মানবসভ্যতার ইতিহাসে যুগে যুগে বহু ক্ষণজন্মা মনীষীর আগমন ঘটেছে, যাঁরা তাঁদের কর্ম ও প্রজ্ঞা দিয়ে ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিয়েছেন। তাঁরা জাতির ভাগ্য রচনা করে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। তবে এ সকল মহান ব্যক্তিত্বের মধ্যে খোলাফায়ে রাশেদিন (রা.)-এর মর্যাদা যেমন অতীত ইতিহাসে বিরল, তেমনি ভবিষ্যতেও তা অতুলনীয়...
ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
ইসলামের ইতিহাসে এমন কিছু মহাপুরুষ আছেন—যাঁরা দূরদর্শিতা, শাসন-দক্ষতা ও উম্মাহর ঐক্য প্রতিষ্ঠায় অমর হয়ে আছেন। তেমনই একজন নবী করিম (সা.)-এর অন্যতম সাহাবি হজরত মুআবিয়া (রা.)। তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বিশ্বস্ত, ওহির লেখক, সিরিয়ার গভর্নর, পরে মুসলিম খলিফা এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কারের রূপকার।
নবীনন্দিনী ফাতিমা (রা.) ও আলী (রা.)-এর ঘরে জন্ম নেওয়া দুই পবিত্র সন্তান হজরত হাসান ও হুসাইন (রা.) ইসলামি ইতিহাসে শ্রেষ্ঠত্ব ও সম্মানের প্রতীক। একজন তৃতীয় হিজরিতে এবং অপরজন চতুর্থ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরা ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আহলে বায়তের মূলধারা, তাঁর প্রাণের টুকরো, তাঁর ভালোবাসার...