কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
‘বিয়ের বয়স তো পার হয়ে যাচ্ছে!’ যাদের একটু বয়স হয়েছে, কিন্তু এখনো বিয়ে করেননি, নারী-পুরুষনির্বিশেষে তাদের এমন কথা শুনতে হয় আমাদের দেশে। তো এই বিয়ের বয়সটা কত আসলে?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে প্রায়শই গালাগাল শুনতে হয় বড় মেয়ে মাধুরীলতার ১৫ বছর বয়সে বিয়ে দেওয়ার জন্য। আবার ধরুন, মাধুরীলতার মা অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর বিয়ে হয়েছিল মাত্র ৯ বছর বয়সে। আর বিয়ের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২২ বছর।
রবীন্দ্রনাথের কথা বাদ দিন। আমাদের দাদা-দাদি কিংবা আমাদের বাবা-মায়েদের বিয়েই-বা কত বছর বয়সে হয়েছিল? খেয়াল করলে দেখবেন, বেশির ভাগ মেয়ের বিয়ে হয়েছিল ১৫-২০ বছরের মধ্যে। আর ছেলেদের বিয়ে হয়েছিল ২২-২৫ বছরের মধ্যে।
তবে একটি বিষয় বলে রাখা জরুরি। বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে দেশে দেশে এবং সমাজে সমাজে পার্থক্য আছে। আবার একই সমাজে এই পার্থক্য তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। যেমন আমাদের দেশে এখনো সীমিতভাবে বাল্যবিবাহ টিকে থাকলেও ৯ বছরের শিশুকে বিয়ে দেওয়ার কথা কেউ ভাবতে পারে না। কিন্তু একসময় ৮ বা ৯ বছরে বিয়ে দেওয়াটা ছিল স্বাভাবিক বিষয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছেলে ও মেয়েদের বিয়ের আইনি বয়স ছেলেদের জন্য সর্বনিম্ন ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২২ এবং মেয়েদের জন্য সর্বনিম্ন ১৪ থেকে সর্বোচ্চ ১৯ বছর। তবে জীবনযাত্রার ব্যয়, মূল্যস্ফীতি, বাসস্থানের উচ্চমূল্য, ক্যারিয়ার আর ব্যক্তিগত উন্নয়নের কারণে বেশির ভাগ দেশে বিয়ের একটি গড় বয়স দাঁড়িয়ে গেছে।
চলুন, দেখে নেওয়া যাক পৃথিবীর কোন দেশে নারী-পুরুষের গড় বিয়ের বয়স কত।
বাংলাদেশ
বিয়ের বয়স নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মতো 'মাথা নষ্ট' কোনো দেশ আছে কি না, খুঁজে দেখতে হবে। খেয়াল করলেই দেখবেন 'আইবুড়ো' বলে একটি শব্দই আছে বাংলা ভাষায়। এটি যাদের জন্য বলা হয়, তাদের যে বিয়ের বয়সটা পেরিয়ে যাচ্ছে, তা জানাতেই বলা হয়। দেশে সরকারিভাবে বিয়ের বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ছেলেদের জন্য ২১ ও মেয়েদের ১৮ বছর। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত 'বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩' এ বলা হয়েছে, দেশের পুরুষেরা গড়ে ২৪ দশমিক ২ বছর বয়সে আর নারীরা ১৮ দশমিক ৪ বছর বয়সে বিয়ে করে।
নেপাল
হানিমুন ট্রিপের জন্য খ্যাতি আছে হিমালয়কন্যা নেপালের। কিন্তু দেশটিতে বিয়ের বয়স কত? নেপালে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের বিয়ের আইনি বয়স ন্যূনতম বছর। আর বিশেষ অবস্থায় আদালত বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে মেয়েদের ১৮ বছর বয়সে বিয়ে দেওয়া যায়। তবে দেশটিতে এখন বিয়ের গড় বয়স ২০ বছর।
চীন
জনবহুল দেশ চীনে বিয়ে বিষয়টিকে ভালো নাগরিকত্বের দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশটিতে বিয়ের আইন অনেকবার বদলেছে। বিশাল দেশে চীনে একসময় বিয়ের বয়সসহ বিভিন্ন রীতি পালন করা প্রাচীন বিভিন্ন রাজবংশের শাসন আমলে তৈরি হওয়া রীতিনীতিতে। পরবর্তী সময়ে, বিশেষ করে ১৯৫০ সালে বিয়ের নতুন আইন করা হয়। ১৯৮০ সালের আইনে চীনে ছেলেদের বিয়ের বয়স ন্যূনতম ২২ বছর এবং মেয়েদের জন্য ২০ বছর। তবে এখন দেশটিতে ছেয়ে-মেয়েরা গড়ে ২৬ বছর বয়সে বিয়ে করে।
তাজিকিস্তান
মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তান। দেশটিতে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের বিয়ের ন্যূনতম আইনি বয়স ১৮ বছর। তবে এখন তাজিকিস্তানের মেয়েরা গড়ে ২২ বছর বয়সে বিয়ে করছে।
ইয়েমেন
পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইয়েমেন। দেশটিতে ছেলে বা মেয়েদের জন্য বিয়ের আইনি বয়স নির্ধারিত নেই। তবে দেশটিতে মেয়েরা গড়ে ২৩ বছর বয়সে বিয়ে করে।
ইসরায়েল
ইসরায়েলে সেনাবাহিনীর কাজ, চাকরি, পিএইচডি—সব শেষ করে ছেলে-মেয়েরা গড়ে ২৯ বছর বয়সে বিয়ে করে। অবশ্য যুদ্ধের কারণে বিয়ের গড় বয়স বেড়েছে কি না, তা জানা যায়নি। তবে দেশটিতে ছেলে-মেয়ে উভয়ের বিয়ের করার আইনি বয়স ১৮ বছর।
মিসর
‘দেরিতে হলেও বিয়ে করব’ এমন ধারণা নিয়ে চলে মিসর। দেশটিতে বিয়ের গড় বয়স এখন ২৫ বছর। ছেলে-মেয়ে উভয়েরই। তবে দেশটিতে ছেলে-মেয়ে উভয়েরই বিয়ের আইনি বয়স ১৮ বছর।
দক্ষিণ কোরিয়া
উত্তর তো ধরাছোঁয়ার বাইরে। দক্ষিণ নিয়ে কথা বলতে গেলেও দেখা যায় ৯ থেকে ৫ নয়; বরং ৯ থেকে ৯ টানা অফিস। বলছি দক্ষিণ কোরিয়ার কথা। সেখানে প্রেম? সময় কোথায় ভাই! প্রেম করার সময় নেই যাদের, তাদের বিয়ের বয়স নিয়ে আর চিন্তা কি। জানিয়ে রাখি, দক্ষিণ কোরিয়ার নারী ও পুরুষেরা গড়ে ৩৭ বছর বয়সে বিয়ে করে! ক্যারিয়ার, নিজের বাড়ি, পারিবারিক অনুমোদন—সবকিছু মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় যেন একেকটা মিশন ইম্পসিবল! দেশটিতে বিয়ের সরকারি বয়সও অন্যান্য দেশের চেয়ে এক বছর বেশি। অর্থাৎ ১৯ বছর।
যুক্তরাষ্ট্র
বিয়ে করে বোঝার চেয়ে একসঙ্গে থেকে বুঝে তারপর বিয়ে নিয়ে ভাবেন আমেরিকানরা। বিয়ে তো সবাই করে, কিন্তু তাদের মতে, আগে থাকতে হবে প্রেমিক-প্রেমিকা, তারপর রুমমেট, তারপর ‘প্রিয় সঙ্গী’। তারপর একদিন হুট করে মনে হবে, ‘আচ্ছা, বিয়েটা করে ফেলি না?’ তারপর হবে আয়োজন, তারপর বিয়ে। আর সেটা করতে গিয়ে দেশটিতে বিয়ের গড় বয়স গিয়ে ঠেকেছে ৩১ বছরে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ রাজ্য বা অঞ্চলে সরকারি বিয়ের বয়স ১৮ বছর। তবে নেব্রাস্কায় তা ১৯ এবং মিসিসিপিতে ২১ বছর।
কলম্বিয়া
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ায় ভালোবাসা মানেই বিয়ে। দেরি করা একেবারেই চলবে না সেখানে। ক্যাথলিক মূল্যবোধের দেশটিতে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের বিয়ের বয়স ১৮ বছর। এর কম বয়সে বিয়ে হলে তা আইনত অবৈধ ও বাল্যবিবাহ হিসেবে গণ্য হয়। তবে মজার বিষয়, দেশটিতে বিয়ের গড় বয়স ১৮ বছরই। জেনে রাখা ভালো, ২০১৬ সালে কলম্বিয়ার সাংবিধানিক আদালত ১৬ বছর বয়সী মেয়েদের বিয়ের অনুমতিসংক্রান্ত আইন বাতিল করেন।
রাশিয়া
জনবহুল দেশ রাশিয়ায় ক্যারিয়ার আগে, বিয়ে পরে। সোভিয়েত যুগে দেশটিতে বিয়ের বয়স ছিল ২১ বছর। আর এখন? রাশিয়ার নারী বা পুরুষেরা গড়ে ২৬ বছরের আগে কেউ বিয়ে নিয়ে ভাবে না। ওই যে, প্রথমে ক্যারিয়ার, তারপর জীবনসঙ্গীর খোঁজ। তবে দেশটিতে ছেলে-মেয়ে উভয়ের সরকারি বিয়ের বয়স ১৮ বছর।
ইতালি, ব্রাজিল ও স্পেন
এই তিনটি দেশই চলে ‘ভালোবাসা আছে, বিয়ের দরকার কি’ এই মনোভাবে। ইতালিয়ানরা মনে করে, ‘জীবন তো একটাই, তাড়াহুড়ো কেন?’ তাই দেশটিতে বিয়ের গড় বয়স ৩৪ এ গিয়ে ঠেকেছে। তবে দেশটির নারী-পুরুষের বিয়ের আইনি বয়স ১৮ বছর।
এদিকে ব্রাজিলিয়ান নারীরা এখন স্বাধীনতা আর ক্যারিয়ারের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। তাদের জীবনে বিয়ের ফুল ফোটার গড় বয়স প্রায় ৩৬ বছর। তবে সরকারি বয়স ১৮ বছর।
বিয়ের গড় বয়স কোন দেশে বেশি? এর উত্তর হলো স্পেন। দেশটির পাত্র-পাত্রীদের বিয়ের ডেট পাওয়া আর ম্যারাথন দৌড়ানো একই কথা। সরকারিভাবে দেশটিতে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ হলেও গড়ে ৩৯ বছর বয়সে বিয়ে করে দেশটির নারী ও পুরুষেরা!
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, স্যাটিস্টা, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ
‘বিয়ের বয়স তো পার হয়ে যাচ্ছে!’ যাদের একটু বয়স হয়েছে, কিন্তু এখনো বিয়ে করেননি, নারী-পুরুষনির্বিশেষে তাদের এমন কথা শুনতে হয় আমাদের দেশে। তো এই বিয়ের বয়সটা কত আসলে?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে প্রায়শই গালাগাল শুনতে হয় বড় মেয়ে মাধুরীলতার ১৫ বছর বয়সে বিয়ে দেওয়ার জন্য। আবার ধরুন, মাধুরীলতার মা অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর বিয়ে হয়েছিল মাত্র ৯ বছর বয়সে। আর বিয়ের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২২ বছর।
রবীন্দ্রনাথের কথা বাদ দিন। আমাদের দাদা-দাদি কিংবা আমাদের বাবা-মায়েদের বিয়েই-বা কত বছর বয়সে হয়েছিল? খেয়াল করলে দেখবেন, বেশির ভাগ মেয়ের বিয়ে হয়েছিল ১৫-২০ বছরের মধ্যে। আর ছেলেদের বিয়ে হয়েছিল ২২-২৫ বছরের মধ্যে।
তবে একটি বিষয় বলে রাখা জরুরি। বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে দেশে দেশে এবং সমাজে সমাজে পার্থক্য আছে। আবার একই সমাজে এই পার্থক্য তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। যেমন আমাদের দেশে এখনো সীমিতভাবে বাল্যবিবাহ টিকে থাকলেও ৯ বছরের শিশুকে বিয়ে দেওয়ার কথা কেউ ভাবতে পারে না। কিন্তু একসময় ৮ বা ৯ বছরে বিয়ে দেওয়াটা ছিল স্বাভাবিক বিষয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছেলে ও মেয়েদের বিয়ের আইনি বয়স ছেলেদের জন্য সর্বনিম্ন ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২২ এবং মেয়েদের জন্য সর্বনিম্ন ১৪ থেকে সর্বোচ্চ ১৯ বছর। তবে জীবনযাত্রার ব্যয়, মূল্যস্ফীতি, বাসস্থানের উচ্চমূল্য, ক্যারিয়ার আর ব্যক্তিগত উন্নয়নের কারণে বেশির ভাগ দেশে বিয়ের একটি গড় বয়স দাঁড়িয়ে গেছে।
চলুন, দেখে নেওয়া যাক পৃথিবীর কোন দেশে নারী-পুরুষের গড় বিয়ের বয়স কত।
বাংলাদেশ
বিয়ের বয়স নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মতো 'মাথা নষ্ট' কোনো দেশ আছে কি না, খুঁজে দেখতে হবে। খেয়াল করলেই দেখবেন 'আইবুড়ো' বলে একটি শব্দই আছে বাংলা ভাষায়। এটি যাদের জন্য বলা হয়, তাদের যে বিয়ের বয়সটা পেরিয়ে যাচ্ছে, তা জানাতেই বলা হয়। দেশে সরকারিভাবে বিয়ের বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ছেলেদের জন্য ২১ ও মেয়েদের ১৮ বছর। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত 'বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩' এ বলা হয়েছে, দেশের পুরুষেরা গড়ে ২৪ দশমিক ২ বছর বয়সে আর নারীরা ১৮ দশমিক ৪ বছর বয়সে বিয়ে করে।
নেপাল
হানিমুন ট্রিপের জন্য খ্যাতি আছে হিমালয়কন্যা নেপালের। কিন্তু দেশটিতে বিয়ের বয়স কত? নেপালে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের বিয়ের আইনি বয়স ন্যূনতম বছর। আর বিশেষ অবস্থায় আদালত বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে মেয়েদের ১৮ বছর বয়সে বিয়ে দেওয়া যায়। তবে দেশটিতে এখন বিয়ের গড় বয়স ২০ বছর।
চীন
জনবহুল দেশ চীনে বিয়ে বিষয়টিকে ভালো নাগরিকত্বের দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশটিতে বিয়ের আইন অনেকবার বদলেছে। বিশাল দেশে চীনে একসময় বিয়ের বয়সসহ বিভিন্ন রীতি পালন করা প্রাচীন বিভিন্ন রাজবংশের শাসন আমলে তৈরি হওয়া রীতিনীতিতে। পরবর্তী সময়ে, বিশেষ করে ১৯৫০ সালে বিয়ের নতুন আইন করা হয়। ১৯৮০ সালের আইনে চীনে ছেলেদের বিয়ের বয়স ন্যূনতম ২২ বছর এবং মেয়েদের জন্য ২০ বছর। তবে এখন দেশটিতে ছেয়ে-মেয়েরা গড়ে ২৬ বছর বয়সে বিয়ে করে।
তাজিকিস্তান
মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তান। দেশটিতে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের বিয়ের ন্যূনতম আইনি বয়স ১৮ বছর। তবে এখন তাজিকিস্তানের মেয়েরা গড়ে ২২ বছর বয়সে বিয়ে করছে।
ইয়েমেন
পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইয়েমেন। দেশটিতে ছেলে বা মেয়েদের জন্য বিয়ের আইনি বয়স নির্ধারিত নেই। তবে দেশটিতে মেয়েরা গড়ে ২৩ বছর বয়সে বিয়ে করে।
ইসরায়েল
ইসরায়েলে সেনাবাহিনীর কাজ, চাকরি, পিএইচডি—সব শেষ করে ছেলে-মেয়েরা গড়ে ২৯ বছর বয়সে বিয়ে করে। অবশ্য যুদ্ধের কারণে বিয়ের গড় বয়স বেড়েছে কি না, তা জানা যায়নি। তবে দেশটিতে ছেলে-মেয়ে উভয়ের বিয়ের করার আইনি বয়স ১৮ বছর।
মিসর
‘দেরিতে হলেও বিয়ে করব’ এমন ধারণা নিয়ে চলে মিসর। দেশটিতে বিয়ের গড় বয়স এখন ২৫ বছর। ছেলে-মেয়ে উভয়েরই। তবে দেশটিতে ছেলে-মেয়ে উভয়েরই বিয়ের আইনি বয়স ১৮ বছর।
দক্ষিণ কোরিয়া
উত্তর তো ধরাছোঁয়ার বাইরে। দক্ষিণ নিয়ে কথা বলতে গেলেও দেখা যায় ৯ থেকে ৫ নয়; বরং ৯ থেকে ৯ টানা অফিস। বলছি দক্ষিণ কোরিয়ার কথা। সেখানে প্রেম? সময় কোথায় ভাই! প্রেম করার সময় নেই যাদের, তাদের বিয়ের বয়স নিয়ে আর চিন্তা কি। জানিয়ে রাখি, দক্ষিণ কোরিয়ার নারী ও পুরুষেরা গড়ে ৩৭ বছর বয়সে বিয়ে করে! ক্যারিয়ার, নিজের বাড়ি, পারিবারিক অনুমোদন—সবকিছু মিলিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় যেন একেকটা মিশন ইম্পসিবল! দেশটিতে বিয়ের সরকারি বয়সও অন্যান্য দেশের চেয়ে এক বছর বেশি। অর্থাৎ ১৯ বছর।
যুক্তরাষ্ট্র
বিয়ে করে বোঝার চেয়ে একসঙ্গে থেকে বুঝে তারপর বিয়ে নিয়ে ভাবেন আমেরিকানরা। বিয়ে তো সবাই করে, কিন্তু তাদের মতে, আগে থাকতে হবে প্রেমিক-প্রেমিকা, তারপর রুমমেট, তারপর ‘প্রিয় সঙ্গী’। তারপর একদিন হুট করে মনে হবে, ‘আচ্ছা, বিয়েটা করে ফেলি না?’ তারপর হবে আয়োজন, তারপর বিয়ে। আর সেটা করতে গিয়ে দেশটিতে বিয়ের গড় বয়স গিয়ে ঠেকেছে ৩১ বছরে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ রাজ্য বা অঞ্চলে সরকারি বিয়ের বয়স ১৮ বছর। তবে নেব্রাস্কায় তা ১৯ এবং মিসিসিপিতে ২১ বছর।
কলম্বিয়া
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ায় ভালোবাসা মানেই বিয়ে। দেরি করা একেবারেই চলবে না সেখানে। ক্যাথলিক মূল্যবোধের দেশটিতে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের বিয়ের বয়স ১৮ বছর। এর কম বয়সে বিয়ে হলে তা আইনত অবৈধ ও বাল্যবিবাহ হিসেবে গণ্য হয়। তবে মজার বিষয়, দেশটিতে বিয়ের গড় বয়স ১৮ বছরই। জেনে রাখা ভালো, ২০১৬ সালে কলম্বিয়ার সাংবিধানিক আদালত ১৬ বছর বয়সী মেয়েদের বিয়ের অনুমতিসংক্রান্ত আইন বাতিল করেন।
রাশিয়া
জনবহুল দেশ রাশিয়ায় ক্যারিয়ার আগে, বিয়ে পরে। সোভিয়েত যুগে দেশটিতে বিয়ের বয়স ছিল ২১ বছর। আর এখন? রাশিয়ার নারী বা পুরুষেরা গড়ে ২৬ বছরের আগে কেউ বিয়ে নিয়ে ভাবে না। ওই যে, প্রথমে ক্যারিয়ার, তারপর জীবনসঙ্গীর খোঁজ। তবে দেশটিতে ছেলে-মেয়ে উভয়ের সরকারি বিয়ের বয়স ১৮ বছর।
ইতালি, ব্রাজিল ও স্পেন
এই তিনটি দেশই চলে ‘ভালোবাসা আছে, বিয়ের দরকার কি’ এই মনোভাবে। ইতালিয়ানরা মনে করে, ‘জীবন তো একটাই, তাড়াহুড়ো কেন?’ তাই দেশটিতে বিয়ের গড় বয়স ৩৪ এ গিয়ে ঠেকেছে। তবে দেশটির নারী-পুরুষের বিয়ের আইনি বয়স ১৮ বছর।
এদিকে ব্রাজিলিয়ান নারীরা এখন স্বাধীনতা আর ক্যারিয়ারের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। তাদের জীবনে বিয়ের ফুল ফোটার গড় বয়স প্রায় ৩৬ বছর। তবে সরকারি বয়স ১৮ বছর।
বিয়ের গড় বয়স কোন দেশে বেশি? এর উত্তর হলো স্পেন। দেশটির পাত্র-পাত্রীদের বিয়ের ডেট পাওয়া আর ম্যারাথন দৌড়ানো একই কথা। সরকারিভাবে দেশটিতে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ হলেও গড়ে ৩৯ বছর বয়সে বিয়ে করে দেশটির নারী ও পুরুষেরা!
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, স্যাটিস্টা, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক বাণিজ্যিক পণ্য কফি। তেলের পরেই এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হওয়া পণ্য। প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে ২ বিলিয়নের বেশি কাপ কফি পান করা হয়! কফিকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বহু দেশে তৈরি হয়েছে বিশেষ সংস্কৃতি। সেসবের টুকরো তথ্য পাওয়া যাবে এই লেখায়।
৩৬ মিনিট আগেসন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় অনেক অভিভাবকই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার সীমিত করার চেষ্টা করেন। তবে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটানোর অভ্যাসই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বাবা-মা ও সন্তানের পারস্পরিক সম্পর্কে। এমনকি তখনো, যখন অভিভাবকেরা সরাসরি ফোন ব্যবহার করছেন না।
৩ ঘণ্টা আগেবিদেশে কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা বা পেমেন্ট করার সময় স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধ করাই সাশ্রয়ী ও নিরাপদ উপায়। ডায়নামিক কারেন্সি কনভারশনের ফাঁদে পড়লে খরচ বেড়ে যেতে পারে অযথাই।
৮ ঘণ্টা আগেচিংড়ি ভাপা তো অনেক খেয়েছেন। কিন্তু তিলবাটা দিয়ে কখনো রেঁধেছেন? আপনাদের জন্য তিল চিংড়ি ভাপার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
১ দিন আগে