উন্নত জীবনের আশায় স্বপ্নের দেশ আমেরিকা পৌঁছাতে অনেকেই অবৈধ পথে দারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দেন। ভয়ংকর এবং বিপদসংকুল এই পথ পাড়ি দিয়েই দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ থেকে আমেরিকার পার্শ্ববর্তী দেশ মেক্সিকো পৌঁছায় অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। মূলত কলম্বিয়া ও পানামার মধ্যবর্তী প্রায় ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ জলাবদ্ধ জঙ্গলের একটি অঞ্চলকে দারিয়েন গ্যাপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
আজ বুধবার দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারিয়েন গ্যাপে ওত পেতে থাকা ধর্ষক ও অপহরণকারীদের কর্মকাণ্ড অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়ে গেছে। ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডার’-এর শাখা মেডেসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়েরস (এমএসএফ) জানিয়েছে, দারিয়েন গ্যাপে ধর্ষকদের হাত থেকে উদ্ধার করা মানুষের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশুও রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর দারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দিতে গিয়ে যৌন সহিংসতার শিকার হয়ে পানামায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এমন ৩৯৭ জনকে চিকিৎসা দিয়েছে এমএসএফ। পাহাড়ি উষ্ণমণ্ডলীয় বন এবং জলাভূমি এলাকায় তাঁবুর মধ্যে তাঁদের অনেকেই দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এই সংখ্যাটি গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। গত বছর এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার ১৭২ জনকে চিকিৎসা দিয়েছিল এমএসএফ। এ অবস্থায় দারিয়েন গ্যাপ অঞ্চলটিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সুরক্ষার জন্য একটি কার্যকর নিরাপত্তাব্যবস্থা মোতায়েন করার জন্য পানামা ও কলম্বিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছে চিকিৎসকদের সংগঠনটি।
ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষ্য ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে নথিভুক্ত করেছে এমএসএফ। অভিবাসনপ্রত্যাশী ভেনেজুয়েলার এক নারী সংস্থাটিকে বলেন, ‘আমি অনেককেই ধর্ষণ করতে দেখেছি। তাদের নগ্ন এবং মারধর করতেও দেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ষকদের মধ্যে একজন, দুই বা তিনজন আপনাকে ধরে ধরে ধর্ষণ করবে এবং তারপরের একজন এসে আপনাকে আবার ধর্ষণ করবে। আর আপনি চিৎকার করলে তারা আপনাকে মারধর করবে।’
কিছু ক্ষেত্রে এমনও ঘটেছে যে ধর্ষকদের হাত থেকে কাউকে বাঁচাতে গিয়েও অনেকে মারধর এমনকি হত্যাকাণ্ডেরও শিকার হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু গত অক্টোবরেই যৌন সহিংসতার শিকার ১০৭ জনের চিকিৎসা করেছে এমএসএফ। সম্প্রতি ধর্ষকদের হাত থেকে বেঁচে ফেরা তিনজনের বয়স ছিল মাত্র ১১, ১২ ও ১৬ বছর।
চিকিৎসক সংস্থাটির কো-অর্ডিনেটর কারমেনজা গালভেজ জানান, যৌন সহিংসতার শিকার হওয়া মানুষেরা সময়মতো সহযোগিতা পায় না। কলঙ্কের ভয়, অপরাধীদের হুমকি ছাড়াও এসব ক্ষেত্রে কারও সাহায্য চাইতেও ধর্ষিতরা নিরাপদ বোধ করেন না।
গালভেজ আরও জানান, দারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার অনেকেই বিষয়টি চেপে যান এই ভেবে যে—এ বিষয়ে অভিযোগ জানালে তাঁদের আমেরিকা যাত্রায় দেরি হয়ে যেতে পারে।
জানা যায়, দারিয়েন অঞ্চলের দুর্গম জলাবদ্ধ জঙ্গলের প্রতিকূল পরিবেশ মানুষকে ঐতিহাসিকভাবেই দূরে রেখেছে। এই অঞ্চল পাড়ি দিতে গিয়ে বিপদসংকুল কয়েকটি রাস্তায় রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নজরদারি নেই বললেই চলে। বিপরীতে এসব পথ সশস্ত্র অপরাধী ও মাদক পাচারকারী চক্রগুলোই নিয়ন্ত্রণ করে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ থিংকট্যাংকের পরামর্শদাতা ব্রাম ইবুস জানিয়েছেন, বেশির ভাগ সহিংসতাই দারিয়েনের পানামা অংশে ঘটে। আর কলম্বিয়ার অংশটি নিয়ন্ত্রণ করে দেশটির সবচেয়ে বড় মাদক সাম্রাজ্য ‘গালফ ক্ল্যান’। মানুষ পাচার করে এই ক্ল্যান বিপুল অর্থ আয় করে। তাই ধর্ষণকারীদের তারা কঠোরভাবে শাস্তি প্রদান করে—যেন মানুষ পাচারের ক্ষেত্রে মানবাধিকার অবমাননার বিষয়গুলোকে দূরে রাখা যায়।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৬০ হাজার জন দারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দিয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ১ লাখ শিশু ছিল। দারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দেওয়া মানুষের এই সংখ্যাটি ২০২১ সালের তুলনায় তিন গুণ। সেই বছর এই পথ পাড়ি দিয়েছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রসহ উত্তরের বিভিন্ন অঞ্চলই ছিল তাঁদের গন্তব্য।
উন্নত জীবনের আশায় স্বপ্নের দেশ আমেরিকা পৌঁছাতে অনেকেই অবৈধ পথে দারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দেন। ভয়ংকর এবং বিপদসংকুল এই পথ পাড়ি দিয়েই দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ থেকে আমেরিকার পার্শ্ববর্তী দেশ মেক্সিকো পৌঁছায় অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। মূলত কলম্বিয়া ও পানামার মধ্যবর্তী প্রায় ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ জলাবদ্ধ জঙ্গলের একটি অঞ্চলকে দারিয়েন গ্যাপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
আজ বুধবার দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারিয়েন গ্যাপে ওত পেতে থাকা ধর্ষক ও অপহরণকারীদের কর্মকাণ্ড অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়ে গেছে। ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডার’-এর শাখা মেডেসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়েরস (এমএসএফ) জানিয়েছে, দারিয়েন গ্যাপে ধর্ষকদের হাত থেকে উদ্ধার করা মানুষের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশুও রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর দারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দিতে গিয়ে যৌন সহিংসতার শিকার হয়ে পানামায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এমন ৩৯৭ জনকে চিকিৎসা দিয়েছে এমএসএফ। পাহাড়ি উষ্ণমণ্ডলীয় বন এবং জলাভূমি এলাকায় তাঁবুর মধ্যে তাঁদের অনেকেই দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এই সংখ্যাটি গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। গত বছর এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার ১৭২ জনকে চিকিৎসা দিয়েছিল এমএসএফ। এ অবস্থায় দারিয়েন গ্যাপ অঞ্চলটিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সুরক্ষার জন্য একটি কার্যকর নিরাপত্তাব্যবস্থা মোতায়েন করার জন্য পানামা ও কলম্বিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছে চিকিৎসকদের সংগঠনটি।
ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষ্য ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে নথিভুক্ত করেছে এমএসএফ। অভিবাসনপ্রত্যাশী ভেনেজুয়েলার এক নারী সংস্থাটিকে বলেন, ‘আমি অনেককেই ধর্ষণ করতে দেখেছি। তাদের নগ্ন এবং মারধর করতেও দেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ষকদের মধ্যে একজন, দুই বা তিনজন আপনাকে ধরে ধরে ধর্ষণ করবে এবং তারপরের একজন এসে আপনাকে আবার ধর্ষণ করবে। আর আপনি চিৎকার করলে তারা আপনাকে মারধর করবে।’
কিছু ক্ষেত্রে এমনও ঘটেছে যে ধর্ষকদের হাত থেকে কাউকে বাঁচাতে গিয়েও অনেকে মারধর এমনকি হত্যাকাণ্ডেরও শিকার হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু গত অক্টোবরেই যৌন সহিংসতার শিকার ১০৭ জনের চিকিৎসা করেছে এমএসএফ। সম্প্রতি ধর্ষকদের হাত থেকে বেঁচে ফেরা তিনজনের বয়স ছিল মাত্র ১১, ১২ ও ১৬ বছর।
চিকিৎসক সংস্থাটির কো-অর্ডিনেটর কারমেনজা গালভেজ জানান, যৌন সহিংসতার শিকার হওয়া মানুষেরা সময়মতো সহযোগিতা পায় না। কলঙ্কের ভয়, অপরাধীদের হুমকি ছাড়াও এসব ক্ষেত্রে কারও সাহায্য চাইতেও ধর্ষিতরা নিরাপদ বোধ করেন না।
গালভেজ আরও জানান, দারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার অনেকেই বিষয়টি চেপে যান এই ভেবে যে—এ বিষয়ে অভিযোগ জানালে তাঁদের আমেরিকা যাত্রায় দেরি হয়ে যেতে পারে।
জানা যায়, দারিয়েন অঞ্চলের দুর্গম জলাবদ্ধ জঙ্গলের প্রতিকূল পরিবেশ মানুষকে ঐতিহাসিকভাবেই দূরে রেখেছে। এই অঞ্চল পাড়ি দিতে গিয়ে বিপদসংকুল কয়েকটি রাস্তায় রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নজরদারি নেই বললেই চলে। বিপরীতে এসব পথ সশস্ত্র অপরাধী ও মাদক পাচারকারী চক্রগুলোই নিয়ন্ত্রণ করে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ থিংকট্যাংকের পরামর্শদাতা ব্রাম ইবুস জানিয়েছেন, বেশির ভাগ সহিংসতাই দারিয়েনের পানামা অংশে ঘটে। আর কলম্বিয়ার অংশটি নিয়ন্ত্রণ করে দেশটির সবচেয়ে বড় মাদক সাম্রাজ্য ‘গালফ ক্ল্যান’। মানুষ পাচার করে এই ক্ল্যান বিপুল অর্থ আয় করে। তাই ধর্ষণকারীদের তারা কঠোরভাবে শাস্তি প্রদান করে—যেন মানুষ পাচারের ক্ষেত্রে মানবাধিকার অবমাননার বিষয়গুলোকে দূরে রাখা যায়।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৬০ হাজার জন দারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দিয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ১ লাখ শিশু ছিল। দারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দেওয়া মানুষের এই সংখ্যাটি ২০২১ সালের তুলনায় তিন গুণ। সেই বছর এই পথ পাড়ি দিয়েছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রসহ উত্তরের বিভিন্ন অঞ্চলই ছিল তাঁদের গন্তব্য।
২০১৩ সালে, ৩৪ বছর বয়সে থর পেডারসেন এক ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্তটি শুধু ব্যতিক্রম নয়, এক কঠিন সংকল্পও বটে। কারণ তিনি কোনো উড়োজাহাজে না চড়েই পৃথিবীর প্রতিটি দেশ ঘুরে দেখার পণ করেন। প্রায় এক দশকের ব্যবধানে এভাবেই পৃথিবীর ২০৩টি দেশ ঘুরে ফেলেছেন পেডারসেন।
১ ঘণ্টা আগেপেরুর আদি জাতি কুকামা সম্প্রদায়ের কাছে মারানিওন নদী শুধু পানির উৎস নয়, বরং এক পবিত্র আত্মিক সত্তা। প্রায় ৯০০ মাইল বা ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী আন্দিজ পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন হয়ে আমাজনে মিশেছে। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে এটি মারাত্মকভাবে তেল দূষণের শিকার হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেচকলেটপ্রেমীদের জন্য ২০২৫ সাল নিয়ে এসেছে এক দুঃসংবাদ। চকলেটের প্রধান উপাদান কোকো’র ঘাটতি ও দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এবার চকলেট বার, ইস্টার এগ, এমনকি কোকো পাউডারের দামও আকাশছোঁয়া। গত এক বছরে কোকোর দাম প্রায় ৩০০ শতাংশ বেড়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপোপ ফ্রান্সিসের পোপ হিসেবে পথচলা ছিল অনন্য। দুর্নীতি দমন, শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ এবং চার্চের আইন আধুনিকীকরণের যে চেষ্টা তিনি করেছিলেন, তা সব সময় সফল না হলেও কোটি কোটি ক্যাথলিকের হৃদয় জিতে নিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে