ইজাজুল হক, ঢাকা

মারইয়াম (আ.) পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ নারীদের একজন। পবিত্র কোরআনে তাঁর অনন্য মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন এবং তাঁকে পৃথিবীর একমাত্র ব্যতিক্রমী মায়ের মর্যাদা দান করেছেন। তাঁর সন্তান ইসা (আ.)–কে বানিয়েছেন আল্লাহর শক্তিমত্তার নিদর্শন এবং তাঁর প্রেরিত অন্যতম প্রভাবশালী নবী ও রাসুল।
পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সুরা ‘আলে ইমরান’। আলে ইমরান শব্দ দ্বয়ের অর্থ ইমরানের পরিবার। এটি হজরত ইসা (আ.)–এর পরিবারের নাম। আরবি ভাষায় ‘আলে’ শব্দটি অভিজাত ও সম্মানিত পরিবারকেই নির্দেশ করে। এ সুরার মাধ্যমে তাঁর পরিবারকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়েছে। এ ছাড়া মারইয়াম (আ.)–এর নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা অবতীর্ণ হয়েছে; সুরাটিতে তাঁর সংগ্রামী জীবন কাহিনির বিবরণ এসেছে। অন্য সুরায়ও তাঁর কথা আলোচিত হয়েছে। কোনো নারীর জন্য এমন বিশেষ সম্মান পবিত্র কোরআনে বিরল।
হজরত ইসা (আ.), মা মারইয়াম (আ.), পরিবার, আকিদা–বিশ্বাস, দাওয়াতি কাজ, সমর্থকগোষ্ঠী ও সম্প্রদায় সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনকে যেহেতু কিয়ামত পর্যন্ত অক্ষুণ্ন ও অবিকৃত রাখার অঙ্গীকার করেছেন, তাই নিঃসন্দেহে ইসা (আ.) এবং তাঁর মা মারইয়াম (আ.)–এর জীবনেতিহাসও কিয়ামত পর্যন্ত সুরক্ষিত–অবিকৃত থাকবে।
হজরত ইসা (আ.) যেহেতু বাবা ছাড়াই আল্লাহ তাআলার বিশেষ হুকুমে মায়ের গর্ভে এসেছেন, তাই পবিত্র কোরআনের অসংখ্য স্থানে তাঁর নামের সঙ্গে মারইয়াম (আ.)–এর নাম উচ্চারিত হয়েছে। তবে ইসা (আ.)–এর প্রসঙ্গ ছাড়াও সুরা আলে ইমরানের বিভিন্ন স্থানে মারইয়াম নামটি ছয়বার উচ্চারিত হয়েছে।
মারইয়াম (আ.)–এর জন্ম, হজরত জাকারিয়া (আ.) কর্তৃক তাঁর দায়িত্ব গ্রহণ, তাঁকে ফেরেশতাদের সম্বোধন এবং ইসা (আ.)–এর ব্যাপারে সুসংবাদ দানের কথা বিবৃত হয়েছে। সুরা নিসাতেও স্বতন্ত্রভাবে দুইবার তাঁর নাম এসেছে। এর পরের আয়াতগুলোতে ইসা (আ.)–এর প্রতি অবিশ্বাস এবং মারইয়াম (আ.)–কে অপবাদ দেওয়ার কারণে ইহুদিদের তিরস্কার করা হয়েছে এবং ইসা (আ.) যে আল্লাহর বিশেষ আদেশে মারইয়াম (আ.)–এর গর্ভে এসেছেন, তা সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে।
সুরা মারইয়ামে মারইয়াম (আ.)–এর সংগ্রামী জীবনের গল্প বিস্তারিত বলা হয়েছে। এ সুরাতেও স্বতন্ত্রভাবে দুইবার তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে ইসা (আ.)–কে গর্ভে ধারণ, জন্ম, নিজ সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে যাওয়া, অপবাদের আঙুল তোলা এবং শিশু ইসার সাক্ষ্যসহ সবকিছুর আলোচনা এসেছে। সুরা মারইয়ামের ১৬ থেকে ৩৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন—
এ গ্রন্থে মারইয়ামের কাহিনি বর্ণনা করো, যখন সে তার পরিবার থেকে আলাদা হয়ে পূর্ব দিকে এক জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল। এরপর তাদের থেকে সে নিজেকে আড়াল করল। এরপর আমি তার কাছে আমার রুহ তথা জিবরাইলকে পাঠালাম। সে তার সামনে পূর্ণ মানুষের রূপে আত্মপ্রকাশ করল। মারইয়াম বলল, ‘আমি তোমার কাছ থেকে পরম করুণাময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করছি; তুমি যদি সংযমশীল হও (তাহলে আমার কাছ থেকে সরে যাও)।’ সে বলল, ‘আমি তো তোমার প্রতিপালকের দূত মাত্র। তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করার জন্য (আমাকে পাঠানো হয়েছে)।’ মারইয়াম বলল, ‘কীভাবে আমার পুত্র হবে, অথচ আমাকে কোনো পুরুষ স্পর্শ করেনি; এবং আমি ব্যভিচারীও নই?’ সে বলল, ‘এভাবেই হবে। তোমার প্রতিপালক বলেছেন—এটা আমার জন্য সহজসাধ্য এবং তাকে আমি এ জন্য সৃষ্টি করব, যেন সে মানুষের জন্য এক নিদর্শন ও আমার পক্ষ থেকে এক অনুগ্রহ হয়। এটা তো এক স্থিরীকৃত ব্যাপার।’
এরপর সে গর্ভে সন্তান ধারণ করল এবং তাকে নিয়ে এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেল। প্রসব বেদনা তাকে এক খেজুর গাছের তলায় নিয়ে এল। সে বলল, ‘হায়! এর আগেই যদি আমি মরে যেতাম এবং মানুষের স্মৃতি থেকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হতাম।’ তার নিচের দিক থেকে (জিবরাইল) তাকে ডেকে বলল, ‘তুমি দুঃখ করো না, তোমার নিচের দিকে তোমার প্রতিপালক একটি নদী সৃষ্টি করেছেন। খেজুর গাছের কাণ্ড ধরে তোমার দিকে নাড়া দাও, ওটা তোমার সামনে সদ্য পাকা তাজা খেজুর ফেলতে থাকবে। সুতরাং খাও, পান করো এবং চোখ জুড়াও। মানুষের মধ্যে কাউকেও যদি তুমি দেখো, তাহলে বলো—আমি দয়াময়ের উদ্দেশ্যে চুপ থাকার মানত করেছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোনো মানুষের সঙ্গে কথা বলব না।’
এরপর সে সন্তান নিয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে গেল। তারা বলল, ‘হে মারইয়াম, তুমি তো এক অদ্ভুত কাণ্ড করে বসেছ! হে হারুনের বোন, তোমার বাবা অসৎ ব্যক্তি ছিলেন না এবং তোমার মাও ছিলেন না ব্যভিচারিণী।’
তখন মারইয়াম তার ছেলের দিকে ইশারা করল। তারা বলল, ‘আমরা কোলের বাচ্চার সঙ্গে কীভাবে কথা বলব?’ শিশুটি (অলৌকিকভাবে) বলে উঠল, ‘আমি আল্লাহর বান্দা, তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন, আর আমাকে নবী করেছেন। আমি যেখানেই থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন আর আমাকে নামাজ ও জাকাতের আদেশ দিয়েছেন—যত দিন আমি জীবিত থাকি। আর (তিনি আমাকে করেছেন) আমার মায়ের প্রতি সদয়, তিনি আমাকে দাম্ভিক–হতভাগ্য করেননি। আমার ওপর আছে শান্তি যেদিন আমি জন্মেছি, যেদিন আমার মৃত্যু হবে আর আমি যেদিন জীবিত হয়ে উত্থিত হব।’ এই হচ্ছে মারইয়ামের পুত্র ইসা, (এটাই) সত্য কথা; যে বিষয়ে লোকেরা সন্দেহ পোষণ করে।’ (সুরা মারইয়াম: ১৬-৩৪)
সুরা তাহরিমে একবার মারইয়াম (আ.)–এর নাম এসেছে; সেখানে তাঁকে বাবার দিকে সম্পর্কিত করা হয়েছে। তাঁর বিশ্বাস, আনুগত্য ও আত্মশুদ্ধির কারণে তাঁর প্রশংসাও করা হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘আর (আল্লাহ) দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন ইমরান–কন্যা মারইয়ামের, যে তার সম্ভ্রম রক্ষা করেছিল। ফলে আমি তার মধ্যে আমার রুহ ফুঁকে দিয়েছিলাম। সে তার প্রতিপালকের বাণী এবং তাঁর কিতাবগুলোর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল। সে ছিল অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা তাহরিম, আয়াত: ১২)
সুরা আলে ইমরানে মারইয়াম (আ.)–এর গল্প শুরু থেকেই বলা হয়েছে—তাঁর মা তাঁকে গর্ভে ধারণ করেন এবং গর্ভের সন্তানকে আল্লাহর পথে উৎসর্গ করে দেন। আল্লাহ তা কবুল করেন এবং গর্ভের সন্তানকে হেফাজত করেন। বাইতুল মোকাদ্দাসের দায়িত্বশীলেরা শিশু মারইয়ামের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু করে দেন। ফলে লটারির আয়োজন করতে হলো এবং আল্লাহর নবী জাকারিয়া (আ.) তাঁর দায়িত্ব পেলেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে তিনি একজন নেককার চরিত্রবান নারী হিসেবে লালিতপালিত হতে লাগলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর জন্য নিয়মিত আসমানি রিজিক পাঠাতেন। জাকারিয়া (আ.) অবাক হয়ে এগুলোর উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন। তিনি জবাবে বলতেন, ‘এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে হাদিয়া।’ এমন অনুগ্রহ দেখে জাকারিয়া (আ.)–ও আল্লাহর কাছে একটি সন্তান চাইলেন।
সেই কাহিনি বর্ণনা করে সুরা আলে ইমরানের ৩৫ থেকে ৩৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন—
(স্মরণ করো) যখন ইমরানের স্ত্রী বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমার গর্ভে যা আছে, তা আমি একান্ত আপনার জন্য স্বাধীন করার মানত করলাম। সুতরাং আমার পক্ষ থেকে তা গ্রহণ করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।’ এরপর যখন সে সন্তান প্রসব করল, তখন সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি কন্যা প্রসব করেছি।’ সে যা প্রসব করেছে সে ব্যাপারে আল্লাহ সম্যক অবগত আর (তার কাঙ্ক্ষিত) পুত্র তো (এই) কন্যার মতো (মহান) নয়। ‘আমি তার নাম মারইয়াম রেখেছি এবং অভিশপ্ত শয়তান থেকে তার ও তার বংশধরদের জন্য আপনার পানাহ চাচ্ছি।’
এরপর তার প্রতিপালক তাকে উত্তমরূপেই গ্রহণ করলেন এবং উত্তমরূপেই তার প্রতিপালন করলেন। আর তিনি তাকে জাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে রাখলেন। যখনই জাকারিয়া মেহরাবে তার সঙ্গে দেখা করতে যেত, তখনই তার কাছে খাদ্য–সামগ্রী দেখতে পেত। সে বলত, ‘হে মারইয়াম, এসব তুমি কোথা থেকে পেলে?’ সে বলত, ‘তা আল্লাহর কাছ থেকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অফুরান জীবিকা দান করে থাকেন।’ সেখানেই জাকারিয়া তার প্রতিপালকের কাছে প্রার্থনা করে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে আপনি আপনার কাছ থেকে সৎ বংশধর দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী’। (সুরা আলে ইমরান: ৩৫-৩৮)
এই সুরার পরের আয়াতগুলোতে ফেরেশতা কর্তৃক মারইয়াম (আ.)–কে সুসংবাদ দেওয়ার গল্পটি এসেছে। ফেরেশতা আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিলেন যে, পৃথিবীর সব নারীর মধ্যে তাঁকে সেরা হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। আল্লাহকে ভয় করা, পবিত্রতার সঙ্গে জীবন পরিচালনা করা এবং ইবাদতে মগ্ন হওয়া তাঁর জন্য আবশ্যক। এবং এও সুসংবাদ দিলেন, আল্লাহ তাঁকে একটি পুত্রসন্তান দান করবেন, তার নাম হবে ইসা। তিনি আল্লাহর নবী ও রাসুল হবেন। মারইয়াম এসব কথায় অবাক হলে ফেরেশতা বললেন, এসব আল্লাহর আদেশ এবং আল্লাহ যাকে যেভাবে ইচ্ছা সৃষ্টি করেন।
সুরা আলে ইমরানের ৪৪ থেকে ৪৮ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন—
(স্মরণ করো) যখন ফেরেশতারা বলল, ‘হে মারইয়াম, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাকে তাঁর একটি নিদর্শনের সুসংবাদ দিচ্ছেন। তার নাম মারইয়ামের পুত্র ইসা মাসিহ, সে দুনিয়া ও আখেরাতে সম্মানিত ও সান্নিধ্যপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। সে লোকেদের সঙ্গে দোলনায় থাকা অবস্থায় এবং বয়ঃপ্রাপ্ত অবস্থায় কথা বলবে এবং নেক বান্দাদের অন্তর্গত হবে।’ সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক, কীভাবে আমার সন্তান হবে? অথচ কোনো পুরুষ আমাকে স্পর্শ করেনি।’ তিনি বললেন, ‘এভাবেই আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। তিনি যখন কিছু (সৃষ্টি করবেন বলে) স্থির করেন, তখন বলেন—হও, আর তখনই তা হয়ে যায়। তিনি তাকে শিক্ষা দেবেন লিখন, প্রজ্ঞা, তওরাত ও ইঞ্জিল।’ (সুরা আলে ইমরান: ৪৪-৪৮)
এভাবেই পবিত্র কোরআনে হজরত মারইয়াম (আ.)–এর পবিত্রতা ও মর্যাদার কথা আলোচিত হয়েছে। হাদিসের ভাষ্যেও তাঁকে ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম সেরা নারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর মর্যাদা ও পবিত্রতায় বিশ্বাসী হওয়া এবং তাঁর পুত্র ইসা (আ.)–কে আল্লাহর নবী ও রাসুল হিসেবে মানা মুসলমানদের আকিদা–বিশ্বাসের অংশ।

মারইয়াম (আ.) পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ নারীদের একজন। পবিত্র কোরআনে তাঁর অনন্য মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন এবং তাঁকে পৃথিবীর একমাত্র ব্যতিক্রমী মায়ের মর্যাদা দান করেছেন। তাঁর সন্তান ইসা (আ.)–কে বানিয়েছেন আল্লাহর শক্তিমত্তার নিদর্শন এবং তাঁর প্রেরিত অন্যতম প্রভাবশালী নবী ও রাসুল।
পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সুরা ‘আলে ইমরান’। আলে ইমরান শব্দ দ্বয়ের অর্থ ইমরানের পরিবার। এটি হজরত ইসা (আ.)–এর পরিবারের নাম। আরবি ভাষায় ‘আলে’ শব্দটি অভিজাত ও সম্মানিত পরিবারকেই নির্দেশ করে। এ সুরার মাধ্যমে তাঁর পরিবারকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়েছে। এ ছাড়া মারইয়াম (আ.)–এর নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা অবতীর্ণ হয়েছে; সুরাটিতে তাঁর সংগ্রামী জীবন কাহিনির বিবরণ এসেছে। অন্য সুরায়ও তাঁর কথা আলোচিত হয়েছে। কোনো নারীর জন্য এমন বিশেষ সম্মান পবিত্র কোরআনে বিরল।
হজরত ইসা (আ.), মা মারইয়াম (আ.), পরিবার, আকিদা–বিশ্বাস, দাওয়াতি কাজ, সমর্থকগোষ্ঠী ও সম্প্রদায় সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনকে যেহেতু কিয়ামত পর্যন্ত অক্ষুণ্ন ও অবিকৃত রাখার অঙ্গীকার করেছেন, তাই নিঃসন্দেহে ইসা (আ.) এবং তাঁর মা মারইয়াম (আ.)–এর জীবনেতিহাসও কিয়ামত পর্যন্ত সুরক্ষিত–অবিকৃত থাকবে।
হজরত ইসা (আ.) যেহেতু বাবা ছাড়াই আল্লাহ তাআলার বিশেষ হুকুমে মায়ের গর্ভে এসেছেন, তাই পবিত্র কোরআনের অসংখ্য স্থানে তাঁর নামের সঙ্গে মারইয়াম (আ.)–এর নাম উচ্চারিত হয়েছে। তবে ইসা (আ.)–এর প্রসঙ্গ ছাড়াও সুরা আলে ইমরানের বিভিন্ন স্থানে মারইয়াম নামটি ছয়বার উচ্চারিত হয়েছে।
মারইয়াম (আ.)–এর জন্ম, হজরত জাকারিয়া (আ.) কর্তৃক তাঁর দায়িত্ব গ্রহণ, তাঁকে ফেরেশতাদের সম্বোধন এবং ইসা (আ.)–এর ব্যাপারে সুসংবাদ দানের কথা বিবৃত হয়েছে। সুরা নিসাতেও স্বতন্ত্রভাবে দুইবার তাঁর নাম এসেছে। এর পরের আয়াতগুলোতে ইসা (আ.)–এর প্রতি অবিশ্বাস এবং মারইয়াম (আ.)–কে অপবাদ দেওয়ার কারণে ইহুদিদের তিরস্কার করা হয়েছে এবং ইসা (আ.) যে আল্লাহর বিশেষ আদেশে মারইয়াম (আ.)–এর গর্ভে এসেছেন, তা সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে।
সুরা মারইয়ামে মারইয়াম (আ.)–এর সংগ্রামী জীবনের গল্প বিস্তারিত বলা হয়েছে। এ সুরাতেও স্বতন্ত্রভাবে দুইবার তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে ইসা (আ.)–কে গর্ভে ধারণ, জন্ম, নিজ সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে যাওয়া, অপবাদের আঙুল তোলা এবং শিশু ইসার সাক্ষ্যসহ সবকিছুর আলোচনা এসেছে। সুরা মারইয়ামের ১৬ থেকে ৩৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন—
এ গ্রন্থে মারইয়ামের কাহিনি বর্ণনা করো, যখন সে তার পরিবার থেকে আলাদা হয়ে পূর্ব দিকে এক জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল। এরপর তাদের থেকে সে নিজেকে আড়াল করল। এরপর আমি তার কাছে আমার রুহ তথা জিবরাইলকে পাঠালাম। সে তার সামনে পূর্ণ মানুষের রূপে আত্মপ্রকাশ করল। মারইয়াম বলল, ‘আমি তোমার কাছ থেকে পরম করুণাময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করছি; তুমি যদি সংযমশীল হও (তাহলে আমার কাছ থেকে সরে যাও)।’ সে বলল, ‘আমি তো তোমার প্রতিপালকের দূত মাত্র। তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করার জন্য (আমাকে পাঠানো হয়েছে)।’ মারইয়াম বলল, ‘কীভাবে আমার পুত্র হবে, অথচ আমাকে কোনো পুরুষ স্পর্শ করেনি; এবং আমি ব্যভিচারীও নই?’ সে বলল, ‘এভাবেই হবে। তোমার প্রতিপালক বলেছেন—এটা আমার জন্য সহজসাধ্য এবং তাকে আমি এ জন্য সৃষ্টি করব, যেন সে মানুষের জন্য এক নিদর্শন ও আমার পক্ষ থেকে এক অনুগ্রহ হয়। এটা তো এক স্থিরীকৃত ব্যাপার।’
এরপর সে গর্ভে সন্তান ধারণ করল এবং তাকে নিয়ে এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেল। প্রসব বেদনা তাকে এক খেজুর গাছের তলায় নিয়ে এল। সে বলল, ‘হায়! এর আগেই যদি আমি মরে যেতাম এবং মানুষের স্মৃতি থেকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হতাম।’ তার নিচের দিক থেকে (জিবরাইল) তাকে ডেকে বলল, ‘তুমি দুঃখ করো না, তোমার নিচের দিকে তোমার প্রতিপালক একটি নদী সৃষ্টি করেছেন। খেজুর গাছের কাণ্ড ধরে তোমার দিকে নাড়া দাও, ওটা তোমার সামনে সদ্য পাকা তাজা খেজুর ফেলতে থাকবে। সুতরাং খাও, পান করো এবং চোখ জুড়াও। মানুষের মধ্যে কাউকেও যদি তুমি দেখো, তাহলে বলো—আমি দয়াময়ের উদ্দেশ্যে চুপ থাকার মানত করেছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোনো মানুষের সঙ্গে কথা বলব না।’
এরপর সে সন্তান নিয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে গেল। তারা বলল, ‘হে মারইয়াম, তুমি তো এক অদ্ভুত কাণ্ড করে বসেছ! হে হারুনের বোন, তোমার বাবা অসৎ ব্যক্তি ছিলেন না এবং তোমার মাও ছিলেন না ব্যভিচারিণী।’
তখন মারইয়াম তার ছেলের দিকে ইশারা করল। তারা বলল, ‘আমরা কোলের বাচ্চার সঙ্গে কীভাবে কথা বলব?’ শিশুটি (অলৌকিকভাবে) বলে উঠল, ‘আমি আল্লাহর বান্দা, তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন, আর আমাকে নবী করেছেন। আমি যেখানেই থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন আর আমাকে নামাজ ও জাকাতের আদেশ দিয়েছেন—যত দিন আমি জীবিত থাকি। আর (তিনি আমাকে করেছেন) আমার মায়ের প্রতি সদয়, তিনি আমাকে দাম্ভিক–হতভাগ্য করেননি। আমার ওপর আছে শান্তি যেদিন আমি জন্মেছি, যেদিন আমার মৃত্যু হবে আর আমি যেদিন জীবিত হয়ে উত্থিত হব।’ এই হচ্ছে মারইয়ামের পুত্র ইসা, (এটাই) সত্য কথা; যে বিষয়ে লোকেরা সন্দেহ পোষণ করে।’ (সুরা মারইয়াম: ১৬-৩৪)
সুরা তাহরিমে একবার মারইয়াম (আ.)–এর নাম এসেছে; সেখানে তাঁকে বাবার দিকে সম্পর্কিত করা হয়েছে। তাঁর বিশ্বাস, আনুগত্য ও আত্মশুদ্ধির কারণে তাঁর প্রশংসাও করা হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘আর (আল্লাহ) দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন ইমরান–কন্যা মারইয়ামের, যে তার সম্ভ্রম রক্ষা করেছিল। ফলে আমি তার মধ্যে আমার রুহ ফুঁকে দিয়েছিলাম। সে তার প্রতিপালকের বাণী এবং তাঁর কিতাবগুলোর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল। সে ছিল অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা তাহরিম, আয়াত: ১২)
সুরা আলে ইমরানে মারইয়াম (আ.)–এর গল্প শুরু থেকেই বলা হয়েছে—তাঁর মা তাঁকে গর্ভে ধারণ করেন এবং গর্ভের সন্তানকে আল্লাহর পথে উৎসর্গ করে দেন। আল্লাহ তা কবুল করেন এবং গর্ভের সন্তানকে হেফাজত করেন। বাইতুল মোকাদ্দাসের দায়িত্বশীলেরা শিশু মারইয়ামের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু করে দেন। ফলে লটারির আয়োজন করতে হলো এবং আল্লাহর নবী জাকারিয়া (আ.) তাঁর দায়িত্ব পেলেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে তিনি একজন নেককার চরিত্রবান নারী হিসেবে লালিতপালিত হতে লাগলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর জন্য নিয়মিত আসমানি রিজিক পাঠাতেন। জাকারিয়া (আ.) অবাক হয়ে এগুলোর উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন। তিনি জবাবে বলতেন, ‘এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে হাদিয়া।’ এমন অনুগ্রহ দেখে জাকারিয়া (আ.)–ও আল্লাহর কাছে একটি সন্তান চাইলেন।
সেই কাহিনি বর্ণনা করে সুরা আলে ইমরানের ৩৫ থেকে ৩৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন—
(স্মরণ করো) যখন ইমরানের স্ত্রী বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমার গর্ভে যা আছে, তা আমি একান্ত আপনার জন্য স্বাধীন করার মানত করলাম। সুতরাং আমার পক্ষ থেকে তা গ্রহণ করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।’ এরপর যখন সে সন্তান প্রসব করল, তখন সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি কন্যা প্রসব করেছি।’ সে যা প্রসব করেছে সে ব্যাপারে আল্লাহ সম্যক অবগত আর (তার কাঙ্ক্ষিত) পুত্র তো (এই) কন্যার মতো (মহান) নয়। ‘আমি তার নাম মারইয়াম রেখেছি এবং অভিশপ্ত শয়তান থেকে তার ও তার বংশধরদের জন্য আপনার পানাহ চাচ্ছি।’
এরপর তার প্রতিপালক তাকে উত্তমরূপেই গ্রহণ করলেন এবং উত্তমরূপেই তার প্রতিপালন করলেন। আর তিনি তাকে জাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে রাখলেন। যখনই জাকারিয়া মেহরাবে তার সঙ্গে দেখা করতে যেত, তখনই তার কাছে খাদ্য–সামগ্রী দেখতে পেত। সে বলত, ‘হে মারইয়াম, এসব তুমি কোথা থেকে পেলে?’ সে বলত, ‘তা আল্লাহর কাছ থেকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অফুরান জীবিকা দান করে থাকেন।’ সেখানেই জাকারিয়া তার প্রতিপালকের কাছে প্রার্থনা করে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে আপনি আপনার কাছ থেকে সৎ বংশধর দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী’। (সুরা আলে ইমরান: ৩৫-৩৮)
এই সুরার পরের আয়াতগুলোতে ফেরেশতা কর্তৃক মারইয়াম (আ.)–কে সুসংবাদ দেওয়ার গল্পটি এসেছে। ফেরেশতা আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিলেন যে, পৃথিবীর সব নারীর মধ্যে তাঁকে সেরা হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। আল্লাহকে ভয় করা, পবিত্রতার সঙ্গে জীবন পরিচালনা করা এবং ইবাদতে মগ্ন হওয়া তাঁর জন্য আবশ্যক। এবং এও সুসংবাদ দিলেন, আল্লাহ তাঁকে একটি পুত্রসন্তান দান করবেন, তার নাম হবে ইসা। তিনি আল্লাহর নবী ও রাসুল হবেন। মারইয়াম এসব কথায় অবাক হলে ফেরেশতা বললেন, এসব আল্লাহর আদেশ এবং আল্লাহ যাকে যেভাবে ইচ্ছা সৃষ্টি করেন।
সুরা আলে ইমরানের ৪৪ থেকে ৪৮ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন—
(স্মরণ করো) যখন ফেরেশতারা বলল, ‘হে মারইয়াম, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাকে তাঁর একটি নিদর্শনের সুসংবাদ দিচ্ছেন। তার নাম মারইয়ামের পুত্র ইসা মাসিহ, সে দুনিয়া ও আখেরাতে সম্মানিত ও সান্নিধ্যপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। সে লোকেদের সঙ্গে দোলনায় থাকা অবস্থায় এবং বয়ঃপ্রাপ্ত অবস্থায় কথা বলবে এবং নেক বান্দাদের অন্তর্গত হবে।’ সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক, কীভাবে আমার সন্তান হবে? অথচ কোনো পুরুষ আমাকে স্পর্শ করেনি।’ তিনি বললেন, ‘এভাবেই আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। তিনি যখন কিছু (সৃষ্টি করবেন বলে) স্থির করেন, তখন বলেন—হও, আর তখনই তা হয়ে যায়। তিনি তাকে শিক্ষা দেবেন লিখন, প্রজ্ঞা, তওরাত ও ইঞ্জিল।’ (সুরা আলে ইমরান: ৪৪-৪৮)
এভাবেই পবিত্র কোরআনে হজরত মারইয়াম (আ.)–এর পবিত্রতা ও মর্যাদার কথা আলোচিত হয়েছে। হাদিসের ভাষ্যেও তাঁকে ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম সেরা নারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর মর্যাদা ও পবিত্রতায় বিশ্বাসী হওয়া এবং তাঁর পুত্র ইসা (আ.)–কে আল্লাহর নবী ও রাসুল হিসেবে মানা মুসলমানদের আকিদা–বিশ্বাসের অংশ।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৬ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মারইয়াম (আ.) পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ নারীদের একজন। পবিত্র কোরআনে তাঁর অনন্য মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন এবং তাঁকে পৃথিবীর একমাত্র ব্যতিক্রমী মায়ের মর্যাদা দান করেছেন। তাঁর সন্তান ইসা (আ.)–কে বানিয়েছেন আল্লাহর শক্তিমত্তার নিদর্শন এবং তাঁর প্রেরিত অন্যতম প্র
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৬ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

মারইয়াম (আ.) পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ নারীদের একজন। পবিত্র কোরআনে তাঁর অনন্য মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন এবং তাঁকে পৃথিবীর একমাত্র ব্যতিক্রমী মায়ের মর্যাদা দান করেছেন। তাঁর সন্তান ইসা (আ.)–কে বানিয়েছেন আল্লাহর শক্তিমত্তার নিদর্শন এবং তাঁর প্রেরিত অন্যতম প্র
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

মারইয়াম (আ.) পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ নারীদের একজন। পবিত্র কোরআনে তাঁর অনন্য মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন এবং তাঁকে পৃথিবীর একমাত্র ব্যতিক্রমী মায়ের মর্যাদা দান করেছেন। তাঁর সন্তান ইসা (আ.)–কে বানিয়েছেন আল্লাহর শক্তিমত্তার নিদর্শন এবং তাঁর প্রেরিত অন্যতম প্র
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৭ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৭ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মারইয়াম (আ.) পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ নারীদের একজন। পবিত্র কোরআনে তাঁর অনন্য মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন এবং তাঁকে পৃথিবীর একমাত্র ব্যতিক্রমী মায়ের মর্যাদা দান করেছেন। তাঁর সন্তান ইসা (আ.)–কে বানিয়েছেন আল্লাহর শক্তিমত্তার নিদর্শন এবং তাঁর প্রেরিত অন্যতম প্র
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৬ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৮ ঘণ্টা আগে