মাহমুদ হাসান ফাহিম
পবিত্র কোরআন সর্বশেষ নাজিল হওয়া আসমানি গ্রন্থ। বিশ্বমানবের হিদায়েতের জন্য পৃথিবীতে এটি পাঠানো হয়েছে। ইসলামের অনুপম নিদর্শন এবং চিরসত্যের ঐশী বাণী এই কোরআন। এর তিলাওয়াতে মনে প্রশান্তি আসে। অন্তরে রবের প্রকৃত ভালোবাসা এবং অফুরান তৃপ্তির অনুভূতি জাগায়। ইমান সতেজ ও সজীব হয়।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের উপকারিতার কথা কোরআনেই বর্ণিত হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘মুমিন তো তারাই, (যাদের সামনে) আল্লাহকে স্মরণ করা হলে তাদের অন্তর ভয়ে প্রকম্পিত হয়। যখন তাদের সামনে তাঁর আয়াতগুলো তিলাওয়াত করা হয়, তখন তাদের ইমান বাড়ে এবং তারা তাদের প্রতিপালকের ওপরই ভরসা করে।’ (সুরা আনফাল: ২) এই আয়াতে ‘তাঁর আয়াত’ দ্বারা পবিত্র কোরআনের আয়াত উদ্দেশ্য। (তাফসিরে মুয়াসসার)
হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.)-এর সূত্রে রাসুল (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি (মুমিন) কোরআন তিলাওয়াত করে, তার উদাহরণ হচ্ছে সেই কমলালেবুর মতো, যা সুস্বাদু এবং সুগন্ধযুক্ত। আর যে ব্যক্তি (মুমিন) কোরআন তিলাওয়াত করে না, তার উদাহরণ খেজুরের মতো, যাতে সুগন্ধি নেই; কিন্তু খেতে সুস্বাদু। আর যে পাপিষ্ঠ ব্যক্তি কোরআনের তিলাওয়াত করে, তার উদাহরণ হচ্ছে রায়হান জাতীয় গুল্মের মতো, যার সুগন্ধ আছে, কিন্তু খেতে বিস্বাদ ও তিক্ত। আর যে পাপিষ্ঠ ব্যক্তি কোরআন একেবারেই তিলাওয়াত করে না, তার উদাহরণ হচ্ছে মাকাল ফলের মতো, যা খেতেও বিস্বাদ (তিক্ত) এবং এর কোনো সুঘ্রাণও নেই।’ (বুখারি: ৪৬৫৪ ও ৫০২০)
আয়াত ও হাদিসের ভাষ্য থেকে বোঝা যায়, কোরআনের তিলাওয়াত আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং আত্মিক ও মানসিক শান্তি এনে দেয়। আল্লাহ তাআলা সবাইকে নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করার তাওফিক দিন।
মাহমুদ হাসান ফাহিম, ইসলামবিষয়ক গবেষক
পবিত্র কোরআন সর্বশেষ নাজিল হওয়া আসমানি গ্রন্থ। বিশ্বমানবের হিদায়েতের জন্য পৃথিবীতে এটি পাঠানো হয়েছে। ইসলামের অনুপম নিদর্শন এবং চিরসত্যের ঐশী বাণী এই কোরআন। এর তিলাওয়াতে মনে প্রশান্তি আসে। অন্তরে রবের প্রকৃত ভালোবাসা এবং অফুরান তৃপ্তির অনুভূতি জাগায়। ইমান সতেজ ও সজীব হয়।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের উপকারিতার কথা কোরআনেই বর্ণিত হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘মুমিন তো তারাই, (যাদের সামনে) আল্লাহকে স্মরণ করা হলে তাদের অন্তর ভয়ে প্রকম্পিত হয়। যখন তাদের সামনে তাঁর আয়াতগুলো তিলাওয়াত করা হয়, তখন তাদের ইমান বাড়ে এবং তারা তাদের প্রতিপালকের ওপরই ভরসা করে।’ (সুরা আনফাল: ২) এই আয়াতে ‘তাঁর আয়াত’ দ্বারা পবিত্র কোরআনের আয়াত উদ্দেশ্য। (তাফসিরে মুয়াসসার)
হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.)-এর সূত্রে রাসুল (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি (মুমিন) কোরআন তিলাওয়াত করে, তার উদাহরণ হচ্ছে সেই কমলালেবুর মতো, যা সুস্বাদু এবং সুগন্ধযুক্ত। আর যে ব্যক্তি (মুমিন) কোরআন তিলাওয়াত করে না, তার উদাহরণ খেজুরের মতো, যাতে সুগন্ধি নেই; কিন্তু খেতে সুস্বাদু। আর যে পাপিষ্ঠ ব্যক্তি কোরআনের তিলাওয়াত করে, তার উদাহরণ হচ্ছে রায়হান জাতীয় গুল্মের মতো, যার সুগন্ধ আছে, কিন্তু খেতে বিস্বাদ ও তিক্ত। আর যে পাপিষ্ঠ ব্যক্তি কোরআন একেবারেই তিলাওয়াত করে না, তার উদাহরণ হচ্ছে মাকাল ফলের মতো, যা খেতেও বিস্বাদ (তিক্ত) এবং এর কোনো সুঘ্রাণও নেই।’ (বুখারি: ৪৬৫৪ ও ৫০২০)
আয়াত ও হাদিসের ভাষ্য থেকে বোঝা যায়, কোরআনের তিলাওয়াত আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং আত্মিক ও মানসিক শান্তি এনে দেয়। আল্লাহ তাআলা সবাইকে নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করার তাওফিক দিন।
মাহমুদ হাসান ফাহিম, ইসলামবিষয়ক গবেষক
লজ্জা বা হায়া ইসলামের একটি মৌলিক গুণ, যা মুমিনের চরিত্রকে সুশোভিত করে। এর কারণে মানুষের মধ্য থেকে কুটিলতা ও পাপ দূর হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা নিজেও এ গুণে গুণান্বিত, তাই তিনি লজ্জাশীল বান্দাকে পছন্দ করেন। এটি কেবল বাহ্যিক শালীনতা নয়, বরং অন্তরের পবিত্রতা ও আল্লাহভীতির প্রকাশ।
১১ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো সালাম। সালামের দ্বারা দূর হয় অহংকার, গড়ে উঠে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। সালাম প্রসারে সুগম হয় জান্নাতের পথ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে মানুষেরা! তোমরা বেশি বেশি সালামের প্রসার ঘটাও, মানুষকে খাবার খাওয়াও, আর যখন সকল মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন নামাজ...
১৩ ঘণ্টা আগেইসলামে বিশ্বাস ও তাওহিদের ভিত্তিতে মানবজীবন পরিচালিত হয়। সেই বিশ্বাসে জাদু বা জাদুটোনার কোনো স্থান নেই—বরং এটি একটি ঘৃণিত, হারাম এবং গুনাহে কবিরা, অর্থাৎ বড় পাপ হিসেবে চিহ্নিত। জাদুবিদ্যা কেবল একজন মানুষকে শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং তার ইমান ও আত্মিক ভারসাম্যকেও ভেঙে দিতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগেশয়তান মানুষের চিরশত্রু। আল্লাহ তাআলা মানুষকে শয়তানের পথে চলতে নিষেধ করেছেন। তবে মানুষের দ্বারা গুনাহ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। মূল বিষয় হলো গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর শপথ, আমি প্রতিদিন আল্লা
১ দিন আগে