আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর, মানিকগঞ্জ
কথা ছিল বৃষ্টি হবে, জলের ওপর বৃষ্টির নাচ দেখব আমরা। কথা ছিল হাওরের জলে আগুন জ্বলবে। তবে সেদিন বৃষ্টি হলো না। কিন্তু নৌকা যতই এগিয়ে চলেছে, চোখের সামনে পরতে পরতে খুলে যাচ্ছে হাওরের সৌন্দর্য। স্রোতের টানে আমরা যেন ছুটে চলেছি ‘সুন্দর’ নামের এক মরীচিকার পেছনে।
সামনে ছাতির চর। বড় অদ্ভুত! সেখানে দেখা গেল থইথই পানিতে ডুবে থাকা এক সবুজ বন! স্তরে স্তরে সাজানো সবুজ গাছ। অনেকটা রাতারগুলের মতো। বৃষ্টি না হলেও আকাশে মেঘ। তাই রোদেরও তেমন আনাগোনা নেই। হাওরের জলে বৃষ্টি পড়ার অপার্থিব দৃশ্য দেখা হলো না বলে মন খারাপ। মনে মনে বললাম, পরেরবার নিশ্চয়ই দেখা হবে।
শরৎ একটা আশ্চর্য ঋতু। এ সময় নদ-নদী বা জলাশয়ে পানি থাকে প্রচুর। থাকে লিলুয়া বাতাস। কিন্তু জলের আগ্রাসী ঢেউ থাকে না; বরং এক নিটোল নিস্তরঙ্গ রূপ দেখা যায়। তাই দিগন্তবিস্তৃত জলরাশি প্রকৃতিপ্রেমীদের মনে আনন্দের ঢেউ তোলে। এই আনন্দ লহড়িতে ডুব দিতে রওনা হয়েছিলাম ভোর ৫টায়। মানিকগঞ্জ থেকে গন্তব্য কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর। পাঁচটি মাইক্রোবাসে ৪৫ জন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ভ্রমণসঙ্গী। তাঁরা সবাই বন্ধুবান্ধব ও সমমানসিকতার মানুষ।
সকাল ১০টায় পৌঁছালাম নিকলী বেড়িবাঁধে। দরদাম করে সাত হাজার টাকায় ভাড়া করা হলো একটি বেশ বড় আকারের ট্রলার। হাওরের জলে নীল আকাশের প্রতিবিম্ব দেখে আমরা টাকার কথা ভুলে গেলাম। শরতের নীল আকাশ যেন তার সব সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে হাওরের বুকে! দূরের আকাশকে স্পর্শ করতে উন্মুখ হয়ে আছে শান্ত স্নিগ্ধ দ্বীপের মতো ভাসমান গ্রামগুলো। যত দূর দেখা যায়, চোখের লেন্সে ধরা পড়ে নীল জলরাশির ছোট ছোট ঢেউয়ের ভাঁজে ভেসে থাকা আধডোবা সবুজ গাছপালা। নিকলী হাওরের জলরাশিকে দুই ভাগে ভাগ করে চলে গেছে পিচঢালা পথ। তার পোশাকি নাম অল ওয়েদার সড়ক। হাওরের বুক চিরে চলে যাওয়া এই সড়ক দ্বীপের মতো জেগে থাকা নিকলী, ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে। দুপাশে বিস্তৃত নীল জলরাশি ভেদ করে চলে যাওয়া এ রাস্তা পরিচয় করিয়ে দেয় বিশাল হাওরের সঙ্গে। নৌকায় না উঠেও, এই পথ ধরে যতই এগিয়ে যাবেন, হাওরের সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে আপনাকে। কিশোরগঞ্জের নিকলী, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও ইটনা উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত নিকলী নামের এ হাওর। এখানে জেগে থাকা গ্রামগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায় এক অদেখা গ্রামীণ বাংলাদেশ।
শরতে হাওরের সৌন্দর্য বেড়ে যায় বহুগুণ। ঢেউ কম থাকে বলে যাঁদের ফোবিয়া আছে হাওরের উত্তাল ঢেউ আর জলে, তাঁদের জন্য সেখানে ভ্রমণের উত্তম সময় এখন। চাইলে সময় করে এক দিনেই ঘুরে আসতে পারেন নিকলী থেকে।
খাওয়াদাওয়া
নিকলীতে খাবারের জন্য বেড়িবাঁধ এলাকায় ভালো মানের রেস্তোরাঁ আছে। সেখানে দুপুরের খাবারের মেনু হিসেবে হাওরের তাজা ও সুস্বাদু মাছ, ভাত, ডাল ও সবজি পাওয়া যায়। খেতে জনপ্রতি ব্যয় হবে ২৫০ টাকা প্রায়।
কথা ছিল বৃষ্টি হবে, জলের ওপর বৃষ্টির নাচ দেখব আমরা। কথা ছিল হাওরের জলে আগুন জ্বলবে। তবে সেদিন বৃষ্টি হলো না। কিন্তু নৌকা যতই এগিয়ে চলেছে, চোখের সামনে পরতে পরতে খুলে যাচ্ছে হাওরের সৌন্দর্য। স্রোতের টানে আমরা যেন ছুটে চলেছি ‘সুন্দর’ নামের এক মরীচিকার পেছনে।
সামনে ছাতির চর। বড় অদ্ভুত! সেখানে দেখা গেল থইথই পানিতে ডুবে থাকা এক সবুজ বন! স্তরে স্তরে সাজানো সবুজ গাছ। অনেকটা রাতারগুলের মতো। বৃষ্টি না হলেও আকাশে মেঘ। তাই রোদেরও তেমন আনাগোনা নেই। হাওরের জলে বৃষ্টি পড়ার অপার্থিব দৃশ্য দেখা হলো না বলে মন খারাপ। মনে মনে বললাম, পরেরবার নিশ্চয়ই দেখা হবে।
শরৎ একটা আশ্চর্য ঋতু। এ সময় নদ-নদী বা জলাশয়ে পানি থাকে প্রচুর। থাকে লিলুয়া বাতাস। কিন্তু জলের আগ্রাসী ঢেউ থাকে না; বরং এক নিটোল নিস্তরঙ্গ রূপ দেখা যায়। তাই দিগন্তবিস্তৃত জলরাশি প্রকৃতিপ্রেমীদের মনে আনন্দের ঢেউ তোলে। এই আনন্দ লহড়িতে ডুব দিতে রওনা হয়েছিলাম ভোর ৫টায়। মানিকগঞ্জ থেকে গন্তব্য কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর। পাঁচটি মাইক্রোবাসে ৪৫ জন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ভ্রমণসঙ্গী। তাঁরা সবাই বন্ধুবান্ধব ও সমমানসিকতার মানুষ।
সকাল ১০টায় পৌঁছালাম নিকলী বেড়িবাঁধে। দরদাম করে সাত হাজার টাকায় ভাড়া করা হলো একটি বেশ বড় আকারের ট্রলার। হাওরের জলে নীল আকাশের প্রতিবিম্ব দেখে আমরা টাকার কথা ভুলে গেলাম। শরতের নীল আকাশ যেন তার সব সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে হাওরের বুকে! দূরের আকাশকে স্পর্শ করতে উন্মুখ হয়ে আছে শান্ত স্নিগ্ধ দ্বীপের মতো ভাসমান গ্রামগুলো। যত দূর দেখা যায়, চোখের লেন্সে ধরা পড়ে নীল জলরাশির ছোট ছোট ঢেউয়ের ভাঁজে ভেসে থাকা আধডোবা সবুজ গাছপালা। নিকলী হাওরের জলরাশিকে দুই ভাগে ভাগ করে চলে গেছে পিচঢালা পথ। তার পোশাকি নাম অল ওয়েদার সড়ক। হাওরের বুক চিরে চলে যাওয়া এই সড়ক দ্বীপের মতো জেগে থাকা নিকলী, ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে। দুপাশে বিস্তৃত নীল জলরাশি ভেদ করে চলে যাওয়া এ রাস্তা পরিচয় করিয়ে দেয় বিশাল হাওরের সঙ্গে। নৌকায় না উঠেও, এই পথ ধরে যতই এগিয়ে যাবেন, হাওরের সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে আপনাকে। কিশোরগঞ্জের নিকলী, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও ইটনা উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত নিকলী নামের এ হাওর। এখানে জেগে থাকা গ্রামগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায় এক অদেখা গ্রামীণ বাংলাদেশ।
শরতে হাওরের সৌন্দর্য বেড়ে যায় বহুগুণ। ঢেউ কম থাকে বলে যাঁদের ফোবিয়া আছে হাওরের উত্তাল ঢেউ আর জলে, তাঁদের জন্য সেখানে ভ্রমণের উত্তম সময় এখন। চাইলে সময় করে এক দিনেই ঘুরে আসতে পারেন নিকলী থেকে।
খাওয়াদাওয়া
নিকলীতে খাবারের জন্য বেড়িবাঁধ এলাকায় ভালো মানের রেস্তোরাঁ আছে। সেখানে দুপুরের খাবারের মেনু হিসেবে হাওরের তাজা ও সুস্বাদু মাছ, ভাত, ডাল ও সবজি পাওয়া যায়। খেতে জনপ্রতি ব্যয় হবে ২৫০ টাকা প্রায়।
এবার বেশিরভাগ মানুষের ছুটির কোনো সমস্যা নেই। ঈদ শেষেও ছুটি হাতে থেকে যাবে। সেই থেকে যাওয়া ছুটিকে কাজে লাগাতে পারেন। এই ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন মৌলভীবাজার।
৩ ঘণ্টা আগেঈদে দাওয়াত রক্ষা করতে যাওয়া কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে বারবিকিউ পার্টি হবে না, সেটা ভাবা কষ্টকর। সেসব বিশেষ অনুষ্ঠানে খাবারের লিস্টে অনেকেই স্টেক রাখার কথা ভাবেন। স্টেকের স্বাদ তখনই সঠিকভাবে উপভোগ্য হয়ে ওঠে যখন এর সাইড ডিশগুলোও ঠিক তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর সঙ্গে মিলিয়ে এমন সাইড ডিশ বাছাই করত
২১ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহায় কাবাব খাওয়া হবে না, তা কি হয়? পোলাওয়ের সঙ্গে প্রথম পাতে শামি কাবাব কিন্তু দারুণ জমে যায়। আপনাদের জন্য গরুর মাংসের শামি কাবাবের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন কোহিনূর বেগম।
২ দিন আগেএকটু এপাশ-ওপাশ করে নিলেই এই ঈদে খাওয়া যাবে সুস্বাদু সব খাবার। রসুন দিয়ে রান্না করতে পারেন খাসির মাংসের শাহি রেজালা। এর গালভরা নাম দিতে পারেন গার্লিক মাটন। রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আনিসা আক্তার নূপুর।
২ দিন আগে