হেদায়াতুল্লাহ বিন হাবিব, ঢাকা

মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.)। একজন আদর্শ শিক্ষক। ছাত্র গড়ার কারিগর। ইলম ও আমলের একজন অপূর্ব সমন্বয়ক। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামেউল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল ও শিক্ষাসচিব। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য অনেক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার প্রায় তিন যুগের অধ্যাপনা। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন অত্যন্ত ভদ্র, সজ্জন ও সম্ভ্রান্ত। সবার মন জয় করে চলার চমৎকার এক গুণ ছিল তাঁর মাঝে। চলতি বছরের গত ১৮ মে (রবিবার) তিনি দুনিয়ার সফর শেষ করে পরপারে পাড়ি জমান।
৫৮ বছর হায়াত পেয়েছিলেন মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.)। অল্প সময়ের বর্ণাঢ্য এক জীবনের অধিকারী ছিলেন তিনি। প্রধানত শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতা করেছেন সৌদি আরব, ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের প্রসিদ্ধ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে। বিস্তৃত কর্মজীবনের সুবাদে দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য ছাত্র-শিষ্য, ভক্ত ও অনুরাগী ছড়িয়ে আছে। শায়খের ইন্তেকালে সকলের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। কর্মজীবনের ব্যস্ততা ও দূরত্ব-সহ নানাবিধ কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও জানাজায় শরিক হতে পারেননি অনেকে। দূর থেকেই প্রিয় শিক্ষকের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করেছেন
জন্ম: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) ১৯৬৭ সনের ২৭ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার হিয়ালা গ্রামের স্বনামধন্য চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মাওলানা হারুনুর রশীদ চৌধুরী। পারিবারিকভাবে তাঁরা খুবই সম্ভ্রান্ত, ভদ্র ও সুশিক্ষিত ছিলেন।
শিক্ষাদীক্ষা: তিনি প্রথম জীবনে কিছুদিন কিশোরগঞ্জে তাঁর বাবার কাছে থেকে পড়াশোনা করেন। এরপরে হবিগঞ্জ সদরের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রায়ধর মাদ্রাসায় মক্তব বিভাগে ভর্তি হন। তৎকালীন বাংলাদেশে, বিশেষত সিলেট অঞ্চলে এই মাদ্রাসার খুব সুনাম-সুখ্যাতি ছিল। বড় বড় মনীষী আলেম এখানে পড়াশোনা করেছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাওলানা তাফাজ্জল হক হবিগঞ্জী, মুফতি তাজুল ইসলাম (আরজাবাদ), মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী প্রমুখ। মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) একাধারে শরহে জামি পর্যন্ত সুনাম ও কৃতিত্বের সঙ্গে এখানে পড়াশোনা করেন। এরপর মেশকাত জামাত পর্যন্ত পড়েন বাহুবল কাসিমুল উলুম মাদ্রাসায়। এখান থেকে ১৯৮৮ সনে মেশকাতের পরীক্ষায় ‘দ্বীনি শিক্ষা বোর্ড হবিগঞ্জ’-এ প্রথম স্থান অধিকার করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। সর্বশেষ দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস পড়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটান।
কর্মজীবন: ১৯৮৯ সনে ছাত্র জীবন শেষ হলে ওই বছরই কর্মের ময়দানে নেমে পড়েন। তাঁর কৃতিত্বের কারণে ছাত্র জীবনের ২য় প্রতিষ্ঠান কাসিমুল উলুম বাহুবল মাদ্রাসা থেকে ডাক আসে। উস্তাদদের পরামর্শে এখানে চলে আসেন। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত টানা ১১ বছর মুহাদ্দিস হিসেবে সেখানে কর্মরত থাকেন। এরপরে আল্লামা তাফাজ্জল হক হবিগঞ্জী (রহ.) পরিচালিত জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া উমেদনগর মাদ্রাসায় মুহাদ্দিস হিসেবে যোগ দেন। সেখানে দুই বছর অধ্যাপনা করে সৌদি আরব পাড়ি জমান। সেখানে ‘হাইয়া আমর বিল মারুফ একাডেমিতে’ ইসলাম প্রচারক ও শিক্ষক হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর দেশে ফিরে পুনরায় উমেদনগর মাদ্রাসায় পূর্বের পদে যোগদান করেন। ২০০৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী দারুল আরকাম মাদ্রাসায় মুহাদ্দিস ও মুফাসসির হিসেবে যুক্ত হোন। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা মাদ্রাসায়ও হাদিসের পাঠদান করেন।
২০০৭ সালের শুরুতে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামেউল উলুম মাদ্রাসার নাজেমে তালিমাত বা শিক্ষাসচিব পদ শূন্য হলে একজন চতুর্মুখী জ্ঞান ও গুণের অধিকারী সুযোগ্য লোকের প্রয়োজন দেখা দেয়। তখন তাঁর বাল্যবন্ধু এবং দীর্ঘদিনের সহপাঠী, জামেউল উলুম মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি আবদুল আজিজ কাসেমী তাঁকে ঢাকায় আসার পরামর্শ দেন। এবং জামেউল উলুম কর্তৃপক্ষ উক্ত পদের জন্য তাঁকে উপযুক্ত মনে করে নিয়োগ কনফার্ম করে। ভাইস প্রিন্সিপাল ও নাজেমে তালিমাত হিসেবে রাজধানীতে তাঁর নতুন কর্মজীবনের সূচনা হয়। সেখানে তিনি সহিহ্ বুখারি, সহিহ্ মুসলিম ও হেদায়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কিতাবসমূহ পাঠদান করেন।
পারিবারিক জীবন: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। বড় ছেলে আদনান ইতালিপ্রবাসী। ছোট ছেলে হাফেজ বোরহান মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। দুই মেয়ের স্বামীরা যোগ্য আলেম এবং কর্মজীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত।
গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম: তিনি মূলত একজন শিক্ষাবিদ আলেম ছিলেন। শিক্ষা কেন্দ্রিক তাঁর অনেক গবেষণা ও কর্ম রয়েছে। হবিগঞ্জ দ্বীনি শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন দুই বছর। তাঁর উস্তাদ আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরীর প্রতিষ্ঠিত আল-ফারুক ইসলামি গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘদিন। গবেষণার সুবিধার্থে বাড়িতে স্বতন্ত্র পাঠাগার গড়ে তোলেন বড় পরিসরে। এ ছাড়া কর্মস্থল ঢাকাতেও বইপত্রের বিশাল সমাহার ছিল তাঁর।
সামাজিক অবদান: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) জীবনভর শিক্ষকতা করেছেন দেশ-বিদেশে। ফলে নিজ এলাকায় থাকা হয়েছে খুব কম সময়। তবু শেকড়ের টানে গ্রামের মানুষদের জন্য কিছু করার চিন্তা সব সময় তাঁকে তাড়িয়ে বেড়াত। সে থেকেই তিনি সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হোন। নিজ গ্রামের ‘হিয়ালা তাফসীরুল কোরআন ও ইসলামি সমাজকল্যাণ পরিষদ’র সভাপতি ছিলেন এক যুগেরও অধিক সময়।
রচনাবলি: অধ্যাপনা ও গবেষণার পাশাপাশি মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) বেশ কিছু কিতাব রচনা করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য–
১. دراسة المكرم على مقدمة مسلم
২. تقليد المذاهب الأربعة
৩. تعريف اثبت الكلام في القرائة خلف الإمام
৪. খোলাসাতুন্নাহু
৫. স্বপ্ন ব্যাখ্যার মূলনীতি
অসুস্থতা: নিভৃতচারী এ শিক্ষাবিদ দ্বীনের খেদমত করে যাচ্ছিলেন নিরবচ্ছিন্ন। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ২০১৯-২০ সালের দিকে হঠাৎ তাঁর শরীরে এক রোগ দেখা দেয়। রোগের ধরন অনেকটা বিরল–মস্তিষ্কের রগগুলো শুকিয়ে রক্তশূন্য হতে থাকে ক্রমেই। এর প্রভাব পড়ে পুরো শরীরে। আগের মতো সবকিছু মনে রাখতে পারেন না। কথা বলতে কষ্ট হয়। শরীরে কাঁপুনি আসে। ধীরে ধীরে হাঁটাচলাও কঠিন হয়ে যায়। এমনকি শরীরে প্যারালাইসিসের প্রভাবও দেখা দেয়। অনেক ধরনের চিকিৎসা নেওয়া হয়, ডাক্তার দেখানো হয়। কিন্তু কোনো প্রতিকার হয় না। এই মরণব্যাধি মাত্র দুই-তিন বছরে একদম অচলাবস্থায় নিয়ে যায় তাঁকে। অনেক সময় হুইল চেয়ারেও চলতে হতো। বিশাল এক কর্মবীরকে চোখের সামনে এভাবেই স্থবির হতে দেখে সবাই।
প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) সর্বদা তাঁর দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। এই সব রোগ-ব্যাধির মাঝেও সকল দায়িত্ব যথাসময়ে পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন। যখন থেকে দায়িত্ব আদায়ে ত্রুটি অনুভব করছিলেন, তখন থেকেই মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি নিতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাঁর প্রতি সদয় হয়ে দরস ও দায়িত্ব কমিয়ে প্রতিবারই অব্যাহতির অনুরোধ নাকচ করে দিচ্ছিল। শায়খের খেদমতের সুবিধার্থে তাঁর স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু মাদ্রাসার বেতন ভোগ করে আগের মতো দায়িত্ব পালন করতে না পারায় তাঁর ভেতরে এক ধরনের পীড়া কাজ করত। তাই সর্বশেষ ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত অব্যাহতি নিয়ে গ্রামে চলে যান।
গ্রামীণ আলো-বাতাস ও প্রাকৃতিক পরিবেশে কিছুদিন থাকার পরে আগের তুলনায় কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। কিছুটা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এই সময়ে নিজ উস্তাদ আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরীর আগ্রহে তাঁর প্রতিষ্ঠিত নূরে মদীনা মাদ্রাসায় কিছুদিন দরস দেন। কিন্তু কিছুদিন পরে ফের শরীর খারাপ করলে এখান থেকেও অব্যাহতি নিয়ে চলে আসেন। এরপর আমৃত্যু বাড়িতেই কাটান তিনি।
ইন্তেকাল: গত ১২ মে তিনি হার্ট অ্যাটাক করলে তাঁকে সিলেট মাউন্ট এডোরা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতালেই রাখা হয়। সেখানেই প্রায় ৬ দিন পরে ১৮ মে সকাল ৭.৪৫ মিনিটে তিনি ইহকালের সফর সমাপ্ত করে পরকালের যাত্রা শুরু করেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শায়খের চিরসজীব হাস্যোজ্জ্বল চেহারা দেখে কবির এই পংক্তিটিই বারবার মনে পড়ছিল–
‘এমন জীবন তুমি করিও গঠন,
মরিলে হাসিবে তুমি, কাঁদিবে ভুবন!’
জানাজা: ওই দিনই বাদ আসর জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়। জানাজায় দূর-দুরান্ত থেকে তাঁর ছাত্র, ভক্ত, গুণমুগ্ধরা অংশ নেন। তাঁর সর্বশেষ কর্মস্থল ঢাকা থেকে শতাধিক ছাত্রের এক কাফেলা অংশগ্রহণ করে। কর্মস্থলসমূহের সহকর্মীরাও তাঁকে বিদায় জানাতে আসেন। জানাজার ইমামতি করেন মরহুমের ছোট ছেলে হাফেজ বোরহান চৌধুরী। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতার পাশেই দাফন করা হয়।

মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.)। একজন আদর্শ শিক্ষক। ছাত্র গড়ার কারিগর। ইলম ও আমলের একজন অপূর্ব সমন্বয়ক। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামেউল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল ও শিক্ষাসচিব। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য অনেক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার প্রায় তিন যুগের অধ্যাপনা। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন অত্যন্ত ভদ্র, সজ্জন ও সম্ভ্রান্ত। সবার মন জয় করে চলার চমৎকার এক গুণ ছিল তাঁর মাঝে। চলতি বছরের গত ১৮ মে (রবিবার) তিনি দুনিয়ার সফর শেষ করে পরপারে পাড়ি জমান।
৫৮ বছর হায়াত পেয়েছিলেন মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.)। অল্প সময়ের বর্ণাঢ্য এক জীবনের অধিকারী ছিলেন তিনি। প্রধানত শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতা করেছেন সৌদি আরব, ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের প্রসিদ্ধ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে। বিস্তৃত কর্মজীবনের সুবাদে দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য ছাত্র-শিষ্য, ভক্ত ও অনুরাগী ছড়িয়ে আছে। শায়খের ইন্তেকালে সকলের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। কর্মজীবনের ব্যস্ততা ও দূরত্ব-সহ নানাবিধ কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও জানাজায় শরিক হতে পারেননি অনেকে। দূর থেকেই প্রিয় শিক্ষকের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করেছেন
জন্ম: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) ১৯৬৭ সনের ২৭ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার হিয়ালা গ্রামের স্বনামধন্য চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মাওলানা হারুনুর রশীদ চৌধুরী। পারিবারিকভাবে তাঁরা খুবই সম্ভ্রান্ত, ভদ্র ও সুশিক্ষিত ছিলেন।
শিক্ষাদীক্ষা: তিনি প্রথম জীবনে কিছুদিন কিশোরগঞ্জে তাঁর বাবার কাছে থেকে পড়াশোনা করেন। এরপরে হবিগঞ্জ সদরের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রায়ধর মাদ্রাসায় মক্তব বিভাগে ভর্তি হন। তৎকালীন বাংলাদেশে, বিশেষত সিলেট অঞ্চলে এই মাদ্রাসার খুব সুনাম-সুখ্যাতি ছিল। বড় বড় মনীষী আলেম এখানে পড়াশোনা করেছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাওলানা তাফাজ্জল হক হবিগঞ্জী, মুফতি তাজুল ইসলাম (আরজাবাদ), মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী প্রমুখ। মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) একাধারে শরহে জামি পর্যন্ত সুনাম ও কৃতিত্বের সঙ্গে এখানে পড়াশোনা করেন। এরপর মেশকাত জামাত পর্যন্ত পড়েন বাহুবল কাসিমুল উলুম মাদ্রাসায়। এখান থেকে ১৯৮৮ সনে মেশকাতের পরীক্ষায় ‘দ্বীনি শিক্ষা বোর্ড হবিগঞ্জ’-এ প্রথম স্থান অধিকার করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। সর্বশেষ দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস পড়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটান।
কর্মজীবন: ১৯৮৯ সনে ছাত্র জীবন শেষ হলে ওই বছরই কর্মের ময়দানে নেমে পড়েন। তাঁর কৃতিত্বের কারণে ছাত্র জীবনের ২য় প্রতিষ্ঠান কাসিমুল উলুম বাহুবল মাদ্রাসা থেকে ডাক আসে। উস্তাদদের পরামর্শে এখানে চলে আসেন। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত টানা ১১ বছর মুহাদ্দিস হিসেবে সেখানে কর্মরত থাকেন। এরপরে আল্লামা তাফাজ্জল হক হবিগঞ্জী (রহ.) পরিচালিত জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া উমেদনগর মাদ্রাসায় মুহাদ্দিস হিসেবে যোগ দেন। সেখানে দুই বছর অধ্যাপনা করে সৌদি আরব পাড়ি জমান। সেখানে ‘হাইয়া আমর বিল মারুফ একাডেমিতে’ ইসলাম প্রচারক ও শিক্ষক হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর দেশে ফিরে পুনরায় উমেদনগর মাদ্রাসায় পূর্বের পদে যোগদান করেন। ২০০৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী দারুল আরকাম মাদ্রাসায় মুহাদ্দিস ও মুফাসসির হিসেবে যুক্ত হোন। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা মাদ্রাসায়ও হাদিসের পাঠদান করেন।
২০০৭ সালের শুরুতে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামেউল উলুম মাদ্রাসার নাজেমে তালিমাত বা শিক্ষাসচিব পদ শূন্য হলে একজন চতুর্মুখী জ্ঞান ও গুণের অধিকারী সুযোগ্য লোকের প্রয়োজন দেখা দেয়। তখন তাঁর বাল্যবন্ধু এবং দীর্ঘদিনের সহপাঠী, জামেউল উলুম মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি আবদুল আজিজ কাসেমী তাঁকে ঢাকায় আসার পরামর্শ দেন। এবং জামেউল উলুম কর্তৃপক্ষ উক্ত পদের জন্য তাঁকে উপযুক্ত মনে করে নিয়োগ কনফার্ম করে। ভাইস প্রিন্সিপাল ও নাজেমে তালিমাত হিসেবে রাজধানীতে তাঁর নতুন কর্মজীবনের সূচনা হয়। সেখানে তিনি সহিহ্ বুখারি, সহিহ্ মুসলিম ও হেদায়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কিতাবসমূহ পাঠদান করেন।
পারিবারিক জীবন: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। বড় ছেলে আদনান ইতালিপ্রবাসী। ছোট ছেলে হাফেজ বোরহান মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। দুই মেয়ের স্বামীরা যোগ্য আলেম এবং কর্মজীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত।
গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম: তিনি মূলত একজন শিক্ষাবিদ আলেম ছিলেন। শিক্ষা কেন্দ্রিক তাঁর অনেক গবেষণা ও কর্ম রয়েছে। হবিগঞ্জ দ্বীনি শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন দুই বছর। তাঁর উস্তাদ আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরীর প্রতিষ্ঠিত আল-ফারুক ইসলামি গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘদিন। গবেষণার সুবিধার্থে বাড়িতে স্বতন্ত্র পাঠাগার গড়ে তোলেন বড় পরিসরে। এ ছাড়া কর্মস্থল ঢাকাতেও বইপত্রের বিশাল সমাহার ছিল তাঁর।
সামাজিক অবদান: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) জীবনভর শিক্ষকতা করেছেন দেশ-বিদেশে। ফলে নিজ এলাকায় থাকা হয়েছে খুব কম সময়। তবু শেকড়ের টানে গ্রামের মানুষদের জন্য কিছু করার চিন্তা সব সময় তাঁকে তাড়িয়ে বেড়াত। সে থেকেই তিনি সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হোন। নিজ গ্রামের ‘হিয়ালা তাফসীরুল কোরআন ও ইসলামি সমাজকল্যাণ পরিষদ’র সভাপতি ছিলেন এক যুগেরও অধিক সময়।
রচনাবলি: অধ্যাপনা ও গবেষণার পাশাপাশি মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) বেশ কিছু কিতাব রচনা করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য–
১. دراسة المكرم على مقدمة مسلم
২. تقليد المذاهب الأربعة
৩. تعريف اثبت الكلام في القرائة خلف الإمام
৪. খোলাসাতুন্নাহু
৫. স্বপ্ন ব্যাখ্যার মূলনীতি
অসুস্থতা: নিভৃতচারী এ শিক্ষাবিদ দ্বীনের খেদমত করে যাচ্ছিলেন নিরবচ্ছিন্ন। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ২০১৯-২০ সালের দিকে হঠাৎ তাঁর শরীরে এক রোগ দেখা দেয়। রোগের ধরন অনেকটা বিরল–মস্তিষ্কের রগগুলো শুকিয়ে রক্তশূন্য হতে থাকে ক্রমেই। এর প্রভাব পড়ে পুরো শরীরে। আগের মতো সবকিছু মনে রাখতে পারেন না। কথা বলতে কষ্ট হয়। শরীরে কাঁপুনি আসে। ধীরে ধীরে হাঁটাচলাও কঠিন হয়ে যায়। এমনকি শরীরে প্যারালাইসিসের প্রভাবও দেখা দেয়। অনেক ধরনের চিকিৎসা নেওয়া হয়, ডাক্তার দেখানো হয়। কিন্তু কোনো প্রতিকার হয় না। এই মরণব্যাধি মাত্র দুই-তিন বছরে একদম অচলাবস্থায় নিয়ে যায় তাঁকে। অনেক সময় হুইল চেয়ারেও চলতে হতো। বিশাল এক কর্মবীরকে চোখের সামনে এভাবেই স্থবির হতে দেখে সবাই।
প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) সর্বদা তাঁর দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। এই সব রোগ-ব্যাধির মাঝেও সকল দায়িত্ব যথাসময়ে পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন। যখন থেকে দায়িত্ব আদায়ে ত্রুটি অনুভব করছিলেন, তখন থেকেই মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি নিতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাঁর প্রতি সদয় হয়ে দরস ও দায়িত্ব কমিয়ে প্রতিবারই অব্যাহতির অনুরোধ নাকচ করে দিচ্ছিল। শায়খের খেদমতের সুবিধার্থে তাঁর স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু মাদ্রাসার বেতন ভোগ করে আগের মতো দায়িত্ব পালন করতে না পারায় তাঁর ভেতরে এক ধরনের পীড়া কাজ করত। তাই সর্বশেষ ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত অব্যাহতি নিয়ে গ্রামে চলে যান।
গ্রামীণ আলো-বাতাস ও প্রাকৃতিক পরিবেশে কিছুদিন থাকার পরে আগের তুলনায় কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। কিছুটা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এই সময়ে নিজ উস্তাদ আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরীর আগ্রহে তাঁর প্রতিষ্ঠিত নূরে মদীনা মাদ্রাসায় কিছুদিন দরস দেন। কিন্তু কিছুদিন পরে ফের শরীর খারাপ করলে এখান থেকেও অব্যাহতি নিয়ে চলে আসেন। এরপর আমৃত্যু বাড়িতেই কাটান তিনি।
ইন্তেকাল: গত ১২ মে তিনি হার্ট অ্যাটাক করলে তাঁকে সিলেট মাউন্ট এডোরা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতালেই রাখা হয়। সেখানেই প্রায় ৬ দিন পরে ১৮ মে সকাল ৭.৪৫ মিনিটে তিনি ইহকালের সফর সমাপ্ত করে পরকালের যাত্রা শুরু করেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শায়খের চিরসজীব হাস্যোজ্জ্বল চেহারা দেখে কবির এই পংক্তিটিই বারবার মনে পড়ছিল–
‘এমন জীবন তুমি করিও গঠন,
মরিলে হাসিবে তুমি, কাঁদিবে ভুবন!’
জানাজা: ওই দিনই বাদ আসর জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়। জানাজায় দূর-দুরান্ত থেকে তাঁর ছাত্র, ভক্ত, গুণমুগ্ধরা অংশ নেন। তাঁর সর্বশেষ কর্মস্থল ঢাকা থেকে শতাধিক ছাত্রের এক কাফেলা অংশগ্রহণ করে। কর্মস্থলসমূহের সহকর্মীরাও তাঁকে বিদায় জানাতে আসেন। জানাজার ইমামতি করেন মরহুমের ছোট ছেলে হাফেজ বোরহান চৌধুরী। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতার পাশেই দাফন করা হয়।
হেদায়াতুল্লাহ বিন হাবিব, ঢাকা

মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.)। একজন আদর্শ শিক্ষক। ছাত্র গড়ার কারিগর। ইলম ও আমলের একজন অপূর্ব সমন্বয়ক। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামেউল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল ও শিক্ষাসচিব। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য অনেক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার প্রায় তিন যুগের অধ্যাপনা। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন অত্যন্ত ভদ্র, সজ্জন ও সম্ভ্রান্ত। সবার মন জয় করে চলার চমৎকার এক গুণ ছিল তাঁর মাঝে। চলতি বছরের গত ১৮ মে (রবিবার) তিনি দুনিয়ার সফর শেষ করে পরপারে পাড়ি জমান।
৫৮ বছর হায়াত পেয়েছিলেন মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.)। অল্প সময়ের বর্ণাঢ্য এক জীবনের অধিকারী ছিলেন তিনি। প্রধানত শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতা করেছেন সৌদি আরব, ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের প্রসিদ্ধ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে। বিস্তৃত কর্মজীবনের সুবাদে দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য ছাত্র-শিষ্য, ভক্ত ও অনুরাগী ছড়িয়ে আছে। শায়খের ইন্তেকালে সকলের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। কর্মজীবনের ব্যস্ততা ও দূরত্ব-সহ নানাবিধ কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও জানাজায় শরিক হতে পারেননি অনেকে। দূর থেকেই প্রিয় শিক্ষকের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করেছেন
জন্ম: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) ১৯৬৭ সনের ২৭ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার হিয়ালা গ্রামের স্বনামধন্য চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মাওলানা হারুনুর রশীদ চৌধুরী। পারিবারিকভাবে তাঁরা খুবই সম্ভ্রান্ত, ভদ্র ও সুশিক্ষিত ছিলেন।
শিক্ষাদীক্ষা: তিনি প্রথম জীবনে কিছুদিন কিশোরগঞ্জে তাঁর বাবার কাছে থেকে পড়াশোনা করেন। এরপরে হবিগঞ্জ সদরের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রায়ধর মাদ্রাসায় মক্তব বিভাগে ভর্তি হন। তৎকালীন বাংলাদেশে, বিশেষত সিলেট অঞ্চলে এই মাদ্রাসার খুব সুনাম-সুখ্যাতি ছিল। বড় বড় মনীষী আলেম এখানে পড়াশোনা করেছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাওলানা তাফাজ্জল হক হবিগঞ্জী, মুফতি তাজুল ইসলাম (আরজাবাদ), মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী প্রমুখ। মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) একাধারে শরহে জামি পর্যন্ত সুনাম ও কৃতিত্বের সঙ্গে এখানে পড়াশোনা করেন। এরপর মেশকাত জামাত পর্যন্ত পড়েন বাহুবল কাসিমুল উলুম মাদ্রাসায়। এখান থেকে ১৯৮৮ সনে মেশকাতের পরীক্ষায় ‘দ্বীনি শিক্ষা বোর্ড হবিগঞ্জ’-এ প্রথম স্থান অধিকার করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। সর্বশেষ দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস পড়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটান।
কর্মজীবন: ১৯৮৯ সনে ছাত্র জীবন শেষ হলে ওই বছরই কর্মের ময়দানে নেমে পড়েন। তাঁর কৃতিত্বের কারণে ছাত্র জীবনের ২য় প্রতিষ্ঠান কাসিমুল উলুম বাহুবল মাদ্রাসা থেকে ডাক আসে। উস্তাদদের পরামর্শে এখানে চলে আসেন। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত টানা ১১ বছর মুহাদ্দিস হিসেবে সেখানে কর্মরত থাকেন। এরপরে আল্লামা তাফাজ্জল হক হবিগঞ্জী (রহ.) পরিচালিত জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া উমেদনগর মাদ্রাসায় মুহাদ্দিস হিসেবে যোগ দেন। সেখানে দুই বছর অধ্যাপনা করে সৌদি আরব পাড়ি জমান। সেখানে ‘হাইয়া আমর বিল মারুফ একাডেমিতে’ ইসলাম প্রচারক ও শিক্ষক হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর দেশে ফিরে পুনরায় উমেদনগর মাদ্রাসায় পূর্বের পদে যোগদান করেন। ২০০৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী দারুল আরকাম মাদ্রাসায় মুহাদ্দিস ও মুফাসসির হিসেবে যুক্ত হোন। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা মাদ্রাসায়ও হাদিসের পাঠদান করেন।
২০০৭ সালের শুরুতে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামেউল উলুম মাদ্রাসার নাজেমে তালিমাত বা শিক্ষাসচিব পদ শূন্য হলে একজন চতুর্মুখী জ্ঞান ও গুণের অধিকারী সুযোগ্য লোকের প্রয়োজন দেখা দেয়। তখন তাঁর বাল্যবন্ধু এবং দীর্ঘদিনের সহপাঠী, জামেউল উলুম মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি আবদুল আজিজ কাসেমী তাঁকে ঢাকায় আসার পরামর্শ দেন। এবং জামেউল উলুম কর্তৃপক্ষ উক্ত পদের জন্য তাঁকে উপযুক্ত মনে করে নিয়োগ কনফার্ম করে। ভাইস প্রিন্সিপাল ও নাজেমে তালিমাত হিসেবে রাজধানীতে তাঁর নতুন কর্মজীবনের সূচনা হয়। সেখানে তিনি সহিহ্ বুখারি, সহিহ্ মুসলিম ও হেদায়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কিতাবসমূহ পাঠদান করেন।
পারিবারিক জীবন: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। বড় ছেলে আদনান ইতালিপ্রবাসী। ছোট ছেলে হাফেজ বোরহান মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। দুই মেয়ের স্বামীরা যোগ্য আলেম এবং কর্মজীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত।
গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম: তিনি মূলত একজন শিক্ষাবিদ আলেম ছিলেন। শিক্ষা কেন্দ্রিক তাঁর অনেক গবেষণা ও কর্ম রয়েছে। হবিগঞ্জ দ্বীনি শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন দুই বছর। তাঁর উস্তাদ আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরীর প্রতিষ্ঠিত আল-ফারুক ইসলামি গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘদিন। গবেষণার সুবিধার্থে বাড়িতে স্বতন্ত্র পাঠাগার গড়ে তোলেন বড় পরিসরে। এ ছাড়া কর্মস্থল ঢাকাতেও বইপত্রের বিশাল সমাহার ছিল তাঁর।
সামাজিক অবদান: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) জীবনভর শিক্ষকতা করেছেন দেশ-বিদেশে। ফলে নিজ এলাকায় থাকা হয়েছে খুব কম সময়। তবু শেকড়ের টানে গ্রামের মানুষদের জন্য কিছু করার চিন্তা সব সময় তাঁকে তাড়িয়ে বেড়াত। সে থেকেই তিনি সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হোন। নিজ গ্রামের ‘হিয়ালা তাফসীরুল কোরআন ও ইসলামি সমাজকল্যাণ পরিষদ’র সভাপতি ছিলেন এক যুগেরও অধিক সময়।
রচনাবলি: অধ্যাপনা ও গবেষণার পাশাপাশি মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) বেশ কিছু কিতাব রচনা করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য–
১. دراسة المكرم على مقدمة مسلم
২. تقليد المذاهب الأربعة
৩. تعريف اثبت الكلام في القرائة خلف الإمام
৪. খোলাসাতুন্নাহু
৫. স্বপ্ন ব্যাখ্যার মূলনীতি
অসুস্থতা: নিভৃতচারী এ শিক্ষাবিদ দ্বীনের খেদমত করে যাচ্ছিলেন নিরবচ্ছিন্ন। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ২০১৯-২০ সালের দিকে হঠাৎ তাঁর শরীরে এক রোগ দেখা দেয়। রোগের ধরন অনেকটা বিরল–মস্তিষ্কের রগগুলো শুকিয়ে রক্তশূন্য হতে থাকে ক্রমেই। এর প্রভাব পড়ে পুরো শরীরে। আগের মতো সবকিছু মনে রাখতে পারেন না। কথা বলতে কষ্ট হয়। শরীরে কাঁপুনি আসে। ধীরে ধীরে হাঁটাচলাও কঠিন হয়ে যায়। এমনকি শরীরে প্যারালাইসিসের প্রভাবও দেখা দেয়। অনেক ধরনের চিকিৎসা নেওয়া হয়, ডাক্তার দেখানো হয়। কিন্তু কোনো প্রতিকার হয় না। এই মরণব্যাধি মাত্র দুই-তিন বছরে একদম অচলাবস্থায় নিয়ে যায় তাঁকে। অনেক সময় হুইল চেয়ারেও চলতে হতো। বিশাল এক কর্মবীরকে চোখের সামনে এভাবেই স্থবির হতে দেখে সবাই।
প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) সর্বদা তাঁর দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। এই সব রোগ-ব্যাধির মাঝেও সকল দায়িত্ব যথাসময়ে পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন। যখন থেকে দায়িত্ব আদায়ে ত্রুটি অনুভব করছিলেন, তখন থেকেই মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি নিতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাঁর প্রতি সদয় হয়ে দরস ও দায়িত্ব কমিয়ে প্রতিবারই অব্যাহতির অনুরোধ নাকচ করে দিচ্ছিল। শায়খের খেদমতের সুবিধার্থে তাঁর স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু মাদ্রাসার বেতন ভোগ করে আগের মতো দায়িত্ব পালন করতে না পারায় তাঁর ভেতরে এক ধরনের পীড়া কাজ করত। তাই সর্বশেষ ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত অব্যাহতি নিয়ে গ্রামে চলে যান।
গ্রামীণ আলো-বাতাস ও প্রাকৃতিক পরিবেশে কিছুদিন থাকার পরে আগের তুলনায় কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। কিছুটা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এই সময়ে নিজ উস্তাদ আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরীর আগ্রহে তাঁর প্রতিষ্ঠিত নূরে মদীনা মাদ্রাসায় কিছুদিন দরস দেন। কিন্তু কিছুদিন পরে ফের শরীর খারাপ করলে এখান থেকেও অব্যাহতি নিয়ে চলে আসেন। এরপর আমৃত্যু বাড়িতেই কাটান তিনি।
ইন্তেকাল: গত ১২ মে তিনি হার্ট অ্যাটাক করলে তাঁকে সিলেট মাউন্ট এডোরা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতালেই রাখা হয়। সেখানেই প্রায় ৬ দিন পরে ১৮ মে সকাল ৭.৪৫ মিনিটে তিনি ইহকালের সফর সমাপ্ত করে পরকালের যাত্রা শুরু করেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শায়খের চিরসজীব হাস্যোজ্জ্বল চেহারা দেখে কবির এই পংক্তিটিই বারবার মনে পড়ছিল–
‘এমন জীবন তুমি করিও গঠন,
মরিলে হাসিবে তুমি, কাঁদিবে ভুবন!’
জানাজা: ওই দিনই বাদ আসর জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়। জানাজায় দূর-দুরান্ত থেকে তাঁর ছাত্র, ভক্ত, গুণমুগ্ধরা অংশ নেন। তাঁর সর্বশেষ কর্মস্থল ঢাকা থেকে শতাধিক ছাত্রের এক কাফেলা অংশগ্রহণ করে। কর্মস্থলসমূহের সহকর্মীরাও তাঁকে বিদায় জানাতে আসেন। জানাজার ইমামতি করেন মরহুমের ছোট ছেলে হাফেজ বোরহান চৌধুরী। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতার পাশেই দাফন করা হয়।

মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.)। একজন আদর্শ শিক্ষক। ছাত্র গড়ার কারিগর। ইলম ও আমলের একজন অপূর্ব সমন্বয়ক। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামেউল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল ও শিক্ষাসচিব। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য অনেক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার প্রায় তিন যুগের অধ্যাপনা। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন অত্যন্ত ভদ্র, সজ্জন ও সম্ভ্রান্ত। সবার মন জয় করে চলার চমৎকার এক গুণ ছিল তাঁর মাঝে। চলতি বছরের গত ১৮ মে (রবিবার) তিনি দুনিয়ার সফর শেষ করে পরপারে পাড়ি জমান।
৫৮ বছর হায়াত পেয়েছিলেন মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.)। অল্প সময়ের বর্ণাঢ্য এক জীবনের অধিকারী ছিলেন তিনি। প্রধানত শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতা করেছেন সৌদি আরব, ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের প্রসিদ্ধ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে। বিস্তৃত কর্মজীবনের সুবাদে দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য ছাত্র-শিষ্য, ভক্ত ও অনুরাগী ছড়িয়ে আছে। শায়খের ইন্তেকালে সকলের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। কর্মজীবনের ব্যস্ততা ও দূরত্ব-সহ নানাবিধ কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও জানাজায় শরিক হতে পারেননি অনেকে। দূর থেকেই প্রিয় শিক্ষকের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করেছেন
জন্ম: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) ১৯৬৭ সনের ২৭ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার হিয়ালা গ্রামের স্বনামধন্য চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মাওলানা হারুনুর রশীদ চৌধুরী। পারিবারিকভাবে তাঁরা খুবই সম্ভ্রান্ত, ভদ্র ও সুশিক্ষিত ছিলেন।
শিক্ষাদীক্ষা: তিনি প্রথম জীবনে কিছুদিন কিশোরগঞ্জে তাঁর বাবার কাছে থেকে পড়াশোনা করেন। এরপরে হবিগঞ্জ সদরের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রায়ধর মাদ্রাসায় মক্তব বিভাগে ভর্তি হন। তৎকালীন বাংলাদেশে, বিশেষত সিলেট অঞ্চলে এই মাদ্রাসার খুব সুনাম-সুখ্যাতি ছিল। বড় বড় মনীষী আলেম এখানে পড়াশোনা করেছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাওলানা তাফাজ্জল হক হবিগঞ্জী, মুফতি তাজুল ইসলাম (আরজাবাদ), মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী প্রমুখ। মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) একাধারে শরহে জামি পর্যন্ত সুনাম ও কৃতিত্বের সঙ্গে এখানে পড়াশোনা করেন। এরপর মেশকাত জামাত পর্যন্ত পড়েন বাহুবল কাসিমুল উলুম মাদ্রাসায়। এখান থেকে ১৯৮৮ সনে মেশকাতের পরীক্ষায় ‘দ্বীনি শিক্ষা বোর্ড হবিগঞ্জ’-এ প্রথম স্থান অধিকার করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। সর্বশেষ দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস পড়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটান।
কর্মজীবন: ১৯৮৯ সনে ছাত্র জীবন শেষ হলে ওই বছরই কর্মের ময়দানে নেমে পড়েন। তাঁর কৃতিত্বের কারণে ছাত্র জীবনের ২য় প্রতিষ্ঠান কাসিমুল উলুম বাহুবল মাদ্রাসা থেকে ডাক আসে। উস্তাদদের পরামর্শে এখানে চলে আসেন। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত টানা ১১ বছর মুহাদ্দিস হিসেবে সেখানে কর্মরত থাকেন। এরপরে আল্লামা তাফাজ্জল হক হবিগঞ্জী (রহ.) পরিচালিত জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া উমেদনগর মাদ্রাসায় মুহাদ্দিস হিসেবে যোগ দেন। সেখানে দুই বছর অধ্যাপনা করে সৌদি আরব পাড়ি জমান। সেখানে ‘হাইয়া আমর বিল মারুফ একাডেমিতে’ ইসলাম প্রচারক ও শিক্ষক হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর দেশে ফিরে পুনরায় উমেদনগর মাদ্রাসায় পূর্বের পদে যোগদান করেন। ২০০৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী দারুল আরকাম মাদ্রাসায় মুহাদ্দিস ও মুফাসসির হিসেবে যুক্ত হোন। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা মাদ্রাসায়ও হাদিসের পাঠদান করেন।
২০০৭ সালের শুরুতে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামেউল উলুম মাদ্রাসার নাজেমে তালিমাত বা শিক্ষাসচিব পদ শূন্য হলে একজন চতুর্মুখী জ্ঞান ও গুণের অধিকারী সুযোগ্য লোকের প্রয়োজন দেখা দেয়। তখন তাঁর বাল্যবন্ধু এবং দীর্ঘদিনের সহপাঠী, জামেউল উলুম মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি আবদুল আজিজ কাসেমী তাঁকে ঢাকায় আসার পরামর্শ দেন। এবং জামেউল উলুম কর্তৃপক্ষ উক্ত পদের জন্য তাঁকে উপযুক্ত মনে করে নিয়োগ কনফার্ম করে। ভাইস প্রিন্সিপাল ও নাজেমে তালিমাত হিসেবে রাজধানীতে তাঁর নতুন কর্মজীবনের সূচনা হয়। সেখানে তিনি সহিহ্ বুখারি, সহিহ্ মুসলিম ও হেদায়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কিতাবসমূহ পাঠদান করেন।
পারিবারিক জীবন: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। বড় ছেলে আদনান ইতালিপ্রবাসী। ছোট ছেলে হাফেজ বোরহান মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। দুই মেয়ের স্বামীরা যোগ্য আলেম এবং কর্মজীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত।
গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম: তিনি মূলত একজন শিক্ষাবিদ আলেম ছিলেন। শিক্ষা কেন্দ্রিক তাঁর অনেক গবেষণা ও কর্ম রয়েছে। হবিগঞ্জ দ্বীনি শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন দুই বছর। তাঁর উস্তাদ আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরীর প্রতিষ্ঠিত আল-ফারুক ইসলামি গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘদিন। গবেষণার সুবিধার্থে বাড়িতে স্বতন্ত্র পাঠাগার গড়ে তোলেন বড় পরিসরে। এ ছাড়া কর্মস্থল ঢাকাতেও বইপত্রের বিশাল সমাহার ছিল তাঁর।
সামাজিক অবদান: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) জীবনভর শিক্ষকতা করেছেন দেশ-বিদেশে। ফলে নিজ এলাকায় থাকা হয়েছে খুব কম সময়। তবু শেকড়ের টানে গ্রামের মানুষদের জন্য কিছু করার চিন্তা সব সময় তাঁকে তাড়িয়ে বেড়াত। সে থেকেই তিনি সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হোন। নিজ গ্রামের ‘হিয়ালা তাফসীরুল কোরআন ও ইসলামি সমাজকল্যাণ পরিষদ’র সভাপতি ছিলেন এক যুগেরও অধিক সময়।
রচনাবলি: অধ্যাপনা ও গবেষণার পাশাপাশি মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) বেশ কিছু কিতাব রচনা করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য–
১. دراسة المكرم على مقدمة مسلم
২. تقليد المذاهب الأربعة
৩. تعريف اثبت الكلام في القرائة خلف الإمام
৪. খোলাসাতুন্নাহু
৫. স্বপ্ন ব্যাখ্যার মূলনীতি
অসুস্থতা: নিভৃতচারী এ শিক্ষাবিদ দ্বীনের খেদমত করে যাচ্ছিলেন নিরবচ্ছিন্ন। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ২০১৯-২০ সালের দিকে হঠাৎ তাঁর শরীরে এক রোগ দেখা দেয়। রোগের ধরন অনেকটা বিরল–মস্তিষ্কের রগগুলো শুকিয়ে রক্তশূন্য হতে থাকে ক্রমেই। এর প্রভাব পড়ে পুরো শরীরে। আগের মতো সবকিছু মনে রাখতে পারেন না। কথা বলতে কষ্ট হয়। শরীরে কাঁপুনি আসে। ধীরে ধীরে হাঁটাচলাও কঠিন হয়ে যায়। এমনকি শরীরে প্যারালাইসিসের প্রভাবও দেখা দেয়। অনেক ধরনের চিকিৎসা নেওয়া হয়, ডাক্তার দেখানো হয়। কিন্তু কোনো প্রতিকার হয় না। এই মরণব্যাধি মাত্র দুই-তিন বছরে একদম অচলাবস্থায় নিয়ে যায় তাঁকে। অনেক সময় হুইল চেয়ারেও চলতে হতো। বিশাল এক কর্মবীরকে চোখের সামনে এভাবেই স্থবির হতে দেখে সবাই।
প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি: মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.) সর্বদা তাঁর দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। এই সব রোগ-ব্যাধির মাঝেও সকল দায়িত্ব যথাসময়ে পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন। যখন থেকে দায়িত্ব আদায়ে ত্রুটি অনুভব করছিলেন, তখন থেকেই মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি নিতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাঁর প্রতি সদয় হয়ে দরস ও দায়িত্ব কমিয়ে প্রতিবারই অব্যাহতির অনুরোধ নাকচ করে দিচ্ছিল। শায়খের খেদমতের সুবিধার্থে তাঁর স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু মাদ্রাসার বেতন ভোগ করে আগের মতো দায়িত্ব পালন করতে না পারায় তাঁর ভেতরে এক ধরনের পীড়া কাজ করত। তাই সর্বশেষ ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত অব্যাহতি নিয়ে গ্রামে চলে যান।
গ্রামীণ আলো-বাতাস ও প্রাকৃতিক পরিবেশে কিছুদিন থাকার পরে আগের তুলনায় কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। কিছুটা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এই সময়ে নিজ উস্তাদ আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরীর আগ্রহে তাঁর প্রতিষ্ঠিত নূরে মদীনা মাদ্রাসায় কিছুদিন দরস দেন। কিন্তু কিছুদিন পরে ফের শরীর খারাপ করলে এখান থেকেও অব্যাহতি নিয়ে চলে আসেন। এরপর আমৃত্যু বাড়িতেই কাটান তিনি।
ইন্তেকাল: গত ১২ মে তিনি হার্ট অ্যাটাক করলে তাঁকে সিলেট মাউন্ট এডোরা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতালেই রাখা হয়। সেখানেই প্রায় ৬ দিন পরে ১৮ মে সকাল ৭.৪৫ মিনিটে তিনি ইহকালের সফর সমাপ্ত করে পরকালের যাত্রা শুরু করেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শায়খের চিরসজীব হাস্যোজ্জ্বল চেহারা দেখে কবির এই পংক্তিটিই বারবার মনে পড়ছিল–
‘এমন জীবন তুমি করিও গঠন,
মরিলে হাসিবে তুমি, কাঁদিবে ভুবন!’
জানাজা: ওই দিনই বাদ আসর জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়। জানাজায় দূর-দুরান্ত থেকে তাঁর ছাত্র, ভক্ত, গুণমুগ্ধরা অংশ নেন। তাঁর সর্বশেষ কর্মস্থল ঢাকা থেকে শতাধিক ছাত্রের এক কাফেলা অংশগ্রহণ করে। কর্মস্থলসমূহের সহকর্মীরাও তাঁকে বিদায় জানাতে আসেন। জানাজার ইমামতি করেন মরহুমের ছোট ছেলে হাফেজ বোরহান চৌধুরী। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতার পাশেই দাফন করা হয়।

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.)। একজন আদর্শ শিক্ষক। ছাত্র গড়ার কারিগর। ইলম ও আমলের একজন অপূর্ব সমন্বয়ক। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামেউল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল ও শিক্ষাসচিব। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য অনেক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার প্রায় তিন যুগের অধ্যাপনা। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন অত্যন্ত...
২৬ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.)। একজন আদর্শ শিক্ষক। ছাত্র গড়ার কারিগর। ইলম ও আমলের একজন অপূর্ব সমন্বয়ক। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামেউল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল ও শিক্ষাসচিব। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য অনেক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার প্রায় তিন যুগের অধ্যাপনা। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন অত্যন্ত...
২৬ জুন ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.)। একজন আদর্শ শিক্ষক। ছাত্র গড়ার কারিগর। ইলম ও আমলের একজন অপূর্ব সমন্বয়ক। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামেউল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল ও শিক্ষাসচিব। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য অনেক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার প্রায় তিন যুগের অধ্যাপনা। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন অত্যন্ত...
২৬ জুন ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী (রহ.)। একজন আদর্শ শিক্ষক। ছাত্র গড়ার কারিগর। ইলম ও আমলের একজন অপূর্ব সমন্বয়ক। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামেউল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল ও শিক্ষাসচিব। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য অনেক প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার প্রায় তিন যুগের অধ্যাপনা। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন অত্যন্ত...
২৬ জুন ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে