হুসাইন আহমদ
সমাজে মিথ্যা সংবাদ ও গুজবের কারণে পরস্পরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়, ঐক্য বিনষ্ট হয়, ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়, হানাহানি ও রক্তপাত ঘটানোর মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এ জন্য ইসলাম সংবাদ যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। যেমন পবিত্র কোরআনে সংবাদ যাচাই প্রসঙ্গে ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের কাছে যদি কোনো ফাসেক ব্যক্তি কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তবে তা যাচাই করো। অজ্ঞতাবশত কোনো গোষ্ঠীকে আক্রান্ত করার আগেই। (নাহলে) তোমরা কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে।’ (সুরা হুজুরাত: ৬)
অন্যত্র আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর জন্য ন্যায়ের সঙ্গে সাক্ষ্যদানকারী হিসেবে সদা দণ্ডায়মান হও। কোনো জাতির প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদের কোনোভাবে প্ররোচিত না করে যে তোমরা ইনসাফ করবে না। তোমরা ইনসাফ করো, তা তাকওয়ার নিকটতর।’ (সুরা আল মায়েদা: ৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সব শোনা কথা প্রচার ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৯২) অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি জ্ঞাত বিষয়কে গোপন করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে আগুনের লাগাম পরাবেন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৯৬)
অন্য এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা সত্যকে অবলম্বন করো। কারণ সত্যবাদিতা ভালো কাজে উপনীত করে। আর ভালো কাজ উপনীত করে জান্নাতে। যে ব্যক্তি সত্য বলে ও সত্যবাদিতার অন্বেষায় থাকে, একপর্যায়ে সে আল্লাহর কাছে সত্যবাদী হিসেবে লিখিত হয়ে যায়। আর মিথ্যা থেকে দূরে থাকো। কারণ মিথ্যা উপনীত করে পাপাচারে। আর পাপাচার উপনীত করে জাহান্নামে। যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে এবং মিথ্যার অন্বেষায় থাকে, এভাবে একসময় আল্লাহর কাছে সে চরম মিথ্যুক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায়।’ (সহিহ মুসলিম: ২৬০৭)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
সমাজে মিথ্যা সংবাদ ও গুজবের কারণে পরস্পরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়, ঐক্য বিনষ্ট হয়, ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়, হানাহানি ও রক্তপাত ঘটানোর মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এ জন্য ইসলাম সংবাদ যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। যেমন পবিত্র কোরআনে সংবাদ যাচাই প্রসঙ্গে ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের কাছে যদি কোনো ফাসেক ব্যক্তি কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তবে তা যাচাই করো। অজ্ঞতাবশত কোনো গোষ্ঠীকে আক্রান্ত করার আগেই। (নাহলে) তোমরা কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে।’ (সুরা হুজুরাত: ৬)
অন্যত্র আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর জন্য ন্যায়ের সঙ্গে সাক্ষ্যদানকারী হিসেবে সদা দণ্ডায়মান হও। কোনো জাতির প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদের কোনোভাবে প্ররোচিত না করে যে তোমরা ইনসাফ করবে না। তোমরা ইনসাফ করো, তা তাকওয়ার নিকটতর।’ (সুরা আল মায়েদা: ৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সব শোনা কথা প্রচার ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৯২) অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি জ্ঞাত বিষয়কে গোপন করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে আগুনের লাগাম পরাবেন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৯৬)
অন্য এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা সত্যকে অবলম্বন করো। কারণ সত্যবাদিতা ভালো কাজে উপনীত করে। আর ভালো কাজ উপনীত করে জান্নাতে। যে ব্যক্তি সত্য বলে ও সত্যবাদিতার অন্বেষায় থাকে, একপর্যায়ে সে আল্লাহর কাছে সত্যবাদী হিসেবে লিখিত হয়ে যায়। আর মিথ্যা থেকে দূরে থাকো। কারণ মিথ্যা উপনীত করে পাপাচারে। আর পাপাচার উপনীত করে জাহান্নামে। যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে এবং মিথ্যার অন্বেষায় থাকে, এভাবে একসময় আল্লাহর কাছে সে চরম মিথ্যুক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায়।’ (সহিহ মুসলিম: ২৬০৭)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমাদের সমাজে অনেকেই বছরের নানা সময়ে নফল রোজা রেখে থাকেন। কিন্তু ইসলামের বিধান অনুযায়ী—বছরের বেশ কিছু দিন রয়েছে, যে দিনগুলোতে রোজা রাখা যায় না। যেমন, ঈদুল আজহা কিংবা ঈদুল ফিতর রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
১৫ ঘণ্টা আগেমহানবী (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং সরাসরি তাঁকে সালাম জানানো নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার। তবে এর জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু শিষ্টাচার ও আদব। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
১৮ ঘণ্টা আগেসামাজিক সম্পর্কের অসামান্য বন্ধন দাওয়াত, যেখানে খাবারের সঙ্গে মিশে যায় আন্তরিকতা, স্নেহ ও ভালোবাসা। দেশ, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এই সংস্কৃতি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এ ছাড়া মেহমানদারি নবী-রাসুলেরও আদর্শ।
২০ ঘণ্টা আগেনবী আদম (আ.) থেকে নিয়ে মহানবী (সা.) পর্যন্ত সব নবীর যুগেই কোরবানির বিধান ছিল। (সুরা হজ: ৩৪)। তবে ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে আছে হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানির ঘটনা। কেননা তা ছিল কঠিন ত্যাগের অধ্যায়।
২ দিন আগে