আদিয়াত উল্লাহ

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো মোমিন বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালোবাসা ও নৈকট্য লাভের আশায় হজ পালন করতে মক্কা মোকাররমায় ছুটে যান। বিশ্ব মুসলিমের এক অনন্য মহা মিলনমেলা এ হজ। সবার কণ্ঠে একই সুর, একই তালবিয়া। একই লেবাস সবার পরনে। সবার অবস্থা যেন একরকম হয়ে যায়। সে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সবার কণ্ঠে এক লয়ে এক তালবিয়া—‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’। অর্থ: ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ, আমি হাজির। আমি হাজির, আপনার কোনো অংশীদার নেই, আমি হাজির। নিশ্চয় সকল প্রশংসা, নিয়ামত ও রাজত্ব আপনারই। আপনার কোনো অংশীদার নেই।’ আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
হজ কাকে বলে—
কোরআন-হাদিসের বর্ণনা এবং ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত অনুসারে—পবিত্র মক্কায় জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানসমূহে নির্দিষ্ট কিছু ইবাদতের সমষ্টিকে হজ বলে।
হজ সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আল্লাহ তাআলার একটি অলঙ্ঘনীয় বিধান। আল্লাহ তাআলা এটি জীবনে একবার আদায় করা ফরজ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মানুষের উচিত আল্লাহর জন্য ঘরের (বায়তুল্লাহ শরিফ) হজ করা, যারা সেখানে যেতে সক্ষম। (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
হজ তিন প্রকার—
এক. হজে তামাত্তু অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন নিয়তে এবং ইহরামে হজ ও ওমরাহ পালন করা।
দুই. হজে কিরান অর্থাৎ একই নিয়ত ও ইহরামে হজ এবং ওমরাহ পালন করা।
তিন. হজে ইফরাদ অর্থাৎ শুধু হজ পালন করা।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)–এর মতে কিরান হজ সর্বোত্তম। কেননা এতে দীর্ঘদিন ইহরাম বেঁধে থাকতে হয়। এ ছাড়া নবী করিম (সা.)-এর বিদায় হজ ছিল কিরান হজ। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি নবীজি (সা.)-কে একত্রে হজ ও ওমরাহর তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি। তালবিয়ায় তিনি বলছিলেন—লাব্বাইকা ওমরাতান ওয়া হাজ্জান।’ (সহিহ্ মুসলিম)
তবে অন্যান্য ফকিহদের মতে, যদি কিরান হজ পালনে দীর্ঘদিন ইহরামের নিষেধাজ্ঞাগুলো পালন করা সম্ভব না হয় তবে তামাত্তু হজ করাই উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে শামি)
হজের ফরজ তিনটি—
এক. ইহরাম বাঁধা। (সুনানুল কুবরা: ৯১৯০)।
দুই. উকুফে আরাফা অর্থাৎ জিলহজ মাসের ৯ তারিখ সূর্য হেলার পর থেকে ঈদুল আজহার দিন সুবহে সাদিক পর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। এ সময়ের মধ্যে অতি অল্প সময়ও আরাফার ময়দানে অবস্থান করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। (জামে তিরমিজি: ৮১৪)
তিন. তাওয়াফে জিয়ারত অর্থাৎ আরাফায় অবস্থানের পর কাবায় সাতবার তাওয়াফ (চক্কর) করা।
হজের ওয়াজিব প্রধানত ছয়টি—
এক. জিলহজের ১০ তারিখ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সামান্য সময়ের জন্য হলেও মুজদালিফায় অবস্থান করা। (সুরা বাকারা: ১৯৮, জামে তিরমিজি: ৮১৫)
দুই. সাফা-মারওয়ায় সাতবার সায়ি করা বা চক্কর লাগানো। এটা সাফা থেকে শুরু হয়ে মারওয়ায় গিয়ে শেষ হবে। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৭)
তিন. যথাসময়ে রমি (শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৮৬)
চার. তামাত্তু ও কিরান হজকারীরা দমে শোকর বা হজের কোরবানি করা।
পাঁচ. হারামে কোরবানির দিনসমূহে মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছোট করা। (সহিহ্ বুখারি)
ছয়. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা তাওয়াফে সদর বা তাওয়াফে বিদা করা। (সহিহ্ মুসলিম)
হজের সুন্নাতগুলো হলো—
এক. ইহরাম বাঁধার সময় গোসল বা অজু করা ও শরীরে সুগন্ধি মাখা। (জামে তিরমিজি: ৭৬০)
দুই. নতুন বা পরিষ্কার চাদর পরা। সাদা হওয়া উত্তম। (জামে তিরমিজি: ২৭২৩)
তিন. ইহরাম বাঁধার আগে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২০৩১)
চার. বেশি বেশি তালবিয়া পড়া। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৪৬)
পাঁচ. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা হজে ইফরাদ বা কিরান করার সময় তাওয়াফে কুদুম করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৯)
ছয়. মক্কায় থাকাকালীন বেশি বেশি তাওয়াফ করা। (জামে তিরমিজি: ৭৯৪)
সাত. ইজতিবা করা। এটা হলো তাওয়াফ শুরু করার আগে চাদরের এক দিককে নিজের ডান বাহুর নিচে রাখা এবং অপর দিককে বাম কাঁধের উপর পেঁচিয়ে দেওয়া। (জামে তিরমিজি: ৭৮৭)
আট. তাওয়াফের সময় রমল করা। রমলের পদ্ধতি হলো তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করের সময় ঘনঘন কদম ফেলা ও উভয় কাঁধ হেলাতে হেলাতে চলা। (সহিহ্ বুখারি: ১৫০১)
নয়. কোরবানির দিনগুলোতে মিনায় রাত্রিযাপন করা। (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৮৩)
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ
নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সুগন্ধি ব্যবহার, নখ কাটা, শরীরের কোনো স্থানের লোম পরিষ্কার করা বা উপড়ানো, পশু শিকার, মাথার চুল উঠিয়ে ফেলা বা কাটা, ঝগড়া-বিবাদ করা, সহবাস করা, যৌন কামনার সঙ্গে চুম্বন করা, স্পর্শ করা বা জড়িয়ে ধরা।
পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সেলাইকৃত কাপড় পরিধান করা, মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করা এবং টাকনুর হাড় ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।
নারীদের নিষিদ্ধ কাজ—অলংকার পরা, হাতমোজা পরা, মুখমণ্ডলের ওপর নিকাব পরা (সামনে পুরুষ থাকলেও মুখমণ্ডল ঢাকা যাবে না), প্রাণী হত্যা (কাপড় ও শরীরের উকুন মারাও নিষিদ্ধ)।
যেসব কারণে দম ও সদকা ওয়াজিব হয়—
এক. হজ, ওমরাহ বা অন্য উদ্দেশ্যে মক্কায় গমনকারী ব্যক্তির ইহরাম ছাড়া মিকাত অতিক্রম করা।
দুই. ইহরাম অবস্থায় বড় অঙ্গসমূহের পূর্ণ জায়গায় খুশবু লাগানো। ছোট অঙ্গগুলোতে বেশি পরিমাণ খুশবু লাগানোর হুকুমও একই।
এ ছাড়া দম ও সদকা ওয়াজিব হওয়ার আরও অনেক কারণ রয়েছে। নির্ভরযোগ্য কোনো আলেম, মসজিদের ইমাম সাহেব বা হজের মুআল্লিমদের নিকট থেকে জেনে নেওয়া উচিত।
লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো মোমিন বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালোবাসা ও নৈকট্য লাভের আশায় হজ পালন করতে মক্কা মোকাররমায় ছুটে যান। বিশ্ব মুসলিমের এক অনন্য মহা মিলনমেলা এ হজ। সবার কণ্ঠে একই সুর, একই তালবিয়া। একই লেবাস সবার পরনে। সবার অবস্থা যেন একরকম হয়ে যায়। সে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সবার কণ্ঠে এক লয়ে এক তালবিয়া—‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’। অর্থ: ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ, আমি হাজির। আমি হাজির, আপনার কোনো অংশীদার নেই, আমি হাজির। নিশ্চয় সকল প্রশংসা, নিয়ামত ও রাজত্ব আপনারই। আপনার কোনো অংশীদার নেই।’ আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
হজ কাকে বলে—
কোরআন-হাদিসের বর্ণনা এবং ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত অনুসারে—পবিত্র মক্কায় জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানসমূহে নির্দিষ্ট কিছু ইবাদতের সমষ্টিকে হজ বলে।
হজ সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আল্লাহ তাআলার একটি অলঙ্ঘনীয় বিধান। আল্লাহ তাআলা এটি জীবনে একবার আদায় করা ফরজ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মানুষের উচিত আল্লাহর জন্য ঘরের (বায়তুল্লাহ শরিফ) হজ করা, যারা সেখানে যেতে সক্ষম। (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
হজ তিন প্রকার—
এক. হজে তামাত্তু অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন নিয়তে এবং ইহরামে হজ ও ওমরাহ পালন করা।
দুই. হজে কিরান অর্থাৎ একই নিয়ত ও ইহরামে হজ এবং ওমরাহ পালন করা।
তিন. হজে ইফরাদ অর্থাৎ শুধু হজ পালন করা।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)–এর মতে কিরান হজ সর্বোত্তম। কেননা এতে দীর্ঘদিন ইহরাম বেঁধে থাকতে হয়। এ ছাড়া নবী করিম (সা.)-এর বিদায় হজ ছিল কিরান হজ। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি নবীজি (সা.)-কে একত্রে হজ ও ওমরাহর তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি। তালবিয়ায় তিনি বলছিলেন—লাব্বাইকা ওমরাতান ওয়া হাজ্জান।’ (সহিহ্ মুসলিম)
তবে অন্যান্য ফকিহদের মতে, যদি কিরান হজ পালনে দীর্ঘদিন ইহরামের নিষেধাজ্ঞাগুলো পালন করা সম্ভব না হয় তবে তামাত্তু হজ করাই উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে শামি)
হজের ফরজ তিনটি—
এক. ইহরাম বাঁধা। (সুনানুল কুবরা: ৯১৯০)।
দুই. উকুফে আরাফা অর্থাৎ জিলহজ মাসের ৯ তারিখ সূর্য হেলার পর থেকে ঈদুল আজহার দিন সুবহে সাদিক পর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। এ সময়ের মধ্যে অতি অল্প সময়ও আরাফার ময়দানে অবস্থান করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। (জামে তিরমিজি: ৮১৪)
তিন. তাওয়াফে জিয়ারত অর্থাৎ আরাফায় অবস্থানের পর কাবায় সাতবার তাওয়াফ (চক্কর) করা।
হজের ওয়াজিব প্রধানত ছয়টি—
এক. জিলহজের ১০ তারিখ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সামান্য সময়ের জন্য হলেও মুজদালিফায় অবস্থান করা। (সুরা বাকারা: ১৯৮, জামে তিরমিজি: ৮১৫)
দুই. সাফা-মারওয়ায় সাতবার সায়ি করা বা চক্কর লাগানো। এটা সাফা থেকে শুরু হয়ে মারওয়ায় গিয়ে শেষ হবে। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৭)
তিন. যথাসময়ে রমি (শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৮৬)
চার. তামাত্তু ও কিরান হজকারীরা দমে শোকর বা হজের কোরবানি করা।
পাঁচ. হারামে কোরবানির দিনসমূহে মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছোট করা। (সহিহ্ বুখারি)
ছয়. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা তাওয়াফে সদর বা তাওয়াফে বিদা করা। (সহিহ্ মুসলিম)
হজের সুন্নাতগুলো হলো—
এক. ইহরাম বাঁধার সময় গোসল বা অজু করা ও শরীরে সুগন্ধি মাখা। (জামে তিরমিজি: ৭৬০)
দুই. নতুন বা পরিষ্কার চাদর পরা। সাদা হওয়া উত্তম। (জামে তিরমিজি: ২৭২৩)
তিন. ইহরাম বাঁধার আগে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২০৩১)
চার. বেশি বেশি তালবিয়া পড়া। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৪৬)
পাঁচ. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা হজে ইফরাদ বা কিরান করার সময় তাওয়াফে কুদুম করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৯)
ছয়. মক্কায় থাকাকালীন বেশি বেশি তাওয়াফ করা। (জামে তিরমিজি: ৭৯৪)
সাত. ইজতিবা করা। এটা হলো তাওয়াফ শুরু করার আগে চাদরের এক দিককে নিজের ডান বাহুর নিচে রাখা এবং অপর দিককে বাম কাঁধের উপর পেঁচিয়ে দেওয়া। (জামে তিরমিজি: ৭৮৭)
আট. তাওয়াফের সময় রমল করা। রমলের পদ্ধতি হলো তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করের সময় ঘনঘন কদম ফেলা ও উভয় কাঁধ হেলাতে হেলাতে চলা। (সহিহ্ বুখারি: ১৫০১)
নয়. কোরবানির দিনগুলোতে মিনায় রাত্রিযাপন করা। (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৮৩)
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ
নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সুগন্ধি ব্যবহার, নখ কাটা, শরীরের কোনো স্থানের লোম পরিষ্কার করা বা উপড়ানো, পশু শিকার, মাথার চুল উঠিয়ে ফেলা বা কাটা, ঝগড়া-বিবাদ করা, সহবাস করা, যৌন কামনার সঙ্গে চুম্বন করা, স্পর্শ করা বা জড়িয়ে ধরা।
পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সেলাইকৃত কাপড় পরিধান করা, মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করা এবং টাকনুর হাড় ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।
নারীদের নিষিদ্ধ কাজ—অলংকার পরা, হাতমোজা পরা, মুখমণ্ডলের ওপর নিকাব পরা (সামনে পুরুষ থাকলেও মুখমণ্ডল ঢাকা যাবে না), প্রাণী হত্যা (কাপড় ও শরীরের উকুন মারাও নিষিদ্ধ)।
যেসব কারণে দম ও সদকা ওয়াজিব হয়—
এক. হজ, ওমরাহ বা অন্য উদ্দেশ্যে মক্কায় গমনকারী ব্যক্তির ইহরাম ছাড়া মিকাত অতিক্রম করা।
দুই. ইহরাম অবস্থায় বড় অঙ্গসমূহের পূর্ণ জায়গায় খুশবু লাগানো। ছোট অঙ্গগুলোতে বেশি পরিমাণ খুশবু লাগানোর হুকুমও একই।
এ ছাড়া দম ও সদকা ওয়াজিব হওয়ার আরও অনেক কারণ রয়েছে। নির্ভরযোগ্য কোনো আলেম, মসজিদের ইমাম সাহেব বা হজের মুআল্লিমদের নিকট থেকে জেনে নেওয়া উচিত।
লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আদিয়াত উল্লাহ

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো মোমিন বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালোবাসা ও নৈকট্য লাভের আশায় হজ পালন করতে মক্কা মোকাররমায় ছুটে যান। বিশ্ব মুসলিমের এক অনন্য মহা মিলনমেলা এ হজ। সবার কণ্ঠে একই সুর, একই তালবিয়া। একই লেবাস সবার পরনে। সবার অবস্থা যেন একরকম হয়ে যায়। সে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সবার কণ্ঠে এক লয়ে এক তালবিয়া—‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’। অর্থ: ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ, আমি হাজির। আমি হাজির, আপনার কোনো অংশীদার নেই, আমি হাজির। নিশ্চয় সকল প্রশংসা, নিয়ামত ও রাজত্ব আপনারই। আপনার কোনো অংশীদার নেই।’ আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
হজ কাকে বলে—
কোরআন-হাদিসের বর্ণনা এবং ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত অনুসারে—পবিত্র মক্কায় জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানসমূহে নির্দিষ্ট কিছু ইবাদতের সমষ্টিকে হজ বলে।
হজ সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আল্লাহ তাআলার একটি অলঙ্ঘনীয় বিধান। আল্লাহ তাআলা এটি জীবনে একবার আদায় করা ফরজ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মানুষের উচিত আল্লাহর জন্য ঘরের (বায়তুল্লাহ শরিফ) হজ করা, যারা সেখানে যেতে সক্ষম। (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
হজ তিন প্রকার—
এক. হজে তামাত্তু অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন নিয়তে এবং ইহরামে হজ ও ওমরাহ পালন করা।
দুই. হজে কিরান অর্থাৎ একই নিয়ত ও ইহরামে হজ এবং ওমরাহ পালন করা।
তিন. হজে ইফরাদ অর্থাৎ শুধু হজ পালন করা।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)–এর মতে কিরান হজ সর্বোত্তম। কেননা এতে দীর্ঘদিন ইহরাম বেঁধে থাকতে হয়। এ ছাড়া নবী করিম (সা.)-এর বিদায় হজ ছিল কিরান হজ। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি নবীজি (সা.)-কে একত্রে হজ ও ওমরাহর তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি। তালবিয়ায় তিনি বলছিলেন—লাব্বাইকা ওমরাতান ওয়া হাজ্জান।’ (সহিহ্ মুসলিম)
তবে অন্যান্য ফকিহদের মতে, যদি কিরান হজ পালনে দীর্ঘদিন ইহরামের নিষেধাজ্ঞাগুলো পালন করা সম্ভব না হয় তবে তামাত্তু হজ করাই উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে শামি)
হজের ফরজ তিনটি—
এক. ইহরাম বাঁধা। (সুনানুল কুবরা: ৯১৯০)।
দুই. উকুফে আরাফা অর্থাৎ জিলহজ মাসের ৯ তারিখ সূর্য হেলার পর থেকে ঈদুল আজহার দিন সুবহে সাদিক পর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। এ সময়ের মধ্যে অতি অল্প সময়ও আরাফার ময়দানে অবস্থান করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। (জামে তিরমিজি: ৮১৪)
তিন. তাওয়াফে জিয়ারত অর্থাৎ আরাফায় অবস্থানের পর কাবায় সাতবার তাওয়াফ (চক্কর) করা।
হজের ওয়াজিব প্রধানত ছয়টি—
এক. জিলহজের ১০ তারিখ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সামান্য সময়ের জন্য হলেও মুজদালিফায় অবস্থান করা। (সুরা বাকারা: ১৯৮, জামে তিরমিজি: ৮১৫)
দুই. সাফা-মারওয়ায় সাতবার সায়ি করা বা চক্কর লাগানো। এটা সাফা থেকে শুরু হয়ে মারওয়ায় গিয়ে শেষ হবে। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৭)
তিন. যথাসময়ে রমি (শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৮৬)
চার. তামাত্তু ও কিরান হজকারীরা দমে শোকর বা হজের কোরবানি করা।
পাঁচ. হারামে কোরবানির দিনসমূহে মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছোট করা। (সহিহ্ বুখারি)
ছয়. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা তাওয়াফে সদর বা তাওয়াফে বিদা করা। (সহিহ্ মুসলিম)
হজের সুন্নাতগুলো হলো—
এক. ইহরাম বাঁধার সময় গোসল বা অজু করা ও শরীরে সুগন্ধি মাখা। (জামে তিরমিজি: ৭৬০)
দুই. নতুন বা পরিষ্কার চাদর পরা। সাদা হওয়া উত্তম। (জামে তিরমিজি: ২৭২৩)
তিন. ইহরাম বাঁধার আগে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২০৩১)
চার. বেশি বেশি তালবিয়া পড়া। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৪৬)
পাঁচ. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা হজে ইফরাদ বা কিরান করার সময় তাওয়াফে কুদুম করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৯)
ছয়. মক্কায় থাকাকালীন বেশি বেশি তাওয়াফ করা। (জামে তিরমিজি: ৭৯৪)
সাত. ইজতিবা করা। এটা হলো তাওয়াফ শুরু করার আগে চাদরের এক দিককে নিজের ডান বাহুর নিচে রাখা এবং অপর দিককে বাম কাঁধের উপর পেঁচিয়ে দেওয়া। (জামে তিরমিজি: ৭৮৭)
আট. তাওয়াফের সময় রমল করা। রমলের পদ্ধতি হলো তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করের সময় ঘনঘন কদম ফেলা ও উভয় কাঁধ হেলাতে হেলাতে চলা। (সহিহ্ বুখারি: ১৫০১)
নয়. কোরবানির দিনগুলোতে মিনায় রাত্রিযাপন করা। (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৮৩)
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ
নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সুগন্ধি ব্যবহার, নখ কাটা, শরীরের কোনো স্থানের লোম পরিষ্কার করা বা উপড়ানো, পশু শিকার, মাথার চুল উঠিয়ে ফেলা বা কাটা, ঝগড়া-বিবাদ করা, সহবাস করা, যৌন কামনার সঙ্গে চুম্বন করা, স্পর্শ করা বা জড়িয়ে ধরা।
পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সেলাইকৃত কাপড় পরিধান করা, মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করা এবং টাকনুর হাড় ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।
নারীদের নিষিদ্ধ কাজ—অলংকার পরা, হাতমোজা পরা, মুখমণ্ডলের ওপর নিকাব পরা (সামনে পুরুষ থাকলেও মুখমণ্ডল ঢাকা যাবে না), প্রাণী হত্যা (কাপড় ও শরীরের উকুন মারাও নিষিদ্ধ)।
যেসব কারণে দম ও সদকা ওয়াজিব হয়—
এক. হজ, ওমরাহ বা অন্য উদ্দেশ্যে মক্কায় গমনকারী ব্যক্তির ইহরাম ছাড়া মিকাত অতিক্রম করা।
দুই. ইহরাম অবস্থায় বড় অঙ্গসমূহের পূর্ণ জায়গায় খুশবু লাগানো। ছোট অঙ্গগুলোতে বেশি পরিমাণ খুশবু লাগানোর হুকুমও একই।
এ ছাড়া দম ও সদকা ওয়াজিব হওয়ার আরও অনেক কারণ রয়েছে। নির্ভরযোগ্য কোনো আলেম, মসজিদের ইমাম সাহেব বা হজের মুআল্লিমদের নিকট থেকে জেনে নেওয়া উচিত।
লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো মোমিন বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালোবাসা ও নৈকট্য লাভের আশায় হজ পালন করতে মক্কা মোকাররমায় ছুটে যান। বিশ্ব মুসলিমের এক অনন্য মহা মিলনমেলা এ হজ। সবার কণ্ঠে একই সুর, একই তালবিয়া। একই লেবাস সবার পরনে। সবার অবস্থা যেন একরকম হয়ে যায়। সে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সবার কণ্ঠে এক লয়ে এক তালবিয়া—‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’। অর্থ: ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ, আমি হাজির। আমি হাজির, আপনার কোনো অংশীদার নেই, আমি হাজির। নিশ্চয় সকল প্রশংসা, নিয়ামত ও রাজত্ব আপনারই। আপনার কোনো অংশীদার নেই।’ আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
হজ কাকে বলে—
কোরআন-হাদিসের বর্ণনা এবং ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত অনুসারে—পবিত্র মক্কায় জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানসমূহে নির্দিষ্ট কিছু ইবাদতের সমষ্টিকে হজ বলে।
হজ সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আল্লাহ তাআলার একটি অলঙ্ঘনীয় বিধান। আল্লাহ তাআলা এটি জীবনে একবার আদায় করা ফরজ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মানুষের উচিত আল্লাহর জন্য ঘরের (বায়তুল্লাহ শরিফ) হজ করা, যারা সেখানে যেতে সক্ষম। (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)
হজ তিন প্রকার—
এক. হজে তামাত্তু অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন নিয়তে এবং ইহরামে হজ ও ওমরাহ পালন করা।
দুই. হজে কিরান অর্থাৎ একই নিয়ত ও ইহরামে হজ এবং ওমরাহ পালন করা।
তিন. হজে ইফরাদ অর্থাৎ শুধু হজ পালন করা।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)–এর মতে কিরান হজ সর্বোত্তম। কেননা এতে দীর্ঘদিন ইহরাম বেঁধে থাকতে হয়। এ ছাড়া নবী করিম (সা.)-এর বিদায় হজ ছিল কিরান হজ। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি নবীজি (সা.)-কে একত্রে হজ ও ওমরাহর তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি। তালবিয়ায় তিনি বলছিলেন—লাব্বাইকা ওমরাতান ওয়া হাজ্জান।’ (সহিহ্ মুসলিম)
তবে অন্যান্য ফকিহদের মতে, যদি কিরান হজ পালনে দীর্ঘদিন ইহরামের নিষেধাজ্ঞাগুলো পালন করা সম্ভব না হয় তবে তামাত্তু হজ করাই উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে শামি)
হজের ফরজ তিনটি—
এক. ইহরাম বাঁধা। (সুনানুল কুবরা: ৯১৯০)।
দুই. উকুফে আরাফা অর্থাৎ জিলহজ মাসের ৯ তারিখ সূর্য হেলার পর থেকে ঈদুল আজহার দিন সুবহে সাদিক পর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। এ সময়ের মধ্যে অতি অল্প সময়ও আরাফার ময়দানে অবস্থান করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। (জামে তিরমিজি: ৮১৪)
তিন. তাওয়াফে জিয়ারত অর্থাৎ আরাফায় অবস্থানের পর কাবায় সাতবার তাওয়াফ (চক্কর) করা।
হজের ওয়াজিব প্রধানত ছয়টি—
এক. জিলহজের ১০ তারিখ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সামান্য সময়ের জন্য হলেও মুজদালিফায় অবস্থান করা। (সুরা বাকারা: ১৯৮, জামে তিরমিজি: ৮১৫)
দুই. সাফা-মারওয়ায় সাতবার সায়ি করা বা চক্কর লাগানো। এটা সাফা থেকে শুরু হয়ে মারওয়ায় গিয়ে শেষ হবে। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৭)
তিন. যথাসময়ে রমি (শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৮৬)
চার. তামাত্তু ও কিরান হজকারীরা দমে শোকর বা হজের কোরবানি করা।
পাঁচ. হারামে কোরবানির দিনসমূহে মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছোট করা। (সহিহ্ বুখারি)
ছয়. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা তাওয়াফে সদর বা তাওয়াফে বিদা করা। (সহিহ্ মুসলিম)
হজের সুন্নাতগুলো হলো—
এক. ইহরাম বাঁধার সময় গোসল বা অজু করা ও শরীরে সুগন্ধি মাখা। (জামে তিরমিজি: ৭৬০)
দুই. নতুন বা পরিষ্কার চাদর পরা। সাদা হওয়া উত্তম। (জামে তিরমিজি: ২৭২৩)
তিন. ইহরাম বাঁধার আগে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২০৩১)
চার. বেশি বেশি তালবিয়া পড়া। (সহিহ্ মুসলিম: ২২৪৬)
পাঁচ. মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা হজে ইফরাদ বা কিরান করার সময় তাওয়াফে কুদুম করা। (সহিহ্ মুসলিম: ২১৩৯)
ছয়. মক্কায় থাকাকালীন বেশি বেশি তাওয়াফ করা। (জামে তিরমিজি: ৭৯৪)
সাত. ইজতিবা করা। এটা হলো তাওয়াফ শুরু করার আগে চাদরের এক দিককে নিজের ডান বাহুর নিচে রাখা এবং অপর দিককে বাম কাঁধের উপর পেঁচিয়ে দেওয়া। (জামে তিরমিজি: ৭৮৭)
আট. তাওয়াফের সময় রমল করা। রমলের পদ্ধতি হলো তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করের সময় ঘনঘন কদম ফেলা ও উভয় কাঁধ হেলাতে হেলাতে চলা। (সহিহ্ বুখারি: ১৫০১)
নয়. কোরবানির দিনগুলোতে মিনায় রাত্রিযাপন করা। (সুনানে আবু দাউদ: ১৬৮৩)
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ
নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সুগন্ধি ব্যবহার, নখ কাটা, শরীরের কোনো স্থানের লোম পরিষ্কার করা বা উপড়ানো, পশু শিকার, মাথার চুল উঠিয়ে ফেলা বা কাটা, ঝগড়া-বিবাদ করা, সহবাস করা, যৌন কামনার সঙ্গে চুম্বন করা, স্পর্শ করা বা জড়িয়ে ধরা।
পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ হচ্ছে—সেলাইকৃত কাপড় পরিধান করা, মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করা এবং টাকনুর হাড় ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।
নারীদের নিষিদ্ধ কাজ—অলংকার পরা, হাতমোজা পরা, মুখমণ্ডলের ওপর নিকাব পরা (সামনে পুরুষ থাকলেও মুখমণ্ডল ঢাকা যাবে না), প্রাণী হত্যা (কাপড় ও শরীরের উকুন মারাও নিষিদ্ধ)।
যেসব কারণে দম ও সদকা ওয়াজিব হয়—
এক. হজ, ওমরাহ বা অন্য উদ্দেশ্যে মক্কায় গমনকারী ব্যক্তির ইহরাম ছাড়া মিকাত অতিক্রম করা।
দুই. ইহরাম অবস্থায় বড় অঙ্গসমূহের পূর্ণ জায়গায় খুশবু লাগানো। ছোট অঙ্গগুলোতে বেশি পরিমাণ খুশবু লাগানোর হুকুমও একই।
এ ছাড়া দম ও সদকা ওয়াজিব হওয়ার আরও অনেক কারণ রয়েছে। নির্ভরযোগ্য কোনো আলেম, মসজিদের ইমাম সাহেব বা হজের মুআল্লিমদের নিকট থেকে জেনে নেওয়া উচিত।
লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
৬ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৮ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেসাকী মাহবুব

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৮ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
৬ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
৬ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
৬ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৮ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে