কাউসার লাবীব

দাম্পত্যজীবন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো একে অপরের প্রশংসা করা, পরস্পরকে মর্যাদা দেওয়া। বিশেষ করে স্ত্রীর প্রশংসা করা, তার গুণাবলি প্রকাশ করা এবং ভালোবাসার কথা জানানো স্বামীর সচেতনতার পরিচয় বহন করে। ইসলাম এই মানবিক সৌন্দর্যকে উৎসাহিত করেছে, আর আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেই এর অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবনচরিত অধ্যয়ন করলে আমরা দেখতে পাই, তিনি কেবল স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন তা-ই নয়, বরং তিনি বারবার প্রকাশ করেছেন স্ত্রীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা। তাঁর স্ত্রীদের বর্ণিত হাদিস থেকে এ কথা বারবারই প্রমাণিত হয়।
হজরত খাদিজা (রা.)-এর মৃত্যুর পরও রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর কথা এতবার স্মরণ করতেন, এতবার প্রশংসা করতেন যে হজরত আয়েশা (রা.)-এর মতো একজন গুণবতী স্ত্রীও কখনো কখনো ঈর্ষান্বিত হতেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর স্ত্রীদের মাঝে খাদিজা (রা.)-এর চেয়ে অন্য কোনো স্ত্রীর প্রতি অধিক ঈর্ষা করিনি। কারণ, নবী (সা.) প্রায়ই তাঁর কথা স্মরণ করতেন এবং তাঁর প্রশংসা করতেন।’ (সহিহ বুখারি: ৫২২৯)
এ ছাড়া হজরত আয়েশা (রা.)-এর প্রশংসা করেও চমৎকার উপমা দিয়েছেন মহানবী (সা.)। হজরত আবু মুসা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা অর্জন করেছেন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া এবং ইমরানের কন্যা মারইয়াম ব্যতীত আর কেউ পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়নি। তবে আয়েশার মর্যাদা সব মহিলার ওপর এমন, যেমন সারিদের (তৎকালীন জনপ্রিয় বিশেষ খাদ্য) মর্যাদা সকল প্রকার খাদ্যের ওপর। (সহিহ বুখারি: ৩৪১১)। এই হাদিসে নবীজি যে চমৎকার রূপকে স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন, তা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং তাঁর জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, ইবাদত, চরিত্রের গভীর স্বীকৃতি।
স্ত্রীর প্রশংসা কেবল ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি নবীজির সুন্নত। স্বামী যখন স্ত্রীর প্রশংসা করে, তখন তা দাম্পত্য বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে, অন্তরজুড়ে আনে প্রশান্তি ও আত্মবিশ্বাস।

দাম্পত্যজীবন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো একে অপরের প্রশংসা করা, পরস্পরকে মর্যাদা দেওয়া। বিশেষ করে স্ত্রীর প্রশংসা করা, তার গুণাবলি প্রকাশ করা এবং ভালোবাসার কথা জানানো স্বামীর সচেতনতার পরিচয় বহন করে। ইসলাম এই মানবিক সৌন্দর্যকে উৎসাহিত করেছে, আর আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেই এর অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবনচরিত অধ্যয়ন করলে আমরা দেখতে পাই, তিনি কেবল স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন তা-ই নয়, বরং তিনি বারবার প্রকাশ করেছেন স্ত্রীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা। তাঁর স্ত্রীদের বর্ণিত হাদিস থেকে এ কথা বারবারই প্রমাণিত হয়।
হজরত খাদিজা (রা.)-এর মৃত্যুর পরও রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর কথা এতবার স্মরণ করতেন, এতবার প্রশংসা করতেন যে হজরত আয়েশা (রা.)-এর মতো একজন গুণবতী স্ত্রীও কখনো কখনো ঈর্ষান্বিত হতেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর স্ত্রীদের মাঝে খাদিজা (রা.)-এর চেয়ে অন্য কোনো স্ত্রীর প্রতি অধিক ঈর্ষা করিনি। কারণ, নবী (সা.) প্রায়ই তাঁর কথা স্মরণ করতেন এবং তাঁর প্রশংসা করতেন।’ (সহিহ বুখারি: ৫২২৯)
এ ছাড়া হজরত আয়েশা (রা.)-এর প্রশংসা করেও চমৎকার উপমা দিয়েছেন মহানবী (সা.)। হজরত আবু মুসা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা অর্জন করেছেন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া এবং ইমরানের কন্যা মারইয়াম ব্যতীত আর কেউ পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়নি। তবে আয়েশার মর্যাদা সব মহিলার ওপর এমন, যেমন সারিদের (তৎকালীন জনপ্রিয় বিশেষ খাদ্য) মর্যাদা সকল প্রকার খাদ্যের ওপর। (সহিহ বুখারি: ৩৪১১)। এই হাদিসে নবীজি যে চমৎকার রূপকে স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন, তা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং তাঁর জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, ইবাদত, চরিত্রের গভীর স্বীকৃতি।
স্ত্রীর প্রশংসা কেবল ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি নবীজির সুন্নত। স্বামী যখন স্ত্রীর প্রশংসা করে, তখন তা দাম্পত্য বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে, অন্তরজুড়ে আনে প্রশান্তি ও আত্মবিশ্বাস।
কাউসার লাবীব

দাম্পত্যজীবন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো একে অপরের প্রশংসা করা, পরস্পরকে মর্যাদা দেওয়া। বিশেষ করে স্ত্রীর প্রশংসা করা, তার গুণাবলি প্রকাশ করা এবং ভালোবাসার কথা জানানো স্বামীর সচেতনতার পরিচয় বহন করে। ইসলাম এই মানবিক সৌন্দর্যকে উৎসাহিত করেছে, আর আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেই এর অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবনচরিত অধ্যয়ন করলে আমরা দেখতে পাই, তিনি কেবল স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন তা-ই নয়, বরং তিনি বারবার প্রকাশ করেছেন স্ত্রীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা। তাঁর স্ত্রীদের বর্ণিত হাদিস থেকে এ কথা বারবারই প্রমাণিত হয়।
হজরত খাদিজা (রা.)-এর মৃত্যুর পরও রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর কথা এতবার স্মরণ করতেন, এতবার প্রশংসা করতেন যে হজরত আয়েশা (রা.)-এর মতো একজন গুণবতী স্ত্রীও কখনো কখনো ঈর্ষান্বিত হতেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর স্ত্রীদের মাঝে খাদিজা (রা.)-এর চেয়ে অন্য কোনো স্ত্রীর প্রতি অধিক ঈর্ষা করিনি। কারণ, নবী (সা.) প্রায়ই তাঁর কথা স্মরণ করতেন এবং তাঁর প্রশংসা করতেন।’ (সহিহ বুখারি: ৫২২৯)
এ ছাড়া হজরত আয়েশা (রা.)-এর প্রশংসা করেও চমৎকার উপমা দিয়েছেন মহানবী (সা.)। হজরত আবু মুসা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা অর্জন করেছেন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া এবং ইমরানের কন্যা মারইয়াম ব্যতীত আর কেউ পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়নি। তবে আয়েশার মর্যাদা সব মহিলার ওপর এমন, যেমন সারিদের (তৎকালীন জনপ্রিয় বিশেষ খাদ্য) মর্যাদা সকল প্রকার খাদ্যের ওপর। (সহিহ বুখারি: ৩৪১১)। এই হাদিসে নবীজি যে চমৎকার রূপকে স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন, তা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং তাঁর জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, ইবাদত, চরিত্রের গভীর স্বীকৃতি।
স্ত্রীর প্রশংসা কেবল ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি নবীজির সুন্নত। স্বামী যখন স্ত্রীর প্রশংসা করে, তখন তা দাম্পত্য বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে, অন্তরজুড়ে আনে প্রশান্তি ও আত্মবিশ্বাস।

দাম্পত্যজীবন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো একে অপরের প্রশংসা করা, পরস্পরকে মর্যাদা দেওয়া। বিশেষ করে স্ত্রীর প্রশংসা করা, তার গুণাবলি প্রকাশ করা এবং ভালোবাসার কথা জানানো স্বামীর সচেতনতার পরিচয় বহন করে। ইসলাম এই মানবিক সৌন্দর্যকে উৎসাহিত করেছে, আর আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেই এর অনন্য উদাহরণ। তাঁর জীবনচরিত অধ্যয়ন করলে আমরা দেখতে পাই, তিনি কেবল স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন তা-ই নয়, বরং তিনি বারবার প্রকাশ করেছেন স্ত্রীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কথা। তাঁর স্ত্রীদের বর্ণিত হাদিস থেকে এ কথা বারবারই প্রমাণিত হয়।
হজরত খাদিজা (রা.)-এর মৃত্যুর পরও রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর কথা এতবার স্মরণ করতেন, এতবার প্রশংসা করতেন যে হজরত আয়েশা (রা.)-এর মতো একজন গুণবতী স্ত্রীও কখনো কখনো ঈর্ষান্বিত হতেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর স্ত্রীদের মাঝে খাদিজা (রা.)-এর চেয়ে অন্য কোনো স্ত্রীর প্রতি অধিক ঈর্ষা করিনি। কারণ, নবী (সা.) প্রায়ই তাঁর কথা স্মরণ করতেন এবং তাঁর প্রশংসা করতেন।’ (সহিহ বুখারি: ৫২২৯)
এ ছাড়া হজরত আয়েশা (রা.)-এর প্রশংসা করেও চমৎকার উপমা দিয়েছেন মহানবী (সা.)। হজরত আবু মুসা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা অর্জন করেছেন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া এবং ইমরানের কন্যা মারইয়াম ব্যতীত আর কেউ পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়নি। তবে আয়েশার মর্যাদা সব মহিলার ওপর এমন, যেমন সারিদের (তৎকালীন জনপ্রিয় বিশেষ খাদ্য) মর্যাদা সকল প্রকার খাদ্যের ওপর। (সহিহ বুখারি: ৩৪১১)। এই হাদিসে নবীজি যে চমৎকার রূপকে স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন, তা কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং তাঁর জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, ইবাদত, চরিত্রের গভীর স্বীকৃতি।
স্ত্রীর প্রশংসা কেবল ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি নবীজির সুন্নত। স্বামী যখন স্ত্রীর প্রশংসা করে, তখন তা দাম্পত্য বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে, অন্তরজুড়ে আনে প্রশান্তি ও আত্মবিশ্বাস।

মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইমানদার পুরুষদের কেবল ভরণপোষণের দায়িত্ব দেননি, বরং নারীদের সঙ্গে হৃদ্যতা, স্নেহ ও সম্মানের আচরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহারকে উত্তম চরিত্রের নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আর আমি আমার পরিবারের কাছে তোমাদের সবার চেয়ে উত্তম।’ (জামে তিরমিজি)
ইসলাম আগমনের পূর্বে নারীদের কোনো মর্যাদা ছিল না। আরব সমাজে কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়ার কুপ্রথা ছিল। সেই অন্ধকার যুগে ইসলাম নারীদের দিয়েছে সম্মান, অধিকার ও নিরাপত্তা। শিক্ষা, উত্তরাধিকার, বিয়ে ও মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রেও ইসলাম নারীর যথাযোগ্য অধিকার নিশ্চিত করেছে।
হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) নারীদের কাচের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কাচ যেমন ভঙ্গুর, তেমনি নারীর মনও কোমল; ভালোবাসা ও যত্নেই তারা টিকে থাকে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘নারীকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তুমি যদি তা সোজা করতে চাও, তা ভেঙে যাবে; আর যদি ছেড়ে দাও, বাঁকাই থাকবে। তাই তাদের সদুপদেশ দাও।’ (সহিহ বুখারি)
একজন পুরুষের উচিত নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় কোমল ভাষা ব্যবহার করা, পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া এবং তাকে মানসিক প্রশান্তি দেওয়া। কারণ পরিবারে ভালোবাসা ও স্থিতি আসে পারস্পরিক সম্মান ও উত্তম আচরণের মাধ্যমে। স্ত্রীকে জীবনের সহযাত্রী হিসেবে দেখা এবং তার সঙ্গে উত্তম আচরণ করাই ইমানদারের বৈশিষ্ট্য।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইমানদার পুরুষদের কেবল ভরণপোষণের দায়িত্ব দেননি, বরং নারীদের সঙ্গে হৃদ্যতা, স্নেহ ও সম্মানের আচরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহারকে উত্তম চরিত্রের নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আর আমি আমার পরিবারের কাছে তোমাদের সবার চেয়ে উত্তম।’ (জামে তিরমিজি)
ইসলাম আগমনের পূর্বে নারীদের কোনো মর্যাদা ছিল না। আরব সমাজে কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়ার কুপ্রথা ছিল। সেই অন্ধকার যুগে ইসলাম নারীদের দিয়েছে সম্মান, অধিকার ও নিরাপত্তা। শিক্ষা, উত্তরাধিকার, বিয়ে ও মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রেও ইসলাম নারীর যথাযোগ্য অধিকার নিশ্চিত করেছে।
হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) নারীদের কাচের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কাচ যেমন ভঙ্গুর, তেমনি নারীর মনও কোমল; ভালোবাসা ও যত্নেই তারা টিকে থাকে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘নারীকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তুমি যদি তা সোজা করতে চাও, তা ভেঙে যাবে; আর যদি ছেড়ে দাও, বাঁকাই থাকবে। তাই তাদের সদুপদেশ দাও।’ (সহিহ বুখারি)
একজন পুরুষের উচিত নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় কোমল ভাষা ব্যবহার করা, পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া এবং তাকে মানসিক প্রশান্তি দেওয়া। কারণ পরিবারে ভালোবাসা ও স্থিতি আসে পারস্পরিক সম্মান ও উত্তম আচরণের মাধ্যমে। স্ত্রীকে জীবনের সহযাত্রী হিসেবে দেখা এবং তার সঙ্গে উত্তম আচরণ করাই ইমানদারের বৈশিষ্ট্য।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

দাম্পত্যজীবন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো একে অপরের প্রশংসা করা, পরস্পরকে মর্যাদা দেওয়া। বিশেষ করে স্ত্রীর প্রশংসা করা, তার গুণাবলি প্রকাশ করা এবং ভালোবাসার কথা জানানো স্বামীর সচেতনতার পরিচয়...
৩১ জুলাই ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৯ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৯ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

দাম্পত্যজীবন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো একে অপরের প্রশংসা করা, পরস্পরকে মর্যাদা দেওয়া। বিশেষ করে স্ত্রীর প্রশংসা করা, তার গুণাবলি প্রকাশ করা এবং ভালোবাসার কথা জানানো স্বামীর সচেতনতার পরিচয়...
৩১ জুলাই ২০২৫
মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
৪ ঘণ্টা আগে
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ

একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।

একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।

দাম্পত্যজীবন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো একে অপরের প্রশংসা করা, পরস্পরকে মর্যাদা দেওয়া। বিশেষ করে স্ত্রীর প্রশংসা করা, তার গুণাবলি প্রকাশ করা এবং ভালোবাসার কথা জানানো স্বামীর সচেতনতার পরিচয়...
৩১ জুলাই ২০২৫
মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

দাম্পত্যজীবন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো একে অপরের প্রশংসা করা, পরস্পরকে মর্যাদা দেওয়া। বিশেষ করে স্ত্রীর প্রশংসা করা, তার গুণাবলি প্রকাশ করা এবং ভালোবাসার কথা জানানো স্বামীর সচেতনতার পরিচয়...
৩১ জুলাই ২০২৫
মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগে