Ajker Patrika

মৃত নবজাতকের কাফন-দাফনের বিধান

শরিফ আহমাদ
Thumbnail image
প্রতীকী ছবি

সন্তান আল্লাহ তাআলার এক অমূল্য উপহার। সন্তানের জন্মের মাধ্যমে পরিবারে এক নতুন অধ্যায় সূচিত হয়। সন্তানকে নিয়ে প্রত্যেক মা-বাবার আকাশছোঁয়া স্বপ্ন থাকে। তবে কখনো কখনো সন্তান শৈশবেই না-ফেরার দেশে পাড়ি জমায়। এটি আল্লাহর কঠিন পরীক্ষা। এ সময় একেবারে ভেঙে পড়া যাবে না; ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সঠিকভাবে সন্তানের দাফন-কাফনের ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে।

জীবিত সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মারা গেলে সাধারণ মৃতের মতোই তার গোসল ও কাফন দিতে হবে এবং জানাজা পড়ে দাফন করতে হবে। বিশুদ্ধ বর্ণনা মতে, তার নামও রাখতে হবে। জাবির (রা.) বলেন, শিশু যদি (ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর) কাঁদে (অর্থাৎ জীবিত জন্ম হয়, এরপর সে মারা যায়) তবে তার জানাজা পড়া হবে। আর যদি সে না কাঁদে (অর্থাৎ মৃত জন্ম হয়) তবে তার জানাজা পড়া হবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)

যদি সন্তান মৃত ভূমিষ্ঠ হয়, তাহলে তার জানাজা পড়তে হবে না। তাকে গোসল দিয়ে একটি পরিষ্কার কাপড়ে পেঁচিয়ে দাফন করে দিতে হবে। অবশ্য এ ধরনের সন্তানকে তিন কাপড়েও কাফন দেওয়া যায়। একটি নামও রাখা যায়। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জন্মের পর কান্নাকাটি না করা পর্যন্ত শিশুর জন্য সালাতুল জানাজা নেই এবং সে কারও ওয়ারিশও হবে না এবং তার থেকেও কেউ ওয়ারিশ হবে না।’ (তিরমিজি)

একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে সেসব অসম্পূর্ণ ও মৃত মানবভ্রূণের ক্ষেত্রে, যাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে। আর যদি নষ্ট হয়ে যাওয়া গর্ভের ভ্রূণ শুধু গোশতের টুকরার মতো বের হয়, তাহলে তা একটি কাপড়ে পেঁচিয়ে কোথাও দাফন করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে জানাজা, গোসল, নাম রাখা—কোনো কিছুরই বিধান নেই। (তাবয়িনুল হাকায়েক: ১ / ২৩৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১ / ১৫৯)

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত