আলী ওসমান শেফায়েত

মানুষ কীভাবে পার্থিব জীবনকে কাজে লাগিয়ে পরকালীন জীবনে সাফল্য লাভ করবে এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে, সেটাই পবিত্র কোরআনের আলোচ্য বিষয়। পরকালে প্রবেশের প্রথম পদক্ষেপ মৃত্যু ও কবরের জীবন। তাই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বারবার মানুষকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পরকালের প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মৃত্যু এক অমোঘ সত্য; অথচ অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে উদাসীন। তাই বিশ্বাসী বান্দার করণীয় হলো মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ করা এবং পরকালের অনন্ত জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
পার্থিব জীবনের ভোগবিলাসে মত্ত হয়ে আল্লাহকে ভুলে যাওয়া বিশ্বাসী মানুষের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। অন্যথায় মৃত্যুর পর আফসোস করেও কোনো কাজ হবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন না করে। যারা এ কারণে উদাসীন হয়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদের যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় করো। অন্যথায় (পরকালে) সে (মুমিন) বলবে, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলেন না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা করো, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।’ (সুরা মুনাফিকুন: ৯-১১)
পরকালে আল্লাহ তাআলা বান্দার সব কাজের প্রতিদান দেবেন। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার যেমন মিলবে, তেমনি মন্দ কাজের জন্য মিলবে শাস্তি। মৃত্যু ও পরকাল থেকে পালিয়ে বেড়ানোর সাধ্য কারও নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমরা নিজ নিজ কাজের প্রতিফল সম্পূর্ণভাবেই কিয়ামতের দিন পাবে...।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫; সুরা আনকাবুত: ৫৭)
মৃত্যুর পর উদাসীন বান্দাদের হুঁশ ফিরবে এবং ফের দুনিয়ার জীবন পেতে চাইবে। কিন্তু তা আর সম্ভব হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তাদের কারও কাছে মৃত্যু আসে, তখন সে বলে—হে আমার পালনকর্তা, আমাকে ফের (দুনিয়ায়) পাঠান, যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা আমি (এত দিন) করিনি। কখনোই নয়, এ তো তার একটি কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা আছে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত। এরপর যখন শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, সেদিন তাদের পারস্পরিক আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অন্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না। যাদের (নেক আমলের) পাল্লা ভারী হবে, তারা হবে সফলকাম। এবং যাদের পাল্লা হালকা হবে, তারাই নিজেদের ক্ষতিসাধনকারী। তারা জাহান্নামেই চিরকাল বসবাস করবে। আগুন তাদের মুখ পোড়াবে এবং তারা তাতে বীভৎস আকার ধারণ করবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯৯-১০৪)
পরকালে মহান আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর কথা মনে থাকলে পাপাচারে জড়ানো মুশকিল। তাই পাপাচার থেকে বাঁচতে এবং পরকালে সফল হতে আল্লাহর ভয়, মৃত্যুর স্মরণ এবং জবাবদিহির কথা অন্তরে জাগরূক রাখার বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে স্বীয় রবের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে, নিশ্চয়ই জান্নাতই হবে তার আবাসস্থল।’ (সুরা নাজিয়াত: ৪০-৪২)
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

মানুষ কীভাবে পার্থিব জীবনকে কাজে লাগিয়ে পরকালীন জীবনে সাফল্য লাভ করবে এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে, সেটাই পবিত্র কোরআনের আলোচ্য বিষয়। পরকালে প্রবেশের প্রথম পদক্ষেপ মৃত্যু ও কবরের জীবন। তাই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বারবার মানুষকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পরকালের প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মৃত্যু এক অমোঘ সত্য; অথচ অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে উদাসীন। তাই বিশ্বাসী বান্দার করণীয় হলো মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ করা এবং পরকালের অনন্ত জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
পার্থিব জীবনের ভোগবিলাসে মত্ত হয়ে আল্লাহকে ভুলে যাওয়া বিশ্বাসী মানুষের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। অন্যথায় মৃত্যুর পর আফসোস করেও কোনো কাজ হবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন না করে। যারা এ কারণে উদাসীন হয়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদের যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় করো। অন্যথায় (পরকালে) সে (মুমিন) বলবে, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলেন না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা করো, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।’ (সুরা মুনাফিকুন: ৯-১১)
পরকালে আল্লাহ তাআলা বান্দার সব কাজের প্রতিদান দেবেন। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার যেমন মিলবে, তেমনি মন্দ কাজের জন্য মিলবে শাস্তি। মৃত্যু ও পরকাল থেকে পালিয়ে বেড়ানোর সাধ্য কারও নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমরা নিজ নিজ কাজের প্রতিফল সম্পূর্ণভাবেই কিয়ামতের দিন পাবে...।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫; সুরা আনকাবুত: ৫৭)
মৃত্যুর পর উদাসীন বান্দাদের হুঁশ ফিরবে এবং ফের দুনিয়ার জীবন পেতে চাইবে। কিন্তু তা আর সম্ভব হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তাদের কারও কাছে মৃত্যু আসে, তখন সে বলে—হে আমার পালনকর্তা, আমাকে ফের (দুনিয়ায়) পাঠান, যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা আমি (এত দিন) করিনি। কখনোই নয়, এ তো তার একটি কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা আছে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত। এরপর যখন শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, সেদিন তাদের পারস্পরিক আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অন্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না। যাদের (নেক আমলের) পাল্লা ভারী হবে, তারা হবে সফলকাম। এবং যাদের পাল্লা হালকা হবে, তারাই নিজেদের ক্ষতিসাধনকারী। তারা জাহান্নামেই চিরকাল বসবাস করবে। আগুন তাদের মুখ পোড়াবে এবং তারা তাতে বীভৎস আকার ধারণ করবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯৯-১০৪)
পরকালে মহান আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর কথা মনে থাকলে পাপাচারে জড়ানো মুশকিল। তাই পাপাচার থেকে বাঁচতে এবং পরকালে সফল হতে আল্লাহর ভয়, মৃত্যুর স্মরণ এবং জবাবদিহির কথা অন্তরে জাগরূক রাখার বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে স্বীয় রবের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে, নিশ্চয়ই জান্নাতই হবে তার আবাসস্থল।’ (সুরা নাজিয়াত: ৪০-৪২)
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
আলী ওসমান শেফায়েত

মানুষ কীভাবে পার্থিব জীবনকে কাজে লাগিয়ে পরকালীন জীবনে সাফল্য লাভ করবে এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে, সেটাই পবিত্র কোরআনের আলোচ্য বিষয়। পরকালে প্রবেশের প্রথম পদক্ষেপ মৃত্যু ও কবরের জীবন। তাই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বারবার মানুষকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পরকালের প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মৃত্যু এক অমোঘ সত্য; অথচ অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে উদাসীন। তাই বিশ্বাসী বান্দার করণীয় হলো মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ করা এবং পরকালের অনন্ত জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
পার্থিব জীবনের ভোগবিলাসে মত্ত হয়ে আল্লাহকে ভুলে যাওয়া বিশ্বাসী মানুষের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। অন্যথায় মৃত্যুর পর আফসোস করেও কোনো কাজ হবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন না করে। যারা এ কারণে উদাসীন হয়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদের যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় করো। অন্যথায় (পরকালে) সে (মুমিন) বলবে, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলেন না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা করো, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।’ (সুরা মুনাফিকুন: ৯-১১)
পরকালে আল্লাহ তাআলা বান্দার সব কাজের প্রতিদান দেবেন। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার যেমন মিলবে, তেমনি মন্দ কাজের জন্য মিলবে শাস্তি। মৃত্যু ও পরকাল থেকে পালিয়ে বেড়ানোর সাধ্য কারও নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমরা নিজ নিজ কাজের প্রতিফল সম্পূর্ণভাবেই কিয়ামতের দিন পাবে...।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫; সুরা আনকাবুত: ৫৭)
মৃত্যুর পর উদাসীন বান্দাদের হুঁশ ফিরবে এবং ফের দুনিয়ার জীবন পেতে চাইবে। কিন্তু তা আর সম্ভব হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তাদের কারও কাছে মৃত্যু আসে, তখন সে বলে—হে আমার পালনকর্তা, আমাকে ফের (দুনিয়ায়) পাঠান, যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা আমি (এত দিন) করিনি। কখনোই নয়, এ তো তার একটি কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা আছে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত। এরপর যখন শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, সেদিন তাদের পারস্পরিক আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অন্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না। যাদের (নেক আমলের) পাল্লা ভারী হবে, তারা হবে সফলকাম। এবং যাদের পাল্লা হালকা হবে, তারাই নিজেদের ক্ষতিসাধনকারী। তারা জাহান্নামেই চিরকাল বসবাস করবে। আগুন তাদের মুখ পোড়াবে এবং তারা তাতে বীভৎস আকার ধারণ করবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯৯-১০৪)
পরকালে মহান আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর কথা মনে থাকলে পাপাচারে জড়ানো মুশকিল। তাই পাপাচার থেকে বাঁচতে এবং পরকালে সফল হতে আল্লাহর ভয়, মৃত্যুর স্মরণ এবং জবাবদিহির কথা অন্তরে জাগরূক রাখার বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে স্বীয় রবের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে, নিশ্চয়ই জান্নাতই হবে তার আবাসস্থল।’ (সুরা নাজিয়াত: ৪০-৪২)
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

মানুষ কীভাবে পার্থিব জীবনকে কাজে লাগিয়ে পরকালীন জীবনে সাফল্য লাভ করবে এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে, সেটাই পবিত্র কোরআনের আলোচ্য বিষয়। পরকালে প্রবেশের প্রথম পদক্ষেপ মৃত্যু ও কবরের জীবন। তাই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বারবার মানুষকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পরকালের প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মৃত্যু এক অমোঘ সত্য; অথচ অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে উদাসীন। তাই বিশ্বাসী বান্দার করণীয় হলো মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ করা এবং পরকালের অনন্ত জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
পার্থিব জীবনের ভোগবিলাসে মত্ত হয়ে আল্লাহকে ভুলে যাওয়া বিশ্বাসী মানুষের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। অন্যথায় মৃত্যুর পর আফসোস করেও কোনো কাজ হবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানসন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন না করে। যারা এ কারণে উদাসীন হয়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদের যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় করো। অন্যথায় (পরকালে) সে (মুমিন) বলবে, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলেন না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা করো, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।’ (সুরা মুনাফিকুন: ৯-১১)
পরকালে আল্লাহ তাআলা বান্দার সব কাজের প্রতিদান দেবেন। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার যেমন মিলবে, তেমনি মন্দ কাজের জন্য মিলবে শাস্তি। মৃত্যু ও পরকাল থেকে পালিয়ে বেড়ানোর সাধ্য কারও নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমরা নিজ নিজ কাজের প্রতিফল সম্পূর্ণভাবেই কিয়ামতের দিন পাবে...।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫; সুরা আনকাবুত: ৫৭)
মৃত্যুর পর উদাসীন বান্দাদের হুঁশ ফিরবে এবং ফের দুনিয়ার জীবন পেতে চাইবে। কিন্তু তা আর সম্ভব হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তাদের কারও কাছে মৃত্যু আসে, তখন সে বলে—হে আমার পালনকর্তা, আমাকে ফের (দুনিয়ায়) পাঠান, যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা আমি (এত দিন) করিনি। কখনোই নয়, এ তো তার একটি কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা আছে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত। এরপর যখন শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে, সেদিন তাদের পারস্পরিক আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অন্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না। যাদের (নেক আমলের) পাল্লা ভারী হবে, তারা হবে সফলকাম। এবং যাদের পাল্লা হালকা হবে, তারাই নিজেদের ক্ষতিসাধনকারী। তারা জাহান্নামেই চিরকাল বসবাস করবে। আগুন তাদের মুখ পোড়াবে এবং তারা তাতে বীভৎস আকার ধারণ করবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯৯-১০৪)
পরকালে মহান আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর কথা মনে থাকলে পাপাচারে জড়ানো মুশকিল। তাই পাপাচার থেকে বাঁচতে এবং পরকালে সফল হতে আল্লাহর ভয়, মৃত্যুর স্মরণ এবং জবাবদিহির কথা অন্তরে জাগরূক রাখার বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে স্বীয় রবের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে, নিশ্চয়ই জান্নাতই হবে তার আবাসস্থল।’ (সুরা নাজিয়াত: ৪০-৪২)
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৭ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৮ মিনিট | ০৬: ০৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৭ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৮ মিনিট | ০৬: ০৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানুষ কীভাবে পার্থিব জীবনকে কাজে লাগিয়ে পরকালীন জীবনে সাফল্য লাভ করবে এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে, সেটাই পবিত্র কোরআনের আলোচ্য বিষয়। পরকালে প্রবেশের প্রথম পদক্ষেপ মৃত্যু ও কবরের জীবন। তাই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বারবার মানুষকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পরকালের প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ
০১ ডিসেম্বর ২০২৩
তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। আল্লাহ তাআলা তাকওয়া অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে মোত্তাকি বান্দারা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং ভালোবাসার পাত্র।’ (সুরা হুজরাত: ১৩)
তাকওয়া অর্জনের সহজ তিনটি উপায় রয়েছে:
এক. ইখলাসের সঙ্গে ইবাদত করলে অন্তরে তাকওয়া আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের সেই প্রতিপালকের ইবাদত কর; যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা মোত্তাকি হতে পার।’ (সুরা বাকারা: ২১)
দুই. মহান আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ফিকিরের মাধ্যমে হৃদয়ে তাকওয়া সৃষ্টি করা সম্ভব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাত ও দিনের আবর্তনে, আর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মাঝে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তাতে তাকওয়া অবলম্বনকারী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা ইউনুস: ৬)
তিন. নবীজি (সা.)-এর প্রতি নিরেট ভালোবাসা এবং তাঁর অনুসরণের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া অর্জন করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সামনে তাদের আওয়াজ নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তর তাকওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করে নিয়েছেন। তাদের জন্য আছে ক্ষমা আর মহাপুরস্কার।’ (সুরা হুজুরাত: ৩)
যারা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে, তাদের জন্য রয়েছে অনন্য সুসংবাদ। পবিত্র কোরআনে এসেছে, যারা ইমান আনে আর তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে আর আখিরাতেও। আল্লাহর কথার কোনো হেরফের হয় না, এটাই হলো বিরাট সাফল্য। (সুরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের তাকওয়া অর্জন করে জীবন পরিচালনার তৌফিক দিন। আমিন।

তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। আল্লাহ তাআলা তাকওয়া অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে মোত্তাকি বান্দারা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং ভালোবাসার পাত্র।’ (সুরা হুজরাত: ১৩)
তাকওয়া অর্জনের সহজ তিনটি উপায় রয়েছে:
এক. ইখলাসের সঙ্গে ইবাদত করলে অন্তরে তাকওয়া আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের সেই প্রতিপালকের ইবাদত কর; যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা মোত্তাকি হতে পার।’ (সুরা বাকারা: ২১)
দুই. মহান আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ফিকিরের মাধ্যমে হৃদয়ে তাকওয়া সৃষ্টি করা সম্ভব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাত ও দিনের আবর্তনে, আর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মাঝে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তাতে তাকওয়া অবলম্বনকারী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা ইউনুস: ৬)
তিন. নবীজি (সা.)-এর প্রতি নিরেট ভালোবাসা এবং তাঁর অনুসরণের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া অর্জন করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সামনে তাদের আওয়াজ নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তর তাকওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করে নিয়েছেন। তাদের জন্য আছে ক্ষমা আর মহাপুরস্কার।’ (সুরা হুজুরাত: ৩)
যারা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে, তাদের জন্য রয়েছে অনন্য সুসংবাদ। পবিত্র কোরআনে এসেছে, যারা ইমান আনে আর তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে আর আখিরাতেও। আল্লাহর কথার কোনো হেরফের হয় না, এটাই হলো বিরাট সাফল্য। (সুরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের তাকওয়া অর্জন করে জীবন পরিচালনার তৌফিক দিন। আমিন।

মানুষ কীভাবে পার্থিব জীবনকে কাজে লাগিয়ে পরকালীন জীবনে সাফল্য লাভ করবে এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে, সেটাই পবিত্র কোরআনের আলোচ্য বিষয়। পরকালে প্রবেশের প্রথম পদক্ষেপ মৃত্যু ও কবরের জীবন। তাই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বারবার মানুষকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পরকালের প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ
০১ ডিসেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৪: ৪৬ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৭ মিনিট | ০৬: ০৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৪: ৪৬ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৭ মিনিট | ০৬: ০৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানুষ কীভাবে পার্থিব জীবনকে কাজে লাগিয়ে পরকালীন জীবনে সাফল্য লাভ করবে এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে, সেটাই পবিত্র কোরআনের আলোচ্য বিষয়। পরকালে প্রবেশের প্রথম পদক্ষেপ মৃত্যু ও কবরের জীবন। তাই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বারবার মানুষকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পরকালের প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ
০১ ডিসেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।
১ দিন আগে
আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
আলমগীর দেওয়ান, সিলেট
আপনার ২৫ বছরের দাম্পত্যজীবনে সন্তান লাভের আকাঙ্ক্ষা এবং সন্তানহীনতার শূন্যতা পূরণে একটি শিশুকে লালন-পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত মানবিক ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ইসলাম আপনার এই মহৎ সিদ্ধান্তকে শুধু অনুমোদনই করে না, বরং এতিম, গৃহহীন বা অসহায় শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে তাকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাকে অত্যন্ত সওয়াবের কাজ হিসেবে উৎসাহিত করে। তবে শরিয়তের কিছু মৌলিক নীতিমালা মেনে এটি করতে হবে, যা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
দত্তক নিলে মানতে হবে যেসব বিধান
ইসলামে অন্য কারও সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো স্নেহ, মমতা, অন্ন, বস্ত্র ও শিক্ষা দিয়ে লালন-পালন করাকে কাফালাহ বা অভিভাবকত্ব গ্রহণ বলা হয়। এটি বৈধ, বলা যায় এটি একটি মহৎ ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) এতিম বা অসহায় শিশুর দায়িত্ব নেওয়াকে বিপুল সওয়াবের কাজ বলে ঘোষণা করেছেন। (সহিহ বুখারি: ৬০০৫)
তবে সাধারণ অর্থে প্রচলিত দত্তক প্রথা ইসলাম সমর্থন করে না, যেখানে সন্তানের আসল পিতামাতার পরিচয় মুছে ফেলা হয় এবং তাকে জৈবিক সন্তানের মতো সকল আইনি অধিকার (উত্তরাধিকার ও পর্দা) দেওয়া হয়। বরং ইসলাম অনুমোদন করে কাফালাহ, যার মূল শর্ত হলো শিশুর আসল পিতৃপরিচয় বহাল রাখা।
ইসলামে কোনো স্বাধীন মানুষের প্রকৃত পিতৃপরিচয় ছিন্ন করা সম্পূর্ণভাবে হারাম ও কবিরা গুনাহ। দত্তক নেওয়ার কারণে শিশুর আসল মা-বাবা ও বংশের সম্পর্ক কোনোভাবেই বিলুপ্ত হবে না। তাই শিশুর জন্মসনদ, শিক্ষাসনদ, ভোটার আইডি বা অন্য যেকোনো দাপ্তরিক দলিলে তার আসল পিতার নাম উল্লেখ করা আবশ্যক।
দত্তক নেওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো পর্দার বিষয়টি। লালন-পালনকারীর সঙ্গে পালিত সন্তানের রক্তের সম্পর্ক স্থাপিত হয় না। ফলে পালক নেওয়া শিশুটি ছেলে হলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাকে পালক মায়ের সঙ্গে এবং মেয়ে হলে পালক বাবার সঙ্গে শরিয়তের পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে। পর্দার এই কঠোরতা এড়ানোর জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো—শিশুটিকে দুগ্ধপোষ্য অবস্থায় (জন্মের পর প্রথম দুই বছরের মধ্যে) পালক নেওয়া মায়ের কোনো বোন বা মেয়ে দ্বারা এমনভাবে দুধ পান করানো, যাতে সে দুগ্ধ-সম্পর্কীয় মাহরাম হয়ে যায়। দুগ্ধ-সম্পর্ক তৈরি হলে তাদের মধ্যে পর্দা আর আবশ্যক থাকবে না। (সহিহ বুখারি: ২৬৪৫)
পালক সন্তান লালন-পালনকারীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী (ওয়ারিশ) হিসেবে তাঁর সম্পত্তি থেকে কোনো অংশ পাবে না। কারণ রক্তের সম্পর্ক না থাকায় সে মিরাসের হকদার হয় না। তবে, লালন-পালনকারী তাঁর জীবদ্দশায় স্নেহবশত পালক সন্তানকে সম্পত্তি দান বা হেবা করতে পারবেন। অথবা, তিনি তাঁর মোট সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ থেকে পালক সন্তানের জন্য অসিয়ত (উইল) করে যেতে পারবেন।
পোষ্য সন্তানের তার লালন-পালনকারীকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতাবশত মা-বাবা বলে ডাকা জায়েজ। একইভাবে তাঁরাও সন্তানকে স্নেহ করে ছেলেমেয়ে ডাকতে পারবেন।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
আলমগীর দেওয়ান, সিলেট
আপনার ২৫ বছরের দাম্পত্যজীবনে সন্তান লাভের আকাঙ্ক্ষা এবং সন্তানহীনতার শূন্যতা পূরণে একটি শিশুকে লালন-পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত মানবিক ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ইসলাম আপনার এই মহৎ সিদ্ধান্তকে শুধু অনুমোদনই করে না, বরং এতিম, গৃহহীন বা অসহায় শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে তাকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাকে অত্যন্ত সওয়াবের কাজ হিসেবে উৎসাহিত করে। তবে শরিয়তের কিছু মৌলিক নীতিমালা মেনে এটি করতে হবে, যা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
দত্তক নিলে মানতে হবে যেসব বিধান
ইসলামে অন্য কারও সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো স্নেহ, মমতা, অন্ন, বস্ত্র ও শিক্ষা দিয়ে লালন-পালন করাকে কাফালাহ বা অভিভাবকত্ব গ্রহণ বলা হয়। এটি বৈধ, বলা যায় এটি একটি মহৎ ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) এতিম বা অসহায় শিশুর দায়িত্ব নেওয়াকে বিপুল সওয়াবের কাজ বলে ঘোষণা করেছেন। (সহিহ বুখারি: ৬০০৫)
তবে সাধারণ অর্থে প্রচলিত দত্তক প্রথা ইসলাম সমর্থন করে না, যেখানে সন্তানের আসল পিতামাতার পরিচয় মুছে ফেলা হয় এবং তাকে জৈবিক সন্তানের মতো সকল আইনি অধিকার (উত্তরাধিকার ও পর্দা) দেওয়া হয়। বরং ইসলাম অনুমোদন করে কাফালাহ, যার মূল শর্ত হলো শিশুর আসল পিতৃপরিচয় বহাল রাখা।
ইসলামে কোনো স্বাধীন মানুষের প্রকৃত পিতৃপরিচয় ছিন্ন করা সম্পূর্ণভাবে হারাম ও কবিরা গুনাহ। দত্তক নেওয়ার কারণে শিশুর আসল মা-বাবা ও বংশের সম্পর্ক কোনোভাবেই বিলুপ্ত হবে না। তাই শিশুর জন্মসনদ, শিক্ষাসনদ, ভোটার আইডি বা অন্য যেকোনো দাপ্তরিক দলিলে তার আসল পিতার নাম উল্লেখ করা আবশ্যক।
দত্তক নেওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো পর্দার বিষয়টি। লালন-পালনকারীর সঙ্গে পালিত সন্তানের রক্তের সম্পর্ক স্থাপিত হয় না। ফলে পালক নেওয়া শিশুটি ছেলে হলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাকে পালক মায়ের সঙ্গে এবং মেয়ে হলে পালক বাবার সঙ্গে শরিয়তের পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে। পর্দার এই কঠোরতা এড়ানোর জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো—শিশুটিকে দুগ্ধপোষ্য অবস্থায় (জন্মের পর প্রথম দুই বছরের মধ্যে) পালক নেওয়া মায়ের কোনো বোন বা মেয়ে দ্বারা এমনভাবে দুধ পান করানো, যাতে সে দুগ্ধ-সম্পর্কীয় মাহরাম হয়ে যায়। দুগ্ধ-সম্পর্ক তৈরি হলে তাদের মধ্যে পর্দা আর আবশ্যক থাকবে না। (সহিহ বুখারি: ২৬৪৫)
পালক সন্তান লালন-পালনকারীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী (ওয়ারিশ) হিসেবে তাঁর সম্পত্তি থেকে কোনো অংশ পাবে না। কারণ রক্তের সম্পর্ক না থাকায় সে মিরাসের হকদার হয় না। তবে, লালন-পালনকারী তাঁর জীবদ্দশায় স্নেহবশত পালক সন্তানকে সম্পত্তি দান বা হেবা করতে পারবেন। অথবা, তিনি তাঁর মোট সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ থেকে পালক সন্তানের জন্য অসিয়ত (উইল) করে যেতে পারবেন।
পোষ্য সন্তানের তার লালন-পালনকারীকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতাবশত মা-বাবা বলে ডাকা জায়েজ। একইভাবে তাঁরাও সন্তানকে স্নেহ করে ছেলেমেয়ে ডাকতে পারবেন।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

মানুষ কীভাবে পার্থিব জীবনকে কাজে লাগিয়ে পরকালীন জীবনে সাফল্য লাভ করবে এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে, সেটাই পবিত্র কোরআনের আলোচ্য বিষয়। পরকালে প্রবেশের প্রথম পদক্ষেপ মৃত্যু ও কবরের জীবন। তাই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বারবার মানুষকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পরকালের প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ
০১ ডিসেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে