Ajker Patrika

‘প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করছে হামাস ও পুতিন, তাদের জিততে দেওয়া হবে না’

আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৩, ১০: ৩২
‘প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করছে হামাস ও পুতিন, তাদের জিততে দেওয়া হবে না’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে স্বৈরাচার বলে আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, হামাস ও পুতিন উভয়েই নিজ নিজ প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তাদের কোনোভাবেই জিততে দেওয়া হবে না। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বাইডেন এসব কথা বলেন। 

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

বাইডেন বলেন, ‘হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে আক্রমণ ও রাশিয়ার নেতা পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণের মধ্য দিয়ে মূলত প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস বা নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে। হামাস ও পুতিন হয়তো ভিন্ন হুমকি হাজির করেছে, কিন্তু তাদের মধ্যে বিষয়টি সাধারণ। তারা উভয়েই প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়।’ 
 
বাইডেন এ সময় হামাস ও পুতিনকে জিততে না দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা হামাসের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও পুতিনের মতো স্বৈরাচারকে জয়ী হতে দিতে পারি না, জয়ী হতে দেব না। আমি এমনটা না ঘটতে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ 

এর আগে ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে আরও ১০ হাজার কোটি ডলার খরচ করতে চাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই লক্ষ্যে তিনি একটি বিল উত্থাপন করতে চেয়েছিলেন মার্কিন কংগ্রেসে। গতকালের ভাষণে বাইডেন বিলটির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের আইনপ্রণেতাদের বিলটি পাস করার জন্য আহ্বান জানান। এ সময় তিনি মার্কিন জনগণকে নিজ দেশের বাইরেও সমমনা দেশগুলোর নিরাপত্তার দিকেও দৃষ্টিপাত করার অনুরোধ জানান। 

উল্লেখ্য, গত বুধবার ইসরায়েল সফর করেন জো বাইডেন। গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট কমাতে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর ব্যাপারে সেই সফরে মিসরকে রাজি করিয়েছেন তিনি। ইসরায়েল থেকে ফেরার পথে তিনি জানান, মিসর ও গাজা সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতে রাজি হয়েছে মিসর। শুক্রবারের মধ্যে গাজায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো শুরু হবে বলেও জানান বাইডেন। 

ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের সহায়তার জন্য মার্কিন তহবিল থেকে ১০ কোটি ডলার বরাদ্দ করা হবে বলেও জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ইসরায়েল থেকে ফেরার আগে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু কাজ সম্পন্ন করতে এসেছিলাম। সেসব করেছি। গাজায় দ্রুততম সময়ে ত্রাণ পাঠানোর ব্যাপারে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম। আর এই কাজ সম্পন্ন করতে কোনো বাধার সম্মুখীন হইনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত