আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের (কিশোর-কিশোরী) মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আইন পরিবর্তনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছে। প্রখ্যাত আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংয়ের করা এই পিটিশনটি দেশজুড়ে ‘টিন সেক্স’ বা কিশোর-কিশোরীদের যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।
ভারতের বর্তমান আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু ইন্দিরা জয়সিং তাঁর আবেদনে যুক্তি দিয়েছেন, ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে যদি সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক হয়, তাহলে তা শোষণমূলক বা আপত্তিকর হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেছেন, এই ধরনের সম্পর্ককে ফৌজদারি বিচার থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
তবে ভারত সরকার এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এমন কোনো ব্যতিক্রম চালু করলে শিশুদের (১৮ বছরের কম বয়সীদের) সুরক্ষা ও নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে। এতে পাচার ও শোষণের মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।
এই ইস্যুতে সমাজকর্মী ও অধিকারকর্মীদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, টিনএজারদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এই ধরনের আইন পরিবর্তন করা জরুরি। অন্যদিকে, বিরোধীরা মনে করছেন, এমন পদক্ষেপ মানব পাচার ও বাল্যবিবাহের মতো অপরাধকে উসকে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরও প্রশ্ন তুলেছেন, কোনো কিশোর বা কিশোরী যদি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়, তাহলে প্রমাণের ভার বহন করার সক্ষমতা তাদের কতটা আছে?
ভারতে যৌন সম্মতির বয়স নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে বিতর্ক চলছে। ১৮৬০ সালে দেশের প্রথম দণ্ডবিধি চালু হওয়ার সময় এই বয়স ছিল ১০ বছর। ১৯৪০ সালে তা বাড়িয়ে ১৬ করা হয়। এরপর ২০১২ সালে শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে সুরক্ষার জন্য প্রণীত ‘প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস অ্যাক্ট’ (পিওসিএসও) অনুসারে, যৌন সম্মতির বয়স ১৮ বছরে উন্নীত করা হয়।
গত এক দশকে ভারতের বিভিন্ন আদালত ও শিশু অধিকারকর্মীরা আইনের এই বয়সসীমা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের মতে, এই আইনটি অনেক সময় কিশোর-কিশোরীদের মধ্যকার সম্মতিমূলক সম্পর্ককেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। সমাজের নানা শ্রেণি ও ধর্মীয় বিভাজন থাকায় আইনটি প্রায়ই ক্ষমতার অপব্যবহারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলেও অনেকে অভিযোগ করেন।
২০২২ সালে কর্ণাটক হাইকোর্ট ভারতের আইন কমিশনকে এই বিষয়ে পুনরায় বিবেচনা করতে বলে। সেখানে আদালত বেশ কিছু মামলার উদাহরণ তুলে ধরে, যেখানে ১৬ বছরের বেশি বয়সী মেয়েরা প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে পালিয়ে যাওয়ার পর ছেলের বিরুদ্ধে পিওসিএসও আইনে ধর্ষণের অভিযোগ আনার মতো রয়েছে।
আইন কমিশন ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে যৌন সম্মতির বয়স কমানোর বিরুদ্ধে মত দিলেও, ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের সম্মতিমূলক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিচারকদের ‘গাইডে জুডিশিয়াল ডিসক্রিশন’ বা সীমিত বিচারিক বিবেচনা ব্যবহারের সুপারিশ করে। এর ফলে বিচারকেরা মামলার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাজা কমানো, জামিন দেওয়া বা মামলা বাতিল করার ক্ষমতা পাবেন।
ইন্দিরা জয়সিং অবশ্য মনে করেন, শুধু বিচারকদের বিবেচনা যথেষ্ট নয়। কারণ, অভিযুক্তকে দীর্ঘ তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, এটাও একটা শাস্তি। ভারতের বিচারব্যবস্থায় মামলার দীর্ঘসূত্রতা একটি বড় সমস্যা। ২০২১ সালের এক গবেষণা অনুযায়ী, পিওসিএসও আইনে প্রায় আড়াই লাখ মামলা বিচারাধীন।
ইন্দিরা তাঁর আবেদনে পিওসিএসও আইনে একটি ‘ক্লোজ ইন এইজ এক্সেপশন’ যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই ব্যতিক্রমের মাধ্যমে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী সমবয়সীদের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে না।
শিশু অধিকারকর্মী ও আইনজীবী ভুবন রিবহু অবশ্য এই ধরনের কোনো ব্যতিক্রমের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তাঁর মতে, এর অপব্যবহার করে অপহরণ, মানব পাচার এবং বাল্যবিবাহের মতো অপরাধ বেড়ে যেতে পারে।
তবে মানবাধিকার সংগঠন ‘এইচএকিউ: সেন্টার ফর চাইল্ড রাইটস’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা এনাক্ষী গাঙ্গুলি ইন্দিরা জয়সিংয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আইনের অপব্যবহারের ভয়ে আমরা আইন পরিবর্তন করা থেকে পিছিয়ে আসতে পারি না। আইনকে সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, তবেই তা কার্যকর ও প্রাসঙ্গিক থাকবে।’
সূত্র: বিবিসি
ভারতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের (কিশোর-কিশোরী) মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আইন পরিবর্তনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছে। প্রখ্যাত আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংয়ের করা এই পিটিশনটি দেশজুড়ে ‘টিন সেক্স’ বা কিশোর-কিশোরীদের যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।
ভারতের বর্তমান আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু ইন্দিরা জয়সিং তাঁর আবেদনে যুক্তি দিয়েছেন, ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে যদি সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক হয়, তাহলে তা শোষণমূলক বা আপত্তিকর হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেছেন, এই ধরনের সম্পর্ককে ফৌজদারি বিচার থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
তবে ভারত সরকার এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এমন কোনো ব্যতিক্রম চালু করলে শিশুদের (১৮ বছরের কম বয়সীদের) সুরক্ষা ও নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে। এতে পাচার ও শোষণের মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।
এই ইস্যুতে সমাজকর্মী ও অধিকারকর্মীদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, টিনএজারদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এই ধরনের আইন পরিবর্তন করা জরুরি। অন্যদিকে, বিরোধীরা মনে করছেন, এমন পদক্ষেপ মানব পাচার ও বাল্যবিবাহের মতো অপরাধকে উসকে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরও প্রশ্ন তুলেছেন, কোনো কিশোর বা কিশোরী যদি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়, তাহলে প্রমাণের ভার বহন করার সক্ষমতা তাদের কতটা আছে?
ভারতে যৌন সম্মতির বয়স নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে বিতর্ক চলছে। ১৮৬০ সালে দেশের প্রথম দণ্ডবিধি চালু হওয়ার সময় এই বয়স ছিল ১০ বছর। ১৯৪০ সালে তা বাড়িয়ে ১৬ করা হয়। এরপর ২০১২ সালে শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে সুরক্ষার জন্য প্রণীত ‘প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস অ্যাক্ট’ (পিওসিএসও) অনুসারে, যৌন সম্মতির বয়স ১৮ বছরে উন্নীত করা হয়।
গত এক দশকে ভারতের বিভিন্ন আদালত ও শিশু অধিকারকর্মীরা আইনের এই বয়সসীমা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের মতে, এই আইনটি অনেক সময় কিশোর-কিশোরীদের মধ্যকার সম্মতিমূলক সম্পর্ককেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। সমাজের নানা শ্রেণি ও ধর্মীয় বিভাজন থাকায় আইনটি প্রায়ই ক্ষমতার অপব্যবহারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলেও অনেকে অভিযোগ করেন।
২০২২ সালে কর্ণাটক হাইকোর্ট ভারতের আইন কমিশনকে এই বিষয়ে পুনরায় বিবেচনা করতে বলে। সেখানে আদালত বেশ কিছু মামলার উদাহরণ তুলে ধরে, যেখানে ১৬ বছরের বেশি বয়সী মেয়েরা প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে পালিয়ে যাওয়ার পর ছেলের বিরুদ্ধে পিওসিএসও আইনে ধর্ষণের অভিযোগ আনার মতো রয়েছে।
আইন কমিশন ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে যৌন সম্মতির বয়স কমানোর বিরুদ্ধে মত দিলেও, ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের সম্মতিমূলক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিচারকদের ‘গাইডে জুডিশিয়াল ডিসক্রিশন’ বা সীমিত বিচারিক বিবেচনা ব্যবহারের সুপারিশ করে। এর ফলে বিচারকেরা মামলার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাজা কমানো, জামিন দেওয়া বা মামলা বাতিল করার ক্ষমতা পাবেন।
ইন্দিরা জয়সিং অবশ্য মনে করেন, শুধু বিচারকদের বিবেচনা যথেষ্ট নয়। কারণ, অভিযুক্তকে দীর্ঘ তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, এটাও একটা শাস্তি। ভারতের বিচারব্যবস্থায় মামলার দীর্ঘসূত্রতা একটি বড় সমস্যা। ২০২১ সালের এক গবেষণা অনুযায়ী, পিওসিএসও আইনে প্রায় আড়াই লাখ মামলা বিচারাধীন।
ইন্দিরা তাঁর আবেদনে পিওসিএসও আইনে একটি ‘ক্লোজ ইন এইজ এক্সেপশন’ যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই ব্যতিক্রমের মাধ্যমে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী সমবয়সীদের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে না।
শিশু অধিকারকর্মী ও আইনজীবী ভুবন রিবহু অবশ্য এই ধরনের কোনো ব্যতিক্রমের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তাঁর মতে, এর অপব্যবহার করে অপহরণ, মানব পাচার এবং বাল্যবিবাহের মতো অপরাধ বেড়ে যেতে পারে।
তবে মানবাধিকার সংগঠন ‘এইচএকিউ: সেন্টার ফর চাইল্ড রাইটস’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা এনাক্ষী গাঙ্গুলি ইন্দিরা জয়সিংয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আইনের অপব্যবহারের ভয়ে আমরা আইন পরিবর্তন করা থেকে পিছিয়ে আসতে পারি না। আইনকে সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, তবেই তা কার্যকর ও প্রাসঙ্গিক থাকবে।’
সূত্র: বিবিসি
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৫ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন—যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকা আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেবেলারুশের মডেল ভেরা ক্রাভৎসোভার নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী এই মডেলকে থাইল্যান্ড থেকে অপহরণ করে মিয়ানমারের একটি প্রতারণা কেন্দ্রে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ ও বাণিজ্য বন্ধ।
১১ অক্টোবর থেকে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সীমান্ত পারাপার ও বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওই সময় সীমান্তে ভয়াবহ যুদ্ধ ও পাকিস্তানের বিমান হামলায় দুই পক্ষেই বহু মানুষ নিহত হয়। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের প্রধান খান জান আলোকজাই আজ বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, প্রতিদিন দুই দেশ প্রায় ১০ লাখ ডলার করে ক্ষতি করছে।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যার বেশির ভাগই তাজা ফল, শাকসবজি, খনিজ, ওষুধ, গম, চাল, চিনি, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য। সীমান্ত বন্ধ থাকায় এসব পণ্যের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
আলোকজা১ই বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন প্রায় ৫০০ কনটেইনার সবজি রপ্তানির জন্য প্রস্তুত থাকে, কিন্তু সীমান্ত বন্ধ থাকায় সব পণ্য এখন নষ্ট হয়ে গেছে।’
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান তোরখাম সীমান্তের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্তের দুই পাশে এখন প্রায় ৫ হাজার কনটেইনার আটকা পড়ে আছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বাজারে ইতিমধ্যে টমেটো, আপেল ও আঙুরের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, আপেল আমদানির বড় অংশ আফগানিস্তান থেকে আসে, ফলে এর দামও দ্রুত বাড়ছে।
ইসলামাবাদ দাবি করেছে, আফগানিস্তানে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। কাবুলকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবে তালেবান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনায় উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, যা এখনো কার্যকর রয়েছে। তবে দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য এখনো বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী বৈঠক ২৫ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ ও বাণিজ্য বন্ধ।
১১ অক্টোবর থেকে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সীমান্ত পারাপার ও বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওই সময় সীমান্তে ভয়াবহ যুদ্ধ ও পাকিস্তানের বিমান হামলায় দুই পক্ষেই বহু মানুষ নিহত হয়। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের প্রধান খান জান আলোকজাই আজ বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, প্রতিদিন দুই দেশ প্রায় ১০ লাখ ডলার করে ক্ষতি করছে।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যার বেশির ভাগই তাজা ফল, শাকসবজি, খনিজ, ওষুধ, গম, চাল, চিনি, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য। সীমান্ত বন্ধ থাকায় এসব পণ্যের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
আলোকজা১ই বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন প্রায় ৫০০ কনটেইনার সবজি রপ্তানির জন্য প্রস্তুত থাকে, কিন্তু সীমান্ত বন্ধ থাকায় সব পণ্য এখন নষ্ট হয়ে গেছে।’
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান তোরখাম সীমান্তের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্তের দুই পাশে এখন প্রায় ৫ হাজার কনটেইনার আটকা পড়ে আছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বাজারে ইতিমধ্যে টমেটো, আপেল ও আঙুরের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, আপেল আমদানির বড় অংশ আফগানিস্তান থেকে আসে, ফলে এর দামও দ্রুত বাড়ছে।
ইসলামাবাদ দাবি করেছে, আফগানিস্তানে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। কাবুলকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবে তালেবান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনায় উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, যা এখনো কার্যকর রয়েছে। তবে দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য এখনো বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী বৈঠক ২৫ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ভারতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের (কিশোর-কিশোরী) মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আইন পরিবর্তনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছে। প্রখ্যাত আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংয়ের করা এই পিটিশনটি দেশজুড়ে ‘টিন সেক্স’ বা কিশোর-কিশোরীদের যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা নিয়ে
০১ আগস্ট ২০২৫দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন—যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকা আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেবেলারুশের মডেল ভেরা ক্রাভৎসোভার নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী এই মডেলকে থাইল্যান্ড থেকে অপহরণ করে মিয়ানমারের একটি প্রতারণা কেন্দ্রে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
সম্প্রতি অভিশংসিত হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন—যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
কোরিয়া হেরিটেজ সার্ভিস (কেএইচএস) এর বরাতে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অতিথিদের জন্য একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই কিম গিউন হি প্রাসাদের মূল ভবন গিনজংজনে থাকা রাজসিংহাসনে বসেন।
১৩৯২ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত জোসন রাজবংশের আমলে এই প্রাসাদ ছিল রাজপরিবারের প্রধান আবাস ও প্রশাসনিক কেন্দ্র। লাল-সোনালি রঙের সিংহাসনটি রাজকীয় ক্ষমতার প্রতীক এবং সাধারণ দর্শনার্থীদের সেখানে প্রবেশের অনুমতি নেই।
কেএইচএস জানিয়েছে, এই সফরটি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের অনুরোধে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর কিম যে সিংহাসনে বসেছিলেন সেটি ছিল পরবর্তীকালে নির্মিত একটি অনুলিপি, আসল নয়।
তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এক সাক্ষ্যে সাবেক প্রেসিডেন্টের সহকারী চুং ইয়ং সিওক বলেন, ‘তিনি (কিম গিউন হি) দেহরক্ষীদের সহায়তায় মঞ্চের পাশে থাকা সিঁড়ি বেয়ে উঠে সিংহাসনে বসেন।’
জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ইউ হং জুন বলেন, ‘এটি ভুল কাজ ছিল—কোরিয়ার সবাই এটিকে ভুল হিসেবেই দেখছে।’
বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান বিরোধী দলের এক সদস্য ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘তিনি হয়তো রানি হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন।’
এটি কিম গিউন হির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ নয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জানা যায়, তিনি ও তার অতিথিরা জোসন যুগের ঐতিহ্যবাহী জংমিও মন্দিরের একটি নিষিদ্ধ অংশে চা পান করেছিলেন—যা ঐতিহ্যবিধি লঙ্ঘনের শামিল।
এসব অভিযোগ ওঠার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রীর আচরণ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও ঐতিহ্যের প্রতি তাদের অবহেলা দেশজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলকে গত আগস্টে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে সামরিক আইন জারিসহ বিদ্রোহের অভিযোগে। আর তাঁর স্ত্রী কিম গিউন হির বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারচুপি ও দুর্নীতির অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি অভিশংসিত হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন—যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
কোরিয়া হেরিটেজ সার্ভিস (কেএইচএস) এর বরাতে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অতিথিদের জন্য একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই কিম গিউন হি প্রাসাদের মূল ভবন গিনজংজনে থাকা রাজসিংহাসনে বসেন।
১৩৯২ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত জোসন রাজবংশের আমলে এই প্রাসাদ ছিল রাজপরিবারের প্রধান আবাস ও প্রশাসনিক কেন্দ্র। লাল-সোনালি রঙের সিংহাসনটি রাজকীয় ক্ষমতার প্রতীক এবং সাধারণ দর্শনার্থীদের সেখানে প্রবেশের অনুমতি নেই।
কেএইচএস জানিয়েছে, এই সফরটি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের অনুরোধে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর কিম যে সিংহাসনে বসেছিলেন সেটি ছিল পরবর্তীকালে নির্মিত একটি অনুলিপি, আসল নয়।
তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এক সাক্ষ্যে সাবেক প্রেসিডেন্টের সহকারী চুং ইয়ং সিওক বলেন, ‘তিনি (কিম গিউন হি) দেহরক্ষীদের সহায়তায় মঞ্চের পাশে থাকা সিঁড়ি বেয়ে উঠে সিংহাসনে বসেন।’
জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ইউ হং জুন বলেন, ‘এটি ভুল কাজ ছিল—কোরিয়ার সবাই এটিকে ভুল হিসেবেই দেখছে।’
বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান বিরোধী দলের এক সদস্য ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘তিনি হয়তো রানি হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন।’
এটি কিম গিউন হির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ নয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জানা যায়, তিনি ও তার অতিথিরা জোসন যুগের ঐতিহ্যবাহী জংমিও মন্দিরের একটি নিষিদ্ধ অংশে চা পান করেছিলেন—যা ঐতিহ্যবিধি লঙ্ঘনের শামিল।
এসব অভিযোগ ওঠার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রীর আচরণ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও ঐতিহ্যের প্রতি তাদের অবহেলা দেশজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলকে গত আগস্টে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে সামরিক আইন জারিসহ বিদ্রোহের অভিযোগে। আর তাঁর স্ত্রী কিম গিউন হির বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারচুপি ও দুর্নীতির অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে।
ভারতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের (কিশোর-কিশোরী) মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আইন পরিবর্তনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছে। প্রখ্যাত আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংয়ের করা এই পিটিশনটি দেশজুড়ে ‘টিন সেক্স’ বা কিশোর-কিশোরীদের যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা নিয়ে
০১ আগস্ট ২০২৫আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৫ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকা আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেবেলারুশের মডেল ভেরা ক্রাভৎসোভার নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী এই মডেলকে থাইল্যান্ড থেকে অপহরণ করে মিয়ানমারের একটি প্রতারণা কেন্দ্রে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকাগুলো আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর গত বছর মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি শহর কিয়াউকমে দখল করে নিয়েছিল বিদ্রোহী তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)। এই শহরটি এশিয়ান হাইওয়ে ১৪–এর পাশে অবস্থিত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘বার্মা রোড’ নামে পরিচিত ছিল। শহরটির পতনকে সামরিক জান্তার মনোবল ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয়েছিল।
কিন্তু চলতি অক্টোবরেই মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেনাবাহিনী আবারও শহরটি দখল করে নিয়েছে। কিয়াউকমের এই পালাবদল দেখিয়ে দিয়েছে—মিয়ানমারের যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য এখন স্পষ্টভাবে জান্তার পক্ষে ঝুঁকে পড়েছে। টানা বিমান হামলায় শহরটির একটি বিশাল অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেনারা সেখানে ৫০০ পাউন্ডের বোমা ফেলেছে, ড্রোন ও কামান দিয়ে টিএনএলএর অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। অধিকাংশ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এখন আবার কিছু লোক ফিরে আসছে।
টিএনএলএর মুখপাত্র তার-পান লা বিবিসিকে বলেছেন, ‘কিয়াউকমে ও হিসপাও এলাকায় প্রতিদিনই যুদ্ধ চলছে। জান্তা এবার বেশি সৈন্য, ভারী অস্ত্র ও বিমান শক্তি ব্যবহার করছে।’ সেনাবাহিনী হিসপাও শহরটিও পুনর্দখল করেছে, ফলে চীনা সীমান্তে যাওয়ার প্রধান সড়কটি এখন পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে।
বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমার সেনার এই পুনরুত্থানের পেছনে মূল চালিকা শক্তি চীন। দেশটি ডিসেম্বরের প্রস্তাবিত নির্বাচনের জন্য জান্তাকে সমর্থন দিচ্ছে। এই নির্বাচন থেকে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী যতটা সম্ভব হারানো এলাকা ফিরে পেতে মরিয়া।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় মিয়ানমারের সেনারা এখন অনেক বেশি প্রস্তুত। তারা চীনের তৈরি হাজার হাজার ড্রোন ও মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করছে। চীন ও রাশিয়ার সরবরাহ করা যুদ্ধবিমান দিয়ে ধারাবাহিক বোমা বর্ষণে দেশটিতে বহু বেসামরিক মানুষ মারা পড়েছে।
অন্যদিকে, দেশটির প্রতিরোধ বাহিনীগুলো এখন দুর্বল ও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দেশটিতে গ্রামীণ তরুণদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল শত শত ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ বা স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনী। কিন্তু তাদের মধ্যে এখন পারস্পরিক আস্থার অভাব প্রবল। তারা জাতীয় ঐক্য সরকারের নেতৃত্বও মানে না, ফলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি।
২০২৩ সালের অক্টোবরের ‘অপারেশন ১০২৭’ এর মাধ্যমে ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ নামে তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একযোগে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় আক্রমণ শুরু করেছিল। পরবর্তীতে কয়েক সপ্তাহেই তারা প্রায় ১৮০টি ঘাঁটি দখল করে নেয়। তখন অনেকেই ভেবেছিল, জান্তা সরকার পতনের মুখে। কিন্তু বিদ্রোহীরা সেই ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি।
গবেষক মরগান মাইকেলস বলেন, ‘তখন সেনাদের মনোবল খারাপ ছিল ঠিকই, কিন্তু নেতৃত্বের ভাঙন ততটা গভীর ছিল না।’ ২০২৪ সালের শুরুর দিকে সেনাবাহিনী জোরপূর্বক সৈন্য সংগ্রহ শুরু করে। এর ফলে এই বাহিনীতে ৬০ হাজারেরও বেশি তরুণ যোগ দেয়, যা লড়াইয়ে নতুন গতি আনে।
বিশ্লেষক সু মোন বলেছেন, একের পর এক ড্রোন হামলায় বিদ্রোহীদের বড় ক্ষতি হয়েছে। আবার চীনের সীমান্তে কঠোর নজরদারি এবং দ্বৈত প্রযুক্তি পণ্যের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর ড্রোন সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া চীনের চাপেই এমএনডিএএ ও ইউডব্লিউএসএ-এর মতো অনেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। কারণ তারা সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল। এ অবস্থায় দক্ষিণের কারেন রাজ্যেও সেনারা আবার সীমান্ত সড়ক দখল করেছে।
চীন প্রকাশ্যে বলেছে, ‘আমরা মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চাই না।’ বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বেইজিং জান্তা সরকারকে পছন্দ করে না, কিন্তু রাষ্ট্র ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় এই বাহিনীকে টিকিয়ে রাখতে চায়।
এদিকে মিয়ানমারের জনগণের ওপর সামরিক বাহিনীর যে ভয়াবহ দমননীতি চলছে, তা দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষোভ ও বিভাজনের বীজ বপন করেছে। বিশ্লেষক মাইকেলসের ভাষায়, ‘এক লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক পরিবার কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই রাজনৈতিক সমঝোতা এখনো অনেক দূরের স্বপ্ন।’
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকাগুলো আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর গত বছর মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি শহর কিয়াউকমে দখল করে নিয়েছিল বিদ্রোহী তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)। এই শহরটি এশিয়ান হাইওয়ে ১৪–এর পাশে অবস্থিত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘বার্মা রোড’ নামে পরিচিত ছিল। শহরটির পতনকে সামরিক জান্তার মনোবল ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয়েছিল।
কিন্তু চলতি অক্টোবরেই মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেনাবাহিনী আবারও শহরটি দখল করে নিয়েছে। কিয়াউকমের এই পালাবদল দেখিয়ে দিয়েছে—মিয়ানমারের যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য এখন স্পষ্টভাবে জান্তার পক্ষে ঝুঁকে পড়েছে। টানা বিমান হামলায় শহরটির একটি বিশাল অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেনারা সেখানে ৫০০ পাউন্ডের বোমা ফেলেছে, ড্রোন ও কামান দিয়ে টিএনএলএর অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। অধিকাংশ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এখন আবার কিছু লোক ফিরে আসছে।
টিএনএলএর মুখপাত্র তার-পান লা বিবিসিকে বলেছেন, ‘কিয়াউকমে ও হিসপাও এলাকায় প্রতিদিনই যুদ্ধ চলছে। জান্তা এবার বেশি সৈন্য, ভারী অস্ত্র ও বিমান শক্তি ব্যবহার করছে।’ সেনাবাহিনী হিসপাও শহরটিও পুনর্দখল করেছে, ফলে চীনা সীমান্তে যাওয়ার প্রধান সড়কটি এখন পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে।
বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমার সেনার এই পুনরুত্থানের পেছনে মূল চালিকা শক্তি চীন। দেশটি ডিসেম্বরের প্রস্তাবিত নির্বাচনের জন্য জান্তাকে সমর্থন দিচ্ছে। এই নির্বাচন থেকে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী যতটা সম্ভব হারানো এলাকা ফিরে পেতে মরিয়া।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় মিয়ানমারের সেনারা এখন অনেক বেশি প্রস্তুত। তারা চীনের তৈরি হাজার হাজার ড্রোন ও মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করছে। চীন ও রাশিয়ার সরবরাহ করা যুদ্ধবিমান দিয়ে ধারাবাহিক বোমা বর্ষণে দেশটিতে বহু বেসামরিক মানুষ মারা পড়েছে।
অন্যদিকে, দেশটির প্রতিরোধ বাহিনীগুলো এখন দুর্বল ও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দেশটিতে গ্রামীণ তরুণদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল শত শত ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ বা স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনী। কিন্তু তাদের মধ্যে এখন পারস্পরিক আস্থার অভাব প্রবল। তারা জাতীয় ঐক্য সরকারের নেতৃত্বও মানে না, ফলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি।
২০২৩ সালের অক্টোবরের ‘অপারেশন ১০২৭’ এর মাধ্যমে ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ নামে তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একযোগে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় আক্রমণ শুরু করেছিল। পরবর্তীতে কয়েক সপ্তাহেই তারা প্রায় ১৮০টি ঘাঁটি দখল করে নেয়। তখন অনেকেই ভেবেছিল, জান্তা সরকার পতনের মুখে। কিন্তু বিদ্রোহীরা সেই ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি।
গবেষক মরগান মাইকেলস বলেন, ‘তখন সেনাদের মনোবল খারাপ ছিল ঠিকই, কিন্তু নেতৃত্বের ভাঙন ততটা গভীর ছিল না।’ ২০২৪ সালের শুরুর দিকে সেনাবাহিনী জোরপূর্বক সৈন্য সংগ্রহ শুরু করে। এর ফলে এই বাহিনীতে ৬০ হাজারেরও বেশি তরুণ যোগ দেয়, যা লড়াইয়ে নতুন গতি আনে।
বিশ্লেষক সু মোন বলেছেন, একের পর এক ড্রোন হামলায় বিদ্রোহীদের বড় ক্ষতি হয়েছে। আবার চীনের সীমান্তে কঠোর নজরদারি এবং দ্বৈত প্রযুক্তি পণ্যের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর ড্রোন সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া চীনের চাপেই এমএনডিএএ ও ইউডব্লিউএসএ-এর মতো অনেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। কারণ তারা সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল। এ অবস্থায় দক্ষিণের কারেন রাজ্যেও সেনারা আবার সীমান্ত সড়ক দখল করেছে।
চীন প্রকাশ্যে বলেছে, ‘আমরা মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চাই না।’ বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বেইজিং জান্তা সরকারকে পছন্দ করে না, কিন্তু রাষ্ট্র ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় এই বাহিনীকে টিকিয়ে রাখতে চায়।
এদিকে মিয়ানমারের জনগণের ওপর সামরিক বাহিনীর যে ভয়াবহ দমননীতি চলছে, তা দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষোভ ও বিভাজনের বীজ বপন করেছে। বিশ্লেষক মাইকেলসের ভাষায়, ‘এক লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক পরিবার কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই রাজনৈতিক সমঝোতা এখনো অনেক দূরের স্বপ্ন।’
ভারতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের (কিশোর-কিশোরী) মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আইন পরিবর্তনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছে। প্রখ্যাত আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংয়ের করা এই পিটিশনটি দেশজুড়ে ‘টিন সেক্স’ বা কিশোর-কিশোরীদের যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা নিয়ে
০১ আগস্ট ২০২৫আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৫ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন—যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেবেলারুশের মডেল ভেরা ক্রাভৎসোভার নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী এই মডেলকে থাইল্যান্ড থেকে অপহরণ করে মিয়ানমারের একটি প্রতারণা কেন্দ্রে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বেলারুশের মডেল ভেরা ক্রাভৎসোভার নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী এই মডেলকে থাইল্যান্ড থেকে অপহরণ করে মিয়ানমারের একটি প্রতারণা কেন্দ্রে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলেও খবর ছড়ায়। তবে থাই কর্তৃপক্ষ এসব দাবি অস্বীকার করেছে।
থাই ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, ভেরা ক্রাভৎসোভা গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন এবং ২০ সেপ্টেম্বর থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। বায়োমেট্রিক যাচাইয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তিনি নিজেই বিমানবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থান করেছেন। অর্থাৎ, তাঁকে কেউ অপহরণ করেনি।
থাই পুলিশ মেজর জেনারেল চেরংগ্রন রিমফাদি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি নিজের ইচ্ছাতেই যাচ্ছিলেন, কোনো জোরজবরদস্তির চিহ্ন নেই। থাইল্যান্ডের বাইরে কী ঘটেছে, সেই বিষয়ে আমাদের এখতিয়ার নেই।’
এদিকে মিয়ানমারে নিযুক্ত বেলারুশের রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির বরোভিকভ গণমাধ্যমে প্রচারিত হত্যার খবরকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ভেরার মৃত্যুর খবর এখনো যাচাই করা হয়নি। যাচাইবিহীন তথ্য ছড়ানো তাঁর পরিবারের জন্য কষ্ট বাড়াচ্ছে। রাষ্ট্রদূত জানান, ভেরা গত ২০ সেপ্টেম্বর ব্যাংকক থেকে ইয়াঙ্গুনে যান এবং পরিবারের সঙ্গে তাঁর শেষ যোগাযোগ হয় ৪ অক্টোবর।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘কমসোমলস্কায়া প্রাভদা’ দাবি করেছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের একটি নথিতে বলা হয়েছে, ভেরার মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাকে এবং ১৬ অক্টোবর তাঁর দেহ দাহ করা হয়। তবে এই নথির সত্যতা নিশ্চিত হয়নি। অপর দিকে কয়েকটি ট্যাবলয়েড দাবি করেছে, থাইল্যান্ডে মডেলিংয়ের চাকরির প্রলোভনে গিয়ে অপহৃত হন ভেরা এবং মিয়ানমারের এক প্রতারণা কেন্দ্রে তাঁকে দাসত্বে বাধ্য করা হয়।
থাই সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নেশন থাইল্যান্ড’ জানিয়েছে, ঘটনাটি আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হওয়ায় থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সংস্থাটির গভর্নর থাপনি কিয়াতফাইবুল জানিয়েছেন, অনলাইনে ছড়ানো গুজব থাইল্যান্ডের নিরাপদ পর্যটন ভাবমূর্তিতে আঘাত হানতে পারে। তিনি বিদেশি পর্যটকদের সতর্ক থাকতে এবং বিপদের আশঙ্কা হলে স্থানীয় পুলিশ বা নিজ দেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রয়োজনে তারা ভেরার পরিবারের সহায়তায় তাঁর দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে নিতে কূটনৈতিক সহায়তা দেবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলে প্রতারণা কেন্দ্রগুলোর ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। দ্য গার্ডিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, এসব কেন্দ্রে এশিয়া ও আফ্রিকার হাজার হাজার মানুষকে অপহরণ করে অনলাইন প্রতারণায় বাধ্য করা হয়। প্রায় ৭ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হলেও এখনো সেখানে এক লাখের বেশি মানুষ অমানবিক অবস্থায় বন্দী রয়েছেন।
বেলারুশের মডেল ভেরা ক্রাভৎসোভার নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী এই মডেলকে থাইল্যান্ড থেকে অপহরণ করে মিয়ানমারের একটি প্রতারণা কেন্দ্রে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলেও খবর ছড়ায়। তবে থাই কর্তৃপক্ষ এসব দাবি অস্বীকার করেছে।
থাই ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, ভেরা ক্রাভৎসোভা গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন এবং ২০ সেপ্টেম্বর থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। বায়োমেট্রিক যাচাইয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তিনি নিজেই বিমানবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থান করেছেন। অর্থাৎ, তাঁকে কেউ অপহরণ করেনি।
থাই পুলিশ মেজর জেনারেল চেরংগ্রন রিমফাদি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি নিজের ইচ্ছাতেই যাচ্ছিলেন, কোনো জোরজবরদস্তির চিহ্ন নেই। থাইল্যান্ডের বাইরে কী ঘটেছে, সেই বিষয়ে আমাদের এখতিয়ার নেই।’
এদিকে মিয়ানমারে নিযুক্ত বেলারুশের রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির বরোভিকভ গণমাধ্যমে প্রচারিত হত্যার খবরকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ভেরার মৃত্যুর খবর এখনো যাচাই করা হয়নি। যাচাইবিহীন তথ্য ছড়ানো তাঁর পরিবারের জন্য কষ্ট বাড়াচ্ছে। রাষ্ট্রদূত জানান, ভেরা গত ২০ সেপ্টেম্বর ব্যাংকক থেকে ইয়াঙ্গুনে যান এবং পরিবারের সঙ্গে তাঁর শেষ যোগাযোগ হয় ৪ অক্টোবর।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘কমসোমলস্কায়া প্রাভদা’ দাবি করেছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের একটি নথিতে বলা হয়েছে, ভেরার মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাকে এবং ১৬ অক্টোবর তাঁর দেহ দাহ করা হয়। তবে এই নথির সত্যতা নিশ্চিত হয়নি। অপর দিকে কয়েকটি ট্যাবলয়েড দাবি করেছে, থাইল্যান্ডে মডেলিংয়ের চাকরির প্রলোভনে গিয়ে অপহৃত হন ভেরা এবং মিয়ানমারের এক প্রতারণা কেন্দ্রে তাঁকে দাসত্বে বাধ্য করা হয়।
থাই সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নেশন থাইল্যান্ড’ জানিয়েছে, ঘটনাটি আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হওয়ায় থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সংস্থাটির গভর্নর থাপনি কিয়াতফাইবুল জানিয়েছেন, অনলাইনে ছড়ানো গুজব থাইল্যান্ডের নিরাপদ পর্যটন ভাবমূর্তিতে আঘাত হানতে পারে। তিনি বিদেশি পর্যটকদের সতর্ক থাকতে এবং বিপদের আশঙ্কা হলে স্থানীয় পুলিশ বা নিজ দেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রয়োজনে তারা ভেরার পরিবারের সহায়তায় তাঁর দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে নিতে কূটনৈতিক সহায়তা দেবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলে প্রতারণা কেন্দ্রগুলোর ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। দ্য গার্ডিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, এসব কেন্দ্রে এশিয়া ও আফ্রিকার হাজার হাজার মানুষকে অপহরণ করে অনলাইন প্রতারণায় বাধ্য করা হয়। প্রায় ৭ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হলেও এখনো সেখানে এক লাখের বেশি মানুষ অমানবিক অবস্থায় বন্দী রয়েছেন।
ভারতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের (কিশোর-কিশোরী) মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আইন পরিবর্তনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছে। প্রখ্যাত আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংয়ের করা এই পিটিশনটি দেশজুড়ে ‘টিন সেক্স’ বা কিশোর-কিশোরীদের যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা নিয়ে
০১ আগস্ট ২০২৫আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
৫ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী কিম কিওন হি আবারও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ফাঁস হয়েছে, ২০২৩ সালে তিনি সিউলের ঐতিহাসিক গিয়ংবোকগুং প্রাসাদে রাজাদের ব্যবহৃত সিংহাসনে বসে পড়েছিলেন—যা এখন দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের হারানো এলাকা আবারও দখলে নিচ্ছে। চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তার ফলে জান্তা সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন সাফল্য পেতে শুরু করেছে।
৭ ঘণ্টা আগে