আপনার জিজ্ঞাসা
ইসলাম ডেস্ক
স্বামী দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকলে স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব কার ওপর বর্তায় এবং স্ত্রী অন্য কাউকে বিয়ে করতে চাইলে পারবেন কি না? এ বিষয়ে ইসলামি শরিয়তের বিধান জানতে চাই।
ইয়াসমিন ফাতেমা, কক্সবাজার
স্বামী নিখোঁজ হলে স্ত্রী স্বামীর সম্পদ থেকে তাঁর প্রয়োজনে খরচ করবেন। এভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব হলে অন্যত্র বিয়ে না করে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করা উত্তম। বিয়ে করতে চাইলে এর কয়েকটি উপায় হতে পারে—
১. স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার (তাফবিদ) প্রদান করে থাকেন, সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে স্ত্রী নিজেকে তালাক দেবেন এবং তিন ঋতুস্রাব ইদ্দত পালনের পর অন্যত্র বিয়ে করতে পারবেন।
২. স্বামী স্ত্রীকে তালাকের অধিকার না দিয়ে থাকলে স্ত্রী প্রথমে স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে এবং নিখোঁজ হওয়ার প্রমাণ মুসলিম আদালতে পেশ করবেন। আদালত যথাযথ উপায় অবলম্বন করে স্বামীকে খুঁজবেন। কোনো হদিস পাওয়া না গেলে আদালত স্ত্রীকে আরও চার বছর অপেক্ষা করতে বলবেন। চার বছর পর স্ত্রী পুনরায় আদালতে বিষয়টি তুলবেন এবং আদালত স্বামীকে মৃত ঘোষণা করবেন।
এরপর ৪ মাস ১০ দিন ইদ্দত পালনের পর স্ত্রী চাইলে অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবেন। তবে চার বছর অপেক্ষা করতে তখনই বলা হবে, যদি স্ত্রী ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা না করেন এবং স্বামীর সম্পদ থেকে কিংবা আত্মীয়স্বজনের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা কিংবা শরয়ি পর্দা মেনে নিজে কাজ করে খোরপোশের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়।
৩. খোরপোশের ব্যবস্থা থাকলেও ব্যভিচার থেকে বেঁচে থাকা যদি অসম্ভব মনে হয়, তাহলে আদালত এ বিষয়ের ওপর স্ত্রী থেকে শপথ নিয়ে চার বছরের পরিবর্তে এক বছর অপেক্ষা করতে বলবেন। এক বছর পর স্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেবেন।
৪. ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাক বা না থাক, স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর পূর্বোল্লিখিত কোনো উপায়ে স্ত্রীর ভরণপোষণের ব্যবস্থা না হলে নিখোঁজ হওয়ার ন্যূনতম এক মাস পর স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি জানাতে পারবেন। আদালত স্ত্রীর কাছে স্বামী যে তাঁর জন্য ভরণপোষণের কোনো ব্যবস্থা করে যাননি এবং নিজের পর্দা মেনে উপার্জন করার সক্ষমতা নেই এবং তিনি স্বামীর ভরণপোষণের অধিকারের দাবি ছেড়ে দেননি—এসব বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ ও শপথ গ্রহণ করার পর তাঁদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দেবেন।
একে এক তালাকে রজয়ি হিসেবে গণ্য করা হবে। এরপর তিন ঋতুস্রাব ইদ্দত পালনের পর স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করতে পারবেন। প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থায় স্ত্রী অন্যকে বিয়ে করার পর প্রথম স্বামী ফিরে এলেও স্ত্রী দ্বিতীয় স্বামীর কাছেই থাকবেন। আর দ্বিতীয় অবস্থায় প্রথম স্বামী ফিরে এলে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যাবে এবং ইদ্দত পালনের পর নতুন করে বিয়ে করা ছাড়া প্রথম স্বামীর স্ত্রী হিসেবে গণ্য হবে।
সূত্র: মাবসুতে সারাখসি ১১/৬৪; আহসানুল ফাতাওয়া: ৫/৪২১।
উত্তর দিয়েছেন মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
স্বামী দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকলে স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব কার ওপর বর্তায় এবং স্ত্রী অন্য কাউকে বিয়ে করতে চাইলে পারবেন কি না? এ বিষয়ে ইসলামি শরিয়তের বিধান জানতে চাই।
ইয়াসমিন ফাতেমা, কক্সবাজার
স্বামী নিখোঁজ হলে স্ত্রী স্বামীর সম্পদ থেকে তাঁর প্রয়োজনে খরচ করবেন। এভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব হলে অন্যত্র বিয়ে না করে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করা উত্তম। বিয়ে করতে চাইলে এর কয়েকটি উপায় হতে পারে—
১. স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার (তাফবিদ) প্রদান করে থাকেন, সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে স্ত্রী নিজেকে তালাক দেবেন এবং তিন ঋতুস্রাব ইদ্দত পালনের পর অন্যত্র বিয়ে করতে পারবেন।
২. স্বামী স্ত্রীকে তালাকের অধিকার না দিয়ে থাকলে স্ত্রী প্রথমে স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে এবং নিখোঁজ হওয়ার প্রমাণ মুসলিম আদালতে পেশ করবেন। আদালত যথাযথ উপায় অবলম্বন করে স্বামীকে খুঁজবেন। কোনো হদিস পাওয়া না গেলে আদালত স্ত্রীকে আরও চার বছর অপেক্ষা করতে বলবেন। চার বছর পর স্ত্রী পুনরায় আদালতে বিষয়টি তুলবেন এবং আদালত স্বামীকে মৃত ঘোষণা করবেন।
এরপর ৪ মাস ১০ দিন ইদ্দত পালনের পর স্ত্রী চাইলে অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবেন। তবে চার বছর অপেক্ষা করতে তখনই বলা হবে, যদি স্ত্রী ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা না করেন এবং স্বামীর সম্পদ থেকে কিংবা আত্মীয়স্বজনের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা কিংবা শরয়ি পর্দা মেনে নিজে কাজ করে খোরপোশের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়।
৩. খোরপোশের ব্যবস্থা থাকলেও ব্যভিচার থেকে বেঁচে থাকা যদি অসম্ভব মনে হয়, তাহলে আদালত এ বিষয়ের ওপর স্ত্রী থেকে শপথ নিয়ে চার বছরের পরিবর্তে এক বছর অপেক্ষা করতে বলবেন। এক বছর পর স্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেবেন।
৪. ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাক বা না থাক, স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর পূর্বোল্লিখিত কোনো উপায়ে স্ত্রীর ভরণপোষণের ব্যবস্থা না হলে নিখোঁজ হওয়ার ন্যূনতম এক মাস পর স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি জানাতে পারবেন। আদালত স্ত্রীর কাছে স্বামী যে তাঁর জন্য ভরণপোষণের কোনো ব্যবস্থা করে যাননি এবং নিজের পর্দা মেনে উপার্জন করার সক্ষমতা নেই এবং তিনি স্বামীর ভরণপোষণের অধিকারের দাবি ছেড়ে দেননি—এসব বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ ও শপথ গ্রহণ করার পর তাঁদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দেবেন।
একে এক তালাকে রজয়ি হিসেবে গণ্য করা হবে। এরপর তিন ঋতুস্রাব ইদ্দত পালনের পর স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করতে পারবেন। প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থায় স্ত্রী অন্যকে বিয়ে করার পর প্রথম স্বামী ফিরে এলেও স্ত্রী দ্বিতীয় স্বামীর কাছেই থাকবেন। আর দ্বিতীয় অবস্থায় প্রথম স্বামী ফিরে এলে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যাবে এবং ইদ্দত পালনের পর নতুন করে বিয়ে করা ছাড়া প্রথম স্বামীর স্ত্রী হিসেবে গণ্য হবে।
সূত্র: মাবসুতে সারাখসি ১১/৬৪; আহসানুল ফাতাওয়া: ৫/৪২১।
উত্তর দিয়েছেন মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
লজ্জা বা হায়া ইসলামের একটি মৌলিক গুণ, যা মুমিনের চরিত্রকে সুশোভিত করে। এর কারণে মানুষের মধ্য থেকে কুটিলতা ও পাপ দূর হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা নিজেও এ গুণে গুণান্বিত, তাই তিনি লজ্জাশীল বান্দাকে পছন্দ করেন। এটি কেবল বাহ্যিক শালীনতা নয়, বরং অন্তরের পবিত্রতা ও আল্লাহভীতির প্রকাশ।
৮ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো সালাম। সালামের দ্বারা দূর হয় অহংকার, গড়ে উঠে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। সালাম প্রসারে সুগম হয় জান্নাতের পথ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে মানুষেরা! তোমরা বেশি বেশি সালামের প্রসার ঘটাও, মানুষকে খাবার খাওয়াও, আর যখন সকল মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন নামাজ...
১০ ঘণ্টা আগেইসলামে বিশ্বাস ও তাওহিদের ভিত্তিতে মানবজীবন পরিচালিত হয়। সেই বিশ্বাসে জাদু বা জাদুটোনার কোনো স্থান নেই—বরং এটি একটি ঘৃণিত, হারাম এবং গুনাহে কবিরা, অর্থাৎ বড় পাপ হিসেবে চিহ্নিত। জাদুবিদ্যা কেবল একজন মানুষকে শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং তার ইমান ও আত্মিক ভারসাম্যকেও ভেঙে দিতে পারে।
১১ ঘণ্টা আগেশয়তান মানুষের চিরশত্রু। আল্লাহ তাআলা মানুষকে শয়তানের পথে চলতে নিষেধ করেছেন। তবে মানুষের দ্বারা গুনাহ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। মূল বিষয় হলো গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর শপথ, আমি প্রতিদিন আল্লা
২১ ঘণ্টা আগে