কাউসার লাবীব
দাম্পত্যজীবন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো একে অপরের প্রশংসা করা, পরস্পরকে মর্যাদা দেওয়া। বিশেষ করে স্ত্রীর প্রশংসা করা, তার গুণাবলি প্রকাশ করা এবং ভালোবাসার কথা জানানো স্বামীর সচেতনতার পরিচয় বহন করে। ইসলাম এই মানবিক সৌন্দর্যকে উৎসাহিত করেছে, আর আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেই এর অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবনচরিত অধ্যয়ন করলে আমরা দেখতে পাই, তিনি কেবল স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন তা-ই নয়, বরং তিনি বারবার প্রকাশ করেছেন স্ত্রীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা। তাঁর স্ত্রীদের বর্ণিত হাদিস থেকে এ কথা বারবারই প্রমাণিত হয়।
হজরত খাদিজা (রা.)-এর মৃত্যুর পরও রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর কথা এতবার স্মরণ করতেন, এতবার প্রশংসা করতেন যে হজরত আয়েশা (রা.)-এর মতো একজন গুণবতী স্ত্রীও কখনো কখনো ঈর্ষান্বিত হতেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর স্ত্রীদের মাঝে খাদিজা (রা.)-এর চেয়ে অন্য কোনো স্ত্রীর প্রতি অধিক ঈর্ষা করিনি। কারণ, নবী (সা.) প্রায়ই তাঁর কথা স্মরণ করতেন এবং তাঁর প্রশংসা করতেন।’ (সহিহ বুখারি: ৫২২৯)
এ ছাড়া হজরত আয়েশা (রা.)-এর প্রশংসা করেও চমৎকার উপমা দিয়েছেন মহানবী (সা.)। হজরত আবু মুসা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা অর্জন করেছেন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া এবং ইমরানের কন্যা মারইয়াম ব্যতীত আর কেউ পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়নি। তবে আয়েশার মর্যাদা সব মহিলার ওপর এমন, যেমন সারিদের (তৎকালীন জনপ্রিয় বিশেষ খাদ্য) মর্যাদা সকল প্রকার খাদ্যের ওপর। (সহিহ বুখারি: ৩৪১১)। এই হাদিসে নবীজি যে চমৎকার রূপকে স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন, তা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং তাঁর জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, ইবাদত, চরিত্রের গভীর স্বীকৃতি।
স্ত্রীর প্রশংসা কেবল ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি নবীজির সুন্নত। স্বামী যখন স্ত্রীর প্রশংসা করে, তখন তা দাম্পত্য বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে, অন্তরজুড়ে আনে প্রশান্তি ও আত্মবিশ্বাস।
দাম্পত্যজীবন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো একে অপরের প্রশংসা করা, পরস্পরকে মর্যাদা দেওয়া। বিশেষ করে স্ত্রীর প্রশংসা করা, তার গুণাবলি প্রকাশ করা এবং ভালোবাসার কথা জানানো স্বামীর সচেতনতার পরিচয় বহন করে। ইসলাম এই মানবিক সৌন্দর্যকে উৎসাহিত করেছে, আর আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেই এর অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবনচরিত অধ্যয়ন করলে আমরা দেখতে পাই, তিনি কেবল স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন তা-ই নয়, বরং তিনি বারবার প্রকাশ করেছেন স্ত্রীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা। তাঁর স্ত্রীদের বর্ণিত হাদিস থেকে এ কথা বারবারই প্রমাণিত হয়।
হজরত খাদিজা (রা.)-এর মৃত্যুর পরও রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর কথা এতবার স্মরণ করতেন, এতবার প্রশংসা করতেন যে হজরত আয়েশা (রা.)-এর মতো একজন গুণবতী স্ত্রীও কখনো কখনো ঈর্ষান্বিত হতেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর স্ত্রীদের মাঝে খাদিজা (রা.)-এর চেয়ে অন্য কোনো স্ত্রীর প্রতি অধিক ঈর্ষা করিনি। কারণ, নবী (সা.) প্রায়ই তাঁর কথা স্মরণ করতেন এবং তাঁর প্রশংসা করতেন।’ (সহিহ বুখারি: ৫২২৯)
এ ছাড়া হজরত আয়েশা (রা.)-এর প্রশংসা করেও চমৎকার উপমা দিয়েছেন মহানবী (সা.)। হজরত আবু মুসা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা অর্জন করেছেন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া এবং ইমরানের কন্যা মারইয়াম ব্যতীত আর কেউ পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়নি। তবে আয়েশার মর্যাদা সব মহিলার ওপর এমন, যেমন সারিদের (তৎকালীন জনপ্রিয় বিশেষ খাদ্য) মর্যাদা সকল প্রকার খাদ্যের ওপর। (সহিহ বুখারি: ৩৪১১)। এই হাদিসে নবীজি যে চমৎকার রূপকে স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন, তা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং তাঁর জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, ইবাদত, চরিত্রের গভীর স্বীকৃতি।
স্ত্রীর প্রশংসা কেবল ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি নবীজির সুন্নত। স্বামী যখন স্ত্রীর প্রশংসা করে, তখন তা দাম্পত্য বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে, অন্তরজুড়ে আনে প্রশান্তি ও আত্মবিশ্বাস।
বিশেষ করে যারা আগেভাগে মসজিদে আসে এবং খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনে—তাদের জন্য রয়েছে অতুলনীয় সওয়াবের প্রতিশ্রুতি। এমনকি কারও নামের পাশে লেখা হতে পারে উট সদকার সওয়াবও! হাদিস ও কোরআনের আলোকে আমরা জেনে নিতে পারি—এই দিনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তা কীভাবে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়।
২ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ, যা ‘শুক্রবারের নামাজ’ নামে পরিচিত, ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ‘জুমুআহ’ শব্দের অর্থ একত্রিত হওয়া বা কাতারবদ্ধ হওয়া। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানরা একত্রিত হয়ে জামাতের সঙ্গে জোহরের নামাজের পরিবর্তে এটি আদায় করেন, তাই একে জুমার নামাজ বলা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেআল-আজহার নয়, আজহার সম্বোধন করেই বলব। এটা আমাদের মুখের ভাষা হয়ে গেছে যে! প্রথমেই আপনাকে আমি আজহারে নিমন্ত্রণ করব। পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা তো আছেই নানা ক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনীয়ও।
৫ ঘণ্টা আগেমানুষ সত্তাগতভাবে স্বাধীন। মহান আল্লাহ সত্তাগতভাবে কোনো মানুষের মধ্যে এমন কোনো শ্রেষ্ঠত্ব বা সুপ্রিম্যাসি দান করেননি; যার ফলে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের অধিকার কিংবা স্বাধীনতা হরণ করতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজের ভাষণে এ কথাই স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়ে গেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে