Ajker Patrika

লেবাননের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দেউলিয়া ঘোষণা উপপ্রধানমন্ত্রীর, গভর্নরের অস্বীকার

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১০: ৪৮
Thumbnail image

লেবাননের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘বাংকে দু লিবান’ দেউলিয়া হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী সাদেহ আল-শামি। তবে তাঁর এই দাবিকে অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর রিয়াদ সালামেহ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও আরব নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

গত রোববার এক সাক্ষাৎকারে লেবাননের উপপ্রধানমন্ত্রী সাদেহ আল-শামি বলেছিলেন, ‘লেবাননের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছে এবং একই সঙ্গে রাষ্ট্রটিও দেউলিয়া হয়ে গেছে। আর ক্ষতি যেহেতু হয়েই গেছে, আমরা চেষ্টা করব জনগণের ওপর থেকে এই ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনতে।’ 

পরদিন সোমবার উপপ্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে অস্বীকার করে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর রিয়াদ সালামেহ বলেছেন, ‘৩০ বছর ধরে আমি যে প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিয়েছি, সেটি দেউলিয়া হয়নি। কিছু আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বটে, তবে এখনো বাধ্যতামূলকভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’ 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবানন কয়েক দশকের দুর্নীতি ও খারাপ নীতির কারণে গত তিন বছর ধরে ব্যাপক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। এ বছর লেবাননের মুদ্রার মান ৯০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং ব্যাংকগুলো বেশির ভাগ সঞ্চয়কারীর অ্যাকাউন্ট লক করে দিয়েছে। 

অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের জন্য লেবানন সরকার নানা পরিকল্পনা করছে এবং এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে সাহায্য চেয়েছে। 

গভর্নর রিয়াদ সালামেহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেউলিয়া হওয়ার বিষয়ে যা প্রচার করা হচ্ছে তা সত্য নয়। ব্যাংকটি এখনো অর্থ ও ঋণ আইনের ৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে আইনগতভাবে তার বাধ্যতামূলক দায়িত্ব পালন করছে। এর অর্থ হচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে লেবাননের মুদ্রার অখণ্ডতা সংরক্ষণ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ 

এর আগে উপপ্রধানমন্ত্রী সাদেহ আল-শামি বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্র যে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে তা রাষ্ট্র ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক ও আমানতকারীরা ভাগাভাগি করে নেবেন। অর্থনৈতিক ক্ষতির এই ভাগাভাগি নিয়ে মতবিরোধের কোনো অবকাশ নেই।’ 

এখন যে পরিস্থিতি চলছে, তা উপেক্ষা করা যায় না উল্লেখ করে উপপ্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের ব্যবস্থাটি সবার জন্য আর উন্মুক্ত রাখা যাচ্ছে না।’ তবে সবকিছু একদিন স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

এদিকে আরব নিউজ জানিয়েছে, লেবানন ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে লড়াই করছে। দেশটির মুদ্রামান কমে যাওয়ার পাশাপাশি তেল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অপ্রতুলতাসহ নানা সংকটে ভুগছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত