শাব্বির আহমদ
ইতিহাস কখনো নিছক কাহিনি নয়, কখনো কখনো তা হয়ে ওঠে অনুভূতির প্রতীক। মদিনার অদূরে অবস্থিত এক নিঃশব্দ পাহাড় তেমনই এক ইতিহাসের সাক্ষী। এটি শুধু মাটি-পাথরের সমষ্টি নয়; বরং এই পাহাড় ইসলামের প্রথম যুগের বীরত্ব, আত্মত্যাগ, কষ্ট ও ভালোবাসার জীবন্ত স্মারক। রাসুলুল্লাহ (সা.) যাকে বলেছিলেন, ‘উহুদ আমাদের ভালোবাসে, আমরাও তাকে ভালোবাসি।’
মদিনা শহরের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত উহুদ পাহাড়। এই পাহাড়ের পাদদেশেই সংঘটিত হয়েছিল ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লড়াই—উহুদের যুদ্ধ।
বদরের যুদ্ধে মুসলমানদের কাছে পরাজিত হয়ে কুরাইশরা প্রতিশোধ নিতে উন্মুখ হয়ে ওঠে। তারা ইসলাম, নবী ও মুসলমানদের মুছে দিতে অঙ্গীকার করে উহুদ প্রান্তরে সমবেত হয়।
প্রথমে মুসলমানদের হাতে বিজয়ের পাল্লা ভারী থাকলেও কিছু সাহাবির কৌশলগত ভুলে যুদ্ধের মোড় ঘুরে যায়। নবীজি (সা.) একটি ছোট পাহাড়—জাবালে রুমায় ৫০ জন তিরন্দাজ নিযুক্ত করেন। তাঁদের প্রতি নির্দেশ ছিল, ‘আমরা জিতি বা হারি—তোমরা এখানেই থাকবে।’
কিন্তু যুদ্ধের রণক্ষেত্রে শত্রুদের পলায়ন দেখে তাঁরা গনিমতের মাল সংগ্রহে পাহাড় ছেড়ে নেমে পড়েন। এই সুযোগে কুরাইশ বাহিনী পেছন থেকে আক্রমণ করে মুসলমানদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এই যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রিয় চাচা হামজা (রা.) শহীদ হন। তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেন তখনো অমুসলিম ওয়াহশি। হামজা (রা.)-এর মরদেহ বিকৃত করেন হিন্দা। বুক চিড়ে কলিজা চিবানোসহ তাঁর নাক-কান কেটে বিকৃত করে দেওয়া হয়।
পরবর্তীকালে হিন্দা ও আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণ করলেও রাসুল (সা.) এই ঘটনার যন্ত্রণা ভুলে যাননি। একবার তিনি হিন্দার প্রতি বলেন, ‘তুমি সামনে বসো না। পাশে বা পেছনে বসো। তোমাকে দেখলে চাচা হামজার কথা মনে পড়ে, কষ্ট হয়।’
উহুদ পাহাড় শুধু ইতিহাস নয়, ভালোবাসারও এক অনন্য নিদর্শন। নবীজি (সা.)-এর মুখে এই পাহাড়ের প্রতি ভালোবাসার ঘোষণা ইসলামের ইতিহাসে এক দুর্লভ মানবিক সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘উহুদ একটি পাহাড়, যা আমাদের ভালোবাসে। আমরাও তাকে ভালোবাসি।’ (সহিহ্ মুসলিম)
উহুদের প্রান্তরে শুধু একটি যুদ্ধই হয়নি, হয়েছে শিক্ষা, আত্মত্যাগ ও নবীপ্রেমের এক দুর্লভ পরীক্ষা। এই পাহাড় আজও দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বাসের পাহারাদার হয়ে। উহুদের দিকে তাকালে আমরা কেবল একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখি না; দেখি ইতিহাসের বুক থেকে ভেসে আসা সাহস, শোক এবং ভালোবাসার শিখর।
ইতিহাস কখনো নিছক কাহিনি নয়, কখনো কখনো তা হয়ে ওঠে অনুভূতির প্রতীক। মদিনার অদূরে অবস্থিত এক নিঃশব্দ পাহাড় তেমনই এক ইতিহাসের সাক্ষী। এটি শুধু মাটি-পাথরের সমষ্টি নয়; বরং এই পাহাড় ইসলামের প্রথম যুগের বীরত্ব, আত্মত্যাগ, কষ্ট ও ভালোবাসার জীবন্ত স্মারক। রাসুলুল্লাহ (সা.) যাকে বলেছিলেন, ‘উহুদ আমাদের ভালোবাসে, আমরাও তাকে ভালোবাসি।’
মদিনা শহরের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত উহুদ পাহাড়। এই পাহাড়ের পাদদেশেই সংঘটিত হয়েছিল ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লড়াই—উহুদের যুদ্ধ।
বদরের যুদ্ধে মুসলমানদের কাছে পরাজিত হয়ে কুরাইশরা প্রতিশোধ নিতে উন্মুখ হয়ে ওঠে। তারা ইসলাম, নবী ও মুসলমানদের মুছে দিতে অঙ্গীকার করে উহুদ প্রান্তরে সমবেত হয়।
প্রথমে মুসলমানদের হাতে বিজয়ের পাল্লা ভারী থাকলেও কিছু সাহাবির কৌশলগত ভুলে যুদ্ধের মোড় ঘুরে যায়। নবীজি (সা.) একটি ছোট পাহাড়—জাবালে রুমায় ৫০ জন তিরন্দাজ নিযুক্ত করেন। তাঁদের প্রতি নির্দেশ ছিল, ‘আমরা জিতি বা হারি—তোমরা এখানেই থাকবে।’
কিন্তু যুদ্ধের রণক্ষেত্রে শত্রুদের পলায়ন দেখে তাঁরা গনিমতের মাল সংগ্রহে পাহাড় ছেড়ে নেমে পড়েন। এই সুযোগে কুরাইশ বাহিনী পেছন থেকে আক্রমণ করে মুসলমানদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এই যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রিয় চাচা হামজা (রা.) শহীদ হন। তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেন তখনো অমুসলিম ওয়াহশি। হামজা (রা.)-এর মরদেহ বিকৃত করেন হিন্দা। বুক চিড়ে কলিজা চিবানোসহ তাঁর নাক-কান কেটে বিকৃত করে দেওয়া হয়।
পরবর্তীকালে হিন্দা ও আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণ করলেও রাসুল (সা.) এই ঘটনার যন্ত্রণা ভুলে যাননি। একবার তিনি হিন্দার প্রতি বলেন, ‘তুমি সামনে বসো না। পাশে বা পেছনে বসো। তোমাকে দেখলে চাচা হামজার কথা মনে পড়ে, কষ্ট হয়।’
উহুদ পাহাড় শুধু ইতিহাস নয়, ভালোবাসারও এক অনন্য নিদর্শন। নবীজি (সা.)-এর মুখে এই পাহাড়ের প্রতি ভালোবাসার ঘোষণা ইসলামের ইতিহাসে এক দুর্লভ মানবিক সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘উহুদ একটি পাহাড়, যা আমাদের ভালোবাসে। আমরাও তাকে ভালোবাসি।’ (সহিহ্ মুসলিম)
উহুদের প্রান্তরে শুধু একটি যুদ্ধই হয়নি, হয়েছে শিক্ষা, আত্মত্যাগ ও নবীপ্রেমের এক দুর্লভ পরীক্ষা। এই পাহাড় আজও দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বাসের পাহারাদার হয়ে। উহুদের দিকে তাকালে আমরা কেবল একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখি না; দেখি ইতিহাসের বুক থেকে ভেসে আসা সাহস, শোক এবং ভালোবাসার শিখর।
একটি সাধারণ দৃশ্য আমরা প্রায়শই দেখি—আজান দেওয়ার সময় মুয়াজ্জিন কানে আঙুল প্রবেশ করিয়ে উচ্চ আওয়াজে আজান দিচ্ছেন। অনেকেই এটি আবশ্যক মনে করেন, আবার কেউ কেউ এটিকে ঐচ্ছিক বা বর্জনযোগ্য বলে থাকেন। এই লেখায় আমরা কানে আঙুল দেওয়ার এ পদ্ধতির শরয়ি ভিত্তি, হাদিস, ওলামায়ে কেরামের ব্যাখ্যা এবং সমকালীন...
১৫ ঘণ্টা আগেজীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১ দিন আগেন্যায়পরায়ণতার গুরুত্ব অপরিসীম। শাসকের মৌলিক দায়িত্ব কর্তব্য হলো ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে জনগণের অধিকার আদায় এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। মহান রব পবিত্র কোরআনে ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন।
২ দিন আগেআমাদের জীবনে গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ এবং সঠিক উপায় হলো ইস্তিগফার—আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। প্রতিটি মুসলমানের উচিত, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ইস্তিগফারের আমল করাটা যেন এক প্রাকৃতিক অভ্যাস হয়ে ওঠে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও নিয়মিত এই আমলটি পালন করতেন।
২ দিন আগে