আমজাদ ইউনুস
ইসলাম প্রতিবেশীর অধিকারের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করে। প্রতিবেশীর অধিকার এতই গুরুত্বপূর্ণ যে কোরআনে প্রতিবেশীর অধিকারকে আল্লাহর অধিকার, মা-বাবার অধিকার ও আত্মীয়তার অধিকারের পাশাপাশি স্থান দিয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং কোনো কিছুকে তাঁর সঙ্গে শরিক কোরো না। মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন, এতিম, অভাবগ্রস্ত, নিকট-প্রতিবেশী, দূর-প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথি, মুসাফির ও তোমাদের দাস-দাসীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো। নিশ্চয় আল্লাহ দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা নিসা: ৩৬)
হাদিসেও প্রতিবেশীর অধিকার এবং তাদের সঙ্গে সুন্দর আচরণের বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়েছে। প্রতিবেশীর খোঁজখবর রাখা, বিপদ-আপদে এগিয়ে যাওয়া, একে অপরের সুখ-দুঃখের ভাগীদার হওয়া এবং হাদিয়া আদান-প্রদান করার বিষয়ে নবীজি অনেক উৎসাহিত করেছেন। নবী (সা.) প্রতিবেশীর সঙ্গে সদাচরণ করার আদেশ দিয়েছেন এবং প্রতিবেশীদের কষ্ট দেওয়াকে ইমানের দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু রাসুল (সা.) আমাকে জোর নির্দেশ করেছেন, ‘যখন তুমি তরকারি রান্না করবে তখন তাতে পানি বেশি করে দেবে। তারপর তুমি তোমার প্রতিবেশীর পরিজনের প্রতি খেয়াল রাখবে। এরপর তা থেকে তাদেরকে কিছু সৌজন্যস্বরূপ পৌঁছিয়ে দেবে।’ (সহিহ মুসলিম: ৬৫৮৩)
অন্য হাদিসে আবু শুরাইহ খুজায়ি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কসম, সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম, সে মুমিন নয়।’ জানতে চাওয়া হলো, ‘কে হে আল্লাহর রাসুল?’ তিনি বললেন, ‘যার অনিষ্ট ও উৎপীড়ন থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না।’ (সহিহ বুখারি: ৬০১৬) অন্য হাদিসে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘সে তো মুমিন নয়, যে নিজে তৃপ্তিভরে আহার করে, আর তার প্রতিবেশী থাকে অনাহারে, অর্ধাহারে।’ (আল আদাবুল মুফরাদ: ১১২)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম প্রতিবেশীর অধিকারের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করে। প্রতিবেশীর অধিকার এতই গুরুত্বপূর্ণ যে কোরআনে প্রতিবেশীর অধিকারকে আল্লাহর অধিকার, মা-বাবার অধিকার ও আত্মীয়তার অধিকারের পাশাপাশি স্থান দিয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং কোনো কিছুকে তাঁর সঙ্গে শরিক কোরো না। মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন, এতিম, অভাবগ্রস্ত, নিকট-প্রতিবেশী, দূর-প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথি, মুসাফির ও তোমাদের দাস-দাসীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো। নিশ্চয় আল্লাহ দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা নিসা: ৩৬)
হাদিসেও প্রতিবেশীর অধিকার এবং তাদের সঙ্গে সুন্দর আচরণের বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়েছে। প্রতিবেশীর খোঁজখবর রাখা, বিপদ-আপদে এগিয়ে যাওয়া, একে অপরের সুখ-দুঃখের ভাগীদার হওয়া এবং হাদিয়া আদান-প্রদান করার বিষয়ে নবীজি অনেক উৎসাহিত করেছেন। নবী (সা.) প্রতিবেশীর সঙ্গে সদাচরণ করার আদেশ দিয়েছেন এবং প্রতিবেশীদের কষ্ট দেওয়াকে ইমানের দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু রাসুল (সা.) আমাকে জোর নির্দেশ করেছেন, ‘যখন তুমি তরকারি রান্না করবে তখন তাতে পানি বেশি করে দেবে। তারপর তুমি তোমার প্রতিবেশীর পরিজনের প্রতি খেয়াল রাখবে। এরপর তা থেকে তাদেরকে কিছু সৌজন্যস্বরূপ পৌঁছিয়ে দেবে।’ (সহিহ মুসলিম: ৬৫৮৩)
অন্য হাদিসে আবু শুরাইহ খুজায়ি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কসম, সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম, সে মুমিন নয়।’ জানতে চাওয়া হলো, ‘কে হে আল্লাহর রাসুল?’ তিনি বললেন, ‘যার অনিষ্ট ও উৎপীড়ন থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না।’ (সহিহ বুখারি: ৬০১৬) অন্য হাদিসে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘সে তো মুমিন নয়, যে নিজে তৃপ্তিভরে আহার করে, আর তার প্রতিবেশী থাকে অনাহারে, অর্ধাহারে।’ (আল আদাবুল মুফরাদ: ১১২)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। হাওয়াই জাহাজে চড়ে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়া যায় অল্প সময়ের ব্যবধানে। হজের উদ্দেশে মক্কায় যাওয়া যায় কয়েক ঘণ্টায়। বাংলাদেশে ফজরের নামাজ আদায় করে বিমানে উঠলে পবিত্র কাবায় গিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করা সম্ভব।
৬ ঘণ্টা আগেজোহরের নামাজের সুন্নতের নিয়ত করছি। একজন এসে বাধা দিয়ে বললেন, সুন্নতের সময় নেই। আমি বলি, সমস্যা নেই। এবং সুন্নত আদায় করে জামাতের দ্বিতীয় রাকাতে শামিল হই। নামাজ শেষে তিনি আমাকে বলেন, এটা জামাতের প্রতি অবজ্ঞা।
৭ ঘণ্টা আগেরাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের শ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিক অভিযাত্রায় মানবজাতির ইতিহাসে এমন কিছু মুহূর্ত থাকে, যেগুলো কেবল একটি ঘটনার বর্ণনা নয়, বরং হয়ে ওঠে এক চিরন্তন আদর্শের স্মারকচিহ্ন। ১০ হিজরির বিদায় হজ তেমনই এক মহিমান্বিত অধ্যায়।
৭ ঘণ্টা আগেমুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। মহান আল্লাহর ঘরে গিয়ে নিজের সব গুনাহ মাফ করিয়ে নেওয়ার এক অপূর্ব সুযোগ। হজ মানেই কান্না, তওবা এবং লাব্বাইকের ধ্বনি আর মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের তীব্র বাসনা।
৭ ঘণ্টা আগে