মাহমুদ হাসান ফাহিম
চারটি অনুপম এমন গুণ আছে, যেগুলো সাধারণত কোনো নীতিবান বিনয়ী ব্যক্তির মধ্যে পাওয়া যায়। নবীজির মধ্যে গুণগুলো ষোলোআনা বিদ্যমান ছিল। সেগুলো হলো—
অসুস্থ মানুষের সেবা-শুশ্রূষা: নবী (সা.) ধনী-নির্ধন নির্বিশেষে সবার খোঁজখবর নিতেন। কেউ অসুস্থ হওয়ার সংবাদ পেলে নিঃসংকোচে ওই ব্যক্তির শুশ্রূষা করার জন্য যেতেন। এমনকি একবার তাঁর এক ইহুদি খাদেম অসুস্থ হলে তাঁরও শুশ্রূষা করেন নবীজি। চাচা আবু তালিব ইসলাম গ্রহণ করেননি; তবুও তাঁর শুশ্রূষা করতে কখনো দ্বিধা করেননি।
জানাজায় অংশগ্রহণ: নবীজি মানুষের জানাজায় শরিক হতেন। নিজেই জানাজার সালাত পড়াতেন। জানাজার পর মরদেহ নিয়ে গোরস্তান পর্যন্ত হেঁটে যেতেন এবং দাফনকাজে শরিক হতেন। একবার মসজিদে নববির ঝাড়ুদাতা এক নারী রাতে ইন্তিকাল করেন। রাতে নবীজির কষ্ট হতে পারে এ আশঙ্কায় তাঁকে সংবাদ দেওয়া হয়নি। নিজেরাই ওই নারীর কাফন-দাফনের কাজ সম্পন্ন করেন সাহাবিরা। পরে এ সংবাদ শুনে নবীজি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং ওই নারীর কবরে গিয়ে জানাজা পড়ে আসেন।
যে কারও নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা: ধনী-দরিদ্র সবার নিমন্ত্রণ কবুল করা উচিত। গরিব মানুষের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা এবং তাঁদের কথা শোনা অন্যতম ভালো গুণ। প্রিয়নবী (সা.) সব মানুষের বক্তব্য শুনতেন। কোনো ক্রীতদাসও যদি তাঁকে নিজ প্রয়োজন সমাধা করতে ডাকত, তিনি নিঃসংকোচে চলে যেতেন। একে আত্মমর্যাদায় আঘাত বিবেচনা করতেন না।
নিম্নমানের বাহনে আরোহণ: প্রিয়নবী (সা.)-এর জন্য উট, ঘোড়া ইত্যাদি উন্নত বাহনের ব্যবস্থা ছিল। তবুও তিনি বিনয় প্রকাশার্থে গাধা ও খচ্চরের পিঠে সাওয়ার হতেন। একে নিজের জন্য অপমানজনক মনে করতেন না। খায়বার যুদ্ধ, বনু কুরায়জা ও বনু নাজির যুদ্ধে তিনি মুসলিম বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে রণাঙ্গন পরিচালনা করেন। সেখানে তাঁর বাহন ছিল সামান্য একটি গাধা।
সূত্র: মেশকাত শরিফ: ৫৮২১; আখলাকুন্নবী: ১২০।
চারটি অনুপম এমন গুণ আছে, যেগুলো সাধারণত কোনো নীতিবান বিনয়ী ব্যক্তির মধ্যে পাওয়া যায়। নবীজির মধ্যে গুণগুলো ষোলোআনা বিদ্যমান ছিল। সেগুলো হলো—
অসুস্থ মানুষের সেবা-শুশ্রূষা: নবী (সা.) ধনী-নির্ধন নির্বিশেষে সবার খোঁজখবর নিতেন। কেউ অসুস্থ হওয়ার সংবাদ পেলে নিঃসংকোচে ওই ব্যক্তির শুশ্রূষা করার জন্য যেতেন। এমনকি একবার তাঁর এক ইহুদি খাদেম অসুস্থ হলে তাঁরও শুশ্রূষা করেন নবীজি। চাচা আবু তালিব ইসলাম গ্রহণ করেননি; তবুও তাঁর শুশ্রূষা করতে কখনো দ্বিধা করেননি।
জানাজায় অংশগ্রহণ: নবীজি মানুষের জানাজায় শরিক হতেন। নিজেই জানাজার সালাত পড়াতেন। জানাজার পর মরদেহ নিয়ে গোরস্তান পর্যন্ত হেঁটে যেতেন এবং দাফনকাজে শরিক হতেন। একবার মসজিদে নববির ঝাড়ুদাতা এক নারী রাতে ইন্তিকাল করেন। রাতে নবীজির কষ্ট হতে পারে এ আশঙ্কায় তাঁকে সংবাদ দেওয়া হয়নি। নিজেরাই ওই নারীর কাফন-দাফনের কাজ সম্পন্ন করেন সাহাবিরা। পরে এ সংবাদ শুনে নবীজি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং ওই নারীর কবরে গিয়ে জানাজা পড়ে আসেন।
যে কারও নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা: ধনী-দরিদ্র সবার নিমন্ত্রণ কবুল করা উচিত। গরিব মানুষের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা এবং তাঁদের কথা শোনা অন্যতম ভালো গুণ। প্রিয়নবী (সা.) সব মানুষের বক্তব্য শুনতেন। কোনো ক্রীতদাসও যদি তাঁকে নিজ প্রয়োজন সমাধা করতে ডাকত, তিনি নিঃসংকোচে চলে যেতেন। একে আত্মমর্যাদায় আঘাত বিবেচনা করতেন না।
নিম্নমানের বাহনে আরোহণ: প্রিয়নবী (সা.)-এর জন্য উট, ঘোড়া ইত্যাদি উন্নত বাহনের ব্যবস্থা ছিল। তবুও তিনি বিনয় প্রকাশার্থে গাধা ও খচ্চরের পিঠে সাওয়ার হতেন। একে নিজের জন্য অপমানজনক মনে করতেন না। খায়বার যুদ্ধ, বনু কুরায়জা ও বনু নাজির যুদ্ধে তিনি মুসলিম বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে রণাঙ্গন পরিচালনা করেন। সেখানে তাঁর বাহন ছিল সামান্য একটি গাধা।
সূত্র: মেশকাত শরিফ: ৫৮২১; আখলাকুন্নবী: ১২০।
বৃক্ষ আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সবুজ পাতার মৃদুমন্দ দোল, ফল ফুলে ভরা গাছ শুধু প্রকৃতির অংশই নয়; বরং আল্লাহর দেওয়া এক অপার রহমত, অনন্য এক নেয়ামত। আল্লাহ তাআলা মানবজাতির কল্যাণে অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন, গাছ তার অন্যতম। গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। অক্সিজেন সরবরাহ, খাদ্য উৎপাদন এবং ছায়া...
৯ ঘণ্টা আগেপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রত্যেক মুসলিম নারী-পুরুষের ওপর দৈনন্দিন নির্ধারিত সময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। এটি ইসলামের অবশ্য পালনীয় বিধানের একটি। পুরোপুরি ‘বেহুঁশ’ হওয়ার আগ পর্যন্ত মুসলমানের ওপর এই আবশ্যকতা বহাল থাকে। দাঁড়িয়ে না পারলে বসে, বসে না পারলে শুয়ে; ইশারা-ইঙ্গিতে তাকে নামাজ সম্পন্ন করতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগেঅপবাদের সামাজিক দহন: আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (সোশ্যাল মিডিয়া) কারও ছবি, কোনো ক্লিপ, বা একতরফা তথ্য দেখে অনেকেই মন্তব্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রমাণ ছাড়াই মন্তব্য করে! কেউ বলেই ফেলে, ‘ও তো নিশ্চয় এমনই, ’ আর কেউ বলে, ‘আমি জানি ও ঠিক কী ধরনের মানুষ!’ —এইসব কথায় একজন মানুষ, একটা পরিবার, একটা জীবন—সব শেষ...
১১ ঘণ্টা আগেদাম্পত্যজীবন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো একে অপরের প্রশংসা করা, পরস্পরকে মর্যাদা দেওয়া। বিশেষ করে স্ত্রীর প্রশংসা করা, তার গুণাবলি প্রকাশ করা এবং ভালোবাসার কথা জানানো স্বামীর সচেতনতার পরিচয়...
১৬ ঘণ্টা আগে