীর প্রজন্মের বসবাসের জন্য এমন একটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা দরকার, যাতে খুনের রাজনীতি বন্ধ হবে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, গত ২৪ বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে যে রাজনীতি করা হয়েছে, সেখানে একটা ধারণা দেওয়া হয়েছে যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে খুন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গুম করা, দিনের ভোট রাতে করা, চাঁদাবাজি করা, লুটেরাদের প্রতিষ্ঠা করা, বিদেশে দেশের টাকা পাচার করে বেগমপাড়ায় বাড়ি বানানো।
যা বললেন সাক্ষী
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে আহত ২৩ বছর বয়স্ক খোকন চন্দ্র বর্মণ প্রথম সাক্ষ্য দেন ট্রাইব্যুনালে। তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষকে মারার জন্য শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান দায়ী। আমি তাঁদের বিচার চাই। বিচার হলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।’
খোকন চন্দ্র তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১৮ ও ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভে যোগ দিই। ১৯ জুলাই ভুঁইঘর থেকে চাষাঢ়া যাওয়ার সময় বিজিবি-পুলিশ গুলি করে। আমার সামনে একজনের বুকে গুলি লেগে পেছন দিক দিয়ে বের হয়ে যায়। সে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশকে চলে যেতে বলে। ওই সময় পুলিশ থানার দিকে চলে যায়। আন্দোলনকারীরা দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় খবর আসে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। কিছুক্ষণ পর সেনাবাহিনী চলে গেলে পুলিশ বের হয়ে পাখি মারার মতো গুলি করে। যে যেভাবে পারে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমিসহ কয়েকজন ফ্লাইওভারের পিলারের পেছনে পালাই। সে সময় পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। আমার চোখ, নাক ও মুখে গুলি লাগে। এতে আমার মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যায়।’ কথা বলার এ পর্যায়ে সাক্ষী খোকন চন্দ্র বর্মন মাস্ক খুলে তাঁর বিকৃত হয়ে যাওয়া মুখ দেখান।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন খোকন চন্দ্র বর্মণকে জেরা করেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ৯০ শতাংশ ইঞ্জিনেরই (লোকোমোটিভ) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ৩০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো এসব ইঞ্জিন যাত্রাপথে বিকল হয়ে দুর্ভোগে ফেলছে যাত্রীদের। শুধু পণ্যবাহী, লোকাল বা মেইল নয়; কোনো কোনো আন্তনগর ট্রেনও চলছে কার্যকাল পেরিয়ে যাওয়া ইঞ্জিনে। ফলে এসব ট্রেনও চলার পথে থমকে যাওয়ায় একই রকম ভোগান্তিতে পড়ত
২ ঘণ্টা আগেবিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলে আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে (নির্জন প্রকোষ্ঠ) পাঠানো হয়। মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা ‘দুবার সাজা দেওয়ার শামিল’ উল্লেখ করে এই বিধান বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিন পরই এই রায় স্থগিত করেন আপিল
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স-সেবা নিয়ে আবারও অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ঝুলে আছে। ২০২০ সালের ২৯ জুলাই থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স
২ ঘণ্টা আগেচিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, একটি সভ্য সমাজের মূল পরিচয় হলো, সমাজে ন্যায়বিচার থাকবে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের ব্যবস্থা থাকবে। আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে আসামিদের অধিকার সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করা হবে এবং এই প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা
৪ ঘণ্টা আগে