মাহববুব সিদ্দিকী

আম নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। উৎকৃষ্টের বিচারে কোন জাতের আম শ্রেষ্ঠ, এ প্রশ্নের কোনো মীমাংসা আজ পর্যন্ত হয়নি। সম্ভবত কোনো দিন হবেও না। এর কারণও আছে। আমকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পৃথিবীতে এতকাল হয়ে এসেছে এবং হয়ে চলেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন আম উৎপাদনকারী দেশ বা অঞ্চলে মানুষের নিজ নিজ এলাকায় উৎপাদিত আম নিয়ে গর্ব ও অহংকারের শেষ নেই। এমন ভাবনা এসেছে আঞ্চলিকতা, জাতীয়তাবোধ কিংবা দেশাত্মবোধ থেকে।
কোনো অঞ্চলের কয়েকটি উৎকৃষ্ট জাতের আমের স্বাদে অভ্যস্ত সেখানকার জনসাধারণ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, তাদের এলাকায় উৎপাদিত তৃপ্তিদায়ক আমগুলোই পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ। আবার এমনও দেখা যাবে, একটি দেশের মধ্যে কয়েকটি অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ ও সুগন্ধযুক্ত অতি উৎকৃষ্ট মানের আম উৎপন্ন হচ্ছে। সেই অঞ্চলগুলোর জনসাধারণ তাদের এলাকার আমগুলোকেই শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করে।
বাংলাদেশকে দিয়েই উদাহরণ শুরু করা যেতে পারে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার জনসাধারণের মধ্যে একটি বিশ্বাস ও অহংকার কাজ করে যে তাদের এলাকায় উৎপাদিত আম বিশেষ করে ফজলি, ল্যাংড়া, ক্ষীরশাপাতি, রানিপছন্দ, গৌরমতি দেশের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। একই বিষয়ে এরা দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করে যে আমের আভিজাত্যের মাপকাঠিতে নবাবগঞ্জের অবস্থানই শীর্ষে।
রাজশাহী মহানগরীর অভিজাত আম ভোক্তাগণ রায়পাড়া বাগানের নির্দিষ্ট কিছু আমকে শ্রেষ্ঠ বলে থাকেন। এই বাগানের আম এরা নাগালের মধ্যে পেলে, আশপাশে আর তাকানোর কোনো প্রয়োজনই মনে করে না। রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট অঞ্চলের লোকজন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, তাদের উৎপাদিত ফজলি ও লক্ষণভোগ দেশের মধ্যে সেরা।
অন্যদিকে নাটোর অঞ্চলের মানুষ গোপালভোগ বা কালুয়া নামক আমকে সর্বশ্রেষ্ঠ আম বলে দাবি করে। নওগাঁ অঞ্চলে উৎপাদিত নাক ফজলি আমের মধ্যে গুণ-মানে সর্বশ্রেষ্ঠ, এই বিশ্বাসে অন্ধ নওগাঁ এলাকার মানুষ। এদিকে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার মানুষ তাদের অঞ্চলের বোম্বাই আমের সঙ্গে অন্য কোনো আমের তুলনা করতে নারাজ। একইভাবে সাতক্ষীরার মানুষেরা তাদের ল্যাংড়া ও গোবিন্দভোগ আমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। রংপুরের মানুষের এ কথা বোঝানো খুব মুশকিল হবে যে হাঁড়িভাঙা আমের চেয়েও ভালো আম বাংলাদেশে রয়েছে। একইভাবে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের মানুষ বুঝতেই চাইবে না, সূর্যপুরী আমের চেয়েও ভালো জাতের আম দেশে থাকতে পারে।
দিনাজপুর জেলার মানুষ বিশ্বাস করে, ‘কাটারিভোগ চালের ভাতের সঙ্গে দুই জ্বালের খাঁটি গোদুগ্ধ আর তার সঙ্গে সুপক্ব একটি মিশ্রীভোগ আমের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে যে খাদ্যবস্তু প্রস্তুত হবে, নিঃসন্দেহে তা তুলনারহিত।’
বৃহৎ বঙ্গের মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা শত শত উৎকৃষ্ট জাতের আম উৎপাদনে বরাবরই শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। এদের ধমনিতে আম সংস্কৃতির পরম্পরা প্রবহমান। এর প্রধান কারণ হলো মুর্শিদাবাদের নবাব এবং তাঁদের সহযোগী অভিজাত শ্রেণির মানুষের মধ্যে আম সংস্কৃতির দীর্ঘকালীন চর্চা। এদের আম্রকুঞ্জ থেকে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য অতি মনোহর উন্নত জাতের আম। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কোহিতুর, স্বাদওয়ালা, রানিপছন্দ, ক্ষীরশাপাতি, হিমসাগর, বিড়া বা সফদারপছন্দ ইত্যাদি। মুর্শিদাবাদের মানুষ মনে করে এ দেশে আম সংস্কৃতির প্রধান ধারক-বাহক তারাই। কোহিতুর আম নিয়ে তাদের গর্বের সীমা নেই। এদের বিশ্বাস, শুধু এই উপমহাদেশে কেন, সমগ্র বিশ্বে কোহিতুর আমের সঙ্গে অন্য কোনো আমের তুলনা করা নিছক বাতুলতা।
একইভাবে একজন থাইল্যান্ডবাসী বিশ্বাস করে, তাদের দেশে উৎপাদিত ডক মাই নামের আমটি পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ। তেমনিভাবে একজন ফিলিপিনো মনে করে তাদের দেশের শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত ক্যারাবাউ ও পিকো এই দুটি আমের ধারেকাছে পৃথিবীর কোনো আম নেই। একজন পাকিস্তানির ধারণা, তাদের দেশের আনোয়ার রাতাউল, মোহাম্মদওয়ালা, সিন্ধরী এগুলোর স্বাদ ও গন্ধ তুলনাহীন। সাধারণভাবে বাংলাদেশিদের ধারণা, ল্যাংড়া, ক্ষীরশাপাতি গোপালভোগ ও হিমসাগর এগুলোই হচ্ছে পৃথিবীর সেরা আম।
এ সবকিছুই আমের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, নিজেদের এলাকা তথা দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উৎসারিত। আমসংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষার পর আমবিশারদ এবং আমভক্ত মানুষের মতামত হলো, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে উৎপাদিত আমের ভালো ভালো জাতগুলোই পৃথিবীর মানুষকে আকৃষ্ট করেছে সবচেয়ে বেশি।
দক্ষিণ এশিয়ার এই তিনটি দেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে যে যে জাতের আম উৎপন্ন হচ্ছে, সন্দেহ নেই সেগুলো আকারে বেশ
বড়, কোনো কোনোটির রং আকর্ষণীয় কিন্তু অধিকাংশই আঁশে ভরা। স্বাদ ও সুগন্ধের মধ্যেও অনেক ফারাক। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বেশির ভাগ উন্নত বাণিজ্যিক জাত স্বাদে অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক।
অধিকাংশ আমের রং আকর্ষণীয় আর পাগল করা সুগন্ধ। এই দেশগুলোর সর্বশ্রেষ্ঠ জাতের আম বাছাই এবং সেগুলোর গুণাগুণ বিচার করে, ক্রমানুসারে সাজানোর কাজটি কখনোই সঠিক হবে না। সেটি সম্ভবও নয়। আম সব সময়ই ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর নির্ভরশীল। কারোর কাছে মিষ্টতার পরিমাণ হচ্ছে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি, আবার কারোর কাছে সুগন্ধ, আকর্ষণীয় রং ও রসের পরিমাণ ইত্যাদি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। আমের সৌরভ, স্বাদ, মিষ্টতা, রং, আঁশের পরিমাণ এবং সর্বোপরি বাণিজ্যিক খ্যাতি ইত্যাদি বিচার করে এই তিনটি দেশের শ্রেষ্ঠ আমের জাতগুলোর একটি তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করা যেতে পারে।
ম্যাঙ্গো সালসা
উপকরণ
কিউব করে কাটা পাকা আম দেড় কাপ, লাল বা সবুজ ক্যাপসিকাম পরিমাণ মতো, লাল পেঁয়াজ ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ কুঁচি, ধনেপাতা ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি
ওপরের সব উপকরণ একটা পাত্রে ঢেলে নিয়ে আলতো হাতে দুইটি চামচের সাহায্যে মিশিয়ে নিলেই সালসা তৈরি। পাঁপড় বা ট্যাকোসের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে। শুধু সালসাও খেতে দারুণ।
রেসিপি: ফারাহ্তানজীন সুবর্ণা

আম নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। উৎকৃষ্টের বিচারে কোন জাতের আম শ্রেষ্ঠ, এ প্রশ্নের কোনো মীমাংসা আজ পর্যন্ত হয়নি। সম্ভবত কোনো দিন হবেও না। এর কারণও আছে। আমকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পৃথিবীতে এতকাল হয়ে এসেছে এবং হয়ে চলেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন আম উৎপাদনকারী দেশ বা অঞ্চলে মানুষের নিজ নিজ এলাকায় উৎপাদিত আম নিয়ে গর্ব ও অহংকারের শেষ নেই। এমন ভাবনা এসেছে আঞ্চলিকতা, জাতীয়তাবোধ কিংবা দেশাত্মবোধ থেকে।
কোনো অঞ্চলের কয়েকটি উৎকৃষ্ট জাতের আমের স্বাদে অভ্যস্ত সেখানকার জনসাধারণ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, তাদের এলাকায় উৎপাদিত তৃপ্তিদায়ক আমগুলোই পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ। আবার এমনও দেখা যাবে, একটি দেশের মধ্যে কয়েকটি অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ ও সুগন্ধযুক্ত অতি উৎকৃষ্ট মানের আম উৎপন্ন হচ্ছে। সেই অঞ্চলগুলোর জনসাধারণ তাদের এলাকার আমগুলোকেই শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করে।
বাংলাদেশকে দিয়েই উদাহরণ শুরু করা যেতে পারে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার জনসাধারণের মধ্যে একটি বিশ্বাস ও অহংকার কাজ করে যে তাদের এলাকায় উৎপাদিত আম বিশেষ করে ফজলি, ল্যাংড়া, ক্ষীরশাপাতি, রানিপছন্দ, গৌরমতি দেশের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। একই বিষয়ে এরা দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করে যে আমের আভিজাত্যের মাপকাঠিতে নবাবগঞ্জের অবস্থানই শীর্ষে।
রাজশাহী মহানগরীর অভিজাত আম ভোক্তাগণ রায়পাড়া বাগানের নির্দিষ্ট কিছু আমকে শ্রেষ্ঠ বলে থাকেন। এই বাগানের আম এরা নাগালের মধ্যে পেলে, আশপাশে আর তাকানোর কোনো প্রয়োজনই মনে করে না। রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট অঞ্চলের লোকজন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, তাদের উৎপাদিত ফজলি ও লক্ষণভোগ দেশের মধ্যে সেরা।
অন্যদিকে নাটোর অঞ্চলের মানুষ গোপালভোগ বা কালুয়া নামক আমকে সর্বশ্রেষ্ঠ আম বলে দাবি করে। নওগাঁ অঞ্চলে উৎপাদিত নাক ফজলি আমের মধ্যে গুণ-মানে সর্বশ্রেষ্ঠ, এই বিশ্বাসে অন্ধ নওগাঁ এলাকার মানুষ। এদিকে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার মানুষ তাদের অঞ্চলের বোম্বাই আমের সঙ্গে অন্য কোনো আমের তুলনা করতে নারাজ। একইভাবে সাতক্ষীরার মানুষেরা তাদের ল্যাংড়া ও গোবিন্দভোগ আমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। রংপুরের মানুষের এ কথা বোঝানো খুব মুশকিল হবে যে হাঁড়িভাঙা আমের চেয়েও ভালো আম বাংলাদেশে রয়েছে। একইভাবে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের মানুষ বুঝতেই চাইবে না, সূর্যপুরী আমের চেয়েও ভালো জাতের আম দেশে থাকতে পারে।
দিনাজপুর জেলার মানুষ বিশ্বাস করে, ‘কাটারিভোগ চালের ভাতের সঙ্গে দুই জ্বালের খাঁটি গোদুগ্ধ আর তার সঙ্গে সুপক্ব একটি মিশ্রীভোগ আমের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে যে খাদ্যবস্তু প্রস্তুত হবে, নিঃসন্দেহে তা তুলনারহিত।’
বৃহৎ বঙ্গের মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা শত শত উৎকৃষ্ট জাতের আম উৎপাদনে বরাবরই শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। এদের ধমনিতে আম সংস্কৃতির পরম্পরা প্রবহমান। এর প্রধান কারণ হলো মুর্শিদাবাদের নবাব এবং তাঁদের সহযোগী অভিজাত শ্রেণির মানুষের মধ্যে আম সংস্কৃতির দীর্ঘকালীন চর্চা। এদের আম্রকুঞ্জ থেকে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য অতি মনোহর উন্নত জাতের আম। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কোহিতুর, স্বাদওয়ালা, রানিপছন্দ, ক্ষীরশাপাতি, হিমসাগর, বিড়া বা সফদারপছন্দ ইত্যাদি। মুর্শিদাবাদের মানুষ মনে করে এ দেশে আম সংস্কৃতির প্রধান ধারক-বাহক তারাই। কোহিতুর আম নিয়ে তাদের গর্বের সীমা নেই। এদের বিশ্বাস, শুধু এই উপমহাদেশে কেন, সমগ্র বিশ্বে কোহিতুর আমের সঙ্গে অন্য কোনো আমের তুলনা করা নিছক বাতুলতা।
একইভাবে একজন থাইল্যান্ডবাসী বিশ্বাস করে, তাদের দেশে উৎপাদিত ডক মাই নামের আমটি পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ। তেমনিভাবে একজন ফিলিপিনো মনে করে তাদের দেশের শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত ক্যারাবাউ ও পিকো এই দুটি আমের ধারেকাছে পৃথিবীর কোনো আম নেই। একজন পাকিস্তানির ধারণা, তাদের দেশের আনোয়ার রাতাউল, মোহাম্মদওয়ালা, সিন্ধরী এগুলোর স্বাদ ও গন্ধ তুলনাহীন। সাধারণভাবে বাংলাদেশিদের ধারণা, ল্যাংড়া, ক্ষীরশাপাতি গোপালভোগ ও হিমসাগর এগুলোই হচ্ছে পৃথিবীর সেরা আম।
এ সবকিছুই আমের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, নিজেদের এলাকা তথা দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উৎসারিত। আমসংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষার পর আমবিশারদ এবং আমভক্ত মানুষের মতামত হলো, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে উৎপাদিত আমের ভালো ভালো জাতগুলোই পৃথিবীর মানুষকে আকৃষ্ট করেছে সবচেয়ে বেশি।
দক্ষিণ এশিয়ার এই তিনটি দেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে যে যে জাতের আম উৎপন্ন হচ্ছে, সন্দেহ নেই সেগুলো আকারে বেশ
বড়, কোনো কোনোটির রং আকর্ষণীয় কিন্তু অধিকাংশই আঁশে ভরা। স্বাদ ও সুগন্ধের মধ্যেও অনেক ফারাক। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বেশির ভাগ উন্নত বাণিজ্যিক জাত স্বাদে অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক।
অধিকাংশ আমের রং আকর্ষণীয় আর পাগল করা সুগন্ধ। এই দেশগুলোর সর্বশ্রেষ্ঠ জাতের আম বাছাই এবং সেগুলোর গুণাগুণ বিচার করে, ক্রমানুসারে সাজানোর কাজটি কখনোই সঠিক হবে না। সেটি সম্ভবও নয়। আম সব সময়ই ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর নির্ভরশীল। কারোর কাছে মিষ্টতার পরিমাণ হচ্ছে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি, আবার কারোর কাছে সুগন্ধ, আকর্ষণীয় রং ও রসের পরিমাণ ইত্যাদি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। আমের সৌরভ, স্বাদ, মিষ্টতা, রং, আঁশের পরিমাণ এবং সর্বোপরি বাণিজ্যিক খ্যাতি ইত্যাদি বিচার করে এই তিনটি দেশের শ্রেষ্ঠ আমের জাতগুলোর একটি তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করা যেতে পারে।
ম্যাঙ্গো সালসা
উপকরণ
কিউব করে কাটা পাকা আম দেড় কাপ, লাল বা সবুজ ক্যাপসিকাম পরিমাণ মতো, লাল পেঁয়াজ ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ কুঁচি, ধনেপাতা ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি
ওপরের সব উপকরণ একটা পাত্রে ঢেলে নিয়ে আলতো হাতে দুইটি চামচের সাহায্যে মিশিয়ে নিলেই সালসা তৈরি। পাঁপড় বা ট্যাকোসের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে। শুধু সালসাও খেতে দারুণ।
রেসিপি: ফারাহ্তানজীন সুবর্ণা
মাহববুব সিদ্দিকী

আম নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। উৎকৃষ্টের বিচারে কোন জাতের আম শ্রেষ্ঠ, এ প্রশ্নের কোনো মীমাংসা আজ পর্যন্ত হয়নি। সম্ভবত কোনো দিন হবেও না। এর কারণও আছে। আমকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পৃথিবীতে এতকাল হয়ে এসেছে এবং হয়ে চলেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন আম উৎপাদনকারী দেশ বা অঞ্চলে মানুষের নিজ নিজ এলাকায় উৎপাদিত আম নিয়ে গর্ব ও অহংকারের শেষ নেই। এমন ভাবনা এসেছে আঞ্চলিকতা, জাতীয়তাবোধ কিংবা দেশাত্মবোধ থেকে।
কোনো অঞ্চলের কয়েকটি উৎকৃষ্ট জাতের আমের স্বাদে অভ্যস্ত সেখানকার জনসাধারণ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, তাদের এলাকায় উৎপাদিত তৃপ্তিদায়ক আমগুলোই পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ। আবার এমনও দেখা যাবে, একটি দেশের মধ্যে কয়েকটি অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ ও সুগন্ধযুক্ত অতি উৎকৃষ্ট মানের আম উৎপন্ন হচ্ছে। সেই অঞ্চলগুলোর জনসাধারণ তাদের এলাকার আমগুলোকেই শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করে।
বাংলাদেশকে দিয়েই উদাহরণ শুরু করা যেতে পারে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার জনসাধারণের মধ্যে একটি বিশ্বাস ও অহংকার কাজ করে যে তাদের এলাকায় উৎপাদিত আম বিশেষ করে ফজলি, ল্যাংড়া, ক্ষীরশাপাতি, রানিপছন্দ, গৌরমতি দেশের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। একই বিষয়ে এরা দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করে যে আমের আভিজাত্যের মাপকাঠিতে নবাবগঞ্জের অবস্থানই শীর্ষে।
রাজশাহী মহানগরীর অভিজাত আম ভোক্তাগণ রায়পাড়া বাগানের নির্দিষ্ট কিছু আমকে শ্রেষ্ঠ বলে থাকেন। এই বাগানের আম এরা নাগালের মধ্যে পেলে, আশপাশে আর তাকানোর কোনো প্রয়োজনই মনে করে না। রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট অঞ্চলের লোকজন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, তাদের উৎপাদিত ফজলি ও লক্ষণভোগ দেশের মধ্যে সেরা।
অন্যদিকে নাটোর অঞ্চলের মানুষ গোপালভোগ বা কালুয়া নামক আমকে সর্বশ্রেষ্ঠ আম বলে দাবি করে। নওগাঁ অঞ্চলে উৎপাদিত নাক ফজলি আমের মধ্যে গুণ-মানে সর্বশ্রেষ্ঠ, এই বিশ্বাসে অন্ধ নওগাঁ এলাকার মানুষ। এদিকে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার মানুষ তাদের অঞ্চলের বোম্বাই আমের সঙ্গে অন্য কোনো আমের তুলনা করতে নারাজ। একইভাবে সাতক্ষীরার মানুষেরা তাদের ল্যাংড়া ও গোবিন্দভোগ আমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। রংপুরের মানুষের এ কথা বোঝানো খুব মুশকিল হবে যে হাঁড়িভাঙা আমের চেয়েও ভালো আম বাংলাদেশে রয়েছে। একইভাবে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের মানুষ বুঝতেই চাইবে না, সূর্যপুরী আমের চেয়েও ভালো জাতের আম দেশে থাকতে পারে।
দিনাজপুর জেলার মানুষ বিশ্বাস করে, ‘কাটারিভোগ চালের ভাতের সঙ্গে দুই জ্বালের খাঁটি গোদুগ্ধ আর তার সঙ্গে সুপক্ব একটি মিশ্রীভোগ আমের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে যে খাদ্যবস্তু প্রস্তুত হবে, নিঃসন্দেহে তা তুলনারহিত।’
বৃহৎ বঙ্গের মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা শত শত উৎকৃষ্ট জাতের আম উৎপাদনে বরাবরই শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। এদের ধমনিতে আম সংস্কৃতির পরম্পরা প্রবহমান। এর প্রধান কারণ হলো মুর্শিদাবাদের নবাব এবং তাঁদের সহযোগী অভিজাত শ্রেণির মানুষের মধ্যে আম সংস্কৃতির দীর্ঘকালীন চর্চা। এদের আম্রকুঞ্জ থেকে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য অতি মনোহর উন্নত জাতের আম। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কোহিতুর, স্বাদওয়ালা, রানিপছন্দ, ক্ষীরশাপাতি, হিমসাগর, বিড়া বা সফদারপছন্দ ইত্যাদি। মুর্শিদাবাদের মানুষ মনে করে এ দেশে আম সংস্কৃতির প্রধান ধারক-বাহক তারাই। কোহিতুর আম নিয়ে তাদের গর্বের সীমা নেই। এদের বিশ্বাস, শুধু এই উপমহাদেশে কেন, সমগ্র বিশ্বে কোহিতুর আমের সঙ্গে অন্য কোনো আমের তুলনা করা নিছক বাতুলতা।
একইভাবে একজন থাইল্যান্ডবাসী বিশ্বাস করে, তাদের দেশে উৎপাদিত ডক মাই নামের আমটি পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ। তেমনিভাবে একজন ফিলিপিনো মনে করে তাদের দেশের শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত ক্যারাবাউ ও পিকো এই দুটি আমের ধারেকাছে পৃথিবীর কোনো আম নেই। একজন পাকিস্তানির ধারণা, তাদের দেশের আনোয়ার রাতাউল, মোহাম্মদওয়ালা, সিন্ধরী এগুলোর স্বাদ ও গন্ধ তুলনাহীন। সাধারণভাবে বাংলাদেশিদের ধারণা, ল্যাংড়া, ক্ষীরশাপাতি গোপালভোগ ও হিমসাগর এগুলোই হচ্ছে পৃথিবীর সেরা আম।
এ সবকিছুই আমের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, নিজেদের এলাকা তথা দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উৎসারিত। আমসংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষার পর আমবিশারদ এবং আমভক্ত মানুষের মতামত হলো, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে উৎপাদিত আমের ভালো ভালো জাতগুলোই পৃথিবীর মানুষকে আকৃষ্ট করেছে সবচেয়ে বেশি।
দক্ষিণ এশিয়ার এই তিনটি দেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে যে যে জাতের আম উৎপন্ন হচ্ছে, সন্দেহ নেই সেগুলো আকারে বেশ
বড়, কোনো কোনোটির রং আকর্ষণীয় কিন্তু অধিকাংশই আঁশে ভরা। স্বাদ ও সুগন্ধের মধ্যেও অনেক ফারাক। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বেশির ভাগ উন্নত বাণিজ্যিক জাত স্বাদে অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক।
অধিকাংশ আমের রং আকর্ষণীয় আর পাগল করা সুগন্ধ। এই দেশগুলোর সর্বশ্রেষ্ঠ জাতের আম বাছাই এবং সেগুলোর গুণাগুণ বিচার করে, ক্রমানুসারে সাজানোর কাজটি কখনোই সঠিক হবে না। সেটি সম্ভবও নয়। আম সব সময়ই ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর নির্ভরশীল। কারোর কাছে মিষ্টতার পরিমাণ হচ্ছে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি, আবার কারোর কাছে সুগন্ধ, আকর্ষণীয় রং ও রসের পরিমাণ ইত্যাদি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। আমের সৌরভ, স্বাদ, মিষ্টতা, রং, আঁশের পরিমাণ এবং সর্বোপরি বাণিজ্যিক খ্যাতি ইত্যাদি বিচার করে এই তিনটি দেশের শ্রেষ্ঠ আমের জাতগুলোর একটি তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করা যেতে পারে।
ম্যাঙ্গো সালসা
উপকরণ
কিউব করে কাটা পাকা আম দেড় কাপ, লাল বা সবুজ ক্যাপসিকাম পরিমাণ মতো, লাল পেঁয়াজ ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ কুঁচি, ধনেপাতা ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি
ওপরের সব উপকরণ একটা পাত্রে ঢেলে নিয়ে আলতো হাতে দুইটি চামচের সাহায্যে মিশিয়ে নিলেই সালসা তৈরি। পাঁপড় বা ট্যাকোসের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে। শুধু সালসাও খেতে দারুণ।
রেসিপি: ফারাহ্তানজীন সুবর্ণা

আম নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। উৎকৃষ্টের বিচারে কোন জাতের আম শ্রেষ্ঠ, এ প্রশ্নের কোনো মীমাংসা আজ পর্যন্ত হয়নি। সম্ভবত কোনো দিন হবেও না। এর কারণও আছে। আমকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পৃথিবীতে এতকাল হয়ে এসেছে এবং হয়ে চলেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন আম উৎপাদনকারী দেশ বা অঞ্চলে মানুষের নিজ নিজ এলাকায় উৎপাদিত আম নিয়ে গর্ব ও অহংকারের শেষ নেই। এমন ভাবনা এসেছে আঞ্চলিকতা, জাতীয়তাবোধ কিংবা দেশাত্মবোধ থেকে।
কোনো অঞ্চলের কয়েকটি উৎকৃষ্ট জাতের আমের স্বাদে অভ্যস্ত সেখানকার জনসাধারণ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, তাদের এলাকায় উৎপাদিত তৃপ্তিদায়ক আমগুলোই পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ। আবার এমনও দেখা যাবে, একটি দেশের মধ্যে কয়েকটি অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ ও সুগন্ধযুক্ত অতি উৎকৃষ্ট মানের আম উৎপন্ন হচ্ছে। সেই অঞ্চলগুলোর জনসাধারণ তাদের এলাকার আমগুলোকেই শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করে।
বাংলাদেশকে দিয়েই উদাহরণ শুরু করা যেতে পারে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার জনসাধারণের মধ্যে একটি বিশ্বাস ও অহংকার কাজ করে যে তাদের এলাকায় উৎপাদিত আম বিশেষ করে ফজলি, ল্যাংড়া, ক্ষীরশাপাতি, রানিপছন্দ, গৌরমতি দেশের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। একই বিষয়ে এরা দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করে যে আমের আভিজাত্যের মাপকাঠিতে নবাবগঞ্জের অবস্থানই শীর্ষে।
রাজশাহী মহানগরীর অভিজাত আম ভোক্তাগণ রায়পাড়া বাগানের নির্দিষ্ট কিছু আমকে শ্রেষ্ঠ বলে থাকেন। এই বাগানের আম এরা নাগালের মধ্যে পেলে, আশপাশে আর তাকানোর কোনো প্রয়োজনই মনে করে না। রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট অঞ্চলের লোকজন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, তাদের উৎপাদিত ফজলি ও লক্ষণভোগ দেশের মধ্যে সেরা।
অন্যদিকে নাটোর অঞ্চলের মানুষ গোপালভোগ বা কালুয়া নামক আমকে সর্বশ্রেষ্ঠ আম বলে দাবি করে। নওগাঁ অঞ্চলে উৎপাদিত নাক ফজলি আমের মধ্যে গুণ-মানে সর্বশ্রেষ্ঠ, এই বিশ্বাসে অন্ধ নওগাঁ এলাকার মানুষ। এদিকে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার মানুষ তাদের অঞ্চলের বোম্বাই আমের সঙ্গে অন্য কোনো আমের তুলনা করতে নারাজ। একইভাবে সাতক্ষীরার মানুষেরা তাদের ল্যাংড়া ও গোবিন্দভোগ আমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। রংপুরের মানুষের এ কথা বোঝানো খুব মুশকিল হবে যে হাঁড়িভাঙা আমের চেয়েও ভালো আম বাংলাদেশে রয়েছে। একইভাবে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের মানুষ বুঝতেই চাইবে না, সূর্যপুরী আমের চেয়েও ভালো জাতের আম দেশে থাকতে পারে।
দিনাজপুর জেলার মানুষ বিশ্বাস করে, ‘কাটারিভোগ চালের ভাতের সঙ্গে দুই জ্বালের খাঁটি গোদুগ্ধ আর তার সঙ্গে সুপক্ব একটি মিশ্রীভোগ আমের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে যে খাদ্যবস্তু প্রস্তুত হবে, নিঃসন্দেহে তা তুলনারহিত।’
বৃহৎ বঙ্গের মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা শত শত উৎকৃষ্ট জাতের আম উৎপাদনে বরাবরই শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। এদের ধমনিতে আম সংস্কৃতির পরম্পরা প্রবহমান। এর প্রধান কারণ হলো মুর্শিদাবাদের নবাব এবং তাঁদের সহযোগী অভিজাত শ্রেণির মানুষের মধ্যে আম সংস্কৃতির দীর্ঘকালীন চর্চা। এদের আম্রকুঞ্জ থেকে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য অতি মনোহর উন্নত জাতের আম। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কোহিতুর, স্বাদওয়ালা, রানিপছন্দ, ক্ষীরশাপাতি, হিমসাগর, বিড়া বা সফদারপছন্দ ইত্যাদি। মুর্শিদাবাদের মানুষ মনে করে এ দেশে আম সংস্কৃতির প্রধান ধারক-বাহক তারাই। কোহিতুর আম নিয়ে তাদের গর্বের সীমা নেই। এদের বিশ্বাস, শুধু এই উপমহাদেশে কেন, সমগ্র বিশ্বে কোহিতুর আমের সঙ্গে অন্য কোনো আমের তুলনা করা নিছক বাতুলতা।
একইভাবে একজন থাইল্যান্ডবাসী বিশ্বাস করে, তাদের দেশে উৎপাদিত ডক মাই নামের আমটি পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ। তেমনিভাবে একজন ফিলিপিনো মনে করে তাদের দেশের শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত ক্যারাবাউ ও পিকো এই দুটি আমের ধারেকাছে পৃথিবীর কোনো আম নেই। একজন পাকিস্তানির ধারণা, তাদের দেশের আনোয়ার রাতাউল, মোহাম্মদওয়ালা, সিন্ধরী এগুলোর স্বাদ ও গন্ধ তুলনাহীন। সাধারণভাবে বাংলাদেশিদের ধারণা, ল্যাংড়া, ক্ষীরশাপাতি গোপালভোগ ও হিমসাগর এগুলোই হচ্ছে পৃথিবীর সেরা আম।
এ সবকিছুই আমের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, নিজেদের এলাকা তথা দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উৎসারিত। আমসংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষার পর আমবিশারদ এবং আমভক্ত মানুষের মতামত হলো, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে উৎপাদিত আমের ভালো ভালো জাতগুলোই পৃথিবীর মানুষকে আকৃষ্ট করেছে সবচেয়ে বেশি।
দক্ষিণ এশিয়ার এই তিনটি দেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে যে যে জাতের আম উৎপন্ন হচ্ছে, সন্দেহ নেই সেগুলো আকারে বেশ
বড়, কোনো কোনোটির রং আকর্ষণীয় কিন্তু অধিকাংশই আঁশে ভরা। স্বাদ ও সুগন্ধের মধ্যেও অনেক ফারাক। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বেশির ভাগ উন্নত বাণিজ্যিক জাত স্বাদে অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক।
অধিকাংশ আমের রং আকর্ষণীয় আর পাগল করা সুগন্ধ। এই দেশগুলোর সর্বশ্রেষ্ঠ জাতের আম বাছাই এবং সেগুলোর গুণাগুণ বিচার করে, ক্রমানুসারে সাজানোর কাজটি কখনোই সঠিক হবে না। সেটি সম্ভবও নয়। আম সব সময়ই ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর নির্ভরশীল। কারোর কাছে মিষ্টতার পরিমাণ হচ্ছে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি, আবার কারোর কাছে সুগন্ধ, আকর্ষণীয় রং ও রসের পরিমাণ ইত্যাদি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। আমের সৌরভ, স্বাদ, মিষ্টতা, রং, আঁশের পরিমাণ এবং সর্বোপরি বাণিজ্যিক খ্যাতি ইত্যাদি বিচার করে এই তিনটি দেশের শ্রেষ্ঠ আমের জাতগুলোর একটি তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করা যেতে পারে।
ম্যাঙ্গো সালসা
উপকরণ
কিউব করে কাটা পাকা আম দেড় কাপ, লাল বা সবুজ ক্যাপসিকাম পরিমাণ মতো, লাল পেঁয়াজ ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ কুঁচি, ধনেপাতা ও লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি
ওপরের সব উপকরণ একটা পাত্রে ঢেলে নিয়ে আলতো হাতে দুইটি চামচের সাহায্যে মিশিয়ে নিলেই সালসা তৈরি। পাঁপড় বা ট্যাকোসের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে। শুধু সালসাও খেতে দারুণ।
রেসিপি: ফারাহ্তানজীন সুবর্ণা

মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৩ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

আম নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। উৎকৃষ্টের বিচারে কোন জাতের আম শ্রেষ্ঠ, এ প্রশ্নের কোনো মীমাংসা আজ পর্যন্ত হয়নি। সম্ভবত কোনো দিন হবেও না। এর কারণও আছে। আমকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পৃথিবীতে এতকাল হয়ে এসেছে এবং হয়ে চলেছে।
০৪ জুলাই ২০২২
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৩ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৭ ঘণ্টা আগেডা. নূরজাহান বেগম

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
ত্বকের যত্ন
এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

চুলের যত্ন
দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।
আরাম পরিধেয়
এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
ত্বকের যত্ন
এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

চুলের যত্ন
দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।
আরাম পরিধেয়
এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

আম নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। উৎকৃষ্টের বিচারে কোন জাতের আম শ্রেষ্ঠ, এ প্রশ্নের কোনো মীমাংসা আজ পর্যন্ত হয়নি। সম্ভবত কোনো দিন হবেও না। এর কারণও আছে। আমকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পৃথিবীতে এতকাল হয়ে এসেছে এবং হয়ে চলেছে।
০৪ জুলাই ২০২২
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

আম নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। উৎকৃষ্টের বিচারে কোন জাতের আম শ্রেষ্ঠ, এ প্রশ্নের কোনো মীমাংসা আজ পর্যন্ত হয়নি। সম্ভবত কোনো দিন হবেও না। এর কারণও আছে। আমকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পৃথিবীতে এতকাল হয়ে এসেছে এবং হয়ে চলেছে।
০৪ জুলাই ২০২২
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৩ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

আম নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। উৎকৃষ্টের বিচারে কোন জাতের আম শ্রেষ্ঠ, এ প্রশ্নের কোনো মীমাংসা আজ পর্যন্ত হয়নি। সম্ভবত কোনো দিন হবেও না। এর কারণও আছে। আমকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পৃথিবীতে এতকাল হয়ে এসেছে এবং হয়ে চলেছে।
০৪ জুলাই ২০২২
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
১ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৩ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে