ফিচার ডেস্ক
প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে জরিমানাসহ বিভিন্ন শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছে।
ইন্দোনেশিয়া
২০১৯ সাল থেকে বালি, জাভা, কমোডো দ্বীপে প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। স্থানীয় খাবারের দোকানগুলোতে বাঁশের স্ট্র, কলাপাতা ও বায়োডিগ্রেডেবল প্যাকেট ব্যবহার করা হয় এখন। হোটেলগুলোয় রয়েছে পানির রিফিল স্টেশন। সেখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খাবার পরিবেশন করা হয়, যা পরিবেশবান্ধব এবং দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। সমুদ্র সৈকতগুলোতে কঠোর নজরদারি রয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সে দেশে ৩৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ আমেরিকান ডলার জরিমানার আইন আছে।
থাইল্যান্ড
২০২২ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে থাইল্যান্ড পর্যটন গন্তব্যগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাস্টিক বন্ধ করেছে। মেরিন পার্কসহ দেশটির ১৫৫টি জাতীয় উদ্যানে ফোমের পাত্র, প্লাস্টিকের খাবারের পাত্র, গ্লাস, স্ট্র, বাসনপত্র এবং প্যাকেজিংয়ে একবার ব্যবহার করা যায় তেমন জিনিসপত্র নিষিদ্ধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ বাথ জরিমানা করা হয়।
মালদ্বীপ
সমুদ্রের নিচের জগৎ রক্ষায় মালদ্বীপে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। রিসোর্টগুলোতে কাচের বোতল, ফিল্টার করা পানি ও পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ দেওয়া হয়। পর্যটকদের বাড়তি আরাম দিতে ও পরিবেশ রক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে দেশটি সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, স্ট্র, কাপ ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে। প্রতিবার এ আইন লঙ্ঘনের জন্য ব্যক্তিপর্য়ায়ে জরিমানা করা হয় ৫০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ আমেরিকান ডলার।
ভিয়েতনাম
২০২২ সাল থেকে দেশটির হা লং বে ও ফুঁ কুয়ক আইল্যান্ডে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। কলাপাতা ও কাগজে খাবার পরিবেশন করা হয় সেসব জায়গায়। হোটেলগুলোতে রয়েছে বাঁশের টুথব্রাশ ও পানির রিফিল ব্যবস্থা। নিয়ম ভাঙলে ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি ভিয়েতনামি মুদ্রা বা ২০ থেকে ২ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
তাইওয়ান
নাইট মার্কেট ও পর্যটন মন্দিরগুলোয় প্লাস্টিক প্যাকেজিং নিষিদ্ধ। ভ্রমণপথে রয়েছে রিসাইক্লিং পয়েন্ট ও পানির রিফিল সুবিধা। হট স্প্রিং রিসোর্টগুলো পরিবেশবান্ধব টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার করে। ২০২২ সালে তাইওয়ান সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন করে। তাতে আইন ভঙ্গে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ৪০ থেকে ২০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।
রুয়ান্ডা
২০০৮ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে রুয়ান্ডা। মাসে একদিন দেশটিতে ‘উমুগান্ডা’ নামে জাতীয় পরিচ্ছন্নতা দিবস পালিত হয়। এখন ভলকানো ন্যাশনাল পার্কসহ সব পর্যটন স্পট এবং হোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। এ আইন ভাঙলে ৫০ থেকে ৫০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে যেকারো। পুনরায় আইন ভাঙলে জেলও হতে পারে।
কেনিয়া
আফ্রিকার এই দেশ ২০১৭ সালে পর্যটনকেন্দ্রসহ সব জায়গায় প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে, যা ছিল বিশ্বে অন্যতম উদাহরণ। এরপর ২০২০ সালে সাফারি পার্ক, সৈকত ও পর্যটন এলাকাগুলোতেও এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করে কেনিয়া। আইন ভাঙলে ব্যক্তিপর্যায়ে ৪০০ থেকে ৪ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা বা ৪ বছরের জেলের বিধান রয়েছে দেশটিতে। আর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।
মরক্কো
২০১৬ সাল থেকে দেশটিতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। এ আইন পর্যটন স্পটে এখনো কড়াকড়ি ভাবে মানা না হলেও জরিমানার বিধান আছে। মরক্কোতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ হওয়ায় বাজারগুলোতে এখন হাতে তৈরি ঝুড়ি ও ব্যাগ ব্যবহৃত হয়। মারাকেশ ও ক্যাসাব্লাঙ্কার হোটেলগুলোতে রিফিলযোগ্য টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার হয়। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জরিমানা এক হাজার থেকে দশ হাজার আমেরিকান ডলার।
বতসোয়ানা
সাফারি পর্যটনে বিখ্যাত এই আফ্রিকান দেশটিতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। অভিজাত লজগুলো অতিথিদের পুনঃ ব্যবহারযোগ্য পানির বোতল দেয় এবং খাবার পরিবেশন করে বেতের ঝুড়ি ও কাঠের পাত্র। ২০১৮ সালে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ আইন করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা দিতে হবে ৪০ থেকে ৪০০ আমেরিকান ডলার।
কোস্টারিকা
দেশটি ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ প্রায় নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে একটি জাতীয় প্লাস্টিক অ্যাকশন রোডম্যাপ তৈরি করেছে। ২০২১ সাল থেকে সমস্ত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য দেশটিতে নিষিদ্ধ করা হয়। দেশটি পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিকের বদলে স্থানীয় হস্তশিল্প ও প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহারে জোর দিয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশটিতে ২০০ থেকে ২ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা হয়। এ ছাড়া সেসব পণ্য ব্যবহার করলে হোটেল বা রেস্তোরাঁর লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।
নিউজিল্যান্ড
২০১৯ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। কিছু পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন স্ট্র ও কাটলারি নিষিদ্ধ। এসব ব্যবহারের জন্য নিউজিল্যান্ডে ব্যক্তি পর্যায়ে ৩০০ থেকে এক হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার বা ১৮০ থেকে ৬০০ আমেরিকান ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার জরিমানা করা হয়। দেশটিতে পর্য়টকদের জন্য রয়েছে রিফিল স্টেশন ও রিসাইক্লিং পয়েন্ট। প্লাস্টিক বহন না করার জন্য দেশটি পর্যটকদের আগেই জানিয়ে দেয়।
পেরু
বিশ্ব ঐতিহ্য মাচু পিচু এবং আমাজন জঙ্গলের আশপাশে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে পেরু। পর্যটকদের দেওয়া হয় কাপড়ের ব্যাগ ও রিফিলযোগ্য বোতল। স্থানীয় বাজারগুলো কলাপাতা ও কাগজে পণ্য প্যাক করে দেয়া হয়। ২০২১ সালে দেশটি ন্যাশনাল পার্ক ও সংরক্ষিত এলাকায় প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। প্রতিবার আইন লঙ্ঘনে ব্যক্তিপর্যায়ে জরিমানা করা হয় ১ হাজার ৯০০ পেন বা ৫০০ আমেরিকান ডলার।
গ্রিস
সুন্দর সৈকত আর দ্বীপের জন্য বিখ্যাত গ্রিস তার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে। ছোট রেস্টুরেন্টগুলোয় ব্যবহার হয় কাচের পাত্র এবং পর্যটকদের স্মারক হিসেবে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ। ২০২১ সাল থেকে দেশটি বিশেষ করে দ্বীপ ও পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন কাটলারি, প্লেট, স্ট্র নিষিদ্ধ করে। এ আইন ভাঙলে পর্যটকদের জরিমানা করা হয় ৫০ থেকে ৫০০ ইউরো বা ৫৫ থেকে ৫৫০ ডলার।
সেশেলস
এই ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রটি পর্যটকদের স্বাগত জানায় পরিবেশবান্ধব বোতল দিয়ে। সৈকতের দোকানগুলো বায়োডিগ্রেডেবল কন্টেইনারে খাবার দেয়। পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত এখন দেশটির প্রধান আকর্ষণ। ২০১৭ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ, কাপ, স্ট্র নিষিদ্ধ করে দেশটি। নিয়ম ভাঙার জন্য দেশটিতে ব্যক্তিপর্যায়ে ৩৭০ থেকে ২ হাজার ৭০০ ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
ডোমিনিকা
ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমিনিকায় ঝরনা, গরম পানির উৎসসহ সব পর্যটন এলাকায় প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। দর্শনার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য লাঞ্চবক্স ও পানির বোতল। ২০১৯ সাল থেকে ইকো-ট্যুরিজম স্পটগুলোতে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে কঠোর নিয়ম করে দেশটির সরকার। নিয়ম ভাঙলে ৩৭০ থেকে ১ হাজার ৮৫০ আমেরিকান ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে ডোমিনিকায়।
পানামা
পানামা ক্যানালসহ পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশের সময় পর্যটকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় রিফিলযোগ্য পানির বোতল। স্থানীয় দোকানগুলো ব্যবহার করে বায়োডিগ্রেডেবল সামগ্রী। ২০২০ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগসহ ওয়ান টাইম পণ্য নিষিদ্ধ করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা করা হয় ১০০ থেকে ১ হাজার আমেরিকান ডলার।
পালাউ
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ। সে দেশে ঘুরতে গেলে পর্যটকদের ‘ইকো-প্রমিজ’ সাইন করতে হয়। তাতে প্লাস্টিক ব্যবহার না করার অঙ্গীকার থাকে। এর ফলে জনপ্রিয় জেলিফিশ লেক ও ডাইভিং সাইটগুলো এখন ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য দূষণমুক্ত। ২০২০ সালে দেশটি ইকো-ট্যুরিজম জোনগুলোতে সানস্ক্রিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে। প্রথমবার এ আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০০ আমেরিকান ডলার। পরে যতবার আইন ভাংবেন ততবার দিতে হবে ২ হাজার আমেরিকান ডলার করে।
পর্তুগাল
পর্তুগালের পর্যটন অঞ্চলগুলোয় পানির রিফিল স্টেশন এবং পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহারের প্রচলন হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানগুলোতে এখন সিরামিক ও কাঁচের পাত্র ব্যবহার হচ্ছে। ২০২১ সালে দেশটি সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে আইন করে পর্যটন এলাকাগুলোতে। আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০ থেকে ১ হাজার ইউরো বা ৫৫ থেকে ১ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার।
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা
ক্যারিবীয় দ্বীপ দুটির ৩৬৫টি সৈকত এখন অনেকটাই প্লাস্টিকমুক্ত। হোটেলগুলোতে অতিথিদের দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য বোতল ও ব্যাগ। আর সৈকতের পানশালায় পরিবেশবান্ধব কাপে পানীয় পরিবেশিত হয়। ২০১৬ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে দেশটি আইন করে। আইন ভাঙলে দেশটিতে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানার মুখে পড়তে হবে।
জ্যামাইকা
কিংস্টন ও মন্টেগো বে-র হোটেলগুলো অতিথিদের স্থানীয় নকশার রিফিলযোগ্য বোতল দেয়া হয়। খাবার পরিবেশনে ব্যবহৃত হয় কলাপাতা ও কাগজ। আর সৈকতের পাশের রেস্টুরেন্টগুলোতে পানীয় পরিবেশন হয় নারকেল বা কাগজের কাপে। ২০১৯ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় দেশটিতে। আইন ভাংলে জরিমানা গুনতে হবে ৩০০ থেকে ১২ হাজার আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।
পরামর্শ
জরিমানা ও নীতিমালা পরিবর্তনশীল, তাই ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি ওয়েবসাইট দেখুন।
সূত্র: নিউজ ব্রেক ও অন্যান্যন
প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে জরিমানাসহ বিভিন্ন শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছে।
ইন্দোনেশিয়া
২০১৯ সাল থেকে বালি, জাভা, কমোডো দ্বীপে প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। স্থানীয় খাবারের দোকানগুলোতে বাঁশের স্ট্র, কলাপাতা ও বায়োডিগ্রেডেবল প্যাকেট ব্যবহার করা হয় এখন। হোটেলগুলোয় রয়েছে পানির রিফিল স্টেশন। সেখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খাবার পরিবেশন করা হয়, যা পরিবেশবান্ধব এবং দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। সমুদ্র সৈকতগুলোতে কঠোর নজরদারি রয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সে দেশে ৩৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ আমেরিকান ডলার জরিমানার আইন আছে।
থাইল্যান্ড
২০২২ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে থাইল্যান্ড পর্যটন গন্তব্যগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাস্টিক বন্ধ করেছে। মেরিন পার্কসহ দেশটির ১৫৫টি জাতীয় উদ্যানে ফোমের পাত্র, প্লাস্টিকের খাবারের পাত্র, গ্লাস, স্ট্র, বাসনপত্র এবং প্যাকেজিংয়ে একবার ব্যবহার করা যায় তেমন জিনিসপত্র নিষিদ্ধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ বাথ জরিমানা করা হয়।
মালদ্বীপ
সমুদ্রের নিচের জগৎ রক্ষায় মালদ্বীপে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। রিসোর্টগুলোতে কাচের বোতল, ফিল্টার করা পানি ও পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ দেওয়া হয়। পর্যটকদের বাড়তি আরাম দিতে ও পরিবেশ রক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে দেশটি সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, স্ট্র, কাপ ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে। প্রতিবার এ আইন লঙ্ঘনের জন্য ব্যক্তিপর্য়ায়ে জরিমানা করা হয় ৫০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ আমেরিকান ডলার।
ভিয়েতনাম
২০২২ সাল থেকে দেশটির হা লং বে ও ফুঁ কুয়ক আইল্যান্ডে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। কলাপাতা ও কাগজে খাবার পরিবেশন করা হয় সেসব জায়গায়। হোটেলগুলোতে রয়েছে বাঁশের টুথব্রাশ ও পানির রিফিল ব্যবস্থা। নিয়ম ভাঙলে ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি ভিয়েতনামি মুদ্রা বা ২০ থেকে ২ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
তাইওয়ান
নাইট মার্কেট ও পর্যটন মন্দিরগুলোয় প্লাস্টিক প্যাকেজিং নিষিদ্ধ। ভ্রমণপথে রয়েছে রিসাইক্লিং পয়েন্ট ও পানির রিফিল সুবিধা। হট স্প্রিং রিসোর্টগুলো পরিবেশবান্ধব টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার করে। ২০২২ সালে তাইওয়ান সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন করে। তাতে আইন ভঙ্গে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ৪০ থেকে ২০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।
রুয়ান্ডা
২০০৮ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে রুয়ান্ডা। মাসে একদিন দেশটিতে ‘উমুগান্ডা’ নামে জাতীয় পরিচ্ছন্নতা দিবস পালিত হয়। এখন ভলকানো ন্যাশনাল পার্কসহ সব পর্যটন স্পট এবং হোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। এ আইন ভাঙলে ৫০ থেকে ৫০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে যেকারো। পুনরায় আইন ভাঙলে জেলও হতে পারে।
কেনিয়া
আফ্রিকার এই দেশ ২০১৭ সালে পর্যটনকেন্দ্রসহ সব জায়গায় প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে, যা ছিল বিশ্বে অন্যতম উদাহরণ। এরপর ২০২০ সালে সাফারি পার্ক, সৈকত ও পর্যটন এলাকাগুলোতেও এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করে কেনিয়া। আইন ভাঙলে ব্যক্তিপর্যায়ে ৪০০ থেকে ৪ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা বা ৪ বছরের জেলের বিধান রয়েছে দেশটিতে। আর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।
মরক্কো
২০১৬ সাল থেকে দেশটিতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। এ আইন পর্যটন স্পটে এখনো কড়াকড়ি ভাবে মানা না হলেও জরিমানার বিধান আছে। মরক্কোতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ হওয়ায় বাজারগুলোতে এখন হাতে তৈরি ঝুড়ি ও ব্যাগ ব্যবহৃত হয়। মারাকেশ ও ক্যাসাব্লাঙ্কার হোটেলগুলোতে রিফিলযোগ্য টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার হয়। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জরিমানা এক হাজার থেকে দশ হাজার আমেরিকান ডলার।
বতসোয়ানা
সাফারি পর্যটনে বিখ্যাত এই আফ্রিকান দেশটিতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। অভিজাত লজগুলো অতিথিদের পুনঃ ব্যবহারযোগ্য পানির বোতল দেয় এবং খাবার পরিবেশন করে বেতের ঝুড়ি ও কাঠের পাত্র। ২০১৮ সালে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ আইন করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা দিতে হবে ৪০ থেকে ৪০০ আমেরিকান ডলার।
কোস্টারিকা
দেশটি ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ প্রায় নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে একটি জাতীয় প্লাস্টিক অ্যাকশন রোডম্যাপ তৈরি করেছে। ২০২১ সাল থেকে সমস্ত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য দেশটিতে নিষিদ্ধ করা হয়। দেশটি পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিকের বদলে স্থানীয় হস্তশিল্প ও প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহারে জোর দিয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশটিতে ২০০ থেকে ২ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা হয়। এ ছাড়া সেসব পণ্য ব্যবহার করলে হোটেল বা রেস্তোরাঁর লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।
নিউজিল্যান্ড
২০১৯ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। কিছু পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন স্ট্র ও কাটলারি নিষিদ্ধ। এসব ব্যবহারের জন্য নিউজিল্যান্ডে ব্যক্তি পর্যায়ে ৩০০ থেকে এক হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার বা ১৮০ থেকে ৬০০ আমেরিকান ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার জরিমানা করা হয়। দেশটিতে পর্য়টকদের জন্য রয়েছে রিফিল স্টেশন ও রিসাইক্লিং পয়েন্ট। প্লাস্টিক বহন না করার জন্য দেশটি পর্যটকদের আগেই জানিয়ে দেয়।
পেরু
বিশ্ব ঐতিহ্য মাচু পিচু এবং আমাজন জঙ্গলের আশপাশে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে পেরু। পর্যটকদের দেওয়া হয় কাপড়ের ব্যাগ ও রিফিলযোগ্য বোতল। স্থানীয় বাজারগুলো কলাপাতা ও কাগজে পণ্য প্যাক করে দেয়া হয়। ২০২১ সালে দেশটি ন্যাশনাল পার্ক ও সংরক্ষিত এলাকায় প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। প্রতিবার আইন লঙ্ঘনে ব্যক্তিপর্যায়ে জরিমানা করা হয় ১ হাজার ৯০০ পেন বা ৫০০ আমেরিকান ডলার।
গ্রিস
সুন্দর সৈকত আর দ্বীপের জন্য বিখ্যাত গ্রিস তার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে। ছোট রেস্টুরেন্টগুলোয় ব্যবহার হয় কাচের পাত্র এবং পর্যটকদের স্মারক হিসেবে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ। ২০২১ সাল থেকে দেশটি বিশেষ করে দ্বীপ ও পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন কাটলারি, প্লেট, স্ট্র নিষিদ্ধ করে। এ আইন ভাঙলে পর্যটকদের জরিমানা করা হয় ৫০ থেকে ৫০০ ইউরো বা ৫৫ থেকে ৫৫০ ডলার।
সেশেলস
এই ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রটি পর্যটকদের স্বাগত জানায় পরিবেশবান্ধব বোতল দিয়ে। সৈকতের দোকানগুলো বায়োডিগ্রেডেবল কন্টেইনারে খাবার দেয়। পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত এখন দেশটির প্রধান আকর্ষণ। ২০১৭ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ, কাপ, স্ট্র নিষিদ্ধ করে দেশটি। নিয়ম ভাঙার জন্য দেশটিতে ব্যক্তিপর্যায়ে ৩৭০ থেকে ২ হাজার ৭০০ ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
ডোমিনিকা
ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমিনিকায় ঝরনা, গরম পানির উৎসসহ সব পর্যটন এলাকায় প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। দর্শনার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য লাঞ্চবক্স ও পানির বোতল। ২০১৯ সাল থেকে ইকো-ট্যুরিজম স্পটগুলোতে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে কঠোর নিয়ম করে দেশটির সরকার। নিয়ম ভাঙলে ৩৭০ থেকে ১ হাজার ৮৫০ আমেরিকান ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে ডোমিনিকায়।
পানামা
পানামা ক্যানালসহ পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশের সময় পর্যটকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় রিফিলযোগ্য পানির বোতল। স্থানীয় দোকানগুলো ব্যবহার করে বায়োডিগ্রেডেবল সামগ্রী। ২০২০ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগসহ ওয়ান টাইম পণ্য নিষিদ্ধ করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা করা হয় ১০০ থেকে ১ হাজার আমেরিকান ডলার।
পালাউ
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ। সে দেশে ঘুরতে গেলে পর্যটকদের ‘ইকো-প্রমিজ’ সাইন করতে হয়। তাতে প্লাস্টিক ব্যবহার না করার অঙ্গীকার থাকে। এর ফলে জনপ্রিয় জেলিফিশ লেক ও ডাইভিং সাইটগুলো এখন ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য দূষণমুক্ত। ২০২০ সালে দেশটি ইকো-ট্যুরিজম জোনগুলোতে সানস্ক্রিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে। প্রথমবার এ আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০০ আমেরিকান ডলার। পরে যতবার আইন ভাংবেন ততবার দিতে হবে ২ হাজার আমেরিকান ডলার করে।
পর্তুগাল
পর্তুগালের পর্যটন অঞ্চলগুলোয় পানির রিফিল স্টেশন এবং পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহারের প্রচলন হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানগুলোতে এখন সিরামিক ও কাঁচের পাত্র ব্যবহার হচ্ছে। ২০২১ সালে দেশটি সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে আইন করে পর্যটন এলাকাগুলোতে। আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০ থেকে ১ হাজার ইউরো বা ৫৫ থেকে ১ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার।
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা
ক্যারিবীয় দ্বীপ দুটির ৩৬৫টি সৈকত এখন অনেকটাই প্লাস্টিকমুক্ত। হোটেলগুলোতে অতিথিদের দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য বোতল ও ব্যাগ। আর সৈকতের পানশালায় পরিবেশবান্ধব কাপে পানীয় পরিবেশিত হয়। ২০১৬ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে দেশটি আইন করে। আইন ভাঙলে দেশটিতে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানার মুখে পড়তে হবে।
জ্যামাইকা
কিংস্টন ও মন্টেগো বে-র হোটেলগুলো অতিথিদের স্থানীয় নকশার রিফিলযোগ্য বোতল দেয়া হয়। খাবার পরিবেশনে ব্যবহৃত হয় কলাপাতা ও কাগজ। আর সৈকতের পাশের রেস্টুরেন্টগুলোতে পানীয় পরিবেশন হয় নারকেল বা কাগজের কাপে। ২০১৯ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় দেশটিতে। আইন ভাংলে জরিমানা গুনতে হবে ৩০০ থেকে ১২ হাজার আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।
পরামর্শ
জরিমানা ও নীতিমালা পরিবর্তনশীল, তাই ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি ওয়েবসাইট দেখুন।
সূত্র: নিউজ ব্রেক ও অন্যান্যন
রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
৬ ঘণ্টা আগেরোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৯ ঘণ্টা আগেআজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
১০ ঘণ্টা আগেশত শত বছর ধরে মানুষ কেশচর্চার অংশ হিসেবে চুলে নানা রকম তেল ব্যবহার করে আসছে। তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, এ কথা কে না জানে? তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। কিন্তু তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী, তা নির্ভর করছে...
১১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
‘ব্রেড: আ গ্লোবাল হিস্ট্রি’ বইয়ের লেখক উইলিয়াম রুবেল বলেন, ‘রুটি কেমন হবে, সেটি বিভিন্ন সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। এটাকে নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় বাঁধা যায় না।’ রুটির ইতিহাস বিভিন্ন সংস্কৃতির মতো হাজার বছরের পুরোনো।
পুরাতাত্ত্বিকদের গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে জর্ডানের ব্ল্যাক ডেজার্ট অঞ্চলে মানুষ কন্দজাতীয় উদ্ভিদ ও শস্য একসঙ্গে মিশিয়ে আগুনে পুড়িয়ে রুটির মতো একধরনের খাবার তৈরি করত। সেটাই ছিল মানুষের তৈরি প্রাচীনতম রুটি।
এশিয়া অঞ্চলে রুটি বেশ জনপ্রিয়। প্রায় প্রতিটি দেশে রুটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কোথাও তা প্রধান খাবার, আবার কোথাও নিয়মিত খাবারের অংশ। দেখে নিন কোন দেশের রুটির নাম কী।
বোলানি, আফগানিস্তান
আফগানিস্তানের খুব জনপ্রিয় খাবার বোলানি। পাতলা ময়দার রুটির ভেতরে ভরা থাকে আলু, পালংশাক বা ডাল। এরপর তেলে ভাজা হয় যতক্ষণ না বাইরে মচমচে আর ভেতরে নরম হয়। গরম-গরম বোলানি পরিবেশনে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আলু আর পেঁয়াজপাতার ঘ্রাণ। ঘরে হোক বা উৎসবের আয়োজন—আফগানদের খাবারের টেবিলে বোলানি মানেই বিশেষ স্বাদ।
লাভাশ, আর্মেনিয়া
আর্মেনিয়ার রুটি লাভাশ কেবল খাবার নয়, এটি তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। দেশটিতে নবদম্পতির মাথা লাভাশে ঢেকে দেওয়া হয় আশীর্বাদের নিদর্শন হিসেবে। রুটি তৈরির কাজটিও একধরনের সামাজিক আয়োজন। গ্রামের নারীরা দল বেঁধে ময়দা বেলে বড় চাদরের মতো পাতলা করে নেন। তারপর সেটি সাবধানে মাটির ওভেনে দেওয়া হয়। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে রুটি হয়ে ওঠে বাদামি আর মচমচে। ২০১৪ সালে ইউনেসকো লাভাশকে আর্মেনিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
লুচি, বাংলাদেশ
বাংলাদেশের নাশতার জন্য জনপ্রিয় লুচি। গমের ময়দা ময়ান করে নির্দিষ্ট আকারে গরম তেলে দিলেই ফুলে ওঠে গোল, সোনালি লুচি। ঢাকার ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে বাড়ির রান্নাঘর—সব জায়গাতেই লুচি মানে দারুণ স্বাদ। এর সঙ্গে রাখুন আলুর দম কিংবা ছোলার ডাল অথবা মাংসের ঝোল। বাংলা ঘরানার এই রুটি উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য বেশ জনপ্রিয়।
শাওবিং, চীন
চীনের উত্তরাঞ্চলের রুটি শাওবিং। এর বাইরের অংশে থাকে তিল, ভেতরে অসংখ্য পাতলা স্তর। অভিজ্ঞ রুটিওয়ালারা ময়দা বেলে ঘুরিয়ে ও ভাঁজ করে তৈরি করে এই রুটি। একেকটি শাওবিংয়ে ১৮ টির বেশি স্তর থাকে। চাইলে মিষ্টি হিসেবে তিলের পেস্ট বা চিনি ভরা শাওবিং খাওয়া যায়। তবে যাঁরা ঝাল পছন্দ করেন, তাঁরা মরিচ ও মাংস যুক্ত শাওবিং খান। উত্তর চীনের সকালের টেবিলে শাওবিং প্রায় প্রতিদিনের খাবার।
পরোটা, ভারত
ভারতের জনপ্রিয় রুটি হলো পরোটা। এটি সাধারণ রুটি থেকে একটু আলাদা। কারণ, একেকটি পরোটা বানাতে ময়দা বারবার ভাঁজ ও ঘি বা তেল মেখে তৈরি করা হয়। ফলে রুটির একাধিক স্তর তৈরি হয়ে ভাজার পর মচমচে হয়ে যায়। পরোটা শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি ভারতের রান্নার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১২ শতকের ভারতীয় রান্নার বইতেও পরোটার উল্লেখ পাওয়া যায়।
গামবাং, ইন্দোনেশিয়া
জাকার্তার পুরোনো বেকারিগুলোতে আজও পাওয়া যায় রুটি গামবাং। এই রুটি বানানোর সময় গমের ময়দার সঙ্গে পাম চিনি ও দারুচিনি মেশানো হয়। ফলে এটি নরম হয় এবং সুগন্ধ ছড়ায়। রুটির নাম এসেছে ‘গামবাং’ নামে এক পুরোনো বাদ্যযন্ত্র থেকে। মূলত, গামবাং রুটি দেখতে লম্বাটে আকৃতি বাদ্যযন্ত্রের মতো।
সানগাক, ইরান
ইরানের রুটি সানগাক বানানো হয় বিশেষ পদ্ধতিতে। সেখানে গরম পাথরের ওপর সরাসরি রুটি বেক করা হয়। ফলে রুটির গায়ে ছোট ছোট পোড়া দাগ পড়ে। এটি খেতে মচমচে হয়। গরম-গরম সানগাক সাধারণত পনির, জলপাই ও তাজা সবুজ শাকের সঙ্গে খাওয়া হয়।
কারে পান, জাপান
জাপানের কারে প্যান বা কারি রুটি বিশেষ খাবার। নরম গমের ময়দার ভেতরে ভরা থাকে ঘন জাপানি কারি। এর বাইরের আবরণে থাকে ব্রেডক্রাম্বের আস্তরণ। এরপর ডুবো তেলে ভাজার পর রুটি হয় বাইরে মচমচে, ভেতরে নরম ও সসযুক্ত। এটি শিশুদের কাছে এত জনপ্রিয় যে জাপানে ‘কারে পান ম্যান’ নামের এক কার্টুন চরিত্রও তৈরি হয়েছে।
আপ্পম, শ্রীলঙ্কা
চালের গুঁড়া ও নারকেল দুধ মিলিয়ে তৈরি হয় আপ্পম। শ্রীলঙ্কার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরম আপ্পম খাওয়া সেখানকার নিয়মিত চিত্র। এটি পাতলা ও মচমচে এবং এর মাঝের অংশ নরম। এটি খাওয়া হয় নারকেলের চাটনি, মুরগির কারি বা ডিম দিয়ে। শ্রীলঙ্কা ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের কেরালায় এর জনপ্রিয়তা অনেক।
মালাওয়াচ, ইয়েমেন
মালাওয়াচ বানাতে প্রথমে ময়দা বেলা হয় পাতলা করে। এরপর প্রতিটি স্তরের মাঝে মাখন বা তেল মেখে ভাঁজ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক স্তর তৈরি হয়, যা ভাজার পর মুখে একেবারে গলে যায়। রুটি গরম তাওয়ায় সোনালি হয়ে উঠলে ছিটানো হয় কালোজিরা বা তিল। ইয়েমেনিরা সাধারণত সকালে চায়ের সঙ্গে এটি খেয়ে থাকে।
হাজার বছর পেরিয়ে রুটি এখনো বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জনপ্রিয় খাবার। রুটির আকৃতি, স্বাদ, তৈরি করার পদ্ধতি দেশভেদে ভিন্ন। প্রতিটি সংস্কৃতি রুটিকে তাদের নিজের রন্ধনপ্রণালি, ইতিহাস ও খাবারের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। তাই রুটি শুধু খাবার নয়, এটি মানুষের সৃজনশীলতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ।
সূত্র: সিএনএন
রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
‘ব্রেড: আ গ্লোবাল হিস্ট্রি’ বইয়ের লেখক উইলিয়াম রুবেল বলেন, ‘রুটি কেমন হবে, সেটি বিভিন্ন সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। এটাকে নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় বাঁধা যায় না।’ রুটির ইতিহাস বিভিন্ন সংস্কৃতির মতো হাজার বছরের পুরোনো।
পুরাতাত্ত্বিকদের গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে জর্ডানের ব্ল্যাক ডেজার্ট অঞ্চলে মানুষ কন্দজাতীয় উদ্ভিদ ও শস্য একসঙ্গে মিশিয়ে আগুনে পুড়িয়ে রুটির মতো একধরনের খাবার তৈরি করত। সেটাই ছিল মানুষের তৈরি প্রাচীনতম রুটি।
এশিয়া অঞ্চলে রুটি বেশ জনপ্রিয়। প্রায় প্রতিটি দেশে রুটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কোথাও তা প্রধান খাবার, আবার কোথাও নিয়মিত খাবারের অংশ। দেখে নিন কোন দেশের রুটির নাম কী।
বোলানি, আফগানিস্তান
আফগানিস্তানের খুব জনপ্রিয় খাবার বোলানি। পাতলা ময়দার রুটির ভেতরে ভরা থাকে আলু, পালংশাক বা ডাল। এরপর তেলে ভাজা হয় যতক্ষণ না বাইরে মচমচে আর ভেতরে নরম হয়। গরম-গরম বোলানি পরিবেশনে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আলু আর পেঁয়াজপাতার ঘ্রাণ। ঘরে হোক বা উৎসবের আয়োজন—আফগানদের খাবারের টেবিলে বোলানি মানেই বিশেষ স্বাদ।
লাভাশ, আর্মেনিয়া
আর্মেনিয়ার রুটি লাভাশ কেবল খাবার নয়, এটি তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। দেশটিতে নবদম্পতির মাথা লাভাশে ঢেকে দেওয়া হয় আশীর্বাদের নিদর্শন হিসেবে। রুটি তৈরির কাজটিও একধরনের সামাজিক আয়োজন। গ্রামের নারীরা দল বেঁধে ময়দা বেলে বড় চাদরের মতো পাতলা করে নেন। তারপর সেটি সাবধানে মাটির ওভেনে দেওয়া হয়। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে রুটি হয়ে ওঠে বাদামি আর মচমচে। ২০১৪ সালে ইউনেসকো লাভাশকে আর্মেনিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
লুচি, বাংলাদেশ
বাংলাদেশের নাশতার জন্য জনপ্রিয় লুচি। গমের ময়দা ময়ান করে নির্দিষ্ট আকারে গরম তেলে দিলেই ফুলে ওঠে গোল, সোনালি লুচি। ঢাকার ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে বাড়ির রান্নাঘর—সব জায়গাতেই লুচি মানে দারুণ স্বাদ। এর সঙ্গে রাখুন আলুর দম কিংবা ছোলার ডাল অথবা মাংসের ঝোল। বাংলা ঘরানার এই রুটি উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য বেশ জনপ্রিয়।
শাওবিং, চীন
চীনের উত্তরাঞ্চলের রুটি শাওবিং। এর বাইরের অংশে থাকে তিল, ভেতরে অসংখ্য পাতলা স্তর। অভিজ্ঞ রুটিওয়ালারা ময়দা বেলে ঘুরিয়ে ও ভাঁজ করে তৈরি করে এই রুটি। একেকটি শাওবিংয়ে ১৮ টির বেশি স্তর থাকে। চাইলে মিষ্টি হিসেবে তিলের পেস্ট বা চিনি ভরা শাওবিং খাওয়া যায়। তবে যাঁরা ঝাল পছন্দ করেন, তাঁরা মরিচ ও মাংস যুক্ত শাওবিং খান। উত্তর চীনের সকালের টেবিলে শাওবিং প্রায় প্রতিদিনের খাবার।
পরোটা, ভারত
ভারতের জনপ্রিয় রুটি হলো পরোটা। এটি সাধারণ রুটি থেকে একটু আলাদা। কারণ, একেকটি পরোটা বানাতে ময়দা বারবার ভাঁজ ও ঘি বা তেল মেখে তৈরি করা হয়। ফলে রুটির একাধিক স্তর তৈরি হয়ে ভাজার পর মচমচে হয়ে যায়। পরোটা শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি ভারতের রান্নার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১২ শতকের ভারতীয় রান্নার বইতেও পরোটার উল্লেখ পাওয়া যায়।
গামবাং, ইন্দোনেশিয়া
জাকার্তার পুরোনো বেকারিগুলোতে আজও পাওয়া যায় রুটি গামবাং। এই রুটি বানানোর সময় গমের ময়দার সঙ্গে পাম চিনি ও দারুচিনি মেশানো হয়। ফলে এটি নরম হয় এবং সুগন্ধ ছড়ায়। রুটির নাম এসেছে ‘গামবাং’ নামে এক পুরোনো বাদ্যযন্ত্র থেকে। মূলত, গামবাং রুটি দেখতে লম্বাটে আকৃতি বাদ্যযন্ত্রের মতো।
সানগাক, ইরান
ইরানের রুটি সানগাক বানানো হয় বিশেষ পদ্ধতিতে। সেখানে গরম পাথরের ওপর সরাসরি রুটি বেক করা হয়। ফলে রুটির গায়ে ছোট ছোট পোড়া দাগ পড়ে। এটি খেতে মচমচে হয়। গরম-গরম সানগাক সাধারণত পনির, জলপাই ও তাজা সবুজ শাকের সঙ্গে খাওয়া হয়।
কারে পান, জাপান
জাপানের কারে প্যান বা কারি রুটি বিশেষ খাবার। নরম গমের ময়দার ভেতরে ভরা থাকে ঘন জাপানি কারি। এর বাইরের আবরণে থাকে ব্রেডক্রাম্বের আস্তরণ। এরপর ডুবো তেলে ভাজার পর রুটি হয় বাইরে মচমচে, ভেতরে নরম ও সসযুক্ত। এটি শিশুদের কাছে এত জনপ্রিয় যে জাপানে ‘কারে পান ম্যান’ নামের এক কার্টুন চরিত্রও তৈরি হয়েছে।
আপ্পম, শ্রীলঙ্কা
চালের গুঁড়া ও নারকেল দুধ মিলিয়ে তৈরি হয় আপ্পম। শ্রীলঙ্কার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরম আপ্পম খাওয়া সেখানকার নিয়মিত চিত্র। এটি পাতলা ও মচমচে এবং এর মাঝের অংশ নরম। এটি খাওয়া হয় নারকেলের চাটনি, মুরগির কারি বা ডিম দিয়ে। শ্রীলঙ্কা ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের কেরালায় এর জনপ্রিয়তা অনেক।
মালাওয়াচ, ইয়েমেন
মালাওয়াচ বানাতে প্রথমে ময়দা বেলা হয় পাতলা করে। এরপর প্রতিটি স্তরের মাঝে মাখন বা তেল মেখে ভাঁজ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক স্তর তৈরি হয়, যা ভাজার পর মুখে একেবারে গলে যায়। রুটি গরম তাওয়ায় সোনালি হয়ে উঠলে ছিটানো হয় কালোজিরা বা তিল। ইয়েমেনিরা সাধারণত সকালে চায়ের সঙ্গে এটি খেয়ে থাকে।
হাজার বছর পেরিয়ে রুটি এখনো বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জনপ্রিয় খাবার। রুটির আকৃতি, স্বাদ, তৈরি করার পদ্ধতি দেশভেদে ভিন্ন। প্রতিটি সংস্কৃতি রুটিকে তাদের নিজের রন্ধনপ্রণালি, ইতিহাস ও খাবারের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। তাই রুটি শুধু খাবার নয়, এটি মানুষের সৃজনশীলতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ।
সূত্র: সিএনএন
প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ
০৮ জুন ২০২৫রোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৯ ঘণ্টা আগেআজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
১০ ঘণ্টা আগেশত শত বছর ধরে মানুষ কেশচর্চার অংশ হিসেবে চুলে নানা রকম তেল ব্যবহার করে আসছে। তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, এ কথা কে না জানে? তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। কিন্তু তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী, তা নির্ভর করছে...
১১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
রোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
কচি লাউ অর্ধেকটা বা ১ কাপ, তরল দুধ ১ লিটার, চিনি পৌনে ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, এলাচি ও দারুচিনি আধা পিস করে, কিশমিশ ১০ থেকে ১২টা, বাদাম কুচি সাজানোর জন্য।
প্রণালি
লাউয়ের খোসা ফেলে মিহি কুচি করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার হাঁড়িতে দুধ দিয়ে ফুটে উঠলে এলাচি ও দারুচিনি, লবণ, লাউ, চিনি দিয়ে অনবরত নেড়ে নিন। ঘন হয়ে এলে কিশমিশ দিয়ে নামিয়ে নিন। সার্ভিং ডিশে ঢেলে বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু দুধ লাউ।
রোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
কচি লাউ অর্ধেকটা বা ১ কাপ, তরল দুধ ১ লিটার, চিনি পৌনে ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, এলাচি ও দারুচিনি আধা পিস করে, কিশমিশ ১০ থেকে ১২টা, বাদাম কুচি সাজানোর জন্য।
প্রণালি
লাউয়ের খোসা ফেলে মিহি কুচি করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার হাঁড়িতে দুধ দিয়ে ফুটে উঠলে এলাচি ও দারুচিনি, লবণ, লাউ, চিনি দিয়ে অনবরত নেড়ে নিন। ঘন হয়ে এলে কিশমিশ দিয়ে নামিয়ে নিন। সার্ভিং ডিশে ঢেলে বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু দুধ লাউ।
প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ
০৮ জুন ২০২৫রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
৬ ঘণ্টা আগেআজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
১০ ঘণ্টা আগেশত শত বছর ধরে মানুষ কেশচর্চার অংশ হিসেবে চুলে নানা রকম তেল ব্যবহার করে আসছে। তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, এ কথা কে না জানে? তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। কিন্তু তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী, তা নির্ভর করছে...
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মেষ: আজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
বৃষ: আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে। মানে, আপনার ওয়ালেট আজ আপনাকে বলবে, ‘আজ একটু আরাম করতে দাও প্লিজ, কাল দেখব!’ ফালতু খরচ থেকে দূরে থাকুন। রেগে গেলে কিন্তু মুড়ি-মুড়কির মতো টাকা খরচ হবে।
মিথুন: যোগাযোগের দিন আজ! তবে খেয়াল রাখবেন, মুখ ফসকে যেন এমন কিছু বলে না দেন—যাতে আপনার বন্ধুরা আপনাকে ‘মীরজাফর’ বলে ডাকে! আর যদি দেখেন আপনার প্রিয়জন আপনাকে কিছু বলছে না, তাহলে বুঝবেন নিশ্চয়ই কিছু একটা লুকানো হচ্ছে!
কর্কট: পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে গিয়ে আজ হিমশিম খাবেন। মনে হবে যেন আপনি কোনো চিড়িয়াখানায় দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে সবাই শুধু চেঁচাচ্ছে। রাতে ভালো করে ঘুমান, না হলে সকালে দেখবেন আপনার মুড ‘দাদাগিরি’ করার মতো হয়ে গেছে।
সিংহ: আজ আপনি নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন। তবে সবার কাছে গিয়ে যদি বলেন, ‘আমিই আসল বস!’ , তাহলে আপনার কপালে দুঃখ আছে! কাজের জায়গায় একটু নমনীয় হন, না হলে লোকে আপনাকে ‘হিটলার’ ভেবে বসবে।
কন্যা: সবকিছু নিখুঁত করার নেশা আজ আপনাকে চেপে ধরবে। অফিসের ফাইল থেকে শুরু করে আলুর চিপসের প্যাকেট পর্যন্ত সবকিছু আপনার কাছে ‘পারফেক্ট’ চাই। এতে চারপাশে লোক কমবে, তাই একটু ছাড় দিন নিজেকে!
তুলা: আজ দিনটি ভালোবাসার জন্য একদম পারফেক্ট। তবে ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ঝগড়া হলে, নিজেকে সামলান। না হলে আপনার ‘ব্যাংক ব্যালেন্স’ একেবারে বিগড়ে যাবে! সন্ধ্যায় পছন্দের খাবার খান, মন ভালো হবে।
বৃশ্চিক: গোপনীয়তা বজায় রাখা আজ আপনার জন্য খুব জরুরি। আপনার গোপন তথ্য যদি আজ ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার সর্বনাশ! তাই নিজের ফোনটা আজ সাবধানে রাখুন, আর কাউকে হাত দিতে দেবেন না।
ধনু: অ্যাডভেঞ্চার আর ভ্রমণের নেশা আজ আপনাকে পাগল করে তুলবে। তবে বিদেশ ভ্রমণে না গিয়ে, না হয় আজ আশপাশের কোনো চায়ের দোকান থেকে ঘুরে আসুন! তাতে মনও ভালো হবে, আর পকেটও বাঁচবে!
মকর: কাজের প্রতি আপনার মনোযোগ আজ প্রশংসিত হবে। তবে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে নিজেকে ‘যন্ত্রমানব’ বানিয়ে ফেলবেন না। ছুটির দিনেও যদি কাজ করেন, তাহলে আপনার পার্টনার আপনাকে সত্যি সত্যি ‘রোবট’ ভেবে বসতে পারে!
কুম্ভ: আজ আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেবেন। কিন্তু আড্ডায় বেশি জ্ঞান দিতে যাবেন না। তাতে দেখবেন, বন্ধুরাই আপনাকে ‘গ্রহরাজ’ বলে খেপাচ্ছে! একটু সহজ হন, মজা করুন!
মীন: আজ আপনার মন খুব উড়ু উড়ু থাকবে। দিবাস্বপ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ যেন পকেটমার না হয়ে যান! ‘কল্পনার জগতে’ বেশি ডুবে থাকবেন না। বাস্তবের দিকে নজর দিন। না হলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করে যেতে পারেন।
মেষ: আজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
বৃষ: আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে। মানে, আপনার ওয়ালেট আজ আপনাকে বলবে, ‘আজ একটু আরাম করতে দাও প্লিজ, কাল দেখব!’ ফালতু খরচ থেকে দূরে থাকুন। রেগে গেলে কিন্তু মুড়ি-মুড়কির মতো টাকা খরচ হবে।
মিথুন: যোগাযোগের দিন আজ! তবে খেয়াল রাখবেন, মুখ ফসকে যেন এমন কিছু বলে না দেন—যাতে আপনার বন্ধুরা আপনাকে ‘মীরজাফর’ বলে ডাকে! আর যদি দেখেন আপনার প্রিয়জন আপনাকে কিছু বলছে না, তাহলে বুঝবেন নিশ্চয়ই কিছু একটা লুকানো হচ্ছে!
কর্কট: পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে গিয়ে আজ হিমশিম খাবেন। মনে হবে যেন আপনি কোনো চিড়িয়াখানায় দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে সবাই শুধু চেঁচাচ্ছে। রাতে ভালো করে ঘুমান, না হলে সকালে দেখবেন আপনার মুড ‘দাদাগিরি’ করার মতো হয়ে গেছে।
সিংহ: আজ আপনি নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন। তবে সবার কাছে গিয়ে যদি বলেন, ‘আমিই আসল বস!’ , তাহলে আপনার কপালে দুঃখ আছে! কাজের জায়গায় একটু নমনীয় হন, না হলে লোকে আপনাকে ‘হিটলার’ ভেবে বসবে।
কন্যা: সবকিছু নিখুঁত করার নেশা আজ আপনাকে চেপে ধরবে। অফিসের ফাইল থেকে শুরু করে আলুর চিপসের প্যাকেট পর্যন্ত সবকিছু আপনার কাছে ‘পারফেক্ট’ চাই। এতে চারপাশে লোক কমবে, তাই একটু ছাড় দিন নিজেকে!
তুলা: আজ দিনটি ভালোবাসার জন্য একদম পারফেক্ট। তবে ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ঝগড়া হলে, নিজেকে সামলান। না হলে আপনার ‘ব্যাংক ব্যালেন্স’ একেবারে বিগড়ে যাবে! সন্ধ্যায় পছন্দের খাবার খান, মন ভালো হবে।
বৃশ্চিক: গোপনীয়তা বজায় রাখা আজ আপনার জন্য খুব জরুরি। আপনার গোপন তথ্য যদি আজ ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার সর্বনাশ! তাই নিজের ফোনটা আজ সাবধানে রাখুন, আর কাউকে হাত দিতে দেবেন না।
ধনু: অ্যাডভেঞ্চার আর ভ্রমণের নেশা আজ আপনাকে পাগল করে তুলবে। তবে বিদেশ ভ্রমণে না গিয়ে, না হয় আজ আশপাশের কোনো চায়ের দোকান থেকে ঘুরে আসুন! তাতে মনও ভালো হবে, আর পকেটও বাঁচবে!
মকর: কাজের প্রতি আপনার মনোযোগ আজ প্রশংসিত হবে। তবে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে নিজেকে ‘যন্ত্রমানব’ বানিয়ে ফেলবেন না। ছুটির দিনেও যদি কাজ করেন, তাহলে আপনার পার্টনার আপনাকে সত্যি সত্যি ‘রোবট’ ভেবে বসতে পারে!
কুম্ভ: আজ আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেবেন। কিন্তু আড্ডায় বেশি জ্ঞান দিতে যাবেন না। তাতে দেখবেন, বন্ধুরাই আপনাকে ‘গ্রহরাজ’ বলে খেপাচ্ছে! একটু সহজ হন, মজা করুন!
মীন: আজ আপনার মন খুব উড়ু উড়ু থাকবে। দিবাস্বপ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ যেন পকেটমার না হয়ে যান! ‘কল্পনার জগতে’ বেশি ডুবে থাকবেন না। বাস্তবের দিকে নজর দিন। না হলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করে যেতে পারেন।
প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ
০৮ জুন ২০২৫রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
৬ ঘণ্টা আগেরোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৯ ঘণ্টা আগেশত শত বছর ধরে মানুষ কেশচর্চার অংশ হিসেবে চুলে নানা রকম তেল ব্যবহার করে আসছে। তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, এ কথা কে না জানে? তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। কিন্তু তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী, তা নির্ভর করছে...
১১ ঘণ্টা আগেসানজিদা সামরিন, ঢাকা
শত শত বছর ধরে মানুষ কেশচর্চার অংশ হিসেবে চুলে নানা রকম তেল ব্যবহার করে আসছে। তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, এ কথা কে না জানে? তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। কিন্তু তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী, তা নির্ভর করছে আপনি কীভাবে ব্যবহার করছেন তার ওপর। চুলের তেল মাখার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলবেন ও যা বর্জন করতে হবে, তা জেনে নিন।
সঠিক তেল নির্বাচন করুন
চুলের যত্নে সঠিক তেল নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের তেল রয়েছে। প্রতিটি তেলই আবার গুণের দিক থেকে আলাদা। চুলের কোন সমস্যার জন্য কোন তেল বেছে নিতে হবে, তা আগে বুঝতে হবে। যেমন নারকেল ডিপ ক্লিনজিংয়ের জন্য খুবই ভালো। অন্যদিকে আরগান তেল চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দেয়, পেঁয়াজের তেল চুল গজাতে ও বড় করতে সহায়তা করে। চুলের কোন সমস্যার জন্য কোন তেল ব্যবহার করতে হবে, সেটা বুঝে তেল বাছাই করুন।
মাথার ত্বক, চুলের দৈর্ঘ্য ও ডগায় তেল দিন
চুলে তেল ব্যবহারের সময় অবশ্যই গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালোভাবে মাখুন। এতে করে তেলের পুষ্টি মাথার ত্বক থেকে শুরু করে পুরো চুলই পাবে। চুল ফিরে পাবে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ও কোমলতা।
আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন
মাথার ত্বকে তেল দিয়ে আঙুলের ডগার সাহায্যে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। আপনার মাথার ত্বকে নখের আঁচড় যেন না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে করে তেলের পুষ্টি মাথার ত্বক খুব ভালোভাবে শুষে নিতে পারবে। চুলেও ছড়িয়ে পড়বে জেল্লা।
চুলে তেল মেখে কয়েক ঘণ্টা রাখুন
চুলে তেল মাখার পর ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা রাখতে পারলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। চুল যদি খুব বেশি শুষ্ক বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ভালোভাবে তেল ম্যাসাজ করে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার দিলেই চুল মসৃণ দেখাবে।
অতিরিক্ত তেল ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়ায় ময়লা জমার আশঙ্কা থাকে। আর এই ময়লা থেকেই হতে পারে সংক্রমণ। কারণ অতিরিক্ত তেল ব্যবহারের ফলে শ্যাম্পু করে যদি বাড়তি তেল তুলে ফেলা না যায়, তাহলে পরবর্তী সময়ে ধুলাবালু ও দূষণ খুব সহজেই চুলে আটকে থাকে। এর ফল কিন্তু ভালো হয় না।
তৈলাক্ত চুলে বেশিক্ষণ তেল রাখবেন না
যাঁদের চুল প্রাকৃতিকভাবেই তৈলাক্ত, তাঁরা দীর্ঘক্ষণ চুলে তেল রাখলে ভালোর পরিবর্তে খারাপই হতে পারে। এতে করে মাথার ত্বকে প্রাকৃতিক তেল ও ব্যবহৃত তেল জমা হয়ে ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে। এতে খুশকি ও চুলকানি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ছাড়া অতিরিক্ত তেল জমা হলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে।
চুল ধুতে গরম পানি ব্যবহার করবেন না
অনেকের ধারণা, চুলে তেল মাখার পর কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে সহজে তেল অপসারিত হয়। কিন্তু চুলে কেবল ঠান্ডা পানিই ব্যবহার করতে হবে। গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট হতে পারে। তাতে চুল হয়ে উঠতে পারে অতিরিক্ত শুষ্ক।
অতিরিক্ত সালফেটযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না
সোডিয়াম লরেল সালফেট ও সোডিয়াম লরেথ সালফেট, সাধারণত এই দুই ধরনের সালফেট শ্যাম্পু তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। শ্যাম্পু করার সময় যদি অল্পতেই মাথায় ফেনা হয়, তা হলে বুঝতে হবে সেই শ্যাম্পুতে যথেষ্ট পরিমাণ সালফেট রয়েছে। মাথার ত্বক খুব ভালো করে পরিষ্কার করতে পারলেও স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে এ সালফেট ক্ষতিকর হতে পারে। মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠার জন্যও এটি দায়ী। এ ছাড়া, চড়া গন্ধযুক্ত ও ‘আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড’ রয়েছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করা ভালো। ত্বকে র্যাশ, চুলকানি, লালচে ভাব বা কোনো সংক্রমণ থাকলে এই রাসায়নিকনির্ভর প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নয়তো মাথার ত্বকে তেল মেখে উপকার পাওয়া যাবে না।
এসব নিয়ম মেনে যদি তেল ব্যবহার করেন, তাহলে চুলের শুষ্কতা দূর হবে, চুলও হয়ে উঠবে ঝলমলে।
সূত্র: হেলথলাইন, স্কিনক্র্যাফট ও অন্যান্য
শত শত বছর ধরে মানুষ কেশচর্চার অংশ হিসেবে চুলে নানা রকম তেল ব্যবহার করে আসছে। তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, এ কথা কে না জানে? তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। কিন্তু তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী, তা নির্ভর করছে আপনি কীভাবে ব্যবহার করছেন তার ওপর। চুলের তেল মাখার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলবেন ও যা বর্জন করতে হবে, তা জেনে নিন।
সঠিক তেল নির্বাচন করুন
চুলের যত্নে সঠিক তেল নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের তেল রয়েছে। প্রতিটি তেলই আবার গুণের দিক থেকে আলাদা। চুলের কোন সমস্যার জন্য কোন তেল বেছে নিতে হবে, তা আগে বুঝতে হবে। যেমন নারকেল ডিপ ক্লিনজিংয়ের জন্য খুবই ভালো। অন্যদিকে আরগান তেল চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দেয়, পেঁয়াজের তেল চুল গজাতে ও বড় করতে সহায়তা করে। চুলের কোন সমস্যার জন্য কোন তেল ব্যবহার করতে হবে, সেটা বুঝে তেল বাছাই করুন।
মাথার ত্বক, চুলের দৈর্ঘ্য ও ডগায় তেল দিন
চুলে তেল ব্যবহারের সময় অবশ্যই গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালোভাবে মাখুন। এতে করে তেলের পুষ্টি মাথার ত্বক থেকে শুরু করে পুরো চুলই পাবে। চুল ফিরে পাবে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ও কোমলতা।
আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন
মাথার ত্বকে তেল দিয়ে আঙুলের ডগার সাহায্যে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। আপনার মাথার ত্বকে নখের আঁচড় যেন না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে করে তেলের পুষ্টি মাথার ত্বক খুব ভালোভাবে শুষে নিতে পারবে। চুলেও ছড়িয়ে পড়বে জেল্লা।
চুলে তেল মেখে কয়েক ঘণ্টা রাখুন
চুলে তেল মাখার পর ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা রাখতে পারলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। চুল যদি খুব বেশি শুষ্ক বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ভালোভাবে তেল ম্যাসাজ করে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার দিলেই চুল মসৃণ দেখাবে।
অতিরিক্ত তেল ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়ায় ময়লা জমার আশঙ্কা থাকে। আর এই ময়লা থেকেই হতে পারে সংক্রমণ। কারণ অতিরিক্ত তেল ব্যবহারের ফলে শ্যাম্পু করে যদি বাড়তি তেল তুলে ফেলা না যায়, তাহলে পরবর্তী সময়ে ধুলাবালু ও দূষণ খুব সহজেই চুলে আটকে থাকে। এর ফল কিন্তু ভালো হয় না।
তৈলাক্ত চুলে বেশিক্ষণ তেল রাখবেন না
যাঁদের চুল প্রাকৃতিকভাবেই তৈলাক্ত, তাঁরা দীর্ঘক্ষণ চুলে তেল রাখলে ভালোর পরিবর্তে খারাপই হতে পারে। এতে করে মাথার ত্বকে প্রাকৃতিক তেল ও ব্যবহৃত তেল জমা হয়ে ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে। এতে খুশকি ও চুলকানি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ছাড়া অতিরিক্ত তেল জমা হলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে।
চুল ধুতে গরম পানি ব্যবহার করবেন না
অনেকের ধারণা, চুলে তেল মাখার পর কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে সহজে তেল অপসারিত হয়। কিন্তু চুলে কেবল ঠান্ডা পানিই ব্যবহার করতে হবে। গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট হতে পারে। তাতে চুল হয়ে উঠতে পারে অতিরিক্ত শুষ্ক।
অতিরিক্ত সালফেটযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না
সোডিয়াম লরেল সালফেট ও সোডিয়াম লরেথ সালফেট, সাধারণত এই দুই ধরনের সালফেট শ্যাম্পু তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। শ্যাম্পু করার সময় যদি অল্পতেই মাথায় ফেনা হয়, তা হলে বুঝতে হবে সেই শ্যাম্পুতে যথেষ্ট পরিমাণ সালফেট রয়েছে। মাথার ত্বক খুব ভালো করে পরিষ্কার করতে পারলেও স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে এ সালফেট ক্ষতিকর হতে পারে। মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠার জন্যও এটি দায়ী। এ ছাড়া, চড়া গন্ধযুক্ত ও ‘আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড’ রয়েছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করা ভালো। ত্বকে র্যাশ, চুলকানি, লালচে ভাব বা কোনো সংক্রমণ থাকলে এই রাসায়নিকনির্ভর প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নয়তো মাথার ত্বকে তেল মেখে উপকার পাওয়া যাবে না।
এসব নিয়ম মেনে যদি তেল ব্যবহার করেন, তাহলে চুলের শুষ্কতা দূর হবে, চুলও হয়ে উঠবে ঝলমলে।
সূত্র: হেলথলাইন, স্কিনক্র্যাফট ও অন্যান্য
প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ
০৮ জুন ২০২৫রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।
৬ ঘণ্টা আগেরোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৯ ঘণ্টা আগেআজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!
১০ ঘণ্টা আগে