সানজিদা সামরিন, ঢাকা
দিনের বেলায় রোদের তাপ কখনো কম, কখনো বেশি। তবে গড়ে এখন গরমই লাগছে। বৈশাখের এই প্রায় শেষের দিকে গরম যতই পড়ুক বন্ধুদের নিয়ে ঘরোয়া অনুষ্ঠান তো আর বন্ধ হবে না। কেউ যদি সকালে ফোন করে বলে বসে, ‘অফিসের পর আসতেই হবে’ তাহলে কোনো কথা চলবে না।
ফলে আলমারি খুলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাথা চুলকানোর সময় এখন। অফিস থেকেই যদি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হয় সে ক্ষেত্র এক ঢিলে দুই পাখি মারার উপায়ই বেছে নিতে হবে। অনেকেই দু-এক দিন পর পর অফিসে শাড়ি পরে যান। আর বিশেষ দিনগুলোয় পরার জন্য শাড়িপ্রেমীরা যেন একটু বেশিই সচেতন থাকেন। যদি এই ভরা গ্রীষ্মে অফিসের পর কোনো অনুষ্ঠানে যেতেই হয় তাহলে গ্রীষ্মের সঙ্গে মানায় এমন শাড়িই বেছে নিন।
বিষয়টা এমন নয় যে, অনুষ্ঠানে আপনি সবার মাথা ঘুড়িয়ে দিতে চাইছেন। বিষয়টা হলো, নতুনত্ব। শাড়িতে নতুন কিছু একটা রাখুন, যাকে এখন আমরা বলি ভ্যালু অ্যাড করা। এই নতুনত্ব বা ভ্যালু অ্যাডিংয়ে ধরা পরে মানুষের রুচি, মননশীলতা কিংবা সৌন্দর্যবোধ। এটি অনুষ্ঠানের পুরো পরিবেশকে ইতিবাচক শক্তিতে ভরিয়ে দিতে পারে। এটা বিভিন্ন ভাবেই হতে পারে। বেছে নিতে পারেন এক্সটিক নকশা বা রং কিংবা বেছে নিতে পারেন কনট্রাস্ট রঙের চিরাচরিত চোখ ধাঁধানো পথ। অথবা ঋতুর সঙ্গে মানানসই কোনো ভাইভ।
একটি বুদ্ধি দিই। গ্রীষ্মকালে যেসব ফল পাওয়া যায় সেগুলো দিয়ে তৈরি নকশার শাড়ি এখন বেশ চলছে। বিভিন্ন রঙের কম্বিনেশনে এসব শাড়ির নকশা করা হয়। সেগুলো অনুষ্ঠানের ধরন বুঝে বেছে নিতে পারেন।
শাড়িতে ফলের মোটিফ
গরমের কথা বিবেচনা করে ‘হরিতকী’ নিয়ে এসেছে থিমভিত্তিক শাড়ি। আর্ট সিল্কের ওপর ডিজিটাল প্রিন্টের এসব গ্রীষ্মকালের আমেজ ফুটিয়ে তুলতে মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তরমুজ, আম, মোসাম্বি ও কমলালেবু।
হরিতকীর সহ–প্রতিষ্ঠাতা অনিক কুণ্ডু বলেন, ‘যেহেতু খুব গরম, তাই চোখের আরামের জন্য সবুজ, ধূসর রং রাখা হয়েছে। হঠাৎ করে চোখে পড়লে যেন তরতাজা অনুভব হয় এ জন্য কমলালেবুর রংও ব্যবহার করেছি আমরা। গ্রীষ্মকালীন ফলগুলো লাল, কমলা এমন উজ্জ্বল রঙেরই হয়। তবে শাড়িগুলো যেন চোখের জন্য সহনীয় হয় সেভাবেই ডিজিটাল প্রিন্ট করা হয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘তীব্র গরমে তরমুজ, আম ও কমলালেবু খেলে একধরনের তরতাজা অনুভূতি হয়। আমরা চেয়েছিলাম, এসব ফলের মোটিফ দিয়ে এমনভাবে শাড়ি তৈরি করতে যাতে যিনি শাড়িটি পরবেন তাঁর নিজেরও ভালো লাগে। আবার যাঁরা তাঁকে দেখবেন তাঁরাও যেন প্রাণবন্ত অনুভূতি পান।’
এমন শাড়ির সঙ্গে কেমন ব্লাউজ
অনেক সময় সাদামাটা শাড়িতেও জমকালো লুক পাওয়া যায় কেবল ব্লাউজের কারণে। কিন্তু এই শাড়িগুলোতেই যেহেতু ঘন করে ফলের মোটিফ দেওয়া রয়েছে তাই একরঙা ব্লাউজেই বেশি ভালো মানাবে। স্লিভলেস পরতে যাঁরা সাচ্ছন্দ্য়বোধ করেন, তাঁরা একরঙা স্লিভলেস ব্লাউজই পরতে পারেন। থ্রি–কোয়ার্টার বা ফুলহাতার ব্লাউজও মন্দ লাগবে না। তবে শাড়ির প্রিন্টের মতোই যদি ব্লাউজ হয়, সেটাও দেখতে খারাপ লাগবে না। সে ক্ষেত্রে গয়না ও মেকআপ হালকা হওয়া আবশ্য়ক— জানান অনিক কুণ্ডু।
আর্ট সিল্ক শাড়ির যত্ন
আর্ট সিল্ক শাড়ির সঙ্গে এমন গয়না পরুন যাতে শাড়িতে আটকে গিয়ে আঁচড় না লাগে। অমসৃণ গয়না পরলে এসব শাড়ির সুতা উঠে যেতে পারে।
আর্ট সিল্কের শাড়ি ড্রাই ক্লিন পদ্ধতিতে পরিষ্কার করাই ভালো। তবে সেটা করতে পারলে মাইল্ড কোনো ক্লিনার বা শ্যাম্পু দিয়ে খুব বেশি না কচলিয়ে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে শুকাতে দিতে হবে।
এ ধরনের শাড়ি আয়রনের লো সেটিং রেখে ইস্ত্রি করা উচিত।
অতিরিক্ত ঘাম ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের ফলে সিল্কের শাড়িতে দাগ পড়তে পারে। যদি দাগ লেগে যায় তাহলে ড্রাই ক্লিনিংয়ের মাধ্যমে তা ক্লিন করে নিতে হবে।
দিনের বেলায় রোদের তাপ কখনো কম, কখনো বেশি। তবে গড়ে এখন গরমই লাগছে। বৈশাখের এই প্রায় শেষের দিকে গরম যতই পড়ুক বন্ধুদের নিয়ে ঘরোয়া অনুষ্ঠান তো আর বন্ধ হবে না। কেউ যদি সকালে ফোন করে বলে বসে, ‘অফিসের পর আসতেই হবে’ তাহলে কোনো কথা চলবে না।
ফলে আলমারি খুলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাথা চুলকানোর সময় এখন। অফিস থেকেই যদি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হয় সে ক্ষেত্র এক ঢিলে দুই পাখি মারার উপায়ই বেছে নিতে হবে। অনেকেই দু-এক দিন পর পর অফিসে শাড়ি পরে যান। আর বিশেষ দিনগুলোয় পরার জন্য শাড়িপ্রেমীরা যেন একটু বেশিই সচেতন থাকেন। যদি এই ভরা গ্রীষ্মে অফিসের পর কোনো অনুষ্ঠানে যেতেই হয় তাহলে গ্রীষ্মের সঙ্গে মানায় এমন শাড়িই বেছে নিন।
বিষয়টা এমন নয় যে, অনুষ্ঠানে আপনি সবার মাথা ঘুড়িয়ে দিতে চাইছেন। বিষয়টা হলো, নতুনত্ব। শাড়িতে নতুন কিছু একটা রাখুন, যাকে এখন আমরা বলি ভ্যালু অ্যাড করা। এই নতুনত্ব বা ভ্যালু অ্যাডিংয়ে ধরা পরে মানুষের রুচি, মননশীলতা কিংবা সৌন্দর্যবোধ। এটি অনুষ্ঠানের পুরো পরিবেশকে ইতিবাচক শক্তিতে ভরিয়ে দিতে পারে। এটা বিভিন্ন ভাবেই হতে পারে। বেছে নিতে পারেন এক্সটিক নকশা বা রং কিংবা বেছে নিতে পারেন কনট্রাস্ট রঙের চিরাচরিত চোখ ধাঁধানো পথ। অথবা ঋতুর সঙ্গে মানানসই কোনো ভাইভ।
একটি বুদ্ধি দিই। গ্রীষ্মকালে যেসব ফল পাওয়া যায় সেগুলো দিয়ে তৈরি নকশার শাড়ি এখন বেশ চলছে। বিভিন্ন রঙের কম্বিনেশনে এসব শাড়ির নকশা করা হয়। সেগুলো অনুষ্ঠানের ধরন বুঝে বেছে নিতে পারেন।
শাড়িতে ফলের মোটিফ
গরমের কথা বিবেচনা করে ‘হরিতকী’ নিয়ে এসেছে থিমভিত্তিক শাড়ি। আর্ট সিল্কের ওপর ডিজিটাল প্রিন্টের এসব গ্রীষ্মকালের আমেজ ফুটিয়ে তুলতে মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তরমুজ, আম, মোসাম্বি ও কমলালেবু।
হরিতকীর সহ–প্রতিষ্ঠাতা অনিক কুণ্ডু বলেন, ‘যেহেতু খুব গরম, তাই চোখের আরামের জন্য সবুজ, ধূসর রং রাখা হয়েছে। হঠাৎ করে চোখে পড়লে যেন তরতাজা অনুভব হয় এ জন্য কমলালেবুর রংও ব্যবহার করেছি আমরা। গ্রীষ্মকালীন ফলগুলো লাল, কমলা এমন উজ্জ্বল রঙেরই হয়। তবে শাড়িগুলো যেন চোখের জন্য সহনীয় হয় সেভাবেই ডিজিটাল প্রিন্ট করা হয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘তীব্র গরমে তরমুজ, আম ও কমলালেবু খেলে একধরনের তরতাজা অনুভূতি হয়। আমরা চেয়েছিলাম, এসব ফলের মোটিফ দিয়ে এমনভাবে শাড়ি তৈরি করতে যাতে যিনি শাড়িটি পরবেন তাঁর নিজেরও ভালো লাগে। আবার যাঁরা তাঁকে দেখবেন তাঁরাও যেন প্রাণবন্ত অনুভূতি পান।’
এমন শাড়ির সঙ্গে কেমন ব্লাউজ
অনেক সময় সাদামাটা শাড়িতেও জমকালো লুক পাওয়া যায় কেবল ব্লাউজের কারণে। কিন্তু এই শাড়িগুলোতেই যেহেতু ঘন করে ফলের মোটিফ দেওয়া রয়েছে তাই একরঙা ব্লাউজেই বেশি ভালো মানাবে। স্লিভলেস পরতে যাঁরা সাচ্ছন্দ্য়বোধ করেন, তাঁরা একরঙা স্লিভলেস ব্লাউজই পরতে পারেন। থ্রি–কোয়ার্টার বা ফুলহাতার ব্লাউজও মন্দ লাগবে না। তবে শাড়ির প্রিন্টের মতোই যদি ব্লাউজ হয়, সেটাও দেখতে খারাপ লাগবে না। সে ক্ষেত্রে গয়না ও মেকআপ হালকা হওয়া আবশ্য়ক— জানান অনিক কুণ্ডু।
আর্ট সিল্ক শাড়ির যত্ন
আর্ট সিল্ক শাড়ির সঙ্গে এমন গয়না পরুন যাতে শাড়িতে আটকে গিয়ে আঁচড় না লাগে। অমসৃণ গয়না পরলে এসব শাড়ির সুতা উঠে যেতে পারে।
আর্ট সিল্কের শাড়ি ড্রাই ক্লিন পদ্ধতিতে পরিষ্কার করাই ভালো। তবে সেটা করতে পারলে মাইল্ড কোনো ক্লিনার বা শ্যাম্পু দিয়ে খুব বেশি না কচলিয়ে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে শুকাতে দিতে হবে।
এ ধরনের শাড়ি আয়রনের লো সেটিং রেখে ইস্ত্রি করা উচিত।
অতিরিক্ত ঘাম ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের ফলে সিল্কের শাড়িতে দাগ পড়তে পারে। যদি দাগ লেগে যায় তাহলে ড্রাই ক্লিনিংয়ের মাধ্যমে তা ক্লিন করে নিতে হবে।
শেষের কবিতায় রবীন্দ্রনাথ কেতকী, মানে কেটি মিত্রকে নিয়ে বলেছেন, ‘জীবনের আদ্যলীলায় কেটির কালো চোখের ভাবটি ছিল স্নিগ্ধ, প্রথম বয়সে ঠোঁট দুটিতে সরল মাধুর্য ছিল।’ আর পরবর্তী বয়সে? সেই সরল ঠোঁটকে খানিকটা অতিরঞ্জিত করতেই বাড়তি প্রসাধন ব্যবহার করত সে। কোমর ছাড়িয়ে যাওয়া চুলে সে চালিয়ে দিয়েছিল কাঁচি..
১ দিন আগেঅফিসে কাজের চাপ থাকবেই। তবে মাঝে মাঝে কাজের চাপ সামলানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। আর পরবর্তী সময়ে তা হয়ে দাঁড়ায় মানসিক চাপের কারণ। কিন্তু রোজ যে কাজগুলো করতেই হবে, সেগুলো নিয়ে মানসিক চাপে থাকলে নিজের ভালো থাকাটাও কঠিন হয়ে পড়ে। তাই কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপমুক্ত থাকতে কয়েকটা উপায় যদি অবলম্বন করা হয়...
১ দিন আগেবৈশাখের তপ্ত দিনে ঠাকুরবাড়ির হেঁশেলঘরে কী রান্না হতো? প্রশ্নটা রবীন্দ্রপ্রেমীদের মনে জাগতেই পারে। ঠাকুরবাড়ির সদস্যরা রোদের প্রকোপ থেকে বাঁচতে ত্বকের যেভাবে যত্ন নিতেন, তা থেকে ধারণা করা যায়, তাঁরা এই সময়ে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও ছিলেন সচেতন। পঁচিশে বৈশাখ উপলক্ষে থাকছে ‘ঠাকুরবাড়ির রান্না...
১ দিন আগেআজ ৪ মে, কিংবদন্তি তারকা অড্রে হেপবার্নের জন্মদিন। অড্রে কেবল একজন চলচ্চিত্র তারকাই নন, তিনি ছিলেন সৌন্দর্য ও শৈলীর জীবন্ত প্রতিমা। তাঁর চপলতা, কোমলতা ও সহজাত সৌন্দর্য আজও সময়ের গণ্ডি পেরিয়ে মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে। এই সৌন্দর্যের জন্য কী করতেন তিনি? খুব বেশি কিছু নয়, বেশ কয়েকটি ভালো অভ্যাসই তাঁকে এত
২ দিন আগে