আব্দুর রহমান
বৃক্ষ আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সবুজ পাতার মৃদুমন্দ দোল, ফল ফুলে ভরা গাছ শুধু প্রকৃতির অংশই নয়; বরং আল্লাহর দেওয়া এক অপার রহমত, অনন্য এক নেয়ামত। আল্লাহ তাআলা মানবজাতির কল্যাণে অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন, গাছ তার অন্যতম। গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। অক্সিজেন সরবরাহ, খাদ্য উৎপাদন এবং ছায়া দানসহ বৃক্ষের অবদান অনস্বীকার্য।
গাছের কথা পবিত্র কোরআনে এভাবে ঘোষণা হয়েছে—‘আল্লাহ আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করেন। অতঃপর আমি এর দ্বারা সর্ব প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করি, তারপর তা থেকে সবুজ ফসল উদগত করি, পরে যার থেকে জমাট দানা বের করি।’ (সুরা আনআম: ৯৯)
প্রাণীকুলের পরম এক বন্ধু গাছ। তাই প্রাণীদের প্রধান চালিকাশক্তি অক্সিজেনের মতো অমূল্য সম্পদ এক পয়সা ছাড়া প্রতিনিয়ত বিতরণ করে গাছ।
গাছ লাগানোর ফজিলত:
রাসুল (সা.) বলেন, যদি কারও হাতে একটি গাছের চারা থাকে, আর সে শুনতে পায় কেয়ামত এসে গেছে তবুও যেন সে তা রোপণ করে। (সহিহ্ বুখারি)
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো মুসলিম গাছ রোপণ করে, সেই গাছের যত ফল ভক্ষণ করা হবে, চুরি হবে, পশু-পাখি, জীব-জন্তু খেয়ে ফেলবে—সবকিছুই সদকার সওয়াব হবে। (সহিহ্ মুসলিম: ১৫৫৩)। আরেক বর্ণনায় এসেছে, ‘কেয়ামত পর্যন্ত সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব পেতে থাকবে।’
এই হাদিসের ওপর ভিত্তি করে হজরত আশরাফ আলি থানভি (রহ.) বলেন, ‘সৃষ্টি জীবের কল্যাণ সাধনের নিয়তে কোনো ব্যক্তি যদি বৃক্ষ রোপণ করে তবে সে তাৎক্ষণিক সওয়াবের অধিকারী হবে। অতঃপর যখন কোনো মাখলুক এর দ্বারা উপকৃত হবে তখন স্বতন্ত্রভাবে সওয়াব পাবে। আর যদি কারও উপকার করার নিয়ত ব্যতীত গাছ লাগায় তাহলে তৎক্ষণাৎ সওয়াব পাবে না। তবে যখন কোনো সৃষ্টিজীব এর দ্বারা উপকৃত হবে তখন সে অবশ্যই সওয়াব পাবে।’
বিখ্যাত হাদিস বিশারদ বদরুদ্দীন আইনি (রহ.) বলেন, ‘বৃক্ষ রোপণ করলেই সওয়াবের অধিকারী হবে—চাই সওয়াবের নিয়ত করুক বা না করুক।’
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, ‘যতদিন মানুষ এই বৃক্ষ থেকে ফায়দা হাসিল করবে, ততদিন পর্যন্ত সওয়াব পেতে থাকবে। যদিও বৃক্ষটি মরে যায় বা মালিকানা খতম হয়ে যায়।’ (ইফাতুল মুসলিম)
আল্লামা নববী (রহ.) বলেন, ‘ওই বৃক্ষ বা শস্য থেকে আরও বৃক্ষরাজি ও শস্য উৎপন্ন হবে—এভাবে কেয়ামত পর্যন্ত সওয়াব পেতে থাকবে।’ (আল-মিনহাজ বি-শারহি সাহিহিল মুসলিম)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামি’আ হামিদিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা, কর্ণপুর, শ্রীপুর গাজীপুর।
বৃক্ষ আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সবুজ পাতার মৃদুমন্দ দোল, ফল ফুলে ভরা গাছ শুধু প্রকৃতির অংশই নয়; বরং আল্লাহর দেওয়া এক অপার রহমত, অনন্য এক নেয়ামত। আল্লাহ তাআলা মানবজাতির কল্যাণে অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন, গাছ তার অন্যতম। গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। অক্সিজেন সরবরাহ, খাদ্য উৎপাদন এবং ছায়া দানসহ বৃক্ষের অবদান অনস্বীকার্য।
গাছের কথা পবিত্র কোরআনে এভাবে ঘোষণা হয়েছে—‘আল্লাহ আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করেন। অতঃপর আমি এর দ্বারা সর্ব প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করি, তারপর তা থেকে সবুজ ফসল উদগত করি, পরে যার থেকে জমাট দানা বের করি।’ (সুরা আনআম: ৯৯)
প্রাণীকুলের পরম এক বন্ধু গাছ। তাই প্রাণীদের প্রধান চালিকাশক্তি অক্সিজেনের মতো অমূল্য সম্পদ এক পয়সা ছাড়া প্রতিনিয়ত বিতরণ করে গাছ।
গাছ লাগানোর ফজিলত:
রাসুল (সা.) বলেন, যদি কারও হাতে একটি গাছের চারা থাকে, আর সে শুনতে পায় কেয়ামত এসে গেছে তবুও যেন সে তা রোপণ করে। (সহিহ্ বুখারি)
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো মুসলিম গাছ রোপণ করে, সেই গাছের যত ফল ভক্ষণ করা হবে, চুরি হবে, পশু-পাখি, জীব-জন্তু খেয়ে ফেলবে—সবকিছুই সদকার সওয়াব হবে। (সহিহ্ মুসলিম: ১৫৫৩)। আরেক বর্ণনায় এসেছে, ‘কেয়ামত পর্যন্ত সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব পেতে থাকবে।’
এই হাদিসের ওপর ভিত্তি করে হজরত আশরাফ আলি থানভি (রহ.) বলেন, ‘সৃষ্টি জীবের কল্যাণ সাধনের নিয়তে কোনো ব্যক্তি যদি বৃক্ষ রোপণ করে তবে সে তাৎক্ষণিক সওয়াবের অধিকারী হবে। অতঃপর যখন কোনো মাখলুক এর দ্বারা উপকৃত হবে তখন স্বতন্ত্রভাবে সওয়াব পাবে। আর যদি কারও উপকার করার নিয়ত ব্যতীত গাছ লাগায় তাহলে তৎক্ষণাৎ সওয়াব পাবে না। তবে যখন কোনো সৃষ্টিজীব এর দ্বারা উপকৃত হবে তখন সে অবশ্যই সওয়াব পাবে।’
বিখ্যাত হাদিস বিশারদ বদরুদ্দীন আইনি (রহ.) বলেন, ‘বৃক্ষ রোপণ করলেই সওয়াবের অধিকারী হবে—চাই সওয়াবের নিয়ত করুক বা না করুক।’
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, ‘যতদিন মানুষ এই বৃক্ষ থেকে ফায়দা হাসিল করবে, ততদিন পর্যন্ত সওয়াব পেতে থাকবে। যদিও বৃক্ষটি মরে যায় বা মালিকানা খতম হয়ে যায়।’ (ইফাতুল মুসলিম)
আল্লামা নববী (রহ.) বলেন, ‘ওই বৃক্ষ বা শস্য থেকে আরও বৃক্ষরাজি ও শস্য উৎপন্ন হবে—এভাবে কেয়ামত পর্যন্ত সওয়াব পেতে থাকবে।’ (আল-মিনহাজ বি-শারহি সাহিহিল মুসলিম)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামি’আ হামিদিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা, কর্ণপুর, শ্রীপুর গাজীপুর।
বিশেষ করে যারা আগেভাগে মসজিদে আসে এবং খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনে—তাদের জন্য রয়েছে অতুলনীয় সওয়াবের প্রতিশ্রুতি। এমনকি কারও নামের পাশে লেখা হতে পারে উট সদকার সওয়াবও! হাদিস ও কোরআনের আলোকে আমরা জেনে নিতে পারি—এই দিনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং তা কীভাবে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়।
২ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ, যা ‘শুক্রবারের নামাজ’ নামে পরিচিত, ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ‘জুমুআহ’ শব্দের অর্থ একত্রিত হওয়া বা কাতারবদ্ধ হওয়া। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানরা একত্রিত হয়ে জামাতের সঙ্গে জোহরের নামাজের পরিবর্তে এটি আদায় করেন, তাই একে জুমার নামাজ বলা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেআল-আজহার নয়, আজহার সম্বোধন করেই বলব। এটা আমাদের মুখের ভাষা হয়ে গেছে যে! প্রথমেই আপনাকে আমি আজহারে নিমন্ত্রণ করব। পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাসঙ্গিকতা তো আছেই নানা ক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনীয়ও।
৫ ঘণ্টা আগেমানুষ সত্তাগতভাবে স্বাধীন। মহান আল্লাহ সত্তাগতভাবে কোনো মানুষের মধ্যে এমন কোনো শ্রেষ্ঠত্ব বা সুপ্রিম্যাসি দান করেননি; যার ফলে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের অধিকার কিংবা স্বাধীনতা হরণ করতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজের ভাষণে এ কথাই স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়ে গেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে