সুমন্ত গুপ্ত

কাঁটাতারের বেড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে দুই রাষ্ট্রের সীমানা। কিন্তু ভাষাকে ভাগ করতে পারেনি। তাই রবীন্দ্র-নজরুল—দুজনই আমাদের।
কলকাতা থেকে আসানসোলগামী বাসে চড়ে বসলাম আমরা। ঘণ্টাপাঁচেকের পথ। নাগরিক জীবনের ছবি দেখতে দেখতে এগিয়ে চলেছি। কলকাতা থেকে প্রায় ২১৫ কিলোমিটার দূরে অজয় নদের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত গ্রাম চুরুলিয়া। গাড়ির হাঁকডাক-চিৎকার-চেঁচামেচিতে বুঝলাম, আমরা লোকাল বাসে উঠেছি। ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লাগবে আসানসোল যেতে। মনে মনে একটু হতাশ হলাম। এরপরেও নতুন এক গন্তব্যপথে যাচ্ছি—এই আনন্দে হতাশাটুকু দমিয়ে রাখার চেষ্টা।
বাস জিটি রোড হাইওয়ে ধরে ছুটে চলেছে। বিহার বর্ডার পানাঘর, দুর্গাপুর, মুন্সিপাড়া, দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী মোড় ভিডিঙ্গী পেরিয়ে ছুটে চলেছি আমরা। বেলা সাড়ে ১১টায় আসানসোলে পৌঁছালাম। বাস থেকে নেমে চুরুলিয়া যাওয়ার বাহন খুঁজতে লাগলাম আমরা। সঙ্গী বললেন, আসানসোল থেকে চুরুলিয়া ১৯ কিলোমিটার দূরে। আমরা আবারও বাসে চেপে বসলাম। লোকাল বাস, ভাড়া ১০ টাকা।
হেলেদুলে বাস চলছে গন্তব্যের দিকে। পথে ছুটি হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের দুষ্টুমি দেখা গেল। রাস্তার বাঁয়ে চোখে পড়ল কাজী নজরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড। বাস চুরুলিয়া গ্রামের মোড়ে আমাদের নামিয়ে দিল। হেঁটে হেঁটে ঢুকে পড়লাম চুরুলিয়া গ্রামে। গ্রামের শুরুতেই কবির ম্যুরাল দেখতে পেলাম। অজয় নদের ঘাটের একটু আগে চুরুলিয়ার ছোট্ট একটি বাজার। চৌরাস্তার ডান দিকের সরু ও ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকলাম। দুই পাশেই মাটির ঘর। বেশির ভাগেই শণ বা বিচালির চালা। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা রাস্তায় খেলছে মনের আনন্দে। যানবাহনের কোনো ব্যস্ততা নেই। আমরা পৌঁছে গেলাম ‘কবিতীর্থে’।
সেই যে ছোটবেলায় যেমন পড়েছিলাম কবি নজরুলের সংক্ষিপ্ত জীবনী— আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামের এক দুস্থ পরিবারে নজরুলের জন্ম। ঠিক তেমনি ইতিহাস যেন তার কালের সাক্ষী এখনো বহন করে চলেছে। সেই উনিশ শতকের একেবারে শেষের মতো করেই। ভাঙাচোরা প্রতিটি বাড়ির দেয়াল, খসে পড়া পলেস্তারা, অর্ধনগ্ন লোহার গেট, ভেজা দেয়ালের গায়ে গায়ে গজিয়ে ওঠা আগাছা, ভাঙা কার্নিশে ঝুলে থাকা নোংরা কাপড়, পুষ্টির অভাবে বেরিয়ে থাকা পুরোনো বাড়ির কঙ্কাল, যে বাড়িগুলোতে জন্মের পরে আর কোনো কিছুর প্রলেপ পড়েনি, কোনো সংস্কার করা হয়নি। এ যেন সেই উনিশ শতক!
কবিতীর্থ বা নজরুলের বাড়ি এখন নজরুল একাডেমি ও সংগ্রহশালা। তাঁর জীবনের বাঁক নেওয়া বিভিন্ন ঘটনার ইতিহাসসংবলিত বই, ম্যাগাজিন ও পেপার কাটিং রাখা হয়েছে একটি জাদুঘরে। আমরা পদব্রজে চলছি এগিয়ে। ছোট্ট বাড়িটির নিচতলায় নজরুল একাডেমি ও সংগ্রহশালা। এখানে নজরুল ও তাঁর সন্তানদের ব্যবহৃত পোশাক, বাদ্যযন্ত্র, পুরোনো ম্যাগাজিন, পেপার কাটিং, কবির ব্যবহৃত আসবাব, প্রমীলা দেবীর ব্যবহৃত খাট ও বিভিন্ন ছবি আমরা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। নজরুল একাডেমিতে গবেষণার জন্য কবির বিভিন্ন বই, সম্পাদিত ম্যাগাজিন রয়েছে দেখতে পেলাম। সাদাকালো নানান আলোকচিত্র, পাণ্ডুলিপি ও চিঠিপত্র সযত্নে রাখা। আরও আছে বিভিন্ন সময়ে পাওয়া নজরুলের বিভিন্ন পুরস্কার, পদকের সম্ভার। তাতে দেখা গেল জগত্তারিণী পদক ও মানপত্র, পদ্মভূষণ পদক ও মানপত্র।

সংগ্রহশালায় দেখলাম, ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট কবির মৃত্যু এবং এর পরবর্তী শবযাত্রার আলোকচিত্র। নানা ধরনের বস্ত্র, বাদ্যযন্ত্র, ব্যবহারিক জিনিসপত্র, গ্রামোফোন, তানপুরা ইত্যাদি। ব্যবহৃত জিনিসগুলোর অধিকাংশ দিয়েছেন কবির কনিষ্ঠ পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী। সংগ্রহশালার কয়েকটি শোকেস দিয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ। এসব তথ্য বলছিলেন স্থানীয় একজন—যেন পুরো মুখস্থ!
নজরুল একাডেমি প্রতিদিন খোলা থাকে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা, বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। প্রবেশ ফি ৫ রুপি। প্রবেশ ফি অনুদান হিসেবে বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ।

এ বাড়ির কাছেই নজরুলের শৈশবের মসজিদ, পুকুর ও পাঠশালা। এ ছাড়া আছে সমাধিস্থল। সেখানে রয়েছে কবির পাথরের পূর্ণাবয়ব মূর্তি। কবি ও কবিপত্নী প্রমীলা দেবীর সমাধি রয়েছে পাশাপাশি। কবির কবরের মাটি নেওয়া হয়েছে ঢাকা থেকে। সমাধি উদ্যানের পাথরের স্মৃতিফলকটি স্থাপিত হয় ১৯৯৮ সালে। স্মৃতিসৌধের ফলকে রয়েছে অগ্নিবীণার ছবি। এ ছাড়া কাজী পরিবারের অন্যদের কবর ও স্মৃতিফলক রয়েছে সেখানে। কবি যে মক্তবে পড়তেন, সেটি এখন নজরুল বিদ্যাপীঠ। সেটিসহ তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি স্থাপনা রয়েছে নজরুল একাডেমির দুই কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে। আরও আছে নজরুল কলেজ।

কোথায় থাকবেন: এখানে থাকা-খাওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। অনলাইনে বুকিং দিয়ে চুরুলিয়া ‘নজরুল যুব ভবনে’ থাকা যেতে পারে। তবে আসানসোলে থাকার ভালো ব্যবস্থা আছে।
কীভাবে যাবেন: কলকাতা বা হাওড়া থেকে উত্তর প্রদেশ-দিল্লিগামী যেকোনো ট্রেনে আসানসোল যাওয়া যাবে। এ ছাড়া লোকাল ট্রেন কিংবা গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়িগামী ট্রেনে বর্ধমানে নেমে লোকাল ট্রেনে আসানসোলে যাওয়া যাবে। শান্তিনিকেতন থেকে বাসে রানীগঞ্জ হয়ে আসানসোলে যাওয়া যাবে। তার আগে আপনাকে যেতে হবে কলকাতায়।

কাঁটাতারের বেড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে দুই রাষ্ট্রের সীমানা। কিন্তু ভাষাকে ভাগ করতে পারেনি। তাই রবীন্দ্র-নজরুল—দুজনই আমাদের।
কলকাতা থেকে আসানসোলগামী বাসে চড়ে বসলাম আমরা। ঘণ্টাপাঁচেকের পথ। নাগরিক জীবনের ছবি দেখতে দেখতে এগিয়ে চলেছি। কলকাতা থেকে প্রায় ২১৫ কিলোমিটার দূরে অজয় নদের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত গ্রাম চুরুলিয়া। গাড়ির হাঁকডাক-চিৎকার-চেঁচামেচিতে বুঝলাম, আমরা লোকাল বাসে উঠেছি। ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লাগবে আসানসোল যেতে। মনে মনে একটু হতাশ হলাম। এরপরেও নতুন এক গন্তব্যপথে যাচ্ছি—এই আনন্দে হতাশাটুকু দমিয়ে রাখার চেষ্টা।
বাস জিটি রোড হাইওয়ে ধরে ছুটে চলেছে। বিহার বর্ডার পানাঘর, দুর্গাপুর, মুন্সিপাড়া, দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী মোড় ভিডিঙ্গী পেরিয়ে ছুটে চলেছি আমরা। বেলা সাড়ে ১১টায় আসানসোলে পৌঁছালাম। বাস থেকে নেমে চুরুলিয়া যাওয়ার বাহন খুঁজতে লাগলাম আমরা। সঙ্গী বললেন, আসানসোল থেকে চুরুলিয়া ১৯ কিলোমিটার দূরে। আমরা আবারও বাসে চেপে বসলাম। লোকাল বাস, ভাড়া ১০ টাকা।
হেলেদুলে বাস চলছে গন্তব্যের দিকে। পথে ছুটি হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের দুষ্টুমি দেখা গেল। রাস্তার বাঁয়ে চোখে পড়ল কাজী নজরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড। বাস চুরুলিয়া গ্রামের মোড়ে আমাদের নামিয়ে দিল। হেঁটে হেঁটে ঢুকে পড়লাম চুরুলিয়া গ্রামে। গ্রামের শুরুতেই কবির ম্যুরাল দেখতে পেলাম। অজয় নদের ঘাটের একটু আগে চুরুলিয়ার ছোট্ট একটি বাজার। চৌরাস্তার ডান দিকের সরু ও ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকলাম। দুই পাশেই মাটির ঘর। বেশির ভাগেই শণ বা বিচালির চালা। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা রাস্তায় খেলছে মনের আনন্দে। যানবাহনের কোনো ব্যস্ততা নেই। আমরা পৌঁছে গেলাম ‘কবিতীর্থে’।
সেই যে ছোটবেলায় যেমন পড়েছিলাম কবি নজরুলের সংক্ষিপ্ত জীবনী— আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামের এক দুস্থ পরিবারে নজরুলের জন্ম। ঠিক তেমনি ইতিহাস যেন তার কালের সাক্ষী এখনো বহন করে চলেছে। সেই উনিশ শতকের একেবারে শেষের মতো করেই। ভাঙাচোরা প্রতিটি বাড়ির দেয়াল, খসে পড়া পলেস্তারা, অর্ধনগ্ন লোহার গেট, ভেজা দেয়ালের গায়ে গায়ে গজিয়ে ওঠা আগাছা, ভাঙা কার্নিশে ঝুলে থাকা নোংরা কাপড়, পুষ্টির অভাবে বেরিয়ে থাকা পুরোনো বাড়ির কঙ্কাল, যে বাড়িগুলোতে জন্মের পরে আর কোনো কিছুর প্রলেপ পড়েনি, কোনো সংস্কার করা হয়নি। এ যেন সেই উনিশ শতক!
কবিতীর্থ বা নজরুলের বাড়ি এখন নজরুল একাডেমি ও সংগ্রহশালা। তাঁর জীবনের বাঁক নেওয়া বিভিন্ন ঘটনার ইতিহাসসংবলিত বই, ম্যাগাজিন ও পেপার কাটিং রাখা হয়েছে একটি জাদুঘরে। আমরা পদব্রজে চলছি এগিয়ে। ছোট্ট বাড়িটির নিচতলায় নজরুল একাডেমি ও সংগ্রহশালা। এখানে নজরুল ও তাঁর সন্তানদের ব্যবহৃত পোশাক, বাদ্যযন্ত্র, পুরোনো ম্যাগাজিন, পেপার কাটিং, কবির ব্যবহৃত আসবাব, প্রমীলা দেবীর ব্যবহৃত খাট ও বিভিন্ন ছবি আমরা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। নজরুল একাডেমিতে গবেষণার জন্য কবির বিভিন্ন বই, সম্পাদিত ম্যাগাজিন রয়েছে দেখতে পেলাম। সাদাকালো নানান আলোকচিত্র, পাণ্ডুলিপি ও চিঠিপত্র সযত্নে রাখা। আরও আছে বিভিন্ন সময়ে পাওয়া নজরুলের বিভিন্ন পুরস্কার, পদকের সম্ভার। তাতে দেখা গেল জগত্তারিণী পদক ও মানপত্র, পদ্মভূষণ পদক ও মানপত্র।

সংগ্রহশালায় দেখলাম, ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট কবির মৃত্যু এবং এর পরবর্তী শবযাত্রার আলোকচিত্র। নানা ধরনের বস্ত্র, বাদ্যযন্ত্র, ব্যবহারিক জিনিসপত্র, গ্রামোফোন, তানপুরা ইত্যাদি। ব্যবহৃত জিনিসগুলোর অধিকাংশ দিয়েছেন কবির কনিষ্ঠ পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী। সংগ্রহশালার কয়েকটি শোকেস দিয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ। এসব তথ্য বলছিলেন স্থানীয় একজন—যেন পুরো মুখস্থ!
নজরুল একাডেমি প্রতিদিন খোলা থাকে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা, বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। প্রবেশ ফি ৫ রুপি। প্রবেশ ফি অনুদান হিসেবে বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ।

এ বাড়ির কাছেই নজরুলের শৈশবের মসজিদ, পুকুর ও পাঠশালা। এ ছাড়া আছে সমাধিস্থল। সেখানে রয়েছে কবির পাথরের পূর্ণাবয়ব মূর্তি। কবি ও কবিপত্নী প্রমীলা দেবীর সমাধি রয়েছে পাশাপাশি। কবির কবরের মাটি নেওয়া হয়েছে ঢাকা থেকে। সমাধি উদ্যানের পাথরের স্মৃতিফলকটি স্থাপিত হয় ১৯৯৮ সালে। স্মৃতিসৌধের ফলকে রয়েছে অগ্নিবীণার ছবি। এ ছাড়া কাজী পরিবারের অন্যদের কবর ও স্মৃতিফলক রয়েছে সেখানে। কবি যে মক্তবে পড়তেন, সেটি এখন নজরুল বিদ্যাপীঠ। সেটিসহ তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি স্থাপনা রয়েছে নজরুল একাডেমির দুই কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে। আরও আছে নজরুল কলেজ।

কোথায় থাকবেন: এখানে থাকা-খাওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। অনলাইনে বুকিং দিয়ে চুরুলিয়া ‘নজরুল যুব ভবনে’ থাকা যেতে পারে। তবে আসানসোলে থাকার ভালো ব্যবস্থা আছে।
কীভাবে যাবেন: কলকাতা বা হাওড়া থেকে উত্তর প্রদেশ-দিল্লিগামী যেকোনো ট্রেনে আসানসোল যাওয়া যাবে। এ ছাড়া লোকাল ট্রেন কিংবা গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়িগামী ট্রেনে বর্ধমানে নেমে লোকাল ট্রেনে আসানসোলে যাওয়া যাবে। শান্তিনিকেতন থেকে বাসে রানীগঞ্জ হয়ে আসানসোলে যাওয়া যাবে। তার আগে আপনাকে যেতে হবে কলকাতায়।
সুমন্ত গুপ্ত

কাঁটাতারের বেড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে দুই রাষ্ট্রের সীমানা। কিন্তু ভাষাকে ভাগ করতে পারেনি। তাই রবীন্দ্র-নজরুল—দুজনই আমাদের।
কলকাতা থেকে আসানসোলগামী বাসে চড়ে বসলাম আমরা। ঘণ্টাপাঁচেকের পথ। নাগরিক জীবনের ছবি দেখতে দেখতে এগিয়ে চলেছি। কলকাতা থেকে প্রায় ২১৫ কিলোমিটার দূরে অজয় নদের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত গ্রাম চুরুলিয়া। গাড়ির হাঁকডাক-চিৎকার-চেঁচামেচিতে বুঝলাম, আমরা লোকাল বাসে উঠেছি। ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লাগবে আসানসোল যেতে। মনে মনে একটু হতাশ হলাম। এরপরেও নতুন এক গন্তব্যপথে যাচ্ছি—এই আনন্দে হতাশাটুকু দমিয়ে রাখার চেষ্টা।
বাস জিটি রোড হাইওয়ে ধরে ছুটে চলেছে। বিহার বর্ডার পানাঘর, দুর্গাপুর, মুন্সিপাড়া, দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী মোড় ভিডিঙ্গী পেরিয়ে ছুটে চলেছি আমরা। বেলা সাড়ে ১১টায় আসানসোলে পৌঁছালাম। বাস থেকে নেমে চুরুলিয়া যাওয়ার বাহন খুঁজতে লাগলাম আমরা। সঙ্গী বললেন, আসানসোল থেকে চুরুলিয়া ১৯ কিলোমিটার দূরে। আমরা আবারও বাসে চেপে বসলাম। লোকাল বাস, ভাড়া ১০ টাকা।
হেলেদুলে বাস চলছে গন্তব্যের দিকে। পথে ছুটি হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের দুষ্টুমি দেখা গেল। রাস্তার বাঁয়ে চোখে পড়ল কাজী নজরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড। বাস চুরুলিয়া গ্রামের মোড়ে আমাদের নামিয়ে দিল। হেঁটে হেঁটে ঢুকে পড়লাম চুরুলিয়া গ্রামে। গ্রামের শুরুতেই কবির ম্যুরাল দেখতে পেলাম। অজয় নদের ঘাটের একটু আগে চুরুলিয়ার ছোট্ট একটি বাজার। চৌরাস্তার ডান দিকের সরু ও ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকলাম। দুই পাশেই মাটির ঘর। বেশির ভাগেই শণ বা বিচালির চালা। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা রাস্তায় খেলছে মনের আনন্দে। যানবাহনের কোনো ব্যস্ততা নেই। আমরা পৌঁছে গেলাম ‘কবিতীর্থে’।
সেই যে ছোটবেলায় যেমন পড়েছিলাম কবি নজরুলের সংক্ষিপ্ত জীবনী— আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামের এক দুস্থ পরিবারে নজরুলের জন্ম। ঠিক তেমনি ইতিহাস যেন তার কালের সাক্ষী এখনো বহন করে চলেছে। সেই উনিশ শতকের একেবারে শেষের মতো করেই। ভাঙাচোরা প্রতিটি বাড়ির দেয়াল, খসে পড়া পলেস্তারা, অর্ধনগ্ন লোহার গেট, ভেজা দেয়ালের গায়ে গায়ে গজিয়ে ওঠা আগাছা, ভাঙা কার্নিশে ঝুলে থাকা নোংরা কাপড়, পুষ্টির অভাবে বেরিয়ে থাকা পুরোনো বাড়ির কঙ্কাল, যে বাড়িগুলোতে জন্মের পরে আর কোনো কিছুর প্রলেপ পড়েনি, কোনো সংস্কার করা হয়নি। এ যেন সেই উনিশ শতক!
কবিতীর্থ বা নজরুলের বাড়ি এখন নজরুল একাডেমি ও সংগ্রহশালা। তাঁর জীবনের বাঁক নেওয়া বিভিন্ন ঘটনার ইতিহাসসংবলিত বই, ম্যাগাজিন ও পেপার কাটিং রাখা হয়েছে একটি জাদুঘরে। আমরা পদব্রজে চলছি এগিয়ে। ছোট্ট বাড়িটির নিচতলায় নজরুল একাডেমি ও সংগ্রহশালা। এখানে নজরুল ও তাঁর সন্তানদের ব্যবহৃত পোশাক, বাদ্যযন্ত্র, পুরোনো ম্যাগাজিন, পেপার কাটিং, কবির ব্যবহৃত আসবাব, প্রমীলা দেবীর ব্যবহৃত খাট ও বিভিন্ন ছবি আমরা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। নজরুল একাডেমিতে গবেষণার জন্য কবির বিভিন্ন বই, সম্পাদিত ম্যাগাজিন রয়েছে দেখতে পেলাম। সাদাকালো নানান আলোকচিত্র, পাণ্ডুলিপি ও চিঠিপত্র সযত্নে রাখা। আরও আছে বিভিন্ন সময়ে পাওয়া নজরুলের বিভিন্ন পুরস্কার, পদকের সম্ভার। তাতে দেখা গেল জগত্তারিণী পদক ও মানপত্র, পদ্মভূষণ পদক ও মানপত্র।

সংগ্রহশালায় দেখলাম, ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট কবির মৃত্যু এবং এর পরবর্তী শবযাত্রার আলোকচিত্র। নানা ধরনের বস্ত্র, বাদ্যযন্ত্র, ব্যবহারিক জিনিসপত্র, গ্রামোফোন, তানপুরা ইত্যাদি। ব্যবহৃত জিনিসগুলোর অধিকাংশ দিয়েছেন কবির কনিষ্ঠ পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী। সংগ্রহশালার কয়েকটি শোকেস দিয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ। এসব তথ্য বলছিলেন স্থানীয় একজন—যেন পুরো মুখস্থ!
নজরুল একাডেমি প্রতিদিন খোলা থাকে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা, বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। প্রবেশ ফি ৫ রুপি। প্রবেশ ফি অনুদান হিসেবে বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ।

এ বাড়ির কাছেই নজরুলের শৈশবের মসজিদ, পুকুর ও পাঠশালা। এ ছাড়া আছে সমাধিস্থল। সেখানে রয়েছে কবির পাথরের পূর্ণাবয়ব মূর্তি। কবি ও কবিপত্নী প্রমীলা দেবীর সমাধি রয়েছে পাশাপাশি। কবির কবরের মাটি নেওয়া হয়েছে ঢাকা থেকে। সমাধি উদ্যানের পাথরের স্মৃতিফলকটি স্থাপিত হয় ১৯৯৮ সালে। স্মৃতিসৌধের ফলকে রয়েছে অগ্নিবীণার ছবি। এ ছাড়া কাজী পরিবারের অন্যদের কবর ও স্মৃতিফলক রয়েছে সেখানে। কবি যে মক্তবে পড়তেন, সেটি এখন নজরুল বিদ্যাপীঠ। সেটিসহ তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি স্থাপনা রয়েছে নজরুল একাডেমির দুই কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে। আরও আছে নজরুল কলেজ।

কোথায় থাকবেন: এখানে থাকা-খাওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। অনলাইনে বুকিং দিয়ে চুরুলিয়া ‘নজরুল যুব ভবনে’ থাকা যেতে পারে। তবে আসানসোলে থাকার ভালো ব্যবস্থা আছে।
কীভাবে যাবেন: কলকাতা বা হাওড়া থেকে উত্তর প্রদেশ-দিল্লিগামী যেকোনো ট্রেনে আসানসোল যাওয়া যাবে। এ ছাড়া লোকাল ট্রেন কিংবা গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়িগামী ট্রেনে বর্ধমানে নেমে লোকাল ট্রেনে আসানসোলে যাওয়া যাবে। শান্তিনিকেতন থেকে বাসে রানীগঞ্জ হয়ে আসানসোলে যাওয়া যাবে। তার আগে আপনাকে যেতে হবে কলকাতায়।

কাঁটাতারের বেড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে দুই রাষ্ট্রের সীমানা। কিন্তু ভাষাকে ভাগ করতে পারেনি। তাই রবীন্দ্র-নজরুল—দুজনই আমাদের।
কলকাতা থেকে আসানসোলগামী বাসে চড়ে বসলাম আমরা। ঘণ্টাপাঁচেকের পথ। নাগরিক জীবনের ছবি দেখতে দেখতে এগিয়ে চলেছি। কলকাতা থেকে প্রায় ২১৫ কিলোমিটার দূরে অজয় নদের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত গ্রাম চুরুলিয়া। গাড়ির হাঁকডাক-চিৎকার-চেঁচামেচিতে বুঝলাম, আমরা লোকাল বাসে উঠেছি। ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লাগবে আসানসোল যেতে। মনে মনে একটু হতাশ হলাম। এরপরেও নতুন এক গন্তব্যপথে যাচ্ছি—এই আনন্দে হতাশাটুকু দমিয়ে রাখার চেষ্টা।
বাস জিটি রোড হাইওয়ে ধরে ছুটে চলেছে। বিহার বর্ডার পানাঘর, দুর্গাপুর, মুন্সিপাড়া, দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী মোড় ভিডিঙ্গী পেরিয়ে ছুটে চলেছি আমরা। বেলা সাড়ে ১১টায় আসানসোলে পৌঁছালাম। বাস থেকে নেমে চুরুলিয়া যাওয়ার বাহন খুঁজতে লাগলাম আমরা। সঙ্গী বললেন, আসানসোল থেকে চুরুলিয়া ১৯ কিলোমিটার দূরে। আমরা আবারও বাসে চেপে বসলাম। লোকাল বাস, ভাড়া ১০ টাকা।
হেলেদুলে বাস চলছে গন্তব্যের দিকে। পথে ছুটি হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের দুষ্টুমি দেখা গেল। রাস্তার বাঁয়ে চোখে পড়ল কাজী নজরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড। বাস চুরুলিয়া গ্রামের মোড়ে আমাদের নামিয়ে দিল। হেঁটে হেঁটে ঢুকে পড়লাম চুরুলিয়া গ্রামে। গ্রামের শুরুতেই কবির ম্যুরাল দেখতে পেলাম। অজয় নদের ঘাটের একটু আগে চুরুলিয়ার ছোট্ট একটি বাজার। চৌরাস্তার ডান দিকের সরু ও ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকলাম। দুই পাশেই মাটির ঘর। বেশির ভাগেই শণ বা বিচালির চালা। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা রাস্তায় খেলছে মনের আনন্দে। যানবাহনের কোনো ব্যস্ততা নেই। আমরা পৌঁছে গেলাম ‘কবিতীর্থে’।
সেই যে ছোটবেলায় যেমন পড়েছিলাম কবি নজরুলের সংক্ষিপ্ত জীবনী— আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামের এক দুস্থ পরিবারে নজরুলের জন্ম। ঠিক তেমনি ইতিহাস যেন তার কালের সাক্ষী এখনো বহন করে চলেছে। সেই উনিশ শতকের একেবারে শেষের মতো করেই। ভাঙাচোরা প্রতিটি বাড়ির দেয়াল, খসে পড়া পলেস্তারা, অর্ধনগ্ন লোহার গেট, ভেজা দেয়ালের গায়ে গায়ে গজিয়ে ওঠা আগাছা, ভাঙা কার্নিশে ঝুলে থাকা নোংরা কাপড়, পুষ্টির অভাবে বেরিয়ে থাকা পুরোনো বাড়ির কঙ্কাল, যে বাড়িগুলোতে জন্মের পরে আর কোনো কিছুর প্রলেপ পড়েনি, কোনো সংস্কার করা হয়নি। এ যেন সেই উনিশ শতক!
কবিতীর্থ বা নজরুলের বাড়ি এখন নজরুল একাডেমি ও সংগ্রহশালা। তাঁর জীবনের বাঁক নেওয়া বিভিন্ন ঘটনার ইতিহাসসংবলিত বই, ম্যাগাজিন ও পেপার কাটিং রাখা হয়েছে একটি জাদুঘরে। আমরা পদব্রজে চলছি এগিয়ে। ছোট্ট বাড়িটির নিচতলায় নজরুল একাডেমি ও সংগ্রহশালা। এখানে নজরুল ও তাঁর সন্তানদের ব্যবহৃত পোশাক, বাদ্যযন্ত্র, পুরোনো ম্যাগাজিন, পেপার কাটিং, কবির ব্যবহৃত আসবাব, প্রমীলা দেবীর ব্যবহৃত খাট ও বিভিন্ন ছবি আমরা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। নজরুল একাডেমিতে গবেষণার জন্য কবির বিভিন্ন বই, সম্পাদিত ম্যাগাজিন রয়েছে দেখতে পেলাম। সাদাকালো নানান আলোকচিত্র, পাণ্ডুলিপি ও চিঠিপত্র সযত্নে রাখা। আরও আছে বিভিন্ন সময়ে পাওয়া নজরুলের বিভিন্ন পুরস্কার, পদকের সম্ভার। তাতে দেখা গেল জগত্তারিণী পদক ও মানপত্র, পদ্মভূষণ পদক ও মানপত্র।

সংগ্রহশালায় দেখলাম, ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট কবির মৃত্যু এবং এর পরবর্তী শবযাত্রার আলোকচিত্র। নানা ধরনের বস্ত্র, বাদ্যযন্ত্র, ব্যবহারিক জিনিসপত্র, গ্রামোফোন, তানপুরা ইত্যাদি। ব্যবহৃত জিনিসগুলোর অধিকাংশ দিয়েছেন কবির কনিষ্ঠ পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী। সংগ্রহশালার কয়েকটি শোকেস দিয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ। এসব তথ্য বলছিলেন স্থানীয় একজন—যেন পুরো মুখস্থ!
নজরুল একাডেমি প্রতিদিন খোলা থাকে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা, বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। প্রবেশ ফি ৫ রুপি। প্রবেশ ফি অনুদান হিসেবে বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ।

এ বাড়ির কাছেই নজরুলের শৈশবের মসজিদ, পুকুর ও পাঠশালা। এ ছাড়া আছে সমাধিস্থল। সেখানে রয়েছে কবির পাথরের পূর্ণাবয়ব মূর্তি। কবি ও কবিপত্নী প্রমীলা দেবীর সমাধি রয়েছে পাশাপাশি। কবির কবরের মাটি নেওয়া হয়েছে ঢাকা থেকে। সমাধি উদ্যানের পাথরের স্মৃতিফলকটি স্থাপিত হয় ১৯৯৮ সালে। স্মৃতিসৌধের ফলকে রয়েছে অগ্নিবীণার ছবি। এ ছাড়া কাজী পরিবারের অন্যদের কবর ও স্মৃতিফলক রয়েছে সেখানে। কবি যে মক্তবে পড়তেন, সেটি এখন নজরুল বিদ্যাপীঠ। সেটিসহ তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি স্থাপনা রয়েছে নজরুল একাডেমির দুই কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে। আরও আছে নজরুল কলেজ।

কোথায় থাকবেন: এখানে থাকা-খাওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। অনলাইনে বুকিং দিয়ে চুরুলিয়া ‘নজরুল যুব ভবনে’ থাকা যেতে পারে। তবে আসানসোলে থাকার ভালো ব্যবস্থা আছে।
কীভাবে যাবেন: কলকাতা বা হাওড়া থেকে উত্তর প্রদেশ-দিল্লিগামী যেকোনো ট্রেনে আসানসোল যাওয়া যাবে। এ ছাড়া লোকাল ট্রেন কিংবা গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়িগামী ট্রেনে বর্ধমানে নেমে লোকাল ট্রেনে আসানসোলে যাওয়া যাবে। শান্তিনিকেতন থেকে বাসে রানীগঞ্জ হয়ে আসানসোলে যাওয়া যাবে। তার আগে আপনাকে যেতে হবে কলকাতায়।

মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
৬ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৮ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৯ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কাঁটাতারের বেড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে দুই রাষ্ট্রের সীমানা। কিন্তু ভাষাকে ভাগ করতে পারেনি। তাই রবীন্দ্র-নজরুল—দুজনই আমাদের। কলকাতা থেকে আসানসোলগামী বাসে চড়ে বসলাম আমরা। ঘণ্টাপাঁচেকের পথ।
২২ মে ২০২৫
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৮ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৯ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১২ ঘণ্টা আগেডা. নূরজাহান বেগম

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
ত্বকের যত্ন
এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

চুলের যত্ন
দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।
আরাম পরিধেয়
এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
ত্বকের যত্ন
এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

চুলের যত্ন
দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।
আরাম পরিধেয়
এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

কাঁটাতারের বেড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে দুই রাষ্ট্রের সীমানা। কিন্তু ভাষাকে ভাগ করতে পারেনি। তাই রবীন্দ্র-নজরুল—দুজনই আমাদের। কলকাতা থেকে আসানসোলগামী বাসে চড়ে বসলাম আমরা। ঘণ্টাপাঁচেকের পথ।
২২ মে ২০২৫
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
৬ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৯ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

কাঁটাতারের বেড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে দুই রাষ্ট্রের সীমানা। কিন্তু ভাষাকে ভাগ করতে পারেনি। তাই রবীন্দ্র-নজরুল—দুজনই আমাদের। কলকাতা থেকে আসানসোলগামী বাসে চড়ে বসলাম আমরা। ঘণ্টাপাঁচেকের পথ।
২২ মে ২০২৫
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
৬ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৮ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

কাঁটাতারের বেড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে দুই রাষ্ট্রের সীমানা। কিন্তু ভাষাকে ভাগ করতে পারেনি। তাই রবীন্দ্র-নজরুল—দুজনই আমাদের। কলকাতা থেকে আসানসোলগামী বাসে চড়ে বসলাম আমরা। ঘণ্টাপাঁচেকের পথ।
২২ মে ২০২৫
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
৬ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৮ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৯ ঘণ্টা আগে