ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
বাসার তুলনামূলক ছোট জায়গাটি যে বাথরুম, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শহরাঞ্চল হোক বা গ্রামাঞ্চল, প্রায় সব ক্ষেত্রে বাথরুমের জায়গা সীমিত। এই ছোট জায়গায় রাখতে হয় বেশ কিছু জিনিস। যাতে একবার বাথরুমে ঢুকলে কোনো জিনিস নেওয়ার জন্য আবার বাইরে আসতে না হয়। ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে এক রুমের বা দুই রুমের ফ্ল্যাটে বাস করা মানুষদের জন্য বাথরুম শুধু গোসল বা প্রয়োজনীয় কাজ সারার জায়গা নয়। এটি পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের দৈনন্দিন রুটিনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সঠিকভাবে সংগঠিত করা না হলে এই জায়গা খুব দ্রুতই অগোছালো হয়ে যেতে পারে।
ছোট জায়গাকে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে বাথরুমও হতে পারে বাসার সবচেয়ে গোছানো ও ব্যবহারিক জায়গা। অল্প খরচে বা পুরোনো জিনিস দিয়েও বাথরুম গুছিয়ে রাখা সম্ভব। এ জন্য দরকার সৃজনশীলতা ও কিছু পরিকল্পনা। আপনার বাথরুম যদি পরিষ্কার ও গোছানো থাকে, তাহলে প্রতিদিনের ব্যবহারেও মানসিক প্রশান্তি আসবে। জেনে নিন, বাথরুম গোছানো, কার্যকর ও সুন্দরভাবে ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে কোন বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে।
উঁচু দেয়াল ব্যবহার করুন
অধিকাংশ ফ্ল্যাটের বাথরুমে দেয়ালের অনেকটা অংশ খালি থাকে। এই দেয়ালগুলো ব্যবহার করে শেলফ লাগিয়ে জায়গা বাড়ানো সম্ভব। বাজারে সহজলভ্য বিভিন্ন ধাতব বা প্লাস্টিক শেলফ আছে যা ইট-পাথরের দেয়ালে স্ক্রু দিয়ে লাগানো যায়। বাথরুমের দরজার ওপরের অংশে একটি সিমেন্টের বা কাঠের শেলফ করে সেখানে তোয়ালে, বাড়তি সাবান, শ্যাম্পু বা এমনকি ফার্স্ট এইড বাক্সও রাখা যায়।
কাজে লাগান দরজার পেছনের জায়গাটি
অনেকে দরজার পেছনের জায়গাটি ব্যবহার করেন না। অথচ এটি খুবই কার্যকর একটি জায়গা। দরজার পেছনে হুক লাগিয়ে তোয়ালে, কাপড় বা ব্যাগ ঝুলিয়ে রাখা যায়। তবে বাথরুমের দরজায় ভারী কিছু না ঝোলানোই ভালো। চাইলে একটি ঝুলন্ত পকেট-অর্গানাইজারে টুথব্রাশ, চুলের ক্লিপ, ক্রিম, চিরুনি ইত্যাদি ছোট ছোট জিনিসপত্র রাখা যায়।
প্লাস্টিকের বাস্কেট বা ঝুড়ির ব্যবহার
যেকোনো বাজারে বা রাস্তার পাশে ভ্যানে নানান আকারের প্লাস্টিকের ঝুড়ি পাওয়া যায়। এগুলো বাথরুম গোছানোর জন্য দারুণ উপযোগী। শেলফে জায়গা না থাকলে ফ্লোরে কোনায় একটি ঝুড়ি রেখে সেখানে তোয়ালে, কাপড় বা লন্ড্রির জন্য কাপড় জমিয়ে রাখা যেতে পারে। এই ঝুড়ি চাইলে বাথরুমের বাইরেও দরজার পাশে রাখা যায়। ছোট ছোট ঝুড়িতে দৈনিক ব্যবহৃত জিনিসপত্র; যেমন সাবান, কন্ডিশনার, স্ক্রাবার, শেভিং কিট ইত্যাদি আলাদা করে রাখতে পারেন। যেগুলো বাথরুমের ভেতরে থাকা শেলফের মধ্যে রাখা যেতে পারে।
স্লিম স্টোরেজ ইউনিট
টয়লেটের পাশে কিংবা বেসিনের নিচের ফাঁকা জায়গাজুড়ে একটি সরু স্টোরেজ ক্যাবিনেট বা কাঠের তাক বসিয়ে নেওয়া যেতে পারে। বাজারে এখন ওয়াটারপ্রুফ কাঠ পাওয়া যায়। সেগুলো দিয়ে খুব সহজে এই শেলফ তৈরি করে নেওয়া সম্ভব। অথবা এখন অনেক দোকানে প্লাস্টিক বা কাঠের তৈরি স্লিম ইউনিট পাওয়া যায়। সেখানে টয়লেট পেপার, ব্লিচ, ব্রাশ, ক্লিনার ইত্যাদি সহজে গুছিয়ে রাখা যায়।
পুরোনো জিনিস ব্যবহার করুন
বাথরুম স্টোরেজে বেশি খরচ করতে না চাইলে পুরোনো জিনিস; যেমন কাটলারি হোল্ডার, পুরোনো প্লাস্টিক বক্স বা চায়ের কৌটা ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি পুরোনো কাটলারি স্ট্যান্ডে টুথব্রাশ, রেজার ও চিরুনি আলাদা সেকশনে রাখা যায়।
আয়নার পেছনের জায়গা
যাঁরা নতুন করে বাথরুম সংস্কার করছেন, তাঁরা আয়নার পেছনে ইন-বিল্ট ক্যাবিনেট তৈরি করতে পারেন। এটি দেখতে একেবারে সাধারণ আয়নার মতো। কিন্তু তার ভেতরে একাধিক শেলফ থাকে। এতে ওষুধ, কসমেটিকস বা গয়না রাখা যায় নিরাপদে এবং জায়গাও বাঁচে।
নিরাপদ স্টোরেজে থাকুক ওষুধ
এখন অনেকে বাথরুমে ওষুধ রেখে দেন। কিন্তু এটি শিশুরা যেন না পায়, সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। লকযোগ্য কৌটা বা উঁচু শেলফে ওষুধ রাখতে হবে, যাতে প্রয়োজনের সময় সহজে পাওয়া যায় এবং নিরাপদ থাকে।
সূত্র: এমএসএন
বাসার তুলনামূলক ছোট জায়গাটি যে বাথরুম, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শহরাঞ্চল হোক বা গ্রামাঞ্চল, প্রায় সব ক্ষেত্রে বাথরুমের জায়গা সীমিত। এই ছোট জায়গায় রাখতে হয় বেশ কিছু জিনিস। যাতে একবার বাথরুমে ঢুকলে কোনো জিনিস নেওয়ার জন্য আবার বাইরে আসতে না হয়। ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে এক রুমের বা দুই রুমের ফ্ল্যাটে বাস করা মানুষদের জন্য বাথরুম শুধু গোসল বা প্রয়োজনীয় কাজ সারার জায়গা নয়। এটি পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের দৈনন্দিন রুটিনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সঠিকভাবে সংগঠিত করা না হলে এই জায়গা খুব দ্রুতই অগোছালো হয়ে যেতে পারে।
ছোট জায়গাকে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে বাথরুমও হতে পারে বাসার সবচেয়ে গোছানো ও ব্যবহারিক জায়গা। অল্প খরচে বা পুরোনো জিনিস দিয়েও বাথরুম গুছিয়ে রাখা সম্ভব। এ জন্য দরকার সৃজনশীলতা ও কিছু পরিকল্পনা। আপনার বাথরুম যদি পরিষ্কার ও গোছানো থাকে, তাহলে প্রতিদিনের ব্যবহারেও মানসিক প্রশান্তি আসবে। জেনে নিন, বাথরুম গোছানো, কার্যকর ও সুন্দরভাবে ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে কোন বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে।
উঁচু দেয়াল ব্যবহার করুন
অধিকাংশ ফ্ল্যাটের বাথরুমে দেয়ালের অনেকটা অংশ খালি থাকে। এই দেয়ালগুলো ব্যবহার করে শেলফ লাগিয়ে জায়গা বাড়ানো সম্ভব। বাজারে সহজলভ্য বিভিন্ন ধাতব বা প্লাস্টিক শেলফ আছে যা ইট-পাথরের দেয়ালে স্ক্রু দিয়ে লাগানো যায়। বাথরুমের দরজার ওপরের অংশে একটি সিমেন্টের বা কাঠের শেলফ করে সেখানে তোয়ালে, বাড়তি সাবান, শ্যাম্পু বা এমনকি ফার্স্ট এইড বাক্সও রাখা যায়।
কাজে লাগান দরজার পেছনের জায়গাটি
অনেকে দরজার পেছনের জায়গাটি ব্যবহার করেন না। অথচ এটি খুবই কার্যকর একটি জায়গা। দরজার পেছনে হুক লাগিয়ে তোয়ালে, কাপড় বা ব্যাগ ঝুলিয়ে রাখা যায়। তবে বাথরুমের দরজায় ভারী কিছু না ঝোলানোই ভালো। চাইলে একটি ঝুলন্ত পকেট-অর্গানাইজারে টুথব্রাশ, চুলের ক্লিপ, ক্রিম, চিরুনি ইত্যাদি ছোট ছোট জিনিসপত্র রাখা যায়।
প্লাস্টিকের বাস্কেট বা ঝুড়ির ব্যবহার
যেকোনো বাজারে বা রাস্তার পাশে ভ্যানে নানান আকারের প্লাস্টিকের ঝুড়ি পাওয়া যায়। এগুলো বাথরুম গোছানোর জন্য দারুণ উপযোগী। শেলফে জায়গা না থাকলে ফ্লোরে কোনায় একটি ঝুড়ি রেখে সেখানে তোয়ালে, কাপড় বা লন্ড্রির জন্য কাপড় জমিয়ে রাখা যেতে পারে। এই ঝুড়ি চাইলে বাথরুমের বাইরেও দরজার পাশে রাখা যায়। ছোট ছোট ঝুড়িতে দৈনিক ব্যবহৃত জিনিসপত্র; যেমন সাবান, কন্ডিশনার, স্ক্রাবার, শেভিং কিট ইত্যাদি আলাদা করে রাখতে পারেন। যেগুলো বাথরুমের ভেতরে থাকা শেলফের মধ্যে রাখা যেতে পারে।
স্লিম স্টোরেজ ইউনিট
টয়লেটের পাশে কিংবা বেসিনের নিচের ফাঁকা জায়গাজুড়ে একটি সরু স্টোরেজ ক্যাবিনেট বা কাঠের তাক বসিয়ে নেওয়া যেতে পারে। বাজারে এখন ওয়াটারপ্রুফ কাঠ পাওয়া যায়। সেগুলো দিয়ে খুব সহজে এই শেলফ তৈরি করে নেওয়া সম্ভব। অথবা এখন অনেক দোকানে প্লাস্টিক বা কাঠের তৈরি স্লিম ইউনিট পাওয়া যায়। সেখানে টয়লেট পেপার, ব্লিচ, ব্রাশ, ক্লিনার ইত্যাদি সহজে গুছিয়ে রাখা যায়।
পুরোনো জিনিস ব্যবহার করুন
বাথরুম স্টোরেজে বেশি খরচ করতে না চাইলে পুরোনো জিনিস; যেমন কাটলারি হোল্ডার, পুরোনো প্লাস্টিক বক্স বা চায়ের কৌটা ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি পুরোনো কাটলারি স্ট্যান্ডে টুথব্রাশ, রেজার ও চিরুনি আলাদা সেকশনে রাখা যায়।
আয়নার পেছনের জায়গা
যাঁরা নতুন করে বাথরুম সংস্কার করছেন, তাঁরা আয়নার পেছনে ইন-বিল্ট ক্যাবিনেট তৈরি করতে পারেন। এটি দেখতে একেবারে সাধারণ আয়নার মতো। কিন্তু তার ভেতরে একাধিক শেলফ থাকে। এতে ওষুধ, কসমেটিকস বা গয়না রাখা যায় নিরাপদে এবং জায়গাও বাঁচে।
নিরাপদ স্টোরেজে থাকুক ওষুধ
এখন অনেকে বাথরুমে ওষুধ রেখে দেন। কিন্তু এটি শিশুরা যেন না পায়, সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। লকযোগ্য কৌটা বা উঁচু শেলফে ওষুধ রাখতে হবে, যাতে প্রয়োজনের সময় সহজে পাওয়া যায় এবং নিরাপদ থাকে।
সূত্র: এমএসএন
আমের মৌসুম শেষের দিকে। আম দিয়ে তৈরি অনেক ধরনের খাবার খাওয়া হলো বিভিন্ন সময়। এবার নতুন কিছু হোক। আমের সঙ্গে জাম্বুরা বা পামেলো আর সাগুর মিশ্রণে তৈরি করতে পারেন এক দারুণ পুডিং। আপনাদের জন্য আম-পোমেলো-সাগুর পুডিংয়ের রেসিপি দিয়েছেন
৭ ঘণ্টা আগেবিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক বাণিজ্যিক পণ্য কফি। তেলের পরেই এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হওয়া পণ্য। প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে ২ বিলিয়নের বেশি কাপ কফি পান করা হয়! কফিকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বহু দেশে তৈরি হয়েছে বিশেষ সংস্কৃতি। সেসবের টুকরো তথ্য মিলবে এই লেখায়।
১০ ঘণ্টা আগেসন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় অনেক অভিভাবক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার সীমিত করার চেষ্টা করেন। তবে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটানোর অভ্যাসই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে মা-বাবা ও সন্তানের পারস্পরিক সম্পর্কে। এমনকি তখনো, যখন অভিভাবকেরা সরাসরি ফোন ব্যবহার করছেন না।
১৩ ঘণ্টা আগেবিদেশে কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা বা পেমেন্ট করার সময় স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধ করাই সাশ্রয়ী ও নিরাপদ উপায়। ডায়নামিক কারেন্সি কনভারশনের ফাঁদে পড়লে খরচ বেড়ে যেতে পারে অযথাই।
১৭ ঘণ্টা আগে