ইসমাঈল সিদ্দিকী
আল্লাহর প্রকৃত বান্দা হতে চাইলে জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রয়োজন বিনয়। ইবাদত-বন্দেগি থেকে শুরু করে ঘরে-বাইরে সবার সঙ্গে আচরণে বিনয়ী হওয়া অপরিহার্য। বিনয়ী ব্যক্তির ওঠাবসা, কথাবার্তা, এমনকি হাঁটাচলায়ও তা প্রকাশ পায়। আল্লাহ তাআলার বিধিবিধানের সামনে নিজেকে সঁপে দেওয়ার জন্য বিনয়ী হওয়া দরকার। বাহ্যত নিজের শ্রমে-ঘামে কিংবা অর্থ-মেধায় অর্জিত সফলতাকেও তখন সে আল্লাহর দান বলে বিশ্বাস করবে।
পবিত্র কোরআনে প্রকৃত বান্দাদের গুণাগুণ উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘দয়াময়ের বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে।...’ (সুরা ফুরকান: ৬৩)
নবীজি (সা.) খুব বিনয়ী ছিলেন। খুব সাধারণভাবে মানুষের সঙ্গে মিলিত হতেন। যে কেউ যখন-তখন তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারত। কেউ কথা বলতে গিয়ে ভয় পেলে তিনি অভয় দিতেন। আবু মাসউদ (রা.) বলেন, ‘এক ব্যক্তি নবীজির সঙ্গে কথা বলতে এল। তখন সে ভয়ে কাঁপছিল। নবী (সা.) বললেন, ‘শান্ত হও। আমি কোনো রাজা-বাদশাহ নই। আমি একজন সাধারণ নারীর সন্তান।’ (ইবনে মাজাহ: ৩৩১২)
জান্নাতি ও জাহান্নামিদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে নবী (সা.) বলেছেন, ‘আমি কি তোমাদের জান্নাতবাসীদের ব্যাপারে বলব না? তারা হচ্ছে দুর্বল, নরম স্বভাবের লোক, তাদের কেউ যদি আল্লাহর নামে কসম করে কিছু বলে, আল্লাহ অবশ্যই তার কসম রক্ষা করেন। আমি কি তোমাদের জাহান্নামিদের সম্পর্কে বলব না? তারা রূঢ় ও কর্কশ স্বভাবের, উদ্ধত, আত্মম্ভরি লোক।’ (বুখারি: ৪৯১৮; মুসলিম: ২৮৫৩)
বিনয়ের বিপরীত হলো অহংকার। যারা উগ্র, অহংকারী, বদমেজাজি, তারা নিজেরা নিজেদের বড় ভাবলেও পরিবার-পরিজন, আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধব—কারও প্রিয়পাত্র হতে পারে না। সবাই তাদের আড়চোখে দেখে; যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে।
আল্লাহর প্রকৃত বান্দা হতে চাইলে জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রয়োজন বিনয়। ইবাদত-বন্দেগি থেকে শুরু করে ঘরে-বাইরে সবার সঙ্গে আচরণে বিনয়ী হওয়া অপরিহার্য। বিনয়ী ব্যক্তির ওঠাবসা, কথাবার্তা, এমনকি হাঁটাচলায়ও তা প্রকাশ পায়। আল্লাহ তাআলার বিধিবিধানের সামনে নিজেকে সঁপে দেওয়ার জন্য বিনয়ী হওয়া দরকার। বাহ্যত নিজের শ্রমে-ঘামে কিংবা অর্থ-মেধায় অর্জিত সফলতাকেও তখন সে আল্লাহর দান বলে বিশ্বাস করবে।
পবিত্র কোরআনে প্রকৃত বান্দাদের গুণাগুণ উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘দয়াময়ের বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে।...’ (সুরা ফুরকান: ৬৩)
নবীজি (সা.) খুব বিনয়ী ছিলেন। খুব সাধারণভাবে মানুষের সঙ্গে মিলিত হতেন। যে কেউ যখন-তখন তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারত। কেউ কথা বলতে গিয়ে ভয় পেলে তিনি অভয় দিতেন। আবু মাসউদ (রা.) বলেন, ‘এক ব্যক্তি নবীজির সঙ্গে কথা বলতে এল। তখন সে ভয়ে কাঁপছিল। নবী (সা.) বললেন, ‘শান্ত হও। আমি কোনো রাজা-বাদশাহ নই। আমি একজন সাধারণ নারীর সন্তান।’ (ইবনে মাজাহ: ৩৩১২)
জান্নাতি ও জাহান্নামিদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে নবী (সা.) বলেছেন, ‘আমি কি তোমাদের জান্নাতবাসীদের ব্যাপারে বলব না? তারা হচ্ছে দুর্বল, নরম স্বভাবের লোক, তাদের কেউ যদি আল্লাহর নামে কসম করে কিছু বলে, আল্লাহ অবশ্যই তার কসম রক্ষা করেন। আমি কি তোমাদের জাহান্নামিদের সম্পর্কে বলব না? তারা রূঢ় ও কর্কশ স্বভাবের, উদ্ধত, আত্মম্ভরি লোক।’ (বুখারি: ৪৯১৮; মুসলিম: ২৮৫৩)
বিনয়ের বিপরীত হলো অহংকার। যারা উগ্র, অহংকারী, বদমেজাজি, তারা নিজেরা নিজেদের বড় ভাবলেও পরিবার-পরিজন, আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধব—কারও প্রিয়পাত্র হতে পারে না। সবাই তাদের আড়চোখে দেখে; যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে।
রোজার মৌখিক নিয়ত যেকোনো ভাষায় হতে পারে। একান্ত আরবি ভাষায় হওয়া জরুরি নয়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১ / ৩৭৮)। বরং যারা আরবি বোঝে না, তাদের জন্য আরবিতে নিয়ত না করাই কর্তব্য। কারণ নিয়ত পড়া জরুরি নয়, নিয়ত করাই জরুরি।
৭ ঘণ্টা আগেরাসুল (সা.) সাহাবিদের তিনজন নেককার ব্যক্তির গল্প শুনিয়েছিলেন। হাদিসের ভাষ্যে স্পষ্টভাবে তাঁদের নাম ও বাসস্থানের কথা উল্লেখ নেই। তবে তাঁরা যে বনি ইসরাইলের লোক ছিলেন, এ কথার উল্লেখ আছে। এ গল্পে আল্লাহর ভয়, মা–বাবার প্রতি সদাচার, দোয়ার শক্তি এবং সৎকর্মের মহত্ত্ব ফুটে উঠেছে।
৮ ঘণ্টা আগে‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
১১ ঘণ্টা আগেনিয়মিত খাওয়াদাওয়া করার সময় যেসব আদব অনুসরণ করতে হয়, তা ইফতারের সময়ও অনুসরণ করা চাই। তবে ইফতারের রয়েছে বিশেষ কিছু সুন্নত ও আদব। যথা— এক. সময় হওয়ার পরপরই ইফতার করা: সূর্যাস্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে কিংবা মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার শুরু করে দেওয়া সুন্নত।
১৪ ঘণ্টা আগে