সাম্য রায়
সে বড়ই আজব প্রশ্ন বটে, গ্রিন, হোয়াইট, ইয়েলো নাকি ওলং—কোন চা ভালো? এ প্রশ্নের উত্তর জানার আগে দুধ-চা নিয়ে দু-চারটে কথা শুনে রাখুন, পড়তে শুরু করলে পাবেন তিনখানা রেসিপি, একেবারে ফ্রি।
‘আদর্শ দুধ-চা বানাইবার পদ্ধতি’ বলে পৃথিবীর কোনো দেশেই কোনো নীতি নির্ধারিত হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলে দুধ-চা বানানোর কিছু প্রচলিত পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলো এক নজরে দেখে নেওয়া যায়।
ব্রিটিশরা আমাদের চা খাওয়া শেখালেও দুধ-চায়ের ক্ষেত্রে পরম্পরাগতভাবে ভারতের নাম জুড়ে গেছে। বলা ভালো, উপমহাদেশের নাম। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও, পাকিস্তানের চা কনজাম্পশন (পার ক্যাপিটা) ভারতের চেয়ে অনেক অনেক বেশি! বাংলাদেশও অনেকটা এগিয়ে। আমার ধারণা, বিস্তীর্ণ ভারতের বহু অঞ্চলে সরাসরি ব্রিটিশ সম্পর্ক না থাকায় সেভাবে চা প্রমোট হয়নি। সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের গোঁড়া মানসিকতা। এ বিতর্ক আজ তোলা থাক।
দুধ-চায়ের ইংরেজি মিল্ক-টি হলেও সারা বিশ্বে এটি চাই টি (Chai Tea) নামেই বেশি মান্যতা পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে মূলত ব্ল্যাক টি ব্যবহৃত হয় অর্থোডক্স (পাতা) এবং সিটিসি (দানা চা) উভয়েই।
ব্রিটিশ পদ্ধতি মতে, এক কাপ গরম পানিতে (২০০ এমএল পরিমাণ) আনুমানিক পাঁচ মিনিট এক চা-চামচ বা দুই গ্রাম পরিমাণ চা-পাতা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ছেঁকে নিয়ে চায়ের ঘনত্ব কমাবার জন্য হোয়াইটনার হিসেবে দু-এক চামচ ফ্লেভারহীন দুধ মিশিয়ে নিন। তারপর অবশ্য ‘চিনি ক চামচ?’ জানতে চাওয়ার চল আছে।
এ পর্যন্ত মিল্ক-টি ছিল। চাই টি অবশ্য এ পদ্ধতি মানে না। সেটা বানাবেন কী করে? দুটি উপায়ের কথা বলছি।
দুধ-পানির মিশ্রণ টগবগিয়ে ফুটে উঠলে অল্প আদা (টি মসলাও জোগাড় করতে পারেন), চা-পাতা আর স্বাদ অনুসার চিনি দিয়ে কম আঁচে ফোটাতে থাকুন পাঁচ থেকে সাত মিনিট। লালচে সোনালি রং আসা পর্যন্ত ফোটান। তারপর ছেঁকে নিন।
অবশ্য এই পদ্ধতিতে ইনোভেশন জুড়েছে কিছুটা। আর সেটা হলো মটকা চা। অল্প পোড়া দুধ মিশিয়ে কিংবা মাটির ভাঁড় পুড়িয়ে চায়ে ডুবিয়ে নতুন ফ্লেভার যোগ করা হলো সেই ইনোভেশন। এবার দ্বিতীয় পদ্ধতির কথা বলি।
ছাঁকনিতে অর্থোডক্স অর্থাৎ আমরা সব সময় যে কালো চা খাই, সেই চা কিংবা সিটিসি ডাস্ট নিন। অর্ধেক কাপ গরম দুধের ওপর এক হাতে ওই ছাঁকনি নিয়ে অন্য হাত দিয়ে খুব ধীরে গরম পানি ঢালতে থাকুন। ইনফিউশন গরম দুধে মিশে এক অনন্য আমেজ দেবে। তারপর চিনি মিশিয়ে নিন।
শুনতে সহজ লাগলেও দুধ-চা বানানোর এ পদ্ধতি কঠিন এক সাধনার নাম। খুব পাকা হাত ছাড়া পানির ধারা আর ছাঁকনির ঝাঁকুনি নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল। আচ্ছা, একটি রেসিপি ফ্রি দিয়ে দিই, কী বলেন? তিন নম্বর সে রেসিপি হলো—
একটু বড় কাপড়ের ছাঁকনিতে চা-পাতা নিয়ে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে দিন। ইনফিউশন হতে থাকুক… হতে থাকুক...। তিন-চতুর্থাংশ গরম দুধে ওই নিকষ কালো ইনফিউশন মিশিয়ে ‘আন্না স্টাইলে’ ওপর থেকে ঢেলে ফেনা তৈরি করুন। এ পদ্ধতি ভাষায় বর্ণনা প্রায় অসম্ভব। ইউটিউব কিংবা দক্ষিণ ভারতের কোনো টি স্টলে ‘আন্না চায়া কুরু’ বলে চাক্ষুষ করতে পারেন।
দুধ-চা তো হলো। এবার দুধ ছাড়া চায়ের কথা বলি। এ ধরনের চাকে হালে বহু নামে ডাকা হয়।
চা মূলত তিন প্রকার।
হারবাল বা ফ্লেভার টি: এ ধরনের চায়ে চাগাছ বা ক্যামেলিয়া সিনেনসিসের পাতা বা কুঁড়ি কোনো কিছুই ব্যবহৃত হয় না। যেমন, ব্লু টি, রোজ পেটাল, ক্যামোমিল, হিবিস্কাস, লেমন গ্রাস ইত্যাদি।
চা: চাগাছ বা ক্যামেলিয়া সিনেনসিসের পাতা কুঁড়ি দিয়ে তৈরি চা। যেমন গ্রিন, ইয়েলো, ওলং, ব্ল্যাক কিংবা হোয়াইট টি।
ব্লেন্ড টি: ওপরের দুই ধরনের চায়ের মিশ্রণে তৈরি চা।
হারবাল টি বানাবার পদ্ধতি, সেবন বিধি আর ওষধি গুণাগুণের জন্য এটিকে চায়ের মধ্যে ধরা হয়। অনেকেই মনে করেন, ‘চা হলো বেগুন, খেতে ভালো, তাই খাই’। মজা হলো, ওষধি গুণ না থাকলে চায়ের প্রচলনই হতো কি না সন্দেহ আছে। সেই ১৫০০ সাল নাগাদ চৈনিক সাধু-সন্ন্যাসীরা এটি ওষধি হিসেবেই সেবন করতেন। শোনা যায়, কোনো এক চৈনিক রাজাকে বিষক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এক সাধু— কেবল চা খাইয়ে! সেই থেকে রাজরাজড়াদের চা খাওয়ার শুরু।
বৌদ্ধভিক্ষুদের হাত ধরে চায়ের প্রচলন শুরু হয়। ১৭০০ সাল নাগাদ ব্রিটিশরা চায়ের ভক্ত হয়ে পড়ে। সে চা ছিল মূলত ব্ল্যাক টি। এরপর ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে চা নামের বস্তুটি।
চায়ের বিভিন্ন রকমভেদ নির্ভর করে এটি প্রসেসের ওপর ভিত্তি করে। প্রথম ভাগটা হলো, রোদ-হাওয়ায় কাঁচা পাতা শুকানো আর না শুকানো। রোদ-হাওয়া না খাওয়া পাতা দিয়ে তৈরি হয় গ্রিন আর ইয়েলো টি। গ্রিন টি বানাবার সময়ে অতিরিক্ত গরম করলে এর গ্রাসি ফ্লেভারটা বেরিয়ে যায়। চায়ের রংটাও সবুজাভ থেকে হলদেটে হয়ে আসে। এভাবে তৈরি হয় ইয়েলো টি।
কাঁচা পাতা রোদ-হাওয়া লাগার পরে বেক আর সফট রোলিংয়ে তৈরি হয় হোয়াইট টি। খুব, মানে খুবই উন্নতমানের পাতা (মূলত কুঁড়ি আর সবচেয়ে ওপরের নরম পাতা) দিয়ে খুব নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে এই দুর্লভ চা তৈরি হয়।
পারশিয়াল অক্সিডেসনের পরে বেকিং কিংবা প্যান ফ্রাইংয়ের মাধ্যমে তৈরি হয় ওলং চা। এটি চীনাদের সবচেয়ে পছন্দের চা। এর গুণগত মান সবচেয়ে বেশি। দুর্জনে রটিয়েছে, এই চা খেয়ে খেয়েই নাকি চীনের হৃদয় এত পোক্ত!
ফুল ফর্মেন্টেশনের মাধ্যমে তৈরি হয় ব্ল্যাক টি। এটি ব্রিটিশদের সবচেয়ে প্রিয় হিসেবে উপমহাদেশ তথা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে।
সে বড়ই আজব প্রশ্ন বটে, গ্রিন, হোয়াইট, ইয়েলো নাকি ওলং—কোন চা ভালো? এ প্রশ্নের উত্তর জানার আগে দুধ-চা নিয়ে দু-চারটে কথা শুনে রাখুন, পড়তে শুরু করলে পাবেন তিনখানা রেসিপি, একেবারে ফ্রি।
‘আদর্শ দুধ-চা বানাইবার পদ্ধতি’ বলে পৃথিবীর কোনো দেশেই কোনো নীতি নির্ধারিত হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলে দুধ-চা বানানোর কিছু প্রচলিত পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলো এক নজরে দেখে নেওয়া যায়।
ব্রিটিশরা আমাদের চা খাওয়া শেখালেও দুধ-চায়ের ক্ষেত্রে পরম্পরাগতভাবে ভারতের নাম জুড়ে গেছে। বলা ভালো, উপমহাদেশের নাম। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও, পাকিস্তানের চা কনজাম্পশন (পার ক্যাপিটা) ভারতের চেয়ে অনেক অনেক বেশি! বাংলাদেশও অনেকটা এগিয়ে। আমার ধারণা, বিস্তীর্ণ ভারতের বহু অঞ্চলে সরাসরি ব্রিটিশ সম্পর্ক না থাকায় সেভাবে চা প্রমোট হয়নি। সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের গোঁড়া মানসিকতা। এ বিতর্ক আজ তোলা থাক।
দুধ-চায়ের ইংরেজি মিল্ক-টি হলেও সারা বিশ্বে এটি চাই টি (Chai Tea) নামেই বেশি মান্যতা পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে মূলত ব্ল্যাক টি ব্যবহৃত হয় অর্থোডক্স (পাতা) এবং সিটিসি (দানা চা) উভয়েই।
ব্রিটিশ পদ্ধতি মতে, এক কাপ গরম পানিতে (২০০ এমএল পরিমাণ) আনুমানিক পাঁচ মিনিট এক চা-চামচ বা দুই গ্রাম পরিমাণ চা-পাতা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ছেঁকে নিয়ে চায়ের ঘনত্ব কমাবার জন্য হোয়াইটনার হিসেবে দু-এক চামচ ফ্লেভারহীন দুধ মিশিয়ে নিন। তারপর অবশ্য ‘চিনি ক চামচ?’ জানতে চাওয়ার চল আছে।
এ পর্যন্ত মিল্ক-টি ছিল। চাই টি অবশ্য এ পদ্ধতি মানে না। সেটা বানাবেন কী করে? দুটি উপায়ের কথা বলছি।
দুধ-পানির মিশ্রণ টগবগিয়ে ফুটে উঠলে অল্প আদা (টি মসলাও জোগাড় করতে পারেন), চা-পাতা আর স্বাদ অনুসার চিনি দিয়ে কম আঁচে ফোটাতে থাকুন পাঁচ থেকে সাত মিনিট। লালচে সোনালি রং আসা পর্যন্ত ফোটান। তারপর ছেঁকে নিন।
অবশ্য এই পদ্ধতিতে ইনোভেশন জুড়েছে কিছুটা। আর সেটা হলো মটকা চা। অল্প পোড়া দুধ মিশিয়ে কিংবা মাটির ভাঁড় পুড়িয়ে চায়ে ডুবিয়ে নতুন ফ্লেভার যোগ করা হলো সেই ইনোভেশন। এবার দ্বিতীয় পদ্ধতির কথা বলি।
ছাঁকনিতে অর্থোডক্স অর্থাৎ আমরা সব সময় যে কালো চা খাই, সেই চা কিংবা সিটিসি ডাস্ট নিন। অর্ধেক কাপ গরম দুধের ওপর এক হাতে ওই ছাঁকনি নিয়ে অন্য হাত দিয়ে খুব ধীরে গরম পানি ঢালতে থাকুন। ইনফিউশন গরম দুধে মিশে এক অনন্য আমেজ দেবে। তারপর চিনি মিশিয়ে নিন।
শুনতে সহজ লাগলেও দুধ-চা বানানোর এ পদ্ধতি কঠিন এক সাধনার নাম। খুব পাকা হাত ছাড়া পানির ধারা আর ছাঁকনির ঝাঁকুনি নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল। আচ্ছা, একটি রেসিপি ফ্রি দিয়ে দিই, কী বলেন? তিন নম্বর সে রেসিপি হলো—
একটু বড় কাপড়ের ছাঁকনিতে চা-পাতা নিয়ে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে দিন। ইনফিউশন হতে থাকুক… হতে থাকুক...। তিন-চতুর্থাংশ গরম দুধে ওই নিকষ কালো ইনফিউশন মিশিয়ে ‘আন্না স্টাইলে’ ওপর থেকে ঢেলে ফেনা তৈরি করুন। এ পদ্ধতি ভাষায় বর্ণনা প্রায় অসম্ভব। ইউটিউব কিংবা দক্ষিণ ভারতের কোনো টি স্টলে ‘আন্না চায়া কুরু’ বলে চাক্ষুষ করতে পারেন।
দুধ-চা তো হলো। এবার দুধ ছাড়া চায়ের কথা বলি। এ ধরনের চাকে হালে বহু নামে ডাকা হয়।
চা মূলত তিন প্রকার।
হারবাল বা ফ্লেভার টি: এ ধরনের চায়ে চাগাছ বা ক্যামেলিয়া সিনেনসিসের পাতা বা কুঁড়ি কোনো কিছুই ব্যবহৃত হয় না। যেমন, ব্লু টি, রোজ পেটাল, ক্যামোমিল, হিবিস্কাস, লেমন গ্রাস ইত্যাদি।
চা: চাগাছ বা ক্যামেলিয়া সিনেনসিসের পাতা কুঁড়ি দিয়ে তৈরি চা। যেমন গ্রিন, ইয়েলো, ওলং, ব্ল্যাক কিংবা হোয়াইট টি।
ব্লেন্ড টি: ওপরের দুই ধরনের চায়ের মিশ্রণে তৈরি চা।
হারবাল টি বানাবার পদ্ধতি, সেবন বিধি আর ওষধি গুণাগুণের জন্য এটিকে চায়ের মধ্যে ধরা হয়। অনেকেই মনে করেন, ‘চা হলো বেগুন, খেতে ভালো, তাই খাই’। মজা হলো, ওষধি গুণ না থাকলে চায়ের প্রচলনই হতো কি না সন্দেহ আছে। সেই ১৫০০ সাল নাগাদ চৈনিক সাধু-সন্ন্যাসীরা এটি ওষধি হিসেবেই সেবন করতেন। শোনা যায়, কোনো এক চৈনিক রাজাকে বিষক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এক সাধু— কেবল চা খাইয়ে! সেই থেকে রাজরাজড়াদের চা খাওয়ার শুরু।
বৌদ্ধভিক্ষুদের হাত ধরে চায়ের প্রচলন শুরু হয়। ১৭০০ সাল নাগাদ ব্রিটিশরা চায়ের ভক্ত হয়ে পড়ে। সে চা ছিল মূলত ব্ল্যাক টি। এরপর ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে চা নামের বস্তুটি।
চায়ের বিভিন্ন রকমভেদ নির্ভর করে এটি প্রসেসের ওপর ভিত্তি করে। প্রথম ভাগটা হলো, রোদ-হাওয়ায় কাঁচা পাতা শুকানো আর না শুকানো। রোদ-হাওয়া না খাওয়া পাতা দিয়ে তৈরি হয় গ্রিন আর ইয়েলো টি। গ্রিন টি বানাবার সময়ে অতিরিক্ত গরম করলে এর গ্রাসি ফ্লেভারটা বেরিয়ে যায়। চায়ের রংটাও সবুজাভ থেকে হলদেটে হয়ে আসে। এভাবে তৈরি হয় ইয়েলো টি।
কাঁচা পাতা রোদ-হাওয়া লাগার পরে বেক আর সফট রোলিংয়ে তৈরি হয় হোয়াইট টি। খুব, মানে খুবই উন্নতমানের পাতা (মূলত কুঁড়ি আর সবচেয়ে ওপরের নরম পাতা) দিয়ে খুব নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে এই দুর্লভ চা তৈরি হয়।
পারশিয়াল অক্সিডেসনের পরে বেকিং কিংবা প্যান ফ্রাইংয়ের মাধ্যমে তৈরি হয় ওলং চা। এটি চীনাদের সবচেয়ে পছন্দের চা। এর গুণগত মান সবচেয়ে বেশি। দুর্জনে রটিয়েছে, এই চা খেয়ে খেয়েই নাকি চীনের হৃদয় এত পোক্ত!
ফুল ফর্মেন্টেশনের মাধ্যমে তৈরি হয় ব্ল্যাক টি। এটি ব্রিটিশদের সবচেয়ে প্রিয় হিসেবে উপমহাদেশ তথা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে।
সাম্য রায়
সে বড়ই আজব প্রশ্ন বটে, গ্রিন, হোয়াইট, ইয়েলো নাকি ওলং—কোন চা ভালো? এ প্রশ্নের উত্তর জানার আগে দুধ-চা নিয়ে দু-চারটে কথা শুনে রাখুন, পড়তে শুরু করলে পাবেন তিনখানা রেসিপি, একেবারে ফ্রি।
‘আদর্শ দুধ-চা বানাইবার পদ্ধতি’ বলে পৃথিবীর কোনো দেশেই কোনো নীতি নির্ধারিত হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলে দুধ-চা বানানোর কিছু প্রচলিত পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলো এক নজরে দেখে নেওয়া যায়।
ব্রিটিশরা আমাদের চা খাওয়া শেখালেও দুধ-চায়ের ক্ষেত্রে পরম্পরাগতভাবে ভারতের নাম জুড়ে গেছে। বলা ভালো, উপমহাদেশের নাম। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও, পাকিস্তানের চা কনজাম্পশন (পার ক্যাপিটা) ভারতের চেয়ে অনেক অনেক বেশি! বাংলাদেশও অনেকটা এগিয়ে। আমার ধারণা, বিস্তীর্ণ ভারতের বহু অঞ্চলে সরাসরি ব্রিটিশ সম্পর্ক না থাকায় সেভাবে চা প্রমোট হয়নি। সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের গোঁড়া মানসিকতা। এ বিতর্ক আজ তোলা থাক।
দুধ-চায়ের ইংরেজি মিল্ক-টি হলেও সারা বিশ্বে এটি চাই টি (Chai Tea) নামেই বেশি মান্যতা পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে মূলত ব্ল্যাক টি ব্যবহৃত হয় অর্থোডক্স (পাতা) এবং সিটিসি (দানা চা) উভয়েই।
ব্রিটিশ পদ্ধতি মতে, এক কাপ গরম পানিতে (২০০ এমএল পরিমাণ) আনুমানিক পাঁচ মিনিট এক চা-চামচ বা দুই গ্রাম পরিমাণ চা-পাতা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ছেঁকে নিয়ে চায়ের ঘনত্ব কমাবার জন্য হোয়াইটনার হিসেবে দু-এক চামচ ফ্লেভারহীন দুধ মিশিয়ে নিন। তারপর অবশ্য ‘চিনি ক চামচ?’ জানতে চাওয়ার চল আছে।
এ পর্যন্ত মিল্ক-টি ছিল। চাই টি অবশ্য এ পদ্ধতি মানে না। সেটা বানাবেন কী করে? দুটি উপায়ের কথা বলছি।
দুধ-পানির মিশ্রণ টগবগিয়ে ফুটে উঠলে অল্প আদা (টি মসলাও জোগাড় করতে পারেন), চা-পাতা আর স্বাদ অনুসার চিনি দিয়ে কম আঁচে ফোটাতে থাকুন পাঁচ থেকে সাত মিনিট। লালচে সোনালি রং আসা পর্যন্ত ফোটান। তারপর ছেঁকে নিন।
অবশ্য এই পদ্ধতিতে ইনোভেশন জুড়েছে কিছুটা। আর সেটা হলো মটকা চা। অল্প পোড়া দুধ মিশিয়ে কিংবা মাটির ভাঁড় পুড়িয়ে চায়ে ডুবিয়ে নতুন ফ্লেভার যোগ করা হলো সেই ইনোভেশন। এবার দ্বিতীয় পদ্ধতির কথা বলি।
ছাঁকনিতে অর্থোডক্স অর্থাৎ আমরা সব সময় যে কালো চা খাই, সেই চা কিংবা সিটিসি ডাস্ট নিন। অর্ধেক কাপ গরম দুধের ওপর এক হাতে ওই ছাঁকনি নিয়ে অন্য হাত দিয়ে খুব ধীরে গরম পানি ঢালতে থাকুন। ইনফিউশন গরম দুধে মিশে এক অনন্য আমেজ দেবে। তারপর চিনি মিশিয়ে নিন।
শুনতে সহজ লাগলেও দুধ-চা বানানোর এ পদ্ধতি কঠিন এক সাধনার নাম। খুব পাকা হাত ছাড়া পানির ধারা আর ছাঁকনির ঝাঁকুনি নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল। আচ্ছা, একটি রেসিপি ফ্রি দিয়ে দিই, কী বলেন? তিন নম্বর সে রেসিপি হলো—
একটু বড় কাপড়ের ছাঁকনিতে চা-পাতা নিয়ে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে দিন। ইনফিউশন হতে থাকুক… হতে থাকুক...। তিন-চতুর্থাংশ গরম দুধে ওই নিকষ কালো ইনফিউশন মিশিয়ে ‘আন্না স্টাইলে’ ওপর থেকে ঢেলে ফেনা তৈরি করুন। এ পদ্ধতি ভাষায় বর্ণনা প্রায় অসম্ভব। ইউটিউব কিংবা দক্ষিণ ভারতের কোনো টি স্টলে ‘আন্না চায়া কুরু’ বলে চাক্ষুষ করতে পারেন।
দুধ-চা তো হলো। এবার দুধ ছাড়া চায়ের কথা বলি। এ ধরনের চাকে হালে বহু নামে ডাকা হয়।
চা মূলত তিন প্রকার।
হারবাল বা ফ্লেভার টি: এ ধরনের চায়ে চাগাছ বা ক্যামেলিয়া সিনেনসিসের পাতা বা কুঁড়ি কোনো কিছুই ব্যবহৃত হয় না। যেমন, ব্লু টি, রোজ পেটাল, ক্যামোমিল, হিবিস্কাস, লেমন গ্রাস ইত্যাদি।
চা: চাগাছ বা ক্যামেলিয়া সিনেনসিসের পাতা কুঁড়ি দিয়ে তৈরি চা। যেমন গ্রিন, ইয়েলো, ওলং, ব্ল্যাক কিংবা হোয়াইট টি।
ব্লেন্ড টি: ওপরের দুই ধরনের চায়ের মিশ্রণে তৈরি চা।
হারবাল টি বানাবার পদ্ধতি, সেবন বিধি আর ওষধি গুণাগুণের জন্য এটিকে চায়ের মধ্যে ধরা হয়। অনেকেই মনে করেন, ‘চা হলো বেগুন, খেতে ভালো, তাই খাই’। মজা হলো, ওষধি গুণ না থাকলে চায়ের প্রচলনই হতো কি না সন্দেহ আছে। সেই ১৫০০ সাল নাগাদ চৈনিক সাধু-সন্ন্যাসীরা এটি ওষধি হিসেবেই সেবন করতেন। শোনা যায়, কোনো এক চৈনিক রাজাকে বিষক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এক সাধু— কেবল চা খাইয়ে! সেই থেকে রাজরাজড়াদের চা খাওয়ার শুরু।
বৌদ্ধভিক্ষুদের হাত ধরে চায়ের প্রচলন শুরু হয়। ১৭০০ সাল নাগাদ ব্রিটিশরা চায়ের ভক্ত হয়ে পড়ে। সে চা ছিল মূলত ব্ল্যাক টি। এরপর ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে চা নামের বস্তুটি।
চায়ের বিভিন্ন রকমভেদ নির্ভর করে এটি প্রসেসের ওপর ভিত্তি করে। প্রথম ভাগটা হলো, রোদ-হাওয়ায় কাঁচা পাতা শুকানো আর না শুকানো। রোদ-হাওয়া না খাওয়া পাতা দিয়ে তৈরি হয় গ্রিন আর ইয়েলো টি। গ্রিন টি বানাবার সময়ে অতিরিক্ত গরম করলে এর গ্রাসি ফ্লেভারটা বেরিয়ে যায়। চায়ের রংটাও সবুজাভ থেকে হলদেটে হয়ে আসে। এভাবে তৈরি হয় ইয়েলো টি।
কাঁচা পাতা রোদ-হাওয়া লাগার পরে বেক আর সফট রোলিংয়ে তৈরি হয় হোয়াইট টি। খুব, মানে খুবই উন্নতমানের পাতা (মূলত কুঁড়ি আর সবচেয়ে ওপরের নরম পাতা) দিয়ে খুব নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে এই দুর্লভ চা তৈরি হয়।
পারশিয়াল অক্সিডেসনের পরে বেকিং কিংবা প্যান ফ্রাইংয়ের মাধ্যমে তৈরি হয় ওলং চা। এটি চীনাদের সবচেয়ে পছন্দের চা। এর গুণগত মান সবচেয়ে বেশি। দুর্জনে রটিয়েছে, এই চা খেয়ে খেয়েই নাকি চীনের হৃদয় এত পোক্ত!
ফুল ফর্মেন্টেশনের মাধ্যমে তৈরি হয় ব্ল্যাক টি। এটি ব্রিটিশদের সবচেয়ে প্রিয় হিসেবে উপমহাদেশ তথা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে।
সে বড়ই আজব প্রশ্ন বটে, গ্রিন, হোয়াইট, ইয়েলো নাকি ওলং—কোন চা ভালো? এ প্রশ্নের উত্তর জানার আগে দুধ-চা নিয়ে দু-চারটে কথা শুনে রাখুন, পড়তে শুরু করলে পাবেন তিনখানা রেসিপি, একেবারে ফ্রি।
‘আদর্শ দুধ-চা বানাইবার পদ্ধতি’ বলে পৃথিবীর কোনো দেশেই কোনো নীতি নির্ধারিত হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলে দুধ-চা বানানোর কিছু প্রচলিত পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলো এক নজরে দেখে নেওয়া যায়।
ব্রিটিশরা আমাদের চা খাওয়া শেখালেও দুধ-চায়ের ক্ষেত্রে পরম্পরাগতভাবে ভারতের নাম জুড়ে গেছে। বলা ভালো, উপমহাদেশের নাম। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও, পাকিস্তানের চা কনজাম্পশন (পার ক্যাপিটা) ভারতের চেয়ে অনেক অনেক বেশি! বাংলাদেশও অনেকটা এগিয়ে। আমার ধারণা, বিস্তীর্ণ ভারতের বহু অঞ্চলে সরাসরি ব্রিটিশ সম্পর্ক না থাকায় সেভাবে চা প্রমোট হয়নি। সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের গোঁড়া মানসিকতা। এ বিতর্ক আজ তোলা থাক।
দুধ-চায়ের ইংরেজি মিল্ক-টি হলেও সারা বিশ্বে এটি চাই টি (Chai Tea) নামেই বেশি মান্যতা পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে মূলত ব্ল্যাক টি ব্যবহৃত হয় অর্থোডক্স (পাতা) এবং সিটিসি (দানা চা) উভয়েই।
ব্রিটিশ পদ্ধতি মতে, এক কাপ গরম পানিতে (২০০ এমএল পরিমাণ) আনুমানিক পাঁচ মিনিট এক চা-চামচ বা দুই গ্রাম পরিমাণ চা-পাতা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ছেঁকে নিয়ে চায়ের ঘনত্ব কমাবার জন্য হোয়াইটনার হিসেবে দু-এক চামচ ফ্লেভারহীন দুধ মিশিয়ে নিন। তারপর অবশ্য ‘চিনি ক চামচ?’ জানতে চাওয়ার চল আছে।
এ পর্যন্ত মিল্ক-টি ছিল। চাই টি অবশ্য এ পদ্ধতি মানে না। সেটা বানাবেন কী করে? দুটি উপায়ের কথা বলছি।
দুধ-পানির মিশ্রণ টগবগিয়ে ফুটে উঠলে অল্প আদা (টি মসলাও জোগাড় করতে পারেন), চা-পাতা আর স্বাদ অনুসার চিনি দিয়ে কম আঁচে ফোটাতে থাকুন পাঁচ থেকে সাত মিনিট। লালচে সোনালি রং আসা পর্যন্ত ফোটান। তারপর ছেঁকে নিন।
অবশ্য এই পদ্ধতিতে ইনোভেশন জুড়েছে কিছুটা। আর সেটা হলো মটকা চা। অল্প পোড়া দুধ মিশিয়ে কিংবা মাটির ভাঁড় পুড়িয়ে চায়ে ডুবিয়ে নতুন ফ্লেভার যোগ করা হলো সেই ইনোভেশন। এবার দ্বিতীয় পদ্ধতির কথা বলি।
ছাঁকনিতে অর্থোডক্স অর্থাৎ আমরা সব সময় যে কালো চা খাই, সেই চা কিংবা সিটিসি ডাস্ট নিন। অর্ধেক কাপ গরম দুধের ওপর এক হাতে ওই ছাঁকনি নিয়ে অন্য হাত দিয়ে খুব ধীরে গরম পানি ঢালতে থাকুন। ইনফিউশন গরম দুধে মিশে এক অনন্য আমেজ দেবে। তারপর চিনি মিশিয়ে নিন।
শুনতে সহজ লাগলেও দুধ-চা বানানোর এ পদ্ধতি কঠিন এক সাধনার নাম। খুব পাকা হাত ছাড়া পানির ধারা আর ছাঁকনির ঝাঁকুনি নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল। আচ্ছা, একটি রেসিপি ফ্রি দিয়ে দিই, কী বলেন? তিন নম্বর সে রেসিপি হলো—
একটু বড় কাপড়ের ছাঁকনিতে চা-পাতা নিয়ে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে দিন। ইনফিউশন হতে থাকুক… হতে থাকুক...। তিন-চতুর্থাংশ গরম দুধে ওই নিকষ কালো ইনফিউশন মিশিয়ে ‘আন্না স্টাইলে’ ওপর থেকে ঢেলে ফেনা তৈরি করুন। এ পদ্ধতি ভাষায় বর্ণনা প্রায় অসম্ভব। ইউটিউব কিংবা দক্ষিণ ভারতের কোনো টি স্টলে ‘আন্না চায়া কুরু’ বলে চাক্ষুষ করতে পারেন।
দুধ-চা তো হলো। এবার দুধ ছাড়া চায়ের কথা বলি। এ ধরনের চাকে হালে বহু নামে ডাকা হয়।
চা মূলত তিন প্রকার।
হারবাল বা ফ্লেভার টি: এ ধরনের চায়ে চাগাছ বা ক্যামেলিয়া সিনেনসিসের পাতা বা কুঁড়ি কোনো কিছুই ব্যবহৃত হয় না। যেমন, ব্লু টি, রোজ পেটাল, ক্যামোমিল, হিবিস্কাস, লেমন গ্রাস ইত্যাদি।
চা: চাগাছ বা ক্যামেলিয়া সিনেনসিসের পাতা কুঁড়ি দিয়ে তৈরি চা। যেমন গ্রিন, ইয়েলো, ওলং, ব্ল্যাক কিংবা হোয়াইট টি।
ব্লেন্ড টি: ওপরের দুই ধরনের চায়ের মিশ্রণে তৈরি চা।
হারবাল টি বানাবার পদ্ধতি, সেবন বিধি আর ওষধি গুণাগুণের জন্য এটিকে চায়ের মধ্যে ধরা হয়। অনেকেই মনে করেন, ‘চা হলো বেগুন, খেতে ভালো, তাই খাই’। মজা হলো, ওষধি গুণ না থাকলে চায়ের প্রচলনই হতো কি না সন্দেহ আছে। সেই ১৫০০ সাল নাগাদ চৈনিক সাধু-সন্ন্যাসীরা এটি ওষধি হিসেবেই সেবন করতেন। শোনা যায়, কোনো এক চৈনিক রাজাকে বিষক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এক সাধু— কেবল চা খাইয়ে! সেই থেকে রাজরাজড়াদের চা খাওয়ার শুরু।
বৌদ্ধভিক্ষুদের হাত ধরে চায়ের প্রচলন শুরু হয়। ১৭০০ সাল নাগাদ ব্রিটিশরা চায়ের ভক্ত হয়ে পড়ে। সে চা ছিল মূলত ব্ল্যাক টি। এরপর ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে চা নামের বস্তুটি।
চায়ের বিভিন্ন রকমভেদ নির্ভর করে এটি প্রসেসের ওপর ভিত্তি করে। প্রথম ভাগটা হলো, রোদ-হাওয়ায় কাঁচা পাতা শুকানো আর না শুকানো। রোদ-হাওয়া না খাওয়া পাতা দিয়ে তৈরি হয় গ্রিন আর ইয়েলো টি। গ্রিন টি বানাবার সময়ে অতিরিক্ত গরম করলে এর গ্রাসি ফ্লেভারটা বেরিয়ে যায়। চায়ের রংটাও সবুজাভ থেকে হলদেটে হয়ে আসে। এভাবে তৈরি হয় ইয়েলো টি।
কাঁচা পাতা রোদ-হাওয়া লাগার পরে বেক আর সফট রোলিংয়ে তৈরি হয় হোয়াইট টি। খুব, মানে খুবই উন্নতমানের পাতা (মূলত কুঁড়ি আর সবচেয়ে ওপরের নরম পাতা) দিয়ে খুব নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে এই দুর্লভ চা তৈরি হয়।
পারশিয়াল অক্সিডেসনের পরে বেকিং কিংবা প্যান ফ্রাইংয়ের মাধ্যমে তৈরি হয় ওলং চা। এটি চীনাদের সবচেয়ে পছন্দের চা। এর গুণগত মান সবচেয়ে বেশি। দুর্জনে রটিয়েছে, এই চা খেয়ে খেয়েই নাকি চীনের হৃদয় এত পোক্ত!
ফুল ফর্মেন্টেশনের মাধ্যমে তৈরি হয় ব্ল্যাক টি। এটি ব্রিটিশদের সবচেয়ে প্রিয় হিসেবে উপমহাদেশ তথা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে।
জাপান শিগগির বিদেশি পর্যটকদের জন্য ব্যয়বহুল গন্তব্যে পরিণত হতে পারে। কারণ, প্রায় ৪৮ বছর পর দেশটির সরকার ভিসা ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়া জানিয়েছেন, বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভিসা ফি বাড়ালে পর্যটনে কী প্রভাব পড়তে পারে, কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখছে। অন্যান্য দেশের ভি
১ ঘণ্টা আগেসবুজ বন, বালুকাময় সৈকত এবং শতাব্দীপ্রাচীন সমুদ্র-বাণিজ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাসের কারণে শ্রীলঙ্কা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য। খুব কম সময় হাতে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে যাওয়ার কথা ভাবাই উচিত নয়। সমুদ্রসৈকত, সার্ফিং বিচ, বন্য প্রাণীতে ভরা জাতীয় উদ্যান, এশিয়ার উল্লেখযোগ্য মন্দির, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষসহ...
২ ঘণ্টা আগেআপনার সন্তান সব সময় নিজের মতো থাকতে ভালোবাসে? দীর্ঘ সময় একা থাকতেও তার খারাপ লাগে না? অন্য শিশুদের মতো ভিড়ের মধ্য়ে ছোটাছুটি তার পছন্দ নয়? বারবার প্রশ্ন করে কোনো কিছু জানার চেয়ে নিজেই পর্যবেক্ষণ করে জানতে বেশি আরাম পায়? একটা ‘ছড়া বল’ বললেই ঘরভর্তি লোকের সামনে আবৃত্তি করতে তার অস্বস্তি রয়েছে?...
২ ঘণ্টা আগেএই বছরের হেনলি ওপেননেস ইনডেক্সে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পূর্ব তিমুর বা টিমোর-লেস্তে এবং কম্বোডিয়া জায়গা করে নিয়েছে। এই দুটি দেশে যেতে বিশ্বের শত শত দেশ এবং অঞ্চলের নাগরিকদের ভিসার প্রয়োজন নেই।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
জাপান শিগগির বিদেশি পর্যটকদের জন্য ব্যয়বহুল গন্তব্যে পরিণত হতে পারে। কারণ, প্রায় ৪৮ বছর পর দেশটির সরকার ভিসা ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়া জানিয়েছেন, বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভিসা ফি বাড়ালে পর্যটনে কী প্রভাব পড়তে পারে, কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখছে। অন্যান্য দেশের ভিসা ফি এবং বর্তমান পরিস্থিতিও তাঁরা বিবেচনায় রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে জাপানের ভিসা ফি অনেক কম।
এখন জাপানের একক এন্ট্রি ভিসার
ফি বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ১ হাজার ৭০০ টাকা। মাল্টিপল ভিসা ফি প্রায় ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অধিকাংশ দেশের ভিসা ফির তুলনায় অনেক কম। জি-সেভেন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার গড় ভিসা চার্জের তুলনায় জাপানের ফি এখনো অনেক নিচে।
চলতি সময়ে জাপানে পর্যটকের ভিড় বেড়েছে ব্যাপক। এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩১ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক জাপান ভ্রমণ করেছে। এটি ২০২৪ সালের একই সময়ের চেয়ে ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এ বছরের শেষ নাগাদ দেশটিতে পর্যটকের সংখ্যা ৪০ মিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাবে।
ভিসা ফি বাড়ানোর পাশাপাশি জাপান ‘ডিপারচার ট্যাক্স’ বা আন্তর্জাতিক পর্যটক
ফি বাড়ানোর বিষয় নিয়েও ভাবছে। বর্তমানে এর পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০৫ টাকা। জাপানি নাগরিক ও বিদেশি পর্যটক উভয়কেই এই ফি দিতে হয়। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে জাপানে ভ্রমণ তুলনামূলক ব্যয়বহুল হতে পারে। কারণ, প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত হলে বিদেশি পর্যটকদের জাপানে প্রবেশ করতে এখনকার চেয়ে বেশি ব্যয় করতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিবর্তন দেশের পর্যটনশিল্পকে দুর্বল করবে না। জাপানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ইতিহাস ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধার কারণে পর্যটকেরা সব সময় দেশটি ভ্রমণে আগ্রহী থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জাপানের বিশ্বমানের পর্যটন অভিজ্ঞতা ও নিরাপদ পরিবেশের কারণে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়বে। এর পাশাপাশি, পর্যটন থেকে পাওয়া রাজস্বও বাড়বে, যা দেশটির জাতীয় অর্থনীতি ও পরিষেবা খাতকে আরও বড় করবে। ফলে জাপান অন্য অনেক দেশের মতো ব্যয়বহুল হলেও পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দে ঘাটতি পড়বে না।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
জাপান শিগগির বিদেশি পর্যটকদের জন্য ব্যয়বহুল গন্তব্যে পরিণত হতে পারে। কারণ, প্রায় ৪৮ বছর পর দেশটির সরকার ভিসা ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়া জানিয়েছেন, বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভিসা ফি বাড়ালে পর্যটনে কী প্রভাব পড়তে পারে, কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখছে। অন্যান্য দেশের ভিসা ফি এবং বর্তমান পরিস্থিতিও তাঁরা বিবেচনায় রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে জাপানের ভিসা ফি অনেক কম।
এখন জাপানের একক এন্ট্রি ভিসার
ফি বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ১ হাজার ৭০০ টাকা। মাল্টিপল ভিসা ফি প্রায় ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অধিকাংশ দেশের ভিসা ফির তুলনায় অনেক কম। জি-সেভেন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার গড় ভিসা চার্জের তুলনায় জাপানের ফি এখনো অনেক নিচে।
চলতি সময়ে জাপানে পর্যটকের ভিড় বেড়েছে ব্যাপক। এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩১ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক জাপান ভ্রমণ করেছে। এটি ২০২৪ সালের একই সময়ের চেয়ে ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এ বছরের শেষ নাগাদ দেশটিতে পর্যটকের সংখ্যা ৪০ মিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাবে।
ভিসা ফি বাড়ানোর পাশাপাশি জাপান ‘ডিপারচার ট্যাক্স’ বা আন্তর্জাতিক পর্যটক
ফি বাড়ানোর বিষয় নিয়েও ভাবছে। বর্তমানে এর পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০৫ টাকা। জাপানি নাগরিক ও বিদেশি পর্যটক উভয়কেই এই ফি দিতে হয়। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে জাপানে ভ্রমণ তুলনামূলক ব্যয়বহুল হতে পারে। কারণ, প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত হলে বিদেশি পর্যটকদের জাপানে প্রবেশ করতে এখনকার চেয়ে বেশি ব্যয় করতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিবর্তন দেশের পর্যটনশিল্পকে দুর্বল করবে না। জাপানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ইতিহাস ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধার কারণে পর্যটকেরা সব সময় দেশটি ভ্রমণে আগ্রহী থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জাপানের বিশ্বমানের পর্যটন অভিজ্ঞতা ও নিরাপদ পরিবেশের কারণে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়বে। এর পাশাপাশি, পর্যটন থেকে পাওয়া রাজস্বও বাড়বে, যা দেশটির জাতীয় অর্থনীতি ও পরিষেবা খাতকে আরও বড় করবে। ফলে জাপান অন্য অনেক দেশের মতো ব্যয়বহুল হলেও পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দে ঘাটতি পড়বে না।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
আজ বিশ্ব চা দিবস। এ দিবসে চা নিয়ে কিছু কথা জেনে নিন।
২১ মে ২০২৪সবুজ বন, বালুকাময় সৈকত এবং শতাব্দীপ্রাচীন সমুদ্র-বাণিজ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাসের কারণে শ্রীলঙ্কা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য। খুব কম সময় হাতে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে যাওয়ার কথা ভাবাই উচিত নয়। সমুদ্রসৈকত, সার্ফিং বিচ, বন্য প্রাণীতে ভরা জাতীয় উদ্যান, এশিয়ার উল্লেখযোগ্য মন্দির, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষসহ...
২ ঘণ্টা আগেআপনার সন্তান সব সময় নিজের মতো থাকতে ভালোবাসে? দীর্ঘ সময় একা থাকতেও তার খারাপ লাগে না? অন্য শিশুদের মতো ভিড়ের মধ্য়ে ছোটাছুটি তার পছন্দ নয়? বারবার প্রশ্ন করে কোনো কিছু জানার চেয়ে নিজেই পর্যবেক্ষণ করে জানতে বেশি আরাম পায়? একটা ‘ছড়া বল’ বললেই ঘরভর্তি লোকের সামনে আবৃত্তি করতে তার অস্বস্তি রয়েছে?...
২ ঘণ্টা আগেএই বছরের হেনলি ওপেননেস ইনডেক্সে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পূর্ব তিমুর বা টিমোর-লেস্তে এবং কম্বোডিয়া জায়গা করে নিয়েছে। এই দুটি দেশে যেতে বিশ্বের শত শত দেশ এবং অঞ্চলের নাগরিকদের ভিসার প্রয়োজন নেই।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
সবুজ বন, বালুকাময় সৈকত এবং শতাব্দীপ্রাচীন সমুদ্র-বাণিজ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাসের কারণে শ্রীলঙ্কা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য। খুব কম সময় হাতে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে যাওয়ার কথা ভাবাই উচিত নয়। সমুদ্রসৈকত, সার্ফিং বিচ, বন্য প্রাণীতে ভরা জাতীয় উদ্যান, এশিয়ার উল্লেখযোগ্য মন্দির, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষসহ অনেক আকর্ষণীয় গন্তব্য থাকায় দেশটির ঠিক কোথা থেকে দেখা শুরু করবেন, তা ভাবতেই সময় চলে যাবে। আপনার বাজেট যা-ই হোক, জেনে নিন শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণের জন্য বিশেষ ৫টি জায়গার কথা।
কলম্বো
খাবার, সংস্কৃতি ও শহুরে জীবনের অভিজ্ঞতার জন্য শ্রীলঙ্কার আদর্শ শহর এটি। দেশটির সাংস্কৃতিক রাজধানী কলম্বো ভ্রমণ ছাড়া শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ অসম্পূর্ণ। শহরটিতে আছে ঔপনিবেশিক যুগের ঐতিহাসিক ভবন। এর মধ্যে রয়েছে ১৬০০ সালে প্রতিষ্ঠিত টেরাকোটা-ছাদযুক্ত ডাচ হাসপাতাল।
কলম্বোর জনপ্রিয় সমুদ্র উপকূলীয় ওয়াকিংওয়ে গ্যাল ফেস গ্রিনে কিছু সময় কাটাতে ভুলবেন না। এটি দেশটির স্থানীয় খাবার ও সূর্যাস্ত দেখার অনন্য জায়গা। অবেলায় পানিতে নামতে না চাইলে তীরে বসে পাশের রেস্তোরাঁয় ডুবো তেলে ভাজা চিংড়ি, মসুর ডাল ভাজা, মসলাদার সম্বর দিয়ে সাজানো থালি অর্ডার করুন।
ত্রিঙ্কোমালি
স্থাপত্য, স্মৃতিস্তম্ভ ইত্যাদি মিলিয়ে সলো ট্রাভেলারদের জন্য ত্রিঙ্কোমালি বিশেষ আকর্ষণের জায়গা। এখানকার পানি স্নোরকেলিংয়ের জন্য উপযুক্ত। মাইলের পর মাইল প্রবালপ্রাচীর আর সমৃদ্ধ সামুদ্রিক জীবন দেখার সুযোগ মিলবে এখানে। তবে জেনে রাখা ভালো, এখানকার সৈকতে লাইফগার্ড নেই; তাই সাঁতার কাটার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আরুগাম উপসাগর
এককথায় সার্ফারদের প্রিয় গন্তব্য় এটি। শ্রীলঙ্কার পূর্ব উপকূলের এই উপসাগর সুন্দরতম সৈকত ও সার্ফিংয়ের জন্য পুরো বিশ্বে পরিচিত। অভিজ্ঞ সার্ফারদের জন্য আরুগাম উপসাগরের চেয়ে মনোরম আর বন্য জায়গা খুব কমই আছে। সার্ফিংয়ের বাইরে সূর্যাস্ত উপভোগ, বালুতে শুয়ে রৌদ্রস্নানসহ বিভিন্ন অ্যাকটিভিটি করার দুর্দান্ত জায়গা এটি। এখানে রয়েছে সার্ফ স্কুল, অসংখ্য রেস্তোরাঁ ও বিশ্রামাগার। এখানে ভ্রমণের সেরা সময় এপ্রিল থেকে অক্টোবর।
মিনেরিয়া জাতীয় উদ্যান
হাতিপ্রেমীদের জন্য এটি স্বর্গের সমান! মিনেরিয়া জাতীয় উদ্যান শ্রীলঙ্কার উত্তর-মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত। নৈসর্গিক মিনেরিয়া হ্রদকে কেন্দ্র করে এ-জাতীয় উদ্যানের প্রায় ৯ হাজার হেক্টর
বন ও তৃণভূমিজুড়ে ঘুরে বেড়ায় বন্য হাতির দল। শুষ্ক মৌসুমে পার্কের প্রায় ৩০০ হাতি হ্রদের তীরে জড়ো হয়, যা বিশ্বের এশিয়ান হাতির বৃহত্তম সমাবেশ হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনা এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে ঘটে। ফলে যেতে চাইলে এই সময়ের মধ্য়েই সাফারি প্রি-বুক করতে হবে।
অনুরাধাপুর
প্রাচীন বৌদ্ধ ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখার জন্য সেরা এই ঐতিহাসিক শহর। অনুরাধাপুরে আছে ঘড়ির টাওয়ার, পুরোনো রেলস্টেশন ইত্যাদি। এই শহরের উপকণ্ঠে আছে প্রাচীন শ্রীলঙ্কার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ। আছে প্রাচীন ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দির, সুউচ্চ দাগোবা বা স্তূপ এবং পবিত্র মহা বোধি গাছ। ভারতের বোধগয়াতে
বুদ্ধ যে গাছের নিচে নির্বাণ লাভ করেছিলেন, তার অংশ থেকে এটি জন্মানো বলে বিশ্বাস করা হয়। এসবের বাইরে আশপাশের জঙ্গল ও গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আরও নানা ধরনের প্রত্নতাত্ত্বিক বিস্ময়।
সবুজ বন, বালুকাময় সৈকত এবং শতাব্দীপ্রাচীন সমুদ্র-বাণিজ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাসের কারণে শ্রীলঙ্কা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য। খুব কম সময় হাতে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে যাওয়ার কথা ভাবাই উচিত নয়। সমুদ্রসৈকত, সার্ফিং বিচ, বন্য প্রাণীতে ভরা জাতীয় উদ্যান, এশিয়ার উল্লেখযোগ্য মন্দির, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষসহ অনেক আকর্ষণীয় গন্তব্য থাকায় দেশটির ঠিক কোথা থেকে দেখা শুরু করবেন, তা ভাবতেই সময় চলে যাবে। আপনার বাজেট যা-ই হোক, জেনে নিন শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণের জন্য বিশেষ ৫টি জায়গার কথা।
কলম্বো
খাবার, সংস্কৃতি ও শহুরে জীবনের অভিজ্ঞতার জন্য শ্রীলঙ্কার আদর্শ শহর এটি। দেশটির সাংস্কৃতিক রাজধানী কলম্বো ভ্রমণ ছাড়া শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ অসম্পূর্ণ। শহরটিতে আছে ঔপনিবেশিক যুগের ঐতিহাসিক ভবন। এর মধ্যে রয়েছে ১৬০০ সালে প্রতিষ্ঠিত টেরাকোটা-ছাদযুক্ত ডাচ হাসপাতাল।
কলম্বোর জনপ্রিয় সমুদ্র উপকূলীয় ওয়াকিংওয়ে গ্যাল ফেস গ্রিনে কিছু সময় কাটাতে ভুলবেন না। এটি দেশটির স্থানীয় খাবার ও সূর্যাস্ত দেখার অনন্য জায়গা। অবেলায় পানিতে নামতে না চাইলে তীরে বসে পাশের রেস্তোরাঁয় ডুবো তেলে ভাজা চিংড়ি, মসুর ডাল ভাজা, মসলাদার সম্বর দিয়ে সাজানো থালি অর্ডার করুন।
ত্রিঙ্কোমালি
স্থাপত্য, স্মৃতিস্তম্ভ ইত্যাদি মিলিয়ে সলো ট্রাভেলারদের জন্য ত্রিঙ্কোমালি বিশেষ আকর্ষণের জায়গা। এখানকার পানি স্নোরকেলিংয়ের জন্য উপযুক্ত। মাইলের পর মাইল প্রবালপ্রাচীর আর সমৃদ্ধ সামুদ্রিক জীবন দেখার সুযোগ মিলবে এখানে। তবে জেনে রাখা ভালো, এখানকার সৈকতে লাইফগার্ড নেই; তাই সাঁতার কাটার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আরুগাম উপসাগর
এককথায় সার্ফারদের প্রিয় গন্তব্য় এটি। শ্রীলঙ্কার পূর্ব উপকূলের এই উপসাগর সুন্দরতম সৈকত ও সার্ফিংয়ের জন্য পুরো বিশ্বে পরিচিত। অভিজ্ঞ সার্ফারদের জন্য আরুগাম উপসাগরের চেয়ে মনোরম আর বন্য জায়গা খুব কমই আছে। সার্ফিংয়ের বাইরে সূর্যাস্ত উপভোগ, বালুতে শুয়ে রৌদ্রস্নানসহ বিভিন্ন অ্যাকটিভিটি করার দুর্দান্ত জায়গা এটি। এখানে রয়েছে সার্ফ স্কুল, অসংখ্য রেস্তোরাঁ ও বিশ্রামাগার। এখানে ভ্রমণের সেরা সময় এপ্রিল থেকে অক্টোবর।
মিনেরিয়া জাতীয় উদ্যান
হাতিপ্রেমীদের জন্য এটি স্বর্গের সমান! মিনেরিয়া জাতীয় উদ্যান শ্রীলঙ্কার উত্তর-মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত। নৈসর্গিক মিনেরিয়া হ্রদকে কেন্দ্র করে এ-জাতীয় উদ্যানের প্রায় ৯ হাজার হেক্টর
বন ও তৃণভূমিজুড়ে ঘুরে বেড়ায় বন্য হাতির দল। শুষ্ক মৌসুমে পার্কের প্রায় ৩০০ হাতি হ্রদের তীরে জড়ো হয়, যা বিশ্বের এশিয়ান হাতির বৃহত্তম সমাবেশ হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনা এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে ঘটে। ফলে যেতে চাইলে এই সময়ের মধ্য়েই সাফারি প্রি-বুক করতে হবে।
অনুরাধাপুর
প্রাচীন বৌদ্ধ ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখার জন্য সেরা এই ঐতিহাসিক শহর। অনুরাধাপুরে আছে ঘড়ির টাওয়ার, পুরোনো রেলস্টেশন ইত্যাদি। এই শহরের উপকণ্ঠে আছে প্রাচীন শ্রীলঙ্কার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ। আছে প্রাচীন ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দির, সুউচ্চ দাগোবা বা স্তূপ এবং পবিত্র মহা বোধি গাছ। ভারতের বোধগয়াতে
বুদ্ধ যে গাছের নিচে নির্বাণ লাভ করেছিলেন, তার অংশ থেকে এটি জন্মানো বলে বিশ্বাস করা হয়। এসবের বাইরে আশপাশের জঙ্গল ও গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আরও নানা ধরনের প্রত্নতাত্ত্বিক বিস্ময়।
আজ বিশ্ব চা দিবস। এ দিবসে চা নিয়ে কিছু কথা জেনে নিন।
২১ মে ২০২৪জাপান শিগগির বিদেশি পর্যটকদের জন্য ব্যয়বহুল গন্তব্যে পরিণত হতে পারে। কারণ, প্রায় ৪৮ বছর পর দেশটির সরকার ভিসা ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়া জানিয়েছেন, বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভিসা ফি বাড়ালে পর্যটনে কী প্রভাব পড়তে পারে, কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখছে। অন্যান্য দেশের ভি
১ ঘণ্টা আগেআপনার সন্তান সব সময় নিজের মতো থাকতে ভালোবাসে? দীর্ঘ সময় একা থাকতেও তার খারাপ লাগে না? অন্য শিশুদের মতো ভিড়ের মধ্য়ে ছোটাছুটি তার পছন্দ নয়? বারবার প্রশ্ন করে কোনো কিছু জানার চেয়ে নিজেই পর্যবেক্ষণ করে জানতে বেশি আরাম পায়? একটা ‘ছড়া বল’ বললেই ঘরভর্তি লোকের সামনে আবৃত্তি করতে তার অস্বস্তি রয়েছে?...
২ ঘণ্টা আগেএই বছরের হেনলি ওপেননেস ইনডেক্সে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পূর্ব তিমুর বা টিমোর-লেস্তে এবং কম্বোডিয়া জায়গা করে নিয়েছে। এই দুটি দেশে যেতে বিশ্বের শত শত দেশ এবং অঞ্চলের নাগরিকদের ভিসার প্রয়োজন নেই।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
আপনার সন্তান সব সময় নিজের মতো থাকতে ভালোবাসে? দীর্ঘ সময় একা থাকতেও তার খারাপ লাগে না? অন্য শিশুদের মতো ভিড়ের মধ্য়ে ছোটাছুটি তার পছন্দ নয়? বারবার প্রশ্ন করে কোনো কিছু জানার চেয়ে নিজেই পর্যবেক্ষণ করে জানতে বেশি আরাম পায়? একটা ‘ছড়া বল’ বললেই ঘরভর্তি লোকের সামনে আবৃত্তি করতে তার অস্বস্তি রয়েছে? বিভিন্ন সময়ই অন্যরা তাকে ‘লাজুক’ বা ‘মিশতে পারে না’ বলে মন্তব্য করে বসে? আপনি কি এমন এক শিশুরই বাবা কিংবা মা? তাহলে এই লেখা আপনার জন্য।
‘শিশু ইনট্রোভার্ট হলে শিশুর নয়, নিজের চোখে আয়না ধরা প্রয়োজন যে, বাবা-মা হিসেবে তাদের কোন কোন আচরণ শিশুটিকে ইনট্রোভার্ট করছে।’ ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
অন্তর্মুখী মানেই বোকাসোকা বা নেতিবাচক কিছু নয়
প্রতিটি শিশুর শারীরিক গঠনের মতো আচরণও ভিন্ন। ইনট্রোভার্ট বা অন্তর্মুখী হওয়া কোনো শিশুর অক্ষমতা নয়, এটা সবার আগে শিশুর বাবা-মাকেই বুঝতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাবা-মা শিশুর বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেন না। ফলে শিশুর ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ‘তোমার বন্ধু এটা করছে, তুমি কেন করতে পারছ না।’—এমন হাজারো তুলনা প্রতিনিয়তই বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে আসে অন্তর্মুখী শিশুটির জন্য। ফলে শিশুটি চুপচাপ থেকে আরও চুপচাপ হয়ে যায়। হ্যাঁ, অন্তর্মুখী শিশুদের বোঝা একটু কঠিন হতে পারে। তবে অসম্ভব নয়। কাছের মানুষ হয়ে উঠতে প্রয়োজন একটু বেশি ধৈর্য আর ভালোবাসা।
চিকিৎসক, কাউন্সেলর ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘ইনট্রোভার্ট শব্দটির সঙ্গে আমরা পরিচিত। কিন্তু শিশু ইনট্রোভার্ট হলেই আমরা মনে করি, পেছনে পড়ে যাবে না তো? বাবা-মা ভয় পেয়ে যান। অনেক সময় দেখা যায়, বাড়িতে অতিথি এলে মাথা নিচু করে লুকিয়ে পড়া অথবা ছড়া বলতে বললে শিশু কথা বলে না; লজ্জা পায়। এসব আচরণ কিন্তু খুবই স্বাভাবিক। এসব নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আশপাশের পরিবেশ থেকে শিশু কী বার্তা গ্রহণ করছে এবং সেই বার্তা শিশুর মনোজগৎকে কীভাবে প্রভাবিত করছে, সেটা সময় নিয়ে বাবা-মায়ের বোঝা জরুরি। তার আগেই ‘আমার সন্তান ইনট্রোভার্ট’ বলে ট্যাগ দেওয়াটা সন্তানের জন্য পীড়াদায়ক। প্রত্যেক মানুষের, এমনকি শিশুদেরও চিন্তার প্রক্রিয়া এবং চারপাশের পরিবেশ থেকে প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করার সংবেদনশীলতা ভিন্ন। প্রত্যেকের দেখার চোখ যেহেতু আলাদা, চলতি কথায় যাকে আমরা ইনট্রোভার্ট বলি, হতে পারে শৈশবে তার প্রাথমিক কেয়ারগিভার বা চারপাশের মানুষগুলো তার জন্য যথেষ্ট আবেগীয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন না বা ইমোশনালি অ্যাভেইলেবল ছিলেন না।’
বাবা-মা যা করতে পারেন
ধীরে এগোতে দিন
বহির্মুখী হওয়ার জন্য চাপাচাপি করতে যাবেন না। ‘খেলতে যাও, প্রতিযোগিতায় নাম লেখাও, জোরে কথা বলছ না কেন, চুপচাপ বসে থাকো কেন’—এ জাতীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। চাপ দিয়ে কিছু করাতে যাবেন না। তাতে ওর মনে অতিরিক্ত চাপ পড়বে। মন খুলে হুট করে সবার সঙ্গে মিশে যাওয়া ওর স্বভাববিরুদ্ধ। জোর করলে ও নিজেকে হয়তো আরও গুটিয়ে নেবে। অপ্রীতিকর ভয়ও কাজ করতে পারে। ওকে সময় দিন নিজের মতো করে মানিয়ে নেওয়ার।
শিশুর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে সম্মান করুন
অন্তর্মুখী শিশুদের বাবা-মায়েদের প্রায় সময়ই বলতে শোনা যায়, ‘সবার সঙ্গে না মিশলে লোকে ভালো বলে না, কোথাও গিয়ে টিকতে পারবে না, আনস্মার্টরা এমন হয়’ ইত্যাদি। কিন্তু অভিভাবকদের জেনে রাখা জরুরি, এ ধরনের শিশুরা খুব সংবেদনশীল হয়। আপনি হয়তো সোজাসাপ্টা বলে দিলেন, কিন্তু সে ভেতরে-ভেতরে কষ্ট পাচ্ছে আবার সেটা মুখ ফুটে বলছেও না। যেটার ফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী। আপনার সামনে যদি অন্য কেউ এ রকম করে, তাকেও এভাবে বলতে বারণ করুন।
উৎসাহ দিন
গবেষণায় দেখা গেছে, এক্সট্রোভার্টদের তুলনায় ইন্ট্রোভার্টদের মস্তিষ্কের সামনের লোবে রক্তের প্রবাহ বেশি থাকে। মস্তিষ্কের এই অংশ স্মৃতিশক্তি রক্ষা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে সহায়তা করে। এই শিশুরা কল্পনাপ্রবণ হয়। সেই কল্পনাগুলো গল্প, কবিতা বা আঁকার মাধ্যমে তারা অনেক সময় ফুটিয়ে তোলে। সেগুলোতে ওকে আরও উৎসাহ দিন।
কারও সঙ্গে তুলনা করবেন না
আপনার সন্তানের যেন কোনোভাবেই মনে না হয়, বাবা-মা হিসেবে আপনারা ওকে নিয়ে অখুশি। এটা কিন্তু তার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সে নিজেকে আরও গুটিয়ে নিতে পারে। কারণ, কখনো কিছুতে খারাপ লাগলে তা মুখের ওপর বলে দেওয়া এ ধরনের শিশুদের স্বভাববিরুদ্ধ। তাই চেষ্টা করুন শিশুর সঙ্গে এমনভাবে মিশতে, যাতে সে আপনাকে ভরসা করতে পারে। তার আবেগীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
বুলিং ঠেকাতে সীমারেখা নির্ধারণ করুন
এক্সট্রোভার্ট বা বহির্মুখী মানুষদের আমরা যেমন সেলিব্রেট করি, তেমনি ইনট্রোভার্ট বা অন্তর্মুখী একজন মানুষও কিন্তু স্বাভাবিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তার আনন্দ, উচ্ছ্বাস প্রকাশের ধরন ও মাধ্যমটা হয়তো আলাদা। ফলে এই মানুষগুলোকে বোকা, মিশতে জানে না—এসব বলে বুলিং করা বন্ধ করতে হবে। সন্তানকে এসব বলে কেউ বুলিই করলে বাবা-মাকেও বুঝিয়ে দিতে হবে যে ওর সম্পর্কে এসব ধারণা ভুল। শিশু মানেই তারা হইচই করে ঘর মাতিয়ে রাখবে, এমন না-ও হতে পারে। প্রত্যেকের নিজস্ব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকে। প্রতিটি শিশুই নিজের মতো করে সুন্দর। এই ধরনের শিশুরা হয়তো সবার সঙ্গে মিশতে পারে না। তবে এমনও হতে পারে, তারা অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই সৃজনশীল। বাবা-মায়েদের উচিত, তাদের চাপ না দিয়ে বরং শক্তির জায়গাগুলোকে খুঁজে বের করে উৎসাহ দেওয়া। তাহলে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
আপনার সন্তান সব সময় নিজের মতো থাকতে ভালোবাসে? দীর্ঘ সময় একা থাকতেও তার খারাপ লাগে না? অন্য শিশুদের মতো ভিড়ের মধ্য়ে ছোটাছুটি তার পছন্দ নয়? বারবার প্রশ্ন করে কোনো কিছু জানার চেয়ে নিজেই পর্যবেক্ষণ করে জানতে বেশি আরাম পায়? একটা ‘ছড়া বল’ বললেই ঘরভর্তি লোকের সামনে আবৃত্তি করতে তার অস্বস্তি রয়েছে? বিভিন্ন সময়ই অন্যরা তাকে ‘লাজুক’ বা ‘মিশতে পারে না’ বলে মন্তব্য করে বসে? আপনি কি এমন এক শিশুরই বাবা কিংবা মা? তাহলে এই লেখা আপনার জন্য।
‘শিশু ইনট্রোভার্ট হলে শিশুর নয়, নিজের চোখে আয়না ধরা প্রয়োজন যে, বাবা-মা হিসেবে তাদের কোন কোন আচরণ শিশুটিকে ইনট্রোভার্ট করছে।’ ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
অন্তর্মুখী মানেই বোকাসোকা বা নেতিবাচক কিছু নয়
প্রতিটি শিশুর শারীরিক গঠনের মতো আচরণও ভিন্ন। ইনট্রোভার্ট বা অন্তর্মুখী হওয়া কোনো শিশুর অক্ষমতা নয়, এটা সবার আগে শিশুর বাবা-মাকেই বুঝতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাবা-মা শিশুর বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেন না। ফলে শিশুর ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ‘তোমার বন্ধু এটা করছে, তুমি কেন করতে পারছ না।’—এমন হাজারো তুলনা প্রতিনিয়তই বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে আসে অন্তর্মুখী শিশুটির জন্য। ফলে শিশুটি চুপচাপ থেকে আরও চুপচাপ হয়ে যায়। হ্যাঁ, অন্তর্মুখী শিশুদের বোঝা একটু কঠিন হতে পারে। তবে অসম্ভব নয়। কাছের মানুষ হয়ে উঠতে প্রয়োজন একটু বেশি ধৈর্য আর ভালোবাসা।
চিকিৎসক, কাউন্সেলর ও সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘ইনট্রোভার্ট শব্দটির সঙ্গে আমরা পরিচিত। কিন্তু শিশু ইনট্রোভার্ট হলেই আমরা মনে করি, পেছনে পড়ে যাবে না তো? বাবা-মা ভয় পেয়ে যান। অনেক সময় দেখা যায়, বাড়িতে অতিথি এলে মাথা নিচু করে লুকিয়ে পড়া অথবা ছড়া বলতে বললে শিশু কথা বলে না; লজ্জা পায়। এসব আচরণ কিন্তু খুবই স্বাভাবিক। এসব নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আশপাশের পরিবেশ থেকে শিশু কী বার্তা গ্রহণ করছে এবং সেই বার্তা শিশুর মনোজগৎকে কীভাবে প্রভাবিত করছে, সেটা সময় নিয়ে বাবা-মায়ের বোঝা জরুরি। তার আগেই ‘আমার সন্তান ইনট্রোভার্ট’ বলে ট্যাগ দেওয়াটা সন্তানের জন্য পীড়াদায়ক। প্রত্যেক মানুষের, এমনকি শিশুদেরও চিন্তার প্রক্রিয়া এবং চারপাশের পরিবেশ থেকে প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করার সংবেদনশীলতা ভিন্ন। প্রত্যেকের দেখার চোখ যেহেতু আলাদা, চলতি কথায় যাকে আমরা ইনট্রোভার্ট বলি, হতে পারে শৈশবে তার প্রাথমিক কেয়ারগিভার বা চারপাশের মানুষগুলো তার জন্য যথেষ্ট আবেগীয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন না বা ইমোশনালি অ্যাভেইলেবল ছিলেন না।’
বাবা-মা যা করতে পারেন
ধীরে এগোতে দিন
বহির্মুখী হওয়ার জন্য চাপাচাপি করতে যাবেন না। ‘খেলতে যাও, প্রতিযোগিতায় নাম লেখাও, জোরে কথা বলছ না কেন, চুপচাপ বসে থাকো কেন’—এ জাতীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। চাপ দিয়ে কিছু করাতে যাবেন না। তাতে ওর মনে অতিরিক্ত চাপ পড়বে। মন খুলে হুট করে সবার সঙ্গে মিশে যাওয়া ওর স্বভাববিরুদ্ধ। জোর করলে ও নিজেকে হয়তো আরও গুটিয়ে নেবে। অপ্রীতিকর ভয়ও কাজ করতে পারে। ওকে সময় দিন নিজের মতো করে মানিয়ে নেওয়ার।
শিশুর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে সম্মান করুন
অন্তর্মুখী শিশুদের বাবা-মায়েদের প্রায় সময়ই বলতে শোনা যায়, ‘সবার সঙ্গে না মিশলে লোকে ভালো বলে না, কোথাও গিয়ে টিকতে পারবে না, আনস্মার্টরা এমন হয়’ ইত্যাদি। কিন্তু অভিভাবকদের জেনে রাখা জরুরি, এ ধরনের শিশুরা খুব সংবেদনশীল হয়। আপনি হয়তো সোজাসাপ্টা বলে দিলেন, কিন্তু সে ভেতরে-ভেতরে কষ্ট পাচ্ছে আবার সেটা মুখ ফুটে বলছেও না। যেটার ফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী। আপনার সামনে যদি অন্য কেউ এ রকম করে, তাকেও এভাবে বলতে বারণ করুন।
উৎসাহ দিন
গবেষণায় দেখা গেছে, এক্সট্রোভার্টদের তুলনায় ইন্ট্রোভার্টদের মস্তিষ্কের সামনের লোবে রক্তের প্রবাহ বেশি থাকে। মস্তিষ্কের এই অংশ স্মৃতিশক্তি রক্ষা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে সহায়তা করে। এই শিশুরা কল্পনাপ্রবণ হয়। সেই কল্পনাগুলো গল্প, কবিতা বা আঁকার মাধ্যমে তারা অনেক সময় ফুটিয়ে তোলে। সেগুলোতে ওকে আরও উৎসাহ দিন।
কারও সঙ্গে তুলনা করবেন না
আপনার সন্তানের যেন কোনোভাবেই মনে না হয়, বাবা-মা হিসেবে আপনারা ওকে নিয়ে অখুশি। এটা কিন্তু তার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সে নিজেকে আরও গুটিয়ে নিতে পারে। কারণ, কখনো কিছুতে খারাপ লাগলে তা মুখের ওপর বলে দেওয়া এ ধরনের শিশুদের স্বভাববিরুদ্ধ। তাই চেষ্টা করুন শিশুর সঙ্গে এমনভাবে মিশতে, যাতে সে আপনাকে ভরসা করতে পারে। তার আবেগীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
বুলিং ঠেকাতে সীমারেখা নির্ধারণ করুন
এক্সট্রোভার্ট বা বহির্মুখী মানুষদের আমরা যেমন সেলিব্রেট করি, তেমনি ইনট্রোভার্ট বা অন্তর্মুখী একজন মানুষও কিন্তু স্বাভাবিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তার আনন্দ, উচ্ছ্বাস প্রকাশের ধরন ও মাধ্যমটা হয়তো আলাদা। ফলে এই মানুষগুলোকে বোকা, মিশতে জানে না—এসব বলে বুলিং করা বন্ধ করতে হবে। সন্তানকে এসব বলে কেউ বুলিই করলে বাবা-মাকেও বুঝিয়ে দিতে হবে যে ওর সম্পর্কে এসব ধারণা ভুল। শিশু মানেই তারা হইচই করে ঘর মাতিয়ে রাখবে, এমন না-ও হতে পারে। প্রত্যেকের নিজস্ব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকে। প্রতিটি শিশুই নিজের মতো করে সুন্দর। এই ধরনের শিশুরা হয়তো সবার সঙ্গে মিশতে পারে না। তবে এমনও হতে পারে, তারা অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই সৃজনশীল। বাবা-মায়েদের উচিত, তাদের চাপ না দিয়ে বরং শক্তির জায়গাগুলোকে খুঁজে বের করে উৎসাহ দেওয়া। তাহলে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
আজ বিশ্ব চা দিবস। এ দিবসে চা নিয়ে কিছু কথা জেনে নিন।
২১ মে ২০২৪জাপান শিগগির বিদেশি পর্যটকদের জন্য ব্যয়বহুল গন্তব্যে পরিণত হতে পারে। কারণ, প্রায় ৪৮ বছর পর দেশটির সরকার ভিসা ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়া জানিয়েছেন, বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভিসা ফি বাড়ালে পর্যটনে কী প্রভাব পড়তে পারে, কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখছে। অন্যান্য দেশের ভি
১ ঘণ্টা আগেসবুজ বন, বালুকাময় সৈকত এবং শতাব্দীপ্রাচীন সমুদ্র-বাণিজ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাসের কারণে শ্রীলঙ্কা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য। খুব কম সময় হাতে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে যাওয়ার কথা ভাবাই উচিত নয়। সমুদ্রসৈকত, সার্ফিং বিচ, বন্য প্রাণীতে ভরা জাতীয় উদ্যান, এশিয়ার উল্লেখযোগ্য মন্দির, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষসহ...
২ ঘণ্টা আগেএই বছরের হেনলি ওপেননেস ইনডেক্সে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পূর্ব তিমুর বা টিমোর-লেস্তে এবং কম্বোডিয়া জায়গা করে নিয়েছে। এই দুটি দেশে যেতে বিশ্বের শত শত দেশ এবং অঞ্চলের নাগরিকদের ভিসার প্রয়োজন নেই।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
এই বছরের হেনলি ওপেননেস ইনডেক্সে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পূর্ব তিমুর বা টিমোর-লেস্তে এবং কম্বোডিয়া জায়গা করে নিয়েছে। এই দুটি দেশে যেতে বিশ্বের শত শত দেশ এবং অঞ্চলের নাগরিকদের ভিসার প্রয়োজন নেই।
সম্প্রতি প্রকাশিত সূচকটি বিশ্বজুড়ে ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলের ওপর জরিপ চালিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এ জরিপে দেখা হয়, কোন দেশগুলোতে পূর্বে অনুমোদিত ভিসা ছাড়া কতগুলো জাতীয়তার নাগরিকদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। তার ওপর ভিত্তি করে এই র্যাঙ্কিং করা হয়।
সূচক অনুসারে, টিমোর-লেস্তেসহ ১১টি দেশ সীমান্ত উন্মুক্ততার ক্ষেত্রে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। টিমোর-লেস্তে একমাত্র দেশ হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিনিধি হিসেবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই দেশটি ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য ভিসা অব্যাহতি দিয়ে থাকে। অন্যদিকে কম্বোডিয়া দ্বিতীয় স্থান ভাগাভাগি করে নিয়েছে ডমিনিকা, গিনি-বিসাউ, মালদ্বীপ ও মাদাগাস্কারের সঙ্গে। দেশগুলো ১৯৭টি দেশ এবং অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য ভিসা ছাড় সুবিধা দেয়। পর্যটন উন্মুক্ততার ক্ষেত্রে উচ্চ র্যাঙ্কিং থাকা সত্ত্বেও, টিমোর-লেস্তে ও কম্বোডিয়া বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টগুলোর বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটা নিচের দিকে অবস্থান করছে।
বিশ্বের ৫৬তম শক্তিশালী পাসপোর্ট বহন করে ২২৭টি গন্তব্যের মধ্যে ৯৪টিতে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার পায় টিমোর-লেস্তের নাগরিকেরা। কম্বোডিয়ার পাসপোর্টের অবস্থান ৯২তম। দেশটির নাগরিকেরা মাত্র ৫০টি গন্তব্যে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকারের সুবিধা পায়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস
এই বছরের হেনলি ওপেননেস ইনডেক্সে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পূর্ব তিমুর বা টিমোর-লেস্তে এবং কম্বোডিয়া জায়গা করে নিয়েছে। এই দুটি দেশে যেতে বিশ্বের শত শত দেশ এবং অঞ্চলের নাগরিকদের ভিসার প্রয়োজন নেই।
সম্প্রতি প্রকাশিত সূচকটি বিশ্বজুড়ে ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলের ওপর জরিপ চালিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এ জরিপে দেখা হয়, কোন দেশগুলোতে পূর্বে অনুমোদিত ভিসা ছাড়া কতগুলো জাতীয়তার নাগরিকদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। তার ওপর ভিত্তি করে এই র্যাঙ্কিং করা হয়।
সূচক অনুসারে, টিমোর-লেস্তেসহ ১১টি দেশ সীমান্ত উন্মুক্ততার ক্ষেত্রে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। টিমোর-লেস্তে একমাত্র দেশ হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিনিধি হিসেবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই দেশটি ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য ভিসা অব্যাহতি দিয়ে থাকে। অন্যদিকে কম্বোডিয়া দ্বিতীয় স্থান ভাগাভাগি করে নিয়েছে ডমিনিকা, গিনি-বিসাউ, মালদ্বীপ ও মাদাগাস্কারের সঙ্গে। দেশগুলো ১৯৭টি দেশ এবং অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য ভিসা ছাড় সুবিধা দেয়। পর্যটন উন্মুক্ততার ক্ষেত্রে উচ্চ র্যাঙ্কিং থাকা সত্ত্বেও, টিমোর-লেস্তে ও কম্বোডিয়া বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টগুলোর বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটা নিচের দিকে অবস্থান করছে।
বিশ্বের ৫৬তম শক্তিশালী পাসপোর্ট বহন করে ২২৭টি গন্তব্যের মধ্যে ৯৪টিতে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার পায় টিমোর-লেস্তের নাগরিকেরা। কম্বোডিয়ার পাসপোর্টের অবস্থান ৯২তম। দেশটির নাগরিকেরা মাত্র ৫০টি গন্তব্যে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকারের সুবিধা পায়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস
আজ বিশ্ব চা দিবস। এ দিবসে চা নিয়ে কিছু কথা জেনে নিন।
২১ মে ২০২৪জাপান শিগগির বিদেশি পর্যটকদের জন্য ব্যয়বহুল গন্তব্যে পরিণত হতে পারে। কারণ, প্রায় ৪৮ বছর পর দেশটির সরকার ভিসা ফি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়া জানিয়েছেন, বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভিসা ফি বাড়ালে পর্যটনে কী প্রভাব পড়তে পারে, কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখছে। অন্যান্য দেশের ভি
১ ঘণ্টা আগেসবুজ বন, বালুকাময় সৈকত এবং শতাব্দীপ্রাচীন সমুদ্র-বাণিজ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাসের কারণে শ্রীলঙ্কা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য। খুব কম সময় হাতে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে যাওয়ার কথা ভাবাই উচিত নয়। সমুদ্রসৈকত, সার্ফিং বিচ, বন্য প্রাণীতে ভরা জাতীয় উদ্যান, এশিয়ার উল্লেখযোগ্য মন্দির, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষসহ...
২ ঘণ্টা আগেআপনার সন্তান সব সময় নিজের মতো থাকতে ভালোবাসে? দীর্ঘ সময় একা থাকতেও তার খারাপ লাগে না? অন্য শিশুদের মতো ভিড়ের মধ্য়ে ছোটাছুটি তার পছন্দ নয়? বারবার প্রশ্ন করে কোনো কিছু জানার চেয়ে নিজেই পর্যবেক্ষণ করে জানতে বেশি আরাম পায়? একটা ‘ছড়া বল’ বললেই ঘরভর্তি লোকের সামনে আবৃত্তি করতে তার অস্বস্তি রয়েছে?...
২ ঘণ্টা আগে