আবদুল আযীয কাসেমি

হিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম। তাতারদের হাতে যখন পুরো মুসলিম বিশ্ব লন্ডভন্ড হতে চলেছিল, তখন যেসব আলেম ও ইসলামি পণ্ডিত মুসলিম বিশ্বের ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম এটি।
প্রাথমিক জীবন
ইবনে তাইমিয়ার পুরো নাম আহমদ ইবনে আবদুল হালিম ইবনে আবদুস সালাম ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবুল কাসেম ইবনে তাইমিয়া। উপনাম আবুল আব্বাস। উপাধি তাকিউদ্দিন। তিনি তৎকালীন সালতানাতে রোমের এবং বর্তমান তুরস্কের সানলিউরফা প্রদেশের হাররান নামক শহরে ৬৬১ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শিহাবুদ্দিন আবদুল হালিমও ছিলেন সমকালীন সেরা মুফতিদের একজন। তিনি শৈশবেই বাবার সঙ্গে দামেস্কে চলে আসেন।
শিক্ষাদীক্ষা
দামেস্কেই তিনি বড় হতে থাকেন। দামেস্কের বিখ্যাত আলেমদের কাছে ইসলামের পাঠ গ্রহণ করেন। তার বিখ্যাত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন—ইবনে আবদিদ দাইম, ইবনে আবিল ইয়ুসর, মাজদুদ্দিন ইবনে আসাকির ও ইবনে তাবারযাদ প্রমুখ। তিনি হাদিস পাঠে বিশেষভাবে মনোযোগ প্রদান করেন। ফলে স্বল্পসময়ে হাদিস শাস্ত্রের নানা শাখায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। এ ছাড়া ইসলামি আইনশাস্ত্র, কালামশাস্ত্র, আরবি ভাষা ও তাফসির শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। অসাধারণ মেধার অধিকারী ছিলেন। ফলে যে বিষয়েই তিনি কথা বলতেন, মনে হতো তিনি সে শাস্ত্রেরই একজন বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত।
রচনাবলি
ঐতিহাসিক ও মুহাদ্দিস হাফেজ শামসুদ্দিন জাহাবির ভাষায়, ‘ইবনে তাইমিয়া ছিলেন একাধারে ইমাম, আল্লামা, হাফেজুল হাদিস, সমালোচক, চিন্তক, আইনজ্ঞ ও দক্ষ তাফসিরবিদ। ছিলেন দুনিয়াবিমুখ বুজুর্গদের ইমাম ও বিরলপ্রজ ব্যক্তিত্ব। ছিলেন জ্ঞানের সমুদ্র। পৃথিবীর হাতেগোনা শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের একজন। সাহসিকতায় তাঁর নজির মেলা ভার। উদারতা তাঁর ভূষণ। বন্ধু-শত্রু সবাই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকতেন। তাঁর রচনাবলি দুনিয়াব্যাপী পঠিত ও চর্চিত, যা তিন শতাধিক খণ্ডে বিস্তৃত।’ (তাযকিরাতুল হুফফাজ: ৪ / ১৯২)
উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি তাঁকে আখ্যা দিয়েছেন ‘জ্ঞানের অকুল উত্তাল সমুদ্র’। তাঁর রচনাবলির মধ্যে বিখ্যাত কয়েকটি হলো—
সমালোচনা
কিছু কিছু বিষয়ে বিচ্ছিন্ন মতাবলম্বনের কারণে ইবনে তাইমিয়া সমালোচিত হয়েছেন। ঐতিহাসিক জাহাবির মতে, ‘তিনি কিছু মাসআলায় বিচ্ছিন্ন মত অবলম্বন করেছেন। ফলে বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছেন। তিনি একজন মানুষ ছিলেন। তাঁরও ভুল-ত্রুটি আছে। তবুও বলতে হয়, আল্লাহর শপথ, আমার চোখ তাঁর মত মহান আর কাউকে দেখেনি। তিনি নিজেও নিজের মত কাউকে পাননি। ইসলামি জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় তিনি পাণ্ডিত্য অর্জন করেছিলেন।’ (আল মু’জামুল মুখতাস: পৃ: ২৫)
আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি বলেন, ‘হাফেজ ইবনু তাইমিয়া (রহ.) এর স্বভাবে কিছুটা রুক্ষতা ও কঠোরতা ছিল। কোনো দিকে ঝুঁকে পড়লে সেদিকে প্রচণ্ডভাবে ঝুঁকে পড়তেন। আর কিছুর পরোয়া করতেন না। কারও সমালোচনা করলেও তীব্র সমালোচনা করতেন। এ স্বভাবের মানুষজন প্রান্তিকতা থেকে বাঁচতে পারেন না। যদিও তিনি উঁচু মাপের পণ্ডিত আলেম ছিলেন।’ (ফয়জুল বারি: ১ / ৫৯)
দাওয়াত রাজনীতি সংগ্রাম
ইবনে তাইমিয়া কেবল একজন চিন্তক ও তাত্ত্বিক আলেমই ছিলেন না, বরং ইসলামের পুনর্জাগরণে তিনি সুদৃঢ় ভূমিকা রাখেন। খাঁটি তাওহিদের প্রচারে, শিরক-কুফর ও নানা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। বিশেষত তিনি ভ্রান্ত ও বিদআতপন্থী সুফিদের কট্টর সমালোচনা করেন। শুধু দাওয়াতের ময়দানে থেকেই ক্ষান্ত হননি তিনি। মঙ্গলদের বিরুদ্ধে সরাসরি সশস্ত্র যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। তৎকালীন সিরিয়ার শাসককে সব রকম সহযোগিতা করেন। তাতারদের ইসলামি শাসনের নামে বিকৃত রাজনীতিরও কঠোর সমালোচনা করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিতর্কে খ্রিষ্টান পাদ্রীদের পরাস্ত করেন।
কারাবরণ ও মৃত্যু
ইবনে তাইমিয়ার স্বাধীনচিন্তা ও আপসহীন মনোভাব এবং ইসলামি সংস্কার প্রচেষ্টার কারণে শাসকগোষ্ঠী ও কিছু আলেম তাঁর বিরোধিতা করেন। ফলে তিনি বেশ কয়েকবার বন্দী হন এবং শেষ জীবনে ২৮ মাস কারাবরণ করেন। ১৩২৮ সালে (৭২৮ হিজরি) দামেস্কের একটি কারাগারে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ৬৫ বছর। তাঁর জানাজায় বিশাল জনসমাগম হয় এবং লাখো মানুষ তাঁর জন্য দোয়া করেন।

হিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম। তাতারদের হাতে যখন পুরো মুসলিম বিশ্ব লন্ডভন্ড হতে চলেছিল, তখন যেসব আলেম ও ইসলামি পণ্ডিত মুসলিম বিশ্বের ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম এটি।
প্রাথমিক জীবন
ইবনে তাইমিয়ার পুরো নাম আহমদ ইবনে আবদুল হালিম ইবনে আবদুস সালাম ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবুল কাসেম ইবনে তাইমিয়া। উপনাম আবুল আব্বাস। উপাধি তাকিউদ্দিন। তিনি তৎকালীন সালতানাতে রোমের এবং বর্তমান তুরস্কের সানলিউরফা প্রদেশের হাররান নামক শহরে ৬৬১ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শিহাবুদ্দিন আবদুল হালিমও ছিলেন সমকালীন সেরা মুফতিদের একজন। তিনি শৈশবেই বাবার সঙ্গে দামেস্কে চলে আসেন।
শিক্ষাদীক্ষা
দামেস্কেই তিনি বড় হতে থাকেন। দামেস্কের বিখ্যাত আলেমদের কাছে ইসলামের পাঠ গ্রহণ করেন। তার বিখ্যাত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন—ইবনে আবদিদ দাইম, ইবনে আবিল ইয়ুসর, মাজদুদ্দিন ইবনে আসাকির ও ইবনে তাবারযাদ প্রমুখ। তিনি হাদিস পাঠে বিশেষভাবে মনোযোগ প্রদান করেন। ফলে স্বল্পসময়ে হাদিস শাস্ত্রের নানা শাখায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। এ ছাড়া ইসলামি আইনশাস্ত্র, কালামশাস্ত্র, আরবি ভাষা ও তাফসির শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। অসাধারণ মেধার অধিকারী ছিলেন। ফলে যে বিষয়েই তিনি কথা বলতেন, মনে হতো তিনি সে শাস্ত্রেরই একজন বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত।
রচনাবলি
ঐতিহাসিক ও মুহাদ্দিস হাফেজ শামসুদ্দিন জাহাবির ভাষায়, ‘ইবনে তাইমিয়া ছিলেন একাধারে ইমাম, আল্লামা, হাফেজুল হাদিস, সমালোচক, চিন্তক, আইনজ্ঞ ও দক্ষ তাফসিরবিদ। ছিলেন দুনিয়াবিমুখ বুজুর্গদের ইমাম ও বিরলপ্রজ ব্যক্তিত্ব। ছিলেন জ্ঞানের সমুদ্র। পৃথিবীর হাতেগোনা শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের একজন। সাহসিকতায় তাঁর নজির মেলা ভার। উদারতা তাঁর ভূষণ। বন্ধু-শত্রু সবাই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকতেন। তাঁর রচনাবলি দুনিয়াব্যাপী পঠিত ও চর্চিত, যা তিন শতাধিক খণ্ডে বিস্তৃত।’ (তাযকিরাতুল হুফফাজ: ৪ / ১৯২)
উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি তাঁকে আখ্যা দিয়েছেন ‘জ্ঞানের অকুল উত্তাল সমুদ্র’। তাঁর রচনাবলির মধ্যে বিখ্যাত কয়েকটি হলো—
সমালোচনা
কিছু কিছু বিষয়ে বিচ্ছিন্ন মতাবলম্বনের কারণে ইবনে তাইমিয়া সমালোচিত হয়েছেন। ঐতিহাসিক জাহাবির মতে, ‘তিনি কিছু মাসআলায় বিচ্ছিন্ন মত অবলম্বন করেছেন। ফলে বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছেন। তিনি একজন মানুষ ছিলেন। তাঁরও ভুল-ত্রুটি আছে। তবুও বলতে হয়, আল্লাহর শপথ, আমার চোখ তাঁর মত মহান আর কাউকে দেখেনি। তিনি নিজেও নিজের মত কাউকে পাননি। ইসলামি জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় তিনি পাণ্ডিত্য অর্জন করেছিলেন।’ (আল মু’জামুল মুখতাস: পৃ: ২৫)
আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি বলেন, ‘হাফেজ ইবনু তাইমিয়া (রহ.) এর স্বভাবে কিছুটা রুক্ষতা ও কঠোরতা ছিল। কোনো দিকে ঝুঁকে পড়লে সেদিকে প্রচণ্ডভাবে ঝুঁকে পড়তেন। আর কিছুর পরোয়া করতেন না। কারও সমালোচনা করলেও তীব্র সমালোচনা করতেন। এ স্বভাবের মানুষজন প্রান্তিকতা থেকে বাঁচতে পারেন না। যদিও তিনি উঁচু মাপের পণ্ডিত আলেম ছিলেন।’ (ফয়জুল বারি: ১ / ৫৯)
দাওয়াত রাজনীতি সংগ্রাম
ইবনে তাইমিয়া কেবল একজন চিন্তক ও তাত্ত্বিক আলেমই ছিলেন না, বরং ইসলামের পুনর্জাগরণে তিনি সুদৃঢ় ভূমিকা রাখেন। খাঁটি তাওহিদের প্রচারে, শিরক-কুফর ও নানা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। বিশেষত তিনি ভ্রান্ত ও বিদআতপন্থী সুফিদের কট্টর সমালোচনা করেন। শুধু দাওয়াতের ময়দানে থেকেই ক্ষান্ত হননি তিনি। মঙ্গলদের বিরুদ্ধে সরাসরি সশস্ত্র যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। তৎকালীন সিরিয়ার শাসককে সব রকম সহযোগিতা করেন। তাতারদের ইসলামি শাসনের নামে বিকৃত রাজনীতিরও কঠোর সমালোচনা করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিতর্কে খ্রিষ্টান পাদ্রীদের পরাস্ত করেন।
কারাবরণ ও মৃত্যু
ইবনে তাইমিয়ার স্বাধীনচিন্তা ও আপসহীন মনোভাব এবং ইসলামি সংস্কার প্রচেষ্টার কারণে শাসকগোষ্ঠী ও কিছু আলেম তাঁর বিরোধিতা করেন। ফলে তিনি বেশ কয়েকবার বন্দী হন এবং শেষ জীবনে ২৮ মাস কারাবরণ করেন। ১৩২৮ সালে (৭২৮ হিজরি) দামেস্কের একটি কারাগারে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ৬৫ বছর। তাঁর জানাজায় বিশাল জনসমাগম হয় এবং লাখো মানুষ তাঁর জন্য দোয়া করেন।
আবদুল আযীয কাসেমি

হিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম। তাতারদের হাতে যখন পুরো মুসলিম বিশ্ব লন্ডভন্ড হতে চলেছিল, তখন যেসব আলেম ও ইসলামি পণ্ডিত মুসলিম বিশ্বের ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম এটি।
প্রাথমিক জীবন
ইবনে তাইমিয়ার পুরো নাম আহমদ ইবনে আবদুল হালিম ইবনে আবদুস সালাম ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবুল কাসেম ইবনে তাইমিয়া। উপনাম আবুল আব্বাস। উপাধি তাকিউদ্দিন। তিনি তৎকালীন সালতানাতে রোমের এবং বর্তমান তুরস্কের সানলিউরফা প্রদেশের হাররান নামক শহরে ৬৬১ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শিহাবুদ্দিন আবদুল হালিমও ছিলেন সমকালীন সেরা মুফতিদের একজন। তিনি শৈশবেই বাবার সঙ্গে দামেস্কে চলে আসেন।
শিক্ষাদীক্ষা
দামেস্কেই তিনি বড় হতে থাকেন। দামেস্কের বিখ্যাত আলেমদের কাছে ইসলামের পাঠ গ্রহণ করেন। তার বিখ্যাত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন—ইবনে আবদিদ দাইম, ইবনে আবিল ইয়ুসর, মাজদুদ্দিন ইবনে আসাকির ও ইবনে তাবারযাদ প্রমুখ। তিনি হাদিস পাঠে বিশেষভাবে মনোযোগ প্রদান করেন। ফলে স্বল্পসময়ে হাদিস শাস্ত্রের নানা শাখায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। এ ছাড়া ইসলামি আইনশাস্ত্র, কালামশাস্ত্র, আরবি ভাষা ও তাফসির শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। অসাধারণ মেধার অধিকারী ছিলেন। ফলে যে বিষয়েই তিনি কথা বলতেন, মনে হতো তিনি সে শাস্ত্রেরই একজন বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত।
রচনাবলি
ঐতিহাসিক ও মুহাদ্দিস হাফেজ শামসুদ্দিন জাহাবির ভাষায়, ‘ইবনে তাইমিয়া ছিলেন একাধারে ইমাম, আল্লামা, হাফেজুল হাদিস, সমালোচক, চিন্তক, আইনজ্ঞ ও দক্ষ তাফসিরবিদ। ছিলেন দুনিয়াবিমুখ বুজুর্গদের ইমাম ও বিরলপ্রজ ব্যক্তিত্ব। ছিলেন জ্ঞানের সমুদ্র। পৃথিবীর হাতেগোনা শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের একজন। সাহসিকতায় তাঁর নজির মেলা ভার। উদারতা তাঁর ভূষণ। বন্ধু-শত্রু সবাই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকতেন। তাঁর রচনাবলি দুনিয়াব্যাপী পঠিত ও চর্চিত, যা তিন শতাধিক খণ্ডে বিস্তৃত।’ (তাযকিরাতুল হুফফাজ: ৪ / ১৯২)
উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি তাঁকে আখ্যা দিয়েছেন ‘জ্ঞানের অকুল উত্তাল সমুদ্র’। তাঁর রচনাবলির মধ্যে বিখ্যাত কয়েকটি হলো—
সমালোচনা
কিছু কিছু বিষয়ে বিচ্ছিন্ন মতাবলম্বনের কারণে ইবনে তাইমিয়া সমালোচিত হয়েছেন। ঐতিহাসিক জাহাবির মতে, ‘তিনি কিছু মাসআলায় বিচ্ছিন্ন মত অবলম্বন করেছেন। ফলে বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছেন। তিনি একজন মানুষ ছিলেন। তাঁরও ভুল-ত্রুটি আছে। তবুও বলতে হয়, আল্লাহর শপথ, আমার চোখ তাঁর মত মহান আর কাউকে দেখেনি। তিনি নিজেও নিজের মত কাউকে পাননি। ইসলামি জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় তিনি পাণ্ডিত্য অর্জন করেছিলেন।’ (আল মু’জামুল মুখতাস: পৃ: ২৫)
আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি বলেন, ‘হাফেজ ইবনু তাইমিয়া (রহ.) এর স্বভাবে কিছুটা রুক্ষতা ও কঠোরতা ছিল। কোনো দিকে ঝুঁকে পড়লে সেদিকে প্রচণ্ডভাবে ঝুঁকে পড়তেন। আর কিছুর পরোয়া করতেন না। কারও সমালোচনা করলেও তীব্র সমালোচনা করতেন। এ স্বভাবের মানুষজন প্রান্তিকতা থেকে বাঁচতে পারেন না। যদিও তিনি উঁচু মাপের পণ্ডিত আলেম ছিলেন।’ (ফয়জুল বারি: ১ / ৫৯)
দাওয়াত রাজনীতি সংগ্রাম
ইবনে তাইমিয়া কেবল একজন চিন্তক ও তাত্ত্বিক আলেমই ছিলেন না, বরং ইসলামের পুনর্জাগরণে তিনি সুদৃঢ় ভূমিকা রাখেন। খাঁটি তাওহিদের প্রচারে, শিরক-কুফর ও নানা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। বিশেষত তিনি ভ্রান্ত ও বিদআতপন্থী সুফিদের কট্টর সমালোচনা করেন। শুধু দাওয়াতের ময়দানে থেকেই ক্ষান্ত হননি তিনি। মঙ্গলদের বিরুদ্ধে সরাসরি সশস্ত্র যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। তৎকালীন সিরিয়ার শাসককে সব রকম সহযোগিতা করেন। তাতারদের ইসলামি শাসনের নামে বিকৃত রাজনীতিরও কঠোর সমালোচনা করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিতর্কে খ্রিষ্টান পাদ্রীদের পরাস্ত করেন।
কারাবরণ ও মৃত্যু
ইবনে তাইমিয়ার স্বাধীনচিন্তা ও আপসহীন মনোভাব এবং ইসলামি সংস্কার প্রচেষ্টার কারণে শাসকগোষ্ঠী ও কিছু আলেম তাঁর বিরোধিতা করেন। ফলে তিনি বেশ কয়েকবার বন্দী হন এবং শেষ জীবনে ২৮ মাস কারাবরণ করেন। ১৩২৮ সালে (৭২৮ হিজরি) দামেস্কের একটি কারাগারে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ৬৫ বছর। তাঁর জানাজায় বিশাল জনসমাগম হয় এবং লাখো মানুষ তাঁর জন্য দোয়া করেন।

হিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম। তাতারদের হাতে যখন পুরো মুসলিম বিশ্ব লন্ডভন্ড হতে চলেছিল, তখন যেসব আলেম ও ইসলামি পণ্ডিত মুসলিম বিশ্বের ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম এটি।
প্রাথমিক জীবন
ইবনে তাইমিয়ার পুরো নাম আহমদ ইবনে আবদুল হালিম ইবনে আবদুস সালাম ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবুল কাসেম ইবনে তাইমিয়া। উপনাম আবুল আব্বাস। উপাধি তাকিউদ্দিন। তিনি তৎকালীন সালতানাতে রোমের এবং বর্তমান তুরস্কের সানলিউরফা প্রদেশের হাররান নামক শহরে ৬৬১ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শিহাবুদ্দিন আবদুল হালিমও ছিলেন সমকালীন সেরা মুফতিদের একজন। তিনি শৈশবেই বাবার সঙ্গে দামেস্কে চলে আসেন।
শিক্ষাদীক্ষা
দামেস্কেই তিনি বড় হতে থাকেন। দামেস্কের বিখ্যাত আলেমদের কাছে ইসলামের পাঠ গ্রহণ করেন। তার বিখ্যাত শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন—ইবনে আবদিদ দাইম, ইবনে আবিল ইয়ুসর, মাজদুদ্দিন ইবনে আসাকির ও ইবনে তাবারযাদ প্রমুখ। তিনি হাদিস পাঠে বিশেষভাবে মনোযোগ প্রদান করেন। ফলে স্বল্পসময়ে হাদিস শাস্ত্রের নানা শাখায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। এ ছাড়া ইসলামি আইনশাস্ত্র, কালামশাস্ত্র, আরবি ভাষা ও তাফসির শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। অসাধারণ মেধার অধিকারী ছিলেন। ফলে যে বিষয়েই তিনি কথা বলতেন, মনে হতো তিনি সে শাস্ত্রেরই একজন বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত।
রচনাবলি
ঐতিহাসিক ও মুহাদ্দিস হাফেজ শামসুদ্দিন জাহাবির ভাষায়, ‘ইবনে তাইমিয়া ছিলেন একাধারে ইমাম, আল্লামা, হাফেজুল হাদিস, সমালোচক, চিন্তক, আইনজ্ঞ ও দক্ষ তাফসিরবিদ। ছিলেন দুনিয়াবিমুখ বুজুর্গদের ইমাম ও বিরলপ্রজ ব্যক্তিত্ব। ছিলেন জ্ঞানের সমুদ্র। পৃথিবীর হাতেগোনা শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের একজন। সাহসিকতায় তাঁর নজির মেলা ভার। উদারতা তাঁর ভূষণ। বন্ধু-শত্রু সবাই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকতেন। তাঁর রচনাবলি দুনিয়াব্যাপী পঠিত ও চর্চিত, যা তিন শতাধিক খণ্ডে বিস্তৃত।’ (তাযকিরাতুল হুফফাজ: ৪ / ১৯২)
উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি তাঁকে আখ্যা দিয়েছেন ‘জ্ঞানের অকুল উত্তাল সমুদ্র’। তাঁর রচনাবলির মধ্যে বিখ্যাত কয়েকটি হলো—
সমালোচনা
কিছু কিছু বিষয়ে বিচ্ছিন্ন মতাবলম্বনের কারণে ইবনে তাইমিয়া সমালোচিত হয়েছেন। ঐতিহাসিক জাহাবির মতে, ‘তিনি কিছু মাসআলায় বিচ্ছিন্ন মত অবলম্বন করেছেন। ফলে বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছেন। তিনি একজন মানুষ ছিলেন। তাঁরও ভুল-ত্রুটি আছে। তবুও বলতে হয়, আল্লাহর শপথ, আমার চোখ তাঁর মত মহান আর কাউকে দেখেনি। তিনি নিজেও নিজের মত কাউকে পাননি। ইসলামি জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় তিনি পাণ্ডিত্য অর্জন করেছিলেন।’ (আল মু’জামুল মুখতাস: পৃ: ২৫)
আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি বলেন, ‘হাফেজ ইবনু তাইমিয়া (রহ.) এর স্বভাবে কিছুটা রুক্ষতা ও কঠোরতা ছিল। কোনো দিকে ঝুঁকে পড়লে সেদিকে প্রচণ্ডভাবে ঝুঁকে পড়তেন। আর কিছুর পরোয়া করতেন না। কারও সমালোচনা করলেও তীব্র সমালোচনা করতেন। এ স্বভাবের মানুষজন প্রান্তিকতা থেকে বাঁচতে পারেন না। যদিও তিনি উঁচু মাপের পণ্ডিত আলেম ছিলেন।’ (ফয়জুল বারি: ১ / ৫৯)
দাওয়াত রাজনীতি সংগ্রাম
ইবনে তাইমিয়া কেবল একজন চিন্তক ও তাত্ত্বিক আলেমই ছিলেন না, বরং ইসলামের পুনর্জাগরণে তিনি সুদৃঢ় ভূমিকা রাখেন। খাঁটি তাওহিদের প্রচারে, শিরক-কুফর ও নানা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। বিশেষত তিনি ভ্রান্ত ও বিদআতপন্থী সুফিদের কট্টর সমালোচনা করেন। শুধু দাওয়াতের ময়দানে থেকেই ক্ষান্ত হননি তিনি। মঙ্গলদের বিরুদ্ধে সরাসরি সশস্ত্র যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। তৎকালীন সিরিয়ার শাসককে সব রকম সহযোগিতা করেন। তাতারদের ইসলামি শাসনের নামে বিকৃত রাজনীতিরও কঠোর সমালোচনা করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিতর্কে খ্রিষ্টান পাদ্রীদের পরাস্ত করেন।
কারাবরণ ও মৃত্যু
ইবনে তাইমিয়ার স্বাধীনচিন্তা ও আপসহীন মনোভাব এবং ইসলামি সংস্কার প্রচেষ্টার কারণে শাসকগোষ্ঠী ও কিছু আলেম তাঁর বিরোধিতা করেন। ফলে তিনি বেশ কয়েকবার বন্দী হন এবং শেষ জীবনে ২৮ মাস কারাবরণ করেন। ১৩২৮ সালে (৭২৮ হিজরি) দামেস্কের একটি কারাগারে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ৬৫ বছর। তাঁর জানাজায় বিশাল জনসমাগম হয় এবং লাখো মানুষ তাঁর জন্য দোয়া করেন।

তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করলেন বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা হাফেজ আনাস বিন আতিক। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ...
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করলেন বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা হাফেজ আনাস বিন আতিক। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয়েছেন আমাদের ছাত্র হাফেজ আনাস বিন আতিক।’

হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
তিনি রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে।
উল্লেখ্য, এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করলেন বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা হাফেজ আনাস বিন আতিক। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয়েছেন আমাদের ছাত্র হাফেজ আনাস বিন আতিক।’

হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
তিনি রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে।
উল্লেখ্য, এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

হিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম।
৩০ মার্চ ২০২৫
যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ...
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ অপরিহার্য।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন সেই সর্বাঙ্গসুন্দর ও নিখুঁত মডেল, যাঁকে আল্লাহ তাআলা মানবজাতির জন্য প্রেরণা ও আদর্শ হিসেবে পাঠিয়েছেন। তাঁর জীবনচরিত শুধু ধর্মীয় বিষয় নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাহ্যিক সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে অন্তর্জগতের পরিশুদ্ধি পর্যন্ত; সবকিছুতে তাঁর আদর্শ অনুসরণীয়। তাঁর জীবনী পাঠ করলে আমরা দেখতে পাই, কীভাবে একজন মানুষ সর্বোচ্চ পর্যায়ের সত্যবাদিতা, সাহস, কোমলতা, ন্যায়পরায়ণতা ও সহনশীলতার অধিকারী হতে পারেন। সমাজে আমরা প্রায়ই আচার-আচরণে অশিষ্টতা ও ভারসাম্যহীনতা দেখতে পাই। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে নবীজির সিরাত আমাদের পথ দেখায়। তাঁর কথায় ছিল স্পষ্টতা ও মধুরতা, আর ব্যবহারে ছিল শিষ্টাচার ও মর্যাদা। তিনি মানুষকে শেখান, কীভাবে একজন আদর্শ পেশাজীবী হতে হয় এবং কীভাবে জীবনের সব দায়িত্ব সচেতনভাবে পালন করতে হয়।
জীবনে যখন দুঃখ, কষ্ট ও প্রতিকূলতা আসে, তখন তাঁর জীবনচরিত থেকে আমরা পাই অটুট মনোবল ও আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থার শিক্ষা। তাঁর জীবনেও অসংখ্য বিপদ এসেছিল, কিন্তু তিনি ধৈর্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে সব মোকাবিলা করেছেন। তাঁর আদর্শ থেকে আমরা শিখি, কীভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হয়।
মহানবী (সা.)-এর সিরাত শুধু একটি ইতিহাস নয়, বরং একটি জীবন্ত আদর্শ। তাঁর শিক্ষা অনুসরণের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে আলোকিত করতে পারে। কারণ, কোরআনের ভাষায়, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকাল ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ সুতরাং, নিজেদের জীবনকে পরিপূর্ণ করতে হলে সিরাত পাঠের কোনো বিকল্প নেই।

যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ অপরিহার্য।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন সেই সর্বাঙ্গসুন্দর ও নিখুঁত মডেল, যাঁকে আল্লাহ তাআলা মানবজাতির জন্য প্রেরণা ও আদর্শ হিসেবে পাঠিয়েছেন। তাঁর জীবনচরিত শুধু ধর্মীয় বিষয় নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাহ্যিক সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে অন্তর্জগতের পরিশুদ্ধি পর্যন্ত; সবকিছুতে তাঁর আদর্শ অনুসরণীয়। তাঁর জীবনী পাঠ করলে আমরা দেখতে পাই, কীভাবে একজন মানুষ সর্বোচ্চ পর্যায়ের সত্যবাদিতা, সাহস, কোমলতা, ন্যায়পরায়ণতা ও সহনশীলতার অধিকারী হতে পারেন। সমাজে আমরা প্রায়ই আচার-আচরণে অশিষ্টতা ও ভারসাম্যহীনতা দেখতে পাই। এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে নবীজির সিরাত আমাদের পথ দেখায়। তাঁর কথায় ছিল স্পষ্টতা ও মধুরতা, আর ব্যবহারে ছিল শিষ্টাচার ও মর্যাদা। তিনি মানুষকে শেখান, কীভাবে একজন আদর্শ পেশাজীবী হতে হয় এবং কীভাবে জীবনের সব দায়িত্ব সচেতনভাবে পালন করতে হয়।
জীবনে যখন দুঃখ, কষ্ট ও প্রতিকূলতা আসে, তখন তাঁর জীবনচরিত থেকে আমরা পাই অটুট মনোবল ও আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থার শিক্ষা। তাঁর জীবনেও অসংখ্য বিপদ এসেছিল, কিন্তু তিনি ধৈর্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে সব মোকাবিলা করেছেন। তাঁর আদর্শ থেকে আমরা শিখি, কীভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হয়।
মহানবী (সা.)-এর সিরাত শুধু একটি ইতিহাস নয়, বরং একটি জীবন্ত আদর্শ। তাঁর শিক্ষা অনুসরণের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে আলোকিত করতে পারে। কারণ, কোরআনের ভাষায়, ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকাল ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ সুতরাং, নিজেদের জীবনকে পরিপূর্ণ করতে হলে সিরাত পাঠের কোনো বিকল্প নেই।

হিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম।
৩০ মার্চ ২০২৫
তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করলেন বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা হাফেজ আনাস বিন আতিক। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১০ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১০ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম।
৩০ মার্চ ২০২৫
তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করলেন বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা হাফেজ আনাস বিন আতিক। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ...
১৫ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

হিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম।
৩০ মার্চ ২০২৫
তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করলেন বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা হাফেজ আনাস বিন আতিক। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
যেকোনো নির্মাণের জন্য একটি নিখুঁত মডেল বা নকশা অপরিহার্য। এটি যেমন বস্তুগত নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি মানুষের জীবন গড়ার মতো সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও তা আরও বেশি জরুরি। জীবনের পথে সঠিক দিশা পেতে এবং নিজেকে একজন সুশীল ও উৎকর্ষমণ্ডিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি পূর্ণাঙ্গ মডেলের অনুসরণ...
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে