ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
যে যুগে মানুষ বিয়ের প্রতি অনীহা দেখাচ্ছে, সেই যুগে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের গল্প! এই সময়ে এসে এমন গল্প অনেকের হাসির উদ্রেক করবে নিশ্চিত। কিন্তু সত্যি তাই ঘটেছে। কিছু মানুষ তো থাকেন, যাঁরা সব হিসাবের বাইরে নিজের হিসাবেই চলেন, সাফল্য-ব্যর্থতা যা-ই আসুক না কেন। যাঁরা সফল হন, তাঁদের কথা আমরা জেনে যাই। যাঁরা ব্যর্থ হন, নীরবে-নিভৃতে তাঁরা হারিয়ে যান। টম লাওয়ারি তেমনি জিতে যাওয়া মানুষদের একজন।
স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা অমর করে রাখতে মানুষ কী কী করতে পারে? বেশির ভাগ মানুষ বলবেন, শাজাহানের মতো কেউ কেউ তাজমহল তৈরি করতে পারেন। কিংবা কেউ মুকেশ আম্বানির মতো প্রায় দেড় হাজার কোটি রুপির বাড়ি বানাতে পারেন। তারপরেই উদাহরণের ডালি ফুরিয়ে যাবে। এখানেই যোগ করে দিই টম লাওয়ারির গল্পটা—পড়ে অনেক দিন এই উদাহরণ দিতে পারবেন বন্ধুদের আড্ডায়।
৭৬ বছর বয়সী টম লাওয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তাঁর স্ত্রীর নাম জোয়ান। পেশাগত জীবনে টম ছিলেন একজন হেভি গুডস ভেহিকল বা এইচজিভি ড্রাইভার। তাঁর কাজ ছিল বিশাল ট্রাকে পণ্য নিয়ে দূরদূরান্তে ছুটে যাওয়া। এ ছাড়া তিনি ছিলেন একজন রয়্যাল সিগন্যালস ভেটেরান। টম ও জোয়ানের দাম্পত্য জীবন ছিল ২৪ বছরের। মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ার পর একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। জীবনের শেষ দিনগুলো তাঁর কাটছিল লিটল হল্টনের সেন্ট অ্যান’স হসপিটালে। মাত্র তিন মাস রোগে ভুগে জোয়ান মারা যান ২০২২ সালের মার্চে। এদিকে টমের দেহেও ধরা পড়ে ক্যানসার। তিনি নিজেও প্রোস্টেট ক্যানসার নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন সেখানেই।
জোয়ান মারা যাওয়ার পর টম ঠিক করেন, তিনি জোয়ানের স্মৃতির প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান জানিয়ে কিছু করবেন। সঙ্গে জোয়ান যে হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেই সেন্ট অ্যান’স হসপিটালের জন্যও যদি কিছু করা যায়, মন্দ কি। এই চিন্তা থেকে তিনি অংশ নেন ১১ হাজার ফুট উচ্চতার স্কাই ডাইভ চ্যালেঞ্জে।
নিজের অসুস্থতায় ঘরে থাকতেই বেশি ভালোবাসে মানুষ। তার ওপর ক্যানসারের মতো রোগ হলে জীবনযাপন আরও সংবেদনশীল হয়ে যায়। তখন জীবনই যেন একটা শাস্তি বলে মনে হয় অনেকের কাছে। নিজের ক্যানসার আর প্রিয় মানুষের স্মৃতি বুকে বেঁধে টম আকাশে উড়ে গেলেন ২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। এক দক্ষ ডাইভারের সঙ্গে পিঠে প্যারাস্যুট বেঁধে ঝাঁপ দিলেন ১১ হাজার ফুট উঁচু থেকে। নেমে এলেন নিরাপদে। সংবাদমাধ্যমে টম বলেছিলেন, ‘আমি আগে কখনো প্যারাশুট জাম্প করিনি। আমি এখন দুর্বল, হাঁটা বা দৌড় আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু আমি চেয়েছি জোয়ানের জন্য কিছু করতে, তার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে।’ সে কাজে সফল হয়েছেন টম। জীবনে প্রশান্তি এসেছে।
এই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে টম প্রমাণ করেছেন, ভালোবাসা শুধু জীবনের সহচরী নয়, মৃত্যুর পরেও তার ছায়া হৃদয়ে জেগে থাকে। আর তাকে বুকে নিয়ে বেঁচে থাকা যায় যুগ যুগ।
সূত্র: ম্যানচেস্টার ইভনিং নিউজ
যে যুগে মানুষ বিয়ের প্রতি অনীহা দেখাচ্ছে, সেই যুগে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের গল্প! এই সময়ে এসে এমন গল্প অনেকের হাসির উদ্রেক করবে নিশ্চিত। কিন্তু সত্যি তাই ঘটেছে। কিছু মানুষ তো থাকেন, যাঁরা সব হিসাবের বাইরে নিজের হিসাবেই চলেন, সাফল্য-ব্যর্থতা যা-ই আসুক না কেন। যাঁরা সফল হন, তাঁদের কথা আমরা জেনে যাই। যাঁরা ব্যর্থ হন, নীরবে-নিভৃতে তাঁরা হারিয়ে যান। টম লাওয়ারি তেমনি জিতে যাওয়া মানুষদের একজন।
স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা অমর করে রাখতে মানুষ কী কী করতে পারে? বেশির ভাগ মানুষ বলবেন, শাজাহানের মতো কেউ কেউ তাজমহল তৈরি করতে পারেন। কিংবা কেউ মুকেশ আম্বানির মতো প্রায় দেড় হাজার কোটি রুপির বাড়ি বানাতে পারেন। তারপরেই উদাহরণের ডালি ফুরিয়ে যাবে। এখানেই যোগ করে দিই টম লাওয়ারির গল্পটা—পড়ে অনেক দিন এই উদাহরণ দিতে পারবেন বন্ধুদের আড্ডায়।
৭৬ বছর বয়সী টম লাওয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তাঁর স্ত্রীর নাম জোয়ান। পেশাগত জীবনে টম ছিলেন একজন হেভি গুডস ভেহিকল বা এইচজিভি ড্রাইভার। তাঁর কাজ ছিল বিশাল ট্রাকে পণ্য নিয়ে দূরদূরান্তে ছুটে যাওয়া। এ ছাড়া তিনি ছিলেন একজন রয়্যাল সিগন্যালস ভেটেরান। টম ও জোয়ানের দাম্পত্য জীবন ছিল ২৪ বছরের। মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ার পর একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। জীবনের শেষ দিনগুলো তাঁর কাটছিল লিটল হল্টনের সেন্ট অ্যান’স হসপিটালে। মাত্র তিন মাস রোগে ভুগে জোয়ান মারা যান ২০২২ সালের মার্চে। এদিকে টমের দেহেও ধরা পড়ে ক্যানসার। তিনি নিজেও প্রোস্টেট ক্যানসার নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন সেখানেই।
জোয়ান মারা যাওয়ার পর টম ঠিক করেন, তিনি জোয়ানের স্মৃতির প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান জানিয়ে কিছু করবেন। সঙ্গে জোয়ান যে হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেই সেন্ট অ্যান’স হসপিটালের জন্যও যদি কিছু করা যায়, মন্দ কি। এই চিন্তা থেকে তিনি অংশ নেন ১১ হাজার ফুট উচ্চতার স্কাই ডাইভ চ্যালেঞ্জে।
নিজের অসুস্থতায় ঘরে থাকতেই বেশি ভালোবাসে মানুষ। তার ওপর ক্যানসারের মতো রোগ হলে জীবনযাপন আরও সংবেদনশীল হয়ে যায়। তখন জীবনই যেন একটা শাস্তি বলে মনে হয় অনেকের কাছে। নিজের ক্যানসার আর প্রিয় মানুষের স্মৃতি বুকে বেঁধে টম আকাশে উড়ে গেলেন ২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। এক দক্ষ ডাইভারের সঙ্গে পিঠে প্যারাস্যুট বেঁধে ঝাঁপ দিলেন ১১ হাজার ফুট উঁচু থেকে। নেমে এলেন নিরাপদে। সংবাদমাধ্যমে টম বলেছিলেন, ‘আমি আগে কখনো প্যারাশুট জাম্প করিনি। আমি এখন দুর্বল, হাঁটা বা দৌড় আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু আমি চেয়েছি জোয়ানের জন্য কিছু করতে, তার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে।’ সে কাজে সফল হয়েছেন টম। জীবনে প্রশান্তি এসেছে।
এই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে টম প্রমাণ করেছেন, ভালোবাসা শুধু জীবনের সহচরী নয়, মৃত্যুর পরেও তার ছায়া হৃদয়ে জেগে থাকে। আর তাকে বুকে নিয়ে বেঁচে থাকা যায় যুগ যুগ।
সূত্র: ম্যানচেস্টার ইভনিং নিউজ
বাজারে আমড়া উঠেছে। ভর্তা করে বা ডালে আমড়া দিয়ে তো খাবেনই, আচারও বানাবেন নিশ্চয়ই। কিন্তু আমড়ার ঝাল রসগোল্লা? আপনাদের জন্য আস্ত আমড়ার ঝাল রসগোল্লার রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই এমনই এক জায়গা, যেখানে আছে অনেক প্রাকৃতিক ঝরনা আর বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি। ফলে এই বর্ষাকালে সেখানে না গিয়ে উপায় কি!
১৬ ঘণ্টা আগেছোটবেলা থেকে এক বিশেষ মানসিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছিলেন ক্যামেরুন মোফিড। সমস্যার নাম অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার (ওসিডি)। এ ধরনের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা একই চিন্তা বা আচরণে বারবার আটকে যান। এটি তাঁদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তোলে। এমনই এক বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছিলেন ইরানি-মিসরীয় বং
১৭ ঘণ্টা আগেজাপান বরাবরই ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে জনপ্রিয় দেশ। দেশটির মানুষের আন্তরিক ব্যবহার এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা এত শোনা যায় যে ভ্রমণকারীদের স্বপ্নই থাকে জীবনে একবার না একবার সে দেশে যাওয়ার। তবে বেশির ভাগ পর্যটক টোকিও বা ওসাকার মতো জনপ্রিয় জায়গাগুলোয় ভ্রমণ করতে আগ্রহী থাকেন। কিন্তু জাপান সরকার পর্যটকদের
১৯ ঘণ্টা আগে