সানজিদা সামরিন, ঢাকা
নিত্যদিন পরার জন্য হোক বা উৎসবে; ফ্যাশনে এখন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পোশাকটির নাম কো-অর্ড সেট। এটি সম্প্রতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও তা নয়। আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের ট্রেন্ডি আউটফিট ছিল এ পোশাক।
কো-অর্ড আসলে কী? প্রশ্নের উত্তরটা প্রায় সবাই জানেন। তবু বলে রাখি, ফ্যাশন অভিধান অনুযায়ী, যখন কোনো একটি পোশাকের কোমরের ওপর ও নিচের অংশ একই কাপড়ে তৈরি হয়, সেটাই কো-অর্ড সেট। তবে এ ধরনের পোশাকের কাটিং ও প্যাটার্ন এক নাও হতে পারে। কিন্তু রং ও নকশা একই কাপড়ের থাকতে হবে।
বিভিন্ন নকশার কো-অর্ড সেট রয়েছে। ওপরের অংশে নানা প্যাটার্নের ফিউশন ও নিরীক্ষাধর্মী টপ, শর্ট কামিজ, শার্ট আর নিচে কখনো স্কার্ট, প্যান্ট, সালোয়ার বা পালাজ্জো স্টাইল কো-অর্ড বেশি জনপ্রিয় এখন।
যে কারণে জনপ্রিয়
ঝটপট তৈরি হয়ে নিতে এবং কেনাকাটার ঝামেলা এড়াতে যাঁরা বরাবরই আগ্রহী, তাঁদের ওয়ার্ডরোবে কো-অর্ড থাকবেই থাকবে। ধরুন, সকালে ক্লাসে বা অফিসে যাওয়ার জন্য প্রিন্টের একটা কামিজ বা টপের সঙ্গে জুতসই পায়জামা বা প্যান্ট খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার ঝোঁকের বশে শপিং মল থেকে একটা স্কার্ট পালাজ্জো কিনে ফেলেছেন, কিন্তু আপারওয়্যার কেনার আলসেমিতে তা পরা হয়ে উঠছে না। একটা থাকলে আরেকটা নেই, এমন ঝামেলা এড়াতেই কো-অর্ড সেটের আগমন। কারণ কো-অর্ডে টপ আর বটমে হুবহু একই কাপড়, রং, প্রিন্ট থাকে।
একটু মনে করে দেখুন, ছোটবেলায় মা-খালাদের কিন্তু বাড়িতে জামা-পায়জামা একই রঙের বা প্রিন্টের পরতে দেখেছেন। কুর্তা ও ঢোলা সালোয়ারও পরা হতো একই রঙের কাপড় বা প্রিন্টের। সঙ্গে ওড়না পরতে চাইলে তা আলাদাভাবে কেনা হতো। একরঙা কো-অর্ড হলে প্রিন্টের ওড়না আর প্রিন্টের কো-অর্ড হলে একরঙা ওড়না কেনা; ঝক্কি শুধু এটুকুই।
সেই সত্তর-আশির দশকের কো-অর্ড সেটগুলো ছিল কিছুটা আটপৌরে আর সাধারণ নকশার। এখন এ পোশাকটি ফিরে এসেছে নতুন রূপে। বিশ্বের নামীদামি ফ্যাশন ডিজাইনার আর সাধারণ ফ্যাশনপ্রেমী মানুষ, সবাই এখন মজেছেন কো-অর্ড ট্রেন্ডে। দেশ-বিদেশের তারকাদের ফ্যাশনেও এই পোশাক এখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। এয়ারপোর্ট লুক থেকে শুরু করে যেকোনো পার্টিতে তাঁদের দেখা যায় বাহারি কো-অর্ড সেটে।
বৈশ্বিক ট্রেন্ড পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, কো-অর্ড সেটগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ইদানীং, তা প্রিন্টেড হোক বা সলিড কালারের। প্রিন্টের ক্ষেত্রে জ্যামিতিক অ্যানিমেল প্রিন্ট ও ফ্লোরাল নকশা প্রাধান্য পাচ্ছে। রঙের ক্ষেত্রেও বৈচিত্র্য লক্ষণীয়। হট পিংক, নিয়ন, সাদা-কালো-ধূসর প্যালেট, হলুদ আর প্যাস্টেল শেডের কো-অর্ড বেছে নিচ্ছেন অনেকে। কো-অর্ড স্যুটও নারীরা বেশ পছন্দ করছেন। এসব পোশাকে ভ্যালু অ্যাড করার ক্ষেত্রে যোগ হচ্ছে কড়ি, রকমারি লেইস ইত্যাদি।
যেভাবে স্টাইলিং করা যায়
কো-অর্ড পরার পর কীভাবে স্টাইলিং করছেন তার ওপর নির্ভর করবে আপনাকে দেখতে ঠিক কেমন লাগবে। তবে কখন কী রকম সেট পরবেন, তা বুঝে নেওয়াটা জরুরি। যেমন অফিস, ভ্রমণ, শপিংয়ে গেলে ঢিলেঢালা কো-অর্ডই বেশি ভালো হবে। পার্টিতে অফ-শোল্ডার টপের সঙ্গে পরা যায় একই কাপড়ের স্লিম প্যান্ট। আবার সিল্কের সিকুইন করা কো-অর্ডও বেছে নিতে পারেন। যদি একরঙা কো-অর্ড বেছে নেন, তাহলে ব্যাগ ও জুতো প্রিন্টের হলে ভালো লাগবে।
যদি কো-অর্ড প্রিন্টের হয়, তাহলে অন্যান্য অনুষঙ্গ যতটা সম্ভব একই রঙের রাখতে হবে। কো-অর্ডে স্কার্ট বা পালাজ্জো থাকলে ফ্ল্যাট হিল পরতে পারেন পায়ে। বর্তমানে লেয়ারিং করে পোশাক পরতে বেশ পছন্দ করছেন নারীরা। কো-অর্ড স্য়ুটেও লেয়ারিং করতে পারেন। ব্লেজার-প্যান্ট কো-অর্ডের নিচে ক্রপ টপ পরা যেতে পারে। এই ক্রপ টপও হতে পারে ব্লেজার-প্যান্টের প্রিন্টের রঙের। প্রিন্টের কো-অর্ডস হলে ন্য়ুড বা নো মেকআপ লুক আর একরঙা কো-অর্ডে একটু জমকালো সাজ হলে মানাবে ভালো।
ঈদে ঝামেলাহীন থাকুন কো-অর্ড সেটে
কোরবানির ঈদে যেহেতু ব্যস্ততা অনেক, তাই কেনাকাটায় বাড়তি সময় দেওয়াটা কঠিন। বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্কসহ অনলাইনের বিভিন্ন পেজ, যেমন কইন্যা, দেসি ভোগসহ বিভিন্ন জায়গায় নানা রকম কো-অর্ড সেট কিনতে পাওয়া যায়। এই ঈদে রান্নাঘরে বেশি কাজ থাকে। তাই ঢিলেঢালা সুতি বা লিনেনের কো-অর্ড সেট বাছাই করতে পারেন। টপ-ট্রাউজার, শার্ট-পালাজ্জো, কামিজ-পালাজ্জো স্টাইলের ঢিলেঢালা কো-অর্ড বেশি ভালো হবে। ঈদের সারা দিন বাসায় পরার জন্য একটু গাঢ় রঙের প্রিন্টের কো-অর্ড বেছে নিতে পারেন।
সূত্র: কসমোপলিটন ও অন্যান্য
নিত্যদিন পরার জন্য হোক বা উৎসবে; ফ্যাশনে এখন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পোশাকটির নাম কো-অর্ড সেট। এটি সম্প্রতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও তা নয়। আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের ট্রেন্ডি আউটফিট ছিল এ পোশাক।
কো-অর্ড আসলে কী? প্রশ্নের উত্তরটা প্রায় সবাই জানেন। তবু বলে রাখি, ফ্যাশন অভিধান অনুযায়ী, যখন কোনো একটি পোশাকের কোমরের ওপর ও নিচের অংশ একই কাপড়ে তৈরি হয়, সেটাই কো-অর্ড সেট। তবে এ ধরনের পোশাকের কাটিং ও প্যাটার্ন এক নাও হতে পারে। কিন্তু রং ও নকশা একই কাপড়ের থাকতে হবে।
বিভিন্ন নকশার কো-অর্ড সেট রয়েছে। ওপরের অংশে নানা প্যাটার্নের ফিউশন ও নিরীক্ষাধর্মী টপ, শর্ট কামিজ, শার্ট আর নিচে কখনো স্কার্ট, প্যান্ট, সালোয়ার বা পালাজ্জো স্টাইল কো-অর্ড বেশি জনপ্রিয় এখন।
যে কারণে জনপ্রিয়
ঝটপট তৈরি হয়ে নিতে এবং কেনাকাটার ঝামেলা এড়াতে যাঁরা বরাবরই আগ্রহী, তাঁদের ওয়ার্ডরোবে কো-অর্ড থাকবেই থাকবে। ধরুন, সকালে ক্লাসে বা অফিসে যাওয়ার জন্য প্রিন্টের একটা কামিজ বা টপের সঙ্গে জুতসই পায়জামা বা প্যান্ট খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার ঝোঁকের বশে শপিং মল থেকে একটা স্কার্ট পালাজ্জো কিনে ফেলেছেন, কিন্তু আপারওয়্যার কেনার আলসেমিতে তা পরা হয়ে উঠছে না। একটা থাকলে আরেকটা নেই, এমন ঝামেলা এড়াতেই কো-অর্ড সেটের আগমন। কারণ কো-অর্ডে টপ আর বটমে হুবহু একই কাপড়, রং, প্রিন্ট থাকে।
একটু মনে করে দেখুন, ছোটবেলায় মা-খালাদের কিন্তু বাড়িতে জামা-পায়জামা একই রঙের বা প্রিন্টের পরতে দেখেছেন। কুর্তা ও ঢোলা সালোয়ারও পরা হতো একই রঙের কাপড় বা প্রিন্টের। সঙ্গে ওড়না পরতে চাইলে তা আলাদাভাবে কেনা হতো। একরঙা কো-অর্ড হলে প্রিন্টের ওড়না আর প্রিন্টের কো-অর্ড হলে একরঙা ওড়না কেনা; ঝক্কি শুধু এটুকুই।
সেই সত্তর-আশির দশকের কো-অর্ড সেটগুলো ছিল কিছুটা আটপৌরে আর সাধারণ নকশার। এখন এ পোশাকটি ফিরে এসেছে নতুন রূপে। বিশ্বের নামীদামি ফ্যাশন ডিজাইনার আর সাধারণ ফ্যাশনপ্রেমী মানুষ, সবাই এখন মজেছেন কো-অর্ড ট্রেন্ডে। দেশ-বিদেশের তারকাদের ফ্যাশনেও এই পোশাক এখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। এয়ারপোর্ট লুক থেকে শুরু করে যেকোনো পার্টিতে তাঁদের দেখা যায় বাহারি কো-অর্ড সেটে।
বৈশ্বিক ট্রেন্ড পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, কো-অর্ড সেটগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ইদানীং, তা প্রিন্টেড হোক বা সলিড কালারের। প্রিন্টের ক্ষেত্রে জ্যামিতিক অ্যানিমেল প্রিন্ট ও ফ্লোরাল নকশা প্রাধান্য পাচ্ছে। রঙের ক্ষেত্রেও বৈচিত্র্য লক্ষণীয়। হট পিংক, নিয়ন, সাদা-কালো-ধূসর প্যালেট, হলুদ আর প্যাস্টেল শেডের কো-অর্ড বেছে নিচ্ছেন অনেকে। কো-অর্ড স্যুটও নারীরা বেশ পছন্দ করছেন। এসব পোশাকে ভ্যালু অ্যাড করার ক্ষেত্রে যোগ হচ্ছে কড়ি, রকমারি লেইস ইত্যাদি।
যেভাবে স্টাইলিং করা যায়
কো-অর্ড পরার পর কীভাবে স্টাইলিং করছেন তার ওপর নির্ভর করবে আপনাকে দেখতে ঠিক কেমন লাগবে। তবে কখন কী রকম সেট পরবেন, তা বুঝে নেওয়াটা জরুরি। যেমন অফিস, ভ্রমণ, শপিংয়ে গেলে ঢিলেঢালা কো-অর্ডই বেশি ভালো হবে। পার্টিতে অফ-শোল্ডার টপের সঙ্গে পরা যায় একই কাপড়ের স্লিম প্যান্ট। আবার সিল্কের সিকুইন করা কো-অর্ডও বেছে নিতে পারেন। যদি একরঙা কো-অর্ড বেছে নেন, তাহলে ব্যাগ ও জুতো প্রিন্টের হলে ভালো লাগবে।
যদি কো-অর্ড প্রিন্টের হয়, তাহলে অন্যান্য অনুষঙ্গ যতটা সম্ভব একই রঙের রাখতে হবে। কো-অর্ডে স্কার্ট বা পালাজ্জো থাকলে ফ্ল্যাট হিল পরতে পারেন পায়ে। বর্তমানে লেয়ারিং করে পোশাক পরতে বেশ পছন্দ করছেন নারীরা। কো-অর্ড স্য়ুটেও লেয়ারিং করতে পারেন। ব্লেজার-প্যান্ট কো-অর্ডের নিচে ক্রপ টপ পরা যেতে পারে। এই ক্রপ টপও হতে পারে ব্লেজার-প্যান্টের প্রিন্টের রঙের। প্রিন্টের কো-অর্ডস হলে ন্য়ুড বা নো মেকআপ লুক আর একরঙা কো-অর্ডে একটু জমকালো সাজ হলে মানাবে ভালো।
ঈদে ঝামেলাহীন থাকুন কো-অর্ড সেটে
কোরবানির ঈদে যেহেতু ব্যস্ততা অনেক, তাই কেনাকাটায় বাড়তি সময় দেওয়াটা কঠিন। বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্কসহ অনলাইনের বিভিন্ন পেজ, যেমন কইন্যা, দেসি ভোগসহ বিভিন্ন জায়গায় নানা রকম কো-অর্ড সেট কিনতে পাওয়া যায়। এই ঈদে রান্নাঘরে বেশি কাজ থাকে। তাই ঢিলেঢালা সুতি বা লিনেনের কো-অর্ড সেট বাছাই করতে পারেন। টপ-ট্রাউজার, শার্ট-পালাজ্জো, কামিজ-পালাজ্জো স্টাইলের ঢিলেঢালা কো-অর্ড বেশি ভালো হবে। ঈদের সারা দিন বাসায় পরার জন্য একটু গাঢ় রঙের প্রিন্টের কো-অর্ড বেছে নিতে পারেন।
সূত্র: কসমোপলিটন ও অন্যান্য
মানচিত্রে ভারতের দক্ষিণে যেন একফোঁটা জলের টিপ ঝুলে আছে, তার নাম শ্রীলঙ্কা। ক্রিকেটে দেশটির খ্যাতি বিশ্বময়। তবে এর বাইরে পর্যটনের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা বেশ আকর্ষণীয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় পর্যটকদের পদচারণে এখন মুখর শ্রীলঙ্কা।
১৬ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ড ‘ছয় দেশ, এক গন্তব্য’ নামে একটি নতুন পর্যটন ক্যাম্পেইন চালু করতে যাচ্ছে। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশকে একসঙ্গে যুক্ত করে পর্যটকদের জন্য একটি সহজ ও আনন্দদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা তৈরি করা। থাইল্যান্ড ছাড়া এই প্রকল্পে অংশ
১৬ ঘণ্টা আগেজীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ভ্রমণের সময় সঠিক বিমা নেওয়া আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চিকিৎসাসংক্রান্ত জটিলতা, ফ্লাইট মিস করা কিংবা হারিয়ে যাওয়া ব্যাগেজের খরচ যেন আপনার মাথায় না পড়ে, সে জন্য আগে থেকেই সতর্ক থাকা দরকার।
১৬ ঘণ্টা আগেচ্যাটজিপিটি আসার পর গুগলের সার্চ ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি অ্যাপলের এক নির্বাহী বলেন, আইফোনের গুগল ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ ট্রাফিক কমে যাচ্ছে। ফলে তাদের শেয়ারমূল্য কমেছে। তবে গুগল তো থেমে যাওয়ার পাত্র নয়। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের হোম পেজে নতুন এআই সার্চ টুল পরীক্ষামূলকভ
১৬ ঘণ্টা আগে