Ajker Patrika

এপ্রিলেই মুক্তি পাবেন ইমরান খান! 

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

চলতি মাসেই মুক্তি পেতে পারেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনটাই আশা করছেন তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতারা। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা লতিফ খোসা এ বিষয়ে দৃঢ় আশা প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

লতিফ খোসা বলেছেন, ইমরান খানের মুক্তি অত্যাসন্ন। তিনি এ মাসেই কারামুক্ত হবেন। গতকাল রোববার জিও নিউজের নয়া পাকিস্তান নামে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘আমি এটি নিশ্চিত করে বলছি যে, পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতাকে (ইমরান খান) এই এপ্রিলেই মুক্তি দেওয়া হবে।’ 
 
লতিফ খোসার এই মন্তব্যের পর পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহার আলী খানও একই ধরনের দাবি করেছেন। তবে তিনি কোনো নির্দিষ্ট দিন তারিখ উল্লেখ না করে জানিয়েছেন, ইমরান খান শিগগির কারামুক্ত হবেন। 

সরকার-সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো সমঝোতার অংশ হিসেবে ইমরান খান মুক্তি পাচ্ছেন কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে লতিফ খোসা বলেছেন, ইমরান খানের মুক্তি কোনো সমঝোতার অংশ হিসেবে হচ্ছে—এটি ভাবাটা অন্যায়। তিনি জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী কোনো প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না, তিনি কেবল দেশের সাংবিধানিক প্রাধান্য রক্ষা করতে চান। 

ইমরান খানের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর মধ্যে সাইফার মামলা ও ইদ্দত মামলার বিষয়ে খোসা জানান, এগুলো আসলে ধোপে টেকে না। তিনি বলেন, ‘সাইফার মামলায় আদালত ইতিমধ্যেই সেই কথিত “সাইফার কোথায় আছে” সেই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। আর ইদ্দত মামলাটি একটি লজ্জাজনক বিষয়।’ 

এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে থাকা তোশাখানা মামলার ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে, ঈদের পর এই মামলার শুনানির দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছেন। 

তবে তোশাখানা মামলায় কারাদণ্ডে স্থগিতাদেশ পেলেও ইমরান খান এখনো কারাগারে বন্দী। কারণ, সাইফার মামলা, আরেকটি তোশাখানা মামলা ও সন্ত্রাসবাদী মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা দণ্ডাদেশ ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তিনি এখনো কারাবন্দী। 

এক অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ২০২২ সালের এপ্রিলে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। সে সময় ইমরান খান ও পিটিআই নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করেছে সেনাবাহিনী। পরে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ইমরান খানকে তোশাখানা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে সাইফার ও ইদ্দত মামলায়ও অভিযুক্ত করা হয়। এসব মামলায় ইমরান খানকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় ইমরান খানের আপিল আবেদন পেন্ডিং অবস্থায় আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত