Ajker Patrika

ইসরায়েলি আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা’ বলায় যুক্তরাষ্ট্রে বরখাস্ত মুসলিম নার্স

আপডেট : ৩১ মে ২০২৪, ১৭: ৪৪
ইসরায়েলি আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা’ বলায় যুক্তরাষ্ট্রে বরখাস্ত মুসলিম নার্স

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা’ বলায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বরখাস্ত হয়েছেন একজন মুসলিম নার্স। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ল্যাঙ্গোন মেডিকেল সেন্টারের নার্স হেসেন জাবর এ মাসের শুরুতে একটি পুরস্কার গ্রহণ করার সময় গাজায় আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। সে কারণেই চাকরি খুইয়েছেন তিনি।

তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি আমেরিকান নাগরিক হেসেন জাবর একজন প্রজনন বিষয়ক নার্স। তিনি সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে বলেছেন, গর্ভকালীন অবস্থায় সন্তানদের হারানো শোকার্ত মায়েদের সঙ্গে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ একটি পুরস্কার গ্রহণের সময় বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি।

হেসেন জাবর বলেন, ‘পুরস্কার পাওয়ার পর ২২ মে আমার প্রথম শিফটে ফিরে আসি। আমি ইউনিটে যাওয়ার পরেই আমাকে এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোনের নার্সিংয়ের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি তাৎক্ষণিক বৈঠকে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞেস করা হয় আমি কীভাবে অন্যদের ঝুঁকির মধ্যে ফেললাম, কীভাবে অনুষ্ঠানটি নষ্ট করলাম এবং কীভাবে মানুষকে আঘাত করলাম। কারণ, আমার বক্তৃতার একটি ছোট অংশে আমার দেশের শোকার্ত মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলাম।’

হেসেনকে এরপর তাঁর শিফটে কাজে পাঠানো হয়। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ ঠিক করেছে কী করা হবে হেসেনকে নিয়ে।

হেসেন জাবর বলেন, ‘প্রায় পুরো শিফটে কাজ করার পর আমাকে আবারও ডেকে পাঠানো হলো অফিসে। সেখানে মানবসম্পদ পরিচালক অস্টিন বেন্ডার আমাকে আমার বরখাস্তের চিঠি পড়ে শোনান এবং একজন সাধারণ পোশাকের পুলিশ অফিসার আমাকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে বের করে নিয়ে যান।’

হেসেনের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তাঁকে বক্তৃতায় বলতে শোনা যায়, ‘গাজায় চলমান গণহত্যায় আমার দেশের নারীরা কী অকল্পনীয় ক্ষতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা দেখে আমার কষ্ট হয়।’

ফক্স নিউজের মতে, এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোনের একজন মুখপাত্র স্টিভ রিটা নিশ্চিত করেছেন, হেসেন জাবরকে তাঁর বক্তৃতার কারণেই বরখাস্ত করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান

জুবায়েদ হত্যায় ‎সন্দেহভাজন ছেলেকে যে কারণে থানায় দেন মা, জানালেন স্বজনেরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইসরায়েল থেকে ফেরত আসা ১৩৫ ফিলিস্তিনির মরদেহে অঙ্গচ্ছেদ-নির্যাতনের চিহ্ন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৫৮
সরায়েলের কারাগারগুলোতে এমন অমানবিক অবস্থায় বিনা বিচারে বছরের পর বছর বন্দী করে রাখা হয় ফিলিস্তিনিদের। ছবি: সংগৃহীত
সরায়েলের কারাগারগুলোতে এমন অমানবিক অবস্থায় বিনা বিচারে বছরের পর বছর বন্দী করে রাখা হয় ফিলিস্তিনিদের। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল থেকে ফেরত আসা অন্তত ১৩৫ ফিলিস্তিনির মরদেহে ভয়াবহ নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মরদেহগুলো ইসরায়েলের একটি কুখ্যাত আটককেন্দ্র ‘স্‌দে তেইমান’-এ রাখা হয়েছিল। যেখানে আগে থেকেই বন্দীদের ওপর নির্যাতন ও মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ জানান, প্রতিটি মরদেহের ব্যাগে থাকা নথিতে লেখা আছে যে এগুলো স্‌দে তেইমান ঘাঁটি থেকেই এসেছে। ওই ট্যাগগুলো হিব্রু ভাষায় লেখা এবং কিছু মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা সেখানেই করা হয়েছিল।

নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত স্‌দে তেইমান আটককেন্দ্রের বিরুদ্ধে গত বছরও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনি বন্দীদের খাঁচায় আটকে রাখা, চোখ বেঁধে হাত-পা শৃঙ্খলিত করে রাখা ও হাসপাতালের খাটে বেঁধে রাখার মতো অমানবিক আচরণ করা হতো।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ফেরত পাওয়া মরদেহগুলো পরীক্ষা করে দেখা গেছে, অনেকের চোখ বাঁধা, হাত পেছনে বাঁধা এবং শরীরে গুলির দাগ রয়েছে। কিছু মরদেহে ট্যাংকের চাকায় পিষ্ট হওয়ার চিহ্নও পাওয়া গেছে। তারা বলছেন, এসব প্রমাণে স্পষ্ট যে ইসরায়েল বন্দীদের ওপর হত্যা ও নির্যাতন চালিয়েছে।

নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের পরিচালক আইয়াদ বারহুম বলেন, ‘মরদেহগুলোর নাম নেই, শুধু কোড নম্বর দেওয়া আছে। শনাক্তকরণের কাজ চলছে।’

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, তদন্তের মাধ্যমে বের করতে হবে মরদেহগুলোর কেউ আটক অবস্থায় নিহত হয়েছে কি না এবং হলে কতজন।

উত্তর গাজার বাসিন্দা মাহমুদ ইসমাইল শাবাতের মরদেহেও নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁর ভাই রামি জানান, মাথার পুরোনো অস্ত্রোপচারের দাগ দেখে ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি। রামি বলেন, ‘তাঁর হাত বাঁধা ছিল, শরীরে নির্যাতনের দাগ ছিল। এটা দেখা খুব কষ্টের।’

মাহমুদের মা বলেন, ‘বিশ্ব কোথায়? আমাদের সন্তানদের সবাইকে নির্যাতিত অবস্থায় ফিরিয়ে দিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান

জুবায়েদ হত্যায় ‎সন্দেহভাজন ছেলেকে যে কারণে থানায় দেন মা, জানালেন স্বজনেরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৩৩
গাজায় ইসরায়েলের হামলা। ছবি: আনাদোলু
গাজায় ইসরায়েলের হামলা। ছবি: আনাদোলু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল সোমবার গর্ব করে জানিয়েছেন, তাঁর দেশের সেনাবাহিনী গত রোববার গাজা উপত্যকায় ১৫৩ টন বোমা বর্ষণ করেছে, যা কার্যত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের স্বীকারোক্তি। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের শীতকালীন অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে নেতানিয়াহু এই কথা বলেন। এ সময় তিনি একাধিকবার বিরোধী এমপিদের বাধার মুখে পড়েন। তাঁরা সরকারের নীতি ও গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির সময় আমাদের দুই সৈনিক শহীদ হয়েছে…আমরা তাদের ওপর ১৫৩ টন বোমা বর্ষণ করেছি এবং গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ডজনখানেক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছি।’

গাজার সরকারি জনসংযোগ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ৮০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এতে ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে শুধু রোববারই প্রাণ হারিয়েছে ৪৪ জন। আহত হয়েছে আরও ২৩৬ জন।

তেল আবিব দাবি করেছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থাপিত এক ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনার ভিত্তিতে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করা হয়। এর প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

পরিকল্পনায় গাজা পুনর্গঠন এবং হামাসবিহীন একটি নতুন শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথাও বলা হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৬৮ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার ২০০ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান

জুবায়েদ হত্যায় ‎সন্দেহভাজন ছেলেকে যে কারণে থানায় দেন মা, জানালেন স্বজনেরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দীপাবলিতে ভারতীয়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশি হাইকমিশনের ভিডিও প্রকাশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভিডিও থেকে নেওয়া
ভিডিও থেকে নেওয়া

কালীপূজা ও দীপাবলি উপলক্ষে ভারতীয়দের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অ্যানিমেশন ভিডিও শেয়ার করে এ শুভেচ্ছা জানান।

ভিডিওটি শেয়ার করে রিয়াজ হামিদুল্লাহ লেখেন, ‘আমি এটি শেয়ার করছি কারণ এটি বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের লালিত মূল্যবোধের পাশাপাশি সংস্কৃতিগত বহুত্ববাদ ও সহনশীলতার প্রতিফলন ঘটায়। একই সঙ্গে এটি বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকেও তুলে ধরে।’

প্রকাশিত অ্যানিমেশন ভিডিওটিতে দেখা যায় ভাইফোঁটা, কালীপূজা ও দীপাবলির প্রতীক হিসেবে প্রদীপ জ্বালানোর দৃশ্য।

ভিডিওটির সঙ্গে সংযুক্ত লেখায় বলা হয়েছে, ‘বাংলা কার্তিক মাসের অমাবস্যার রাতে বাংলাদেশজুড়ে হাজারো প্রদীপ জ্বলে ওঠে—যেন দেবী কালী মুণ্ডমালিনীর ত্রিনয়নের অগ্নিতেজে অন্ধকার ভেদ করে অসংখ্য তারা জেগে উঠছে। মায়ের আহ্বানের মন্ত্রধ্বনিতে নদীমাতৃক এই ভূখণ্ডে মেয়েরা ভাইদের কপালে শুভচিহ্ন এঁকে দেয়। ভারতের, বাংলাদেশের ও বিশ্বের প্রত্যেক হিন্দু ভাই-বোনকে জানাই শুভ দীপাবলি, কালীপূজা ও ভাইফোঁটার শুভেচ্ছা।’

ভিডিওতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ক্ষমতাসীন বিজেপি, বিরোধী কংগ্রেসসহ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যমকে ট্যাগ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: দ্য প্রিন্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান

জুবায়েদ হত্যায় ‎সন্দেহভাজন ছেলেকে যে কারণে থানায় দেন মা, জানালেন স্বজনেরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি নারীকে মুখোশধারী ইসরায়েলির বেধড়ক পিটুনি ভাইরাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ৫২
ছবি: বিবিসি
ছবি: বিবিসি

পশ্চিমতীরের তুরমুস আয়া গ্রামে মুখোশধারী এক ইসরায়েলি দখলদারের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৫৫ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি নারী। রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে জলপাই সংগ্রহের সময় ওই নারীকে একটি লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। এই ঘটনাটি ভিডিওতে ধারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জ্যাসপার ন্যাথানিয়েল।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক যুবক বড় কাঠের লাঠি দিয়ে এক নারীর মাথায় আঘাত করে তাঁকে মাটিতে ফেলে দেন। এরপর মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় ওই নারীকে আরও দুইবার আঘাত করেন তিনি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আহত নারীর নাম উম সালেহ আবু আলিয়া।

ভিডিও ধারণ করা ন্যাথানিয়েল বলেছেন, ‘প্রথম আঘাতেই আলিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তারপরও হামলাকারী নির্মমভাবে লাঠি চালিয়ে যায়।’

এই বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের সদস্যরা পৌঁছানোর পর ঘটনাস্থল ছত্রভঙ্গ করা হয়। অবৈধ বসতি নির্মাণকারীদের যে কোনো ধরনের সহিংসতার নিন্দাও জানায় এই বাহিনী। তবে ন্যাথানিয়েল অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা হামলার আগেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং সাংবাদিক ও সহায়তাকারীদের আটকে রেখেছিল। সৈন্যরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুখোশধারী উপনিবেশকারীরা আক্রমণ চালায়।

পাঁচ সন্তানের মা আবু আলিয়া বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার মাথার দুই জায়গায় গুরুতর আঘাত পাওয়া গেছে। তিনি আগে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন, এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন।

তুরমুস আয়া গ্রামে এদিন অন্তত ১৫ জন মুখোশধারী উপনিবেশকারীকে আরও কয়েকজন ফিলিস্তিনি কৃষক ও সহায়তাকারীদের ওপর পাথর ছুড়তে দেখা যায়। এ সময় তারা ফিলিস্তিনি মালিকানাধীন একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং কয়েকটির জানালা ভেঙে দেয়।

জলপাই সংগ্রহ ফিলিস্তিনি সংস্কৃতি ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে প্রতিবছর এই মৌসুমে দখলদারদের হামলা, রাস্তা বন্ধ এবং জমিতে প্রবেশে বাধা দেওয়ার ঘটনা বাড়ছে। জাতিসংঘের মানবিক দপ্তর জানিয়েছে, ৭ থেকে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিম তীরে ৭১টি উপনিবেশকারী হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার অর্ধেকই জলপাই সংগ্রহ মৌসুমে।

২০২৫ সালেই পশ্চিমতীর জুড়ে উপনিবেশকারীদের হাতে ৩ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এসব ঘটনার কোনো বিচার হয়নি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই হামলাগুলোর মূল লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনিদের ভয় দেখিয়ে জমি ছাড়তে বাধ্য করা—যাতে ইসরায়েলি উপনিবেশকারীরা তা দখল করতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান

জুবায়েদ হত্যায় ‎সন্দেহভাজন ছেলেকে যে কারণে থানায় দেন মা, জানালেন স্বজনেরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত