অবিশ্বাস্য হলেও এ জমানায় এসেও আপনাকে শুনতে হবে পৃথিবীর কয়েকটি দেশে বিমানবন্দর নেই। অর্থাৎ নিজেদের বিমানবন্দর ছাড়াও যে চালিয়ে নেওয়া যায় এটি প্রমাণ করেছে এ দেশগুলো। তবে দেশগুলোর প্রতিবেশী ভাগ্য ভালো, সেখানকার বিমানবন্দর ব্যাবহার করতে পারে তারা। বিমানবন্দর কেন নেই? এমন প্রশ্ন যদি করেন তবে বলতে হয় এই দেশগুলো আকারে একেবারে ছোট। তারপরও কোনো কোনোটিতে জায়গা থাকলেও পাহাড়ি ভূ-প্রকৃতির কারণে তাদের সীমানার মধ্যে বিমানবন্দর স্থাপন কঠিন। চলুন তবে বিমানবন্দর নেই এমন পাঁচ দেশের সঙ্গে পরিচিত হই।
১. ভ্যাটিকান সিটি
ভ্যাটিকান সিটি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ। জনসংখ্যা মোটে ৮০০। এখানে উড়োজাহাজ অবতরণের মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এখানে নেই কোনো নদী বা সাগর। এমনকি নেই কোনো অন্য ধরনের কোনো যাতায়াত ব্যবস্থা। ০.৪৪ বর্গ কিলোমিটারের দেশটি আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন পায়ে হেঁটেই। ভ্যাটিকান সিটির ভ্যাটিকান প্যালেসে পোপের বাসস্থান। তবে স্বাধীন এ দেশটি কিন্তু পড়েছে ইতালির রোমের ভেতরে, দেশের ভেতরে আরেক দেশ বলতে পারেন একে। তাই বলে ভ্যাটিকানের বাসিন্দাদের খুব দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় তা নয়! আশপাশেই আছে রোমের সিয়ামপিনো আর ফিওমিচিনো বিমানবন্দর। ভ্যাটিকান সিটি থেকে ট্রেনে আধা ঘণ্টায় পৌঁছে যেতে পারবেন সেখানে।
২. মোনাকো
ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত মোনাকো হলো ভ্যাটিকান সিটির পর পৃথিবীর দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। ২.১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ৩৮ হাজার ৪০০। দেশ ছোট্ট হলে কী হবে এর মোটামুটি গোটাটাই পাহাড়ি ভূ-ভাগ, পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো। এখন নিশ্চয় ভাবছেন বিমানবন্দর না থাকলে এই পর্যটকেরা সেখানে যান কীভাবে? আর দেশটির নাগরিকেরাই বা কী করেন? কোনো সমস্যা নেই। ফ্রান্সের নিস কোতে দে জিও বিমানবন্দরে নেমে একটি ক্যাব ভাড়া করে এমনকি নৌকা নিয়েও পৌঁছে যেতে পারবেন মোনাকোয়।
৩. সান মেরিনো
ইউরোপের এই দেশটির অবস্থানও ভ্যাটিকান সিটি থেকে খুব দূরে নয়। তবে তালিকার আগের দুটো দেশের তুলনায় এর আয়তনও বেশ বেশি, প্রায় ৬১ বর্গকিলোমিটার। গোটা দেশটিকেই ঘিরে আছে ইতালি। আর জলপথে সেখানে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। ছোট্ট দেশটিতে নেই কোনো বিমানবন্দর। তবে পাহাড়ে-সমতলে মিশানো দেশটির রাস্তা-ঘাটের অভাব নেই। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা এই রাস্তাগুলো দিয়েই দেশের ভেতরে ও বাইরে যাতায়াত চলে। বাইরে বলতে ইতালিতে। এখান থেকে ইতালির রিমিনি বিমানবন্দর বেশ কাছেই। ফ্লোরেন্স, বলোগনা, ভেনিস আর পিসা বিমানবন্দর ও দূরে নয় সান মেরিনোর সীমান্ত থেকে। দেশটিতে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা এবং এখানকার বাসিন্দারা প্রায়ই যাতায়াতে ওই বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার করেন।
৪. লিখটেনস্টাইন
১৫৮ বর্গকিলোমিটারের ছোট্ট এই দেশটির জনসংখ্যা ৪০ হাজারের মতো। দেশটির বেশিরভাগই পাহাড়ি এলাকা। এমনিতে ছোট্ট দেশ, তারপর পার্বত্য এলাকা, পুবে রাইন নদী, পশ্চিমে অস্ট্রিয়ার পর্বতমালা সব মিলিয়ে লিখটেনস্টাইনের ভাগ্যেও কোনো বিমানবন্দর জুটে নি। তবে দক্ষিণ লিখটেনস্টাইনের ব্লেইজারস গ্রামে একটি হেলিপোর্ট আছে। তবে কাছেই আছে ছোট্ট দুই বিমানবন্দর, সুইজারল্যান্ডের স্যান্ট গ্যালেন-অ্যাল্টেনরাইন এয়ারপোর্ট ও জার্মানির ফ্রেডরিচশ্যাফেন এয়ারপোর্ট। আর সহজে যাওয়া যায় এমন বড় বিমানবন্দর জুরিখ এয়ারপোর্টের দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। কার কিংবা বাসেই লিখটেনস্টাইন থেকে সেখানে পৌঁছে যাওয়া যায়।
৫. অ্যান্ডোরা
আন্ডোরা কিন্তু আয়তনে তালিকার বাকি চারটি দেশের তুলনায় বড়োই। ৪৬৮ বর্গকিলোমিটারের দেশটিতে অন্তত একটি বিমানবন্দর থাকতেই পারত। তবে সমস্যা হচ্ছে গোটা দেশটিই পর্বতময়। ফ্রান্স আর স্পেনের মাঝখানে অবস্থিত অ্যান্ডোরাকে ঘিরে আছে পিরেনিজ পর্বতমালা। এখানে প্রায় ৩ হাজার মিটার উচ্চতার চূড়াও আছে। সবকিছু মিলিয়ে তাই এই এলাকায় উড়োজাহাজ চালানো মোটেই সহজ নয়। তাই ইউরোপের এই দেশটিরও কোনো বিমানবন্দর নেই। তবে বার্সেলোনা, লেরিদা কিংবা জিরোনার মতো শহরগুলো অ্যান্ডোরার মোটামুটি ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে। সেখানে বাসে বা গাড়িতে চেপে গিয়ে উড়োজাহাজ ধরা যায়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ব্রিটানিকা ডট কম, উইকিপিডিয়া
ভ্রমণ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
অবিশ্বাস্য হলেও এ জমানায় এসেও আপনাকে শুনতে হবে পৃথিবীর কয়েকটি দেশে বিমানবন্দর নেই। অর্থাৎ নিজেদের বিমানবন্দর ছাড়াও যে চালিয়ে নেওয়া যায় এটি প্রমাণ করেছে এ দেশগুলো। তবে দেশগুলোর প্রতিবেশী ভাগ্য ভালো, সেখানকার বিমানবন্দর ব্যাবহার করতে পারে তারা। বিমানবন্দর কেন নেই? এমন প্রশ্ন যদি করেন তবে বলতে হয় এই দেশগুলো আকারে একেবারে ছোট। তারপরও কোনো কোনোটিতে জায়গা থাকলেও পাহাড়ি ভূ-প্রকৃতির কারণে তাদের সীমানার মধ্যে বিমানবন্দর স্থাপন কঠিন। চলুন তবে বিমানবন্দর নেই এমন পাঁচ দেশের সঙ্গে পরিচিত হই।
১. ভ্যাটিকান সিটি
ভ্যাটিকান সিটি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ। জনসংখ্যা মোটে ৮০০। এখানে উড়োজাহাজ অবতরণের মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এখানে নেই কোনো নদী বা সাগর। এমনকি নেই কোনো অন্য ধরনের কোনো যাতায়াত ব্যবস্থা। ০.৪৪ বর্গ কিলোমিটারের দেশটি আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন পায়ে হেঁটেই। ভ্যাটিকান সিটির ভ্যাটিকান প্যালেসে পোপের বাসস্থান। তবে স্বাধীন এ দেশটি কিন্তু পড়েছে ইতালির রোমের ভেতরে, দেশের ভেতরে আরেক দেশ বলতে পারেন একে। তাই বলে ভ্যাটিকানের বাসিন্দাদের খুব দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় তা নয়! আশপাশেই আছে রোমের সিয়ামপিনো আর ফিওমিচিনো বিমানবন্দর। ভ্যাটিকান সিটি থেকে ট্রেনে আধা ঘণ্টায় পৌঁছে যেতে পারবেন সেখানে।
২. মোনাকো
ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত মোনাকো হলো ভ্যাটিকান সিটির পর পৃথিবীর দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। ২.১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ৩৮ হাজার ৪০০। দেশ ছোট্ট হলে কী হবে এর মোটামুটি গোটাটাই পাহাড়ি ভূ-ভাগ, পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো। এখন নিশ্চয় ভাবছেন বিমানবন্দর না থাকলে এই পর্যটকেরা সেখানে যান কীভাবে? আর দেশটির নাগরিকেরাই বা কী করেন? কোনো সমস্যা নেই। ফ্রান্সের নিস কোতে দে জিও বিমানবন্দরে নেমে একটি ক্যাব ভাড়া করে এমনকি নৌকা নিয়েও পৌঁছে যেতে পারবেন মোনাকোয়।
৩. সান মেরিনো
ইউরোপের এই দেশটির অবস্থানও ভ্যাটিকান সিটি থেকে খুব দূরে নয়। তবে তালিকার আগের দুটো দেশের তুলনায় এর আয়তনও বেশ বেশি, প্রায় ৬১ বর্গকিলোমিটার। গোটা দেশটিকেই ঘিরে আছে ইতালি। আর জলপথে সেখানে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। ছোট্ট দেশটিতে নেই কোনো বিমানবন্দর। তবে পাহাড়ে-সমতলে মিশানো দেশটির রাস্তা-ঘাটের অভাব নেই। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা এই রাস্তাগুলো দিয়েই দেশের ভেতরে ও বাইরে যাতায়াত চলে। বাইরে বলতে ইতালিতে। এখান থেকে ইতালির রিমিনি বিমানবন্দর বেশ কাছেই। ফ্লোরেন্স, বলোগনা, ভেনিস আর পিসা বিমানবন্দর ও দূরে নয় সান মেরিনোর সীমান্ত থেকে। দেশটিতে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা এবং এখানকার বাসিন্দারা প্রায়ই যাতায়াতে ওই বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার করেন।
৪. লিখটেনস্টাইন
১৫৮ বর্গকিলোমিটারের ছোট্ট এই দেশটির জনসংখ্যা ৪০ হাজারের মতো। দেশটির বেশিরভাগই পাহাড়ি এলাকা। এমনিতে ছোট্ট দেশ, তারপর পার্বত্য এলাকা, পুবে রাইন নদী, পশ্চিমে অস্ট্রিয়ার পর্বতমালা সব মিলিয়ে লিখটেনস্টাইনের ভাগ্যেও কোনো বিমানবন্দর জুটে নি। তবে দক্ষিণ লিখটেনস্টাইনের ব্লেইজারস গ্রামে একটি হেলিপোর্ট আছে। তবে কাছেই আছে ছোট্ট দুই বিমানবন্দর, সুইজারল্যান্ডের স্যান্ট গ্যালেন-অ্যাল্টেনরাইন এয়ারপোর্ট ও জার্মানির ফ্রেডরিচশ্যাফেন এয়ারপোর্ট। আর সহজে যাওয়া যায় এমন বড় বিমানবন্দর জুরিখ এয়ারপোর্টের দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। কার কিংবা বাসেই লিখটেনস্টাইন থেকে সেখানে পৌঁছে যাওয়া যায়।
৫. অ্যান্ডোরা
আন্ডোরা কিন্তু আয়তনে তালিকার বাকি চারটি দেশের তুলনায় বড়োই। ৪৬৮ বর্গকিলোমিটারের দেশটিতে অন্তত একটি বিমানবন্দর থাকতেই পারত। তবে সমস্যা হচ্ছে গোটা দেশটিই পর্বতময়। ফ্রান্স আর স্পেনের মাঝখানে অবস্থিত অ্যান্ডোরাকে ঘিরে আছে পিরেনিজ পর্বতমালা। এখানে প্রায় ৩ হাজার মিটার উচ্চতার চূড়াও আছে। সবকিছু মিলিয়ে তাই এই এলাকায় উড়োজাহাজ চালানো মোটেই সহজ নয়। তাই ইউরোপের এই দেশটিরও কোনো বিমানবন্দর নেই। তবে বার্সেলোনা, লেরিদা কিংবা জিরোনার মতো শহরগুলো অ্যান্ডোরার মোটামুটি ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে। সেখানে বাসে বা গাড়িতে চেপে গিয়ে উড়োজাহাজ ধরা যায়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ব্রিটানিকা ডট কম, উইকিপিডিয়া
ভ্রমণ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বছরের পর বছর ধরে যদি প্রিয় ডেনিমের পোশাকগুলো পরতে চান, তাহলে যত্ন তো নিতেই হবে। কিছু উপায় জেনে নিলে যত্ন নেওয়াটাও হবে সহজ। আজ ৩০ এপ্রিল, ডেনিম দিবস। আজ থেকেই মেনে চলুন ডেনিমের পোশাক ভালো রাখার উপায়গুলো।
২ ঘণ্টা আগেটক দইয়ে চিনি, নাকি লবণ মেশাবেন, সেটা নির্ভর করছে দই খাওয়ার কারণের ওপর। অর্থাৎ কেন দই খাচ্ছেন, তার ওপর। দুটির স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন। টক দইয়ে উপস্থিত প্রচুর পুষ্টি উপাদান এবং প্রোবায়োটিকসের কারণে নিয়মিত টাটকা দই খাওয়া কিছু রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
১৭ ঘণ্টা আগেবলিউড নায়িকারা মা হওয়ার পরও কী করে ফিট থাকেন, এটা নিয়ে সবারই প্রশ্ন। এরপরের প্রশ্নটি হলো, মা হওয়ার পরও কীভাবে তাঁরা ক্যারিয়ার সামলাচ্ছেন। ভোগ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি ফিচারে জানা গেছে, বলিউড তারকা মায়েদের প্যারেন্টিং বিষয়ে। এতে নতুন ও কর্মজীবী মায়েদেরও কিছু টিপস দিয়েছেন তাঁরা।
১৯ ঘণ্টা আগেকচি লাউ দিয়ে মজাদার ডেজার্ট তৈরি করা যায়। রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা হওয়াটা দোষের কিছু নয়। লাউ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন মজাদার বরফি। আপনাদের জন্য লাউয়ের বরফির রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী সানিয়া সোমা।
২ দিন আগে