নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্রিসমাস শুনলেই ভেসে ওঠে বিচিত্র পদের কেকের ছবি। এসব কেকের কোনোটা ডিম ছাড়া, কোনোটা ডিম দিয়েই বানানো, কোনোটা আবার চকলেট, তো কোনোটা শুকনো ফলে বানানো। কিন্তু প্রশ্ন জাগে না মনে, ক্রিসমাসে কেন কেকই খাওয়া হয়। এর গল্পটা কী?
ক্রিসমাসে কেন কেকই খাওয়া হয়, তার সঠিক কোনো কারণের সন্ধান পাওয়া যায় না। তবে ছোট ছোট কিছু তথ্য আর কিছু মিথ থেকে এটা বোঝা যায় যে ইংরেজ ঐতিহ্যে লুকিয়ে আছে এই ক্রিসমাস কেকের মূল। শুরুতে হয়তো ক্রিসমাসে কেক খাওয়ার প্রচলন ছিল না। কোনো কোনো তথ্য জানাচ্ছে, সম্ভবত কেকের বদলে আগে প্লাম পরিজ খাওয়ার প্রচলন ছিল। মূলত উপবাস ভাঙার জন্য খাওয়া হতো প্লাম পরিজ। দীর্ঘদিন ধরে প্লাম পরিজের রেসিপিতে বেশ খানিকটা বদল আসে। এই বদলে যাওয়া রেসিপিতে যোগ হয় মধু, শুকনো ফল ও মসলা। এসব নতুন উপাদানের জন্য প্লাম পরিজ ধীরে ধীরে পুডিংয়ের আকার ধারণ করে। ১৬ শতক পর্যন্ত সেই ঐতিহ্য চলতে থাকে।
এরপর পর্দায় গমের আটার বদলে হাজির হয় ওটস। এর সঙ্গে যোগ হয় ডিম ও মাখন। ফলে আগেই বদলে যাওয়া প্লাম পুডিং এবার হয়ে গেল প্লাম কেক। ক্রিসমাসে এ ধরনের কেক খাওয়ারই চল ছিল আগে। এই কেকও ধীরে ধীরে অনেক বদলে গেছে রেসিপির দিক থেকে। ইংল্যান্ডে কেক বানানো হয় ঋতুভিত্তিক ফল দিয়ে বা শুকনো ফল দিয়ে। অবাক করা বিষয় হলো, বড়লোকদের বাড়ির ক্রিসমাস কেকে যোগ করা হতো ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া বিভিন্ন স্বাদের মসলা। ক্রিসমাস কেকে সেই ঐতিহ্য এখনো চলছে। অবশ্য শুধু কেকই নয়, ইস্টারের সময় থেকে ধনী ব্রিটিশদের বাড়িতে চিনি ও বিভিন্ন ধরনের বাদামের মিশ্রণে তৈরি হতো মার্জিপান। এ ছাড়া রকমারি সুস্বাদু খাবার রান্না হয় ব্রিটিশদের হেঁশেলে।
এখন প্রতিটি দেশে ক্রিসমাস কেকের হাজারো রেসিপি পাওয়া যায়। কোনো কোনো দেশের আছে শত শত বছরের ঐতিহ্য—
এগলেস চকলেট কেক
ক্রিসমাসকে স্বাগত জানাতে এটি হতে পারে দারুণ এক মাধ্যম। জিবে জল আনা এই কেক তৈরিও বেশ সহজ—
উপকরণ
ময়দা আধা কাপ, কোকো পাউডার ২ টেবিল চামচ, বেকিং সোডা ১ চা-চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তরল দুধ আধা কাপ, ভিনেগার আধা টেবিল চামচ, চিনি আধা কাপ, তেল ১ টেবিল চামচ, চকলেট এসেন্স ১ চা-চামচ।
প্রণালি
সব শুকনো উপকরণ চেলে মিশিয়ে রেখে দিন। এবার আরেকটি পাত্রে একসঙ্গে তরল দুধ, ভিনেগার ও চিনি স্প্যাচুলা দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। মেশানোর পর বিট করতে হবে ৫-৭ মিনিট। হয়ে গেলে তেল, এসেন্স দিয়ে আবারও ৩০ সেকেন্ডের মতো বিট করে মিশিয়ে নিতে হবে। এই ব্যাটারের সঙ্গে আগে থেকে রেডি করে রাখা শুকনো উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে। সব উপকরণ একবারে না দিয়ে একের পর এক দিয়ে মিশিয়ে নিন।
এবার একটি ৭ ইঞ্চি কেক মোল্ডে বেকিং পেপার বিছিয়ে নিন। কেকের ব্যাটার এই মোল্ডে ঢেলে দু-তিনবার জোরে জোরে ট্যাপ করে বাতাস বের করে নিতে হবে।
ইলেকট্রিক ওভেন ১৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১০ মিনিট প্রিহিট করে নিয়ে কেকের ব্যাটারের পাত্র ৫০-৫৫ মিনিটের মতো বেক করতে হবে। কেক বেক হয়েছে কি না, তা বোঝার জন্য একটি কাঠি কেকের মাঝ বরাবর দিয়ে চেক করে নিতে হবে। কাঠিটা পরিষ্কার বের হলে বুঝতে হবে কেক সম্পূর্ণ বেক হয়েছে। বেক হয়ে গেলে ঠান্ডা করে পছন্দমতো ক্রিম দিয়ে ডেকোরেশন করে নিতে হবে।
অরেঞ্জ কেক
এই শীতে কমলার সুবাশ মাখা কেক ক্রিসমাস উদযাপনে ভিন্ন মাত্রা এনে দিতে পারে।
উপকরণ
ডিম তিনটি, চিনি আধা কাপ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, অরেঞ্জ এসেন্স ১ চা-চামচ, ফ্রেশ অরেঞ্জ জুস ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, অরেঞ্জ ফুড কালার ১ চা-চামচ, ময়দা আধা কাপ, গুঁড়ো দুধ ৩ চা-চামচ, লবণ ১ চিমটি, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ।
প্রণালি
ময়দা, গুঁড়ো দুধ, লবণ ও বেকিং পাউডার ভালো করে মিশিয়ে ঢেকে রাখুন। এবার ডিমের কুসুমগুলো ভালোভাবে বিট করে নিন। তারপর একে একে অরেঞ্জ জুস, অরেঞ্জ এসেন্স ও ফুড কালার দিয়ে একসঙ্গে বিট করে নিন। এবার ডিমের সাদা অংশগুলো হালকা ফোম হওয়া পর্যন্ত বিট করুন। এই পর্যায়ে অল্প অল্প করে চিনি দিয়ে বিট করতে থাকুন। এ সময় অল্প অল্প সয়াবিন তেল দিয়ে বিট করতে থাকুন চিনি গলে যাওয়া পর্যন্ত। এবার শুকনো উপকরণ ও ডিমের কুসুমের যে মিশ্রণ ছিল, সেটা মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি তৈরি হয়ে গেলে মোল্ডে বেকিং পেপার বিছিয়ে একটু তেল ব্রাশ করে নিন। তারপর প্রিহিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রিতে ৩৫ মিনিট বেক করলেই হয়ে যাবে মজাদার অরেঞ্জ কেক।
রেসিপি ও ছবি: পাপিয়া মল্লিক
ক্রিসমাস শুনলেই ভেসে ওঠে বিচিত্র পদের কেকের ছবি। এসব কেকের কোনোটা ডিম ছাড়া, কোনোটা ডিম দিয়েই বানানো, কোনোটা আবার চকলেট, তো কোনোটা শুকনো ফলে বানানো। কিন্তু প্রশ্ন জাগে না মনে, ক্রিসমাসে কেন কেকই খাওয়া হয়। এর গল্পটা কী?
ক্রিসমাসে কেন কেকই খাওয়া হয়, তার সঠিক কোনো কারণের সন্ধান পাওয়া যায় না। তবে ছোট ছোট কিছু তথ্য আর কিছু মিথ থেকে এটা বোঝা যায় যে ইংরেজ ঐতিহ্যে লুকিয়ে আছে এই ক্রিসমাস কেকের মূল। শুরুতে হয়তো ক্রিসমাসে কেক খাওয়ার প্রচলন ছিল না। কোনো কোনো তথ্য জানাচ্ছে, সম্ভবত কেকের বদলে আগে প্লাম পরিজ খাওয়ার প্রচলন ছিল। মূলত উপবাস ভাঙার জন্য খাওয়া হতো প্লাম পরিজ। দীর্ঘদিন ধরে প্লাম পরিজের রেসিপিতে বেশ খানিকটা বদল আসে। এই বদলে যাওয়া রেসিপিতে যোগ হয় মধু, শুকনো ফল ও মসলা। এসব নতুন উপাদানের জন্য প্লাম পরিজ ধীরে ধীরে পুডিংয়ের আকার ধারণ করে। ১৬ শতক পর্যন্ত সেই ঐতিহ্য চলতে থাকে।
এরপর পর্দায় গমের আটার বদলে হাজির হয় ওটস। এর সঙ্গে যোগ হয় ডিম ও মাখন। ফলে আগেই বদলে যাওয়া প্লাম পুডিং এবার হয়ে গেল প্লাম কেক। ক্রিসমাসে এ ধরনের কেক খাওয়ারই চল ছিল আগে। এই কেকও ধীরে ধীরে অনেক বদলে গেছে রেসিপির দিক থেকে। ইংল্যান্ডে কেক বানানো হয় ঋতুভিত্তিক ফল দিয়ে বা শুকনো ফল দিয়ে। অবাক করা বিষয় হলো, বড়লোকদের বাড়ির ক্রিসমাস কেকে যোগ করা হতো ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া বিভিন্ন স্বাদের মসলা। ক্রিসমাস কেকে সেই ঐতিহ্য এখনো চলছে। অবশ্য শুধু কেকই নয়, ইস্টারের সময় থেকে ধনী ব্রিটিশদের বাড়িতে চিনি ও বিভিন্ন ধরনের বাদামের মিশ্রণে তৈরি হতো মার্জিপান। এ ছাড়া রকমারি সুস্বাদু খাবার রান্না হয় ব্রিটিশদের হেঁশেলে।
এখন প্রতিটি দেশে ক্রিসমাস কেকের হাজারো রেসিপি পাওয়া যায়। কোনো কোনো দেশের আছে শত শত বছরের ঐতিহ্য—
এগলেস চকলেট কেক
ক্রিসমাসকে স্বাগত জানাতে এটি হতে পারে দারুণ এক মাধ্যম। জিবে জল আনা এই কেক তৈরিও বেশ সহজ—
উপকরণ
ময়দা আধা কাপ, কোকো পাউডার ২ টেবিল চামচ, বেকিং সোডা ১ চা-চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তরল দুধ আধা কাপ, ভিনেগার আধা টেবিল চামচ, চিনি আধা কাপ, তেল ১ টেবিল চামচ, চকলেট এসেন্স ১ চা-চামচ।
প্রণালি
সব শুকনো উপকরণ চেলে মিশিয়ে রেখে দিন। এবার আরেকটি পাত্রে একসঙ্গে তরল দুধ, ভিনেগার ও চিনি স্প্যাচুলা দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। মেশানোর পর বিট করতে হবে ৫-৭ মিনিট। হয়ে গেলে তেল, এসেন্স দিয়ে আবারও ৩০ সেকেন্ডের মতো বিট করে মিশিয়ে নিতে হবে। এই ব্যাটারের সঙ্গে আগে থেকে রেডি করে রাখা শুকনো উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে। সব উপকরণ একবারে না দিয়ে একের পর এক দিয়ে মিশিয়ে নিন।
এবার একটি ৭ ইঞ্চি কেক মোল্ডে বেকিং পেপার বিছিয়ে নিন। কেকের ব্যাটার এই মোল্ডে ঢেলে দু-তিনবার জোরে জোরে ট্যাপ করে বাতাস বের করে নিতে হবে।
ইলেকট্রিক ওভেন ১৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১০ মিনিট প্রিহিট করে নিয়ে কেকের ব্যাটারের পাত্র ৫০-৫৫ মিনিটের মতো বেক করতে হবে। কেক বেক হয়েছে কি না, তা বোঝার জন্য একটি কাঠি কেকের মাঝ বরাবর দিয়ে চেক করে নিতে হবে। কাঠিটা পরিষ্কার বের হলে বুঝতে হবে কেক সম্পূর্ণ বেক হয়েছে। বেক হয়ে গেলে ঠান্ডা করে পছন্দমতো ক্রিম দিয়ে ডেকোরেশন করে নিতে হবে।
অরেঞ্জ কেক
এই শীতে কমলার সুবাশ মাখা কেক ক্রিসমাস উদযাপনে ভিন্ন মাত্রা এনে দিতে পারে।
উপকরণ
ডিম তিনটি, চিনি আধা কাপ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, অরেঞ্জ এসেন্স ১ চা-চামচ, ফ্রেশ অরেঞ্জ জুস ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, অরেঞ্জ ফুড কালার ১ চা-চামচ, ময়দা আধা কাপ, গুঁড়ো দুধ ৩ চা-চামচ, লবণ ১ চিমটি, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ।
প্রণালি
ময়দা, গুঁড়ো দুধ, লবণ ও বেকিং পাউডার ভালো করে মিশিয়ে ঢেকে রাখুন। এবার ডিমের কুসুমগুলো ভালোভাবে বিট করে নিন। তারপর একে একে অরেঞ্জ জুস, অরেঞ্জ এসেন্স ও ফুড কালার দিয়ে একসঙ্গে বিট করে নিন। এবার ডিমের সাদা অংশগুলো হালকা ফোম হওয়া পর্যন্ত বিট করুন। এই পর্যায়ে অল্প অল্প করে চিনি দিয়ে বিট করতে থাকুন। এ সময় অল্প অল্প সয়াবিন তেল দিয়ে বিট করতে থাকুন চিনি গলে যাওয়া পর্যন্ত। এবার শুকনো উপকরণ ও ডিমের কুসুমের যে মিশ্রণ ছিল, সেটা মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি তৈরি হয়ে গেলে মোল্ডে বেকিং পেপার বিছিয়ে একটু তেল ব্রাশ করে নিন। তারপর প্রিহিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রিতে ৩৫ মিনিট বেক করলেই হয়ে যাবে মজাদার অরেঞ্জ কেক।
রেসিপি ও ছবি: পাপিয়া মল্লিক
চায়ের কথা শুনলেই মন কেমন প্রশান্তিতে ছেয়ে যায়, তাই না? তবে চায়ের আছে অনেক ধরন— গ্রিন টি, লাল চা, দুধ চা, লেবু চা, মশলা চা আরও কত কি! এর মধ্যে আবার অনেকে পছন্দ করেন ধোঁয়া ওঠা গরম চা, অনেকে গরম চা ঠান্ডা করে খেতে পছন্দ করেন আবার কেউ ভালোবাসেন বরফ দেওয়া চা। এমন হরেক রকমের পছন্দের কথা বলতে গিয়ে এবার
১৩ ঘণ্টা আগেঅনেকেই আছেন যাদের বারবার ক্ষুধা পায়। সারা দিনই কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছা হয়। প্রাথমিকভাবে এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এমন অবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়ার সহজ সমাধান হতে পারে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। প্রোটিন শরীরকে দীর্ঘ সময় পরিপূর্ণ রাখে, ক্ষুধা কমায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ...
১৪ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেই পরিবর্তনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ নিদর্শন হচ্ছে কিং আবদুল্লাহ ফাইন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্ট (কেএএফডি)—একটি উচ্চাভিলাষী মেগা প্রকল্প, যা ব্যবসা, প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব নগরায়ণ ও আধুনিক জীবনযাত্রার এক অনন্য মিশ্রণ।
২ দিন আগেঘড়ি কেবল সময় দেখার যন্ত্র নয়। বহু আগেই ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঘড়ির ভিন্ন রূপে ফিরে আসা নিয়ে ‘ওয়াচেস অ্যান্ড ওয়ান্ডার্স’ নামের বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে জেনেভায়। যেখানে নামীদামি সব ব্র্যান্ড নিজেদের ঘড়ির পসরা সাজিয়ে বসেছে।
৩ দিন আগে