মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
ইসলাম মানবতা, দয়া ও সহানুভূতির ধর্ম। মানুষ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবে, বিপদে-আপদে পরস্পরের পাশে দাঁড়াবে, অসুস্থদের পাশে গিয়ে তাদের মানসিক শক্তি জোগাবে এবং সাধ্যমতো সেবা-শুশ্রূষা করবে, ক্ষুধার্তদের খাবার দেবে, পিপাসার্তদের পিপাসা মেটাবে, বস্ত্রহীনদের বস্ত্র পরাবে, অন্যায়ভাবে বন্দী হওয়া লোকদের মুক্তির ব্যবস্থা করবে—এ সবই ইসলামের নির্দেশ।
দয়া ও সহানুভূতির মূর্ত প্রতীক মহানবী (সা.) অসংখ্য হাদিসে তাঁর অনুসারীদের সৃষ্টির প্রতি দয়াশীল হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। পাশাপাশি কেয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে এ ব্যাপারে কঠিন জবাবদিহির মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। সহিহ মুসলিমে বর্ণিত একটি হাদিসে তিনি বিচার দিবসের একটি চিত্র তুলে ধরেছেন। মহানবী (সা.) বলেন, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি অসুস্থ হয়েছিলাম, তুমি আমাকে দেখতে আসোনি।’ সে বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আপনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা, আপনাকে দেখতে যাওয়া কীভাবে সম্ভব?’
তখন আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি কি জানো না, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল আর তুমি তাকে দেখতে যাওনি? তোমার কি জানা ছিল না, যদি তুমি তাকে দেখতে যেতে, তাহলে তার কাছে আমাকে পেতে?’ এরপর বলবেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে খাবার দাওনি।’
সে বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি কী করে আপনাকে খাবার দেব, যেখানে আপনি হলেন সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা?’
তিনি বলবেন, ‘তোমার কি জানা আছে, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, কিন্তু তুমি দাওনি? তোমার কি জানা ছিল না, যদি তুমি তাকে খাওয়াতে, তাহলে আমার কাছে তার প্রতিদান পেতে?’
এরপর বলবেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি তোমার কাছে পানি চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে পানি দাওনি।’ সে বলবে, ‘হে আমার রব, আমার পক্ষে আপনাকে পানি পান করানো কীভাবে সম্ভব, যেখানে আপনি হলেন সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা?’
আল্লাহ বলবেন, ‘আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে পানি চেয়েছিল, কিন্তু তুমি তাকে পানি দাওনি। তোমার কি জানা ছিল না, যদি তুমি তাকে পানি পান করাতে, তাহলে তার প্রতিদান আমার কাছে পেতে?’
এই হাদিসে বিশেষভাবে মানুষের প্রতি সহানুভূতির তিনটি দিক নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
এক. অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া
মানুষ যখন অসুস্থ হয়, তখন মানসিকভাবে সে অনেক ভেঙে পড়ে। এমন অবস্থায় যখন তার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব কাছে আসে এবং সান্ত্বনা দেয়, তখন সে হৃদয়ে প্রশান্তি অনুভব করে, বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পায়। এর ফলে সামাজিক বন্ধনও সুদৃঢ় হয়। তাই ইসলামে এর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা অসুস্থ লোককে দেখতে যাও।’ (বুখারি)
অসুস্থ অমুসলিম ব্যক্তিকে দেখতে গেলেও সওয়াব পাওয়ার কথা এসেছে হাদিসে। একবার রাসুল (সা.) এক ইহুদি অসুস্থ বালককে দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁর এমন অসাম্প্রদায়িক আচরণ দেখে বালকটি মৃত্যুর পূর্বক্ষণে কালিমা পড়ে মুসলমান হয়ে গিয়েছিল। (বুখারি)
শুধু মানুষই নয়, যেকোনো জীবনের প্রতি দয়া করাই রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা। তিনি বলেছেন, ‘প্রত্যেক জীবের প্রতি দয়া ও সহানুভূতি প্রদর্শনে সওয়াব রয়েছে।’ (বুখারি)
দুই. ক্ষুধার্তকে খাবার দেওয়া
ইসলামে খাবার খাওয়ানো একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.)কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইসলামে কোন আমলটি সর্বোত্তম?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘খাবার খাওয়ানো এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়া।’ (বুখারি ও মুসলিম)
আরেক হাদিসে বলেন, ‘তোমরা ক্ষুধার্তকে আহার করাও।’ (বুখারি) আরেক হাদিসে বলেন, ‘ওই ব্যক্তি আমার প্রতি ইমান আনেনি, যে পরিতৃপ্ত হয়ে রাত অতিবাহিত করে, অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে এবং এ কথা সে জানে।’ (বাজ্জার, তাবরানি)
শুধু মানুষ নয়, ক্ষুধার্ত পশু-পাখিদের আহার করাতেও ইসলাম নির্দেশ দেয়। এক নারী নিজের পোষ্য বিড়ালকে অনাহারে রাখার কারণে জাহান্নামে গেছে—এমন বর্ণনা এসেছে হাদিসে। (বুখারি)
তিন. পানি পান করানো
তৃষ্ণার্তকে পানি পান করানো এবং মানুষ ও পশুপাখির জন্য পুকুর, খাল, নলকূপ ইত্যাদি খনন করা অনেক বড় সওয়াবের কাজ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মৃত্যুর পরেও যেসব আমলের সওয়াব লিপিবদ্ধ হতে থাকে, সেগুলোর একটি হচ্ছে নহর প্রবাহিত করা অর্থাৎ পুকুর, খাল, নলকূপ ইত্যাদি খনন করে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য পানির ব্যবস্থা করা।’ (ইবনে মাজাহ)
সাহাবি সাদ বিন উবাদাহ (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা মারা গেছেন, এখন আমি তাঁর পক্ষ থেকে সর্বোত্তম কোন সদকাটা করতে পারি?’ রাসুল (সা.) জবাব দিলেন, ‘পানি পান করানো।’ (মুসনাদে আহমদ)
তৃষ্ণার্তকে পানি পান করালে আল্লাহ এত সন্তুষ্ট হন যে, এর ফলে তিনি গুনাহ মাফ করে দেন। বর্ণিত আছে, জনৈক পাপিষ্ঠ লোক একটি তৃষ্ণার্ত কুকুরকে পানি পান করালে আল্লাহ তাআলা তার সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। (বুখারি ও মুসলিম)
উল্লেখিত তিনটি বিষয় ছাড়াও সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের আরও অসংখ্য দিকের ফজিলত এবং সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তা থেকে বিরত থাকার শাস্তির কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দিক হচ্ছে, বস্ত্রহীনদের বস্ত্র দেওয়া, অন্যায়ভাবে বন্দী হওয়া লোকদের মুক্তির ব্যবস্থা করা, গৃহহীনদের গৃহের ব্যবস্থা করা, বিধবাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া এবং এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রতিপালন ও শিক্ষা–দীক্ষার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।
লেখক: ইসলাম বিষয়ক গবেষক
ইসলাম মানবতা, দয়া ও সহানুভূতির ধর্ম। মানুষ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবে, বিপদে-আপদে পরস্পরের পাশে দাঁড়াবে, অসুস্থদের পাশে গিয়ে তাদের মানসিক শক্তি জোগাবে এবং সাধ্যমতো সেবা-শুশ্রূষা করবে, ক্ষুধার্তদের খাবার দেবে, পিপাসার্তদের পিপাসা মেটাবে, বস্ত্রহীনদের বস্ত্র পরাবে, অন্যায়ভাবে বন্দী হওয়া লোকদের মুক্তির ব্যবস্থা করবে—এ সবই ইসলামের নির্দেশ।
দয়া ও সহানুভূতির মূর্ত প্রতীক মহানবী (সা.) অসংখ্য হাদিসে তাঁর অনুসারীদের সৃষ্টির প্রতি দয়াশীল হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। পাশাপাশি কেয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে এ ব্যাপারে কঠিন জবাবদিহির মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। সহিহ মুসলিমে বর্ণিত একটি হাদিসে তিনি বিচার দিবসের একটি চিত্র তুলে ধরেছেন। মহানবী (সা.) বলেন, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি অসুস্থ হয়েছিলাম, তুমি আমাকে দেখতে আসোনি।’ সে বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আপনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা, আপনাকে দেখতে যাওয়া কীভাবে সম্ভব?’
তখন আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি কি জানো না, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল আর তুমি তাকে দেখতে যাওনি? তোমার কি জানা ছিল না, যদি তুমি তাকে দেখতে যেতে, তাহলে তার কাছে আমাকে পেতে?’ এরপর বলবেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে খাবার দাওনি।’
সে বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি কী করে আপনাকে খাবার দেব, যেখানে আপনি হলেন সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা?’
তিনি বলবেন, ‘তোমার কি জানা আছে, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, কিন্তু তুমি দাওনি? তোমার কি জানা ছিল না, যদি তুমি তাকে খাওয়াতে, তাহলে আমার কাছে তার প্রতিদান পেতে?’
এরপর বলবেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি তোমার কাছে পানি চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে পানি দাওনি।’ সে বলবে, ‘হে আমার রব, আমার পক্ষে আপনাকে পানি পান করানো কীভাবে সম্ভব, যেখানে আপনি হলেন সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা?’
আল্লাহ বলবেন, ‘আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে পানি চেয়েছিল, কিন্তু তুমি তাকে পানি দাওনি। তোমার কি জানা ছিল না, যদি তুমি তাকে পানি পান করাতে, তাহলে তার প্রতিদান আমার কাছে পেতে?’
এই হাদিসে বিশেষভাবে মানুষের প্রতি সহানুভূতির তিনটি দিক নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
এক. অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া
মানুষ যখন অসুস্থ হয়, তখন মানসিকভাবে সে অনেক ভেঙে পড়ে। এমন অবস্থায় যখন তার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব কাছে আসে এবং সান্ত্বনা দেয়, তখন সে হৃদয়ে প্রশান্তি অনুভব করে, বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পায়। এর ফলে সামাজিক বন্ধনও সুদৃঢ় হয়। তাই ইসলামে এর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা অসুস্থ লোককে দেখতে যাও।’ (বুখারি)
অসুস্থ অমুসলিম ব্যক্তিকে দেখতে গেলেও সওয়াব পাওয়ার কথা এসেছে হাদিসে। একবার রাসুল (সা.) এক ইহুদি অসুস্থ বালককে দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁর এমন অসাম্প্রদায়িক আচরণ দেখে বালকটি মৃত্যুর পূর্বক্ষণে কালিমা পড়ে মুসলমান হয়ে গিয়েছিল। (বুখারি)
শুধু মানুষই নয়, যেকোনো জীবনের প্রতি দয়া করাই রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা। তিনি বলেছেন, ‘প্রত্যেক জীবের প্রতি দয়া ও সহানুভূতি প্রদর্শনে সওয়াব রয়েছে।’ (বুখারি)
দুই. ক্ষুধার্তকে খাবার দেওয়া
ইসলামে খাবার খাওয়ানো একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.)কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইসলামে কোন আমলটি সর্বোত্তম?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘খাবার খাওয়ানো এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়া।’ (বুখারি ও মুসলিম)
আরেক হাদিসে বলেন, ‘তোমরা ক্ষুধার্তকে আহার করাও।’ (বুখারি) আরেক হাদিসে বলেন, ‘ওই ব্যক্তি আমার প্রতি ইমান আনেনি, যে পরিতৃপ্ত হয়ে রাত অতিবাহিত করে, অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে এবং এ কথা সে জানে।’ (বাজ্জার, তাবরানি)
শুধু মানুষ নয়, ক্ষুধার্ত পশু-পাখিদের আহার করাতেও ইসলাম নির্দেশ দেয়। এক নারী নিজের পোষ্য বিড়ালকে অনাহারে রাখার কারণে জাহান্নামে গেছে—এমন বর্ণনা এসেছে হাদিসে। (বুখারি)
তিন. পানি পান করানো
তৃষ্ণার্তকে পানি পান করানো এবং মানুষ ও পশুপাখির জন্য পুকুর, খাল, নলকূপ ইত্যাদি খনন করা অনেক বড় সওয়াবের কাজ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মৃত্যুর পরেও যেসব আমলের সওয়াব লিপিবদ্ধ হতে থাকে, সেগুলোর একটি হচ্ছে নহর প্রবাহিত করা অর্থাৎ পুকুর, খাল, নলকূপ ইত্যাদি খনন করে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য পানির ব্যবস্থা করা।’ (ইবনে মাজাহ)
সাহাবি সাদ বিন উবাদাহ (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা মারা গেছেন, এখন আমি তাঁর পক্ষ থেকে সর্বোত্তম কোন সদকাটা করতে পারি?’ রাসুল (সা.) জবাব দিলেন, ‘পানি পান করানো।’ (মুসনাদে আহমদ)
তৃষ্ণার্তকে পানি পান করালে আল্লাহ এত সন্তুষ্ট হন যে, এর ফলে তিনি গুনাহ মাফ করে দেন। বর্ণিত আছে, জনৈক পাপিষ্ঠ লোক একটি তৃষ্ণার্ত কুকুরকে পানি পান করালে আল্লাহ তাআলা তার সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। (বুখারি ও মুসলিম)
উল্লেখিত তিনটি বিষয় ছাড়াও সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের আরও অসংখ্য দিকের ফজিলত এবং সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তা থেকে বিরত থাকার শাস্তির কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দিক হচ্ছে, বস্ত্রহীনদের বস্ত্র দেওয়া, অন্যায়ভাবে বন্দী হওয়া লোকদের মুক্তির ব্যবস্থা করা, গৃহহীনদের গৃহের ব্যবস্থা করা, বিধবাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া এবং এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রতিপালন ও শিক্ষা–দীক্ষার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।
লেখক: ইসলাম বিষয়ক গবেষক
তওবা মানে ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবা মানে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত গড়ার চেষ্টা করা। সহজে বললে—পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা।
৪ ঘণ্টা আগেজীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা তৈরি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
১ দিন আগেসুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ। কীভাবে তিনি পারিবারিক ও...
২ দিন আগেজুমার দিন মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। ইসলামে জুমার দিন সপ্তাহের সেরা হিসেবে বিবেচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীতে যত দিন সূর্য উদিত হবে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)। অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন, দিবসসমূহের মধ্যে...
২ দিন আগে