
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুরুতেই ধারণা করা হয়েছিল। গতকাল শনিবার শুরু হওয়া এ সম্মেলন তেমন কোনো কৌশলগত অর্জন বা অগ্রগতি ছাড়াই ইতি টেনেছে।
সম্মেলনে আরব বিশ্বের নেতারা গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং অংশগ্রহণকারী ইউরোপের কূটনীতিকেরা সংঘাতের সময় বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার ওপর জোর দেন। তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি সবাইকে হতাশ করেছে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর দুই সপ্তাহ পর এই সম্মেলনের ডাক দেয় মিসর। চলমান এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি ও প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাসের হাতে বন্দী আরও ২০০ ইসরায়েলি।
সম্মেলন সফল না হলেও গতকাল জাতিসংঘের ২০ ট্রাক ত্রাণ মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ বলেছে, এই সহায়তা পর্যাপ্ত নয়। এটি মরুভূমিতে একবিন্দু জলের মতো। আর এসব ট্রাকে কোনো জ্বালানিও ছিল না, যা হাসপাতালের জেনারেটর চালানোর জন্য জরুরি। যেখানে আগে গাজায় ২০ লাখ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে প্রতিদিন ১০০টি ত্রাণের ট্রাক প্রবেশ করত।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইউরোপীয় নেতারা একদিকে ইসরায়েলকে শক্ত রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, অপর দিকে গাজায় মানবিক ত্রাণ অনুদান দিচ্ছে। ফলে তাদের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়া নিয়ে সংশয় আগে থেকেই ছিল।
কায়রোর শান্তি সম্মেলনে কারা যোগ দিয়েছিলেন
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পাশাপাশি জর্ডান, ইরাকসহ বেশির ভাগ উপসাগরীয় দেশের নেতারা এ সম্মেলনে অংশ নেন। অনেক ইউরোপীয় দেশের প্রধান বা পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন। ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি পাঠায়। রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন ও জাপান থেকেও প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতির জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্মেলনের আগের দিন মিসরের সীমান্ত পরিদর্শন করেছিলেন। তিনিও সম্মেলনে যোগ দেন।
তবে এ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিল মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ও হামাস-হিজবুল্লাহর অর্থদাতা ইরান। তবে লেবাননের এক রাজনীতিবিদ আমেরিকান সংবাদ সংস্থা পলিটিকোকে বলেন, ইরানের অনুপস্থিতি এই সম্মেলন তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।
যুক্তরাষ্ট্র মিসর দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে পাঠায়। তবে বাইডেন প্রশাসনের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়নি। ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের মিত্র বাইডেন। হামাসের আক্রমণের পরে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে ওকালতি করেছেন তিনি। তবে ইসরায়েলকে ক্রোধ থেকে বেশি আগ্রাসী না হওয়ার জন্যও সতর্ক করেছেন।
গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তখন এক মার্কিন প্রতিনিধি বলেন, এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে।
সম্মেলনে কী বললেন বিশ্বনেতারা?
সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতারা মূলত যুদ্ধ বন্ধ, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা, জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের অভিযোগ বৈধ এবং দীর্ঘ। তবে কোনো কিছুই হামাসের নিন্দনীয় আক্রমণকে ন্যায্যতা দিতে পারে না। আর এই আক্রমণের ফলে কখনোই সব ফিলিস্তিনিকে ভোগান্তিতে ফেলাও ন্যায্য হতে পারে না।
সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহসহ আরব নেতারা ইসরায়েলের গাজা অবরোধ এবং ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার কঠোর সমালোচনা করেন।
জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ গাজা ও পশ্চিম তীরে সমস্ত বেসামরিক নাগরিকের ওপর ইসরায়েলের সহিংসতার নিন্দা জানান। তিনি গাজায় বোমা হামলাকে ‘নিষ্ঠুর এবং অসংবেদনশীল’ বলে অভিহিত করেন।
রাজা আবদুল্লাহ বলেন, ‘অবরুদ্ধ ও অসহায় মানুষদের সামষ্টিকভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটা যুদ্ধাপরাধ।’
তবে সম্মেলনে বেসামরিক নাগরিক এবং মানবিক সংকট নিয়ে পশ্চিমা নেতারা উদ্বেগ প্রকাশের সময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন।
এদিকে গাজাকে মুক্ত করার দাবিতে প্রায় এক লাখ মানুষ লন্ডনের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি সম্মেলনে জানান, তিনি আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান এবং গাজায় নাগরিকদের জীবন রক্ষার দায়িত্ব সম্পর্কে ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন।
জেমস ক্লেভারলি বলেন, ‘অবিশ্বাস্য এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আমি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে শৃঙ্খলা, পেশাদারি এবং সংযমের আহ্বান জানিয়েছি।’
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করি।’
জোলিসহ অন্যান্য পশ্চিমা নেতা এই যুদ্ধ ইসরায়েল এবং গাজা থেকে আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেন। চলমান যুদ্ধে ইরানের সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা।
এদিকে টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে হামাস বলেছে, তারা ‘আগ্রহের সঙ্গে’ শীর্ষ শান্তি সম্মেলন পর্যবেক্ষণ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে সমস্ত প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও প্রতিরোধকে সমর্থন দেওয়া সব দেশের প্রশংসা করি।’
যুক্তরাজ্যর সংবাদমাধ্যম টাইম শীর্ষ এ সম্মেলনে ইসরায়েলের অনুপস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য ই-মেইলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া মেলেনি।
শীর্ষ সম্মেলনের অর্জন কী?
যুদ্ধরত দুটি পক্ষ (হামাস-ইসরায়েল) এবং তাদের সমর্থকেরা এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল না। বিশ্বনেতারা শীর্ষ সম্মেলনের শেষে কোনো যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেননি, ফলে বিভাজন স্পষ্ট। অর্থাৎ, সম্মেলনে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়নি। দুই পক্ষকে চাপ দেওয়ার মতো কেউ সম্মেলনে ছিলেন না! ফলে এই সংঘাত এখন অবধি সামরিক লড়াইয়ের মাঠেই থেকে গেল, যা বিশ্বের তথাকথিত শান্তিবাদী রাজনীতিবিদদের জন্য লজ্জাকর।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুরুতেই ধারণা করা হয়েছিল। গতকাল শনিবার শুরু হওয়া এ সম্মেলন তেমন কোনো কৌশলগত অর্জন বা অগ্রগতি ছাড়াই ইতি টেনেছে।
সম্মেলনে আরব বিশ্বের নেতারা গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং অংশগ্রহণকারী ইউরোপের কূটনীতিকেরা সংঘাতের সময় বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার ওপর জোর দেন। তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি সবাইকে হতাশ করেছে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর দুই সপ্তাহ পর এই সম্মেলনের ডাক দেয় মিসর। চলমান এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি ও প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাসের হাতে বন্দী আরও ২০০ ইসরায়েলি।
সম্মেলন সফল না হলেও গতকাল জাতিসংঘের ২০ ট্রাক ত্রাণ মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ বলেছে, এই সহায়তা পর্যাপ্ত নয়। এটি মরুভূমিতে একবিন্দু জলের মতো। আর এসব ট্রাকে কোনো জ্বালানিও ছিল না, যা হাসপাতালের জেনারেটর চালানোর জন্য জরুরি। যেখানে আগে গাজায় ২০ লাখ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে প্রতিদিন ১০০টি ত্রাণের ট্রাক প্রবেশ করত।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইউরোপীয় নেতারা একদিকে ইসরায়েলকে শক্ত রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, অপর দিকে গাজায় মানবিক ত্রাণ অনুদান দিচ্ছে। ফলে তাদের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়া নিয়ে সংশয় আগে থেকেই ছিল।
কায়রোর শান্তি সম্মেলনে কারা যোগ দিয়েছিলেন
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পাশাপাশি জর্ডান, ইরাকসহ বেশির ভাগ উপসাগরীয় দেশের নেতারা এ সম্মেলনে অংশ নেন। অনেক ইউরোপীয় দেশের প্রধান বা পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন। ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি পাঠায়। রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন ও জাপান থেকেও প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতির জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্মেলনের আগের দিন মিসরের সীমান্ত পরিদর্শন করেছিলেন। তিনিও সম্মেলনে যোগ দেন।
তবে এ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিল মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ও হামাস-হিজবুল্লাহর অর্থদাতা ইরান। তবে লেবাননের এক রাজনীতিবিদ আমেরিকান সংবাদ সংস্থা পলিটিকোকে বলেন, ইরানের অনুপস্থিতি এই সম্মেলন তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।
যুক্তরাষ্ট্র মিসর দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে পাঠায়। তবে বাইডেন প্রশাসনের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়নি। ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের মিত্র বাইডেন। হামাসের আক্রমণের পরে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে ওকালতি করেছেন তিনি। তবে ইসরায়েলকে ক্রোধ থেকে বেশি আগ্রাসী না হওয়ার জন্যও সতর্ক করেছেন।
গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তখন এক মার্কিন প্রতিনিধি বলেন, এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে।
সম্মেলনে কী বললেন বিশ্বনেতারা?
সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতারা মূলত যুদ্ধ বন্ধ, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা, জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের অভিযোগ বৈধ এবং দীর্ঘ। তবে কোনো কিছুই হামাসের নিন্দনীয় আক্রমণকে ন্যায্যতা দিতে পারে না। আর এই আক্রমণের ফলে কখনোই সব ফিলিস্তিনিকে ভোগান্তিতে ফেলাও ন্যায্য হতে পারে না।
সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহসহ আরব নেতারা ইসরায়েলের গাজা অবরোধ এবং ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার কঠোর সমালোচনা করেন।
জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ গাজা ও পশ্চিম তীরে সমস্ত বেসামরিক নাগরিকের ওপর ইসরায়েলের সহিংসতার নিন্দা জানান। তিনি গাজায় বোমা হামলাকে ‘নিষ্ঠুর এবং অসংবেদনশীল’ বলে অভিহিত করেন।
রাজা আবদুল্লাহ বলেন, ‘অবরুদ্ধ ও অসহায় মানুষদের সামষ্টিকভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটা যুদ্ধাপরাধ।’
তবে সম্মেলনে বেসামরিক নাগরিক এবং মানবিক সংকট নিয়ে পশ্চিমা নেতারা উদ্বেগ প্রকাশের সময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন।
এদিকে গাজাকে মুক্ত করার দাবিতে প্রায় এক লাখ মানুষ লন্ডনের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি সম্মেলনে জানান, তিনি আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান এবং গাজায় নাগরিকদের জীবন রক্ষার দায়িত্ব সম্পর্কে ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন।
জেমস ক্লেভারলি বলেন, ‘অবিশ্বাস্য এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আমি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে শৃঙ্খলা, পেশাদারি এবং সংযমের আহ্বান জানিয়েছি।’
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করি।’
জোলিসহ অন্যান্য পশ্চিমা নেতা এই যুদ্ধ ইসরায়েল এবং গাজা থেকে আরব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেন। চলমান যুদ্ধে ইরানের সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা।
এদিকে টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে হামাস বলেছে, তারা ‘আগ্রহের সঙ্গে’ শীর্ষ শান্তি সম্মেলন পর্যবেক্ষণ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে সমস্ত প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও প্রতিরোধকে সমর্থন দেওয়া সব দেশের প্রশংসা করি।’
যুক্তরাজ্যর সংবাদমাধ্যম টাইম শীর্ষ এ সম্মেলনে ইসরায়েলের অনুপস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য ই-মেইলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া মেলেনি।
শীর্ষ সম্মেলনের অর্জন কী?
যুদ্ধরত দুটি পক্ষ (হামাস-ইসরায়েল) এবং তাদের সমর্থকেরা এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল না। বিশ্বনেতারা শীর্ষ সম্মেলনের শেষে কোনো যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেননি, ফলে বিভাজন স্পষ্ট। অর্থাৎ, সম্মেলনে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়নি। দুই পক্ষকে চাপ দেওয়ার মতো কেউ সম্মেলনে ছিলেন না! ফলে এই সংঘাত এখন অবধি সামরিক লড়াইয়ের মাঠেই থেকে গেল, যা বিশ্বের তথাকথিত শান্তিবাদী রাজনীতিবিদদের জন্য লজ্জাকর।

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
২ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুর
২২ অক্টোবর ২০২৩
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
২ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবিবিসির সাক্ষাৎকার
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুর
২২ অক্টোবর ২০২৩
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
২ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।
এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।
এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুর
২২ অক্টোবর ২০২৩
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রাণহানি পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে গাজায় হামলা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে মিসর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেয়। যুদ্ধরত দুই পক্ষ ও বেশির ভাগ পশ্চিমা কূটনীতিকের অনুপস্থিতি এই সম্মেলনকে নামসর্বস্ব করে তুলবে বলে শুর
২২ অক্টোবর ২০২৩
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
২ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
২ ঘণ্টা আগে