শরিফ আহমাদ
ইবাদতের নিয়তে করা সব কাজই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। আর নেক আমল মানুষের জীবনের প্রকৃত সম্পদ। এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে জান্নাত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারাই জান্নাতের অধিকারী, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা বাকারা: ৮২)
সাধারণত মানুষ রক্ত-ঘাম পানি করে অর্জন করা সম্পদকে নিজের মনে করে। গর্বের সঙ্গে অর্থবিত্তের কথা প্রচার করে। তবে হাদিসের বক্তব্য এর বিপরীত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বান্দারা বলে—আমার সম্পদ, আমার সম্পদ। অথচ তিনটিই হলো তার প্রকৃত সম্পদ। এক. যা সে ভক্ষণ করল এবং শেষ করে দিল। দুই. যা সে পরিধান করল এবং পুরোনো করে দিল। তিন. যা সে দান করল এবং (আখেরাতের জন্য) সঞ্চয় করল। এ ছাড়া বাকিগুলো শেষ হয়ে যাবে এবং মানুষের জন্য রেখে যেতে হবে।’ (মুসলিম: ৭১৫৪)
মানুষ দুনিয়ায় অঢেল সম্পত্তি রেখে কবরে যায়। আত্মীয়স্বজনেরা এসে তা ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়ে যায়। পরকালে তার শুধু কাজে আসে সদকায়ে জারিয়া ও নেক আমল। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তির অনুসরণ করে (কবর পর্যন্ত যায়)। দুটি ফিরে আসে আর একটি তার সঙ্গেই থেকে যায়। তা হলো পরিবার, সম্পদ ও আমল। পরিবার ও সম্পদ ফিরে আসে। তবে আমল তার সঙ্গে থেকে যায়।’ (বুখারি: ৬০৭০, মুসলিম: ৭১৫৫)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের নিজের সম্পদ তা-ই, যা সে আগে পাঠিয়েছে আর পেছনে যা ফেলে যাবে, তা সবই ওয়ারিশের সম্পদ। (বুখারি: ৫৯৯৮)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইবাদতের নিয়তে করা সব কাজই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। আর নেক আমল মানুষের জীবনের প্রকৃত সম্পদ। এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে জান্নাত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারাই জান্নাতের অধিকারী, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা বাকারা: ৮২)
সাধারণত মানুষ রক্ত-ঘাম পানি করে অর্জন করা সম্পদকে নিজের মনে করে। গর্বের সঙ্গে অর্থবিত্তের কথা প্রচার করে। তবে হাদিসের বক্তব্য এর বিপরীত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বান্দারা বলে—আমার সম্পদ, আমার সম্পদ। অথচ তিনটিই হলো তার প্রকৃত সম্পদ। এক. যা সে ভক্ষণ করল এবং শেষ করে দিল। দুই. যা সে পরিধান করল এবং পুরোনো করে দিল। তিন. যা সে দান করল এবং (আখেরাতের জন্য) সঞ্চয় করল। এ ছাড়া বাকিগুলো শেষ হয়ে যাবে এবং মানুষের জন্য রেখে যেতে হবে।’ (মুসলিম: ৭১৫৪)
মানুষ দুনিয়ায় অঢেল সম্পত্তি রেখে কবরে যায়। আত্মীয়স্বজনেরা এসে তা ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়ে যায়। পরকালে তার শুধু কাজে আসে সদকায়ে জারিয়া ও নেক আমল। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তির অনুসরণ করে (কবর পর্যন্ত যায়)। দুটি ফিরে আসে আর একটি তার সঙ্গেই থেকে যায়। তা হলো পরিবার, সম্পদ ও আমল। পরিবার ও সম্পদ ফিরে আসে। তবে আমল তার সঙ্গে থেকে যায়।’ (বুখারি: ৬০৭০, মুসলিম: ৭১৫৫)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানুষের নিজের সম্পদ তা-ই, যা সে আগে পাঠিয়েছে আর পেছনে যা ফেলে যাবে, তা সবই ওয়ারিশের সম্পদ। (বুখারি: ৫৯৯৮)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
সামাজিক সম্পর্কের অসামান্য বন্ধন দাওয়াত, যেখানে খাবারের সঙ্গে মিশে যায় আন্তরিকতা, স্নেহ ও ভালোবাসা। দেশ, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এই সংস্কৃতি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এ ছাড়া মেহমানদারি নবী-রাসুলেরও আদর্শ।
৬ মিনিট আগেনবী আদম (আ.) থেকে নিয়ে মহানবী (সা.) পর্যন্ত সব নবীর যুগেই কোরবানির বিধান ছিল। (সুরা হজ: ৩৪)। তবে ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে আছে হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানির ঘটনা। কেননা তা ছিল কঠিন ত্যাগের অধ্যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেহাবিল ও কাবিল নামে হজরত আদমের দু’টি সন্তান ছিল। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে একবার এক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে আল্লাহর নামে তাদের কোরবানি করার আদেশ দেন আদম (আ.)। সেটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম কোরবানি।
১ দিন আগেঈদের দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল ঈদের নামাজ আদায় করা। তাই প্রস্তুতি গ্রহণ করে আগে আগে ঈদগাহে চলে যাওয়া উচিত। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে ঈদের জামাত ছুটে গেলে অথবা অংশ বিশেষ না পেলে করণীয় হলো—
১ দিন আগে