আপনার জিজ্ঞাসা
মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: রমজানের শুরু বা শেষ হওয়ার সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে চাঁদ দেখা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় প্রতিবছরই। অনেক দেশে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চাঁদ দেখার কথা শোনা যায়। এ ব্যাপারে ইসলামের বক্তব্য কী? আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কি চাঁদ দেখা যাবে?
উত্তর: আধুনিক যুগে ফকিহ ও আলেমদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দুই ধরনের মত পাওয়া যায়। একদল ফকিহ মনে করেন, সরাসরি খালি চোখে চাঁদ দেখলেই কেবল তা গ্রহণযোগ্য হবে, অন্যথায় নয়। তাঁদের মতে, চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে, তবে সম্পূর্ণরূপে সেগুলোর ওপর নির্ভর করা যাবে না।
সুতরাং খালি চোখে যদি চাঁদ দেখা না যায়, তাহলে যন্ত্রপাতির সাহায্যে চাঁদ দেখা গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে (রমজানের) রোজা সমাপ্ত করো। (বুখারি: ১৯০০; মুসলিম: ১০৮০)
এ ঘরানার ফকিহদের মতে, হাদিসে চাঁদ দেখার গ্রহণযোগ্য যে পদ্ধতির কথা এসেছে, তা শুধু খালি চোখে দেখার সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ এসব প্রযুক্তি রাসুল (সা.)-এর যুগে ছিল না। অতএব, খালি চোখে দেখাই বর্ণিত হাদিসটির লক্ষ্য।
তবে সৌদি আরবসহ বিশ্বের অধিকাংশ ফকিহ এ কথায় একমত যে যেকোনো উপায়ে হোক না কেন, চাঁদ দেখাই আসল কথা। সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ এ মতকে সমর্থন দিয়ে কয়েকটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুসরণ করা হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো—
১. চাঁদ দেখার কাজে সহযোগী হিসেবে মানমন্দির (অবজারভেটরি) নির্মাণ করা যেতে পারে, এতে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো বাধা বা নিষেধ নেই।
২. মানমন্দিরের মাধ্যমে দেখা না গেলেও খালি চোখে চাঁদ দেখা গেলে তা গ্রহণযোগ্য হবে।
৩. টেলিস্কোপের মাধ্যমে চাঁদ দেখা সম্ভব হলে তা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে—খালি চোখে দেখা যাওয়া জরুরি নয়।
৪. মানমন্দিরগুলোর বিশেষজ্ঞ দলের কাছে চাঁদ দেখতে পাওয়ার সম্ভাব্য সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার প্রয়াস চালানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
৫. চাঁদ দেখতে পাওয়ার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে দেখার চেষ্টা করতে ভ্রাম্যমাণ মানমন্দির গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষের থেকে চাঁদ দেখার কাজে সহযোগিতা নিতে হবে। তবে তাঁদের ইসলামি আইন মোতাবেক আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে।
সূত্র: আল-মাউসুআতুল মুয়াসসারাহ ফি ফিকহিল কাযায়াল মুআসারাহ, রোজা অধ্যায়।
উত্তর দিয়েছেন মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: রমজানের শুরু বা শেষ হওয়ার সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে চাঁদ দেখা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় প্রতিবছরই। অনেক দেশে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চাঁদ দেখার কথা শোনা যায়। এ ব্যাপারে ইসলামের বক্তব্য কী? আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কি চাঁদ দেখা যাবে?
উত্তর: আধুনিক যুগে ফকিহ ও আলেমদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দুই ধরনের মত পাওয়া যায়। একদল ফকিহ মনে করেন, সরাসরি খালি চোখে চাঁদ দেখলেই কেবল তা গ্রহণযোগ্য হবে, অন্যথায় নয়। তাঁদের মতে, চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে, তবে সম্পূর্ণরূপে সেগুলোর ওপর নির্ভর করা যাবে না।
সুতরাং খালি চোখে যদি চাঁদ দেখা না যায়, তাহলে যন্ত্রপাতির সাহায্যে চাঁদ দেখা গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে (রমজানের) রোজা সমাপ্ত করো। (বুখারি: ১৯০০; মুসলিম: ১০৮০)
এ ঘরানার ফকিহদের মতে, হাদিসে চাঁদ দেখার গ্রহণযোগ্য যে পদ্ধতির কথা এসেছে, তা শুধু খালি চোখে দেখার সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ এসব প্রযুক্তি রাসুল (সা.)-এর যুগে ছিল না। অতএব, খালি চোখে দেখাই বর্ণিত হাদিসটির লক্ষ্য।
তবে সৌদি আরবসহ বিশ্বের অধিকাংশ ফকিহ এ কথায় একমত যে যেকোনো উপায়ে হোক না কেন, চাঁদ দেখাই আসল কথা। সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ এ মতকে সমর্থন দিয়ে কয়েকটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুসরণ করা হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো—
১. চাঁদ দেখার কাজে সহযোগী হিসেবে মানমন্দির (অবজারভেটরি) নির্মাণ করা যেতে পারে, এতে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো বাধা বা নিষেধ নেই।
২. মানমন্দিরের মাধ্যমে দেখা না গেলেও খালি চোখে চাঁদ দেখা গেলে তা গ্রহণযোগ্য হবে।
৩. টেলিস্কোপের মাধ্যমে চাঁদ দেখা সম্ভব হলে তা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে—খালি চোখে দেখা যাওয়া জরুরি নয়।
৪. মানমন্দিরগুলোর বিশেষজ্ঞ দলের কাছে চাঁদ দেখতে পাওয়ার সম্ভাব্য সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার প্রয়াস চালানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
৫. চাঁদ দেখতে পাওয়ার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে দেখার চেষ্টা করতে ভ্রাম্যমাণ মানমন্দির গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষের থেকে চাঁদ দেখার কাজে সহযোগিতা নিতে হবে। তবে তাঁদের ইসলামি আইন মোতাবেক আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে।
সূত্র: আল-মাউসুআতুল মুয়াসসারাহ ফি ফিকহিল কাযায়াল মুআসারাহ, রোজা অধ্যায়।
উত্তর দিয়েছেন মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
পবিত্র কোরআনে মুমিনের যেসব গুণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, তার অন্যতম একটি তাকওয়া। তাকওয়া একজন সফল মুমিনের অন্যতম একটি গুণ। পবিত্র কোরআনে তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে বহুবিধ উপকারের কথা বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে কয়েকটি উপকারের কথা তুলে ধরা হলো।
১১ ঘণ্টা আগেআবুত্ তুফায়ল (রা.) বলেন, ‘আমি জিরানাহ্ নামক স্থানে নবী (সা.)-কে মাংস বণ্টন করতে দেখলাম। এমন সময় এক মহিলা এসে তাঁর কাছে পৌঁছালে নবীজি তাঁর জন্য নিজের চাদর বিছিয়ে দিলেন। তিনি ওই চাদরের ওপর বসেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘এ মহিলা কে?’ লোকেরা বলল, ‘তিনি সেই মহিলা, যিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে...
১২ ঘণ্টা আগেধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও আবেগঘন বহুমাত্রিক গুরুত্ব নিয়ে জেরুজালেম শহরে দাঁড়িয়ে আছে মুসলিমদের প্রাণের স্থাপনা মসজিদে আকসা। মসজিদে আকসার পুরো প্রাঙ্গণের আয়তন এক লাখ ৪৪ হাজার বর্গমিটার, যা প্রায় ৩৫ একর জায়গা দখল করে আছে। এর মধ্যে রয়েছে আল-আকসা মসজিদ (সুবিশাল নামাজঘর), কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক)...
১৫ ঘণ্টা আগেনামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ এক রুকন বা ফরজ বিধান। পুরুষের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করা সুন্নতে মুআক্কাদা। তবে কোনো কোনো ইসলামবিষয়ক গবেষক ওয়াজিবও বলেছেন।
১৭ ঘণ্টা আগে