ইসলাম ডেস্ক

চলে গেলেন আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী (রহ.)। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সমকালীন ইলমি অঙ্গনের এক প্রজ্ঞাবান আলেম, শান্ত স্বভাবের নীরব সাধক এবং তাকওয়া ও ইলমের পথে নিবেদিতপ্রাণ এক রাহবার। ১৯৫৮ সালের ২০ ডিসেম্বর কুমিল্লার চড্ডা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পিতা মৌলভি আব্দুল ওয়াদুদ (রহ.) ছিলেন ধার্মিক ও সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তি। পিতার হাতেই তাঁর পবিত্র ইলমের প্রাথমিক পাঠ শুরু হয় এবং এভাবেই পরিবারের ধর্মীয় পরিবেশ তাঁর চরিত্রে গড়ে তোলে বিনয়, নৈতিকতা ও গভীর আল্লাহভীতি।
শৈশব ও প্রাথমিক শিক্ষা
শৈশব থেকেই আল্লামা কাসেমী (রহ.)-এর মধ্যে আদব-কায়দা ও ইসলামি জ্ঞানের প্রতি গভীর আকর্ষণ স্পষ্ট ছিল। ১৯৬৫ সালে পিতার কাছে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর তিনি নাঙ্গলকোট হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন এবং সেখানে পূর্ণাঙ্গ কোরআন শরিফ মুখস্থ করেন। পরে তিনি শরিয়তপুরের নন্দনসার মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে ওই মাদ্রাসায় তাঁর বড় ভাই আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী (রহ.) মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। বড় ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে তিনি হেদায়াতুন্নাহু পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন নন্দনসার মাদ্রাসায়।
জ্ঞানের সন্ধানে দারুল উলুম দেওবন্দে
এরপর তিনি প্রথমে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী হাটহাজারী মাদ্রাসায় জালালাইন জামাত পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। অতঃপর আরও উচ্চতর জ্ঞানলাভের তীব্র আকাঙ্ক্ষা তাঁকে নিয়ে যায় বিশ্বখ্যাত ইসলামি বিদ্যাপীঠ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে। ১৯৮৫ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ফারেগ হওয়া তাঁর ইলমি জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি।
দেওবন্দে তিনি বহু খ্যাতনামা আলেমের সান্নিধ্য লাভ করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন—মাওলানা রিয়াসাত আলী বিজনুরি (রহ.), মাওলানা কামরুদ্দিন (রহ.), মুফতি সাইদ আহমদ পালনপুরি (রহ.) ও মাওলানা আবদুল খালেক মাদরাজি (রহ.)। তাঁদের সাহচর্য ও দীক্ষা তাঁর ইলমি দৃষ্টিভঙ্গি, অন্তর্দৃষ্টি ও চিন্তাজগতে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
কর্মজীবন: দরস ও দায়িত্বশীলতা
দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে তিনি ঢাকার রামপুরা চৌধুরীপাড়া মাদ্রাসায় মুহতামিম পদে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে তিনি জামিয়া মাহমুদিয়া ইসহাকিয়া মানিকনগরে নায়েবে মুহতামিম ও শায়খে ছানি হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষাকেন্দ্রের বাইরে তিনি রাজধানীর শাহজাহানপুর মসজিদের দীর্ঘদিনের খতিব হিসেবে ইসলাহি বয়ান, ধর্মীয় শিক্ষা ও নৈতিক জাগরণের আলোকবর্তিকা ছড়িয়ে গেছেন সাধারণ মানুষের হৃদয়ে।
তাঁর দরসে ছিল গভীরতা, ভাষায় ছিল সৌন্দর্য আর বক্তব্যে ছিল আল্লাহভীতি ও নৈতিকতার দিকনির্দেশনা। ছাত্রদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল পিতা ও বন্ধুসুলভ। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর নিকট প্রাথমিক কিতাবাদি অধ্যয়নের।
ব্যক্তিত্ব ও পারিবারিক জীবন
আল্লামা কাসেমী (রহ.) ছিলেন নম্র, বিনয়ী ও প্রচারবিমুখ স্বভাবের। দুর্বল, নিঃস্ব ও অভাবগ্রস্ত মানুষের প্রতি তিনি ছিলেন সহানুভূতিশীল ও সহৃদয়। প্রকাশভঙ্গিতে সরল ও সংযত হলেও তাঁর চিন্তা ও অন্তর্দৃষ্টি ছিল গভীর ও স্থিতিশীল।
পারিবারিক জীবনে তিনি ছিলেন সুখী ও পরিতৃপ্ত। তাঁর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে—যাঁদের মধ্যে দুই ছেলে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে আলেম হয়েছেন এবং বর্তমানে ইলমি অঙ্গনে খেদমত করে যাচ্ছেন।
আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী (রহ.) গতকাল শনিবার (২৯ নভেম্বর) পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন, কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া ইলম, আদব, প্রজ্ঞা, নিষ্ঠা ও ছাত্রদের প্রতি ভালোবাসা—এগুলোই তাঁর প্রকৃত উত্তরাধিকার। এই আলোকিত জীবন ও কর্ম প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আলো ছড়াবে।
আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন।
লেখক: মাওলানা মোস্তফা ওয়াদুদ, শিক্ষক ও মিডিয়া বিভাগীয় প্রধান, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা, ঢাকা।

চলে গেলেন আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী (রহ.)। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সমকালীন ইলমি অঙ্গনের এক প্রজ্ঞাবান আলেম, শান্ত স্বভাবের নীরব সাধক এবং তাকওয়া ও ইলমের পথে নিবেদিতপ্রাণ এক রাহবার। ১৯৫৮ সালের ২০ ডিসেম্বর কুমিল্লার চড্ডা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পিতা মৌলভি আব্দুল ওয়াদুদ (রহ.) ছিলেন ধার্মিক ও সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তি। পিতার হাতেই তাঁর পবিত্র ইলমের প্রাথমিক পাঠ শুরু হয় এবং এভাবেই পরিবারের ধর্মীয় পরিবেশ তাঁর চরিত্রে গড়ে তোলে বিনয়, নৈতিকতা ও গভীর আল্লাহভীতি।
শৈশব ও প্রাথমিক শিক্ষা
শৈশব থেকেই আল্লামা কাসেমী (রহ.)-এর মধ্যে আদব-কায়দা ও ইসলামি জ্ঞানের প্রতি গভীর আকর্ষণ স্পষ্ট ছিল। ১৯৬৫ সালে পিতার কাছে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর তিনি নাঙ্গলকোট হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন এবং সেখানে পূর্ণাঙ্গ কোরআন শরিফ মুখস্থ করেন। পরে তিনি শরিয়তপুরের নন্দনসার মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে ওই মাদ্রাসায় তাঁর বড় ভাই আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী (রহ.) মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। বড় ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে তিনি হেদায়াতুন্নাহু পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন নন্দনসার মাদ্রাসায়।
জ্ঞানের সন্ধানে দারুল উলুম দেওবন্দে
এরপর তিনি প্রথমে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী হাটহাজারী মাদ্রাসায় জালালাইন জামাত পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। অতঃপর আরও উচ্চতর জ্ঞানলাভের তীব্র আকাঙ্ক্ষা তাঁকে নিয়ে যায় বিশ্বখ্যাত ইসলামি বিদ্যাপীঠ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে। ১৯৮৫ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ফারেগ হওয়া তাঁর ইলমি জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি।
দেওবন্দে তিনি বহু খ্যাতনামা আলেমের সান্নিধ্য লাভ করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন—মাওলানা রিয়াসাত আলী বিজনুরি (রহ.), মাওলানা কামরুদ্দিন (রহ.), মুফতি সাইদ আহমদ পালনপুরি (রহ.) ও মাওলানা আবদুল খালেক মাদরাজি (রহ.)। তাঁদের সাহচর্য ও দীক্ষা তাঁর ইলমি দৃষ্টিভঙ্গি, অন্তর্দৃষ্টি ও চিন্তাজগতে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
কর্মজীবন: দরস ও দায়িত্বশীলতা
দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে তিনি ঢাকার রামপুরা চৌধুরীপাড়া মাদ্রাসায় মুহতামিম পদে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে তিনি জামিয়া মাহমুদিয়া ইসহাকিয়া মানিকনগরে নায়েবে মুহতামিম ও শায়খে ছানি হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষাকেন্দ্রের বাইরে তিনি রাজধানীর শাহজাহানপুর মসজিদের দীর্ঘদিনের খতিব হিসেবে ইসলাহি বয়ান, ধর্মীয় শিক্ষা ও নৈতিক জাগরণের আলোকবর্তিকা ছড়িয়ে গেছেন সাধারণ মানুষের হৃদয়ে।
তাঁর দরসে ছিল গভীরতা, ভাষায় ছিল সৌন্দর্য আর বক্তব্যে ছিল আল্লাহভীতি ও নৈতিকতার দিকনির্দেশনা। ছাত্রদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল পিতা ও বন্ধুসুলভ। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর নিকট প্রাথমিক কিতাবাদি অধ্যয়নের।
ব্যক্তিত্ব ও পারিবারিক জীবন
আল্লামা কাসেমী (রহ.) ছিলেন নম্র, বিনয়ী ও প্রচারবিমুখ স্বভাবের। দুর্বল, নিঃস্ব ও অভাবগ্রস্ত মানুষের প্রতি তিনি ছিলেন সহানুভূতিশীল ও সহৃদয়। প্রকাশভঙ্গিতে সরল ও সংযত হলেও তাঁর চিন্তা ও অন্তর্দৃষ্টি ছিল গভীর ও স্থিতিশীল।
পারিবারিক জীবনে তিনি ছিলেন সুখী ও পরিতৃপ্ত। তাঁর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে—যাঁদের মধ্যে দুই ছেলে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে আলেম হয়েছেন এবং বর্তমানে ইলমি অঙ্গনে খেদমত করে যাচ্ছেন।
আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী (রহ.) গতকাল শনিবার (২৯ নভেম্বর) পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন, কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া ইলম, আদব, প্রজ্ঞা, নিষ্ঠা ও ছাত্রদের প্রতি ভালোবাসা—এগুলোই তাঁর প্রকৃত উত্তরাধিকার। এই আলোকিত জীবন ও কর্ম প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আলো ছড়াবে।
আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন।
লেখক: মাওলানা মোস্তফা ওয়াদুদ, শিক্ষক ও মিডিয়া বিভাগীয় প্রধান, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা, ঢাকা।

তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করলেন বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা হাফেজ আনাস বিন আতিক। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ...
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করলেন বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা হাফেজ আনাস বিন আতিক। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয়েছেন আমাদের ছাত্র হাফেজ আনাস বিন আতিক।’

হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
তিনি রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে।
উল্লেখ্য, এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করলেন বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা হাফেজ আনাস বিন আতিক। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয়েছেন আমাদের ছাত্র হাফেজ আনাস বিন আতিক।’

হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
তিনি রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে।
উল্লেখ্য, এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী (রহ.) ছিলেন বাংলাদেশের সমকালীন ইলমি অঙ্গনের এক প্রজ্ঞাবান আলেম, শান্ত স্বভাবের নীরব সাধক এবং তাকওয়া ও ইলমের পথে নিবেদিতপ্রাণ এক রাহবার। ১৯৫৮ সালের ২০ ডিসেম্বর কুমিল্লার চড্ডা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
১১ দিন আগে
যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ...
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ অপরিহার্য।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন সেই সর্বাঙ্গসুন্দর ও নিখুঁত মডেল, যাঁকে আল্লাহ তাআলা মানবজাতির জন্য প্রেরণা ও আদর্শ হিসেবে পাঠিয়েছেন। তাঁর জীবনচরিত শুধু ধর্মীয় বিষয় নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাহ্যিক সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে অন্তর্জগতের পরিশুদ্ধি পর্যন্ত; সবকিছুতে তাঁর আদর্শ অনুসরণীয়। তাঁর জীবনী পাঠ করলে আমরা দেখতে পাই, কীভাবে একজন মানুষ সর্বোচ্চ পর্যায়ের সত্যবাদিতা, সাহস, কোমলতা, ন্যায়পরায়ণতা ও সহনশীলতার অধিকারী হতে পারেন। সমাজে আমরা প্রায়ই আচার-আচরণে অশিষ্টতা ও ভারসাম্যহীনতা দেখতে পাই। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে নবীজির সিরাত আমাদের পথ দেখায়। তাঁর কথায় ছিল স্পষ্টতা ও মধুরতা, আর ব্যবহারে ছিল শিষ্টাচার ও মর্যাদা। তিনি মানুষকে শেখান, কীভাবে একজন আদর্শ পেশাজীবী হতে হয় এবং কীভাবে জীবনের সব দায়িত্ব সচেতনভাবে পালন করতে হয়।
জীবনে যখন দুঃখ, কষ্ট ও প্রতিকূলতা আসে, তখন তাঁর জীবনচরিত থেকে আমরা পাই অটুট মনোবল ও আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থার শিক্ষা। তাঁর জীবনেও অসংখ্য বিপদ এসেছিল, কিন্তু তিনি ধৈর্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে সব মোকাবিলা করেছেন। তাঁর আদর্শ থেকে আমরা শিখি, কীভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হয়।
মহানবী (সা.)-এর সিরাত শুধু একটি ইতিহাস নয়, বরং একটি জীবন্ত আদর্শ। তাঁর শিক্ষা অনুসরণের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে আলোকিত করতে পারে। কারণ, কোরআনের ভাষায়, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকাল ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ সুতরাং, নিজেদের জীবনকে পরিপূর্ণ করতে হলে সিরাত পাঠের কোনো বিকল্প নেই।

যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ অপরিহার্য।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন সেই সর্বাঙ্গসুন্দর ও নিখুঁত মডেল, যাঁকে আল্লাহ তাআলা মানবজাতির জন্য প্রেরণা ও আদর্শ হিসেবে পাঠিয়েছেন। তাঁর জীবনচরিত শুধু ধর্মীয় বিষয় নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাহ্যিক সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে অন্তর্জগতের পরিশুদ্ধি পর্যন্ত; সবকিছুতে তাঁর আদর্শ অনুসরণীয়। তাঁর জীবনী পাঠ করলে আমরা দেখতে পাই, কীভাবে একজন মানুষ সর্বোচ্চ পর্যায়ের সত্যবাদিতা, সাহস, কোমলতা, ন্যায়পরায়ণতা ও সহনশীলতার অধিকারী হতে পারেন। সমাজে আমরা প্রায়ই আচার-আচরণে অশিষ্টতা ও ভারসাম্যহীনতা দেখতে পাই। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে নবীজির সিরাত আমাদের পথ দেখায়। তাঁর কথায় ছিল স্পষ্টতা ও মধুরতা, আর ব্যবহারে ছিল শিষ্টাচার ও মর্যাদা। তিনি মানুষকে শেখান, কীভাবে একজন আদর্শ পেশাজীবী হতে হয় এবং কীভাবে জীবনের সব দায়িত্ব সচেতনভাবে পালন করতে হয়।
জীবনে যখন দুঃখ, কষ্ট ও প্রতিকূলতা আসে, তখন তাঁর জীবনচরিত থেকে আমরা পাই অটুট মনোবল ও আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থার শিক্ষা। তাঁর জীবনেও অসংখ্য বিপদ এসেছিল, কিন্তু তিনি ধৈর্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে সব মোকাবিলা করেছেন। তাঁর আদর্শ থেকে আমরা শিখি, কীভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হয়।
মহানবী (সা.)-এর সিরাত শুধু একটি ইতিহাস নয়, বরং একটি জীবন্ত আদর্শ। তাঁর শিক্ষা অনুসরণের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে আলোকিত করতে পারে। কারণ, কোরআনের ভাষায়, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকাল ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ সুতরাং, নিজেদের জীবনকে পরিপূর্ণ করতে হলে সিরাত পাঠের কোনো বিকল্প নেই।

আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী (রহ.) ছিলেন বাংলাদেশের সমকালীন ইলমি অঙ্গনের এক প্রজ্ঞাবান আলেম, শান্ত স্বভাবের নীরব সাধক এবং তাকওয়া ও ইলমের পথে নিবেদিতপ্রাণ এক রাহবার। ১৯৫৮ সালের ২০ ডিসেম্বর কুমিল্লার চড্ডা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
১১ দিন আগে
তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করলেন বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা হাফেজ আনাস বিন আতিক। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১০ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১০ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী (রহ.) ছিলেন বাংলাদেশের সমকালীন ইলমি অঙ্গনের এক প্রজ্ঞাবান আলেম, শান্ত স্বভাবের নীরব সাধক এবং তাকওয়া ও ইলমের পথে নিবেদিতপ্রাণ এক রাহবার। ১৯৫৮ সালের ২০ ডিসেম্বর কুমিল্লার চড্ডা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
১১ দিন আগে
তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করলেন বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা হাফেজ আনাস বিন আতিক। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ...
১৪ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী (রহ.) ছিলেন বাংলাদেশের সমকালীন ইলমি অঙ্গনের এক প্রজ্ঞাবান আলেম, শান্ত স্বভাবের নীরব সাধক এবং তাকওয়া ও ইলমের পথে নিবেদিতপ্রাণ এক রাহবার। ১৯৫৮ সালের ২০ ডিসেম্বর কুমিল্লার চড্ডা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
১১ দিন আগে
তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করলেন বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা হাফেজ আনাস বিন আতিক। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ...
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে