রজত কান্তি রায়, ঢাকা
তালগাছের মাথা থেকে ভেসে আসছে ইলিশ ভাজার গন্ধ!
শরতের শান্ত স্নিগ্ধ অমাবস্যার সন্ধ্যা। তখনো আমাদের গ্রামগুলো বিদ্যুতের আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠেনি। লন্ঠন আর কুপির আলোই ভরসা। সেই ঘুটঘুটে অমাবস্যার সন্ধ্যাগুলোয় কুপির আলো পাঁচ হাত দূরের অন্ধকারকে প্রগাঢ় করে তুলত।
তেমনই এক সন্ধ্যায় বাড়ির প্রাচীরের ঠিক গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছ থেকে ভেসে এল ইলিশ ভাজার গন্ধ! শিউরে উঠতেই হলো। নারী মহলে আলোড়ন উঠল। কারণ, কারও বাড়িতে ইলিশ এলে সে খবর রাষ্ট্র হয়ে যেত বিকেলেই। কিন্তু সে রকম কোনো খবর ছিল না কারও কাছেই। ফলে আলোড়ন থামল তো না-ই, তালগাছের মাথায় বসে পেতনির ইলিশ ভাজার খবর রাষ্ট্র হলো পরদিন সকাল নাগাদ।
বাঙালির জীবন ও যাপনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইলিশ মাছের নাম। আর সেই মাছের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভূতের গল্প। সেই ইলিশ কে রান্না করত? কেন, পেতনি! আর না হলে শাঁকচুন্নি। কিন্তু রেসিপিটা কী? না, সে বিষয়ের বিশদ বিবরণ তেমন একটা পাওয়া যায় না কোথাও।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমার ভান্ডারে যত ভূতের গল্প আছে, আর সেগুলোতে যত রান্নার কথা আছে, সবই প্রায় ভাজা ইলিশের গল্প। ইলিশ ভাজলে তার সুবাস ছড়ায় বহুদূর পর্যন্ত। অন্তত এককালে তাই ছড়াত। এখন ইলিশের সুগন্ধও সম্ভবত মেড ইন চায়না—মৃদু আর ক্ষণস্থায়ী। ফলে এখনকার ভূতেরা ঠিক জুত করে উঠতে পারে না ইলিশ ভেজেও। সত্তর বা আশি ফুট উঁচু তালগাছের মাথা থেকে গোড়া পর্যন্ত আসতে আসতে সেই সুগন্ধ উড়ে যায় বাতাসে। মানুষের নাকে লেগে তার চিত্তচাঞ্চল্য তৈরি করে না। সে যাক।
ইউটিউব ঘাঁটতে ঘাঁটতে পাওয়া গেল ‘শাঁকচুন্নির সরষে ইলিশ’ নামে একটি গল্পের ভিডিও। যাক বাবা, অন্তত শাঁকচুন্নি যে ইলিশ না ভেজে সরষেবাটা দিয়ে ইলিশ রান্না করে খাচ্ছে, সেটা ভেবে পুলক হলো।
অন্তত এটা বুঝতে পারলাম যে আর যা-ই হোক, শাঁকচুন্নি পেতনিদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে আছে রেসিপির দিক থেকে। গল্পের সেই শাঁকচুন্নি ভূতের নাম ছিল কামিনী। সে খেতে পছন্দ করত কাঁচা মরিচ আর সরষেবাটা দিয়ে রান্না করা সরষে ইলিশ। উত্তরের জঙ্গলে রানিকে বাগে পেয়ে সে তার শরীরে প্রবেশ করে রাজার সঙ্গে ফিরেছিল রাজপ্রাসাদে।
সেখানে প্রাসাদের রান্নাঘরে সে অনেক দিন পর রান্না করেছিল কাঁচা মরিচ আর বাটা সরষে দিয়ে ইলিশ মাছ। তারপর রাজাকে খবর দিয়েছিল খেতে আসার জন্য। কিন্তু রাজার খানিক বিলম্ব হলে সে একাই সব সরষে ইলিশ খেয়ে নেয়। রাজা তাতে বেশ অভিমান করে বটে। কিন্তু রানির কথা ভেবে কিছু বলে না। পরে অবশ্য রাজা, চাকরানি আর রাজগুরুর কারণে শাঁকচুন্নি ধরা পড়ে যায়।
এই সরষে ইলিশ নামে ইলিশ মাছের যে বিশেষ পদখানি আছে বাঙালির শত শত বছরের রন্ধন ইতিহাসে, তার জন্য তারা একটা অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য বটে।
তালগাছের মাথা থেকে ভেসে আসছে ইলিশ ভাজার গন্ধ!
শরতের শান্ত স্নিগ্ধ অমাবস্যার সন্ধ্যা। তখনো আমাদের গ্রামগুলো বিদ্যুতের আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠেনি। লন্ঠন আর কুপির আলোই ভরসা। সেই ঘুটঘুটে অমাবস্যার সন্ধ্যাগুলোয় কুপির আলো পাঁচ হাত দূরের অন্ধকারকে প্রগাঢ় করে তুলত।
তেমনই এক সন্ধ্যায় বাড়ির প্রাচীরের ঠিক গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছ থেকে ভেসে এল ইলিশ ভাজার গন্ধ! শিউরে উঠতেই হলো। নারী মহলে আলোড়ন উঠল। কারণ, কারও বাড়িতে ইলিশ এলে সে খবর রাষ্ট্র হয়ে যেত বিকেলেই। কিন্তু সে রকম কোনো খবর ছিল না কারও কাছেই। ফলে আলোড়ন থামল তো না-ই, তালগাছের মাথায় বসে পেতনির ইলিশ ভাজার খবর রাষ্ট্র হলো পরদিন সকাল নাগাদ।
বাঙালির জীবন ও যাপনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইলিশ মাছের নাম। আর সেই মাছের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভূতের গল্প। সেই ইলিশ কে রান্না করত? কেন, পেতনি! আর না হলে শাঁকচুন্নি। কিন্তু রেসিপিটা কী? না, সে বিষয়ের বিশদ বিবরণ তেমন একটা পাওয়া যায় না কোথাও।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমার ভান্ডারে যত ভূতের গল্প আছে, আর সেগুলোতে যত রান্নার কথা আছে, সবই প্রায় ভাজা ইলিশের গল্প। ইলিশ ভাজলে তার সুবাস ছড়ায় বহুদূর পর্যন্ত। অন্তত এককালে তাই ছড়াত। এখন ইলিশের সুগন্ধও সম্ভবত মেড ইন চায়না—মৃদু আর ক্ষণস্থায়ী। ফলে এখনকার ভূতেরা ঠিক জুত করে উঠতে পারে না ইলিশ ভেজেও। সত্তর বা আশি ফুট উঁচু তালগাছের মাথা থেকে গোড়া পর্যন্ত আসতে আসতে সেই সুগন্ধ উড়ে যায় বাতাসে। মানুষের নাকে লেগে তার চিত্তচাঞ্চল্য তৈরি করে না। সে যাক।
ইউটিউব ঘাঁটতে ঘাঁটতে পাওয়া গেল ‘শাঁকচুন্নির সরষে ইলিশ’ নামে একটি গল্পের ভিডিও। যাক বাবা, অন্তত শাঁকচুন্নি যে ইলিশ না ভেজে সরষেবাটা দিয়ে ইলিশ রান্না করে খাচ্ছে, সেটা ভেবে পুলক হলো।
অন্তত এটা বুঝতে পারলাম যে আর যা-ই হোক, শাঁকচুন্নি পেতনিদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে আছে রেসিপির দিক থেকে। গল্পের সেই শাঁকচুন্নি ভূতের নাম ছিল কামিনী। সে খেতে পছন্দ করত কাঁচা মরিচ আর সরষেবাটা দিয়ে রান্না করা সরষে ইলিশ। উত্তরের জঙ্গলে রানিকে বাগে পেয়ে সে তার শরীরে প্রবেশ করে রাজার সঙ্গে ফিরেছিল রাজপ্রাসাদে।
সেখানে প্রাসাদের রান্নাঘরে সে অনেক দিন পর রান্না করেছিল কাঁচা মরিচ আর বাটা সরষে দিয়ে ইলিশ মাছ। তারপর রাজাকে খবর দিয়েছিল খেতে আসার জন্য। কিন্তু রাজার খানিক বিলম্ব হলে সে একাই সব সরষে ইলিশ খেয়ে নেয়। রাজা তাতে বেশ অভিমান করে বটে। কিন্তু রানির কথা ভেবে কিছু বলে না। পরে অবশ্য রাজা, চাকরানি আর রাজগুরুর কারণে শাঁকচুন্নি ধরা পড়ে যায়।
এই সরষে ইলিশ নামে ইলিশ মাছের যে বিশেষ পদখানি আছে বাঙালির শত শত বছরের রন্ধন ইতিহাসে, তার জন্য তারা একটা অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য বটে।
২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় ১৯টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন স্নেহা উল্লাল। হিন্দি, তেলুগু, কন্নড়, ইংরেজি ও বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু পরপর কয়েকটি চলচ্চিত্র ব্যবসাসফল না হওয়ায় অভিনয়জগৎ থেকে নিজেই বেরিয়ে যান স্নেহা।
২ ঘণ্টা আগেরোদে ভালো ভাবে শুকিয়ে বয়ামে রেখে দিলে অনেক দিন ভালো থাকে কাঁঠালের বিচি। ভর্তা, তরকারি ও ভেজে খাওয়া ছাড়াও এটি দিয়ে স্মুদি তৈরি করা যায়। কীভাবে? আপনাদের জন্য কাঁঠালের বিচির স্মুদির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী কোহিনূর বেগম।
৫ ঘণ্টা আগেনামের মিল থাকলেও তিনি বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন নন। তাঁর পুরো নাম সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। ইদানীং নিশ্চয় তাঁর নাম আপনার সামনে চলে আসছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে। খেয়াল করেছেন নিশ্চয়। তিনি এখন বেশ আলোচনায় আছেন নেট দুনিয়ায়।
২১ ঘণ্টা আগেযাদের বাড়িতে বারান্দার সংখ্যা কম বা থাকলেও বারান্দায় বৃষ্টির ছাট আসে, তাদের এই ভেজা কাপড় শুকানোর কষ্টটা অনেক বেশি। ফলে অধিকাংশই ঘরের ভেতর দড়ি টাঙিয়ে ফ্যানের বাতাসে কাপড় শুকাতে দেন। এভাবে জামাকাপড় শুকালে একটা স্যাঁতসেঁতে ভাব থেকে যায়। আর ভেজা গন্ধের আর্দ্র পোশাক পরলে ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে।
১ দিন আগে