ইসলাম ডেস্ক
পরোপকারের মনোভাব নিয়ে নিজের জন্য আবশ্যক নয়– এমন কাজ করার নামই স্বেচ্ছাসেবা। স্বেচ্ছাসেবক কোনো আর্থিক বা সামাজিক স্বার্থের জন্য কাজ করে না, স্বার্থহীন মানবসেবাই এখানে মুখ্য। একজন বিশ্বাসী স্বেচ্ছাসেবকের আসল লক্ষ্য থাকে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। কোরআনে স্বেচ্ছাসেবার গুরুত্ব বোঝাতে একে কল্যাণকর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণকর।’ (সুরা বাকারা: ১৮৪)
শুধু নামাজ-রোজাই সৎকর্ম—এই ধারণা ঠিক নয়। ইমানের পাশাপাশি মানবসেবায় ব্রতী হওয়াও সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমে মুখ করবে। বরং বড় সৎকর্ম হলো, ইমান আনবে আল্লাহর ওপর, কিয়ামত দিবসের ওপর, ফেরেশতাদের ওপর এবং নবী-রাসুলদের ওপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তারই মহব্বতে আত্মীয়স্বজন, এতিম-মিসকিন, মুসাফির-ভিখারি ও মুক্তিকামী দাসের জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন অত্যন্ত পরোপকারী ও স্বেচ্ছাসেবী মানসের অধিকারী। পবিত্র কোরআনে তাঁদের অন্যতম গুণ অন্যকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা এসেছে। অন্যকে প্রাধান্য দেওয়া উৎকৃষ্ট মানের স্বেচ্ছাসেবা। নিজের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েই অন্যকে প্রাধান্য দেওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা মুহাজিরদের আগমনের আগে মদিনায় বসবাস করেছিল এবং বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, তারা মুহাজিরদের ভালোবাসে, মুহাজিরদের যা দেওয়া হয়েছে, তার জন্য তারা অন্তরে ঈর্ষা পোষণ করে না এবং নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও তাদের অগ্রাধিকার দেয়। যারা মনের কার্পণ্য থেকে মুক্ত, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৯)
পবিত্র কোরআনে জুলকারনাইনের প্রাচীর নির্মাণের ঘটনা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য শিক্ষা। মুসা (আ.)-এর স্বেচ্ছাসেবার কথাও কোরআনে আলোচিত হয়েছে। দুজন নারীর অসহায়ত্বে তিনি স্বেচ্ছাশ্রমে এগিয়ে এসেছেন। হাদিসে রাসুল ও সাহাবিদের জীবন থেকে স্বেচ্ছাসেবার অনেক দৃষ্টান্ত পাই। মদিনা রাষ্ট্রের পরতে পরতে সাহাবায়ে কেরামের স্বেচ্ছাশ্রমের দাগ লেগে আছে। খন্দকের যুদ্ধে সাহাবিদের সঙ্গে স্বয়ং রাসুল (সা.) পরিখা খননে যোগ দেন।
স্বেচ্ছাসেবার গুরুত্ব বর্ণনা করে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যত দিন সূর্য উদিত হবে, মানুষের প্রতিটি আঙুলের হাড় তথা ছোট কাজই সদকা। দুই ব্যক্তির মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফয়সালা করা সদকা। বাহনে উঠতে সাহায্য করা সদকা। বাহনে কারও মালামাল উঠিয়ে দেওয়া সদকা। ভালো কথা বলা সদকা। নামাজের জন্য যাওয়ার পথের প্রতিটি পদক্ষেপ সদকা। পথ দেখিয়ে দেওয়া সদকা। রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা সদকা।’ (বুখারি: ২৮৯১)
স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য রয়েছে আল্লাহর সাহায্য। রাসুল (সা.) বলেন, ‘বান্দা তার ভাইকে যতক্ষণ সাহায্য করে, আল্লাহ ততক্ষণ তাকে সাহায্য করে থাকেন।’ (মুসলিম: ২১৪৮)
স্বেচ্ছাসেবকদের মুজাহিদ ও বীর উল্লেখ করে রাসুল (সা.) বলেন, ‘বিধবা ও অসহায়দের সেবকেরা আল্লাহর পথের মুজাহিদ কিংবা তাহাজ্জুদগুজার ও নিয়মিত নফল রোজা পালনকারীর মতো মর্যাদাবান।’ (বুখারি: ৫৩৫৩)
স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার জান্নাত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে মুসলমান অপর মুসলমানকে বস্ত্রহীন অবস্থায় পেয়ে বস্ত্রদান করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে সবুজ পোশাক পরাবেন। খাদ্য দান করলে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন, পানি পান করালে জান্নাতের শরবত পান করাবেন।’ (আবু দাউদ: ১৭৫২)
পরোপকারের মনোভাব নিয়ে নিজের জন্য আবশ্যক নয়– এমন কাজ করার নামই স্বেচ্ছাসেবা। স্বেচ্ছাসেবক কোনো আর্থিক বা সামাজিক স্বার্থের জন্য কাজ করে না, স্বার্থহীন মানবসেবাই এখানে মুখ্য। একজন বিশ্বাসী স্বেচ্ছাসেবকের আসল লক্ষ্য থাকে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। কোরআনে স্বেচ্ছাসেবার গুরুত্ব বোঝাতে একে কল্যাণকর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণকর।’ (সুরা বাকারা: ১৮৪)
শুধু নামাজ-রোজাই সৎকর্ম—এই ধারণা ঠিক নয়। ইমানের পাশাপাশি মানবসেবায় ব্রতী হওয়াও সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমে মুখ করবে। বরং বড় সৎকর্ম হলো, ইমান আনবে আল্লাহর ওপর, কিয়ামত দিবসের ওপর, ফেরেশতাদের ওপর এবং নবী-রাসুলদের ওপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তারই মহব্বতে আত্মীয়স্বজন, এতিম-মিসকিন, মুসাফির-ভিখারি ও মুক্তিকামী দাসের জন্য।’ (সুরা বাকারা: ১৭৭)
সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন অত্যন্ত পরোপকারী ও স্বেচ্ছাসেবী মানসের অধিকারী। পবিত্র কোরআনে তাঁদের অন্যতম গুণ অন্যকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা এসেছে। অন্যকে প্রাধান্য দেওয়া উৎকৃষ্ট মানের স্বেচ্ছাসেবা। নিজের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েই অন্যকে প্রাধান্য দেওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা মুহাজিরদের আগমনের আগে মদিনায় বসবাস করেছিল এবং বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, তারা মুহাজিরদের ভালোবাসে, মুহাজিরদের যা দেওয়া হয়েছে, তার জন্য তারা অন্তরে ঈর্ষা পোষণ করে না এবং নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও তাদের অগ্রাধিকার দেয়। যারা মনের কার্পণ্য থেকে মুক্ত, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৯)
পবিত্র কোরআনে জুলকারনাইনের প্রাচীর নির্মাণের ঘটনা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য শিক্ষা। মুসা (আ.)-এর স্বেচ্ছাসেবার কথাও কোরআনে আলোচিত হয়েছে। দুজন নারীর অসহায়ত্বে তিনি স্বেচ্ছাশ্রমে এগিয়ে এসেছেন। হাদিসে রাসুল ও সাহাবিদের জীবন থেকে স্বেচ্ছাসেবার অনেক দৃষ্টান্ত পাই। মদিনা রাষ্ট্রের পরতে পরতে সাহাবায়ে কেরামের স্বেচ্ছাশ্রমের দাগ লেগে আছে। খন্দকের যুদ্ধে সাহাবিদের সঙ্গে স্বয়ং রাসুল (সা.) পরিখা খননে যোগ দেন।
স্বেচ্ছাসেবার গুরুত্ব বর্ণনা করে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যত দিন সূর্য উদিত হবে, মানুষের প্রতিটি আঙুলের হাড় তথা ছোট কাজই সদকা। দুই ব্যক্তির মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফয়সালা করা সদকা। বাহনে উঠতে সাহায্য করা সদকা। বাহনে কারও মালামাল উঠিয়ে দেওয়া সদকা। ভালো কথা বলা সদকা। নামাজের জন্য যাওয়ার পথের প্রতিটি পদক্ষেপ সদকা। পথ দেখিয়ে দেওয়া সদকা। রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা সদকা।’ (বুখারি: ২৮৯১)
স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য রয়েছে আল্লাহর সাহায্য। রাসুল (সা.) বলেন, ‘বান্দা তার ভাইকে যতক্ষণ সাহায্য করে, আল্লাহ ততক্ষণ তাকে সাহায্য করে থাকেন।’ (মুসলিম: ২১৪৮)
স্বেচ্ছাসেবকদের মুজাহিদ ও বীর উল্লেখ করে রাসুল (সা.) বলেন, ‘বিধবা ও অসহায়দের সেবকেরা আল্লাহর পথের মুজাহিদ কিংবা তাহাজ্জুদগুজার ও নিয়মিত নফল রোজা পালনকারীর মতো মর্যাদাবান।’ (বুখারি: ৫৩৫৩)
স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার জান্নাত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে মুসলমান অপর মুসলমানকে বস্ত্রহীন অবস্থায় পেয়ে বস্ত্রদান করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে সবুজ পোশাক পরাবেন। খাদ্য দান করলে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন, পানি পান করালে জান্নাতের শরবত পান করাবেন।’ (আবু দাউদ: ১৭৫২)
ইসলাম ধর্ম এমন একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যেখানে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই একজন নিরপরাধ মানুষের জীবন রক্ষা করা ইসলামে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। পাশাপাশি কোনো নির্দোষ প্রাণ হরণ করা ইসলামে শুধু নিষিদ্ধই নয়, বরং একে মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য...
৫ ঘণ্টা আগেমানুষ স্বভাবতই সমাজবদ্ধ জীব। একাকী জীবন মানব প্রকৃতির সঙ্গে যায় না। সমাজে টিকে থাকতে হলে একজন মানুষের জন্য অন্যের সহযোগিতা অপরিহার্য। জীবনের চলার পথে নানা চ্যালেঞ্জ ও বিপদের সময় একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই মানবিকতা ও ধর্মীয় দায়িত্বের প্রতিচ্ছবি। বিশেষত, বিপদগ্রস্ত মানুষ যখন অসহায় হয়ে পড়ে, তখন তার জন্য এ
৬ ঘণ্টা আগেমানুষের জীবনে প্রিয়জনের মৃত্যু এক গভীর শোক ও বেদনার সময়। এমন পরিস্থিতিতে একজন মুমিনের করণীয় কী হবে—ইসলাম সেই পথ নির্দেশনা স্পষ্টভাবে দিয়েছে। ইসলাম স্বাভাবিক আবেগকে দমন করতে বলেনি, বরং ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দিয়েছে। প্রিয়জন হারিয়ে চোখের পানি ঝরানো নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু শোক প্রকাশের কিছু সীমা-পরিসীমা ইসলামে
৯ ঘণ্টা আগেমানুষ সামাজিক জীব। তাই সমাজবদ্ধ জীবনে কোনো মানুষের পক্ষে একাকী বসবাস করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রয়োজনে একে অপরের সাহায্য ছাড়া মানুষ চলতে পারে না। তাই বিপৎসংকুল পরিস্থিতিতে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে।
১১ ঘণ্টা আগে