মুফতি আইয়ুব নাদীম
আল্লাহর বিধান অনুযায়ী যে চারটি মাস সম্মানিত, তার একটি জিলহজ। হজ ও কোরবানির কারণে এই মাসের ফজিলত আরো বেড়ে গিয়েছে। হাদিসে জিলহজ মাসের বিভিন্ন আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো—
নয় দিন নফল রোজা রাখা: জিলহজ মাসের প্রথম নয় দিন নফল রোজা রাখা মুস্তাহাব। রাসুলুল্লাহ (সা.) জিলহজের প্রথম নয় দিন, আশুরার দিন এবং প্রত্যেক মাসের তিন দিন রোজা রাখতেন।’ (সুনানে নাসায়ি: ২৩৭২)
আরাফার দিন রোজা রাখা: মহানবী (সা.) বলেন, ‘আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তা বিগত এক বছর ও আগত এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬২)। উক্ত হাদিসে আরাফার দিন বলতে ৯ জিলহজের কথা বলা হয়েছে। ৯ জিলহজ হলো আরাফার দিন।
চুল ও নখ না কাটা: যারা কোরবানি করবে, বা করবে না; তাদের জন্য জিলহজের চাঁদ ওঠা থেকে কোরবানি করা পর্যন্ত চুল ও নখ না কাটা মুস্তাহাব। হযরত উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কোরবানি করবে ও করবে না; তারা যেন (এই দশ দিন) চুল ও নখ না কাটে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৫২৩৩)
তাকবিরে তাশরিক বলা: জিলহজ মাসের ৯ তারিখের ফজর থেকে নিয়ে ১৩ তারিখ আসর নামাজ পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। পুরুষরা উঁচু আওয়াজে, আর নারীরা নিচু আওয়াজে তাকবির পড়বে। (ফতোয়া শামী:৮/১২৪)
কোরবানি করা: যে সকল নর-নারী কোরবানির দিনসমূহে কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য রাখে—তাদের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব।
এ প্রসঙ্গে হাদিস বর্ণিত হয়েছে, হজরত উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরবানির দিনের আমলসমূহের মধ্য থেকে পশু কোরবানি করার চেয়ে কোনো আমল আল্লাহ তাআলার নিকট অধিক প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন এই কোরবানিকে তার শিং, পশম ও ক্ষুরসহ উপস্থিত করা হবে। আর কোরবানির রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহ তাআলার নিকট কবুল হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে কোরবানি কর।’ (জামে তিরমিজি: ১৪৯৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলূম মাদ্রাসা, মধুপুর, টাঙ্গাইল
আরও পড়ুন:
আল্লাহর বিধান অনুযায়ী যে চারটি মাস সম্মানিত, তার একটি জিলহজ। হজ ও কোরবানির কারণে এই মাসের ফজিলত আরো বেড়ে গিয়েছে। হাদিসে জিলহজ মাসের বিভিন্ন আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে, নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো—
নয় দিন নফল রোজা রাখা: জিলহজ মাসের প্রথম নয় দিন নফল রোজা রাখা মুস্তাহাব। রাসুলুল্লাহ (সা.) জিলহজের প্রথম নয় দিন, আশুরার দিন এবং প্রত্যেক মাসের তিন দিন রোজা রাখতেন।’ (সুনানে নাসায়ি: ২৩৭২)
আরাফার দিন রোজা রাখা: মহানবী (সা.) বলেন, ‘আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তা বিগত এক বছর ও আগত এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬২)। উক্ত হাদিসে আরাফার দিন বলতে ৯ জিলহজের কথা বলা হয়েছে। ৯ জিলহজ হলো আরাফার দিন।
চুল ও নখ না কাটা: যারা কোরবানি করবে, বা করবে না; তাদের জন্য জিলহজের চাঁদ ওঠা থেকে কোরবানি করা পর্যন্ত চুল ও নখ না কাটা মুস্তাহাব। হযরত উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কোরবানি করবে ও করবে না; তারা যেন (এই দশ দিন) চুল ও নখ না কাটে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৫২৩৩)
তাকবিরে তাশরিক বলা: জিলহজ মাসের ৯ তারিখের ফজর থেকে নিয়ে ১৩ তারিখ আসর নামাজ পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। পুরুষরা উঁচু আওয়াজে, আর নারীরা নিচু আওয়াজে তাকবির পড়বে। (ফতোয়া শামী:৮/১২৪)
কোরবানি করা: যে সকল নর-নারী কোরবানির দিনসমূহে কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য রাখে—তাদের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব।
এ প্রসঙ্গে হাদিস বর্ণিত হয়েছে, হজরত উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরবানির দিনের আমলসমূহের মধ্য থেকে পশু কোরবানি করার চেয়ে কোনো আমল আল্লাহ তাআলার নিকট অধিক প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন এই কোরবানিকে তার শিং, পশম ও ক্ষুরসহ উপস্থিত করা হবে। আর কোরবানির রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহ তাআলার নিকট কবুল হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে কোরবানি কর।’ (জামে তিরমিজি: ১৪৯৩)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলূম মাদ্রাসা, মধুপুর, টাঙ্গাইল
আরও পড়ুন:
জীবন ও মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর হাতে। কিন্তু কার মৃত্যু কেমনভাবে ঘটবে এবং সেই মৃত্যু কী মর্যাদা বহন করবে—ইসলাম তা ব্যাখ্যা করেছে অত্যন্ত মানবিক ও অর্থপূর্ণভাবে। বিশেষ করে যে মৃত্যুগুলোতে রয়েছে শারীরিক কষ্ট, আত্মত্যাগ ও ধৈর্যের পরীক্ষার ছাপ; ইসলাম সেগুলোর জন্য রেখেছে বিশেষ পুরস্কার ও মর্যাদা।
২৪ মিনিট আগেরোগী গুরুতর অসুস্থ হোক কিংবা কম। তাকে সান্ত্বনা দেওয়া। হতাশ না করা কিংবা ভয় না দেখানো। অসুস্থ ব্যক্তিকে কী বলে সান্ত্বনা দিতে হয় তা হাদিস অনুসন্ধান পাওয়া যায়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এক বেদুইনের ঘরে প্রবেশ করলেন তার রোগের খোঁজখবর নিতে। তিনি বললেন—‘তোমার চিন্তার...
৩৫ মিনিট আগেমৃত্যু যদি প্রস্তুতির সুযোগ ছাড়াই হঠাৎ আসে, তখন সেটি হয়ে উঠতে পারে অনুতাপের কারণ। যদি কেউ পাপের মধ্যে লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে—বিশেষ করে হঠাৎ মৃত্যু হয়, তবে তা বড় বিপদের কারণ। কেননা, এতে তাওবার সুযোগ নেই, সংশোধনের অবকাশ থাকে না, কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও থাকে না।
১ ঘণ্টা আগেজীবিকার তাগিদে মানুষ নিজ বাসস্থান থেকে দূরে থাকে। যে যেখানেই থাকুক নিজের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখার বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে জোর নির্দেশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘...আর আল্লাহ যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে আদেশ করেছেন, যারা তা অক্ষুণ্ন রাখে...
৫ ঘণ্টা আগে