Ajker Patrika

উত্তর গাজার শেষ সক্রিয় হাসপাতালটিও বন্ধ করে দিল ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত একটি এলাকা। ছবি: আনাদোলু
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত একটি এলাকা। ছবি: আনাদোলু

উত্তর গাজার শেষ সক্রিয় হাসপাতাল—আল অওদা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি প্রশাসন। এই হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে গেলে উত্তর গাজায় কার্যত আর কোনো হাসপাতাল অবশিষ্ট থাকবে না। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, হাসপাতালটিতে এখনো ১৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্যকর্মী, আশ্রিতসহ আল-অওদায় বর্তমানে শতাধিক মানুষ অবস্থান করছে। ইসরায়েলি ঘোষণায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের সবার জীবনই। ইসরায়েলের লাগাতার বোমা হামলায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে উপত্যকার বেশির ভাগ রাস্তাঘাট। যেকারণে হাসপাতালের সরঞ্জাম অন্য কোথাও স্থানান্তর সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা।

আজ শুক্রবার তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে একটি মিশনের পরিকল্পনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ডব্লিউএইচও বলছে, রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। আল-অওদা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তর গাজায় আর কোনো কার্যকর হাসপাতাল অবশিষ্ট থাকল না— ফলে সেখানকার মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবনরেখা ছিন্ন হয়ে গেল।

সংস্থাটি হাসপাতালটির সুরক্ষা এবং রোগী ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।

ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের ভাষ্য— নেতানিয়াহু প্রশাসনের এই পদক্ষেপ গাজার চিকিৎসা খাতের বিরুদ্ধে ‘নিরবচ্ছিন্ন অপরাধ ও লঙ্ঘনের ধারাবাহিকতা’। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, আল-অওদা ছিল উত্তর গাজায় শেষ সক্রিয় হাসপাতাল। এই হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসে এমন সময়, যখন ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার অভিযান অব্যাহত রেখেছে— বৃহস্পতিবার রাতে নতুন করে গাজা শহরের উত্তর ও পূর্বাংশে ব্যাপকসংখ্যক মানুষকে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইন অনুযায়ী গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্যব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে ইসরায়েলি অবরোধ ও বোমাবর্ষণে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০-এর বেশি চিকিৎসাকর্মী, রোগী ও আশ্রয়গ্রহণকারী নিহত হয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শেখ হাসিনা যাঁকে ঢাকায় ‘হত্যা করলেন’, তিনি ময়মনসিংহে জীবিত!

সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধই সেনাবাহিনীর চেতনার উৎস: সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার

আরাকান আর্মির হাতে মিয়ানমারের জেনারেল নিহত, চীনা টার্মিনালের কাছে চলছে লড়াই

ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর ওপর হামলা: সড়ক অবরোধ

বাজেটে বিলাসপণ্যে বাড়তি কর, ওষুধে ব্যাপক ছাড়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত