শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঝুট ব্যবসায়ীকে সহযোগিতার জন্য ঘুষ লেনদেন নিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কণ্ঠের সদৃশ কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফোন কল রেকর্ড হিসেবে ছড়িয়ে পড়া ৬ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের অডিওতে কয়েক দফা অনৈতিক সুবিধা দাবি করার কথা শোনা গেছে। উঠে এসেছে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, আসামি গ্রেপ্তার না করার শর্তে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবির কথাও।
গতকাল রোববার রাতে কল রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. সেলিম মিয়ার সঙ্গে শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডলের কণ্ঠের সদৃশ একজনকে কথা বলতে শোনা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল দাবি করেন, তাঁর কথা সম্পাদনা (এডিট) করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অডিওতে ওসিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আমিনুলকে বলে দিচ্ছি, তুই আমাকে ১ লাখ ৩০ দে।’
অপর প্রান্ত থেকে পুরুষ কণ্ঠে একজন বলেন, ‘স্যার আমার হাত দিয়ে?’ ওসি বলেন, ‘তুমি এসব বুঝবা না।’
অপর প্রান্তের ব্যক্তি বলেন, ‘হায় হায় স্যার! এই কথা আপনি বলছেন!’
ওসি বলেন, ‘তুমি এসব বুঝবা না, সে সব ভেঙে খাবে।’
অপরপক্ষ বলেন, ‘তাহলে এখন কী করব স্যার। তাহলে কী তাদের দায়ী করাব? ওসি বলেন, ‘ওদের দিয়ে করাও, তুমি পেছনে থাকো।’
ব্যবসায়ী জানতে চান, ‘এরপর যদি ওরা গাড়ির সামনে দাঁড়ায়, তাহলে কী করব। আপনি কি ব্যাকআপ দেবেন?’ ওসি বলেন, ‘সামনে থাকবে না। মুন্না, তোর সঙ্গে কি মুন্নার সম্পর্ক আছে?’ পুরুষ কণ্ঠে উত্তর আসে: ‘সে তো জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের।’ ওসি বলেন, ‘আচ্ছা এই বিষয়টি আমি দেখছি।’ এরপর ব্যবসায়ী জানতে চান, ‘শেষ পর্যন্ত কি আমিনুলরা ট্যাকেল দিতে পারবে, ওদের নামে ব্যবসা দিলে?’ ওসি বলেন, ‘আমি আগে দেখি, কয়েক দিন দেখি।’ ব্যবসায়ী তখন বলেন, ‘শনিবার তো বিস্কুট বের হবে এক গাড়ি।’ ওসি বলেন, ‘বিস্কুট বের হবে সেটা তো আরেক ঝামেলা। মুন্না তো এখন বিস্কুট চাচ্ছে না। স্পিনিং চাচ্ছে।’
ব্যবসায়ী বলেন, ‘যদি বিএনপিরা করে তাহলে তো চাইতে পারবে না। আমিনুল তো থানা ছাত্রদলের সেক্রেটারি (সাধারণ সম্পাদক)। আমিনুল আর তার বাপের নামে দেব স্ট্যাম্প কইরা। গোপনে মালিকানা থাকবে আমার নানার। এমডি স্যারকে বইলা দেব, আপাতত ভাইস্তা আর ছোট ভাইকে দিয়ে ব্যবসা করাইতাছি। আর তলে তলে আমি সব হেন্ডেল কইরা দেব।’
ওসি বলেন, ‘হাঁ এটাই ভালো। এটা আমিও বলে দেব। মুন্নার কাছে গেলে সব আউট হয়ে যাবে।’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘তাহলে আপনি কাজ কইরেন। মুন্নার কাছে গেলে টাকার অ্যামাউন্ট চাইব অনেক। যে টাকা এখানে তো এত বেশি টাকা দেওয়া সম্ভব না।’ ওসি বলেন, আমি আমিনুলকে বলে দিবোনে।’
ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমিনুলকে আগেই বলতে হবে না। আগে আমরা বাড়িতে বসি।’ ওসি বলেন, ‘বসো।’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমিনুলকে ফোন দিয়ে এনে নানাকে নিয়ে বসি। গোপনে বসি যদি আমাদের লেভেলে হয়, তাহলে ওগরে দিয়ে দেব, আর যদি না হয় তাহলে ব্যবসা মোর্শেদকে দিয়ে দেব।’ ওসি বলেন, ‘মোর্শেদ চেয়ারম্যানকে?’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের কথার বাইরে গেলে মোর্শেদ চেয়ারম্যানকে দিয়ে দেব। খামো না কাউকে খাইতেও দেব না।’
ওসি বলেন, ‘দেখা যাক। আমি কথা বলছি।’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখন কিছু বলতে হবে না স্যার।’ ওসির উত্তর, ‘তোমার নানা আমাকে দেখে না কেন? ৫ হাজার ১০ হাজার এটা কোন টাকা? এই টাকা দিয়ে কী হয়। আমি এত চাপ নিচ্ছি। তোমার নানাকে বলো, আমাকে লাখ পাঁচেক টাকা দিতে।’
ব্যবসায়ী উত্তর দেন, ‘বাড়ির কাম করতে যাইয়া অবস্থা খুবই খারাপ।’ তখন অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি রেগে গিয়ে বলেন, ‘এসব কথা বলো না। আমি যেটা বলি সেটা কর। না হলে ঝামেলা হবে।’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘আরেকটা কথা বলি, ওই যে শাহাবুদ্দিন মামুর কথা যে বলছিলাম আপনাকে, শৈলাট রোডে বাড়ি। শাহাবুদ্দিন মামু। ওর বাসায় আমিনুল আপনাকে একবার পাঠাইছে। ওর কথা আপনাকে বলেছিলাম। আপনি বলছিলেন নিয়ে আইসো। ওরে নিয়ে আসলে ৫০ হাজার টাকা দেব।’ ওসি বলেন, ‘ধুর, ৫০ হাজার টাকা? ওকে বলো, লাখখানেক টাকা দিতে।’
ব্যবসায়ী বলেন, ‘তাহলে আমি ফোন ধরিয়ে দিই। আপনি একটু কথা বলবেন?’ ওসি বলেন, ‘কোনো কথা হবে না। ওকে নিয়ে আসো। তাহলে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলবেন?’ ওসি বলেন, ‘কোনো কথা না। তুমি আমাকে চিন না? এত সমস্যা কী। সমস্যা করলে ধরে নিয়ে আসব।’
ব্যবসায়ী বলেন, ‘তাহলে আমি ওর কাছে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিই। এক মিনিট কথা বলবেন।’ ওসি বলেন, ‘যাও আজকেই নিয়ে আসবা।’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘না হলে সে বিশ্বাস করবে না। আপনি বলবেন আগামীকাল নিয়ে আসেন।’
ওসি বলেন, ‘সে না তুমি নিয়ে আসবা।’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘তাহলে বিশ্বাস করবে। আপনি শুধু বলবেন, ‘এক (লাখ টাকা) নিয়ে আসেন। আর স্যার, আমিনুলরে এখন কিছু বলার দরকার নেই। আমরা বইসা এটাই করতেছি স্যার।’ ওসি বলেন, ‘তোমার নানারে বলো, পাঁচ (লাখ) ব্যবস্থা করে দিতে।’
ব্যবসায়ী বলেন, ‘স্যার বিশ্বাস করবেন, আমরা যে ব্যবসা করি, এখন সেই পরিমাণ টাকা নাই স্যার।’ ওসি বলেন, ‘তোমাদের ব্যবসা লাগে না। ব্যবসায়ী গাড়ি মাইর খাইয়া পইড়া রইছে। এ মাসটা যাক, আমি দুই লাখ দেব।’ ওসি বলেন, ‘এত কথা বল কেন? ওসি বলছে করে দিয়ো। ওসি বলছে করে দিয়ো। তুমি তো আমাকে গেঞ্জি দিলা না।’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘ফুলহাতা? আচ্ছা ঢাকা থেকে নিয়ে আসব।’
কথোপকথনের অডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া বলেন, ‘ওসি সাহেব আমাকে চাপ দিচ্ছেন। আমাকে একটি লেখা দিয়েছেন তিনি। এটা ফেসবুকে এসে বলতে চাপ দিচ্ছেন যে কথোপকথন মিথ্যা। এমন চাপ দিচ্ছেন। ওসি সাহেব আমাকে মাসোহারা দেওয়ার জন্য চাপ দেন। আমি প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা দিই। তবুও তিনি আরও চাপ দেন। ওসি আমাকে ছাত্রলীগের তকমা দিয়ে গ্রেপ্তারের জন্য চাপ দেন। অডিও প্রকাশ করার কারণে ওসি আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমার কথা এডিট (সম্পাদনা) করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে একটি চক্র।’
এ বিষয়ে কথা বলতে গাজীপুর পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেকের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।
আরও খবর পড়ুন:
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঝুট ব্যবসায়ীকে সহযোগিতার জন্য ঘুষ লেনদেন নিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কণ্ঠের সদৃশ কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফোন কল রেকর্ড হিসেবে ছড়িয়ে পড়া ৬ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের অডিওতে কয়েক দফা অনৈতিক সুবিধা দাবি করার কথা শোনা গেছে। উঠে এসেছে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, আসামি গ্রেপ্তার না করার শর্তে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবির কথাও।
গতকাল রোববার রাতে কল রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. সেলিম মিয়ার সঙ্গে শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডলের কণ্ঠের সদৃশ একজনকে কথা বলতে শোনা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল দাবি করেন, তাঁর কথা সম্পাদনা (এডিট) করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অডিওতে ওসিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আমিনুলকে বলে দিচ্ছি, তুই আমাকে ১ লাখ ৩০ দে।’
অপর প্রান্ত থেকে পুরুষ কণ্ঠে একজন বলেন, ‘স্যার আমার হাত দিয়ে?’ ওসি বলেন, ‘তুমি এসব বুঝবা না।’
অপর প্রান্তের ব্যক্তি বলেন, ‘হায় হায় স্যার! এই কথা আপনি বলছেন!’
ওসি বলেন, ‘তুমি এসব বুঝবা না, সে সব ভেঙে খাবে।’
অপরপক্ষ বলেন, ‘তাহলে এখন কী করব স্যার। তাহলে কী তাদের দায়ী করাব? ওসি বলেন, ‘ওদের দিয়ে করাও, তুমি পেছনে থাকো।’
ব্যবসায়ী জানতে চান, ‘এরপর যদি ওরা গাড়ির সামনে দাঁড়ায়, তাহলে কী করব। আপনি কি ব্যাকআপ দেবেন?’ ওসি বলেন, ‘সামনে থাকবে না। মুন্না, তোর সঙ্গে কি মুন্নার সম্পর্ক আছে?’ পুরুষ কণ্ঠে উত্তর আসে: ‘সে তো জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের।’ ওসি বলেন, ‘আচ্ছা এই বিষয়টি আমি দেখছি।’ এরপর ব্যবসায়ী জানতে চান, ‘শেষ পর্যন্ত কি আমিনুলরা ট্যাকেল দিতে পারবে, ওদের নামে ব্যবসা দিলে?’ ওসি বলেন, ‘আমি আগে দেখি, কয়েক দিন দেখি।’ ব্যবসায়ী তখন বলেন, ‘শনিবার তো বিস্কুট বের হবে এক গাড়ি।’ ওসি বলেন, ‘বিস্কুট বের হবে সেটা তো আরেক ঝামেলা। মুন্না তো এখন বিস্কুট চাচ্ছে না। স্পিনিং চাচ্ছে।’
ব্যবসায়ী বলেন, ‘যদি বিএনপিরা করে তাহলে তো চাইতে পারবে না। আমিনুল তো থানা ছাত্রদলের সেক্রেটারি (সাধারণ সম্পাদক)। আমিনুল আর তার বাপের নামে দেব স্ট্যাম্প কইরা। গোপনে মালিকানা থাকবে আমার নানার। এমডি স্যারকে বইলা দেব, আপাতত ভাইস্তা আর ছোট ভাইকে দিয়ে ব্যবসা করাইতাছি। আর তলে তলে আমি সব হেন্ডেল কইরা দেব।’
ওসি বলেন, ‘হাঁ এটাই ভালো। এটা আমিও বলে দেব। মুন্নার কাছে গেলে সব আউট হয়ে যাবে।’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘তাহলে আপনি কাজ কইরেন। মুন্নার কাছে গেলে টাকার অ্যামাউন্ট চাইব অনেক। যে টাকা এখানে তো এত বেশি টাকা দেওয়া সম্ভব না।’ ওসি বলেন, আমি আমিনুলকে বলে দিবোনে।’
ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমিনুলকে আগেই বলতে হবে না। আগে আমরা বাড়িতে বসি।’ ওসি বলেন, ‘বসো।’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমিনুলকে ফোন দিয়ে এনে নানাকে নিয়ে বসি। গোপনে বসি যদি আমাদের লেভেলে হয়, তাহলে ওগরে দিয়ে দেব, আর যদি না হয় তাহলে ব্যবসা মোর্শেদকে দিয়ে দেব।’ ওসি বলেন, ‘মোর্শেদ চেয়ারম্যানকে?’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের কথার বাইরে গেলে মোর্শেদ চেয়ারম্যানকে দিয়ে দেব। খামো না কাউকে খাইতেও দেব না।’
ওসি বলেন, ‘দেখা যাক। আমি কথা বলছি।’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখন কিছু বলতে হবে না স্যার।’ ওসির উত্তর, ‘তোমার নানা আমাকে দেখে না কেন? ৫ হাজার ১০ হাজার এটা কোন টাকা? এই টাকা দিয়ে কী হয়। আমি এত চাপ নিচ্ছি। তোমার নানাকে বলো, আমাকে লাখ পাঁচেক টাকা দিতে।’
ব্যবসায়ী উত্তর দেন, ‘বাড়ির কাম করতে যাইয়া অবস্থা খুবই খারাপ।’ তখন অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি রেগে গিয়ে বলেন, ‘এসব কথা বলো না। আমি যেটা বলি সেটা কর। না হলে ঝামেলা হবে।’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘আরেকটা কথা বলি, ওই যে শাহাবুদ্দিন মামুর কথা যে বলছিলাম আপনাকে, শৈলাট রোডে বাড়ি। শাহাবুদ্দিন মামু। ওর বাসায় আমিনুল আপনাকে একবার পাঠাইছে। ওর কথা আপনাকে বলেছিলাম। আপনি বলছিলেন নিয়ে আইসো। ওরে নিয়ে আসলে ৫০ হাজার টাকা দেব।’ ওসি বলেন, ‘ধুর, ৫০ হাজার টাকা? ওকে বলো, লাখখানেক টাকা দিতে।’
ব্যবসায়ী বলেন, ‘তাহলে আমি ফোন ধরিয়ে দিই। আপনি একটু কথা বলবেন?’ ওসি বলেন, ‘কোনো কথা হবে না। ওকে নিয়ে আসো। তাহলে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলবেন?’ ওসি বলেন, ‘কোনো কথা না। তুমি আমাকে চিন না? এত সমস্যা কী। সমস্যা করলে ধরে নিয়ে আসব।’
ব্যবসায়ী বলেন, ‘তাহলে আমি ওর কাছে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিই। এক মিনিট কথা বলবেন।’ ওসি বলেন, ‘যাও আজকেই নিয়ে আসবা।’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘না হলে সে বিশ্বাস করবে না। আপনি বলবেন আগামীকাল নিয়ে আসেন।’
ওসি বলেন, ‘সে না তুমি নিয়ে আসবা।’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘তাহলে বিশ্বাস করবে। আপনি শুধু বলবেন, ‘এক (লাখ টাকা) নিয়ে আসেন। আর স্যার, আমিনুলরে এখন কিছু বলার দরকার নেই। আমরা বইসা এটাই করতেছি স্যার।’ ওসি বলেন, ‘তোমার নানারে বলো, পাঁচ (লাখ) ব্যবস্থা করে দিতে।’
ব্যবসায়ী বলেন, ‘স্যার বিশ্বাস করবেন, আমরা যে ব্যবসা করি, এখন সেই পরিমাণ টাকা নাই স্যার।’ ওসি বলেন, ‘তোমাদের ব্যবসা লাগে না। ব্যবসায়ী গাড়ি মাইর খাইয়া পইড়া রইছে। এ মাসটা যাক, আমি দুই লাখ দেব।’ ওসি বলেন, ‘এত কথা বল কেন? ওসি বলছে করে দিয়ো। ওসি বলছে করে দিয়ো। তুমি তো আমাকে গেঞ্জি দিলা না।’ ব্যবসায়ী বলেন, ‘ফুলহাতা? আচ্ছা ঢাকা থেকে নিয়ে আসব।’
কথোপকথনের অডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া বলেন, ‘ওসি সাহেব আমাকে চাপ দিচ্ছেন। আমাকে একটি লেখা দিয়েছেন তিনি। এটা ফেসবুকে এসে বলতে চাপ দিচ্ছেন যে কথোপকথন মিথ্যা। এমন চাপ দিচ্ছেন। ওসি সাহেব আমাকে মাসোহারা দেওয়ার জন্য চাপ দেন। আমি প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা দিই। তবুও তিনি আরও চাপ দেন। ওসি আমাকে ছাত্রলীগের তকমা দিয়ে গ্রেপ্তারের জন্য চাপ দেন। অডিও প্রকাশ করার কারণে ওসি আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমার কথা এডিট (সম্পাদনা) করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে একটি চক্র।’
এ বিষয়ে কথা বলতে গাজীপুর পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেকের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।
আরও খবর পড়ুন:
নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ঢাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবনের অবৈধ অংশ চিহ্নিত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সেগুলো ভেঙে সঠিক জায়গায় নেওয়ার কাজও শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান মো. রিয়াজুল ইসলাম। আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ডিআরইউ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘সমস্যার..
২ মিনিট আগেবগুড়ার শেরপুরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাঁর অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর শামছুল উলুম বালিকা দাখিল মাদ্রাসায়।
৮ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধীদের কয়েকজন জুলাই-বিপ্লবের গ্রাফিতি মুছে ফেলা নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুকে নিয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
১১ মিনিট আগেখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের এক দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে ছাত্রকল্যাণ কেন্দ্র চত্বরে শিক্ষার্থীরা অনশনে বসেন। তাঁদের অনশন থেকে সরে এসে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছেন
২৬ মিনিট আগে