Ajker Patrika

৩ দিনে ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, নয়া রেকর্ডের পথে সৌদি আরব

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১৪: ২৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সৌদি আরবে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এ নিয়ে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত দেশটিতে মোট মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩৯-এ। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এই হার অব্যাহত থাকলে খুব দ্রুতই ২০২৪ সালের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যাবে দেশটি। ওই বছর দেশটিতে সর্বোচ্চ ৩৩৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল, যা ১৯৯০-এর দশক থেকে পাওয়া রেকর্ড অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার ও শনিবার মোট ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন হাশিশ পাচার এবং একজন কোকেন পাচারের দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন। এরপর সোমবার আরও দুই সৌদি নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ‘সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধে’ জড়িত থাকার।

এই তিন দিনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের গতি ২০২২ সালের ১২ মার্চের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেদিন একদিনেই ৮১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে রিয়াদ।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তা গভীর উদ্বেগজনক। বিশেষ করে মাদক সংক্রান্ত মামলায় মৃত্যুদণ্ডের হার ক্রমেই বাড়ছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২৩৯টি মৃত্যুদণ্ডের মধ্যে ১৬১টিই ছিল মাদক সংক্রান্ত অপরাধে। এর মধ্যে ১৩৬ জনই ছিলেন বিদেশি নাগরিক।

মানবাধিকার সংগঠন রিপ্রিভের কর্মকর্তা জিড বাসিউনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী যখন হাশিশ ও অন্যান্য মাদকদ্রব্যের ব্যবহার অপরাধ হিসেবে গণ্য না করার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে, তখন সৌদি আরব ঠিক উল্টো পথে হাঁটছে। বিশেষ করে বিদেশি নাগরিকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।’

বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৩ সালে সৌদি সরকার যে ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধ’ শুরু করেছিল, এই মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা তারই ফলাফল। ওই সময় যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, এখন তাঁদের মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়ে আসছে এবং রায় অনুযায়ী একের পর এক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের পর কয়েক বছর মাদক সংক্রান্ত অপরাধে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত ছিল সৌদি আরবে। কিন্তু ২০২২ সালের শেষ দিকে ফের তা কার্যকর শুরু হয়। তারপর থেকে ক্রমেই এই হার বাড়ছে।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি আরব একাধিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি, কনসার্ট ও খেলাধুলার মতো বিনোদন খাতের উন্মুক্তকরণ, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ—সব মিলিয়ে দেশটি একটি উন্মুক্ত ও আধুনিক সমাজ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ‘ভিশন ২০৩০’ কর্মসূচি চালাচ্ছে।

কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, একদিকে সংস্কারের বুলি আর অন্যদিকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রবণতা—এই দুই বিপরীত বাস্তবতা সৌদি সরকারের ইমেজকে বিশ্বদৃষ্টিতে দ্বিধান্বিত করে তুলছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, মৃত্যুদণ্ড কেবল তখনই কার্যকর করা হয়, যখন একজন আসামি সব ধরনের আইনি সুযোগ গ্রহণ করার পরও দোষী সাব্যস্ত হন। সরকারের মতে, এমন শাস্তি সমাজে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

তবে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, সৌদি আরবের বর্তমান পরিস্থিতি প্রমাণ করে, ‘ভিশন ২০৩০ ’-এর মূল প্রতিশ্রুতি—একটি মানবিক ও সহনশীল রাষ্ট্র গঠনের দৃষ্টিভঙ্গি—ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তি সংস্কারের সঙ্গে মেলানো কঠিন।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, পণ্য খালাস বাড়ছে

আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সম্ভব কি না—আরও যেসব বিষয়ে যুক্তি দিলেন আইনজীবী

নাছোড়বান্দা এক অভিবাসীর পাল্লায় পড়েছে যুক্তরাজ্য

কী কারণে অদৃশ্য হয়ে গেলেন জিম ক্যারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ ছাড়াল ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার, মাথাপিছু ১ লাখ ১১ হাজার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ১৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে সরকারি ব্যয় ও রাজস্বের ব্যবধান দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ ট্রিলিয়ন ১৯ বিলিয়ন ৮১৩ মিলিয়ন ডলার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এই ঋণের পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য গড়ে প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার ডলারের সমান। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক থিংকট্যাংক পিটার জি পিটারসন ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, এই ঋণ চীন, ভারত, জাপান, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির সম্মিলিত মূল্যের সমান।

মাত্র দুই মাসের কিছু বেশি সময় আগে, চলতি বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে দেশটির ঋণ ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে ঋণ ছিল ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার, আর ওই বছরের জুলাই মাসে ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলার। পিটার জি পিটারসন ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল এ পিটারসন বলেছেন, মার্কিন আইনপ্রণেতারা তাদের ‘মৌলিক আর্থিক দায়িত্ব’ পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এক ট্রিলিয়নের পর আরেক ট্রিলিয়ন ঋণ যোগ করে সংকটের পর সংকটে বাজেট তৈরি করা, এমন এক মহান জাতির জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। এর পরিবর্তে ঋণের ঘড়ির কাঁটা যতই দ্রুত ঘুরছে, ততই সংসদ সদস্যদের উচিত দায়িত্বশীল সংস্কারের সুযোগ নেওয়া, যা দেশকে ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী পথে নিয়ে যেতে পারে।’

এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিজ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণের মান ‘Aaa’ থেকে নামিয়ে ‘Aa1’ করেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, একের পর এক প্রশাসন বৃহৎ বার্ষিক বাজেট ঘাটতি ও সুদের ব্যয় বৃদ্ধির প্রবণতা উল্টে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর আগে ফিচ ও স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস যথাক্রমে ২০১১ ও ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডিট রেটিং নামিয়ে দেয়।

যদিও অর্থনীতিবিদদের মধ্যে এখনো বিতর্ক আছে, যুক্তরাষ্ট্র কতটা ঋণ নিতে পারে আর্থিক বিপর্যয় সৃষ্টি না করে, তবু সবাই একমত যে বর্তমান ঋণের ধারা টেকসই নয়। ২০২৩ সালের এক বিশ্লেষণে পেন ওয়ারটন বাজেট মডেলের অর্থনীতিবিদেরা অনুমান করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ যদি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২০০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, তাহলে আর্থিক বাজার তা সহ্য করবে না।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষ কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের হিসাব অনুযায়ী, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশটির ঋণ জিডিপির ২০০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এর পেছনে বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রণীত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’-এর আওতায় দেওয়া ব্যাপক করছাড়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, পণ্য খালাস বাড়ছে

আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সম্ভব কি না—আরও যেসব বিষয়ে যুক্তি দিলেন আইনজীবী

নাছোড়বান্দা এক অভিবাসীর পাল্লায় পড়েছে যুক্তরাজ্য

কী কারণে অদৃশ্য হয়ে গেলেন জিম ক্যারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুইডেনের কাছ থেকে ১৫০টি পঞ্চম প্রজন্মের গ্রিপেন–ই যুদ্ধবিমান কিনছে ইউক্রেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সুইডেনের কাছ থেকে ১৫০টি গ্রিপেন যুদ্ধবিমান কিনছে ইউক্রেন। ছবি: সংগৃহীত
সুইডেনের কাছ থেকে ১৫০টি গ্রিপেন যুদ্ধবিমান কিনছে ইউক্রেন। ছবি: সংগৃহীত

সুইডেন ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ ১৫০টি নিজস্বভাবে তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের গ্রিপেন যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারে। দুই দেশ এই বিষয়ে একটি ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ বা ‘ইচ্ছাপত্রে’ সই করেছে দেশটি। গতকাল বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর এই তথ্য জানিয়েছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুইডেনের লিনশপিং শহরে দুই নেতার বৈঠক হয়। এরপর তাঁরা সফর করেন গ্রিপেনের উৎপাদক ‘সাব–SAAB’—এর কারখানায়। এই প্রতিষ্ঠানই তৈরি করে জেএএস ৩৯ গ্রিপেন যুদ্ধবিমান, গ্লোবালআই নজরদারি বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, অ্যান্টি-ট্যাংক অস্ত্র এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম।

সংবাদ সম্মেলনে ক্রিস্টারসন জানান, দুই দেশ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা চুক্তি করেছে। এই সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে ১০০—১৫০টি নতুন গ্রিপেন–ই মডেলের যুদ্ধবিমান রপ্তানির সম্ভাবনা, যা সুইডেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমান রপ্তানি অর্ডার হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, সামনে পথটা দীর্ঘ। কিন্তু আজ থেকে আমরা ইউক্রেনকে বিপুলসংখ্যক গ্রিপেন যুদ্ধবিমান সরবরাহের সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

গত দুই বছর ধরে ইউক্রেনে গ্রিপেন সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। তবে গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হাতে পাওয়ার পর আপাতত সেটির ওপর মনোযোগ দিতে এই পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হয়। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ইউক্রেনের জন্য গ্রিপেন পাওয়ার কাজ শুরু করেছি। ভবিষ্যৎ চুক্তিতে আমরা কমপক্ষে ১০০টি বিমান অর্জন করতে পারব বলে আশা করছি।’

তিনি আরও জানান, ইউক্রেনীয় পাইলটরা ইতিমধ্যে সুইডেনে গিয়ে গ্রিপেন পরীক্ষা করেছেন, যাতে ভবিষ্যতে বিমান রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ হয়। গ্রিপেন তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল এবং টেকসই—যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ এর মতো উন্নত বিমানের চেয়ে অনেক সাশ্রয়ী বিকল্প। জেলেনস্কির আশা, আগামী বছর থেকেই ইউক্রেন গ্রিপেন যুদ্ধবিমান পাবে এবং ব্যবহার শুরু করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য গ্রিপেন অত্যন্ত জরুরি। বিষয়টি অর্থ, কৌশল ও গতিশীলতার সঙ্গে সম্পর্কিত।’

ক্রিস্টারসন জানান, এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন বিমানের উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু হতে তিন বছর লাগতে পারে। পুরোনো গ্রিপেন মডেল পাঠানোর বিষয়টি এখনো খোলা রয়েছে, যদিও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, বিমান ক্রয়ের অর্থায়ন হতে পারে পশ্চিমা দেশগুলোতে থাকা রাশিয়ার জব্দকৃত সম্পদ থেকে এবং ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’—এর অন্তর্ভুক্ত মিত্র দেশগুলোর সহায়তায়। তবে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের আগে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। লন্ডনের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (RUSI) বিমানযুদ্ধ বিশেষজ্ঞ জাস্টিন ব্রঙ্ক বলেন, এই সম্ভাব্য চুক্তি দেখায় যে ইউক্রেন কেবল যুদ্ধের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন নয়, বরং যুদ্ধোত্তর বিমানবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েও ভাবছে।

বর্তমানে ইউক্রেনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ এবং ফ্রান্সের তৈরি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান রয়েছে। ব্রঙ্ক বলেন, গ্রিপেন ই এই দুইয়ের তুলনায় অনেক বেশি সক্ষম মধ্য-ওজনের যুদ্ধবিমান হতে পারে। এর উন্নত রাডার, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা এবং দূরপাল্লার মিটিওর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য সুবিধা দেবে।

১৯৯৬ সাল থেকে গ্রিপেন সক্রিয় রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২৮০টি বিমান তৈরি করেছে সাব। বুধবার এই খবর প্রকাশিত হওয়ার আগেই কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য বেড়েছে ৩.৩ শতাংশ। সুইডেন নিজেই সর্বশেষ গ্রিপেন–ই মডেলের ৬০টি বিমান অর্ডার করেছে। লিনশপিংয়ের কারখানায় সাব উৎপাদনক্ষমতা বাড়াচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যে বছরে ২০–৩০টি বিমান তৈরির লক্ষ্য নিয়েছে তারা। প্রতিষ্ঠানটি ব্রাজিলেও গ্রিপেন নির্মাণ করছে।

লিনশপিংয়ে পৌঁছানোর আগে জেলেনস্কি অল্প সময়ের জন্য নরওয়ের রাজধানী অসলোতে থামেন। সেখানে নরওয়ে সরকার ঘোষণা দেয়—তারা ইউক্রেনকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের জন্য আরও দেড় বিলিয়ন নরওয়েজীয় ক্রোন (প্রায় ১৪৯.৪ মিলিয়ন ডলার) অনুদান দেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, পণ্য খালাস বাড়ছে

আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সম্ভব কি না—আরও যেসব বিষয়ে যুক্তি দিলেন আইনজীবী

নাছোড়বান্দা এক অভিবাসীর পাল্লায় পড়েছে যুক্তরাজ্য

কী কারণে অদৃশ্য হয়ে গেলেন জিম ক্যারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম নিষেধাজ্ঞা এটি। এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল বিক্রির আয় বন্ধ করা, যা দেশটির যুদ্ধ পরিচালনার অর্থ জোগায়।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি তথা অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এখন হত্যাযজ্ঞ বন্ধের সময়। প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধ থামাতে অস্বীকৃতি জানানোয় ট্রেজারি রাশিয়ার দুটি বড় তেল কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করছে। প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

ব্রিটেন গত সপ্তাহে রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রসনেফটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তবে বেসরকারি লুকওয়েলকে ছাড় দিয়েছে—হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার জন্য বিশেষ অনুমতির কারণে।

হোয়াইট হাউসে ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘বৈঠকটা ঠিক মনে হয়নি, তাই বাতিল করেছি। তবে ভবিষ্যতে করব।’

এর আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ব্রিটেনের দেওয়া স্টর্ম শ্যাডো ক্রুজ মিসাইল রাশিয়ার ভেতরে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। তবে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই খবরকে ‘ভুয়া’ বলে দাবি করেছেন।

নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার তেল রপ্তানি থেকে আয় কমানোর সবচেয়ে সরাসরি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। কারণ, ভারত কম দামে রুশ তেল কিনছিল।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ফিশম্যান বলেন, ‘রসনেফট ছিল রাশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি, যেটি এখন পর্যন্ত পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিল।’ তিনি মনে করেন, এই সিদ্ধান্তের পর স্বল্পমেয়াদে অনেক প্রতিষ্ঠান রুশ তেল কেনা থেকে বিরত থাকতে পারে।

এই পদক্ষেপকে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইউক্রেন কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিলে এবং পশ্চিমা অংশীদারিত্ব সীমিত করলে শান্তি আসতে পারে। তবে বিষয়টি পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ বাড়ায়।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়ন বলেন, ইইউর ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজও শিগগির গৃহীত হবে। এতে রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ, ‘শ্যাডো ফ্লিট’ তেলবাহী জাহাজ কালো তালিকাভুক্ত, রসনেফট ও গ্যাজপ্রম নেফটের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিষিদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যাওয়া ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

নতুন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে রুশ কূটনীতিকদের শেনজেন এলাকায় অবাধ চলাচলেও বিধিনিষেধ দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, পণ্য খালাস বাড়ছে

আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সম্ভব কি না—আরও যেসব বিষয়ে যুক্তি দিলেন আইনজীবী

নাছোড়বান্দা এক অভিবাসীর পাল্লায় পড়েছে যুক্তরাজ্য

কী কারণে অদৃশ্য হয়ে গেলেন জিম ক্যারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পশ্চিম তীর সংযুক্ত করতে ইসরায়েলি পার্লামেন্টে বিল পাস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৫২
পশ্চিম তীরের একটি এলাকায় অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভের সময় অস্ত্র হাতে টহল দিচ্ছে এক ইসরায়েলি সেনা। ছবি: এএফপি
পশ্চিম তীরের একটি এলাকায় অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভের সময় অস্ত্র হাতে টহল দিচ্ছে এক ইসরায়েলি সেনা। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলের পার্লামেন্ট অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপের একটি বিলের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। সোজা কথা পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার বিলে অনুমোদন দিয়েছে। একে আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর দল লিকুদ পার্টির বিরোধিতা সত্ত্বেও গত মঙ্গলবার ১২০ আসনের পার্লামেন্টে ২৫-২৪ ভোটে বিলটি পাস হয়। এটি আইন হিসেবে কার্যকর হতে মোট চার দফা ভোট প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ।

পার্লামেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিলটি প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব জুডিয়া ও সামারিয়া (পশ্চিম তীর) অঞ্চলে প্রয়োগের জন্য।’ এখন বিলটি পরবর্তী আলোচনার জন্য পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটিতে যাবে।

এই ভোট এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যার এক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর সংযুক্ত না করতে সতর্ক করেছিলেন। এ ছাড়া এই বিল পাসের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইসরায়েলে উপস্থিত ছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি টিকিয়ে রাখা।

লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে এই বিল পাসকে আখ্যা দিয়েছে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য বিরোধী দলের আরেকটি উসকানি’ হিসেবে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রকৃত সার্বভৌমত্ব অর্জিত হবে মাঠপর্যায়ে সঠিক কাজের মাধ্যমে, কোনো চোখে লাগার মতো আইন পাস করে নয়।’

অধিকৃত পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করা মানে কার্যত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের দুই রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে চূড়ান্তভাবে শেষ করে দেওয়া, যা জাতিসংঘের প্রস্তাবনায় নির্ধারিত ছিল।

নেতানিয়াহুর জোটের কয়েকজন সদস্য, জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের ‘ইহুদি শক্তি’ দল এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচের ‘ধর্মীয় জায়নবাদ’ দলের সদস্যরা বিলটির পক্ষে ভোট দেন।

বিলটি পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন কট্টর ডানপন্থী নোআম পার্টির নেতা আভি মাওজ, যিনি সরকার জোটের অংশ নন।

বেশির ভাগ লিকুদ এমপি ভোটে অংশ নেননি বা বিরত থাকেন, তবে একজন ইউলি এডেলস্টাইন নেতানিয়াহুর বিরোধিতা করে বিলের পক্ষে ভোট দেন এবং সেটিই ছিল নির্ধারক ভোট। তিনি এক্সে লেখেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের মাতৃভূমির প্রতিটি ইঞ্চিতে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বই সময়ের দাবি।’

বিরোধী দলের আরেকটি বিল, যাতে মাআলে আদুমিম বসতিও ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রস্তাব ছিল, সেটিও পাস হয়েছে। গত আগস্টে ইসরায়েল মাআলে আদুমিম ও জেরুজালেমের মাঝখানে একটি বৃহৎ বসতি প্রকল্প অনুমোদন দেয়। সে সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সতর্ক করে বলেছিল, এতে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ভৌগোলিকভাবে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

এই ভোটের পর ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হামাস, কাতার, সৌদি আরব ও জর্ডান তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, তারা ‘পার্লামেন্টের ফিলিস্তিনি ভূমি সংযুক্ত করার প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘পশ্চিম তীরে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড, যার মধ্যে জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকাও অন্তর্ভুক্ত, একটি ভৌগোলিক একক, যার ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।’

হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, এই বিলগুলো ‘ঔপনিবেশিক দখলের কদর্য দিক’ প্রকাশ করছে। তারা আরও বলেছে, ‘আমরা জোর দিয়ে বলছি, পশ্চিম তীর সংযুক্ত করার দখলদারদের অস্থির প্রচেষ্টা অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য।’

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ভোটের ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়ে একে বলেছে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের ঐতিহাসিক অধিকারের প্রকাশ্য লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, পণ্য খালাস বাড়ছে

আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সম্ভব কি না—আরও যেসব বিষয়ে যুক্তি দিলেন আইনজীবী

নাছোড়বান্দা এক অভিবাসীর পাল্লায় পড়েছে যুক্তরাজ্য

কী কারণে অদৃশ্য হয়ে গেলেন জিম ক্যারি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত