Ajker Patrika

৭ দিনে ৭ মহাদেশে ৭ ম্যারাথনে দৌড়ালেন ৭১ বছরের দৌড়বিদ

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image
মাইক রজার্স। ছবি: সংগৃহীত

৭১ বছর বয়সী মাইক রজার্সের এমন কীর্তিকে অবিশ্বাস্য বলছেন অনেকেই। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বাসিন্দা তিনি।

শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্রেইবার্ট জানিয়েছে, সম্প্রতি রজার্স ‘গ্রেট ওয়ার্ল্ড রেস’ নামে একটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে মাত্র সাত দিনের মধ্যে ৭ মহাদেশেই ৭টি ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন! এই চ্যালেঞ্জটি তিনি ইউএসএ ফিট লাববক রান ক্লাবের সদস্য হিসেবে সম্পন্ন করেন।

জানা গেছে, রজার্সের দৌড় শুরু হয়েছিল অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে। অত্যন্ত ঠান্ডা আবহাওয়ায় বরফ ঢাকা পরিবেশে অ্যান্টার্কটিকার ওলফস ফ্যাং গ্লেসিয়ারে প্রথম দিন দৌড়ান তিনি।

রজার্সের পরবর্তী মহাদেশ ছিল আফ্রিকা। এ যাত্রায় তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে দৌড়ান। এরপরই ছিল ওশেনিয়া মহাদেশ, অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে দৌড়ান তিনি।

তবে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে তাঁকে দুইবার দৌড়াতে হয়েছে। কারণ এই শহরের একাংশ পড়েছে এশিয়ায়, অন্য অংশ ইউরোপে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে তিনি দৌড়ান ইস্তানবুলের ইউরোপ অংশে। সেখানে তাঁকে অন্ধকার এবং বৃষ্টির মধ্যে প্রায় ৩০ মাইল দৌড়াতে হয়েছে।

দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দৌড়টি রজার্স সম্পন্ন করেছেন কলম্বিয়ার কার্তাজেনা শহরে। সর্বশেষ তিনি উত্তর আমেরিকা তথা নিজ মহাদেশে পৌঁছান। এই পর্যায়ে ফ্লোরিডার মায়ামিতে তিনি তাঁর দৌড়ের চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করেন।

দৌড়াতে গিয়ে রজার্সকে ব্লিস্টার এবং কালো নখের সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তবে তিনি মজা উপভোগ করেছেন এবং জানিয়েছেন, অনেকেই তাঁকে এই চ্যালেঞ্জের জন্য পাগল ভেবেছিলেন।

নিজ শহরে ফিরে আসার পর রজার্সকে তাঁর প্রিয়জনেরা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তিনি বলেন, ‘এত সমর্থন এবং দোয়া পাওয়া সত্যিই অসাধারণ ছিল। কঠিন মুহূর্তগুলোতে তাদের প্রার্থনা আমার সহায় হয়েছিল।’

রজার্স একসময় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে ছিলেন। পরে স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং দৌড়ের মাধ্যমে তিনি তাঁর জীবনধারা পাল্টে ফেলেন। গ্রেট ওয়ার্ল্ড রেস-এর প্রস্তুতির জন্য তিনি সপ্তাহে কয়েক দিন ১৫-২০ মাইল দৌড়েছেন।

রজার্স অন্যদেরও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আপনাকে দ্রুত করতে হবে না। ধীরে ধীরেও সম্ভব। আমি এমন মানুষদের চিনি যারা হেঁটে ২৬ মাইল পাড়ি দিতে পারেন। শুধু ধৈর্য রাখুন।’

চ্যালেঞ্জ চলাকালীন অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রজার্সকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁর এই কীর্তি শুধু নিজের জন্য নয়, এর মধ্য দিয়ে তিনি একটি দাতব্য তহবিল গড়তেও সহায়তা করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত