Ajker Patrika

অফিসে জরুরি মিটিং? যেমন পোশাক পরবেন, সেভাবে সাজবেন

বিভাবরী রায়
এখন অনেক নারীই অফিস ওয়্যার হিসেবে সিঙ্গেল কামিজ বা কুর্তা বেছে নেন। মডেল: মার্শিয়া, পোশাক: অবনী, ছবি: হাসান রাজা
এখন অনেক নারীই অফিস ওয়্যার হিসেবে সিঙ্গেল কামিজ বা কুর্তা বেছে নেন। মডেল: মার্শিয়া, পোশাক: অবনী, ছবি: হাসান রাজা

হুটহাট বৃষ্টি হচ্ছে বলি কিন্তু গ্রীষ্মকাল ফুরিয়ে গিয়ে বর্ষা আসেনি। বরং বৈশাখ শেষ হয়ে কেবল জ্যৈষ্ঠ মাস শুরু হয়েছে। তার মানে হলো গ্রীষ্মের মাত্রই অর্ধেক কেবল গেছে। এই গরমে সেজেগুজে অফিসে যাওয়ার কথা ভাবলেই আরও অস্থির লাগে। কিন্তু গরম পড়ুক বা বৃষ্টি ঝরুক, অফিস তো যেতেই হবে। তার ওপর যদি থাকে জরুরি মিটিং, তাহলে নিয়মিত অফিসের পোশাক বা সাজের চেয়ে আরেকটু পরিপাটি হয়ে অফিস যাওয়ার ব্যাপার থাকে। অফিসকর্মীদের ক্ষেত্রে সাজা গোজ আর পরিপাটি থাকাটাও একটা নিয়মের মধ্যে পড়ে। মোটকথা রুচিসম্মত পোশাক আর অফিসের ড্রেস কোড মেনে চলা, এই দুইয়ের মেলবন্ধন ঘটানোই মূল কাজ।

অফিস মিটিংয়ে কেমন পোশাক

করপোরেট অফিসে সাধারণত ফরমাল পোশাক পরাটাই রীতি। যদিও সময়ের সঙ্গে এই রীতি খানিকটা পাল্টেছে। তবে ক্রিয়েটিভ জব যাঁরা করেন তাঁদের অফিস মিটিংয়ের দিন ট্রেন্ডি টি–শার্ট পরে যাওয়া বাড়ন, এ কথা তো জানেন। সে ক্ষেত্রে ক্যাজুয়াল শার্ট, জিনস, সঙ্গে মানানসই লোফার্স বা স্নিকার্স পরতে পারেন। যেহেতু গ্রীষ্মকাল আর গরম হবেই, তাই সকালে স্নান সেরে ডিওডোরেন্ট ও হালকা বডি-স্প্রে মেখে তারপরই বাছাই করে রাখা পোশাকটি পরুন। তবে কড়া সুগন্ধি একেবারেই বয়কট করতে হবে অফিসে।

হাফ হাতার শার্ট পরলে টাই না পরাই ভালো। মডেল: সোহান, পোশাক: কে ক্র‍্যাফট, মেকআপ: শোভন মেকওভার, ছবি: হাসান রাজা
হাফ হাতার শার্ট পরলে টাই না পরাই ভালো। মডেল: সোহান, পোশাক: কে ক্র‍্যাফট, মেকআপ: শোভন মেকওভার, ছবি: হাসান রাজা

পুরুষেরা মেনে চলতে পারলে ভালো

করপোরেট আদবকায়দা ধরে রাখতে পুরুষদের ক্ষেত্রে ফরমাল শার্টই ভালো। অফিসে ফুলহাতা বা হাফহাতা ফরমাল শার্ট পরা যেতে পারে। ফুলেল নকশা করা বা বেশি রংচঙে শার্ট অফিসে না পরাই ভালো। হাফহাতা শার্টের সঙ্গে টাই যে মানায় না, এই ধারণা অনেকেরই নেই। তাই হাফ হাতা শার্ট পরলে আর টাই পরতে যাবেন না। শার্ট যেন আবার বেশি ঢিলেঢালা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঢোলা বা ব্যাগি শার্ট যেকোনো পার্টি বা অনুষ্ঠানে পরতে পারেন, কিন্তু অফিসে নয়। আবার এমন পোশাক পরবেন না, যা শরীরের সঙ্গে আঁটসাঁট হয়ে থাকে। অফিসের জন্য তৈরি হতে যে রঙের বেল্ট, সেই রঙেরই জুতো পরার চেষ্টা করুন। না হলে দেখতে বেমানান লাগতে পারে।

নারীরা থাকুন ছিমছাম

নারীরা সাধারণত অফিস ওয়্যার হিসেবে সালোয়ার-কামিজ ও শাড়িই বেছে নেন। এখন অনেকে সিঙ্গেল কামিজ বা কুর্তা দিয়ে প্যান্ট পরেন। ফতুয়াও হয়ে উঠেছে স্মার্ট অফিস ওয়্যার। সাটিন বা সিল্কের করপোরেট স্যুটও পরছেন অনেকে। তবে গরমে যেন নিজের স্বস্তি হয় এমন অফিস ওয়্যারই পরুন মিটিংয়ের দিনে। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না পরা যেতেই পারে। তবে তা যেন বাহুল্য বলে মনে না হয়। পোশাক অনুযায়ী গয়না বাছতে হবে। অফিসে বা মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য সাজগোজ যত ছিমছাম হবে ততই ভালো।

অফিস মিটিংয়ের জন্য মেকআপ হবে ছিমছাম। খুব বেশি কড়া সাজ খুব বেমানান এ ক্ষেত্রে। মডেল: রিতু দত্ত, পোশাক: অন ক্লাউড নাইন অ্যান্ড হাফ
অফিস মিটিংয়ের জন্য মেকআপ হবে ছিমছাম। খুব বেশি কড়া সাজ খুব বেমানান এ ক্ষেত্রে। মডেল: রিতু দত্ত, পোশাক: অন ক্লাউড নাইন অ্যান্ড হাফ

মিটিং মেক-আপ

মিটিংয়ের জন্য মেকআপ হবে ছিমছাম। প্রথমে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। হালকা করে ফাউন্ডেশন বুলিয়ে নিন। বিশেষ করে চোখের নিচের অংশে ভালো করে ফাউন্ডেশন মাখুন। এবার কমপ্যাক্ট পাউডার নিয়ে নাকের ওপর, গাল, কপাল ও চোখের নিচে লাগান। তবে খেয়াল রাখবেন, মুখ যেন অতিরিক্ত সাদা না হয়। খুব বেশি উগ্র সাজবেন না। চোখের নিচে হালকা করে কাজল লাগান। চাইলে চোখের ওপর সরু করে আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে মাসকারা লাগাতে পারেন। তবে না লাগালেও চলে। ঠোঁট প্রথমে লিপ লাইনার দিয়ে এঁকে নিন। তারপর পছন্দের লিপস্টিক লাগান। খুব বেশি চড়া নয়, হালকা রঙের লিপস্টিকই অফিসে পরে আসার জন্য ভালো।

যেহেতু অফিসের মিটিং, তাই উঁচু করে চুল বাঁধতে পারেন। মুখের সামনে যেন চুল না আসে সে দিকে খেয়াল রাখুন। মাঝে সিঁথি করে দু’পাশে চুল ছেড়ে দিন। বাড়িতে কার্লার থাকলে এবং হাতে সময় থাকলে, দু’দিকে নিচের অংশটুকু কোঁকড়া করে নিন। এই ধরনের চুলের কায়দা যেকোনো জায়গাতেই মানানসই। তবে পোশাক অনুযায়ী কেশসজ্জা করতে পারলে ভালো হয়।

সূত্র: অ্যান ইন্ডিগো ডে, ফর ক্রিয়েটিভ গার্লস ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত