অনলাইন ডেস্ক
ভারতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের (কিশোর-কিশোরী) মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আইন পরিবর্তনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছে। প্রখ্যাত আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংয়ের করা এই পিটিশনটি দেশজুড়ে ‘টিন সেক্স’ বা কিশোর-কিশোরীদের যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।
ভারতের বর্তমান আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু ইন্দিরা জয়সিং তাঁর আবেদনে যুক্তি দিয়েছেন, ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে যদি সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক হয়, তাহলে তা শোষণমূলক বা আপত্তিকর হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেছেন, এই ধরনের সম্পর্ককে ফৌজদারি বিচার থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
তবে ভারত সরকার এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এমন কোনো ব্যতিক্রম চালু করলে শিশুদের (১৮ বছরের কম বয়সীদের) সুরক্ষা ও নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে। এতে পাচার ও শোষণের মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।
এই ইস্যুতে সমাজকর্মী ও অধিকারকর্মীদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, টিনএজারদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এই ধরনের আইন পরিবর্তন করা জরুরি। অন্যদিকে, বিরোধীরা মনে করছেন, এমন পদক্ষেপ মানব পাচার ও বাল্যবিবাহের মতো অপরাধকে উসকে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরও প্রশ্ন তুলেছেন, কোনো কিশোর বা কিশোরী যদি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়, তাহলে প্রমাণের ভার বহন করার সক্ষমতা তাদের কতটা আছে?
ভারতে যৌন সম্মতির বয়স নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে বিতর্ক চলছে। ১৮৬০ সালে দেশের প্রথম দণ্ডবিধি চালু হওয়ার সময় এই বয়স ছিল ১০ বছর। ১৯৪০ সালে তা বাড়িয়ে ১৬ করা হয়। এরপর ২০১২ সালে শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে সুরক্ষার জন্য প্রণীত ‘প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস অ্যাক্ট’ (পিওসিএসও) অনুসারে, যৌন সম্মতির বয়স ১৮ বছরে উন্নীত করা হয়।
গত এক দশকে ভারতের বিভিন্ন আদালত ও শিশু অধিকারকর্মীরা আইনের এই বয়সসীমা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের মতে, এই আইনটি অনেক সময় কিশোর-কিশোরীদের মধ্যকার সম্মতিমূলক সম্পর্ককেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। সমাজের নানা শ্রেণি ও ধর্মীয় বিভাজন থাকায় আইনটি প্রায়ই ক্ষমতার অপব্যবহারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলেও অনেকে অভিযোগ করেন।
২০২২ সালে কর্ণাটক হাইকোর্ট ভারতের আইন কমিশনকে এই বিষয়ে পুনরায় বিবেচনা করতে বলে। সেখানে আদালত বেশ কিছু মামলার উদাহরণ তুলে ধরে, যেখানে ১৬ বছরের বেশি বয়সী মেয়েরা প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে পালিয়ে যাওয়ার পর ছেলের বিরুদ্ধে পিওসিএসও আইনে ধর্ষণের অভিযোগ আনার মতো রয়েছে।
আইন কমিশন ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে যৌন সম্মতির বয়স কমানোর বিরুদ্ধে মত দিলেও, ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের সম্মতিমূলক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিচারকদের ‘গাইডে জুডিশিয়াল ডিসক্রিশন’ বা সীমিত বিচারিক বিবেচনা ব্যবহারের সুপারিশ করে। এর ফলে বিচারকেরা মামলার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাজা কমানো, জামিন দেওয়া বা মামলা বাতিল করার ক্ষমতা পাবেন।
ইন্দিরা জয়সিং অবশ্য মনে করেন, শুধু বিচারকদের বিবেচনা যথেষ্ট নয়। কারণ, অভিযুক্তকে দীর্ঘ তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, এটাও একটা শাস্তি। ভারতের বিচারব্যবস্থায় মামলার দীর্ঘসূত্রতা একটি বড় সমস্যা। ২০২১ সালের এক গবেষণা অনুযায়ী, পিওসিএসও আইনে প্রায় আড়াই লাখ মামলা বিচারাধীন।
ইন্দিরা তাঁর আবেদনে পিওসিএসও আইনে একটি ‘ক্লোজ ইন এইজ এক্সেপশন’ যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই ব্যতিক্রমের মাধ্যমে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী সমবয়সীদের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে না।
শিশু অধিকারকর্মী ও আইনজীবী ভুবন রিবহু অবশ্য এই ধরনের কোনো ব্যতিক্রমের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তাঁর মতে, এর অপব্যবহার করে অপহরণ, মানব পাচার এবং বাল্যবিবাহের মতো অপরাধ বেড়ে যেতে পারে।
তবে মানবাধিকার সংগঠন ‘এইচএকিউ: সেন্টার ফর চাইল্ড রাইটস’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা এনাক্ষী গাঙ্গুলি ইন্দিরা জয়সিংয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আইনের অপব্যবহারের ভয়ে আমরা আইন পরিবর্তন করা থেকে পিছিয়ে আসতে পারি না। আইনকে সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, তবেই তা কার্যকর ও প্রাসঙ্গিক থাকবে।’
সূত্র: বিবিসি
ভারতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের (কিশোর-কিশোরী) মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আইন পরিবর্তনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছে। প্রখ্যাত আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংয়ের করা এই পিটিশনটি দেশজুড়ে ‘টিন সেক্স’ বা কিশোর-কিশোরীদের যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।
ভারতের বর্তমান আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু ইন্দিরা জয়সিং তাঁর আবেদনে যুক্তি দিয়েছেন, ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে যদি সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক হয়, তাহলে তা শোষণমূলক বা আপত্তিকর হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেছেন, এই ধরনের সম্পর্ককে ফৌজদারি বিচার থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
তবে ভারত সরকার এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এমন কোনো ব্যতিক্রম চালু করলে শিশুদের (১৮ বছরের কম বয়সীদের) সুরক্ষা ও নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে। এতে পাচার ও শোষণের মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।
এই ইস্যুতে সমাজকর্মী ও অধিকারকর্মীদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, টিনএজারদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এই ধরনের আইন পরিবর্তন করা জরুরি। অন্যদিকে, বিরোধীরা মনে করছেন, এমন পদক্ষেপ মানব পাচার ও বাল্যবিবাহের মতো অপরাধকে উসকে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরও প্রশ্ন তুলেছেন, কোনো কিশোর বা কিশোরী যদি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়, তাহলে প্রমাণের ভার বহন করার সক্ষমতা তাদের কতটা আছে?
ভারতে যৌন সম্মতির বয়স নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে বিতর্ক চলছে। ১৮৬০ সালে দেশের প্রথম দণ্ডবিধি চালু হওয়ার সময় এই বয়স ছিল ১০ বছর। ১৯৪০ সালে তা বাড়িয়ে ১৬ করা হয়। এরপর ২০১২ সালে শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে সুরক্ষার জন্য প্রণীত ‘প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস অ্যাক্ট’ (পিওসিএসও) অনুসারে, যৌন সম্মতির বয়স ১৮ বছরে উন্নীত করা হয়।
গত এক দশকে ভারতের বিভিন্ন আদালত ও শিশু অধিকারকর্মীরা আইনের এই বয়সসীমা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের মতে, এই আইনটি অনেক সময় কিশোর-কিশোরীদের মধ্যকার সম্মতিমূলক সম্পর্ককেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। সমাজের নানা শ্রেণি ও ধর্মীয় বিভাজন থাকায় আইনটি প্রায়ই ক্ষমতার অপব্যবহারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলেও অনেকে অভিযোগ করেন।
২০২২ সালে কর্ণাটক হাইকোর্ট ভারতের আইন কমিশনকে এই বিষয়ে পুনরায় বিবেচনা করতে বলে। সেখানে আদালত বেশ কিছু মামলার উদাহরণ তুলে ধরে, যেখানে ১৬ বছরের বেশি বয়সী মেয়েরা প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে পালিয়ে যাওয়ার পর ছেলের বিরুদ্ধে পিওসিএসও আইনে ধর্ষণের অভিযোগ আনার মতো রয়েছে।
আইন কমিশন ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে যৌন সম্মতির বয়স কমানোর বিরুদ্ধে মত দিলেও, ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের সম্মতিমূলক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিচারকদের ‘গাইডে জুডিশিয়াল ডিসক্রিশন’ বা সীমিত বিচারিক বিবেচনা ব্যবহারের সুপারিশ করে। এর ফলে বিচারকেরা মামলার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাজা কমানো, জামিন দেওয়া বা মামলা বাতিল করার ক্ষমতা পাবেন।
ইন্দিরা জয়সিং অবশ্য মনে করেন, শুধু বিচারকদের বিবেচনা যথেষ্ট নয়। কারণ, অভিযুক্তকে দীর্ঘ তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, এটাও একটা শাস্তি। ভারতের বিচারব্যবস্থায় মামলার দীর্ঘসূত্রতা একটি বড় সমস্যা। ২০২১ সালের এক গবেষণা অনুযায়ী, পিওসিএসও আইনে প্রায় আড়াই লাখ মামলা বিচারাধীন।
ইন্দিরা তাঁর আবেদনে পিওসিএসও আইনে একটি ‘ক্লোজ ইন এইজ এক্সেপশন’ যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই ব্যতিক্রমের মাধ্যমে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী সমবয়সীদের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে না।
শিশু অধিকারকর্মী ও আইনজীবী ভুবন রিবহু অবশ্য এই ধরনের কোনো ব্যতিক্রমের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তাঁর মতে, এর অপব্যবহার করে অপহরণ, মানব পাচার এবং বাল্যবিবাহের মতো অপরাধ বেড়ে যেতে পারে।
তবে মানবাধিকার সংগঠন ‘এইচএকিউ: সেন্টার ফর চাইল্ড রাইটস’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা এনাক্ষী গাঙ্গুলি ইন্দিরা জয়সিংয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আইনের অপব্যবহারের ভয়ে আমরা আইন পরিবর্তন করা থেকে পিছিয়ে আসতে পারি না। আইনকে সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, তবেই তা কার্যকর ও প্রাসঙ্গিক থাকবে।’
সূত্র: বিবিসি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের ‘চরম উসকানিমূলক’ মন্তব্যের জবাবে তিনি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন রাশিয়ার কাছাকাছি ‘প্রয়োজনীয় অঞ্চলে’ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ মিনিট আগেদক্ষিণ আফ্রিকায় চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্রবেশ করানোর অভিনব এক প্রকল্প চালু করেছেন বিজ্ঞানীরা। জোহানেসবার্গের উইটওয়াটারস্র্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল জানিয়েছে, এই পদ্ধতিতে গন্ডারদের কোনো ক্ষতি হবে না।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রবাদ আছে, ‘চোরের দশ দিন গেরস্তের এক দিন।’ ঠিক এমনই এক ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। স্থানীয় পুলিশ এক ‘লুটেরা দুলহান’কে (প্রতারক কনে) গ্রেপ্তার করেছে। যাঁর বিরুদ্ধে এক-দুজন নয়, আটজন পুরুষকে বিয়ে করে তাঁদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
১০ ঘণ্টা আগেভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি ও জেডিএসের সাবেক সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্না ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। বেঙ্গালুরুর একটি আদালত দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে চলা এই মামলার রায় আজ শুক্রবার ঘোষণা করেছেন। এই রায়ের মাধ্যমে কার্যত তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সমাপ্তি ঘটল বলে মনে করা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে