ফিচার ডেস্ক
প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে জরিমানাসহ বিভিন্ন শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছে।
ইন্দোনেশিয়া
২০১৯ সাল থেকে বালি, জাভা, কমোডো দ্বীপে প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। স্থানীয় খাবারের দোকানগুলোতে বাঁশের স্ট্র, কলাপাতা ও বায়োডিগ্রেডেবল প্যাকেট ব্যবহার করা হয় এখন। হোটেলগুলোয় রয়েছে পানির রিফিল স্টেশন। সেখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খাবার পরিবেশন করা হয়, যা পরিবেশবান্ধব এবং দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। সমুদ্র সৈকতগুলোতে কঠোর নজরদারি রয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সে দেশে ৩৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ আমেরিকান ডলার জরিমানার আইন আছে।
থাইল্যান্ড
২০২২ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে থাইল্যান্ড পর্যটন গন্তব্যগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাস্টিক বন্ধ করেছে। মেরিন পার্কসহ দেশটির ১৫৫টি জাতীয় উদ্যানে ফোমের পাত্র, প্লাস্টিকের খাবারের পাত্র, গ্লাস, স্ট্র, বাসনপত্র এবং প্যাকেজিংয়ে একবার ব্যবহার করা যায় তেমন জিনিসপত্র নিষিদ্ধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ বাথ জরিমানা করা হয়।
মালদ্বীপ
সমুদ্রের নিচের জগৎ রক্ষায় মালদ্বীপে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। রিসোর্টগুলোতে কাচের বোতল, ফিল্টার করা পানি ও পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ দেওয়া হয়। পর্যটকদের বাড়তি আরাম দিতে ও পরিবেশ রক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে দেশটি সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, স্ট্র, কাপ ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে। প্রতিবার এ আইন লঙ্ঘনের জন্য ব্যক্তিপর্য়ায়ে জরিমানা করা হয় ৫০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ আমেরিকান ডলার।
ভিয়েতনাম
২০২২ সাল থেকে দেশটির হা লং বে ও ফুঁ কুয়ক আইল্যান্ডে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। কলাপাতা ও কাগজে খাবার পরিবেশন করা হয় সেসব জায়গায়। হোটেলগুলোতে রয়েছে বাঁশের টুথব্রাশ ও পানির রিফিল ব্যবস্থা। নিয়ম ভাঙলে ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি ভিয়েতনামি মুদ্রা বা ২০ থেকে ২ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
তাইওয়ান
নাইট মার্কেট ও পর্যটন মন্দিরগুলোয় প্লাস্টিক প্যাকেজিং নিষিদ্ধ। ভ্রমণপথে রয়েছে রিসাইক্লিং পয়েন্ট ও পানির রিফিল সুবিধা। হট স্প্রিং রিসোর্টগুলো পরিবেশবান্ধব টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার করে। ২০২২ সালে তাইওয়ান সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন করে। তাতে আইন ভঙ্গে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ৪০ থেকে ২০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।
রুয়ান্ডা
২০০৮ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে রুয়ান্ডা। মাসে একদিন দেশটিতে ‘উমুগান্ডা’ নামে জাতীয় পরিচ্ছন্নতা দিবস পালিত হয়। এখন ভলকানো ন্যাশনাল পার্কসহ সব পর্যটন স্পট এবং হোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। এ আইন ভাঙলে ৫০ থেকে ৫০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে যেকারো। পুনরায় আইন ভাঙলে জেলও হতে পারে।
কেনিয়া
আফ্রিকার এই দেশ ২০১৭ সালে পর্যটনকেন্দ্রসহ সব জায়গায় প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে, যা ছিল বিশ্বে অন্যতম উদাহরণ। এরপর ২০২০ সালে সাফারি পার্ক, সৈকত ও পর্যটন এলাকাগুলোতেও এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করে কেনিয়া। আইন ভাঙলে ব্যক্তিপর্যায়ে ৪০০ থেকে ৪ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা বা ৪ বছরের জেলের বিধান রয়েছে দেশটিতে। আর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।
মরক্কো
২০১৬ সাল থেকে দেশটিতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। এ আইন পর্যটন স্পটে এখনো কড়াকড়ি ভাবে মানা না হলেও জরিমানার বিধান আছে। মরক্কোতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ হওয়ায় বাজারগুলোতে এখন হাতে তৈরি ঝুড়ি ও ব্যাগ ব্যবহৃত হয়। মারাকেশ ও ক্যাসাব্লাঙ্কার হোটেলগুলোতে রিফিলযোগ্য টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার হয়। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জরিমানা এক হাজার থেকে দশ হাজার আমেরিকান ডলার।
বতসোয়ানা
সাফারি পর্যটনে বিখ্যাত এই আফ্রিকান দেশটিতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। অভিজাত লজগুলো অতিথিদের পুনঃ ব্যবহারযোগ্য পানির বোতল দেয় এবং খাবার পরিবেশন করে বেতের ঝুড়ি ও কাঠের পাত্র। ২০১৮ সালে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ আইন করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা দিতে হবে ৪০ থেকে ৪০০ আমেরিকান ডলার।
কোস্টারিকা
দেশটি ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ প্রায় নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে একটি জাতীয় প্লাস্টিক অ্যাকশন রোডম্যাপ তৈরি করেছে। ২০২১ সাল থেকে সমস্ত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য দেশটিতে নিষিদ্ধ করা হয়। দেশটি পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিকের বদলে স্থানীয় হস্তশিল্প ও প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহারে জোর দিয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশটিতে ২০০ থেকে ২ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা হয়। এ ছাড়া সেসব পণ্য ব্যবহার করলে হোটেল বা রেস্তোরাঁর লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।
নিউজিল্যান্ড
২০১৯ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। কিছু পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন স্ট্র ও কাটলারি নিষিদ্ধ। এসব ব্যবহারের জন্য নিউজিল্যান্ডে ব্যক্তি পর্যায়ে ৩০০ থেকে এক হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার বা ১৮০ থেকে ৬০০ আমেরিকান ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার জরিমানা করা হয়। দেশটিতে পর্য়টকদের জন্য রয়েছে রিফিল স্টেশন ও রিসাইক্লিং পয়েন্ট। প্লাস্টিক বহন না করার জন্য দেশটি পর্যটকদের আগেই জানিয়ে দেয়।
পেরু
বিশ্ব ঐতিহ্য মাচু পিচু এবং আমাজন জঙ্গলের আশপাশে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে পেরু। পর্যটকদের দেওয়া হয় কাপড়ের ব্যাগ ও রিফিলযোগ্য বোতল। স্থানীয় বাজারগুলো কলাপাতা ও কাগজে পণ্য প্যাক করে দেয়া হয়। ২০২১ সালে দেশটি ন্যাশনাল পার্ক ও সংরক্ষিত এলাকায় প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। প্রতিবার আইন লঙ্ঘনে ব্যক্তিপর্যায়ে জরিমানা করা হয় ১ হাজার ৯০০ পেন বা ৫০০ আমেরিকান ডলার।
গ্রিস
সুন্দর সৈকত আর দ্বীপের জন্য বিখ্যাত গ্রিস তার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে। ছোট রেস্টুরেন্টগুলোয় ব্যবহার হয় কাচের পাত্র এবং পর্যটকদের স্মারক হিসেবে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ। ২০২১ সাল থেকে দেশটি বিশেষ করে দ্বীপ ও পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন কাটলারি, প্লেট, স্ট্র নিষিদ্ধ করে। এ আইন ভাঙলে পর্যটকদের জরিমানা করা হয় ৫০ থেকে ৫০০ ইউরো বা ৫৫ থেকে ৫৫০ ডলার।
সেশেলস
এই ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রটি পর্যটকদের স্বাগত জানায় পরিবেশবান্ধব বোতল দিয়ে। সৈকতের দোকানগুলো বায়োডিগ্রেডেবল কন্টেইনারে খাবার দেয়। পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত এখন দেশটির প্রধান আকর্ষণ। ২০১৭ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ, কাপ, স্ট্র নিষিদ্ধ করে দেশটি। নিয়ম ভাঙার জন্য দেশটিতে ব্যক্তিপর্যায়ে ৩৭০ থেকে ২ হাজার ৭০০ ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
ডোমিনিকা
ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমিনিকায় ঝরনা, গরম পানির উৎসসহ সব পর্যটন এলাকায় প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। দর্শনার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য লাঞ্চবক্স ও পানির বোতল। ২০১৯ সাল থেকে ইকো-ট্যুরিজম স্পটগুলোতে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে কঠোর নিয়ম করে দেশটির সরকার। নিয়ম ভাঙলে ৩৭০ থেকে ১ হাজার ৮৫০ আমেরিকান ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে ডোমিনিকায়।
পানামা
পানামা ক্যানালসহ পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশের সময় পর্যটকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় রিফিলযোগ্য পানির বোতল। স্থানীয় দোকানগুলো ব্যবহার করে বায়োডিগ্রেডেবল সামগ্রী। ২০২০ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগসহ ওয়ান টাইম পণ্য নিষিদ্ধ করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা করা হয় ১০০ থেকে ১ হাজার আমেরিকান ডলার।
পালাউ
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ। সে দেশে ঘুরতে গেলে পর্যটকদের ‘ইকো-প্রমিজ’ সাইন করতে হয়। তাতে প্লাস্টিক ব্যবহার না করার অঙ্গীকার থাকে। এর ফলে জনপ্রিয় জেলিফিশ লেক ও ডাইভিং সাইটগুলো এখন ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য দূষণমুক্ত। ২০২০ সালে দেশটি ইকো-ট্যুরিজম জোনগুলোতে সানস্ক্রিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে। প্রথমবার এ আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০০ আমেরিকান ডলার। পরে যতবার আইন ভাংবেন ততবার দিতে হবে ২ হাজার আমেরিকান ডলার করে।
পর্তুগাল
পর্তুগালের পর্যটন অঞ্চলগুলোয় পানির রিফিল স্টেশন এবং পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহারের প্রচলন হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানগুলোতে এখন সিরামিক ও কাঁচের পাত্র ব্যবহার হচ্ছে। ২০২১ সালে দেশটি সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে আইন করে পর্যটন এলাকাগুলোতে। আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০ থেকে ১ হাজার ইউরো বা ৫৫ থেকে ১ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার।
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা
ক্যারিবীয় দ্বীপ দুটির ৩৬৫টি সৈকত এখন অনেকটাই প্লাস্টিকমুক্ত। হোটেলগুলোতে অতিথিদের দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য বোতল ও ব্যাগ। আর সৈকতের পানশালায় পরিবেশবান্ধব কাপে পানীয় পরিবেশিত হয়। ২০১৬ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে দেশটি আইন করে। আইন ভাঙলে দেশটিতে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানার মুখে পড়তে হবে।
জ্যামাইকা
কিংস্টন ও মন্টেগো বে-র হোটেলগুলো অতিথিদের স্থানীয় নকশার রিফিলযোগ্য বোতল দেয়া হয়। খাবার পরিবেশনে ব্যবহৃত হয় কলাপাতা ও কাগজ। আর সৈকতের পাশের রেস্টুরেন্টগুলোতে পানীয় পরিবেশন হয় নারকেল বা কাগজের কাপে। ২০১৯ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় দেশটিতে। আইন ভাংলে জরিমানা গুনতে হবে ৩০০ থেকে ১২ হাজার আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।
পরামর্শ
জরিমানা ও নীতিমালা পরিবর্তনশীল, তাই ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি ওয়েবসাইট দেখুন।
সূত্র: নিউজ ব্রেক ও অন্যান্যন
প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে জরিমানাসহ বিভিন্ন শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছে।
ইন্দোনেশিয়া
২০১৯ সাল থেকে বালি, জাভা, কমোডো দ্বীপে প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। স্থানীয় খাবারের দোকানগুলোতে বাঁশের স্ট্র, কলাপাতা ও বায়োডিগ্রেডেবল প্যাকেট ব্যবহার করা হয় এখন। হোটেলগুলোয় রয়েছে পানির রিফিল স্টেশন। সেখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে খাবার পরিবেশন করা হয়, যা পরিবেশবান্ধব এবং দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ। সমুদ্র সৈকতগুলোতে কঠোর নজরদারি রয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সে দেশে ৩৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ আমেরিকান ডলার জরিমানার আইন আছে।
থাইল্যান্ড
২০২২ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে থাইল্যান্ড পর্যটন গন্তব্যগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাস্টিক বন্ধ করেছে। মেরিন পার্কসহ দেশটির ১৫৫টি জাতীয় উদ্যানে ফোমের পাত্র, প্লাস্টিকের খাবারের পাত্র, গ্লাস, স্ট্র, বাসনপত্র এবং প্যাকেজিংয়ে একবার ব্যবহার করা যায় তেমন জিনিসপত্র নিষিদ্ধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ বাথ জরিমানা করা হয়।
মালদ্বীপ
সমুদ্রের নিচের জগৎ রক্ষায় মালদ্বীপে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। রিসোর্টগুলোতে কাচের বোতল, ফিল্টার করা পানি ও পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ দেওয়া হয়। পর্যটকদের বাড়তি আরাম দিতে ও পরিবেশ রক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে দেশটি সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, স্ট্র, কাপ ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে। প্রতিবার এ আইন লঙ্ঘনের জন্য ব্যক্তিপর্য়ায়ে জরিমানা করা হয় ৫০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ আমেরিকান ডলার।
ভিয়েতনাম
২০২২ সাল থেকে দেশটির হা লং বে ও ফুঁ কুয়ক আইল্যান্ডে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। কলাপাতা ও কাগজে খাবার পরিবেশন করা হয় সেসব জায়গায়। হোটেলগুলোতে রয়েছে বাঁশের টুথব্রাশ ও পানির রিফিল ব্যবস্থা। নিয়ম ভাঙলে ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি ভিয়েতনামি মুদ্রা বা ২০ থেকে ২ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
তাইওয়ান
নাইট মার্কেট ও পর্যটন মন্দিরগুলোয় প্লাস্টিক প্যাকেজিং নিষিদ্ধ। ভ্রমণপথে রয়েছে রিসাইক্লিং পয়েন্ট ও পানির রিফিল সুবিধা। হট স্প্রিং রিসোর্টগুলো পরিবেশবান্ধব টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার করে। ২০২২ সালে তাইওয়ান সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন করে। তাতে আইন ভঙ্গে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ৪০ থেকে ২০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।
রুয়ান্ডা
২০০৮ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে রুয়ান্ডা। মাসে একদিন দেশটিতে ‘উমুগান্ডা’ নামে জাতীয় পরিচ্ছন্নতা দিবস পালিত হয়। এখন ভলকানো ন্যাশনাল পার্কসহ সব পর্যটন স্পট এবং হোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। এ আইন ভাঙলে ৫০ থেকে ৫০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে যেকারো। পুনরায় আইন ভাঙলে জেলও হতে পারে।
কেনিয়া
আফ্রিকার এই দেশ ২০১৭ সালে পর্যটনকেন্দ্রসহ সব জায়গায় প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করে, যা ছিল বিশ্বে অন্যতম উদাহরণ। এরপর ২০২০ সালে সাফারি পার্ক, সৈকত ও পর্যটন এলাকাগুলোতেও এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করে কেনিয়া। আইন ভাঙলে ব্যক্তিপর্যায়ে ৪০০ থেকে ৪ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা বা ৪ বছরের জেলের বিধান রয়েছে দেশটিতে। আর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।
মরক্কো
২০১৬ সাল থেকে দেশটিতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। এ আইন পর্যটন স্পটে এখনো কড়াকড়ি ভাবে মানা না হলেও জরিমানার বিধান আছে। মরক্কোতে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ হওয়ায় বাজারগুলোতে এখন হাতে তৈরি ঝুড়ি ও ব্যাগ ব্যবহৃত হয়। মারাকেশ ও ক্যাসাব্লাঙ্কার হোটেলগুলোতে রিফিলযোগ্য টয়লেট সামগ্রী ব্যবহার হয়। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জরিমানা এক হাজার থেকে দশ হাজার আমেরিকান ডলার।
বতসোয়ানা
সাফারি পর্যটনে বিখ্যাত এই আফ্রিকান দেশটিতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। অভিজাত লজগুলো অতিথিদের পুনঃ ব্যবহারযোগ্য পানির বোতল দেয় এবং খাবার পরিবেশন করে বেতের ঝুড়ি ও কাঠের পাত্র। ২০১৮ সালে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ আইন করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা দিতে হবে ৪০ থেকে ৪০০ আমেরিকান ডলার।
কোস্টারিকা
দেশটি ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ প্রায় নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে একটি জাতীয় প্লাস্টিক অ্যাকশন রোডম্যাপ তৈরি করেছে। ২০২১ সাল থেকে সমস্ত সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য দেশটিতে নিষিদ্ধ করা হয়। দেশটি পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিকের বদলে স্থানীয় হস্তশিল্প ও প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহারে জোর দিয়েছে। প্ল্যাস্টিক পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশটিতে ২০০ থেকে ২ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা হয়। এ ছাড়া সেসব পণ্য ব্যবহার করলে হোটেল বা রেস্তোরাঁর লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।
নিউজিল্যান্ড
২০১৯ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে ওয়ান-টাইম প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ। কিছু পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন স্ট্র ও কাটলারি নিষিদ্ধ। এসব ব্যবহারের জন্য নিউজিল্যান্ডে ব্যক্তি পর্যায়ে ৩০০ থেকে এক হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার বা ১৮০ থেকে ৬০০ আমেরিকান ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার জরিমানা করা হয়। দেশটিতে পর্য়টকদের জন্য রয়েছে রিফিল স্টেশন ও রিসাইক্লিং পয়েন্ট। প্লাস্টিক বহন না করার জন্য দেশটি পর্যটকদের আগেই জানিয়ে দেয়।
পেরু
বিশ্ব ঐতিহ্য মাচু পিচু এবং আমাজন জঙ্গলের আশপাশে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে পেরু। পর্যটকদের দেওয়া হয় কাপড়ের ব্যাগ ও রিফিলযোগ্য বোতল। স্থানীয় বাজারগুলো কলাপাতা ও কাগজে পণ্য প্যাক করে দেয়া হয়। ২০২১ সালে দেশটি ন্যাশনাল পার্ক ও সংরক্ষিত এলাকায় প্লাস্টিক ব্যাগ, স্ট্র নিষিদ্ধ। প্রতিবার আইন লঙ্ঘনে ব্যক্তিপর্যায়ে জরিমানা করা হয় ১ হাজার ৯০০ পেন বা ৫০০ আমেরিকান ডলার।
গ্রিস
সুন্দর সৈকত আর দ্বীপের জন্য বিখ্যাত গ্রিস তার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে। ছোট রেস্টুরেন্টগুলোয় ব্যবহার হয় কাচের পাত্র এবং পর্যটকদের স্মারক হিসেবে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ। ২০২১ সাল থেকে দেশটি বিশেষ করে দ্বীপ ও পর্যটন এলাকায় সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক পণ্য, যেমন কাটলারি, প্লেট, স্ট্র নিষিদ্ধ করে। এ আইন ভাঙলে পর্যটকদের জরিমানা করা হয় ৫০ থেকে ৫০০ ইউরো বা ৫৫ থেকে ৫৫০ ডলার।
সেশেলস
এই ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রটি পর্যটকদের স্বাগত জানায় পরিবেশবান্ধব বোতল দিয়ে। সৈকতের দোকানগুলো বায়োডিগ্রেডেবল কন্টেইনারে খাবার দেয়। পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত এখন দেশটির প্রধান আকর্ষণ। ২০১৭ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ, কাপ, স্ট্র নিষিদ্ধ করে দেশটি। নিয়ম ভাঙার জন্য দেশটিতে ব্যক্তিপর্যায়ে ৩৭০ থেকে ২ হাজার ৭০০ ডলার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানা করা হয়।
ডোমিনিকা
ক্যারিবীয় দ্বীপ ডোমিনিকায় ঝরনা, গরম পানির উৎসসহ সব পর্যটন এলাকায় প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। দর্শনার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য লাঞ্চবক্স ও পানির বোতল। ২০১৯ সাল থেকে ইকো-ট্যুরিজম স্পটগুলোতে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে কঠোর নিয়ম করে দেশটির সরকার। নিয়ম ভাঙলে ৩৭০ থেকে ১ হাজার ৮৫০ আমেরিকান ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে ডোমিনিকায়।
পানামা
পানামা ক্যানালসহ পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশের সময় পর্যটকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় রিফিলযোগ্য পানির বোতল। স্থানীয় দোকানগুলো ব্যবহার করে বায়োডিগ্রেডেবল সামগ্রী। ২০২০ সাল থেকে প্লাস্টিক ব্যাগসহ ওয়ান টাইম পণ্য নিষিদ্ধ করে দেশটি। আইন ভাঙলে জরিমানা করা হয় ১০০ থেকে ১ হাজার আমেরিকান ডলার।
পালাউ
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ। সে দেশে ঘুরতে গেলে পর্যটকদের ‘ইকো-প্রমিজ’ সাইন করতে হয়। তাতে প্লাস্টিক ব্যবহার না করার অঙ্গীকার থাকে। এর ফলে জনপ্রিয় জেলিফিশ লেক ও ডাইভিং সাইটগুলো এখন ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য দূষণমুক্ত। ২০২০ সালে দেশটি ইকো-ট্যুরিজম জোনগুলোতে সানস্ক্রিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করে। প্রথমবার এ আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০০ আমেরিকান ডলার। পরে যতবার আইন ভাংবেন ততবার দিতে হবে ২ হাজার আমেরিকান ডলার করে।
পর্তুগাল
পর্তুগালের পর্যটন অঞ্চলগুলোয় পানির রিফিল স্টেশন এবং পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহারের প্রচলন হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানগুলোতে এখন সিরামিক ও কাঁচের পাত্র ব্যবহার হচ্ছে। ২০২১ সালে দেশটি সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে আইন করে পর্যটন এলাকাগুলোতে। আইন ভাঙলে জরিমানা ৫০ থেকে ১ হাজার ইউরো বা ৫৫ থেকে ১ হাজার ১০০ আমেরিকান ডলার।
অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা
ক্যারিবীয় দ্বীপ দুটির ৩৬৫টি সৈকত এখন অনেকটাই প্লাস্টিকমুক্ত। হোটেলগুলোতে অতিথিদের দেওয়া হয় পুনঃ ব্যবহারযোগ্য বোতল ও ব্যাগ। আর সৈকতের পানশালায় পরিবেশবান্ধব কাপে পানীয় পরিবেশিত হয়। ২০১৬ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধে দেশটি আইন করে। আইন ভাঙলে দেশটিতে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার আমেরিকান ডলার জরিমানার মুখে পড়তে হবে।
জ্যামাইকা
কিংস্টন ও মন্টেগো বে-র হোটেলগুলো অতিথিদের স্থানীয় নকশার রিফিলযোগ্য বোতল দেয়া হয়। খাবার পরিবেশনে ব্যবহৃত হয় কলাপাতা ও কাগজ। আর সৈকতের পাশের রেস্টুরেন্টগুলোতে পানীয় পরিবেশন হয় নারকেল বা কাগজের কাপে। ২০১৯ সালে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয় দেশটিতে। আইন ভাংলে জরিমানা গুনতে হবে ৩০০ থেকে ১২ হাজার আমেরিকান ডলার পর্যন্ত।
পরামর্শ
জরিমানা ও নীতিমালা পরিবর্তনশীল, তাই ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি ওয়েবসাইট দেখুন।
সূত্র: নিউজ ব্রেক ও অন্যান্যন
টেসলা, স্পেসএক্স, নিউরালিংক, এক্সএআই ও দ্য বোরিং কোম্পানির প্রধান নির্বাহী মাস্ককে ঘিরে রহস্যের কমতি নেই। এই বিশাল কর্মভারের মাঝেও তিনি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি চালু করছেন, সামাজিক মাধ্যমে আলোড়ন তুলছেন, আবার কখনো হয়ে উঠছেন রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। তবে সবকিছু তিনি সামলান কীভাবে তা নিয়ে মনে প্রশ্ন
১ দিন আগেএবার বেশিরভাগ মানুষের ছুটির কোনো সমস্যা নেই। ঈদ শেষেও ছুটি হাতে থেকে যাবে। সেই থেকে যাওয়া ছুটিকে কাজে লাগাতে পারেন। এই ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন মৌলভীবাজার।
১ দিন আগেঈদে দাওয়াত রক্ষা করতে যাওয়া কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে বারবিকিউ পার্টি হবে না, সেটা ভাবা কষ্টকর। সেসব বিশেষ অনুষ্ঠানে খাবারের লিস্টে অনেকেই স্টেক রাখার কথা ভাবেন। স্টেকের স্বাদ তখনই সঠিকভাবে উপভোগ্য হয়ে ওঠে যখন এর সাইড ডিশগুলোও ঠিক তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর সঙ্গে মিলিয়ে এমন সাইড ডিশ বাছাই করত
২ দিন আগেঈদুল আজহায় কাবাব খাওয়া হবে না, তা কি হয়? পোলাওয়ের সঙ্গে প্রথম পাতে শামি কাবাব কিন্তু দারুণ জমে যায়। আপনাদের জন্য গরুর মাংসের শামি কাবাবের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন কোহিনূর বেগম।
৩ দিন আগে